রোহিঙ্গা শিশু
ভাসানচরে সিলিন্ডার বিস্ফোরণ: চমেকে আরও এক রোহিঙ্গা শিশুর মৃত্যু
নোয়াখালীর ভাসানচরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ চার বছর বয়সী শিশু মুবাসসারা নামে এক রোহিঙ্গা শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে। এই নিয়ে চমেকে দুই রোহিঙ্গা শিশুর মৃত্যু হলো।
আরও পড়ুন: চমেক হাসপাতাল থেকে নবজাতক চুরির অভিযোগ
এর আগে গত শনিবার রাসেল (৩) নামে এক রোহিঙ্গা শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বর্তমানে চমেক হাসপাতালে আরও ৫ জন চিকিৎসাধীন।
তারা হলেন- জোবায়দা (২২), রোসমিনা (৫), রবি আলম (৫), আমেনা খাতুন (২৪) ও সোহেল (৫)।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল সূত্র জানায়, ভাসানচরের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দুই পরিবারের ৯ জন দগ্ধ হন। এর মধ্যে সাতজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়। কর্তব্যরত চিকিৎসক আহতদের চমেক হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ওয়ার্ডে ভর্তি করেছেন।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম আহসান বলেন, ভাসানচরের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অগ্নিদগ্ধ সাতজনকে চমেক হাসপাতালে আনা হয়।
এর মধ্যে- রাসেল ও মুবাসসারা নামে দুই শিশু মারা গেছে। বর্তমানে পাঁচজন বার্ন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছয়জনের মধ্যে- রোসমিনা ৫০ শতাংশ, রবি আলম ৪৫ শতাংশ, আমেনা খাতুন ৮ শতাংশ, সোহেল ৫২ শতাংশ ও জোবায়দা ২৫ শতাংশ শতাংশ দগ্ধ হয়েছেন।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) নুরুল আলম আশিক বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
আরও পড়ুন: খতনা করতে গিয়ে দুই শিশুর মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর জিরো টলারেন্স নির্দেশ: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
লালমনিরহাটে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে শিশুর মৃত্যু
৮ মাস আগে
অপহরণ চক্রের ৯ সদস্য আটক, ৩ রোহিঙ্গা শিশু উদ্ধার ও নিখোঁজ ৬
কাজের প্রলোভন দেখিয়ে রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে রোহিঙ্গা শিশু অপহরণের পর মুক্তিপণ আদায় ও মানবপাচারকারি চক্রের ৯ সদস্যকে আটক করেছে এপিবিএন।
একই সঙ্গে অপহৃত ৩ রোহিঙ্গা শিশুকেও উদ্ধার করা হয়েছে। আর এখনো নিখোঁজ রয়েছে আরও ৬ শিশু।
এপিবিএন জানিয়েছে, অপহৃতদের উদ্ধার ও চক্রের অন্যান্য সদস্যদের আটকে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
শনিবার (০৮ জুলাই) সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উখিয়াস্থ ৮ এপিবিএনের সহকারি পুলিশ সুপার মো. ফারুক আহমেদ।
উদ্ধার রোহিঙ্গা শিশুরা হলো- ক্যাম্প-১৩ এর ইলিয়াসের ছেলে সৈয়দ নুর (১২), একই ক্যাম্পের সোনা মিয়ার ছেলে মোহাম্মদ হাসান (১৪) ও মো. তাহেরের ছেলে আনিসুর রহমান (১৩)।
আটকরা হলো- নুরুল আমিন (৩২), মো. ফয়সাল (১৮), শফিকুল (১৮), সাইফুল ইসলাম (২২), মিজানুর রহমান (১৮), আব্দুর রহমান (১৭), মোহাম্মদ পারভেজ (১৪)।
আরও পড়ুন: টেকনাফে পাহাড় থেকে অপহরণকারী ও ডাকাতদলের প্রধানসহ গ্রেপ্তার ৬
তারা সবাই টেকনাফের স্থানীয় বাসিন্দা। আর মো. মোবারক (১৭) ও মো. আমিন (১৭)। তারা উখিয়া ক্যাম্পের বাসিন্দা।
আর এখনো হদিস মেলেনি নুর আলম (১৫), সৈয়দুল মোস্তফা (১১), ওসমান (১৩), রিমন (১৫), কামাল মোস্তফা (১৪) ও হারেছ (১২)।
উখিয়াস্থ ৮ এপিবিএনের সহকারি পুলিশ সুপার মো. ফারুক আহমেদ বলেন, গত ২ জুলাই বেলা ১১টার দিকে একটি অপরাধী চক্র টেকনাফে সুপারি পাড়া ও গাড়িতে কাজের প্রলোভন দেখিয়ে ক্যাম্প-১৩ থেকে মোহাম্মদ হাসান (১৪), আনিসুর রহমান (১৩ ও নুর আলম (১৫) কের অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়।
তাদেরকে আটকে রেখে তাদের স্বজনদের কাছে মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করা হয়। এরপর গত ৬ জুলাই বেলা ১২টার দিকে একই অপরাধী চক্র একই কায়দায় ক্যাম্প-১৩ ও আশপাশের এলাকা থেকে সৈয়দ নূর (১২), সৈয়দুল মোস্তফা (১১), ওসমান (১৩), রিমন (১৫), কামাল মোস্তফা (১৪) ও হারেছ (১২) কে অপহরণ করে টেকনাফ নিয়ে যায়।
মো. ফারুক আহমেদ বলেন, অপহরণের বিষয়টি অবগত হওয়ার পর ৮ এপিবিএন বিভিন্ন উৎস ও স্থান গোয়েন্দা তথ্যের মাধ্যমে বের করা হয়।
এরপর শুক্রবার অভিযান চালিয়ে টেকনাফের দক্ষিণ লম্বরি পাড়া দুর্গম স্থানের সুপারি বাগানের ভেতর থেকে অপহৃত রোহিঙ্গা ৩ শিশুকে উদ্ধার করা হয়।
একইসঙ্গে উখিয়ার কুতুপালং এবং টেকনাফ থানাধীন দক্ষিণ লম্বরি এলাকার বিভিন্ন দুর্গম স্থানে অভিযান চালিয়ে এই অপহরণ চক্রের ৯ সদস্যকে আটক করা হয়।
এই ৯ জনের স্থানীয় বাসিন্দা ৭ জন ও রোহিঙ্গা রয়েছে ২ জন।
আরও পড়ুন: অপহরণ করে ঢাকা কলেজের হলে বন্দি, দুই ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তার
জিজ্ঞাসাবাদে প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, এ চক্রের সদস্যরা রোহিঙ্গা ক্যাম্পসহ উখিয়া-টেকনাফের বিভিন্ন এলাকা হতে সুপারির কাজ/অন্য কোন কাজের প্রলোভনে টেকনাফ এলাকায় বিশেষ করে দক্ষিণ লম্বরি এলাকায় সুপারি বাগানের ভিতরে নির্জন স্থানে বিশেষ কৌশলে আটক রাখে। অত:পর ভিকটিমদের চোরাপথে নৌকাযোগে মিয়ানমারের শামিলা এলাকায় পাঠিয়ে আটক রাখে।
তারপর অপহৃতদের স্বজনদের কাছে বড় অঙ্কের টাকা আদায় করে মুক্তি দেয়। অনেক সময় এই অপরাধ প্রক্রিয়ার বিভিন্ন ধাপে হত্যাকাণ্ডের ঘটনাও ঘটে।
আটকদের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ ও আরও তদন্তের মাধ্যমে অপহৃত অন্যান্য ভিকটিমদের উদ্ধারের চেষ্টা অব্যাহত আছে বলেও জানায় এপিবিএন কর্মকর্তা মো. ফারুক আহমেদ।
আরও পড়ুন: রাঙামাটিতে অপহরণের দুইদিন পর ৩ শ্রমিক উদ্ধার
১ বছর আগে
বাংলাদেশে লক্ষাধিক রোহিঙ্গা শিশুকে করোনার টিকা দেয়া হয়েছে
কক্সবাজারের শরণার্থী শিবিরে বসবাস করা এক লাখ ১০ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা শিশু ও কিশোর-কিশোরী করোনার প্রথম ডোজ টিকা পেয়েছে বলে রবিবার জানিয়েছে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা।
ইউএনএইচসিআর, ডব্লিউএইচও, ইউনিসেফ ও অন্যান্য মানবিক অংশীদারের সহায়তায় বাংলাদেশ সরকারের জাতীয় টিকাদান পরিকল্পনার অংশ হিসেবে তাদের টিকা দেয়া হয়েছে।
বাংলাদেশে ইউএনএইচসিআরের প্রতিনিধি জোহানেস ভ্যান ডের ক্লাউ বলেন, ‘বাংলাদেশ বিশ্বের প্রথম দেশগুলোর মধ্যে একটি যেখানে শরণার্থী শিশু ও কিশোর-কিশোরীদের টিকা দেয়া হয়েছে।’
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের খাদ্য সহায়তায় ২৫৫ কোটি টাকা অনুদান দেবে বিশ্বব্যাংক
২ বছর আগে
টিকা নিচ্ছে ভাসানচরের রোহিঙ্গা শিশুরা
ভাসানচরের রোহিঙ্গা শিশুরা নিয়মিত শৈশব টিকাদান কর্মসূচির আওতায় টিকা গ্রহণ করছে।
লাখো শিশু এখনও জীবন রক্ষাকারী টিকা থেকে বঞ্চিত এই বিষয়ে বিশ্বের দৃষ্টি আকর্ষণের লক্ষ্যে বিশ্ব টিকাদান সপ্তাহের ঠিক আগে এই কর্মসূচিটি শুরু হয়েছে। প্রতি বছর এপ্রিলের শেষ সপ্তাহে বিশ্ব টিকাদান সপ্তাহ পালিত হয়।
ভাসানচরে শৈশবকালীন টিকাদানে সহায়তায় ইউনিসেফ বাংলাদেশকে প্রযুক্তিগত ও আর্থিক সহায়তা দিচ্ছে বলে বৃহস্পতিবার জানায় জাতিসংঘের এই সংস্থাটি।
যদিও রোহিঙ্গা শিশুরা চরে আসার পর থেকে দুটি অ্যাডহক প্রচারাভিযানের মাধ্যমে কিছু টিকা পেয়েছে তবে চরে এই সপ্তাহেই প্রথম নিয়মিত শৈশব টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে ২৩ লাখ মানুষ পাবেন ডায়রিয়ার টিকা
ইউনিসেফের দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক জর্জ লারিয়া-আদজেই বলেছেন, ‘আমাদের নষ্ট করার মতো সময় নেই। ভাসানচরে রোহিঙ্গা শরণার্থী শিশুদের শৈশবকালীন টিকাদানের প্রয়োজন রয়েছে নতুবা এর পরিণতি মারাত্মক হতে পারে।’
ইউনিসেফের আঞ্চলিক পরিচালক বলেন, ‘যতই চ্যালেঞ্জিং বা দূরবর্তী হোক না কেন, আমাদের অবশ্যই সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ এবং প্রান্তিক ছেলে-মেয়েদের কাছে পৌঁছানোর যথাসাধ্য চেষ্টা করতে হবে। তারা যেই হোক বা যেখানেই থাকুক।’
আরও পড়ুন: দেশের ৭৫ ভাগ মানুষকে টিকা দেয়া হয়েছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মাতৃ নবজাতক শিশু ও কিশোর স্বাস্থ্য বিভাগের লাইন ডিরেক্টর ডা. মো. শামসুল হক বলেন, ভাসান চরে রুটিন শৈশব টিকাদান কর্মসূচি সরকারের জাতীয় সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচি (ইপিআই) অনুসরণ করে করা হচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে ডিপথেরিয়া, পের্টুসিস, টিটেনাস, হেপাটাইটিস-বি, হিবি, পোলিও, নিউমোনিয়া, যক্ষ্মা, হাম ও রুবেলা প্রতিরোধের টিকা।
ভাসান চরে এখন ১০ হাজারের বেশি শিশু রয়েছে।
ইউনিসেফ, ইউএনএইচসিআর, ডব্লিউএইচও এবং অন্যান্য অংশীদাররা চরের জনগণের স্বাস্থ্য ও অন্যান্য পরিষেবা সরবরাহ করতে সরকারকে সহায়তা করার জন্য একসঙ্গে কাজ করছে।
আরও পড়ুন: করোনার টিকাকরণ ও অর্থনৈতিক বৈষম্য বৃদ্ধির মধ্যে সম্পর্ক রয়েছে: জাতিসংঘ
২ বছর আগে
রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা সম্প্রসারণে বাংলাদেশের সিদ্ধান্তের প্রশংসা জাতিসংঘের
কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শিবিরে বসবাসকারী রোহিঙ্গা শিশু ও কিশোরদের জন্য শিক্ষার সুযোগ সম্প্রসারণ করার বাংলাদেশের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে জাতিসংঘ ও বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন।
৪ বছর আগে