ভাসানচরের রোহিঙ্গা শিশুরা নিয়মিত শৈশব টিকাদান কর্মসূচির আওতায় টিকা গ্রহণ করছে।
লাখো শিশু এখনও জীবন রক্ষাকারী টিকা থেকে বঞ্চিত এই বিষয়ে বিশ্বের দৃষ্টি আকর্ষণের লক্ষ্যে বিশ্ব টিকাদান সপ্তাহের ঠিক আগে এই কর্মসূচিটি শুরু হয়েছে। প্রতি বছর এপ্রিলের শেষ সপ্তাহে বিশ্ব টিকাদান সপ্তাহ পালিত হয়।
ভাসানচরে শৈশবকালীন টিকাদানে সহায়তায় ইউনিসেফ বাংলাদেশকে প্রযুক্তিগত ও আর্থিক সহায়তা দিচ্ছে বলে বৃহস্পতিবার জানায় জাতিসংঘের এই সংস্থাটি।
যদিও রোহিঙ্গা শিশুরা চরে আসার পর থেকে দুটি অ্যাডহক প্রচারাভিযানের মাধ্যমে কিছু টিকা পেয়েছে তবে চরে এই সপ্তাহেই প্রথম নিয়মিত শৈশব টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে ২৩ লাখ মানুষ পাবেন ডায়রিয়ার টিকা
ইউনিসেফের দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক জর্জ লারিয়া-আদজেই বলেছেন, ‘আমাদের নষ্ট করার মতো সময় নেই। ভাসানচরে রোহিঙ্গা শরণার্থী শিশুদের শৈশবকালীন টিকাদানের প্রয়োজন রয়েছে নতুবা এর পরিণতি মারাত্মক হতে পারে।’
ইউনিসেফের আঞ্চলিক পরিচালক বলেন, ‘যতই চ্যালেঞ্জিং বা দূরবর্তী হোক না কেন, আমাদের অবশ্যই সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ এবং প্রান্তিক ছেলে-মেয়েদের কাছে পৌঁছানোর যথাসাধ্য চেষ্টা করতে হবে। তারা যেই হোক বা যেখানেই থাকুক।’
আরও পড়ুন: দেশের ৭৫ ভাগ মানুষকে টিকা দেয়া হয়েছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মাতৃ নবজাতক শিশু ও কিশোর স্বাস্থ্য বিভাগের লাইন ডিরেক্টর ডা. মো. শামসুল হক বলেন, ভাসান চরে রুটিন শৈশব টিকাদান কর্মসূচি সরকারের জাতীয় সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচি (ইপিআই) অনুসরণ করে করা হচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে ডিপথেরিয়া, পের্টুসিস, টিটেনাস, হেপাটাইটিস-বি, হিবি, পোলিও, নিউমোনিয়া, যক্ষ্মা, হাম ও রুবেলা প্রতিরোধের টিকা।
ভাসান চরে এখন ১০ হাজারের বেশি শিশু রয়েছে।
ইউনিসেফ, ইউএনএইচসিআর, ডব্লিউএইচও এবং অন্যান্য অংশীদাররা চরের জনগণের স্বাস্থ্য ও অন্যান্য পরিষেবা সরবরাহ করতে সরকারকে সহায়তা করার জন্য একসঙ্গে কাজ করছে।
আরও পড়ুন: করোনার টিকাকরণ ও অর্থনৈতিক বৈষম্য বৃদ্ধির মধ্যে সম্পর্ক রয়েছে: জাতিসংঘ