বাকৃবি
বন্য খেজুর থেকে ভিনেগার উৎপাদন বাকৃবি গবেষকের
বন্য খেজুর থেকে পরিবেশবান্ধব পদ্ধতিতে ভিনেগার উৎপাদনের দাবি করেছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) ফুড টেকনোলজি ও গ্রামীণ শিল্প বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আনিছুর রহমান মজুমদার ও তার গবেষক দল।
বন্য খেজুর থেকে ভিনেগার তৈরি বাংলাদেশের খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্পের জন্য একটি নতুন দিগন্ত খুলে দিতে পারে বলেও মন্তব্য করেছেন এ অধ্যাপক।
গবেষক আনিছুর রহমান বলেন, ‘বন্য খেজুর থেকে ভিনেগার উৎপাদনে প্রক্রিয়াকরণের জন্য গাজন প্রক্রিয়াটি পরিবেশবান্ধব। স্থানীয় কৃষি সম্পদ কাজে লাগিয়ে এবং অপচয় কমিয়ে এই পদ্ধতি খাদ্য উৎপাদনের কার্বন ফুটপ্রিন্ট কমাতেও সহায়ক হতে পারে। গবেষণাটি বাংলাদেশের বৃহত্তর টেকসই উন্নয়ন এবং খাদ্য নিরাপত্তার লক্ষ্যগুলোর সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ।’
উৎপাদিত ভিনেগারটির দেশের বাজারে প্রভাব সম্পর্কে অধ্যাপক আনিছুর রহমান বলেন, ‘বাংলাদেশের খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্পে এই গবেষণার ইতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। ভিনেগার উৎপাদন কেবল খাদ্য ও পানীয় হিসেবে ব্যবহারের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয় বরং এটি প্যাকেজিং, কসমেটিক ও ফার্মাসিউটিক্যাল শিল্পেও ব্যবহৃত হতে পারে। বিশেষ করে স্বাস্থ্য সচেতন মানুষদের কাছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও পুষ্টিকর ভিনেগারের চাহিদা বাড়ছে যা বাজারে এর গ্রহণযোগ্যতা বাড়াবে।’
বাংলাদেশে বিগত কয়েক বছরে খাদ্য নিরাপত্তা এবং অর্থনৈতিক উন্নয়ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য স্থানীয় কৃষি সম্পদের টেকসই ব্যবহারের ওপর বাড়তি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে অধ্যাপক আনিছুর বলেন, ‘বাংলাদেশে বন্য খেজুর ইদানিং ব্যাপকভাবে পাওয়া যাচ্ছে। এটি বেশ সস্তা এবং স্থানীয়ভাবে সহজলভ্য। এই খেজুর গাছ সাধারণত গ্রামীণ এলাকায় এবং রাস্তার পাশের জমিতে পাওয়া যায়। তবে নানা পুষ্টি উপাদানে সমৃদ্ধ হওয়ার পরেও এই বন্য খেজুর দেশের প্রেক্ষাপটে অনেকটাই অব্যবহৃত একটি সম্পদ।’
গবেষণা পদ্ধতি সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে অধ্যাপক আনিছুর বলেন, ‘বন্য খেজুরের রস ফারমেন্টেশন প্রক্রিয়া মাধ্যমে ভিনেগারে পরিণত করা হয়েছে। এ গবেষণায় একধরনের ইস্ট ব্যবহার করে ওই রসে অ্যালকোহল তৈরি করা হয় এবং পরে অ্যাসিটোব্যাক্টর প্রজাতির ব্যাকটেরিয়া দিয়ে অ্যালকোহলকে অ্যাসিটিক অ্যাসিডে রূপান্তর করা হয়।’
গবেষক আরও জানান, গবেষণায় দেখা গেছে যে রসের ঘনত্ব যত বেশি হয় তত বেশি অ্যালকোহল এবং অ্যাসিডিটি বৃদ্ধি পায়। বেশি ঘনত্বের রসটি সবচেয়ে ভালো পুষ্টিগুণ, অ্যাসিডিটি ও ম্যাক্রো মিনারেলস (পটাসিয়াম, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, ম্যাগনেসিয়াম, সোডিয়াম) সমৃদ্ধ হয়। তাই এটি স্বাস্থ্য সচেতন ভোক্তাদের জন্য একটি আকর্ষণীয় পণ্যও বটে।’
গবেষণাটি বিশ্ববিখ্যাত প্রকাশনা এলসভিয়ার (Elsevier) এর নামকরা সাময়িকী ‘অ্যাপ্লাইড ফুড রিসার্চ’ এ সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে বলে জানা যায়।
ভিনেগার তৈরির এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কর্মসংস্থান ও মাঠ পর্যায়ে সফলতা সম্পর্কে অধ্যাপক বলেন, ‘এই গবেষণা স্থানীয় কৃষকদের জন্য একটি নতুন আয় সৃষ্টির পথ খুলতে পারে। একদিকে খেজুর থেকে তৈরি ভিনেগারের উচ্চ মান এবং পুষ্টিগুণ সমপন্ন হওয়ায় বিশ্ব বাজারে বাংলাদেশের স্থানীয় কৃষিপণ্যের চাহিদা বাড়াতে সাহায্য করবে।’
অধ্যাপক আনিছুর রহমানের নেতৃত্বে বাকৃবি, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (সিকৃবি) ও ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (ডুয়েট) আরও ছয় জন গবেষক এই প্রকল্পে যুক্ত ছিলেন। বাকৃবি থেকে গবেষক দলে রয়েছেন- ফুড টেকনোলজি ও গ্রামীণ শিল্প বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল আলিম ও একই বিভাগের অধ্যাপক ড. পলি কর্মকার এবং ওই বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর সম্পন্নকারী শিক্ষার্থী উম্মে হাবিবা ও আ ন ম ইফতেখার আলম। এছাড়া সিকৃবির খাদ্য প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. ফাহাদ জুবায়ের এবং ডুয়েটের ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক লোপা আনসারী গবেষক দলে যুক্ত ছিলেন।
২ সপ্তাহ আগে
বাকৃবিতে কৃষকদের বিনামূল্যে টমেটোর চারা ও গাজরের বীজ বিতরণ
বাকৃবিতে ৩৫ জন কৃষককে দেশি ও বিদেশি জাতের টমেটোর ৩ হাজার চারা ও জনপ্রতি ১০০ গ্রাম গাজরের বীজ বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়েছে।
রবিবার (২৭ অক্টোবর) বাকৃবির উদ্যানতত্ত্ব খামারে বাকৃবি এবং স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের উদ্যোগে বীজ ও চারা বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়।
যুক্তরাষ্ট্র, তুরস্ক, যুক্তরাজ্য, ইন্ডিয়ান ও দেশি জাতসহ মোট ৪০টি জাতের গাজরের জার্মপ্লাজমের বীজ বিতরণ করা হয়েছে। বীজগুলো থেকে প্রচলিত রঙের বাইরে লাল, বেগুনি, হলুদ ও সাদা গাজর পাওয়া যাবে।
এছাড়া যুক্তরাজ্য, ভারতীয়, ইতালীয়, দেশি ও বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রায় ২০ জাতের টমেটোর জার্মপ্লাজমের চারা বিতরণ করা হয়। এতে করে লাল ও কালো রঙয়ের টমেটো পাওয়া যাবে।
এছাড়া উপস্থিত কৃষকদের বিতরণ করা বীজ ও চারা থেকে গাজর ও টমেটো উৎপাদন পদ্ধতি ও পুষ্টিগুণ সম্পর্কে প্রশিক্ষণেরও ব্যবস্থা করা হয়।
আরও পড়ুন: ভর্তি পরীক্ষার্থীদের জন্য বাস সার্ভিস চালু বাকৃবি প্রশাসনের
এসময় গাজর ও টমেটো গবেষণার প্রজেক্ট ইনভেস্টিগেটর ও বাকৃবির উদ্যানতত্ত্ব বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. মো. হারুন অর রশিদ ইউএনবিকে বলেন, ‘প্রতিকূল পরিবেশ, বিশেষ করে খরা বর্তমানে বাংলাদেশের একটি উদীয়মান হুমকি। যা গাজর ও টমেটোর উৎপাদনশীলতাকে উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস করে। বর্তমান বাজারে গাজর ও টমেটোর চাহিদা বৃদ্ধির তুলনায় কম প্রাপ্যতার কারণে দৈনন্দিন খাবারের পুষ্টিমানে ভিটামিন এ ও ভিটামিন সি’র ঘাটতি থেকে যায়। সুতরাং, বাংলাদেশে খাদ্য নিরাপত্তা বৃদ্ধির জন্য প্রতিকূল পরিবেশে পুষ্টিসমৃদ্ধ রঙিন গাজর ও টমেটোর উন্নয়ন ও প্রসারণই এই প্রকল্পের সামগ্রিক লক্ষ্য।’
তিনি আরও বলেন, প্রায় সাড়ে ৩ কেজি গাজরের বীজ দেওয়া হয়েছে যার আনুমানিক বাজারমূল্য প্রায় ৫০ হাজার টাকা। তবে কৃষকদের দেওয়া বীজ থেকেই তারা পরবর্তীতে আবারও বীজ উৎপাদন করতে পারবে।
তিনি বলেন, এটি তাদের অর্থনৈতিক লাভ নিশ্চিত করবে। কৃষকদের বর্তমান পুষ্টিগত তথ্য আমরা সংগ্রহ করেছি। যাতে ফসল উৎপাদনের পর সেটি গ্রহণে তাদের শরীরের পুষ্টিগত পার্থক্যও পরিমাপ করা যায়।
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় রিসার্চ সেন্টারের পরিচালক অধ্যাপক ড. এম হাম্মাদুর রহমানের সভাপতিত্বে ওই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাকৃবির ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল হক।
এসময় তিনি বলেন, এই দুটি রঙিন সবজির বাজার মূল্য ও চাহিদা অত্যন্ত বেশি। এদের চমৎকার পুস্টিগুণ। কৃষকদের এই সবজি দুইটি থেকে আর্থিক ভাবে লাভবান হওয়ার সম্ভাবনাও বেশি রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ভবিষ্যতে এমন কার্যক্রম আরও বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে ব্যাংকিং চ্যানেলগুলোকে আরও অধিকতর সহায়তায় এগিয়ে আসতে হবে।
শেষ মোড় এলাকার কৃষক আব্দুল কাদের জিলানী বলেন, বিনামূল্যে উন্নত জাতের গাজর ও টমেটোর বীজ ও চারা পেয়ে ভালো লাগছে। স্যারেরা চাষাবাদ সম্পর্কেও বিস্তারিতভাবে বুঝিয়ে দিয়েছেন। আশা করি বিভিন্ন রঙয়ের ফলন পেলে বাজারে বিক্রি করে বাড়তি আয় করতে পারব।
সুপারিবাগান এলাকার কৃষাণী ছালমা আক্তার বলেন, গাজর যে এত রঙয়ের হয় সেটি জানা ছিলো না। প্রশিক্ষণে বিভিন্ন রঙয়ের গাজরের ও টমেটোর নানান ধরনের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে ধারণা পেয়েছি। আমি নিজে এগুলোর চাষাবাদ করব ও পাশাপাশি অন্যদেরকে উৎসাহিত করব।
বিশেষ হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো গোলাম রাব্বানী। এছাড়াও বাকৃবির স্মার্ট এগ্রিকালচারের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো সহিদুজ্জামান এবং স্ট্যান্ডার্ড চ্যাটার্ড ব্যাংকের সহকারী পরিচালক দেবাশীষ ভট্টাচার্যসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।
আরও পড়ুন: গবাদিপশুর ব্রুসেলোসিস রোগের ভ্যাকসিন উদ্ভাবনের দাবি বাকৃবির গবেষক দলের
১ মাস আগে
বাকৃবি ও ম্যাভেরিক ইনোভেশনের সমঝোতা স্মারক সই
বাকৃবির সঙ্গে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান ম্যাভেরিক ইনোভেশনের শিক্ষা ও গবেষণায় সহযোগিতামূলক সম্পর্ক তৈরিতে সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে।
পোল্ট্রি বিজ্ঞান বিভাগের আয়োজনে বাকৃবির পশুপালন অনুষদের ডিন অফিসের সম্মেলন কক্ষে সোমবার (৭ অক্টোবর) ওই সমঝোতা স্মারক সই হয়।
আরও পড়ুন: পবিপ্রবির নতুন উপাচার্য বাকৃবির অধ্যাপক ড. কাজী রফিকুল ইসলাম
বাকৃবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া বলেন, ম্যাভেরিক ইনোভেশনের দেখাদেখি অন্যান্য প্রতিষ্ঠান এগিয়ে আসলে কৃষক বা খামারিরাই লাভবান হবে। তার উৎপাদিত পণ্যের সঠিক মূল্য পাবে।
উপাচার্য বলেন, বাকৃবির গবেষণাগারে বিজ্ঞানীদের উদ্ভাবিত ফলাফল মাঠ পর্যায়ে প্রয়োগ করতে না পারলে দেশের কোনো লাভ হবে না। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জনগণের টাকায় পড়াশোনা করছে।
উপাচার্য আরও বলেন, এই টাকার সঠিক মূল্যায়ন তখনই হবে যখন শিক্ষার্থীরা তাদের অর্জিত জ্ঞানকে মাঠ পর্যায়ে প্রয়োগের মাধ্যমে দেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে। একটি প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে তারা খুব সহজেই ওই সুযোগটি পেতে পারে।
ইউজিসির অধ্যাপক ড. সচ্ছিদান্দন দাস চৌধুরী বলেন, দেশের জন্য পশুপালন অনুষদের পোল্ট্রি বিজ্ঞান বিভাগ খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মূল কাজ শিক্ষার্থীদের শিক্ষাদান করা ও গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করা। সম্পূর্ণ গবেষণাভিত্তিক প্রতিষ্ঠান না হয়েও বাকৃবির গবেষকরা দেশের কল্যাণে অভূতপূর্ব অবদান রেখেছে।
তিনি আরও বলেন, বাকৃবি ও ম্যাভেরিক ইনোভেশনের সমঝোতা স্মারক সইয়ের মাধ্যমে দেশই প্রকৃতপক্ষে উপকৃত হবে। কারণ একত্রিত হয়ে কাজ করায় গবেষণার মান বৃদ্ধি পাবে, আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলেও সমাদৃত হবে।
তবে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে প্রাণীর উৎপাদনমুখী গবেষণাকে এগিয়ে রাখার কথাও জানান অধ্যাপক ড. সচ্ছিদান্দন দাস।
ম্যাভেরিক ইনোভেশনের ড. কবির চৌধুরী বলেন, একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণাখাতে সামর্থ্য অনেক বেশি। তবে নলেজ শেয়ারিং, যৌথভাবে কাজ করলে আরও অনেক বেশি কিছু অর্জন সম্ভব।
আরও পড়ুন: ওয়েবমেট্রিক্স র্যাংকিংয়ে দেশের সেরা বাকৃবি
২ মাস আগে
ওয়েবমেট্রিক্স র্যাংকিংয়ে দেশের সেরা বাকৃবি
স্পেনের মাদ্রিদভিত্তিক শিক্ষা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান ওয়েবমেট্রিক্স বিশ্বের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর র্যাংকিয়ের তালিকা প্রকাশ করেছে। প্রকাশিত তালিকায় বিশ্বের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর র্যাংকিয়ের তালিকায় স্থান পেয়েছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি)। ওয়েবমেট্রিক্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী দেশের কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম স্থান অর্জন করেছে বাকৃবি।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ৩১ হাজার ৫টি উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নিয়ে গত রবিবার (২২ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয় র্যাংকিং-২০২৪ এর দ্বিতীয় সংস্করণের (জুলাই) প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।
এছাড়া বাংলাদেশের সেরা ১৭০ পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে বাকৃবির অবস্থান নবম এবং আন্তর্জাতিক র্যাংকিংয়ে ২ হাজার ৩২৩তম হিসেবে স্থান করেছে বলে প্রতিবেদন অনুযায়ী জানা যায়।
আরও পড়ুন: বাকৃবির নতুন উপাচার্য ড. ফজলুল হক ভূঁইয়া
দেশের কৃষি বিষয়ক ডিগ্রি প্রদানকারী অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে- পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় দ্বিতীয়, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় তৃতীয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় চতুর্থ, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় পঞ্চম, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় ষষ্ঠ, খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় সপ্তম ও হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় অষ্টম স্থান অর্জন করেছে।
র্যাংকিংয়ে স্থানপ্রাপ্ত বাংলাদেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে এই কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অবস্থান যথাক্রমে ২৪তম, ২৫তম, ৩২তম, ৩৩তম, ৪৪তম, ৯১তম ও ৯৩তম।
প্রতিবেদন অনুযায়ী জানা যায়, আন্তর্জাতিক র্যাংকিংয়ে ১ হাজার ১৪৪তম স্থান অর্জনকারী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দেশের ১৭০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে প্রথম স্থান অর্জন করেছে। আন্তর্জাতিক র্যাংকিংয়ে অবস্থান ১ হাজার ২৮৩তম স্থান পেয়ে দেশের মধ্যে দ্বিতীয় হয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়। দেশের মধ্যে তৃতীয় হয়েছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় যার আন্তর্জাতিক র্যাংকিংয়ে অবস্থান ১ হাজার ৪১৬।
এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারাসাইটোলজি বিভাগের অধ্যাপক ও বাকৃবির প্রক্টর ড. মো. আবদুল আলীম ইউএনবিকে বলেন, বাকৃবি দেশের কৃষি শিক্ষার প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ। প্রতিটি অনুষদের প্রায় সব শিক্ষকই কোনো না কোনো গবেষণার সঙ্গে জড়িত। এমনকি আমাদের গবেষণার মান বহির্বিশ্বে ব্যাপকভাবে প্রশংসিত। বাকৃবির বাউরেস এক্ষেত্রে প্রশংসার দাবিদার। দেশের খাদ্য নিরাপত্তা অক্ষুণ্ণ রাখতে বাকৃবির অবদান অপরিসীম। সামনের দিনগুলোতেও বাকৃবি পূর্বের ন্যায় অবদান রাখবে।
প্রসঙ্গত, ওয়েবমেট্রিক্স র্যাংকিংয়ের প্রতি বছর দুইটি এডিশন প্রকাশিত হয়। ওয়েবমেট্রিক্স র্যাংকিং একটি বৈশ্বিক বিশ্ববিদ্যালয় র্যাংকিং সিস্টেম যা র্যাংকিং তৈরিতে প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিখন পদ্ধতি, বৈজ্ঞানিক গবেষণার প্রভাব, নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও সম্প্রসারণ, অর্থনৈতিক প্রাসঙ্গিকতা, সাম্প্রদায়িক সন্নিবেশ অর্থাৎ সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পরিবেশগত ভূমিকা বিবেচনা করে।
আরও পড়ুন: মাঙ্কিপক্স নিয়ে বাকৃবির অণুজীববিজ্ঞানী ড. বাহানুর রহমানের মতামত
২ মাস আগে
বাকৃবির নতুন উপাচার্য ড. ফজলুল হক ভূঁইয়া
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) ২৬তম উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া।
বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সরকারি সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার উপসচিব মো. শাহীনুর ইসলামের সই করা এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানা যায়।
আরও পড়ুন: মাঙ্কিপক্স নিয়ে বাকৃবির অণুজীববিজ্ঞানী ড. বাহানুর রহমানের মতামত
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, উপাচার্য হিসেবে তার নিয়োগের মেয়াদ যোগদানের তারিখ থেকে চার বছর হবে। তিনি তার বর্তমান পদের সমপরিমাণ বেতন ভাতাদি পাবেন।
তিনি বিধি অনুযায়ী সুবিধা ভোগ করবেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে সার্বক্ষণিকভাবে ক্যাম্পাসে অবস্থান করবেন।
রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলর প্রয়োজনে এ নিয়োগ বাতিল করতে পারবেন।
পশু প্রজনন ও কৌলিবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূইয়া পশুপালন অনুষদের সাবেক ডিন, বাকৃবির ডিন কাউন্সিলের আহ্বায়ক, এগ্রিকালচারিস্ট অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (এ্যাব) বাকৃবি শাখার সভাপতি, বাকৃবির জাতীয়তাবাদ ও ধর্মীয় মূল্যবোধে বিশ্বাসী শিক্ষকদের সংগঠন সোনালি দলের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়াও তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন বর্ষে শিক্ষক সমিতিতে নির্বাচিত প্রতিনিধি ছিলেন।
আরও পড়ুন: বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের বিনামূল্যে ধানের চারা দেবে বাকৃবি
গবাদিপশুর জন্য ত্রাণ নিয়ে বন্যাদুর্গত এলাকায় বাকৃবি শিক্ষার্থীরা
৩ মাস আগে
বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের বিনামূল্যে ধানের চারা দেবে বাকৃবি
বন্যা পরবর্তী খাদ্য সংকট মোকাবিলা ও ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে নাবী আমন ধানের চারা বিতরণের উদ্যোগে ‘লেইট আমন’ প্রকল্প হাতে নিয়েছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
এরই মধ্যে বাকৃবিতে দুই দিনে আড়াই একর জমিতে ৮০০ কেজি বীজ বপন করা হয়েছে। সর্বনিম্ন ৭৬০ বিঘা জমির জন্য চারা তৈরি করছেন।
রবিবার (১ সেপ্টেম্বর) বীজ বপনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষিতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক মো. মশিউর রহমান।
তিনি বলেন, গত ২৯ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষিতত্ত্ব বিভাগের গবেষণা মাঠের এক একর জমিতে ও ৩১ আগস্ট খামার ব্যবস্থাপনা শাখার দেড় একর জমিতে ধানের বীজ বপন করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বন্যায় নষ্ট হয়েছে রোপা আমন ধানের চারা ও বীজতলা। বন্যার পানি নেমে গেলেও চারা তৈরি করতে অন্তত এক মাসের মতো সময় লাগবে। এতে আমন ধান লাগানোর সময় পার হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। আবার তৈরি করতে না পারলে দেশে খাদ্য সংকট দেখা দেবে। দেশের খাদ্য সংকটের কথা মাথায় রেখে আমাদের শিক্ষার্থীরা ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের ধানের চারা দিয়ে সহায়তা করার উদ্যোগ নিয়েছে।
আরও পড়ুন: বাকৃবির সব শিক্ষা কার্যক্রম শুরু ১ সেপ্টেম্বর
তিনি যোগ করেন, চারার দেওয়ার পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের কৃষি উপকরণ, সার, কীটনাশক বিতরণ করার পরিকল্পনা রয়েছে। বন্যাকবলিত এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের তালিকা আমরা তৈরি করছি। তালিকা অনুযায়ী তাদের সাহায্য করা হবে। এছাড়া পরবর্তীতে কৃষকদের মাঝে শাক-সবজির বীজ বিতরণের পরিকল্পনাও রয়েছে।
শিক্ষার্থীদের এ উদ্যোগকে সফল করতে বাকৃবি এবং নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (নোবিপ্রবি), শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (শেকৃবি), সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিকৃবি) গবেষক, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, বীজ কোম্পানি ও কৃষি উদ্যোক্তারা একত্র হয়ে ‘অ্যাগ্রি স্টুডেন্টস অ্যালায়েন্স বিডি’ গড়ে তোলা হয়েছে বলে জানা যায়।
লেট আমন প্রকল্পে বাকৃবিতে ৫ একর, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে এক একর, চট্টগ্রামের হাট হাজারীতে ৪ একর ও লক্ষীপুরে ২ একরসহ মোট ১২ একর জমিতে বীজ বপন করে এক হাজার কৃষককে বিনামূল্যে চারা বিতরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ১২ একর জমিতে উৎপাদিত চারা দিয়ে সর্বনিম্ন ৭৬০ বিঘা জমিতে ধান চাষ করা যাবে।
১৮ থেকে ২০ দিন পর ধানের চারা গজাবে বলে আশাবাদী শিক্ষার্থীরা।
এরপর শিক্ষার্থীরা বন্যাকবলিত এলাকার কৃষকদের কাছে বিনামূল্যে সেইসব চারা পৌঁছে দেবেন।
এগ্রি স্টুডেন্টস অ্যালায়েন্স বিডি সংগঠনটির সূত্রে জানা যায়, বায়ার বাংলাদেশ ২ লাখ ৬৫ হাজার টাকা সমমূল্যের ৫০০ কেজি ধানী গোল্ড হাইব্রিড জাতের বীজ ও বাকৃবির ৯৬-৯৭ সেশনের শিক্ষার্থীদের সংগঠন কৃষিবিদ ফাউন্ডেশন ফর হিউম্যানিটির পক্ষ থেকে লেট আমন প্রকল্পে ২ লাখ টাকা আর্থিক সহযোগিতা দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: গবাদিপশুর জন্য ত্রাণ নিয়ে বন্যাদুর্গত এলাকায় বাকৃবি শিক্ষার্থীরা
এছাড়া প্রকল্প সফল করতে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের (বিএডিসি) ময়মনসিংহ শাখা এক টন, বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিনা) চাঁপাইনবাবাগঞ্জ শাখা থেকে ১৫০ কেজি বীজ সংগ্রহ করা হয়েছে বলে জানা যায়।
শিক্ষার্থী বকুল আলী বলেন, কৃষির সঙ্গে, বাকৃবির ৫ একর, নোবিপ্রবিতে এক একর, চট্টগ্রামের হাটহাজারিতে ৪ একর ও লক্ষীপুরে ২ একরসহ মোট ১২ একর জমিতে নাবি আমন ধানের চারা উৎপাদনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছি আমরা। উৎপাদিত চারাগুলো বন্যাকবলিত কৃষকদের বিতরণ করব। যারা আমাদের অর্থনৈতিকভাবে ও শ্রম দিয়ে সাহায্য করেছেন তাদের এগ্রি স্টুডেন্টস অ্যালায়েন্স বিডির পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানাই।
প্রকল্পে কাজ করা আরেক শিক্ষার্থী জান্নাতুল ইসলাম জ্যোতি বলেন, একজন কৃষিবিদের প্রধান দায়িত্ব বাংলাদেশের খাদ্য নিরাপত্তায় অবদান রাখা ও কৃষকদের পাশে থাকা। যেহেতু আমন মৌসুমের বীজ বপনের সময় প্রায় শেষের দিকে এবং বন্যাকবলিত এলাকাসমূহে এই মুহূর্তে বীজ বপন সম্ভব নয়। এজন্যই লেইট আমন প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে যা বাংলাদেশের খাদ্য নিরাপত্তা ও পাশাপাশি কৃষকের জীবনমান উন্নয়নে অবদান রাখবে। আমি একজন ভবিষ্যৎ কৃষিবিদ হিসেবে আমার দায়িত্ববোধ ও মানবিকতা থেকে সহায়সম্বলহীন কৃষকের পাশে দাড়াতেই এই প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত হয়েছি।
নেত্রকোনার মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউট প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মুখলেছুর রহমান বলেন, ফেনী, নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুরে আমরা চারাগুলো বিতরণ করব। আশা করছি আমরা প্রায় এক হাজার কৃষককে চারা বিতরণের মাধ্যমে সহায়তা করতে পারব। প্রতি কৃষককে আমরা প্রায় এক বিঘা জমিতে চাষাবাদ করার জন্য চারা বিতরণ করব।
মুখলেছুর রহমান আরও বলেন, বাকৃবির শিক্ষক ও গবেষক এবং বিভিন্ন রিসার্চ ইনস্টিটিউটের গবেষকরা বিনা ১৭ এবং হাইব্রিড জাত ধানী গোল্ডের চারা তৈরি করে কৃষকদের মাঝে বিতরণ করার পরামর্শ দিয়েছেন্। কৃষকরা এই বীজের চারাগুলো বপন করলে শতভাগ ফলন না পেলেও ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ ফলন পাবে বলে আমরা আশাবাদী। যেমন বিনা ১৭ জাতটি মাত্র ১২০ দিনের মধ্যে ফলন দেয় এবং এটি গ্রীষ্ম, বর্ষা, শীতকাল যেকোনো সময় ফলন দিতে পারে।
আরও পড়ুন: প্রথম নারী পরিচালক পেল বাকৃবির আইকিউএসি
৩ মাস আগে
গবাদিপশুর জন্য ত্রাণ নিয়ে বন্যাদুর্গত এলাকায় বাকৃবি শিক্ষার্থীরা
বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া দুই জেলা ফেনী ও মৌলভীবাজারে গবাদিপশুর জন্য ত্রাণ হিসেবে প্রায় ৬ টন পশুখাদ্য, চিকিৎসা ও প্রয়োজনীয় ওষুধের ব্যবস্থা করেছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) ভেটেরিনারি অনুষদ ও পশুপালন অনুষদের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
শনিবার (৩১ আগস্ট) বাকৃবির ভেটেরিনারি অনুষদের শিক্ষার্থী ও গবাদিপশুর ত্রাণবিষয়ক সমন্বয়ক রাকিব রনি বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এসময় রাকিব রনি বলেন, আমরা মোট ৬ টন পশুখাদ্য সংগ্রহ করছি। এর মধ্যে শিক্ষার্থীদের একটি দল শুক্রবার (৩০ আগস্ট) আড়াই টন পশুখাদ্য নিয়ে মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় গিয়েছে। এছাড়া গত ২৮ আগস্ট শিক্ষার্থীদের আরেকটি দল ৩ টন পশুখাদ্য নিয়ে ফেনীর ফুলগাজী, পরশুরাম, ছাগলনাইয়ায় গিয়েছে। এছাড়া বাকি আধা টন পশুখাদ্য দেশের অন্যান্য বন্যাকবলিত অঞ্চলে দেওয়া হবে।
গবাদিপশুর ত্রাণবিষয়ক সমন্বয়ক আরও বলেন, বাকৃবির শিক্ষার্থী হিসেবে শুধু মানুষ নয়, আমরা প্রাণীদের পাশেও দাঁড়াব। সেক্ষেত্রে আমরা একটি ব্যতিক্রমধর্মী আয়োজন করেছি।
আরও পড়ুন: দিনব্যাপী আয়োজনে বাকৃবির ৬৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত
জরুরি ভিত্তিতে বন্যাকবলিত এলাকায় ৪টি সেবা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা
১. অসুস্থ প্রাণীগুলোকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া।
২. যেসব প্রাণীর ডায়রিয়া, ইলেক্ট্রোলাইটের ঘাটতি, পুষ্টি সমস্যা তাদের রুচিবর্ধক এবং ভিটামিন ও মিনারেল সাপ্লাই দেওয়া।
৩. পশুখাদ্য সরবরাহ করা।
৪. পরে খামারিদের কোনো সমস্যা হলে টেলিমেডিসিন সেবা দেওয়া।
ত্রাণ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো সম্পর্কে জানা যায়, সংগৃহীত পশুখাদ্যের সবচেয়ে বড় যোগানদাতা সিপি বাংলাদেশ।
ইনোভা, মিনার এগ্রো ও লোকাল কিছু পেট কোম্পানি পশুখাদ্য পাঠিয়েছে। স্কয়ার, একমি, এসিআই, এসকেএফ ও বায়োল্যাব ওষুধের যোগান দিয়েছে।
টেলিমেডিসিন সেবা সম্পর্কে ভেটেরিনারি অনুষদের শিক্ষার্থী মাশশারাত মালিহা বলেন, খামারিদের ভেটেরিনারিয়ানদের নাম্বার দেওয়া হয়েছে। পরবর্তীতে গবাদি পশুগুলো যদি কোনো সমস্যার সম্মুখীন হয় তবে ফোনে যোগাযোগের মাধ্যমে খামারিরা আমাদের কাছ থেকে পরামর্শ নিতে পারবে।
ভেটেরিনারি অনুষদের মাইক্রোবায়োলজি এন্ড হাইজিন বিভাগের অধ্যাপক ড. মাহবুবুল প্রতীক সিদ্দিক বলেন, দেশের বেশ কয়েকটি জেলা বন্যাকবলিত। সেখানে মানুষের পাশাপাশি গবাদিপশুগুলোও দুর্বিষহ জীবন যাপন করছে। প্রচুর পোলট্রি ফার্ম, এ্যানিমেল ফার্ম ধ্বংস হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হিসেবে তারা সমাজের সেবা করার সুযোগ পেয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকেও সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
ফেনীতে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ফেনীর ৩টি বন্যা দুর্গত এলাকা ফুলগাজী, পশুরাম ও ছাগলনাইয়া উপজেলাযর প্রায় ৯০০ খামারিদের মাঝে পশুখাদ্য, ওষুধ ও কয়েকটি খামার পরিদর্শন ও বিভিন্ন টেকনিকেল পরামর্শ দেওয় হয়েছে।
আরও পড়ুন: প্রথম নারী পরিচালক পেল বাকৃবির আইকিউএসি
উক্ত এলাকাগুলোর বেশিরভাগ জায়গায় মানুষের খাদ্যের অপর্যাপ্ত না হলেও, পশুখাদ্যের অপর্যাপ্ততার বিষয়টি নিশ্চিত করেন উপস্থিত খামারিরা ও ফেনীর জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর।
ফেনী জেলার প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. মোজাম্মেল হক ইউএনবিকে বলেন, বাকৃবির শিক্ষার্থীরা ফেনী জেলার বন্যাদুর্গত ৩টি উপজেলায় প্রাণীদের পশুখাদ্য, চিকিৎসা ও ওষুধ সেবা প্রদান করেছে। শিক্ষার্থীদের এই কার্যক্রমে ওই এলাকার খামারিরা ব্যাপকভাবে উপকৃত হয়েছে।
৩ মাস আগে
প্রথম নারী পরিচালক পেল বাকৃবির আইকিউএসি
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স সেলের (আইকিউএসি) প্রথম নারী পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন অধ্যাপক ড. মাছুমা হাবিব।
আরও পড়ুন: বাকৃবির সব শিক্ষা কার্যক্রম শুরু ১ সেপ্টেম্বর
বুধবার (২৮ আগস্ট) দুপুর ১২টায় আইকিউএসির সম্মেলনকক্ষে এ সংক্রান্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। পরে বাকৃবির ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. মো. হেলাল উদ্দীনের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
এছাড়া অতিরিক্ত পরিচালক হিসেবে ফিশারিজ টেকনোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো শাহেদ রেজা ও এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স বিভাগের অধ্যাপক ড. মুরাদ আহমেদ ফারুখকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাকৃবিতে রাজনীতি নিষিদ্ধসহ শিক্ষার্থীদের ৭ দফা দাবি
৩ মাস আগে
বাকৃবির সব শিক্ষা কার্যক্রম শুরু ১ সেপ্টেম্বর
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রম চালু হবে আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে।
বুধবার (২৮ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের জরুরি অধিবেশনে এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
আরও পড়ুন: বাকৃবিতে রাজনীতি নিষিদ্ধসহ শিক্ষার্থীদের ৭ দফা দাবি
বাকৃবির ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. মো. হেলাল উদ্দীনের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানা যায়।
সিন্ডিকেট সভায় আরও সিদ্ধান্ত হয়-
১. বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলসমূহ ও পিএইচডি ডরমেটরি আগামী শনিবার (৩১ আগস্ট) খুলে দেওয়া হবে।
২. পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শিক্ষা ও গবেষণার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখার স্বার্থে সব ধরনের সভা-সমাবেশ, মিছিল-মিটিং বন্ধ থাকবে।
৩. বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল সমূহের শান্তি ও শৃঙ্খলা বজায় রাখার স্বার্থে ছাত্র-ছাত্রীদের হল প্রশাসন কর্তৃক প্রণীত নীতিমালা যথাযথভাবে মেনে চলতে হবে।
৪. অনুষদের শিক্ষা ও গবেষণার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখার স্বার্থে ছাত্র-ছাত্রীদের ডিন কাউন্সিল প্রণীত সমন্বিত নীতিমালা মেনে চলতে হবে।
আরও পড়ুন: দিনব্যাপী আয়োজনে বাকৃবির ৬৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত
৩ মাস আগে
দিনব্যাপী আয়োজনে বাকৃবির ৬৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত
দেশের কৃষি শিক্ষার সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ ময়মনসিংহের বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) ৬৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ। ১৯৬১ সালে প্রতিষ্ঠিত এই বিশ্ববিদ্যালয়টির ৬৪ বছরে পদার্পণ উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছে কর্তৃপক্ষ।
রবিবার (১৮ আগস্ট) সকাল ৫টা ৩৪ মিনিটে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচির শুরু করে বাকৃবির শিক্ষক সমিতি।
বেলা ১১টায় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়।
এরপর বৃক্ষরোপণ, ব্রহ্মপুত্র নদে মাছের পোনা অবমুক্তকরণ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নতি কামনা করে বাকৃবির সব উপাসনালয়ে প্রার্থনার আয়োজন করা হয়।
আরও পড়ুন: বাকৃবিতে রাজনীতি নিষিদ্ধসহ শিক্ষার্থীদের ৭ দফা দাবি
এসময় ছিলেন- বাকৃবির ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. খন্দকার মো. মুস্তাফিজুর রহমান, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলাম সরদার, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. আসাদুজ্জামান সরকার ও বিভিন্ন অনুষদের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুলের শিক্ষার্থীরা।
অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলাম সরদার বলেন, খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ দেশ গড়ার পেছনে বাকৃবি গ্র্যাজুয়েটদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। সামনের দিনগুলোতে এই অর্জনগুলো ধরে রাখতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আমরা চাই বিশ্ববিদ্যালয়কে নোংরা রাজনীতি মুক্ত রাখতে।
উল্লেখ্য, বর্তমানে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬টি অনুষদ ও ৪৪টি বিভাগে প্রায় ৮ হাজার শিক্ষার্থী স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে অধ্যয়নরত।
দেশের সর্বোচ্চ এই কৃষি বিদ্যাপীঠের বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থী এবং গবেষকরা উচ্চ ফলনশীল বিভিন্ন ফসল এবং আধুনিক ও লাভজনক চাষাবাদ পদ্ধতি উদ্ভাবনের মাধ্যমে দেশের কৃষিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছে।
বিভিন্ন আধুনিক কৃষি যন্ত্রপাতি উদ্ভাবন, শস্যবীমা কার্যক্রম, ক্ষুদ্র সেচ কার্যক্রমের উন্নয়নসহ কৃষি অর্থনীতিতেও ব্যাপক ভূমিকা রাখছে বাকৃবি।
প্রাণিদের বিভিন্ন ভ্যাকসিন, টিকা, আণুবীক্ষণিক পর্যায়ে প্রায় শতভাগ নির্ভুল রোগ নির্ণয়, উচ্চফলনশীল গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগির জাত উৎপাদন করছে। এছাড়াও বিভিন্ন পদ্ধতিতে উচ্চ ফলনশীল মাছ চাষ ও মাছের জাত উদ্ভাবনের মৎস্য ক্ষেত্রেও অবদান রাখছে তারা।
আরও পড়ুন: বাকৃবিতে শিক্ষক লাঞ্ছিত, প্রক্টরের পদত্যাগ দাবি সোনালী দলের
৪ মাস আগে