৫ জন
জয়পুরহাটে ডাকাতির মামলায় ৫ জনের যাবজ্জীবন
জয়পুরহাট ডাকাতি মামলায় ৫ আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে আরেকটি ধারায় ৭ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
এছাড়া মামলায় তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অনাদায়ে আরও ২ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: গাইবান্ধায় হেরোইন বিক্রির অপরাধে এক ব্যক্তির যাবজ্জীবন
বুধবার (২৩ অক্টোবর) দুপুর দিকে জয়পুরহাটের অতিরিক্ত দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মো. নুরুল ইসলাম এ রায় দেন।
আসামিরা হলেন- জয়পুরহাটের ক্ষেতলালের দাসরা খাঁপাড়ার ফজলু, তাজেল, উপজেলার পুরানাপৈল এলাকার মুকুল হোসেন পাংকু, কোচনাপুরের আনোয়ার হোসেন ও আমসাহাপুর- পালি গ্রামের মিঠুন হোসেন।
এদের মধ্যে ফজুল, মুকুল ও মিঠুন পলাতক রয়েছেন।
এ মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০১২ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি রাতে সদরের ভাদসা এলাকার গোলাম মাহমুদ মন্ডলের বাড়িতে ডাকাতি হয়।
এসময় তার পরিবারের লোকজনকে ডাকাতরা মারধর করে হাত-পা বেঁধে রেখে স্বর্ণালংকার, টাকাসহ বিভিন্ন মালামাল লুট করে। পরে তাদের চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে ডাকাতরা পালিয়ে যায়।
এরপর পুলিশ ও স্থানীয়রা পরিবারের লোকজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করায়। এ ঘটনায় ২১ ফেব্রুয়ারি সদর থানায় মামলা করা হয়।
আরও পড়ুন: হত্যা মামলায় ১৩ জনের যাবজ্জীবন
৪ সপ্তাহ আগে
শাইখ সিরাজসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা ফারজানা ব্রাউনিয়ার
প্রতারণতার অভিযোগে চ্যানেল আইয়ের বার্তা প্রধান শাইখ সিরাজসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন উপস্থাপিকা ফারজানা ব্রাউনিয়া।
বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) ঢাকার অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট হাসিবুল হকের আদালতে তিনি মামলাটি করেন।
আরও পড়ুন: আরও ২ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের ৪ মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী
আদালত তার জবানবন্দি গ্রহণ করে সিআইডিকে অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে আগামী ১২ নভেম্বরের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
অপর আসামিরা হলেন- জহির উদ্দিন মাহমুদ মামুন, মুকিত মজুমদার বাবু, আবদুর রশিদ মজুমদার পারভেজ ও রিয়াজ আহম্মেদ খান।
তারা সবাই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত মর্মে এজাহারে উল্লেখ করেছেন ফারজানা ব্রাউনিয়া।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ফারজানা তাদের অধীনে চ্যানেল আই এ ম্যানেজার মার্কেটিং পদে এক লাখ টাকা বেতনে চাকরিতে যোগদান করেন। তিনি স্বর্ণকিশোরী অনুষ্ঠানে উপস্থাপক ও পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৮ সালে কোটা আন্দোলনের সময় শিক্ষার্থীদের পক্ষে কথা বলায় ১১ অক্টোবর তাকে প্রতিষ্ঠান থেকে নিষিদ্ধ করা হয়। তিনি মৌখিকভাবে প্রতিবাদ জানালে আসামিরা জানান যতদিন পর্যন্ত তাকে লিখিতভাবে বরখাস্ত না করা হচ্ছে ততদিন পর্যন্ত তিনি মাসিক মজুরি পাবেন। সেই হিসেবে ২০১৮ সালের অক্টোবর থেকে ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মোট ৭৯ লাখ টাকা মজুরি পাওনা। পাওনা টাকার জন্য আইনজীবীর মাধ্যমে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হলে তারা কোনো জবাব না দিয়ে বাদীকে হুমকি দেন এবং তার কাছ থেকে ৫০ কোটি টাকা চাঁদা দাবি।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে ট্রাফিক আইন লঙ্ঘন করায় ৮৭০ মামলা, ৩৬ লাখ টাকা জরিমানা
১ মাস আগে
পাবনায় হত্যা মামলায় ৫ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
পাবনার আমিনপুরে সিএনজি চালক ইমরান হত্যা মামলায় পাঁচজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে প্রত্যেককে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (১২ আগস্ট) দুপুরে পাবনা বিশেষ জজ আদালতের বিচারক সিনিয়র জেলা জজ আহসান তারেক এই রায় দেন।
আরও পড়ুন: ইয়াছিন হত্যাকাণ্ড: এক ভাইয়ের মৃত্যুদণ্ড ও অপরজনের যাবজ্জীবন
এসময় উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী দেওয়ান মজনুল হক।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- জগনাথপুর গ্রামের আবুল কালাম (৩৫), মোকছেদ আলী (৪৫), মুক্তার হোসেন (৩৫), আপেল মাহমুদ (৪১) ও জাহিদ (৫০)।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৫ সালের ১৪ জুলাই সকাল ১০টার দিকে রাতে ইমরানকে ফোন করে সিএনজি ভাড়া নেয় একই গ্রামের জগন্নাথপুর গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে আবুল কালাম। পরে আবুল কালাম কাশিনাথপুর বাজার থেকে তার সহযোগী চারজনকে তুলে নিয়ে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে হত্যা করে সিএনজি নিয়ে পালিয়ে যায়। ঘটনার একদিন পর ১৬ জুলাই আমিনপুর থানা চক কৃষ্ণপুর মুজিব বাঁধের পাশে এলাকাবাসী লাশ দেখতে পেয়ে খবর দিলে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে।
এদিকে বিষয়টি জানাজানি হলে নিহত ইমরানের বাবা কালু সরদার তার ছেলে ইমরানের লাশ বলে শনাক্ত করেন।
১৬ জুলাই ইমরানের বাবা আমিনপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দিলে পুলিশ তথ্য প্রযুক্তির সাহায্যে মামলার প্রধান আসামি আবুল কালামকে আটক করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি নেয়। দীর্ঘ ১০ বছর মামলা পরিচালনা করে বিচারক সাক্ষী শেষে এই রায় দেন।
আরও পড়ুন: প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে সন্তান হত্যার দায়ে মায়ের যাবজ্জীবন
নড়াইলে ২ মাদক ব্যবসায়ীর যাবজ্জীবন
৩ মাস আগে
দেশে আরও ৫ জনের করোনা শনাক্ত
শুক্রবার (২ আগস্ট) সকাল ৮টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে কারো মৃত্যু হয়নি। এসময় নতুন করে ৫ জনের শরীরে এই ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।
এ নিয়ে দেশে করোভাইরাসে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ৫১ হাজার ৩৪১ জনে। এছাড়া ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ২৯ হাজার ৪৯৯ জনের।
আরও পড়ুন: দেশে আরও ৬ জনের করোনা শনাক্ত
শনিবার (৩ আগস্ট) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ১১৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এই সময় শনাক্তের হার ৪ দশমিক ৪২ শতাংশ।
মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৪ শতাংশ।
এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ১ জন। এ নিয়ে মোট করোনা থেকে সেরে ওঠা ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ১৮ হাজার ৯৮৬ জনে।
আরও পড়ুন: দেশে আরও ৫ জনের করোনা শনাক্ত
দেশে আরও ৫ জনের করোনা শনাক্ত
৩ মাস আগে
খুলনা শিপইয়ার্ডের সাবেক এমডিসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা
খুলনা শিপইয়ার্ডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক শওকত ইমরানসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
প্রতারণা ও ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে লঞ্চ বিক্রির টাকা আত্মসাতের অভিযোগে রবিবার (১৪ জুলাই) মামলাটি দায়ের করেন দুদকের খুলনা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মাহমুদুল হাসান শুভ্র।
আরও পড়ুন: পূর্ব রাজাবাজারে নিরাপত্তাকর্মীর মৃত্যুতে গাড়ির মালিকের বিরুদ্ধে মামলা
মামলার আসামিরা হলেন- খুলনা শিপইয়ার্ড লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক শওকত ইমরান, বিক্রির দরপত্র মূল্যায়ন কমিটির সদস্য, খুলনা শিপইয়ার্ড লিমিটেডের সাবেক কমান্ডার এবং জেনারেল ম্যানেজার (ফাইনান্স) মোহাম্মদ মতিউর রহমান, সাবেক কমান্ডার ও ভারপ্রাপ্ত জেনারেল ম্যানেজার (অ্যাডমিন) এ এম রানা, সাবেক ক্যাপ্টেন ও জি এম (প্রোডাকশন) আনিছুর রহমান মোল্লা ও মেসার্স এস.বি কনস্ট্রাকশনের মালিক মো. সাইদুজ্জামান সাইদ।
এজাহারে বলা হয়, আসামিরা ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে খুলনা শিপইয়ার্ড লিমিটেডের এমভি সৃজনী লঞ্চ দাখিল করে সর্বোচ্চ দর ৩৫ লাখ ৮৫ হাজার ৫৫০ টাকায় বিক্রি না করে সংশোধিত দর ২৫ লাখ ১০ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়। এতে ১০ লাখ ৭৫ হাজার ৫৫০ টাকা আত্মসাৎ করার অপরাধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪২০/৪০৯/১০৯ ধারাসহ ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় মামলাটি দায়ের করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: শাহবাগ থানায় কোটা আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে মামলা
শিশু রিয়াদ হত্যা মামলা: ২৪ বছর পর ৪ জনের যাবজ্জীবন
৪ মাস আগে
দেশের ৪ জেলায় পানিতে ডুবে ৫ জনের মৃত্যু
সিলেট, কুষ্টিয়া, রংপুর ও দিনাজপুরে পানিতে ডুবে পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে।
বুধবার (২৬ জুন) এই প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে রংপুরে ২ শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
বুধবার দুপুরে রংপুর নগরীর ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের ভুরারঘাটে ঘাঘট নদীতে গোসল করতে নেমে তাদের মৃত্যু হয়।
নিহত শিশু আজমাইন (১১) স্থানীয় নর্থ বেঙ্গল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ষষ্ঠ শ্রেণি ও জিম (৭) ওই প্রতিষ্ঠানের প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
আজমাইন ভুরারঘাট এলাকার আনিসুল ইসলামের মেয়ে এবং জিম একই এলাকার রতন মিয়ার ছেলে।
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে ২ শিশুর লাশ উদ্ধার করে বলে জানান রংপুর ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দলের টিম লিডার আতাউর রহমান।
এছাড়াও দিনাজপুরের বীরগঞ্জে ঢেপা নদীতে পড়ে বিশাল হেম্রম নামে এক আদিবাসী শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এসময় আরেকজন পানিতে পড়ে গেলেও তাকে জীবিত উদ্ধার করা হয়।
নিহত বিশাল হ্রেমম মরিচা ইউনিয়নের খামার খড়িকদম গ্রামের অনিল হেম্রমের ছেলে। জীবিত উদ্ধার হয়েছে বৈঠক হেম্রমের ছেলে লয়েন হেম্রমকে।
বীরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মজিবুর রহমান বলেন, ঢেপা নদীর পাড়ে খেলার সময় শিশু বিশাল ও লয়েন পানিতে পড়ে গিয়েছিল। স্থানীয়রা লয়েনকে উদ্ধার করতে পারলেও মারা গেছে বিশাল হেম্রম।
ওসি আরও জানান, পরিবারের কোনো আপত্তি না থাকায় ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে। তবে একটি ইউডি মামলা করা হয়েছে।
এদিকে কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে পদ্মা নদীতে বন্ধুদের সঙ্গে গোসল করতে গিয়ে ডুবে এক পোশাক শ্রমিকের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
নিহত ছাকির প্রামাণিক (১৮) চর সাদিপুর ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের বাবলু প্রামাণিকের ছেলে।
চর সাদিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মেছের আলী খাঁ বলেন, ছাকির বন্ধুদের সঙ্গে পদ্মা নদীতে গোসল করতে গিয়ে ডুবে যায়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে পাবনা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আকিবুল ইসলাম বলেন, কোনো অভিযোগ না থাকায় লাশটি স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এদিকে সিলেটে পানিতে ডুবে নিম্বার আলী (৭০) নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, নিম্বার আলী শ্বশুর বাড়ির উদ্দেশে রওনা হয়েছিলেন। হেঁটে যাওয়ার সময় রাস্তায় থাকা পানিতে ভুলবশত পা ফেলে গভীর পানিতে তলিয়ে গিয়ে মৃত্যু হতে পারে।
নিম্বার আলী উপজেলার ৩ নম্বর তেলিখাল ইউনিয়নের তেলিখাল গ্রামের মৃত আব্দুল রশিদের ছেলে।
কোম্পানীগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শরিফ আহমেদ বলেন, নিহতের লাশ থানায় আনা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
পরিবারের অভিযোগ পেলে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান এসআই।
আরও পড়ুন: নদীতে পড়ে আদিবাসী শিশুর মৃত্যু
রংপুরে নদীতে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু
৪ মাস আগে
হত্যা মামলায় বাবা, ছেলে ও ছেলের বউসহ ৫ জনের যাবজ্জীবন
জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে পরকীয়ার জেরে হত্যা মামলায় বাবা, ছেলে ও ছেলের বউসহ ৫ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও দুই বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
রবিবার (৫ মে) দুপুরে জয়পুরহাট অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মো. নুরুল ইসলাম এ রায় দেন।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাটে মাদক মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
জয়পুরহাট জজ কোর্টের সরকারি কৌঁসুলি নৃপেন্দ্রনাথ মন্ডল এ তথ্য জানান।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পাওয় ৫ জন হলেন- ক্ষেতলাল উপজেলার বড়াইল শেখপাড়া গ্রামের মৃত ইনারী সর্দারের ছেলে আব্দুর রাজ্জাক, রাজ্জাকের ছেলে শাহাদুল ও শাহদুলের স্ত্রী মরিয়ম বেগম রেখা, মৃত রইচ উদ্দিনের ছেলে মোজাহার আলী ও সামছুদ্দিনের ছেলে রেজাউল।
এ মামলার বিবরণে জানা গেছে, জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলা বড়াইল শেখপাড়া গ্রামের আলতাফ হোসেনের ছেলে নুরুন্নবীর সঙ্গে মরিয়ম বেগম রেখার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। নুরুন্নবী ২০০৫ সালের ১৪ নভেম্বর সন্ধ্যার দিকে বাড়ি থেকে বের হয়ে ওই রাতে আর বাড়ি ফেরেননি। পরিবারের লোকজন বিভিন্ন জায়গার খোঁজখবর নিলেও কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। ওই বছরের ২০ নভেম্বর ক্ষেতলাল উপজেলার দক্ষিণ হাটশহর এলাকার একটি পুরাতন কবরে নুরুন্নবীর লাশ দেখতে পান স্থানীয়রা। খবর পেয়ে ক্ষেতলাল থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জয়পুরহাট জেলা আধুনিক হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
এ ঘটনায় পরদিন (১৫ নভেম্বর) নিহতের বাবা আলতাফ হোসেন বাদী হয়ে ক্ষেতলাল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলার সাক্ষী প্রমাণ শেষে আদালত রবিবার এ রায় দেন।
আরও পড়ুন: মেহেরপুরে মানব পাচারের দায়ে একজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
সিলেটে শিশু হত্যার ১৩ বছর পর সৎ পিতার যাবজ্জীবন
৬ মাস আগে
রাঙ্গামাটিতে চিকিৎসার অভাবে দেড় মাসে ৫ জনের মৃত্যু
রাঙামাটির সীমান্তবর্তী বরকল উপজেলার ভূষণছড়া ইউনিয়নের ঠেগা চান্দবী ঘাট এলাকায় প্রয়োজনীয় ওষুধ ও চিকিৎসার অভাবে তীব্র জ্বর, পেটব্যথা ও বমির সঙ্গে রক্তক্ষরণে গত দেড় মাসে এক শিশুসহ পাঁচজন মারা গেছেন। এ রোগে আরও ১৪ জনের বেশি আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
মৃতরা হলেন- চিত্তি মোহন চাকমা, বিমলেশ্বর চাকমা, ডালিম কুমার চাকমা, পত্ত রঞ্জন চাকমা, সোনি চাকমা।
এরমধ্যে ডালিম কুমার চাকমা ও সোনি চাকমা বাবা-মেয়ে।
আরও পড়ুন: রাঙ্গামাটিতে আগর বাগান থেকে বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার
স্থানীয়রা জানান, মৃত্যুর আগে প্রত্যেকেরই তীব্র জ্বর ও বমির সঙ্গে রক্তক্ষরণ হয়েছে। এছাড়া আরও ১৪ জনের পেটব্যথা, জ্বর দেখা দেওয়ায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে ওই এলাকায়।
প্রথমদিকে সাধারণ জ্বর মনে করলেও দেড় মাসে পরপর ৫ জনের মৃত্যুতে এলাকাবাসীর মনে ভয় ও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
সর্বশেষ গত ১৭ মার্চ ডালিম কুমার চাকমার মেয়ে সোনি চাকমা জ্বরে আক্রান্ত হয়। এর সঙ্গে পেট ব্যথা ও বমির সঙ্গে রক্তক্ষরণ হয়। পরে মারা যায়। এর দুই দিন আগে ১৫ মার্চ চিত্তি মোহন চাকমা একই রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন।
২৬ ফেব্রুয়ারি ডালিম কুমার চাকমা, ৭ ফেব্রুয়ারি বিমলেশ্বর চাকমা এবং সর্বপ্রথম গত ১০ জানুয়ারি পত্ত রঞ্জন চাকমা পেট ব্যথা, জ্বর ও বমির সঙ্গে রক্তক্ষরণে মারা যান।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ৫ জনের মৃত্যুর খবরটি ছড়িয়ে পড়ার পর দুর্গম এলাকায় বৃহস্পতিবার একটি মেডিকেল টিম পাঠানো হয়।
বরকল উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মংক্যসিং রাখাইন সাগর বলেন, এলাকাটি অতি দুর্গম। সেখানে কোনো মোবাইল নেটওয়ার্ক নেই। আশেপাশে কোনো স্বাস্থ্য কেন্দ্র নেই। এতগুলো মানুষ মারা গেছে, সে খবর এতদিন আমাদের কেউ দেয়নি। খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা মেডিকেল টিম গঠন করে সেখানে গিয়ে খোঁজখর নিচ্ছি। চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
রাঙ্গামাটির সিভিল সার্জন ডা. নীহার রঞ্জন নন্দী বলেন, আমার ধারণা খাদ্যে বিষক্রিয়া থেকেই এই ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে। মেডিকেল টিম নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর প্রকৃত বিষয়টি জানা যাবে।
তিনি আরও জানান, বরকল উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মংক্যসিং রাখাইন সাগরের নেতৃত্বে ৭ জনের একটি মেডিকেল টিম চান্দবীঘাট এলাকায় গেছে। এলাকাটি অতি দুর্গম। আমরা তাৎক্ষণিকভাবে মেডিকেল টিম গঠন করে চান্দবীঘাটে পাঠিয়েছি। আর যেন কোনো প্রাণহানি না হয় সেজন্য আমরা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা নিচ্ছি। প্রয়োজনে রোগীদের রাঙ্গামাটি এনে চিকিৎসা দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়িতে ইউপিডিএফ সদস্যকে গুলি করে হত্যার অভিযোগ
রাঙ্গামাটিতে সিএনজিতে লরির ধাক্কা, খাদে পড়ে নিহত ৩
৭ মাস আগে
মানিকগঞ্জে স্বর্ণ পাচার চক্রের ৫ জনের যাবজ্জীবন
মানিকগঞ্জে স্বর্ণ পাচারকারী চক্রের ৫ সদস্যকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
সেই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও এক বছর করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (১৩ মার্চ) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক জয়শ্রী সমাদ্দার অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে এই রায় ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় যুবলীগ নেতা হত্যায় ১০ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৮ জনের যাবজ্জীবন
এ মামলায় ১৫ জন আদালতে সাক্ষ্য দেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মধুরনাথ সরকার ও আইনজীবী নজরুল ইসলাম বাদশা।
আসামিরা হলেন- ইয়াহিয়া আমিন, শেখ আমিনুর রহমান, মো. মনিরুজ্জামান রনি, শেখ জাহিদুল ইসলাম ও মো. জহিরুল ইসলাম তারেক। তাদের বাড়ি সাতক্ষীরা, যশোর মুন্সীগঞ্জ ও লক্ষ্মীপুর জেলার বিভিন্ন গ্রামে।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর রাতে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) সদস্যরা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মানিকগঞ্জ থানাধীন তরা এলাকায বেনাপোলগামী একটি বাস আটক করে।
এ সময় তারা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে তাদেরকে আটক করা হয়। তাদের পাঁচজনেরই দেহ তল্লাশি করে ২২৭টি স্বর্ণের বার জব্দ করা হয়। যার ওজন প্রায় ৪৪ কেজি।
এ ব্যাপারে সদর থানায় ৫ অক্টোবর সুবেধার মোকসেদ আলম বাদী হয়ে মানিকগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
আরও পড়ুন: সগিরা মোর্শেদ হত্যা মামলা: ৩৫ বছর পর ২ জনের যাবজ্জীবন
খুলনায় ২ শিশুকে ধর্ষণ মামলায় ১ জনের যাবজ্জীবন
৮ মাস আগে
জয়পুরহাটে হত্যা মামলায় ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড
জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার আবু হোসাইন নামে এক ব্যক্তিকে হত্যার মামলায় পাঁচজনকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেক আসামিকে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দুপুর দিকে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মো. নরুল ইসলাম এ আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: জয়পুরহাটে স্কুলছাত্র হত্যার ২২ বছর পর মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার
আসামিরা হলেন- জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার কোকতারা গ্রামের মৃত রুস্তম আলী টুরার স্ত্রী মোসা. সহিদা বেগম ও ছেলে রব্বানী, একই গ্রামের নায়েব আলীর ছেলে মোজাফফর হোসেন এবং দরগাপাড়া গ্রামের আবু রায়হানের স্ত্রী আমিনা বেগম ও ছেলে রাফিউল ইসলাম।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০১০ সালের ২৫ মার্চ সকালে পূর্বশত্রুতার জেরে বাড়ির সামনে খড়ের গাদা থেকে খড় খোলার সময় ওই গ্রামের আবু তাহেরের উপর আসামিরা হামলা চালায়। এ সময় তার ছেলে আবু হোসাইন সেখানে ছুটে যান। আসামিরা তাকেও আক্রমণ করে। তিনি গুরুতর আহত হলে আসামিরা পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকার ইবনে সিনা হাসপাতালে মারা যান আবু হোসাইন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ৪ শিশুকে যৌন নির্যাতন, শিক্ষকের মৃত্যুদণ্ড
পরে এ ঘটনায় তার বাবা আবু তাহের বাদী হয়ে ৪ এপ্রিল পাঁচবিবি থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
স্থানীয়রা আবু হোসাইনকে উদ্ধার করে প্রথমে পাঁচবিবি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে বগুড়ার শজিমেক হাসপাতালে ভর্তি করে। অবস্থার অবনতি হলে আবু হোসাইনকে ঢাকার ইবনে সিনা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় স্ত্রীসহ ৩ জনকে হত্যা: সাবেক পুলিশ কর্মকর্তার মৃত্যুদণ্ড
এ ঘটনায় তার বাবা আবু তাহের ওই বছরের ৪ এপ্রিল পাঁচবিবি থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
৯ মাস আগে