৭ জানুয়ারি
৭ জানুয়ারির নির্বাচনের খেসারত আ. লীগকে দিতে হবে: ফারুক
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য জয়নুল আবদিন ফারুক বলেছেন, আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদের ‘একতরফা’ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য আওয়ামী লীগকে খেসারত দিতে হবে।
শনিবার এক মানববন্ধনে তিনি একথা জানান।
বিএনপিকে অবমূল্যায়ন না করতে ক্ষমতাসীন দলের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, দলটি যেকোনো সময় রাজপথে ফিরে আসতে পারে। কারণ দেশের জনগণের মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে বিএনপির।
আরও পড়ুন: পর্যটন শিল্পে ফিলিপাইনকে বিনিয়োগের আহ্বান জানালেন ফারুক খান
ফারুক বলেন, ‘ওবায়দুল কাদের সাহেব, আপনি কীভাবে বলেন যে- ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে না আসার জন্য বিএনপিকে অনেক খেসারত দিতে হবে? উল্টো আমি বলতে চাই, এর মূল্য আপনাদেরই দিতে হবে। যুগ যুগ ধরে আপনাদের মাশুল দিতে হবে, কারণ আপনারা জনগণের অংশগ্রহণ ছাড়াই নির্বাচন করে সরকার গঠন করেছেন।’
আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতা দখল করে জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে দেশে রাজনৈতিক সংকট সৃষ্টি করছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। ফারুক বলেন, ‘গণতন্ত্র ধ্বংস করে আপনারা বাংলাদেশের ইতিহাসে যে কলঙ্ক লেপন করেছেন তার দায়ভার আপনাদেরই নিতে হবে। সুতরাং আপনাদের এর জন্য খেসারত দিতে হবে।’
সাবেক বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ ফারুক বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ক্রমবর্ধমান ঊর্ধ্বগতির মধ্যে সীমান্তে অব্যাহত গোলাগুলি চলছে এবং জনগণের সমর্থন ছাড়াই আওয়ামী সরকার ক্ষমতায় থাকায় দেশের অর্থনৈতিক মেরুদণ্ড ভেঙে যাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে আওয়ামী লীগ যে কলঙ্ক লেপন করেছে তার জন্য জনগণের মুখোমুখি হওয়ার সময় খুবই নিকটে।
আরও পড়ুন: আ.লীগ সরকারই ব্যবসায়িক সিন্ডিকেট তৈরি করেছে: বিএনপি নেতা ফারুক
জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীসহ দলের কারাবন্দি নেতা-কর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি আয়োজন করে জিয়াউর রহমান সমাজকল্যাণ ফোরাম।
ফারুক অভিযোগ করেন, একতরফা নির্বাচন অনুষ্ঠানের ‘পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের’ অংশ হিসেবেই সরকার গত ২৮ অক্টোবর রাজধানীতে বিএনপির মহাসমাবেশ বানচাল করে দেয় এবং ফখরুলসহ বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতাদের গ্রেপ্তার করে সরকার।
তিনি সরকারকে পদত্যাগ করে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে একটি সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানান। ‘অন্যথায় জনগণের ক্ষোভ উস্কে গেলে আপনারা শ্রীলঙ্কার চেয়েও ভয়ংকর পরিস্থিতির সম্মুখীন হবেন।’
ফারুক বলেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও হারানো অধিকার ফিরে না আসা পর্যন্ত তাদের দল জনগণকে সঙ্গে নিয়ে রাজপথে থাকবে।
আরও পড়ুন: হুমকি সত্ত্বেও বিএনপি আন্দোলন চালিয়ে যাবে: জয়নুল আবেদিন ফারুক
৯ মাস আগে
সরকার ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে কৃত্রিম উপস্থিতি দেখাতে চায়: মঈন খান
রবিবারের নির্বাচনে কৃত্রিম ভোটার উপস্থিতি দেখানোর জন্য সরকার ভোটারদের ভয় দেখানোসহ বিভিন্ন অসাংবিধানিক, অনৈতিক ও প্রতারণামূলক পদক্ষেপ নিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতা ড. আবদুল মঈন খান।
শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি নেতা সরকারের সব ধরনের হুমকি ও ভয়ভীতি উপেক্ষা করে 'প্রহসনের' নির্বাচনে বর্জন করতে জনগণের প্রতি আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: বিএনপি রাজপথে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছে: মঈন খান
ভোটের মাত্র দুই দিন আগে মঈন খানের গুলশানের বাসভবন প্রাঙ্গণে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে বিএনপির স্থায়ী কমিটি। গত ২৮ অক্টোবর রাজধানীতে বিএনপির মহাসমাবেশ বানচালের পর এটাই ছিল বিএনপির প্রথম আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলন।
তিনি বলেন, ‘আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় আসন ভাগাভাগি ও বণ্টনের একতরফা নির্বাচন নিয়ে দেশে-বিদেশে সমালোচনা চলছে। সরকার ডামি প্রার্থী ও ডামি দল তৈরি করে থেমে নেই, কারণ তারা এখন জোর করে ডামি ভোটার তৈরির দিকে মনোনিবেশ করেছে।’
আরও পড়ুন: বর্তমান ফ্যাসিবাদী সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করাই একমাত্র লক্ষ্য: মঈন খান
তিনি বলেন, বিএনপিসহ ৬২টি গণতন্ত্রপন্থী রাজনৈতিক দলের পাশাপাশি দেশের সব শ্রেণি-পেশার ভোটার এবং দেশের প্রতিটি সচেতন নাগরিক ইতোমধ্যে তথাকথিত নির্বাচন বর্জন ও প্রত্যাখ্যান করেছে।
তিনি বলেন, 'ক্ষমতায় টিকে থাকতে মরিয়া হয়ে অবৈধ সরকার আসন বণ্টন ব্যবস্থাকে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হিসেবে দেখানোর চেষ্টা করছে। তাই আওয়ামী লীগ ও রাষ্ট্রযন্ত্রের চিহ্নিত মহল ষড়যন্ত্রের নীলনকশা প্রণয়ন করেছে।’
জনগণের আকাঙ্ক্ষার বিরুদ্ধে অনুষ্ঠিত 'অর্থহীন' নির্বাচনে কৃত্রিম ভোটারদের উপস্থিতি দেখানোর জন্য সরকার যেভাবে সহিংসতার আশ্রয় নিয়েছে, তা নৈতিকভাবে গণবিরোধী ও রাজনৈতিকভাবে শিশুসুলভ।
আরও পড়ুন: সরকার পদত্যাগ না করা পর্যন্ত জনগণ রাজপথ ছাড়বে না: মঈন খান
তিনি বলেন, 'ভোটারদের উপস্থিতি বাড়ানোর জন্য তাদের সব কৌশলের তালিকা এখন আন্তর্জাতিক স্টেকহোল্ডারদের কাছে স্পষ্ট।’
ড. মঈন বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ও তার অধীনস্থ রাষ্ট্রযন্ত্র মিথ্যা ও জাল ভোটার উপস্থিতি দেখানোর জন্য অসংখ্য অনৈতিক, অগণতান্ত্রিক ও অসাংবিধানিক উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।’
ভোটারদের ভয় দেখানোর অংশ হিসেবে তিনি বলেন, সরকারের এমপিরা হুমকি দিচ্ছেন যে, সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী কর্মসূচির লাখ লাখ সুবিধাভোগী ভোটকেন্দ্রে না গেলে তারা তাদের আর্থিক সুবিধা হারাবেন।
আরও পড়ুন: ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের ফলাফল নির্ধারণ করছে সরকার: ড. মঈন খান
মঈন বলেন, বর্তমানে প্রায় ১ কোটি ২৮ লাখ মানুষ বিভিন্ন সামাজিক সুবিধা পাচ্ছেন, যা সব সরকারের অধীনে একটি চলমান প্রক্রিয়া। এসব সুবিধাভোগী ও তাদের পরিবারের সদস্যদের ভোটকেন্দ্রে যাওয়া নিশ্চিত করতে নির্দেশনা দিয়েছে আওয়ামী লীগ। বলা হচ্ছে, ৭ জানুয়ারি ভোট না দিলে তাদের ভাতা বাতিল করা হবে।
বিএনপির এই নেতা আরও অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা জোরপূর্বক কৌশল অবলম্বন করে অনেক জায়গায় সরকারি সুবিধাভোগীদের কার্ড জব্দ করতে শুরু করেছেন। সুবিধাভোগীদের ঘরে ঘরে হুমকি দেওয়া হচ্ছে যে তারা যদি ভোটকেন্দ্রে না যায় এবং জনসমক্ষে ভোট না দেয় তবে তারা তাদের কার্ড ফেরত পাবে না। বিভিন্ন ধরনের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির সুবিধাভোগীদের ভোট দিতে বাধ্য করার জন্য স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।’
আরও পড়ুন: আ. লীগ সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত বিএনপি রাজপথে থাকবে: ড. মঈন খান
এছাড়া সারাদেশে প্রায় ২০ লাখ সরকারি কর্মচারীকে পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দেওয়ার সুযোগ করে দিতে সরকার বেআইনিভাবে নজিরবিহীন উদ্যোগ নিয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘তাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে এ ধরনের সিদ্ধান্ত প্রশাসনের একটি বড় অংশের মধ্যে হতাশার সৃষ্টি করেছে। এটি সরকারি কর্মকর্তাদের ভোটাধিকার নিয়ন্ত্রণের একটি প্রচেষ্টা।’
ড. মঈন বলেন, অবৈধ সরকার ও তার অধীনস্থ রাষ্ট্রযন্ত্র নির্বাচন প্রক্রিয়ায় অংশ নেওয়া সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পোস্টাল ভোট গ্রহণের দিকে মনোনিবেশ করেছে। ‘একই সঙ্গে তাদের পরিবারের সদস্যদের ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার বিষয়টিও নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া প্রিজাইডিং ও পোলিং অফিসারসহ বিভিন্ন নির্বাচনী দায়িত্বে নিয়োজিত বেসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের এক লাখের বেশি কর্মকর্তাকে পোস্টাল ব্যালটে ভোট দিতে বলা হচ্ছে।’
আরও পড়ুন: ক্ষমতা হারানোর ভয়ে সুষ্ঠু নির্বাচন করতে চায় না সরকার: মঈন খান
তিনি বলেন, তথাকথিত নির্বাচনের দিন আনসার ও ভিডিপির ৬১ লাখ সদস্যের একটি বড় অংশ বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করবে। তাদের প্রত্যেকের জন্য ডাকযোগে ভোট গ্রহণ নিশ্চিত করতে এবং প্রতিটি পরিবারের কমপক্ষে পাঁচজন সদস্যকে ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার জন্য সদর দপ্তর থেকে প্রতিটি ইউনিট ও ব্যাটালিয়নকে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
বিএনপির এই নেতা অভিযোগ করেন, সারাদেশে পুলিশ সদস্যরা ভোটার উপস্থিতি বাড়ানোর মিশনে নেমেছে।
তিনি বলেন, 'ঢাকার পুলিশ কমিশনার নিজে দুই সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলরদের ডেকে ভোটকেন্দ্রে যতটা সম্ভব ভোটারদের উপস্থিতি নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন। বিভিন্ন স্থানে পুলিশের এসপি ও ওসিরা আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের প্রচারে সরাসরি সম্পৃক্ত এবং জনগণকে ভোট দিতে বলছেন। জনমনে প্রশ্ন উঠেছে, ভোটারদের অংশগ্রহণ বাড়ানোর রাজনৈতিক দায়িত্ব পুলিশকে কে দিয়েছে? এই পক্ষপাতদুষ্ট আচরণের সাংবিধানিক ও আইনগত ভিত্তি কী?’
তিনি অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগ নেতারা ভোটকেন্দ্রে না গেলে জাতীয় পরিচয়পত্র বাতিল ও বিভিন্ন ইউটিলিটি সেবা বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দিচ্ছেন।
ড. মঈন বলেন, ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীরা নানা কৌশল ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও জাল ভোট দিয়ে ভোটারদের উপস্থিতি বাড়ানোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
আরও পড়ুন: ‘প্রহসনের’ নির্বাচন করে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারবে না: মঈন খান
তিনি জনগণকে সাহসের সঙ্গে অবৈধ সরকারের হুমকি মোকাবিলা এবং যারা তাদের ভোটকেন্দ্রে যেতে বাধ্য করছে তাদের নাম রেকর্ড রাখার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, 'আমরা বলতে চাই, এই একদলীয় সরকারের সময় শেষ। সুতরাং তাদের অন্যায্য ও অবৈধ হুমকিনিয়ে চিন্তা করার আর কোনো কারণ নেই। আমরা আশা করি, বাংলাদেশের জনগণ শিগগিরই একদলীয় শাসনের কবল থেকে মুক্ত হবে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, সরকার বিএনপির ওপর দোষ চাপানো এবং তাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকে কলঙ্কিত করার জন্য যানবাহন ও ট্রেনে অগ্নিসংযোগের মতো নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে।
তিনি অভিযোগ করেন, ক্ষমতাসীন দল একতরফা নির্বাচন করে জনগণের ভাগ্য নিয়ে খেলছে, দেশ ও এর সব অর্জনকে ধ্বংস করছে।
আরও পড়ুন: আগামী ৭ জানুয়ারি চরম পরাজয়ের মুখে পড়বে সরকার: মঈন খান
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান নির্বাচন বয়কটের অংশ হিসেবে শনিবার সকাল ৬টা থেকে ৪৮ ঘণ্টার হরতাল শান্তিপূর্ণভাবে পালনের জন্য জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, 'আমরা জনগণকে ধর্মঘট পালন ও নির্বাচন বয়কটের আহ্বান জানিয়েছি। সেজন্য আমাদের নেতা-কর্মীরা শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালন করবেন।’
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগ আজকে সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন দিতে ভয় পায়: মঈন খান
১০ মাস আগে
৭ জানুয়ারি জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতিতে ‘ভালো নির্বাচনের’ সাক্ষী হবে বিশ্ববাসী: ওবায়দুল কাদের
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, নির্বাচন কমিশন (ইসি) স্বাধীন ও কর্তৃত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারছে বলেই নির্বাচনী আচরণবিধি কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে।
বুধবার (৩ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে দলীয় সভাপতির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, যেখানেই নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করা হচ্ছে, সেখানেই নির্বাচন কমিশন ব্যবস্থা নিচ্ছে। সরকারের পক্ষ থেকে কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ বা তাদের কর্তব্য পালনে বাধা দেওয়া হচ্ছে না। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ ব্যাপারে কঠোর অবস্থানে আছেন।
কাদের আরও বলেন, ‘বিশ্ববাসী ৭ জানুয়ারি বাংলাদেশে জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতিতে একটা ভালো নির্বাচন প্রত্যক্ষ করবে। যেখানে জনমত বিজয়ী হবে।’
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগ নয়, ড. ইউনূসকে সাজা দিয়েছেন আদালত: কাদের
তিনি আরও বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত তারা এখন আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে লিফলেট বিতরণ করছে। তারা ব্যর্থতা ও ভুলের চোরাবালিতে আটকে গেছে। এখান থেকে তারা বের হতে পারছে না। তাদের নেতিবাচক কর্মসূচি, নাশকতা, অবরোধ জনগণ অগ্রাহ্য করেছে। বিএনপি সহিংসতা করবে না বললেও সেটা সত্যি কথা কি না সেটা বলার সুযোগ নেই। কারণ তারা বলে একটা, করে আরেকটা। খবর পাচ্ছি তারা ভেতরে ভেতরে ষড়যন্ত্র করছে।’
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের দ্বিমুখী ভূমিকার সমালোচনা করে সেতুমন্ত্রী বলেন, ড. ইউনুসের মামলার রায় প্রসঙ্গে বাংলাদেশের মানবিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। কিন্তু ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েল যে হত্যাকাণ্ড চালাচ্ছে সে বিষয়ে কেন কথা বলছে না। তারা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে একটা কথাও বলেনি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়াসহ কেন্দ্রীয় ও মহানগর আওয়ামী লীগের নেতারা।
আরও পড়ুন: অপতৎপরতার জবাব দিতে দলে দলে ভোটকেন্দ্রে আসুন: কাদের
১০ মাস আগে
দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন উপলক্ষে ৭ জানুয়ারি সাধারণ ছুটি ঘোষণা সরকারের
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে আগামী ৭ জানুয়ারি সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার।
বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব সোনিয়া হাসানের সই করা একটি গ্যাজেট প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সব সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মচারী এবং সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুবিধার্থে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এর আগে গত ২৪ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশন (ইসি) ৭ জানুয়ারি সাধারণ ছুটি ঘোষণা করতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করে।
গত ১৫ নভেম্বর প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল ঘোষণা করেন, আগামী ৭ জানুয়ারি দেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
সংবিধান অনুযায়ী, বর্তমান সরকারের মেয়াদ শেষ হবে ২০২৪ সালের ২৯ জানুয়ারি।
আরও পড়ুন: ৪ জানুয়ারি নির্বাচন নিয়ে বিদেশি কূটনীতিকদের ব্রিফ করবে ইসি
৭ জানুয়ারি সাধারণ ছুটি ঘোষণা করতে চিঠি দিয়েছে ইসি
১০ মাস আগে
বিএনপির অসহযোগ আন্দোলনের নিন্দা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর
৭ জানুয়ারির নির্বাচনকে সামনে রেখে সরকারের বিরুদ্ধে অসহযোগ আন্দোলনের আহ্বানের জন্য বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) নিন্দা করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
তিনি বলেন, ‘বিএনপির পক্ষ থেকে সরকারকে সব ধরনের কর, খাজনা, পানি, গ্যাস-বিদ্যুৎ বিল দেওয়া স্থগিত রাখার অনুরোধ জানানো হয়েছে। তাহলে তাদের (বিএনপি নেতা-কর্মীদের) বাসায় বিদ্যুৎ-গ্যাস বন্ধ হয়ে গেলে তারা কী করবে?’
বুধবার (২০ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে সাংবাদিকদের করা এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: নাশকতা কিংবা সন্ত্রাসের কারণে নির্বাচন বন্ধ থাকবে না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
প্রসঙ্গত, এখন থেকে বর্তমান সরকারকে আর কোনো সহযোগিতা না করতে প্রশাসন ও দেশবাসীকে আহ্বান জানিয়েছে বিএনপি। সেইসঙ্গে আগামী ৭ জানুয়ারির ভোট বর্জনের আহ্বানও জানিয়েছে দলটি।
বিএনপির 'অসহযোগ আন্দোলন' প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আপনাদের কাছে আমার প্রশ্ন যারা এই অসহযোগ আন্দোলন করছেন তাদের বাসায় বিদ্যুৎ- পানি বন্ধ হয়ে গেলে কি হবে? যেহেতু উনারাই অসহযোগ চাচ্ছেন।’
তিনি বলেন, তারা কি বুঝতে পারছেন যে গ্যাস বিদ্যুৎ বা পানির বিল না দিলে ওয়াসা ও বিদ্যুৎ বিভাগ অন্য গ্রাহকের সঙ্গে যা করে, তাদের সঙ্গেও তাই করবে; তখন কি হবে? সেটা নিয়ে তাদের মাথায় চিন্তা আসা উচিত।
মন্ত্রী বলেন, এ দেশের জনগণ তাদেরকে চেনে। এসব ডাকে জনগণ কোনোদিনই প্রতিক্রিয়া দেখায়নি। আমাদের জনগণ সময় মতো নির্বাচনে ভোট দেবে এবং নির্বাচন কমিশন (ইসি) আমাদেরকে একটি সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচন উপহার দেবে।
আরও পড়ুন: বিএনপিতে যারা তারেকের নেতৃত্ব মানছেন না, নির্বাচনে আসতে তারা নতুন প্ল্যাটফর্ম তৈরি করছেন: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
তিনি বলেন, আমি সবসময় বলেছি তারা নিশ্চিত জানে এ দেশের জনগণ তাদেরকে ভোট দেবে না, তাদের কর্মকাণ্ডে জনগণ তাদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। তাই তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন এবং ক্রমাগতভাবে তারা একটার পর একটা কর্মসূচি দিচ্ছে। যাতে পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করা যায় এবং নির্বাচন না হয় তারা সে চেষ্টা করছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ২৮ অক্টোবরের পর থেকে তারা ক্রমাগত নাশকতা চালিয়ে যাচ্ছে। বাসের ভেতর অগ্নিদগ্ধ করে হেলপারকে পুড়িয়ে মেরেছে, এখন শুরু করেছে রেললাইন উপড়ে ফেলা।
তিনি বলেন, আপনারা দেখেছেন চারজন মানুষকে চলন্ত গাড়িতে পুড়িয়ে মেরেছে তারা। এর আগেও গাজীপুর এলাকায় এরকম একটি ঘটনা ঘটিয়েছে। তারা অনবরত এ ধরনের নাশকতা চালিয়ে যাচ্ছে। একটা অস্থিতিকর পরিস্থিতি কিভাবে তৈরি করা যায় তারা শুধু সেই পায়তারা করছে।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী জনগণের মেন্ডেট নিয়েই ক্ষমতায় আসছেন এবং জনগণের ম্যান্ডেডকেই তিনি সরকার বদলানোর একমাত্র উপায় বলে মনে করেন।
আরও পড়ুন: ফখরুলের জামিন নামঞ্জুরে সরকারের কোনো প্রভাব নেই: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
১১ মাস আগে
৭ জানুয়ারি জাতীয় সংসদ নির্বাচন: এখন পর্যন্ত প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন ২৫৫ জন
আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য বিক্ষুব্ধ প্রার্থীদের প্রায় ৫০০টি আপিল নিষ্পত্তি করায় গত পাঁচ দিনে মোট ২৫৫ জন প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন এবং প্রার্থিতা হারিয়েছেন আরও ৪ জন।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন কমিশন গত ৫ ডিসেম্বর রিটার্নিং কর্মকর্তাদের মনোনয়নপত্র গ্রহণ ও বাতিলের বিরুদ্ধে বিক্ষুব্ধ প্রার্থীদের আপিল শুনানি ও নিষ্পত্তি শুরু করে।
ইসি প্রায় ২৬০টি আপিল গ্রহণ করেছে, ২১৩টি আপিল খারিজ করে দিয়েছে এবং ২০টি আপিলের বিষয়ে তাদের সিদ্ধান্ত স্থগিত রেখেছে।
২৬০টি আবেদন গ্রহণের মধ্য দিয়ে ২৫৫ জন প্রার্থী ৭ জানুয়ারির সাধারণ নির্বাচনে অংশগ্রহণের ছাড়পত্র পেয়েছেন। রিটার্নিং কর্মকর্তারা তাদের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা সত্ত্বেও প্রার্থিতা হারিয়েছেন চারজন।
আরও পড়ুন: জাতীয় নির্বাচন: আরও ৬১ প্রার্থীকে বৈধ ঘোষণা করল ইসি
তবে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসার কর্তৃক মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা স্বতন্ত্র প্রার্থীর বিরুদ্ধে দুটি পিটিশন দায়ের করা হয়েছিল। নির্বাচন কমিশন আবেদন দুটি গ্রহণ করেছে।
রবিবার ৫৬টি, সোমবার ৫১টি, মঙ্গলবার ৬১টি, বুধবার ৪৮টি এবং বৃহস্পতিবার ৪৪টি আপিল গ্রহণ করে কমিশন।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর নির্বাচন ভবনে ১০০টি আপিলের শুনানিতে ৫২টি আবেদন নাকচ করে চারটি আপিল স্থগিত রাখে ইসি।
শুক্রবার আপিল শুনানি শেষ করবে কমিশন। এর মধ্যে ঝালকাঠি-১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শাহজাহান ওমর, বরিশাল-৪ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শাম্মী আহমেদ ও স্বতন্ত্র প্রার্থী পঙ্কজ দেবনাথ, ফরিদপুর-৩ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শামীম হক ও স্বতন্ত্র প্রার্থী এ কে আজাদের আবেদনের শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।
আরও পড়ুন: নির্বাচনের পুনঃতফসিল চেয়ে ইনসানিয়াত বিপ্লব বাংলাদেশের রিট আবেদন
প্রার্থিতা নিয়ে ইসির সিদ্ধান্তেও কেউ সংক্ষুব্ধ হলে তা চ্যালেঞ্জ করে উচ্চ আদালতে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে।
মনোনয়নপত্র বাতিল বা গ্রহণের বিষয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে নির্বাচন কমিশনে আপিল করেন ৫৬১ জন প্রার্থী।
তাদের অধিকাংশই মনোনয়নপত্র বাতিলের বিরুদ্ধে এবং কমপক্ষে ৩০ জন মনোনয়নপত্র গ্রহণের বিরুদ্ধে আবেদন করেছেন।
এর আগে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০টি আসনে স্বতন্ত্র ৭৪৭ জনসহ মোট ২ হাজার ৭১৬ জন মনোনয়নপত্র জমা দেন।
কিন্তু রিটার্নিং কর্মকর্তারা গত ১-৪ ডিসেম্বর যাচাই-বাছাইয়ের সময় ১ হাজার ৯৮৫টি মনোনয়নপত্র গ্রহণ করেন এবং ৭৩১ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল করেন।
৭৩১টি মনোনয়নপত্রের বেশিরভাগই তিনটি কারণে বাতিল করা হয়েছিল - স্বতন্ত্র প্রার্থীদের জমা দেওয়া ১ শতাংশ ভোটারের সইয়ের অসামঞ্জস্যতা, ঋণ ও ইউটিলিটি বিল খেলাপি এবং দ্বৈত নাগরিকত্ব।
প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৭ ডিসেম্বর এবং প্রার্থীরা ভোট গ্রহণের ৪৮ ঘণ্টা আগে ১৮ ডিসেম্বর থেকে ৫ জানুয়ারি (সকাল ৮টা) পর্যন্ত নির্বাচনী প্রচারণায় যেতে পারবেন। ৭ জানুয়ারি সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত একটানা ভোটগ্রহণ চলবে।
নিবন্ধিত ৪৪টি রাজনৈতিক দলের মধ্যে ২৯টি দল নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে, যা প্রধান দল বিএনপিসহ কয়েকটি দল বর্জন করছে।
আরও পড়ুন: মাহি বি, হিরো আলমসহ ৫৬ জন প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন
১১ মাস আগে
৭ জানুয়ারি নির্বাচন: তফসিল ঘোষণার পর থেকে ১৫ নেতাকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করে নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় বিএনপি তাদের কেন্দ্রীয় ও তৃণমূল পর্যায়ের ১৫ নেতাকে বহিষ্কার করেছে।
বিভিন্ন সময়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সই করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে দলীয় নেতাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দলের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছেন ১৫ নেতা। এর মধ্যে আটজন কেন্দ্রীয় ও সাতজন জেলা পর্যায়ের নেতা। এ নেতাদের বিএনপির প্রাথমিক সদস্যপদসহ সব পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় আট নেতা হলেন- বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শাহজাহান ওমর, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সৈয়দ এ কে একরামুজ্জামান, তাঁতিবিষয়ক সহসম্পাদক রাবেয়া সিরাজ, নির্বাহী কমিটির সদস্য মোহাম্মদ আবু জাফর, শাহ শহীদ সারোয়ার, মতিউর রহমান মন্টু ও খন্দকার আহসান হাবিব ও একেএম ফখরুল ইসলাম।
অন্য সাত নেতা হলেন- শেরপুর জেলা বিএনপির সহ-দপ্তর সম্পাদক জায়েদুর রশিদ শ্যামল, সদস্য অ্যাডভোকেট এম আব্দুল্লাহ, পঞ্চগড় জেলা বিএনপির সদস্য আব্দুল আজিজ, জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সদস্য মাহবুবুল হাসান, ঢাকা ধামরাই পৌর-বিএনপির সভাপতি দেওয়ান নাজিম উদ্দিন মঞ্জু, চাঁপাইনবাবগঞ্জ শাখা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ আব্দুল মতিন ও জামালপুর জেলা বিএনপির সদস্য অ্যাডভোকেট হোসেন রেজা বাবু।
আরও পড়ুন: আ. লীগের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শাহজাহান ওমর
এর মধ্যে শাহজাহান ওমর বৃহস্পতিবার আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে ঝালকাঠি-১ আসন থেকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য মনোনয়নপত্র জমা দেন।
এর আগে ফরিদপুর-৪ আসন থেকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে নতুন নিবন্ধিত দল বিএনএমে যোগ দেন শাহ মোহাম্মদ আবু জাফর।
রাজশাহী-৩ আসনে মতিউর রহমান মন্টু, টাঙ্গাইল-৫ আসনে খন্দকার আহসান হাবীব, ঝালকাঠি-২ আসনে একেএম ফখরুল ইসলাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ আসনে সৈয়দ একে একরামুজ্জামান এবং ময়মনসিংহ-২ আসনে স্বতন্ত্র হিসেবে শাহ শহীদ সারোয়ার মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
এছাড়া, শেরপুর-১ আসনে এম আব্দুল্লাহ এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ থেকে আব্দুল মতিন বিএনএম রানার্স হিসেবে এবং শেরপুর-২ থেকে জায়েদুল রশিদ শ্যামল তৃণমূল বিএনপির প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে প্রার্থিতা জমা দিয়েছেন।
এদিকে, জামালপুর-১ আসনে মাহবুবুল হাসান, পঞ্চগড়-২ আসনে আবদুল আজিজ, ঢাকা-২০ থেকে দেওয়ান নাজিম উদ্দিন মঞ্জু স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
টাঙ্গাইল-৪ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করা মেয়ে শুল্কা সিরাজের পক্ষে প্রচারণা চালালে রাবেয়া সিরাজকে বিএনপি থেকে বহিষ্কার করা হয়।
আরও পড়ুন: মনোনয়নপত্র নেওয়ায় একরামুজ্জামান ও আবু জাফরকে দল থেকে বহিষ্কার
‘দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের’ অভিযোগে নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপিতে বহিষ্কার অব্যাহত
১১ মাস আগে
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি: সিইসি
আগামী ৭ জানুয়ারি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য তফসিল ঘোষণা করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।
বুধবার (১৫ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৭টায় জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে তিনি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন।
সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় প্রশাসনের অধীনে সাধারণ নির্বাচনের দাবিতে বিএনপি, জামায়াত ও সমমনা বিরোধী দলগুলোর ডাকা ৪৮ ঘণ্টার সড়ক, রেল ও নৌপথ অবরোধের মধ্যেই নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন সিইসি।
আরও পড়ুন: ২২ দল আয়-ব্যয়ের হিসাব জমা দেয়নি নির্বাচন কমিশনে
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা উপলক্ষে নির্বাচন কমিশন ভবনে তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
পুলিশ ছাড়াও নির্বাচন কমিশন ভবনের সামনে র্যাব ও আনসার সদস্য মোতায়েন করা হয়।
এর আগে সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছিলেন, সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্বাচন করতে নির্বাচন কমিশন বদ্ধপরিকর।
২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবিধান অনুযায়ী বর্তমান সরকারের মেয়াদ শেষ হবে ২০২৪ সালের ২৯ জানুয়ারি।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সারাদেশে ৪২ হাজার ১০৩টি কেন্দ্রে মোট ১১ কোটি ৯৬ লাখ ৯১ হাজার ৬৩৩ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: নির্বাচন কমিশন যথাসময়ে নির্বাচন করতে প্রস্তুত: সাহাবুদ্দিনকে সিইসি
১ বছর আগে