ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়ার মরদেহ সোমবার ঢাকায় পৌঁছেছে।
বিমানবন্দর আর্মড পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ জিয়াউল হক জানান, সকাল ৮টা ৪০ মিনিটের দিকে এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট নিউইয়র্ক থেকে ফজলে রাব্বির মরদেহ নিয়ে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায়।
সকাল সাড়ে ১০টার দিকে জাতীয় ঈদগাহ প্রাঙ্গণে তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
সশস্ত্র বাহিনীর একটি হেলিকপ্টারে করে দুপুর ১টা ৪০ মিনিটে তার মরদেহ ঢাকা থেকে গাইবান্ধার সাঘাটার বোনারপাড়া কাজী আজহার আলী উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে নিয়ে যাওয়া হবে।
আরও পড়ুন: ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া আর নেই
শেষ শ্রদ্ধা জানানোর জন্য তার মরদেহ সাঘাটা উপজেলার ভরতখালী উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে রাখা হবে সেখানে বিকাল ৩টার দিকে তার দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
এরপর তার মরদেহ গোটিয়া গ্রামে নিয়ে যাওয়া হবে, সেখানে আরেকটি জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
জাতীয় সংসদ সচিবালয় অনুসারে, বিকাল ৫টার দিকে সরকারের পক্ষ থেকে গার্ড অব অনার শেষে নিজ গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে দুই ছেলের কবরের পাশে ডেপুটি স্পিকারকে দাফন করা হবে।
আরও পড়ুন: ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়ার মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বি ২২ জুলাই নিউইয়র্কের মাউন্ট সিনাই হাসপাতালে বিকাল ৩টা ৫৫ মিনিটে (নিউইয়র্ক সময়) শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর।
১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় ১১ নম্বর সেক্টরে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেন তিনি।
গাইবান্ধা-৫ আসনের সংসদ সদস্য ফজলে রাব্বি মৃত্যুকালে তিন মেয়ে, আত্মীয়স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তার স্ত্রী আনোয়ারা রাব্বি ২০২০ সালের মে মাসে মারা যান।
তিনি একজন স্বনামধন্য সংগঠক ছিলেন এবং বিদেশে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে জনমত গড়তে অনেক অবদান রেখেছিলেন।
অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বি ১৯৮০ থেকে ৮১ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন ফর ভলান্টারি স্টেরিলাইজেশন (বিএভিএস), গাইবান্ধার চেয়ারপারসন ছিলেন।
আরও পড়ুন: ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বির মৃত্যুতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর শোক
তিনি তার নির্বাচনী এলাকায় বেশ কয়েকটি স্কুল, কলেজ ও মাদরাসা প্রতিষ্ঠা করেন।
ফজলে রাব্বি ১৯৪৬ সালের ১৬ এপ্রিল জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭৯- ৮৬ সাল পর্যন্ত গাইবান্ধা আইন কলেজের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ছিলেন তিনি। তিনি ১৯৭৮-৭৯ সাল পর্যন্ত গাইবান্ধা বার এর নির্বাচিত সম্পাদক ছিলেন।