মেছো বাঘ
মতলবে খাঁচায় বন্দি মেছো বাঘ, জনমনে আতঙ্ক
চাঁদপুরের মতলব উত্তরে একটি মেছো বাঘকে আটকে রাখা হয়েছে। বুধবার দিবাগত রাতে উপজেলার সাদুল্লাপুর ইউনিয়নের জামালপুর গ্রামে চৌধুরী বাড়ির নাজিম উদ্দিন চৌধুরীর পোলট্রি ফার্মে ফাঁদ পেতে বাঘটিকে আটক করা হয়। এরপর ওই ইউনিয়নের কালিপুর গ্রামের চৌধুরী বাড়িতে সংরক্ষণ করে রাখা হয়েছে।
মেছো বাঘের খবরে এলাকায় আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
ফাঁদ পাতার পরিকল্পনাকারী ব্রাদারস লেয়ার পোলট্রি খামারের পরিচালক নাজিম উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘দেখা যাচ্ছে, আমাদের পোল্ট্রি ফার্মে মুরগি দিন দিন কমে যাচ্ছে। বুঝতে পারলাম যে এখানে শিয়াল, বনবিড়াল বা মেছো বাঘ রয়েছে। কয়েকবার আবার আমরা মেছো বাঘও দেখতে পেয়েছিলাম। এমনিতে আমাদের দিন দিন প্রচুর লোকসানের মুখে পড়তে হচ্ছে। এরপরও আবার প্রতিদিনই ডিম দেয়ার লেয়ার মুরগি কমে যাচ্ছে। তাই কোন উপায় না পেয়ে ফাঁদ পাতার পরিকল্পনা করি।’
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় মেছো বাঘের ৩ শাবক উদ্ধার
তিনি বলেন, ‘এই ফাঁদ পাতার পরই প্রথমে গত আট মাস আগে একটি ছোট বাঘ, আর গত ১১ জানুয়ারি রাতে দ্বিতীয় বারের মতো আরও একটি ছোট বাঘ ধরতে সক্ষম হই। সাহস করে আমরা বাঘটিকে সংরক্ষণ করার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেই। সঙ্গে সঙ্গে খাঁচা বানিয়ে বাঘটিকে খাঁচায় রাখার সু-ব্যবস্থা করা হয়। নিয়মিতভাবে বাঘের প্রিয় খাদ্য মাংস দেয়া হচ্ছে।’
স্থানীয়রা জানান,বাঘটিকে ভালোভাবে চলাফেরার করার জন্য ইতোমধ্যে লোহার বাউন্ডারি দিয়ে একটি নিরাপদ বাসস্থানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এরপরও এলাকার অনেক মানুষ এখন বাঘ আতঙ্কে আছেন।
এ বিষয়ে মতলব উত্তর উপজেলা বন কর্মকর্তা মো. হাবিবুর রহমান ফরাজী বলেন, খবর পেয়ে লোক পাঠানো হয়েছে। রবিবার মেছো বাঘটিকে অবমুক্ত করা হবে। নতুবা এই মেছো বাঘটির যদি বাচ্চা থাকে, তাহলে তারা মারা যাবে। বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে সবার সহযোগিতা কাম্য।’
আরও পড়ুন: ফরিদপুরের মধুখালীতে মেছো বাঘ আটক
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) গাজী শরিফুল হাসান বলেন, ‘বন্যপ্রাণী বাড়িতে লালন পালন করা সরকারিভাবে কোন সুযোগ নেই। তাকে বনেই থাকতে হবে। তাকে ছেড়ে দিতে হবে। আমি ব্যাপারটি দেখছি।’
২ বছর আগে
ফের ফটিকছড়ির লোকালয়ে মেছো বাঘ
চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে ফের একটি মেছো বাঘ ধরা পড়েছে।
সোমবার রাতে উপজেলার আজিমনগর এনাম সওদাগর বাড়ির পার্শ্ববর্তী বিল থেকে স্থানীয়রা ওই মেছো বাঘটিকে ধরে। পরে তারা এটিকে বনবিভাগের কাছে হস্তান্তর করে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গত কয়দিন ধরে লোকালয়ে এসে বাঘটি অতর্কিতভাবে এলাকার মানুষের হাস-মুরগীর ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ছিল। সোমবার দিনে ওই বাড়ির কয়েকজন যুবক আম পাড়তে গিয়ে বিলের মধ্যে বাঘটিকে দেখতে পায়। দীর্ঘ কয়েক ঘণ্টা চেষ্টার পর রাতে মেছো বাঘটি ধরতে সক্ষম হয়।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় মেছো বাঘের ৩ শাবক উদ্ধার
এদিকে মেছো বাঘটি আটকের খবর দ্রুত এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে আশপাশের সাধারণ মানুষ একনজর দেখতে ছুটে আসে।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রাণীবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. মঞ্জুরুল কিবরিয়া বলেন, এটি একটি বিপন্ন প্রজাতির তালিকার প্রাণি। এগুলোকে মেছো বাঘ বা বনবিড়ালও বলা হয়ে থাকে। এরা সাধারণত নদীর ধারে, পাহাড়ি ছড়া ও জলাভূমির আশপাশে বাস করে। এদের প্রধান খাদ্য মাছ।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সায়োদুল আরেফীন বলেন, আমি বন বিভাগকে জানিয়েছি। তারা মেছো বাঘটি নিয়ে গেছে।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরের মধুখালীতে মেছো বাঘ আটক
এর আগে গত ১৩ এপ্রিল উত্তর নিচিন্তাপুর আজম তালুকদার বাড়িতে ৫/৬ টা মেছো বাঘ দেখা যায়। পরে একটি মেছো বাঘ স্থানীয়রা ধরতে সক্ষম হয়।
৩ বছর আগে
কুমিল্লায় মেছো বাঘের ৩ শাবক উদ্ধার
কুমিল্লা জেলার লাকসাম উপজেলার চানগাঁও নোয়াপাড়া গ্রাম থেকে স্থানীয়ভাবে ‘মেছো বাঘ’ নামে পরিচিত বিরল প্রজাতির তিনটি ফিশিং ক্যাট শাবককে উদ্ধার করে বন বিভাগের কাছে হস্তান্তর করেছে পুলিশ।
৪ বছর আগে
লৌহজংয়ের লোকালয়ে বাঘ!
মুন্সীগঞ্জ, ২৫ আগস্ট (ইউএনবি)- লৌহজং উপজেলার ফুলকঁচি গ্রামের লোকালয়ে সম্প্রতি দুটি বাঘ ঢুকে পড়েছে। এতে ওই গ্রামবাসীর মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
৫ বছর আগে