শনিবার রাতে লৌহজংয়ের ইউএনও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সত্যতা পেয়ে পুলিশ মোতায়েন করেন এবং বন বিভাগকে তলব করেন।
রাত সাড়ে ১১টায় লৌহজং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. কাবিরুল ইসলাম খান জানান, গ্রামটির মসজিদে মসজিদে মাইকিং করা হচ্ছে যে একা একা যাতে কেউ ঘর থেকে বের না হন। এছাড়া বাঘ থেকে সুরক্ষায় রাতে দলবদ্ধভাবে বের হওয়ার জন্য বলা হয়েছে।
ইউএনও জানান, এ ঘটনায় গ্রামে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সারা রাত পুলিশ টহল দিবে। এছাড়া রবিবার বন বিভাগের দায়িত্বশীলরা গ্রামটিতে আসবেন। তাদের অবগত করা হয়েছে। এছাড়া বাঘ দুটি হয়তো মেছো বাঘ হতে পারে। শনিবার সন্ধ্যার পরে লোকালয়ে আসলে গ্রামবাসীরা বাঘটিকে ধাওয়া দেয়। গ্রামবাসীরা মোবাইলে দূর থেকে বাঘের ছবিও তুলেছে। পরে গ্রামের জঙ্গলে বাঘ দুটি পালিয়ে যায়।
এ সময় ইউএনওর সাথে সহকারী কমিশনার (ভূমি) সৈয়দ মোরাদ আলী ছিলেন।
এই বাঘ প্রথম দেখা যায় শুক্রবার সন্ধ্যায়। গ্রামের লোকজন ধাওয়া দেয়ার পর পালিয়ে যায়। তাদের ধারণা ছিল বাঘ আর গ্রামে নেই। কিন্তু শনিবার আবার বাঘ লোকালয়ে বিচরণ শুরু করে। এতে এলাকায় বাঘ আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরে ইউএনও ঘটনাস্থলে এসে গ্রামবাসীর সাথে খোলামেলা কথা বলে তাদের আশস্ত করেন।