গ্রাম
সুনামগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, প্লাবিত শতাধিক গ্রাম
উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও ভারী বৃষ্টিতে সুনামগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। এতে করে প্লাবিত হয়েছে শতাধিক গ্রাম। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে লাখ মানুষ।
এছাড়া চরম দুর্ভোগ ও ভোগান্তিতে পড়েছে সুনামগঞ্জের সাধারণ মানুষ।
এদিকে সুনামগঞ্জে নদীর পানি কমলেও বাড়ছে হাওরের পানি। বাড়ি-ঘরে পানি প্রবেশ করায় অনেকেই উঠেছে আশ্রয়কেন্দ্রে।
জানা যায়, তেঘরিয়া, বড়পাড়া, পশ্চিম হাজিপাড়া, কালিপুর, মল্লিকপুর, হাছননগর, শান্তিবাগ, ধোপাখালি, ষোলঘর, নবীনগর, বাঁধনপাড়া, কাজির পয়েন্ট, ওয়েজকালী সুলতানপুরসহ সবকটি পাড়া-মহল্লার বাড়ি-ঘরে পানি প্রবেশ করেছে।
এছাড়া শহরের মধ্যবাজার, কাঁচাবাজার বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে।
আরও পড়ুন: টেকনাফে ভারী বৃষ্টিতে ৫০ হাজার মানুষ পানিবন্দি
বড়পাড়া এলাকার বাসিন্দা মাফুজ আলী বলেন, আমার বাসায় পানি ঢুকে পড়েছে। বাসার আসবাবপত্রসহ জরুরি জিনিস গুছিয়ে অন্যত্র চলে যাচ্ছি।
ওয়েজকালী এলাকার বাসিন্দা জালালি বলেন, আমার বাসায় পানি উঠেছে। ঘরবন্দি আছি।
মোহনপুর ইউনিয়নের খামারি তৈয়বুর বলেন, আমার খামারে পানি ঢুকে পড়েছে। পুকুরের সব মাছ ভেসে গেছে। এলাকার মানুষ পানিবন্দি আছেন।
সুনামগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক বিমল চন্দ্র সোম বলেন, ২০০ হেক্টর আউশ ধানের ক্ষতি হয়ে গেছে। পানি কমে গেলে দেড় কোটি টাকার ধান উৎপাদন হতো।
মৎস্য কর্মকর্তা শামসুল করিম বলেন, জেলার দুই হাজার পুকুরের মাছ ভেসে গেছে। টাকার অংকে অনুমান পাঁচ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।
সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার বলেন, সুনামগঞ্জ পৌর শহরে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে সুরমার পানি প্রবাহিত হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, সুনামগঞ্জে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে, সেজন্য পানি বিপৎসীমার ওপরে থাকতে পারে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রাশেদ ইকবাল চৌধুরী বলেন, ভারী বৃষ্টিতে সুনামগঞ্জের কিছু পয়েন্টে নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে। বিশেষ করে ছাতক, সুনামগঞ্জ ও বিশ্বম্ভরপুর পয়েন্টে সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করে প্রবাহিত হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, শহরের কিছু জায়গা প্লাবিত হয়েছে। জেলায় আমরা ৫১৬টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রেখেছি। যাদের প্রয়োজন তারা আশ্রয়কেন্দ্রে যাচ্ছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতা করা হচ্ছে।
এদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ড ও আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী নদীর পানি বৃদ্ধি পেতে পারে সেজন্য সবাইকে সতর্ক থাকার অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, ছাতক, দোয়ারাবাজার, সদর বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়াও বিশ্বম্ভরপুর, তাহিরপুর আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
আরও পড়ুন: হবিগঞ্জে নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার উপরে, আশ্রয়কেন্দ্রে ৫৫ পরিবার
সিলেট-সুনামগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে, আরও ৩ জেলায় বন্যার আশঙ্কা
৫ মাস আগে
অবকাঠামো উন্নত হওয়ায় শহরের সুবিধা গ্রামে পৌঁছানো সহজ হয়েছে: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর দেশের গ্রামীণ রাস্তাঘাটসহ বিভিন্ন অবকাঠামো উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রেখেছে। তাছাড়া এলজিইডি সম্পাদিত বিভিন্ন প্রকল্পের গুণগত মান এখন অনেক বেড়েছে। ফলে শহরের বিভিন্ন সুবিধা এখন সহজেই গ্রামের মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া সম্ভব। দেশের অর্থ-সামাজিক উন্নতিতে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের অবদান তাই অনস্বীকার্য।
বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরে এলজিইডির বাস্তবায়নাধীন উন্নয়ন কাজের অগ্রগতি এবং প্রশাসনিক বিষয়ে এক মত বিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: সমবায় শক্তিকে কাজে লাগাতে পারলে দেশের আমূল পরিবর্তন সম্ভব: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
তাজুল ইসলাম বলেন, যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হওয়ার ফলে আজকাল গ্রামে বসেই ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে যুবসমাজের আয়ের অনেক সুযোগ তৈরি হয়েছে। এতে মানুষের শহরমুখী হওয়ার প্রবণতা যেমন কমেছে, সঙ্গে গ্রামের অর্থনীতিও শক্তিশালী হচ্ছে।
মন্ত্রী এ সময় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের বিভিন্ন কাজের গুণগতমান বজায় রাখতে দেশের অর্ধেক উপজেলা পর্যায়ে ল্যাবরেটরি স্থাপন করা হয়েছে জানিয়ে বলেন, শিগগিরই বাকি উপজেলাগুলোতে ল্যাবরেটরি স্থাপন করা হবে, যাতে বিভিন্ন কাজের মান ঠিক থাকে।
তিনি এ সময় গ্রামের বিভিন্ন রাস্তার লোড ক্ষমতা বাড়ানোর নির্দেশনা দিয়ে বলেন, গ্রামের অর্থনীতি শক্তিশালী হওয়ার ফলে গ্রামের রাস্তাঘাটেও এখন ভারী যানবাহন চলাচল করার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। তাই ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে এখন থেকেই আমাদের সে অনুযায়ী অবকাঠামো ও রাস্তাঘাট তৈরি করতে হবে। তবে কখনো কখনো ব্যয় সংকোচন নীতি নিতে গিয়ে অল্প পরিমাণ টাকার জন্য কাজের গুণগতমান যাতে নষ্ট না হয় সে বিষয়ের উপর গুরুত্বারোপ করেন মন্ত্রী।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী এ সময় চলমান বিভিন্ন প্রকল্প নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শেষ করার তাগিদ দিয়ে বলেন, নতুন প্রকল্প নেওয়ার আগে সম্ভাব্যতা যাচাই করে নিতে হবে। তিনি এ সময় বিভিন্ন প্রকল্পে বিদেশি অর্থায়নের বিষয়ে বলেন, বিভিন্ন প্রকল্পে বিদেশি অর্থায়ন পেলে তা আমাদের অর্থনীতির জন্য লাভজনক হয়।
আরও পড়ুন: উপজেলা নির্বাচনে দলীয় প্রতীক না থাকলে আইনের ব্যত্যয় ঘটবে না: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
উপজেলা নির্বাচনে দলীয় প্রতীক না থাকলে আইনের ব্যত্যয় ঘটবে না: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
৯ মাস আগে
গ্রামে নগরায়নের ছোঁয়া, খুলনায় মিলছে না খেজুরের রস
কুয়াশার দখলে তখনো সকাল। ঘুম ভাঙেনি সূর্যের। শেষ হয়নি আলো-আঁধারির যুদ্ধও। মাঠের কোণায় একটি ছায়ামূর্তি দেখা যায়। দূর থেকে ভেসে আসে ‘র-অ-অ-অ-স খেজুরের রস’। ধীরে ধীরে দৃশ্যমান হয় অবয়ব। কাঁধের ভারের দুই পাশে দুটি মাটির কলস ঝুলছে। প্রত্যাশিত সেই মুখ দেখেই শিশু-কিশোররা ‘দে ছুট’। কারো হাতে জগ কারো হাতে পাতিল। পাখিদের সঙ্গে মিশে যায় শিশু-কিশোরের কোলাহল। মুখর হয়ে উঠে বাড়ির উঠান। শীতের বাংলায় অতি পরিচিত এ দৃশ্য।
মৌসুম শুরুর আগেই প্রস্তুতি নিতে থাকেন গাছিরা। কে কত আগে গাছ প্রস্তুত করতে পারেন, কার গাছ কত ভালোভাবে চাঁচ দেওয়া হলো এসব নিয়ে আলোচনা চলে নিজেদের মধ্যে।
তবে বর্তমানে চিরায়ত সেসব দৃশ্য চোখে পড়ে না খুব সহজেই। খুলনা অঞ্চলে হারিয়ে যেতে বসেছে সুস্বাদু খেজুরের রস। নতুন প্রজন্মের এসব দৃশ্য অনেকটাই অপরিচিত। অনেকেই বঞ্চিত হচ্ছে খেজুরের রসের স্বাদ থেকে।
খেজুর গাছ কাটার পেশায় জড়িতরা পেশা বদল করে চলে যাচ্ছে অন্য পেশায়। সে কারণে খুলনায় ঐহিত্যবাহী খেজুরের রস এখন সোনার হরিণ। শিশির পড়া সকালে কম্বল পেঁচিয়ে বিছানার উপর থেকে আর শোনা যায় না খেজুরের রস বিক্রির ডাক-হাক।
সেই সঙ্গে প্রায় হারিয়ে গেছে রাত জেগে খেজুর রসের সেই পিঠা, পায়েস বানানোর সময় বৌ-ঝিদের মিলনমেলা। খুলনায় খানিকতটা ভাটা পড়েছে উৎসবের আনন্দে।
আরও পড়ুন: খেজুরের রস কাঁচা না খাওয়ার পরামর্শ খুলনার সিভিল সার্জনের
১০ মাস আগে
ঘুর্ণিঝড়ে লণ্ডভণ্ড ফরিদপুরের কয়েকটি গ্রাম
ফরিদপুরের সালথা ও আলফাডা উপজেলার কয়েকটি গ্রামে ঘূর্ণিঝড়ে অন্তত বসতঘর বিধ্বস্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার আগে উপজেলার বল্লভদী ইউনিয়নের সানাতুদী গ্রামে এই ঝড় হয়। এতে অসংখ্য গাছপালা ভেঙে ও উপড়ে পড়েছে। অনেক জায়গায় সড়কের উপরে গাছ পড়ে যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে। বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে অন্ধকার হয়ে যায় পুরো গ্রাম।
আরও পড়ুন: ভোলায় টর্নেডোর আঘাতে লণ্ডভণ্ড শতাধিক ঘর-বাড়ি, আহত ১৫
স্থানীয় বাসিন্দা দেলায়ার হোসেন জানান, টানা বৃষ্টির মধ্যে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার আগে সানাতুদী গ্রামে ভয়াবহ ঝড় আঘাত হানে। প্রচণ্ড বেগে মাত্র তিন মিনিটের ঝড়ের আঘাতে গ্রামের লিটু মুন্সী, ফারুক মুন্সী, মুরাদ মুন্সী, দবির মুন্সী, কাইউম মুন্সী, কামাল ঠাকুর, জামাল ঠাকুর, জমিলা বেগম, নিরু বেগম, ছানা কাজী, আতি কাজী ও হাফেজ মাসগির মুন্সির অন্তত ১৮টি বসতঘর বিধস্ত হয়। এ ছাড়া গাছপালা ভেঙে ব্যাপক ক্ষতি হয়। ক্ষতিগ্রস্তরা প্রায় সবাই কৃষক।
ঝড়ের সময় ওই গ্রামের বিধবা লিপি বেগমের একমাত্র সম্বল সেমিপাকা একটি বসতঘরের ওপর বিশাল একটি গাছ পড়ে লণ্ডভণ্ড হয়ে যায়। এ সময় লিপি বেগম বাথরুমে আশ্রয় নেন প্রাণে বাঁচতে। অসংখ্য গাছপালা ভেঙে সড়কের ওপর চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে গ্রামে বিদ্যুৎ সঞ্চালন বন্ধ হয়ে গেছে।
স্থানীয় বল্লভদী ইউপি চেয়ারম্যান খন্দকার সাইফুর রহমান শাহিন ঝড়ে গ্রামবাসীর ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করে উপজেলা পরিষদের কাছে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে, একইদিন বিকাল সোয়া ৩টার দিকে আলফাডাঙ্গা উপজেলার সদর ইউনিয়নের বিদ্যাধর, ব্রাহ্মণ-জাটিগ্রাম, বেজিডাঙ্গা ও টগরবন্দ ইউনিয়নের মালা, কৃষ্ণপুর-টগরবান, তিতুরকান্দি গ্রামে ঘুর্ণিঝড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়।
আরও পড়ুন: বন্যায় লণ্ডভণ্ড সিলেট-ছাতক রেলপথ
১ বছর আগে
৫১ বছর পর স্বপ্নপূরণ কাঁঠালিয়াবাসীর
চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার পশ্চিম সহদেবপুর ইউনিয়নের একটি প্রত্যন্ত ও নিভৃত গ্রাম কাঁঠালিয়া। গ্রামটিতে স্বাধীনতার ৫১ বছরেও নেই চলাচলের কোনো সড়ক।
বর্ষা মৌসুমে গ্রামের প্রসূতি, অসুস্থ বৃদ্ধ-বৃদ্ধা, শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষের যাতায়াতে সীমাহীন কষ্ট ছিল নিত্যদিনের সঙ্গী।
বছরের পর বছর এমন কষ্টকে বুকে চাপা দিয়ে নতুন সড়ক নির্মাণের স্বপ্ন দেখছিলেন এ গ্রামের হাজারও বাসিন্দা। অবশেষে স্বাধীনতার ৫১ বছর পর চাঁদপুরের কচুয়া ও মতলব দক্ষিণ উপজেলার সীমান্তবর্তী কাঁঠালিয়া গ্রামের মানুষের দীর্ঘ দিনের স্বপ্ন পূরণ হয়েছে।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে ৩৯টি লবণ মিলই বন্ধ, বেকার হাজারো দিনমজুর
বৃহস্পতিবার বিকালে কাঠাঁলিয়া গ্রামে নবনির্মিত ওই সড়ক পরিদর্শন শেষে স্থানীয় এলাকাবাসীর সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মহিউদ্দীন খান আলমগীর। তিনি বলেন, কাঠাঁলিয়া গ্রাম আমার নিজের গ্রাম মনে করে এখানে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপন, ব্রিজ নির্মাণ, অগ্রাধিকার ভিত্তিতে শিক্ষিত যুবক-যুবতীদের চাকরি প্রদানসহ যাবতীয় উন্নয়ন করা হবে বলে প্রতিশ্রুতি দেন।
স্থানীয়রা জানান, পাশ্ববর্তী মতলব দক্ষিণ উপজেলার টেমাই ও ঘোড়াধারী গ্রামের কিছু জমির মালিক তাদের জায়গার ওপর দিয়ে সড়ক নির্মাণে বাধা দেয়ায় দীর্ঘদিন এ সমস্যা বিরাজ করছিল। অবশেষে দুই উপজেলার জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের সহযোগিতায় পৃথক পৃথক বৈঠক শেষে সড়কটি নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে।
১ বছর আগে
ফুটবল খেলা নিয়ে দ্বন্দ্ব, ইজিবাইক চালককে পিটিয়ে হত্যা
ফুটবল খেলা নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে মাগুরায় ইজিবাইক চালককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
শনিবার সন্ধ্যায় সদর উপজেলার পাকাকাঞ্চনপুর গ্রামে মসজিদের সামনে তার ওপর হামলার ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: গাইবান্ধায় চুরির অভিযোগে যুবককে পিটিয়ে হত্যা
পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত সাড়ে ৯টার দিকে মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।
জনাব আলী (৪৭) ওই গ্রামের গোলাম আকবর বিশ্বাসের ছেলে।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান জানান, বিশ্বকাপ ফুটবল খেলা নিয়ে ১৫-২০ দিন আগে পাকাকাঞ্চনপুর গ্রামের ইজিবাইক চালক জনাব আলীর সঙ্গে পাশের গ্রাম কাঞ্চনপুরের সরোয়ার ফকিরের ছেলে মিজানুর রহমানের বিরোধের সৃষ্টি হয়।
এর জের ধরে শানিবার সন্ধ্যায় জনাব আলীর ওপর হামলা হয়।
সে সময় তিনি ইছাখাদা বাজার থেকে ইজিবাইক চালিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। পথে মিজানুর রহমান ও তার সঙ্গীরা পথরোধ করেন।
পরে ইজিবাইক থেকে নামিয়ে তাকে রড ও বাঁশের লাঠি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে।
পরে স্থানীয়রা জনাব আলীকে মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত সাড়ে ৯টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
ওসি আরও জানান, অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। অন্যদিকে লাশের ময়না তদন্ত ও এ ঘটনায় সদর থানায় মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
আরও পড়ুন: কেরানীগঞ্জে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
১ বছর আগে
কুষ্টিয়ার সেই পুরুষ শূন্য গ্রাম থেকে ৩৫টি দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার, আটক ২
কুষ্টিয়ার সেই পুরুষ শূন্য গ্রাম থেকে ঢাল, হাঁসুয়া, বল্লমসহ মোট ৩৫টি দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার সদকী ইউনিয়নের চরপাড়া গ্রামে অভিযান চালিয়ে পুলিশ এসব অস্ত্র উদ্ধার করে। এ সময় দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন- কুমারখালী পৌরসভার এক নম্বর ওয়ার্ড বাটিকামারা এলাকার মো. মনির হোসেনের ছেলে মো. ফাহিম হোসেন (২৫) ও নন্দনালপুর ইউনিয়নের পুরাতন চুড়াইকোল এলাকার নজরুল ইসলামের ছেলে গালিব আশরাফ ওরফে সেতু (৩০)।
আরও পড়ুন:পিস্তল-গুলিসহ কুষ্টিয়ায় ছাত্রদল নেতা আটক
কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান তালুকদার শনিবার দুপুরে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, পুরুষ শূন্য চরপাড়া গ্রামে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাতে পুলিশ অভিযান চালায়। অভিযানে ৩৫টি দেশীয় অস্ত্রসহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, জব্দ করা অস্ত্রগুলো আগের মামলার আলামত হিসেবে দেখানো হয়েছে। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের অজ্ঞাতনামা আসামি হিসেবে শনাক্তপূর্বক গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে সোপার্দ করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে ২০২০ সাল থেকে চরপাড়ায় আধিপত্য বিস্তার শুরু হয়। এক পক্ষের নেতৃত্ব দেন দুলাল মিস্ত্রি। অপর পক্ষের নেতৃত্ব দেন সাবেক ইউপি সদস্য আনসার আলী। ২০২০ সালের ৬ মে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে দুলাল মিস্ত্রির সমর্থক হুমায়ুন মন্ডলকে (৪৪) কুপিয়ে হত্যা করে প্রতিপক্ষরা। এ ঘটনায় নিহতের ছোট ভাই সাইদুল ইসলাম বাদী হয়ে কুমারখালী থানায় ৩৬ জনের নামের একটি মামলা করেছিলেন। মামলা নম্বর ৯।
এরপর গত সোমবার বদলা নিতে হুমায়ুন হত্যা মামলার ৪ নং আসামি সেলিমকে কুপিয়ে হত্যা করে প্রতিপক্ষরা। এ হত্যাকাণ্ডে নিহতের ভাই শাহীন আলী থানায় ২৯ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। মামলা নম্বর ২।
জানা গেছে, হত্যা পাল্টা হত্যাকাণ্ডের ঘটনাকে কেন্দ্র করে উভয়পক্ষ হামলা ও মামলার শিকার হয়েছেন। গ্রামের প্রায় প্রতিটি বাড়ি-ঘরেই ভাংচুরের ক্ষত চিহৃ রয়েছে।
বর্তমানে গ্রামটি বলা চলে এক প্রকার পুরুষ শূন্য।
আরও পড়ুন:কুষ্টিয়ায় ট্রেনে ঢিল ছুঁড়ে যুবক কারাগারে
কুষ্টিয়ায় বয়লার মেশিন থেকে পড়ে শ্রমিকের মৃত্যু
২ বছর আগে
বিভিন্ন গ্রামে আজ ঈদ উদযাপন
সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে সাতক্ষীরা, ফরিদপুর, বরিশাল ও চাঁদপুর জেলার বেশ কয়েকটি গ্রামের বাসিন্দারা শনিবার পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপন করছেন।
সৌদি আরবসহ বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশে শনিবার উদযাপিত হচ্ছে কোরবানির উৎসব। তবে বাংলাদেশে রবিবার ঈদ উদযাপনের কথা রয়েছে।
সাতক্ষীরায় বাউখোলাসহ সদর উপজেলার ২০টি গ্রামের মানুষ ঈদ উদযাপন শুরু করেছেন।
এদিন সকাল ৮টায় সাতক্ষীরা সদরের বাউখোলা পূর্বপাড়া জামে মসজিদে প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়। ইমাম মহব্বত আলী অল্প সংখ্যক মুসল্লিদের নিয়ে জামাত পরিচালনা করেন।
ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার ১০টি গ্রামের হাজারো মানুষ সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে মুসলমানদের দ্বিতীয় বৃহত্তম উৎসব ঈদুল আজহা উদযাপন করছেন।
আরও পড়ুন: সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে ঈদ শনিবার
শেখর ইউনিয়নের সহসরাইল, মাইটকোমরা, রাখালতলী, গঙ্গানন্দপুর, বড়গাঁ, দুর্গাপুর এবং রূপাপাত ইউনিয়নের কাটাগড় ও কলিমাঝির মুসলমানরা ঈদ উদযাপনের সময় সৌদি আরব ও মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশ অনুসরণ করেন।
প্রতি বছরের মতো এবারও উপজেলার রাখালতলী, মাইটকোমরা ও সহসরাইলে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।
চাঁদপুরে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে শনিবার জেলার ৪০টি গ্রামের বাসিন্দারা ঈদ উদযাপন করছেন।
আজ সকালে হাজীগঞ্জ উপজেলার সাদ্রা গ্রামের সাদ্রা সিনিয়র মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
বরিশালে জেলার ছয় উপজেলার কয়েকটি গ্রামে আগাম ঈদ উদযাপিত হচ্ছে।
সকাল ৮টা থেকে ৯টা পর্যন্ত বাবুগঞ্জ, হিজলা, মেহেন্দিগঞ্জ, বাকেরগঞ্জ ও বরিশাল মহানগরীর তিন এলাকার প্রায় ২০ হাজার মুসল্লি ঈদের নামাজ আদায় করেন।
বরিশাল নগরীর শাহ সুফি জাহাগিরি মসজিদের সভাপতি আমিনুদ্দিন কালু বলেছেন, তারা সরকারের নির্দেশনা মেনে এবং করোনার স্বাস্থ্যবিধি সংক্রান্ত সব প্রোটোকল বজায় রেখে তাদের ঈদের জামাত আয়োজন করেছেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ঈদুল আযহার প্রধান জামাত সকাল পৌনে ৮টায়
স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঈদুল আযহা উদযাপনের আহ্বান মন্ত্রণালয়ের
২ বছর আগে
জৈন্তাপুরে নদী ভাঙনের কবলে কয়েক গ্রামের বাসিন্দা
সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার নয়াগাং ও সবুড়ী নদীর অব্যাহত ভাঙ্গনে নদীগর্ভে বিলীন চলাচলের রাস্তা ও বাড়িঘর সহ ফসলি জমি।
নদী ভাঙ্গনে বাউরভাগ, মল্লিফৌদ, কাটাখাল ও লামনী গ্রামের গ্রামীণ রাস্তাসহ শতাধিক বাড়ী সহ কয়েক হাজার একর ফসলি জমি হুমকির মুখে রয়েছে। নদীর সর্বগ্রাসী ভাঙ্গনে কাটাখাল রাস্তার দেড় কিলোমিটার নদী গর্ভে বিলিন হয়েছে।
সরেজমিনে নদী ভাঙ্গনের খোঁজ নিয়ে এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, নদীর তীরবর্তী মোয়াখাই, লামনী, কাটাখাল, মল্লিফৌদ গ্রামগুলো রক্ষা করতে জরুরী ভাবে ব্লক স্থাপন প্রয়োজন। নতুবা পুনরায় বন্যা দেখা দিলে এসব এলাকার মানুষ সীমাহীন ক্ষয়ক্ষতির শিকার হবে এবং ফসলী জমি চলে যাবে নদী গর্ভে। ইতোমধ্যে কাটাখাল গ্রামের প্রায় দেড় কিলোমিটার রাস্তা নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে।
আরও পড়ুন: সিলেটে বন্যার পরিস্থিতির উন্নতি, গ্রামাঞ্চলে অপরিবর্তিত
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নদীর উভয় পাশে অন্তত দুই হাজার মানুষের বসতবাড়ি ও তাদের ধানের ফসলি জমি রয়েছে। নদী ভাঙ্গনের শিকার হয়ে বসতভিটা ছেড়ে পরিবার পরিজন নিয়ে অন্য স্থানে চলে যাচ্ছে অনেকেই। গ্রামবাসী নদী ভাঙ্গনের হাত থেকে গ্রামের মানুষকে রক্ষা করতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের স্থায়ী ভাবে নদী তীরবর্তী ব্লক স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহনের দাবী জানান।
এলাকাবাসী জানান, ওয়াপদা বেড়ী বাঁধের কারনে নয়াগাং নদীর পানি স্বাভাবিক গতির চেয়ে বেশি গতিতে প্রবাহ হচ্ছে। ফলে নদীর প্রবল স্রোত এবং দীর্ঘ সময়ে নদীতে পানি থাকায় নদী তীরবর্তী মানুষের বসতভিটা, চলাচলের রাস্তাঘাট ভাঙ্গনের মুখে পড়েছে।
এলাকার বাসিন্দা আলহাজ্ব ফরিদ উদ্দিন আহমদ বলেন, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ জৈন্তাপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা হওয়ায় জনগণের প্রত্যাশা তিনি শিগগির নদী ভাঙ্গনের কবল হতে মানুষের বসতবাড়ি, ফসলি জমি, চলাচলের রাস্তা রক্ষায় এগিয়ে আসবেন।
আরও পড়ুন: সিলেটে কমছে বন্যার পানি, বাড়ছে পানিবাহিত রোগের ঝুঁকি
২ বছর আগে
মুন্সীগঞ্জের ১০ গ্রামে সহিংসতায় ৫ গুলিবিদ্ধসহ আহত ১৫
মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার মোল্লাকান্দি ইউনিয়নের ১০ গ্রামে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে সোমবার পাঁচ গুলিবিদ্ধসহ ১৫ জন আহত হয়েছে।
গুলিবিদ্ধ মুন্সীকান্দি গ্রামের সেরাজুল ব্যাপারী (৬৫) ও কংসপুরা গ্রামের হানিফ মোল্লাকে (৩৮) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। গুলিবিদ্ধ কংসপুরার কামাল হোসেন (২৮), চরডুমুরিয়া গ্রামের মতিন ঢালী (৩০), রাজারচর গ্রামের মোহম্মদ হোসেন (১৬) এবং আহত পূর্ব মাকহাটি গ্রামের সাজেদা বেগমকে (৭৫) মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকি আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এই সময় পাঁচটি বাড়ি ভাংচুর করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
ইউনিয়নটির মহেশপুর, পূর্ব মাকহাটি, মধ্যমাকহাটি, কংপুরা, রাজারচর, চরডুমুরিয়া, চৈতার চর, আমঘাটা মুন্সীকান্দি ও বেহেরকান্দি গ্রামে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে।
আরও পড়ুন: জমি নিয়ে বিরোধ: শৈলকুপায় দু’পক্ষের সংঘর্ষে আহত ১৫
পুলিশ জানায়, ইউপি নির্বাচনের বিরোধ নিয়ে সাবেক চেয়ারম্যান ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মহসিনা হক কল্পনা ও বর্তমান চেয়ারম্যান ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক রিপন পাটেয়ারী গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘ দিন ধরে বিরোধ চলে আসছে।
মহসিনা হক কল্পনা দাবি করেন মাকহাটি জেসি উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনকে সামনে রেখে এক তরফা ভোট করতে রিপন পাটেয়ারীর লোকজন পরিকল্পিতভাবে তার সমর্থকদের ওপর আক্রমণ চালিয়ে গুলি বর্ষণ, ককটেল বিস্ফোরণ, লাঠিপেটা, বাড়িঘর ভাংচুর এবং লুটপাট চালায়।
এতে অনেকেই বাড়ি ঘর ছেড়ে পালিয়েছে। অন্যদিকে রিপন পাটোয়ারী এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, মহসিনা হক কল্পনার লোকজনই সহিংসতার সঙ্গে জড়িত।
মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বক্কর সিদ্দিক জানান, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে রিপন পাটোয়ারীর লোকজন হামলা চালালে সহিংসতা হয়। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এখন পরিস্থিতি শান্ত।
আরও পড়ুন: নিউমার্কেটে সংঘর্ষ: আরও দুই দোকানকর্মী গ্রেপ্তার
মোহনগঞ্জে নামাজ পড়াকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে নিহত ১, আটক ৩
২ বছর আগে