মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার মোল্লাকান্দি ইউনিয়নের ১০ গ্রামে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে সোমবার পাঁচ গুলিবিদ্ধসহ ১৫ জন আহত হয়েছে।
গুলিবিদ্ধ মুন্সীকান্দি গ্রামের সেরাজুল ব্যাপারী (৬৫) ও কংসপুরা গ্রামের হানিফ মোল্লাকে (৩৮) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। গুলিবিদ্ধ কংসপুরার কামাল হোসেন (২৮), চরডুমুরিয়া গ্রামের মতিন ঢালী (৩০), রাজারচর গ্রামের মোহম্মদ হোসেন (১৬) এবং আহত পূর্ব মাকহাটি গ্রামের সাজেদা বেগমকে (৭৫) মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকি আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এই সময় পাঁচটি বাড়ি ভাংচুর করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
ইউনিয়নটির মহেশপুর, পূর্ব মাকহাটি, মধ্যমাকহাটি, কংপুরা, রাজারচর, চরডুমুরিয়া, চৈতার চর, আমঘাটা মুন্সীকান্দি ও বেহেরকান্দি গ্রামে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে।
আরও পড়ুন: জমি নিয়ে বিরোধ: শৈলকুপায় দু’পক্ষের সংঘর্ষে আহত ১৫
পুলিশ জানায়, ইউপি নির্বাচনের বিরোধ নিয়ে সাবেক চেয়ারম্যান ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মহসিনা হক কল্পনা ও বর্তমান চেয়ারম্যান ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক রিপন পাটেয়ারী গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘ দিন ধরে বিরোধ চলে আসছে।
মহসিনা হক কল্পনা দাবি করেন মাকহাটি জেসি উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনকে সামনে রেখে এক তরফা ভোট করতে রিপন পাটেয়ারীর লোকজন পরিকল্পিতভাবে তার সমর্থকদের ওপর আক্রমণ চালিয়ে গুলি বর্ষণ, ককটেল বিস্ফোরণ, লাঠিপেটা, বাড়িঘর ভাংচুর এবং লুটপাট চালায়।
এতে অনেকেই বাড়ি ঘর ছেড়ে পালিয়েছে। অন্যদিকে রিপন পাটোয়ারী এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, মহসিনা হক কল্পনার লোকজনই সহিংসতার সঙ্গে জড়িত।
মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বক্কর সিদ্দিক জানান, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে রিপন পাটোয়ারীর লোকজন হামলা চালালে সহিংসতা হয়। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এখন পরিস্থিতি শান্ত।