নির্বাচিত সরকার
নির্বাচন যত দেরি হবে, দেশ তত পিছিয়ে যাবে: সিলেটে মির্জা ফখরুল
নির্বাচিত সরকারের চেয়ে কোনো সরকার শক্তিশালী হতে পারে না উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, নির্বাচন যত দেরি হবে, দেশ তত পিছিয়ে যাবে।
তিনি বলেন, এতে বিনিয়োগ থেমে যাবে, নারী-শিশুর নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়বে, বিচার ব্যবস্থা ভেঙে পড়বে, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতিরা চরম অবনতি ঘটবে। জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার এখন দেশে প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেন তিনি।
সোমবার (৭ জুলাই) বিকাল ৩টায় নগরীর একটি হোটেল মিলনায়তনে সিলেট জেলা বিএনপি আয়োজিত জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে শহীদ, তাদের পরিবার-পরিজনের প্রতি সম্মানে একটি বিশেষ স্মরণ ও সম্মাননা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এমনিতেই হাসিনা পালিয়ে যায়নি। বহু মানুষের আত্মত্যাগ, রক্ত, সংগ্রামের মধ্য দিয়ে আমরা ফ্যাসিবাদমুক্ত হয়েছি। আমরা গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করেছি। আমরা এমন একটি রাষ্ট্র চাই, যেখানে জনগণ মত প্রকাশে স্বাধীন থাকবে, নারীরা নিরাপদে চলাফেরা করতে পারবে, তরুণরা কর্মসংস্থান পাবে, জনগণ চিকিৎসার সুযোগ পাবে—এমন একটি কল্যাণমুখী বাংলাদেশ গঠনের লক্ষ্যে আমরা নতুন করে আন্দোলন শুরু করেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই আন্দোলনের নেতৃত্বে রয়েছেন দেশনায়ক তারেক রহমান। আমাদের প্রিয় নেত্রী, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এখনও অসুস্থ অবস্থায় আমাদের প্রেরণা ও পরামর্শ দিয়ে চলেছেন। এখন আর কেবল কথার রাজনীতি নয়, এখন সময় কাজের। ত্যাগ ও রক্তের মধ্য দিয়ে আমরা ফ্যাসিস্ট শাসনের অবসান ঘটিয়েছি। গত ১৫ বছরে এই শাসকগোষ্ঠী প্রায় বিশ হাজার মানুষকে হত্যা করেছে। শুধু গত জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে ৩৬ দিনের মধ্যে দুই হাজার মানুষ শহীদ হয়েছেন। শহীদ পরিবারের পাশে দাঁড়ানো আমাদের নৈতিক ও রাজনৈতিক দায়িত্ব। তাদের পুনর্বাসন, সন্তানদের শিক্ষার নিশ্চয়তা ও ভবিষ্যতের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।’
আরও পড়ুন: আগামী ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের আশা মির্জা ফখরুলের
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘তারেক রহমানের নেতৃত্বে একটি নতুন, উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে, যেখানে সবার জন্য সমান সুযোগ থাকবে। আমরা একটি অংশগ্রহণমূলক, অর্থবহ নির্বাচন চাই—যে নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে।’
সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ও ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা তাহসিনা রুশদীর লুনা, ড. এনামুল হক চৌধুরী, খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির, এম. এ. মালিক ও ডা. সাখাওয়াত হাসান জীবন, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক জি কে গউস, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক কলিম উদ্দিন মিলন ও মিফতাহ্ সিদ্দিকী, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য নিপুণ রায় চৌধুরী, আবুল কাহের চৌধুরী শামীম ও মিজানুর রহমান চৌধুরী, সিলেট মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল হাসান কয়েস লোদী প্রমুখ।
১৫০ দিন আগে
অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে নির্বাচিত সরকার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ: মির্জা ফখরুল
দেশের ধীরগতির অর্থনীতিকে পুনরুদ্ধারের জন্য একটি বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকার গঠনের প্রয়োজনীয়তার উপর গুরুত্বারোপ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, ‘দেশের অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের জন্য নির্বাচিত সরকারের বিকল্প নেই।’
সোমবার (৩০ জুন) বিএনপির গুলশান কার্যালয়ে বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএমএ) সভাপতি শওকত আজিজ রাসেলের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
ফখরুল বলেন, বিএনপি একটি অবাধ, সুষ্ঠু এবং গ্রহণযোগ্য জাতীয় নির্বাচনের মাধ্যমে একটি গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা নিশ্চিত করতে কাজ করছে।
কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে বেসরকারি খাত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বেকারত্ব মোকাবিলায় বেসরকারি খাতের উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দেবে বিএনপি।
আরও পড়ুন: নির্বাচিত সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক আরও গভীর করতে আগ্রহী চীন: ফখরুল
বিটিএমএ সভাপতি রাসেল বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রতি অঙ্গীকার এবং বিভিন্ন মত ও দৃষ্টিভঙ্গিকে সম্মান করার জন্য বিএনপির প্রশংসা করেন।
তিনি স্মরণ করেন যে, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান জাতীয় অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে বেসরকারি খাতকে গুরুত্ব দিয়েছিলেন।
সাবেক আওয়ামী লীগ সরকারের সমালোচনা করে রাসেল অভিযোগ করেন, শেখ হাসিনার শাসনামলে দুর্নীতি দেশের ব্যবসা, বাণিজ্য এবং ব্যাংকিং খাতকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।
তিনি আশ্বস্ত করেন, বিএনপি ভোটের মাধ্যমে ক্ষমতায় এলে বর্তমান অর্থনৈতিক সংকট কাটিয়ে উঠতে ও দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তুলতে ব্যবসায়ীদের পূর্ণ সমর্থন দেবে।
এসময় তারা দেশের অর্থনীতির বিভিন্ন দিক নিয়েও আলোচনা করেন।
১৫৭ দিন আগে
নির্বাচিত সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক আরও গভীর করতে আগ্রহী চীন: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বাংলাদেশের পরবর্তী নির্বাচিত সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক আরও গভীর ও আন্তরিকভাবে কাজ করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে চীন।
সোমবার (৩০ জুন) এক সংবাদ সম্মেলনে ফখরুল এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘চীন আশা প্রকাশ করেছে যে, তারা বাংলাদেশের পরবর্তী নির্বাচিত সরকারের সঙ্গে আরও বেশি আন্তরিকতা, নিষ্ঠা, ভালোবাসা ও শ্রদ্ধার সঙ্গে কাজ করবে।’
ফখরুলের নেতৃত্বে ৯ সদস্যের বিএনপির প্রতিনিধিদলের সাম্প্রতিক চীন সফরের পর বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলন করা হয়।
সফর নিয়ে ফখরুল বলেন, বিএনপি দল চীনা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে তিস্তা প্রকল্প নিয়ে আলোচনা করেছে। বলেন, ‘আমরা এই প্রকল্প সম্পর্কে আমাদের চাহিদা ও প্রয়োজনীয়তা ব্যাখ্যা করেছি এবং তারা ইতিবাচকভাবে সাড়া দিয়েছে।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ থেকে স্থলপথে পাটসহ কয়েকটি পণ্য আমদানিতে ভারতের নিষেধাজ্ঞা
তিনি বলেন, চীনা পক্ষ এখনও তিস্তা নদীর পানি ব্যবস্থাপনা প্রকল্প নিয়ে কাজ করছে। ‘ভবিষ্যতে যদি আমাদের সরকার পরিচালনার দায়িত্ব পাই এবং তারা(চীন) যদি এই প্রকল্পের প্রস্তাব দেয়—তাহলে আমরা মনে করি আমরা এটি ইতিবাচকভাবে বিবেচনা করব।’
ফখরুল বলেন, বিএনপি প্রতিনিধিদল মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নিরাপদ, স্বেচ্ছায় এবং মর্যাদাপূর্ণভাবে তাদের মাতৃভূমিতে প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করতে চীনকে আরও কার্যকর ভূমিকা পালনের আহ্বান জানিয়েছে।
তিনি বলেন, চীনা কর্তৃপক্ষ রোহিঙ্গাদের দ্রুত প্রত্যাবাসনে মিয়ানমার সরকারকে রাজি করানোর জন্য তাদের আন্তরিক প্রচেষ্টার আশ্বাস দিয়েছে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, তাদের সফর দুই ‘ভ্রাতৃপ্রতিম’ দেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক উন্নত ও জোরদার করার জন্য একটি পথ খুলে দিয়েছে—ভবিষ্যতে এই বন্ধন আরও দৃঢ় হবে বলেও তিনি আশা করেন।
এর আগে ২২ জুন চীনা কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিসি) আমন্ত্রণে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে ৯ সদস্যের একটি উচ্চ পর্যায়ের বিএনপির প্রতিনিধিদল পাঁচ দিনের জন্য চীন সফর করে।
বিএনপির প্রতিনিধিদলের অন্য আট সদস্য ছিলেন—বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, বেগম সেলিমা রহমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জহির উদ্দিন স্বপন, ইসমাইল জবিউল্লাহ, অধ্যাপক সুকোমল বড়ুয়া, দলের মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক ড. মওদুদ হোসেন আলমগীর পাভেল এবং বিএনপি চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত সচিব এবিএম আবদুস সাত্তার।
সফরকালে ফখরুল বলেন, বিএনপির প্রতিনিধিদল সিপিসির জ্যেষ্ঠ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন এবং দ্বিপক্ষীয় বিষয় এবং সিপিসি ও বিএনপির মধ্যে সম্পর্ক জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করেছেন।
১৫৭ দিন আগে
অর্থনীতির ঘুরে দাঁড়াতে নির্বাচিত সরকার প্রয়োজন: বিজিএমইএ সভাপতি
বর্তমানে দেশে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার চলছে, এতে বিনিয়োগকারীরা অনিশ্চয়তায় রয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ) সভাপতি মাহমুদ হাসান খান বাবু। একারণে অর্থনীতির ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য দ্রুতই দেশে একটি নির্বাচিত সরকার প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি।
সোমবার (৯ জুন) সন্ধ্যায় চুয়াডাঙ্গা শহরের সাহিদ প্যালেস হোটেলের লবিতে এক মতবিনিময় সভায় তিনি সাংবাদিকদের এসব বলেন।
বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, ‘বর্তমানে দেশে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার চলছে, এতে বিনিয়োগকারীরা অনিশ্চয়তায় রয়েছেন। বিনিয়োগ কমে যাওয়ায় অর্থনীতিতে এক ধরনের অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে। যারা নতুন শিল্প স্থাপন করতে চান বা ব্যবসা শুরু করতে চান, তারাও অপেক্ষা করছেন একটি নির্বাচিত রাজনৈতিক সরকারের জন্য।’
যত দ্রুত একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার গঠিত হবে, তত দ্রুত দেশের অর্থনৈতিক গতি ফিরবে, বিনিয়োগ বাড়বে, কর্মসংস্থান তৈরি হবে ও ব্যবসা-বাণিজ্য প্রসার লাভ করবে বলে মনে করেন তিনি।
এ সময় চুয়াডাঙ্গা জেলায় একটি গার্মেন্টস ট্রেনিং সেন্টার স্থাপন করার পরিকল্পনার কথা জানান তিনি। যাতে যেসব অদক্ষ যুবক-যুবতী কর্মসংস্থানের খোঁজে রয়েছেন, তাদের দক্ষ করে গড়ে তোলা সম্ভব হয়। পরে এসব কর্মীকে তিনি বিভিন্ন গার্মেন্টস কোম্পানিতে চাকরির জন্য পাঠানোর আশা প্রকাশ করেন।
আরও পড়ুন: শ্রমিক বাঁচলে শিল্প বাঁচবে: ডা. শফিকুর রহমান
১৭৮ দিন আগে
শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় সেনাবাহিনীকে ধৈর্যের সঙ্গে কাজ করতে হবে: সেনাপ্রধান
নির্বাচিত সরকার দায়িত্ব না নেয়া পর্যন্ত দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় ধৈর্যের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে সেনা সদস্যদের নির্দেশ দিয়েছেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।
সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সাভার ক্যান্টনমেন্টে ফায়ারিং প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
সেনাপ্রধান বলেন, ‘আমরা ভেবেছিলাম দ্রুত কাজ শেষ করে ক্যান্টনমেন্টে ফিরে যাবো, কিন্তু কাজটা দীর্ঘদিন ধরে করে যেতে হচ্ছে।’
আরও পড়ুন: সাময়িক বহিস্কার হলেন পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মেহেদি
এ সময় কাজ দীর্ঘায়িত হওয়ায় সেনাদের ধৈর্য ধরে রাখতে ও পেশাদারিত্বের সাথে দেশ ও জাতির জন্য কাজ করার নির্দেশ দেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা দেশে যতদিন না একটা নির্বাচিত সরকার পাই, ততদিন শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় আমাদের কাজ করে যেতে হবে। দায়িত্ব পালনের সময় উশৃংখল কাজ করা যাবে না, এটা আমাদের খেয়াল রাখতে হবে।’
কাজ করতে গিয়ে বল প্রয়োগ করা যাবে না উল্লেখ করে ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, যেটুকু না করলেই নয়, সেটুকু বল প্রয়োগ করে কাজ করতে হবে।
২৮৩ দিন আগে
অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা-জনগণের আস্থার জন্য নির্বাচিত সরকার গুরুত্বপূর্ণ: আবদুল আউয়াল মিন্টু
এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি ও বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতা আবদুল আউয়াল মিন্টু বলেছেন, একমাত্র নির্বাচিত সরকারই জনগণের কাছে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে পারে এবং বাংলাদেশকে বর্তমান অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ থেকে উদ্ধার করতে পারে।
সোমবার (৯ ডিসেম্বর) রাজধানীর পল্টনে ইআরএফ মিলনায়তনে 'কারেন্ট বিজনেস অ্যান্ড ইকোনমিক সিনারিও: দ্য ওয়ে ফরোয়ার্ড' শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরিয়ে আনতে এবং অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার ত্বরান্বিত করতে একটি নির্বাচিত রাজনৈতিক সরকারের জরুরি প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন মিন্টু।
পূর্ববর্তী অনির্বাচিত সরকারগুলোর সমালোচনা করে বিএনপির এই নেতা বলেন, তারা অপরিকল্পিত ও অনুৎপাদনশীল মেগা প্রকল্প গ্রহণ করে দেশের সামষ্টিক অর্থনীতির স্থিতিশীলতা নষ্ট করেছে।
তিনি উল্লেখ করেন এই প্রকল্পগুলোতে অর্থায়নের জন্য ব্যয়বহুল স্বল্পমেয়াদি বৈদেশিক ঋণের উপর নির্ভরতাই মুদ্রাস্ফীতির কারণ এবং এটি অর্থনীতিতে বোঝা চাপিয়েছে- যা সমাধান করতে কয়েক বছর সময় লাগবে।
কর্মসংস্থানের ভয়াবহ চিত্র তুলে ধরে মিন্টু বলেন, প্রতিবছর প্রায় ২২-২৩ লাখ তরুণ কর্মক্ষেত্রে প্রবেশের জন্য প্রস্তুত থাকলেও বিনিয়োগ কমে যাওয়া ও বেসরকারি খাতের ঋণ প্রবাহ কমার কারণে কর্মসংস্থান স্থবির হয়ে পড়েছে।
আরও পড়ুন: জনগণের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার দিকে নজর দিন: সরকারকে ড. দেবপ্রিয়
সরকারের উচ্চমূল্যের বৈদেশিক ঋণ পরিশোধ অর্থনৈতিক চাপকে আরও বাড়িয়েছে। ফলে তারা দেশীয় ব্যাংক থেকে ঋণ নিতে বাধ্য হচ্ছেন। এর ফলে বেসরকারি ব্যবসার জন্য ঋণের প্রাপ্যতা আরও সীমিত হয়ে পড়ছে বলে তিনি ব্যাখ্যা করেন।
মিন্টু যুক্তি দেখান, বাংলাদেশে বর্তমানে বিনিয়োগের অনুকূল পরিবেশ নেই, যা অতি প্রয়োজনীয় বিদেশি বিনিয়োগকারীদের নিরুৎসাহিত করছে।
মিন্টু কিছু অর্থনীতিবিদকে এমন বিবৃতি দেওয়ার জন্যও সমালোচনা করেন। তিনি বিশ্বাস করেন তাদের বিবৃতিগুলো চলমান অর্থনৈতিক সঙ্কটের সময় জনসাধারণের উদ্বেগ বাড়াচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘এই অর্থনীতিবিদরা সম্পদ বা কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে কোনো অবদান রাখেন না। তাদের দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্য জনমনে অহেতুক আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে।’
কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধি এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে উৎসাহিত করার মূল চাবিকাঠি হিসেবে বাণিজ্য ও বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান মিন্টু।
তিনি বলেন, বেসরকারি খাত যদি অবাধ ও ভয়হীন পরিবেশে চলতে না পারে, তাহলে বিনিয়োগ বাড়বে না, কর্মসংস্থানও বাড়বে না।
আরও পড়ুন: শ্বেতপত্র: দুই বছরের অর্থনৈতিক পরিকল্পনায় গুরুত্বারোপ করলেন দেবপ্রিয়
৩৬০ দিন আগে
বাংলাদেশে নির্বাচিত সরকারের মেয়াদ চার বছর হওয়া উচিত: উপদেষ্টা
বাংলাদেশে নির্বাচিত সরকারের মেয়াদ চার বছর হওয়া উচিত বলে মনে করেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং ভূমি উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ।
এটি তার ব্যক্তিগত মতামত বলে উল্লেখ করেন উপদেষ্টা।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থার অফিস খোলার বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
বুধবার (৩০ অক্টোবর) সচিবালয়ে গণমাধ্যম কেন্দ্রে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরামের (বিএসআরএফ) সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
হাসান আরিফ বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের বিষয়ে অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে পদক্ষেপ নেওয়া হবে। ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনের মেয়াদ ৩ বছর হওয়া উচিত, কারণ ৫ বছর অনেক সময়। এজন্য ৩ বছর মেয়াদ হলে অনেকে সুযোগ পাবে, কাজ ভাল হবে।
এগুলো ব্যক্তিগত মতামত উল্লেখ করে বিষয়গুলো দেখা হবে বলে জানান এ এফ হাসান আরিফ।
বিএসআরএফ’র সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হকের সঞ্চালনায় এতে সভাপতিত্ব করেন সভাপতি ফসিহ উদ্দীন মাহতাব।
আরও পড়ুন: ডিসেম্বরে কায়রোতে ডি-৮ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টাকে আমন্ত্রণ জানাল মিশর
৪০০ দিন আগে
নির্বাচিত সরকার এখন সময়ের দাবি: বিএনপি
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে দ্রুত সংস্কার কাজ সম্পন্ন করা এখন সময়ের দাবি।
শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক সমাবেশে তিনি বলেন, ‘জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে ফ্যাসিবাদের পতনের মধ্য দিয়ে ১৬ বছরের সংগ্রামের আকাঙ্ক্ষা পূর্ণ হয়েছে। তবে আরেকটি আকাঙ্ক্ষা হচ্ছে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও মানুষের অধিকার পুনরুদ্ধার।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, গণতন্ত্রকে এমনভাবে পুনরুদ্ধার করতে হবে যাতে তা জনগণের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা না যায়।
সত্যিকারের গণতন্ত্র ও জনগণের গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে হবে। তাই প্রয়োজনীয় সংস্কার সম্পন্ন করে একটি নির্বাচিত সরকার ও নির্বাচিত শাসন প্রতিষ্ঠা করা এখন সময়ের দাবি।
আরও পড়ুন: জনগণ অনির্দিষ্টকালের জন্য নির্বাচনের অপেক্ষায় থাকবে না: বিএনপি
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, নির্বাচন অনুষ্ঠানে সরকার যত বেশি সময় নেবে, তত বেশি নতুন সংগঠন গড়ে উঠবে এবং জনগণের ইচ্ছার প্রতিনিধিত্ব করার দাবি করে অনেক ব্যক্তি বিভিন্ন প্রস্তাব ও আকাঙ্ক্ষা তুলে ধরবে।
তিনি আরও বলেন, 'বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় দল যদি দাবি করে এটা জনগণের আকাঙ্ক্ষা, তাহলেও জনগণের অনুমোদন না পাওয়া পর্যন্ত তা কার্যকর হবে না।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘জনগণের আস্থা নিয়ে জনগণের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে এবং গণতান্ত্রিক সরকারকে অবশ্যই জনগণের সম্মতি ও আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী দেশ পরিচালনা করতে হবে। এজন্য প্রয়োজনীয় বিধান অন্তর্ভুক্ত করা উচিত এবং সংবিধান সংশোধন করা উচিত বলে আমি মনে করি।’
সপ্তম ও নবম শ্রেণির পাঠ্যপুস্তকে ভাসানীর জীবনী পুনঃঅন্তর্ভুক্তির দাবিতে মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী অনুশীলন পরিষদ এই সমাবেশের আয়োজন করে।
তিনি বলেন, মানুষের কাছে তাদের অনুভূতি, স্বার্থ এবং আকাঙ্ক্ষার সাথে সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোতে সিদ্ধান্ত নেওয়ার একমাত্র ক্ষমতা রয়েছে এবং এসব বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেওয়া অরাজনীতিক।
বিএনপির এই নেতা বলেন, 'আমরা সংবিধানে গণভোট ব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত করেছিলাম যাতে রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে জনগণ তাদের মতামত প্রকাশ করতে পারে, বিগত সরকার সিস্টেমটি সরিয়ে তাদের সেই অধিকার থেকে বঞ্চিত করেছিল।’
তিনি বলেন, গণভোটের বিধানটি সংবিধানে পুনরায় অন্তর্ভুক্ত করা উচিত যাতে জনগণ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে তাদের মতামত প্রকাশ করতে পারে। জনগণের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে শুধু গুটিকয়েক জ্ঞানী ও বিচক্ষণ ব্যক্তির মতামতের ওপর নির্ভর করাই যথেষ্ট হবে না।
মওলানা ভাসানীর ভূমিকার কথা স্মরণ করে নজরুল ইসলাম বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার এই মহান নেতার নাম ও অপরিসীম অবদানকে ইতিহাস থেকে মুছে ফেলার চেষ্টা করেছিল।
তিনি বলেন, ‘এর জন্য তারা (আওয়ামী লীগ) ইতোমধ্যে শাস্তি পেয়েছে। তারা শুধু পরাজিতই হয়নি, পালিয়ে বেড়াতে হয়েছে। দেশের ইতিহাসে এমন নজির নেই। এর আগে অনেক নেতাকর্মীকে হত্যা করা এবং কেউ কেউ কারাবরণ করলেও কাউকে দেশ ছেড়ে পালাতে হয়নি।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, আওয়ামী লীগকে কেন এত বড় অপমান সহ্য করতে হয়েছে তার অনেক কারণ আছে। ‘তার মধ্যে একটি হলো, তারা দেশের অনেক মহান সন্তানদের নাম মুছে ফেলার চেষ্টা করেছে। তারা শুধু একটি দল নয়, একটি পরিবারকে প্রাধান্য দিয়েছে, যা একটি রাজনৈতিক অপরাধ। তারা তাদের শাস্তি পেয়েছে। আমি মনে করি, এটা শুধু তাদের জন্য নয়, আমাদের সব রাজনীতিবিদের জন্যই একটা শিক্ষা হওয়া উচিত।’
তিনি বলেন, ইতিহাসে প্রত্যেকের স্থান এবং তাদের অর্জন ও অবদানকে স্বীকৃতি দিতে হবে। অন্যথায় ইতিহাস আপনাদের ক্ষমা করবে না।
আরও পড়ুন: ষড়যন্ত্র চলছে, শিগগিরই নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন: বিএনপি
৪০৪ দিন আগে
নির্বাচিত সরকারের বিকল্প নেই: খসরু
বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, দেশের জনগণের মালিকানা পুনরুদ্ধার ও জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণে একটি নির্বাচিত সংসদ ও সরকার প্রতিষ্ঠার বিকল্প নেই।
তিনে বলেন, ‘এখন সময় এসেছে বাংলাদেশের জনগণের মালিকানা পুনঃপ্রতিষ্ঠার। এর অর্থ তাদের ভোটাধিকার সম্পূর্ণরূপে নিশ্চিত করা, জনগণের কাছে দায়বদ্ধ থাকবে এমন একটি সংসদ এবং সরকার গঠন করা। এর কোনো বিকল্প নেই।’
শনিবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) ষষ্ঠ জাতীয় কাউন্সিলে বিএনপির এই নেতা এসব কথা বলেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খসরু বলেন, একতরফা নির্বাচনের মাধ্যমে বারবার ক্ষমতা দখল করায় কখনো ভোটের প্রয়োজন হয়নি বলেই শেখ হাসিনার মতো দানব সৃষ্টি হয়েছে।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছেন, মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছেন, আইনের শাসনকে কলঙ্কিত করেছেন। ‘জনগণের মালিকানা পুনঃপ্রতিষ্ঠাই এখন প্রধান ইস্যু। অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠান এবং গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার মাধ্যমে তা অর্জন করতে হবে।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, জাতীয় ঐক্যের মাধ্যমে শেখ হাসিনাকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। ‘বাংলাদেশের জনগণের মালিকানা পুনঃপ্রতিষ্ঠার লক্ষ্য অর্জনে আমাদের অবশ্যই এই ঐক্য বজায় রাখতে হবে।’
তিনি জোর দিয়ে বলেন, বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে নতুন চিন্তা ও প্রত্যাশার মাধ্যমে মানুষের মানসিকতায় উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন এসেছে।
খসরু বলেন, ঐক্য বজায় রেখে জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নে জাতিকে এগিয়ে যেতে হবে। ‘রাজনীতিবিদরা যদি দেশের প্রয়োজনীয়তা বুঝতে এবং মানসিকতার পরিবর্তন করতে ব্যর্থ হন, তাহলে রাজনীতির কোনো ভবিষ্যৎ থাকবে না।’
তিনি আরও বলেন, গণতন্ত্র, মানবাধিকার, আইনের শাসন ও জনগণের অর্থনৈতিক মুক্তির মতো মৌলিক ইস্যুতে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে কোনো বিভেদ থাকা উচিত নয়।
বিএনপির এই নেতা বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতপার্থক্য থাকলেও সুস্থ রাজনৈতিক চর্চার মাধ্যমে জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণের জন্য তাদের অবশ্যই একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে।
আরও পড়ুন: রিজভী-খসরুসহ বিএনপি-জামায়াতের সহস্রাধিক নেতা-কর্মীর জামিন
তিনি আরও বলেন, দেশে গণতান্ত্রিক শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার একমাত্র উপায় হচ্ছে দ্রুত নির্বাচনি সংস্কারের মাধ্যমে বিশ্বাসযোগ্য, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠান।
শেখ হাসিনা দেশের প্রতিষ্ঠান ও রাজনৈতিক কাঠামো ধ্বংস করেছেন বলে অভিযোগে করেন খসরু। তিনি বলেন, এগুলো অবশ্যই সংস্কার করতে হবে।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন তাদের দল ছয় বছর আগে ভিশন-২০৩০ উন্মোচনের মাধ্যমে প্রথম সংস্কার প্রস্তাব উপস্থাপন করে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, পরে তাদের দল অন্যান্য গণতান্ত্রিক দলগুলোর সঙ্গে মিলে রাষ্ট্রীয় সংস্কারের জন্য ৩১ দফা প্রস্তাব দিয়েছে। এগুলো শুধু বিএনপির প্রস্তাব নয়, আমাদের যুগপৎ আন্দোলনে থাকা অন্যান্য দলকে নিয়ে এগুলো প্রণয়ন করা হয়েছে। সংস্কার আমাদের জন্য নতুন কিছু নয়। ৩১ দফা সংস্কার বাস্তবায়ন করে নির্বাচনের পর জাতীয় সরকার গঠন করতে হবে। এ ব্যাপারে আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ।’
বিশ্বাসযোগ্য ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করতে নির্বাচনি সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে কোনো মতপার্থক্য নেই। ‘এটি একটি সহজ কাজ। স্বচ্ছ নির্বাচনের জন্য আপনাদের (সরকার) শুধু নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে এবং ভোটার তালিকা হালনাগাদ করতে হবে। অবশিষ্ট মৌলিক সংস্কার জাতীয় ঐকমত্যের মাধ্যমে অর্জন করা সম্ভব।’
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগ সরকার সব ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে ডুবাচ্ছে: আমীর খসরু
৪০৪ দিন আগে
সাংবিধানিকভাবে নির্বাচিত সরকারকে কেউ হটাতে পারবে না: কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সাংবিধানিকভাবে নির্বাচিত সরকারের পতন ঘটানোর ক্ষমতা কারো নেই।
তিনি বলেন, ‘বিএনপি আবারও কালো পতাকা মিছিলের নামে সন্ত্রাস ও সহিংসতার সুর তুলছে। কিন্তু সাংবিধানিকভাবে নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করার ক্ষমতা কারো নেই।’
সোমবার রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, নির্বাচনে না এসে বিএনপি যে ভুল করেছে তার খেসারত দিতে হবে।
আরও পড়ুন: দ্রব্যমূল্য মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে আনা একটি চ্যালেঞ্জ: ওবায়দুল কাদের
ওবায়দুল কাদের বলেন, সংবিধান ও জাতীয় সংসদের প্রক্রিয়া অনুসরণ করে আগামীকাল থেকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের যাত্রা শুরু হতে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘অগণতান্ত্রিক আহ্বান প্রত্যাখ্যান করে জনগণ বিপুল ভোটে আওয়ামী লীগকে নির্বাচিত করেছে, যা দেশে গণতন্ত্রের নতুন বিজয়।’ বিপুল সমর্থনের জন্য জনগণকে ধন্যবাদও জানান তিনি।
আওয়ামী লীগের এ নেতা বলেন, গণতন্ত্রে বিশ্বাসী আওয়ামী লীগ রাজপথে রাজনৈতিক ইস্যু মোকাবিলা করবে। আর দেশের স্বার্থে কোনো অশুভ শক্তিকে প্রশ্রয় দেওয়া হবে না।
তিনি বলেন, বিএনপি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাসকে বিকৃত করে এবং মিথ্যা তথ্য প্রচার করে জাতিকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছিল, কিন্তু তাদের অপচেষ্টা সফল হয়নি।
আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও বঙ্গবন্ধুর নাম দেশে-বিদেশে শ্রদ্ধার সঙ্গে উচ্চারিত হচ্ছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খানকে উদ্দেশ্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতাকে হত্যা এবং ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ওপর গ্রেনেড হামলা চালিয়ে বিএনপি প্রমাণ করেছে তারা স্বাধীনতাবিরোধী রাজাকার ও আলবদর শক্তির দল।
আরও পড়ুন: স্বতন্ত্র এমপিরা সংসদে স্বতন্ত্র হিসেবেই ভূমিকা রাখবেন: কাদের
তিনি বলেন, বিদ্বেষমূলক বক্তব্যের জন্য মঈন খানের উচিত জাতির কাছে ক্ষমা চাওয়া।
নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, এখন সরকারের অগ্রাধিকার হচ্ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি রোধ করা এবং বাজার নিয়ন্ত্রণ করা।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সরকার এ বিষয়ে প্রয়োজনে আরও কঠোর পদক্ষেপ নেবে।
তিনি বলেন, ‘মৌখিকভাবে হুমকি দেওয়া সবসময় সমস্যা সমাধানে সহায়তা করবে না। আমাদের ইতিবাচক পদক্ষেপে যেতে হবে। এর জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে ইতিবাচক ব্যবস্থা নিতে হবে।’
এ সময় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, এসএম কামাল হোসেন, মির্জা আজম, সুজিত রায় নন্দী, সংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডাক্তার রোকেয়া সুলতানা, উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বিএনপি আন্দোলনের নামে সহিংসতা করলে কঠোরভাবে দমন করা হবে: কাদের
৬৭৫ দিন আগে