নির্বাচিত সরকার
অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা-জনগণের আস্থার জন্য নির্বাচিত সরকার গুরুত্বপূর্ণ: আবদুল আউয়াল মিন্টু
এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি ও বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতা আবদুল আউয়াল মিন্টু বলেছেন, একমাত্র নির্বাচিত সরকারই জনগণের কাছে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে পারে এবং বাংলাদেশকে বর্তমান অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ থেকে উদ্ধার করতে পারে।
সোমবার (৯ ডিসেম্বর) রাজধানীর পল্টনে ইআরএফ মিলনায়তনে 'কারেন্ট বিজনেস অ্যান্ড ইকোনমিক সিনারিও: দ্য ওয়ে ফরোয়ার্ড' শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরিয়ে আনতে এবং অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার ত্বরান্বিত করতে একটি নির্বাচিত রাজনৈতিক সরকারের জরুরি প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন মিন্টু।
পূর্ববর্তী অনির্বাচিত সরকারগুলোর সমালোচনা করে বিএনপির এই নেতা বলেন, তারা অপরিকল্পিত ও অনুৎপাদনশীল মেগা প্রকল্প গ্রহণ করে দেশের সামষ্টিক অর্থনীতির স্থিতিশীলতা নষ্ট করেছে।
তিনি উল্লেখ করেন এই প্রকল্পগুলোতে অর্থায়নের জন্য ব্যয়বহুল স্বল্পমেয়াদি বৈদেশিক ঋণের উপর নির্ভরতাই মুদ্রাস্ফীতির কারণ এবং এটি অর্থনীতিতে বোঝা চাপিয়েছে- যা সমাধান করতে কয়েক বছর সময় লাগবে।
কর্মসংস্থানের ভয়াবহ চিত্র তুলে ধরে মিন্টু বলেন, প্রতিবছর প্রায় ২২-২৩ লাখ তরুণ কর্মক্ষেত্রে প্রবেশের জন্য প্রস্তুত থাকলেও বিনিয়োগ কমে যাওয়া ও বেসরকারি খাতের ঋণ প্রবাহ কমার কারণে কর্মসংস্থান স্থবির হয়ে পড়েছে।
আরও পড়ুন: জনগণের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার দিকে নজর দিন: সরকারকে ড. দেবপ্রিয়
সরকারের উচ্চমূল্যের বৈদেশিক ঋণ পরিশোধ অর্থনৈতিক চাপকে আরও বাড়িয়েছে। ফলে তারা দেশীয় ব্যাংক থেকে ঋণ নিতে বাধ্য হচ্ছেন। এর ফলে বেসরকারি ব্যবসার জন্য ঋণের প্রাপ্যতা আরও সীমিত হয়ে পড়ছে বলে তিনি ব্যাখ্যা করেন।
মিন্টু যুক্তি দেখান, বাংলাদেশে বর্তমানে বিনিয়োগের অনুকূল পরিবেশ নেই, যা অতি প্রয়োজনীয় বিদেশি বিনিয়োগকারীদের নিরুৎসাহিত করছে।
মিন্টু কিছু অর্থনীতিবিদকে এমন বিবৃতি দেওয়ার জন্যও সমালোচনা করেন। তিনি বিশ্বাস করেন তাদের বিবৃতিগুলো চলমান অর্থনৈতিক সঙ্কটের সময় জনসাধারণের উদ্বেগ বাড়াচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘এই অর্থনীতিবিদরা সম্পদ বা কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে কোনো অবদান রাখেন না। তাদের দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্য জনমনে অহেতুক আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে।’
কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধি এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে উৎসাহিত করার মূল চাবিকাঠি হিসেবে বাণিজ্য ও বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান মিন্টু।
তিনি বলেন, বেসরকারি খাত যদি অবাধ ও ভয়হীন পরিবেশে চলতে না পারে, তাহলে বিনিয়োগ বাড়বে না, কর্মসংস্থানও বাড়বে না।
আরও পড়ুন: শ্বেতপত্র: দুই বছরের অর্থনৈতিক পরিকল্পনায় গুরুত্বারোপ করলেন দেবপ্রিয়
১ সপ্তাহ আগে
বাংলাদেশে নির্বাচিত সরকারের মেয়াদ চার বছর হওয়া উচিত: উপদেষ্টা
বাংলাদেশে নির্বাচিত সরকারের মেয়াদ চার বছর হওয়া উচিত বলে মনে করেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং ভূমি উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ।
এটি তার ব্যক্তিগত মতামত বলে উল্লেখ করেন উপদেষ্টা।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থার অফিস খোলার বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
বুধবার (৩০ অক্টোবর) সচিবালয়ে গণমাধ্যম কেন্দ্রে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরামের (বিএসআরএফ) সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
হাসান আরিফ বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের বিষয়ে অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে পদক্ষেপ নেওয়া হবে। ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনের মেয়াদ ৩ বছর হওয়া উচিত, কারণ ৫ বছর অনেক সময়। এজন্য ৩ বছর মেয়াদ হলে অনেকে সুযোগ পাবে, কাজ ভাল হবে।
এগুলো ব্যক্তিগত মতামত উল্লেখ করে বিষয়গুলো দেখা হবে বলে জানান এ এফ হাসান আরিফ।
বিএসআরএফ’র সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হকের সঞ্চালনায় এতে সভাপতিত্ব করেন সভাপতি ফসিহ উদ্দীন মাহতাব।
আরও পড়ুন: ডিসেম্বরে কায়রোতে ডি-৮ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টাকে আমন্ত্রণ জানাল মিশর
১ মাস আগে
নির্বাচিত সরকার এখন সময়ের দাবি: বিএনপি
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে দ্রুত সংস্কার কাজ সম্পন্ন করা এখন সময়ের দাবি।
শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক সমাবেশে তিনি বলেন, ‘জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে ফ্যাসিবাদের পতনের মধ্য দিয়ে ১৬ বছরের সংগ্রামের আকাঙ্ক্ষা পূর্ণ হয়েছে। তবে আরেকটি আকাঙ্ক্ষা হচ্ছে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও মানুষের অধিকার পুনরুদ্ধার।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, গণতন্ত্রকে এমনভাবে পুনরুদ্ধার করতে হবে যাতে তা জনগণের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা না যায়।
সত্যিকারের গণতন্ত্র ও জনগণের গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে হবে। তাই প্রয়োজনীয় সংস্কার সম্পন্ন করে একটি নির্বাচিত সরকার ও নির্বাচিত শাসন প্রতিষ্ঠা করা এখন সময়ের দাবি।
আরও পড়ুন: জনগণ অনির্দিষ্টকালের জন্য নির্বাচনের অপেক্ষায় থাকবে না: বিএনপি
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, নির্বাচন অনুষ্ঠানে সরকার যত বেশি সময় নেবে, তত বেশি নতুন সংগঠন গড়ে উঠবে এবং জনগণের ইচ্ছার প্রতিনিধিত্ব করার দাবি করে অনেক ব্যক্তি বিভিন্ন প্রস্তাব ও আকাঙ্ক্ষা তুলে ধরবে।
তিনি আরও বলেন, 'বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় দল যদি দাবি করে এটা জনগণের আকাঙ্ক্ষা, তাহলেও জনগণের অনুমোদন না পাওয়া পর্যন্ত তা কার্যকর হবে না।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘জনগণের আস্থা নিয়ে জনগণের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে এবং গণতান্ত্রিক সরকারকে অবশ্যই জনগণের সম্মতি ও আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী দেশ পরিচালনা করতে হবে। এজন্য প্রয়োজনীয় বিধান অন্তর্ভুক্ত করা উচিত এবং সংবিধান সংশোধন করা উচিত বলে আমি মনে করি।’
সপ্তম ও নবম শ্রেণির পাঠ্যপুস্তকে ভাসানীর জীবনী পুনঃঅন্তর্ভুক্তির দাবিতে মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী অনুশীলন পরিষদ এই সমাবেশের আয়োজন করে।
তিনি বলেন, মানুষের কাছে তাদের অনুভূতি, স্বার্থ এবং আকাঙ্ক্ষার সাথে সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোতে সিদ্ধান্ত নেওয়ার একমাত্র ক্ষমতা রয়েছে এবং এসব বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেওয়া অরাজনীতিক।
বিএনপির এই নেতা বলেন, 'আমরা সংবিধানে গণভোট ব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত করেছিলাম যাতে রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে জনগণ তাদের মতামত প্রকাশ করতে পারে, বিগত সরকার সিস্টেমটি সরিয়ে তাদের সেই অধিকার থেকে বঞ্চিত করেছিল।’
তিনি বলেন, গণভোটের বিধানটি সংবিধানে পুনরায় অন্তর্ভুক্ত করা উচিত যাতে জনগণ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে তাদের মতামত প্রকাশ করতে পারে। জনগণের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে শুধু গুটিকয়েক জ্ঞানী ও বিচক্ষণ ব্যক্তির মতামতের ওপর নির্ভর করাই যথেষ্ট হবে না।
মওলানা ভাসানীর ভূমিকার কথা স্মরণ করে নজরুল ইসলাম বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার এই মহান নেতার নাম ও অপরিসীম অবদানকে ইতিহাস থেকে মুছে ফেলার চেষ্টা করেছিল।
তিনি বলেন, ‘এর জন্য তারা (আওয়ামী লীগ) ইতোমধ্যে শাস্তি পেয়েছে। তারা শুধু পরাজিতই হয়নি, পালিয়ে বেড়াতে হয়েছে। দেশের ইতিহাসে এমন নজির নেই। এর আগে অনেক নেতাকর্মীকে হত্যা করা এবং কেউ কেউ কারাবরণ করলেও কাউকে দেশ ছেড়ে পালাতে হয়নি।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, আওয়ামী লীগকে কেন এত বড় অপমান সহ্য করতে হয়েছে তার অনেক কারণ আছে। ‘তার মধ্যে একটি হলো, তারা দেশের অনেক মহান সন্তানদের নাম মুছে ফেলার চেষ্টা করেছে। তারা শুধু একটি দল নয়, একটি পরিবারকে প্রাধান্য দিয়েছে, যা একটি রাজনৈতিক অপরাধ। তারা তাদের শাস্তি পেয়েছে। আমি মনে করি, এটা শুধু তাদের জন্য নয়, আমাদের সব রাজনীতিবিদের জন্যই একটা শিক্ষা হওয়া উচিত।’
তিনি বলেন, ইতিহাসে প্রত্যেকের স্থান এবং তাদের অর্জন ও অবদানকে স্বীকৃতি দিতে হবে। অন্যথায় ইতিহাস আপনাদের ক্ষমা করবে না।
আরও পড়ুন: ষড়যন্ত্র চলছে, শিগগিরই নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন: বিএনপি
১ মাস আগে
নির্বাচিত সরকারের বিকল্প নেই: খসরু
বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, দেশের জনগণের মালিকানা পুনরুদ্ধার ও জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণে একটি নির্বাচিত সংসদ ও সরকার প্রতিষ্ঠার বিকল্প নেই।
তিনে বলেন, ‘এখন সময় এসেছে বাংলাদেশের জনগণের মালিকানা পুনঃপ্রতিষ্ঠার। এর অর্থ তাদের ভোটাধিকার সম্পূর্ণরূপে নিশ্চিত করা, জনগণের কাছে দায়বদ্ধ থাকবে এমন একটি সংসদ এবং সরকার গঠন করা। এর কোনো বিকল্প নেই।’
শনিবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) ষষ্ঠ জাতীয় কাউন্সিলে বিএনপির এই নেতা এসব কথা বলেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খসরু বলেন, একতরফা নির্বাচনের মাধ্যমে বারবার ক্ষমতা দখল করায় কখনো ভোটের প্রয়োজন হয়নি বলেই শেখ হাসিনার মতো দানব সৃষ্টি হয়েছে।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছেন, মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছেন, আইনের শাসনকে কলঙ্কিত করেছেন। ‘জনগণের মালিকানা পুনঃপ্রতিষ্ঠাই এখন প্রধান ইস্যু। অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠান এবং গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার মাধ্যমে তা অর্জন করতে হবে।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, জাতীয় ঐক্যের মাধ্যমে শেখ হাসিনাকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। ‘বাংলাদেশের জনগণের মালিকানা পুনঃপ্রতিষ্ঠার লক্ষ্য অর্জনে আমাদের অবশ্যই এই ঐক্য বজায় রাখতে হবে।’
তিনি জোর দিয়ে বলেন, বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে নতুন চিন্তা ও প্রত্যাশার মাধ্যমে মানুষের মানসিকতায় উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন এসেছে।
খসরু বলেন, ঐক্য বজায় রেখে জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নে জাতিকে এগিয়ে যেতে হবে। ‘রাজনীতিবিদরা যদি দেশের প্রয়োজনীয়তা বুঝতে এবং মানসিকতার পরিবর্তন করতে ব্যর্থ হন, তাহলে রাজনীতির কোনো ভবিষ্যৎ থাকবে না।’
তিনি আরও বলেন, গণতন্ত্র, মানবাধিকার, আইনের শাসন ও জনগণের অর্থনৈতিক মুক্তির মতো মৌলিক ইস্যুতে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে কোনো বিভেদ থাকা উচিত নয়।
বিএনপির এই নেতা বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতপার্থক্য থাকলেও সুস্থ রাজনৈতিক চর্চার মাধ্যমে জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণের জন্য তাদের অবশ্যই একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে।
আরও পড়ুন: রিজভী-খসরুসহ বিএনপি-জামায়াতের সহস্রাধিক নেতা-কর্মীর জামিন
তিনি আরও বলেন, দেশে গণতান্ত্রিক শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার একমাত্র উপায় হচ্ছে দ্রুত নির্বাচনি সংস্কারের মাধ্যমে বিশ্বাসযোগ্য, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠান।
শেখ হাসিনা দেশের প্রতিষ্ঠান ও রাজনৈতিক কাঠামো ধ্বংস করেছেন বলে অভিযোগে করেন খসরু। তিনি বলেন, এগুলো অবশ্যই সংস্কার করতে হবে।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন তাদের দল ছয় বছর আগে ভিশন-২০৩০ উন্মোচনের মাধ্যমে প্রথম সংস্কার প্রস্তাব উপস্থাপন করে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, পরে তাদের দল অন্যান্য গণতান্ত্রিক দলগুলোর সঙ্গে মিলে রাষ্ট্রীয় সংস্কারের জন্য ৩১ দফা প্রস্তাব দিয়েছে। এগুলো শুধু বিএনপির প্রস্তাব নয়, আমাদের যুগপৎ আন্দোলনে থাকা অন্যান্য দলকে নিয়ে এগুলো প্রণয়ন করা হয়েছে। সংস্কার আমাদের জন্য নতুন কিছু নয়। ৩১ দফা সংস্কার বাস্তবায়ন করে নির্বাচনের পর জাতীয় সরকার গঠন করতে হবে। এ ব্যাপারে আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ।’
বিশ্বাসযোগ্য ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করতে নির্বাচনি সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে কোনো মতপার্থক্য নেই। ‘এটি একটি সহজ কাজ। স্বচ্ছ নির্বাচনের জন্য আপনাদের (সরকার) শুধু নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে এবং ভোটার তালিকা হালনাগাদ করতে হবে। অবশিষ্ট মৌলিক সংস্কার জাতীয় ঐকমত্যের মাধ্যমে অর্জন করা সম্ভব।’
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগ সরকার সব ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে ডুবাচ্ছে: আমীর খসরু
১ মাস আগে
সাংবিধানিকভাবে নির্বাচিত সরকারকে কেউ হটাতে পারবে না: কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সাংবিধানিকভাবে নির্বাচিত সরকারের পতন ঘটানোর ক্ষমতা কারো নেই।
তিনি বলেন, ‘বিএনপি আবারও কালো পতাকা মিছিলের নামে সন্ত্রাস ও সহিংসতার সুর তুলছে। কিন্তু সাংবিধানিকভাবে নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করার ক্ষমতা কারো নেই।’
সোমবার রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, নির্বাচনে না এসে বিএনপি যে ভুল করেছে তার খেসারত দিতে হবে।
আরও পড়ুন: দ্রব্যমূল্য মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে আনা একটি চ্যালেঞ্জ: ওবায়দুল কাদের
ওবায়দুল কাদের বলেন, সংবিধান ও জাতীয় সংসদের প্রক্রিয়া অনুসরণ করে আগামীকাল থেকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের যাত্রা শুরু হতে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘অগণতান্ত্রিক আহ্বান প্রত্যাখ্যান করে জনগণ বিপুল ভোটে আওয়ামী লীগকে নির্বাচিত করেছে, যা দেশে গণতন্ত্রের নতুন বিজয়।’ বিপুল সমর্থনের জন্য জনগণকে ধন্যবাদও জানান তিনি।
আওয়ামী লীগের এ নেতা বলেন, গণতন্ত্রে বিশ্বাসী আওয়ামী লীগ রাজপথে রাজনৈতিক ইস্যু মোকাবিলা করবে। আর দেশের স্বার্থে কোনো অশুভ শক্তিকে প্রশ্রয় দেওয়া হবে না।
তিনি বলেন, বিএনপি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাসকে বিকৃত করে এবং মিথ্যা তথ্য প্রচার করে জাতিকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছিল, কিন্তু তাদের অপচেষ্টা সফল হয়নি।
আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও বঙ্গবন্ধুর নাম দেশে-বিদেশে শ্রদ্ধার সঙ্গে উচ্চারিত হচ্ছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খানকে উদ্দেশ্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতাকে হত্যা এবং ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ওপর গ্রেনেড হামলা চালিয়ে বিএনপি প্রমাণ করেছে তারা স্বাধীনতাবিরোধী রাজাকার ও আলবদর শক্তির দল।
আরও পড়ুন: স্বতন্ত্র এমপিরা সংসদে স্বতন্ত্র হিসেবেই ভূমিকা রাখবেন: কাদের
তিনি বলেন, বিদ্বেষমূলক বক্তব্যের জন্য মঈন খানের উচিত জাতির কাছে ক্ষমা চাওয়া।
নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, এখন সরকারের অগ্রাধিকার হচ্ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি রোধ করা এবং বাজার নিয়ন্ত্রণ করা।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সরকার এ বিষয়ে প্রয়োজনে আরও কঠোর পদক্ষেপ নেবে।
তিনি বলেন, ‘মৌখিকভাবে হুমকি দেওয়া সবসময় সমস্যা সমাধানে সহায়তা করবে না। আমাদের ইতিবাচক পদক্ষেপে যেতে হবে। এর জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে ইতিবাচক ব্যবস্থা নিতে হবে।’
এ সময় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, এসএম কামাল হোসেন, মির্জা আজম, সুজিত রায় নন্দী, সংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডাক্তার রোকেয়া সুলতানা, উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বিএনপি আন্দোলনের নামে সহিংসতা করলে কঠোরভাবে দমন করা হবে: কাদের
১০ মাস আগে
এই সরকার জনগণের: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বর্তমান সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার।
তিনি বলেন, ‘এটি জনগণের সরকার। এটি বাংলাদেশের জনগণের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকার। ভারত-রাশিয়া-চীন, যুক্তরাষ্ট্র-ইউরোপীয় ইউনিয়ন-যুক্তরাজ্যসহ কূটনৈতিক সম্পর্কের সব দেশের সঙ্গে আমাদের চমৎকার সম্পর্ক।’
রবিবার দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চীন ও নেপালের রাষ্ট্রদূত এবং জাতিসংঘের বাংলাদেশ সমন্বয়কের তার সঙ্গে সাক্ষাত করেন। পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে মত বিনিময়কালে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। সাক্ষাৎকালে চীন ও নেপাল উভয় দেশের রাষ্ট্রদূত তাদের নিজ নিজ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর অভিনন্দনপত্র পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের হাতে তুলে দেন।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে আশাবাদী পররাষ্ট্রমন্ত্রী
চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েনের সাক্ষাৎ প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, চীন আমাদের গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন সহযোগী। চীন থেকে আমরা বেশি আমদানি করি, কম রপ্তানি করি। আমাদের রপ্তানি বৃদ্ধির আলোচনায় চীন বাংলাদেশ থেকে পাট, চামড়া, মাংস, সি-ফুড, মাছ ও আম আমদানিতে আগ্রহ ব্যক্ত করেছে। জুলাই বা আগস্ট মাসে আমরা আম রপ্তানি শুরু করতে পারি। চীন একটি বড় বাজার। সেখানে আমাদের পণ্যের শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার নিয়ে আলোচনা করেছি।
বৈঠকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে কক্সবাজারে স্থানীয়রাই সংখ্যালঘু, রোহিঙ্গা বেশি। নিরাপত্তা, মাদকসহ নানা সমস্যা সেখানে সৃষ্টি হচ্ছে। আমরা বলেছি, রোহিঙ্গাদের পূর্ণ অধিকারসহ নিজ দেশ মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনই একমাত্র সমাধান। চীন এ বিষয়ে কাজ করছে এবং প্রত্যাবাসন যাতে শুরু হয় সে লক্ষ্যে কাজ করতে একমত হয়েছে। মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ বৈরি পরিবেশ নিয়েও আলোচনা হয়েছে।
মন্ত্রী জানান, চীন আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছে, সুবিধাজনক সময়ে সেটি হওয়ার জন্য আলোচনা চলছে।
জাতিসংঘের কো-অর্ডিনেটর গুয়েন লুইসের সঙ্গে বৈঠক নিয়ে ড. হাছান জানান, জাতিসংঘের মহাসচিব তার চিঠিতে ও আমার সঙ্গে কাম্পালায় বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনকে পুনঃনির্বাচিত হওয়ায় অভিনন্দন জানিয়েছেন এবং বিশ্বনেতাদের কাছেও তার নেতৃত্বের প্রশংসা করেন। কিন্তু এর সঙ্গে জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিল যে বিবৃতি দেয়, মাঝেমাঝে তা অসামঞ্জস্যপূর্ণ হয়। এটি নিয়ে আমি তার সঙ্গে আলোচনা করেছি।
আরও পড়ুন: পাটজাত পণ্য রপ্তানি আয় দ্বিগুণ করতে চাই: বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, 'পক্ষপাতদুষ্ট ও ভুল উৎস থেকে তারা যে সংবাদ পায়, সেটি যেন না হয়। তারা যাতে ভেরিফায়েড সোর্স থেকে তথ্য পায় এবং আগুনসন্ত্রাস চালিয়ে মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা, ঘুমন্ত মানুষকে দগ্ধ করা, ২৮ অক্টোবরের ঘটনাপ্রবাহ সেগুলো যে জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের রিপোর্টে আসেনি সেটি আমি তাকে জানিয়েছি। জাতিসংঘের কো-অর্ডিনেটর বলেছেন বিষয়টি তিনি দেখছেন।'
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন আলোচনার কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী জানান, ইউক্রেন যুদ্ধ ও পরে গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের পর সেদিকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দৃষ্টি বেশি নিবদ্ধ হয়েছে। রোহিঙ্গাদের জন্য আন্তুর্জাতিক সহায়তাও অর্ধেকে নেমে এসেছে। আমি বলেছি, রোহিঙ্গা ইস্যু যেন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের স্পটলাইটে থাকে। জাতিসংঘের কো-অর্ডিনেটর বলেছেন, এটি নিয়ে জেনেভায় আন্তুর্জাতিক ওয়ার্কিং গ্রুপ কাজ করছে এবং এ নিয়ে বৈঠক আসন্ন।
নেপালের রাষ্ট্রদূত ঘনশ্যাম ভান্ডারীর সঙ্গে মানুষে-মানুষে যোগাযোগ, যাতায়াত বৃদ্ধি, বাণিজ্য সম্প্রসারণ নিয়ে আলোচনা হয়েছে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, আমাদের উত্তরের সীমান্ত থেকে নেপাল মাত্র ৩৫ কিলোমিটার দূরে। ১ লাখ মেগাওয়াট জলবিদ্যুৎ উৎপাদনে সক্ষমতার সম্ভাবনার দেশ নেপালের সঙ্গে ইতোমধ্যে আমাদের বিদ্যুৎ আমদানি চুক্তি হয়েছে, এর ট্যারিফ নিয়ে আলোচনা চলছে।
আরও পড়ুন: বিদেশি বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশ আদর্শ স্থান: ব্রিটিশ এমপিদের প্রধানমন্ত্রী
১০ মাস আগে