ইসরায়েলি বিমান হামলা
লেবাননে ইসরায়েলি বিমান হামলায় প্রবাসী বাংলাদেশি নিহত
যুদ্ধবিধ্বস্ত লেবাননে ইসরায়েলি বিমান হামলায় এক প্রবাসী বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে লেবাননে বাংলাদেশের দূতাবাস।
নিহত মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন (৩১) ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার খাড়েরা ইউনিয়নের খাড়েরা গ্রামের মোহাম্মদ আবদুল কুদ্দুসের ছেলে। তিনি বৈরুতে একটি কফি শপে কর্মরত ছিলেন।
স্থানীয় সময় শনিবার বিকেলে নিজাম উদ্দিন বৈরুতের হাজমিয়ে এলাকায় নিজ কর্মস্থলে যাওয়ার পথে এ ঘটনা ঘটে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ইউএনবিকে জানান, নিহতের স্ত্রী বর্তমানে লেবাননে অবস্থান করছেন। লেবাননে বাংলাদেশের দূতাবাস তার সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে।
আরও পড়ুন: যুদ্ধবিরতি প্রচেষ্টা বারবার প্রত্যাখ্যান করছে ইসরায়েল: লেবাননের প্রধানমন্ত্রী
যুদ্ধ পরিস্থিতিতে ফ্লাইট না থাকায় মরদেহ বাংলাদেশে আনা সম্ভব হবে না বলে জানান ওই কর্মকর্তা।
খাড়েরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মনিরুজ্জামান জানান, জীবিকার তাগিদে গত ১২ বছর আগে মোহাম্মদ নিজাম লেবাননে যান। শনিবার কর্মস্থলে যাওয়ার পথে বোমা বিস্ফোরিত হয়ে নিহত হয়েছেন বলে তার বড় ভাই আমাকে নিশ্চিত করেছেন। তার লাশ সেখানে হিমঘরে রাখা আছে।
নিজাম উদ্দিনের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন লেবাননে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এয়ার ভাইস মার্শাল জাভেদ তানভীর খান।
আরও পড়ুন: লেবাননে ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত ৫২, আহত ৭২
২ সপ্তাহ আগে
লেবাননে ইসরায়েলি বিমান হামলায় ৩ গণমাধ্যমকর্মী নিহত
দক্ষিণ-পূর্ব লেবাননে ইসরায়েলি বিমান হামলায় তিন গণমাধ্যমকর্মী নিহত হয়েছেন।
শুক্রবার ভোরে চালানো এই হামলায় নিহত সাংবাদিকদের মধ্যে বৈরুতভিত্তিক প্যান-আরব আল-মায়াদিন টিভির দুই কর্মী রয়েছেন বলে জানিয়েছে গণমাধ্যমটি।
আল-মায়াদিন এক প্রতিবেদনে জানায়, লেবাননে হামলায় তাদের ক্যামেরা অপারেটর ঘাসান নাজার ও ব্রডকাস্ট টেকনিশিয়ান মোহাম্মদ রিদা মারা গেছেন।
এছাড়াও লেবাননের হিজবুল্লাহ গোষ্ঠীর সংশ্লিষ্ট আল-মানার টিভি জানিয়েছে, হাসবায়া অঞ্চলে বিমান হামলায় তাদের ক্যামেরা অপারেটর উইসাম কাসিম নিহত হয়েছেন।
স্থানীয় নিউজ স্টেশন আল জাদিদের প্রচারিত ওই ঘটনাস্থলের ফুটেজে দেখা যায়, বিভিন্ন গণমাধ্যমের ভাড়া নেওয়া অনেকগুলো শ্যালেট বিধ্বস্ত হয়ে গিয়েছে। ধসে পড়েছে ভবনগুলো। প্রেস লেখা গাড়িগুলো ধ্বংসস্তূপে ঢেকে গেছে।
আরও পড়ুন: লেবাননে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে ইসরায়েলের হামলা
এই হামলা চালানোর আগে কোনো সতর্কবার্তা দেয়নি ইসরায়েলি সেনাবাহিনী।
এর আগে সপ্তাহের শুরুতে দক্ষিণ বৈরুতে আল-মায়াদিনের একটি অফিসে হামলা চালায় ইসরায়েল।
গত বছরের ৮ অক্টোবর লেবানন-ইসরায়েল সীমান্তে শুরু হওয়া এই সংঘাতে এ পর্যন্ত বেশ কয়েকজন সাংবাদিক নিহত হয়েছেন।
গত নভেম্বরে ড্রোন হামলায় আল-মায়াদিন টিভির দুই সাংবাদিক নিহত হন। এর এক মাস আগে লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে ইসরায়েলি গোলাবর্ষণে রয়টার্সের ভিডিওগ্রাফার ইসাম আবদাল্লাহ নিহত হন এবং ফ্রান্সের আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা এএফপি ও কাতারের আল-জাজিরা টেলিভিশনের অন্যান্য সাংবাদিক আহত হন।
আরও পড়ুন: লেবাননে বাড়ছে বেসামরিক মানুষের মৃত্যু ও বাস্তুচ্যুতি
৩ সপ্তাহ আগে
লেবাননে ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত ৩৭, আহত ১৫১
গত ২৪ ঘণ্টায় লেবাননের বিভিন্ন এলাকায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় ৩৭ জন নিহত এবং ১৫১ জন আহত হয়েছে।
লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, লেবাননের রাজধানী বৈরুতে নয়জন নিহত ও ২৪ জন আহত হয়েছে।
এছাড়াও, মাউন্ট লেবাননে দুজন নিহত ও ১৫ জন আহত এবং বালবেক হারমেল প্রদেশে ৯ জন আহত হয়েছেন।
মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদনে আরও জানানো হয়, বেকা অঞ্চলে দুই জন নিহত এবং ১৪ জন আহত হয়েছে। অন্যদিকে নাবাতিয়েহ প্রদেশে ১৯ জন নিহত এবং ৫২ জন আহত হয়েছে।
এছাড়াও দক্ষিণ প্রদেশে পাঁচজন নিহত ও ৩৭ জন আহত হয়েছে।
গত ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী হিজবুল্লাহর সঙ্গে সংঘাতে লেবাননে নজিরবিহীন টানা বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।
এই হামলার নাম দেওয়া হয়েছে 'উত্তরের তীর'।
গত ৭ অক্টোবর গাজা উপত্যকায় হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধে সংহতি জানায় হিজবুল্লাহ। ৮ অক্টোবর থেকে লেবানন-ইসরায়েল সীমান্তে ইসরায়েল-হিজবুল্লাহ সংঘাত শুরু হয় যার তীব্রতা এতই বাড়ছে যে মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধের আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে।
১ মাস আগে
লেবাননে ইসরায়েলি বিমান হামলায় ১২ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত
লেবাননে ইসরায়েলের হামলার কারণে বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা ১২ লাখ ছাড়িয়েছে।
বুধবার লেবাননের মন্ত্রী পরিষদের দুর্যোগ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা ইউনিটের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বেশিরভাগ বাস্তুচ্যুত মানুষ পরিবারসহ নিজ বাড়ি ছেড়ে অন্য এলাকায় স্থানান্তরিত হয়েছে। অনেকে নতুন জায়গায় বাড়ি ভাড়া নিয়েছে। অনেকে সরকারি-বেসরকারি আশ্রয়কেন্দ্রে উঠেছে।
প্রতিবেদনে আরও জানানো হয়, লেবানন থেকে হাজার হাজার মানুষ বিমানে অন্যত্র চলে গিয়েছে বিশেষ করে সিরিয়াতে।
২৩ সেপ্টেম্বর থেকে ২৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত হিসাবে দেখা যায়, ২ লাখ ৩৪ হাজার ২৩ জন সিরীয় এবং ৭৬ হাজার ২৬৯ জন লেবাননের নাগরিক সিরিয়াতে প্রবেশ করেছে।
আরও পড়ুন: লেবাননে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জাতিসংঘ মহাসচিবের
বাস্তুচ্যুতদের জন্য লেবাননে ৮৬৭টি আশ্রয়কেন্দ্র তৈরি করা হয়েছে। এর মধ্যে ৬৪৩টি পূর্ণ হয়ে গিয়েছে।
এদিকে বৈরুত ও এর শহরতলিতে হিজবুল্লাহর কর্মকর্তাদের ও স্থাপনাগুলো লক্ষ্য করে বিমান হামলা বাড়িয়ে দিয়েছে ইসরায়েল। পাশাপাশি সীমিত আকারে স্থল অভিযানও শুরু করেছে।
এরই মধ্যে লেবাননের দক্ষিণ ও পূর্বাঞ্চলের পাশাপাশি বৈরুতের দক্ষিণ শহরতলির বাসিন্দারা নিরাপদ এলাকায় আশ্রয়ের সন্ধানে তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছে।
সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি সময় থেকে হিজবুল্লাহ ও ইসরায়েলের মধ্যে সংঘাত তীব্রভাবে বেড়েছে, যা নিয়ে ওই অঞ্চলে যুদ্ধের আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে।
আরও পড়ুন: ইসরায়েলে ইরানের হামলা ঠেকাতে মার্কিন বাহিনীকে বাইডেনের নির্দেশ
১ মাস আগে
লেবাননে ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত ৯৫, আহত ১৭২
লেবাননের বিভিন্ন এলাকায় গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় ৯৫ জন নিহত ও ১৭২ জন আহত হয়েছে।
সোমবার রাতে লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, বালবেক-হারমেল জেলায় ১৬ জন নিহত ও ৪৮ জন আহত হয়েছে। নাবাতিয়েহ প্রদেশে আরও ১৬ জন নিহত ও ৫৫ জন আহত হয়েছে।
এছাড়াও বৈরুতে চারজন নিহত ও চারজন আহত এবং দক্ষিণাঞ্চলীয় গভর্নরেটে ৫২ জন নিহত ও ৪৩ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
বেকা অঞ্চলে সাতজন নিহত ও ২২ জন আহত হয়েছে।
গত সপ্তাহ থেকে লেবাননে ব্যাপক বিমান হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। এতে হিজবুল্লাহ-ইসরায়েল সংঘাতে উত্তেজনা বাড়ছে যা কেন্দ্র করে ওই অঞ্চলে যুদ্ধের শঙ্কা তৈরি হচ্ছে।
১ মাস আগে
লেবাননে ইসরায়েলি বিমান হামলায় ২৩ সিরীয় নিহত
লেবাননের ইউনাইন এলাকায় বিমান হামলায় ২৩ সিরীয় শরণার্থী নিহত হয়েছে, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।
সিরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, লেবানন ও সিরিয়ার মধ্যবর্তী মাত্রাবাহ সীমান্ত ক্রসিংয়ে হামলা চালানোর মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগে এই বিমান হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী।
বিবৃতিতে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে নিরাপত্তার খোঁজে আসা শরণার্থীসহ নিরীহ বেসামরিক নাগরিকদের ইচ্ছাকৃতভাবে লক্ষ্যবস্তু করার অভিযোগ এনেছে মন্ত্রণালয়।
আন্তর্জাতিক আইন, মানবিক আইন ও মানবাধিকারের প্রতি ইসরায়েলের 'নির্লজ্জ অবজ্ঞার' নিন্দা জানিয়ে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়, ইসরায়েলের কর্মকাণ্ড মানুষের জীবনের প্রতি তাদের দীর্ঘদিনের নির্লিপ্ততার প্রতিফলন।
বারবার আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের জন্য ইসরায়েলকে জবাবদিহি করতে এবং এই অঞ্চলে আরও সহিংসতা রোধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সিরিয়া।
সোমবার থেকে লেবাননজুড়ে ইসরায়েলের ব্যাপক বিমান হামলায় ৬৫০ জনেরও বেশি নিহত ও ২ হাজারেরও বেশি আহত হয়েছে। বাস্তুচ্যুত হয়েছে দেড় লাখেরও বেশি।
১ মাস আগে
ইসরায়েলি হামলায় গাজায় ১৩ জনের মৃত্যু; রাফাহ অভিযান নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে
গাজা উপত্যকার দক্ষিণ সীমান্তের রাফাহ শহরে ইসরায়েলি বিমান হামলায় অন্তত ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে দুজন নারী ও ৫ জন শিশু বলে জানিয়েছে গাজার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করার কয়েক ঘণ্টা পরেই রাতভর বিমান হামলা শুরু হয় এবং রাফাহতে এই হামলা আরও বাড়বে বলেও জানান নেতানিয়াহু।
অন্যদিকে দুই ঘনিষ্ঠ মিত্রের মধ্যে দূরত্ব বাড়তে থাকায় গতকাল বৃহস্পতিবার ইসরায়েল ত্যাগ করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন।
অব্যাহত সামরিক অভিযানের মাধ্যমে ইসরায়েল গাজার ২৩ লাখ জনসংখ্যার অর্ধেকেরও বেশি মিশর সীমান্তের দিকে স্থানান্তর করেছে। ফিলিস্তিনের ভূখণ্ড ত্যাগ করতে না পেরে অনেকে অস্থায়ী তাবু গেড়ে বা জাতিসংঘের শরণার্থী শিবিরগুলোতে আশ্রয় নিয়েছে।
আরও পড়ুন: গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে গাজায় যুদ্ধবিরতি চান অ্যানি লেনক্স
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, যুদ্ধে নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা ২৭ হাজার ৮৪০ জন ছাড়িয়ে গেছে। এছাড়াও গাজার অধিবাসীদের প্রায় এক-চতুর্থাংশ মানুষ অনাহারে জীবনযাপন করছেন।
উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলায় এই যুদ্ধের সূত্রপাত হয়। এই হামলায় ১২০০ ইসরায়েলির মৃত্যু হয়। তাদের মধ্যে বেশিরভাগই বেসামরিক ছিল। আর ২৫০ জনকে জিম্মি করা হয়। হামাস এখনও ১৩০ জনেরও বেশি ইসরায়েলিকে জিম্মি করে রেখেছে যাদের মধ্যে প্রায় ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ইয়েমেনে মার্কিন-ব্রিটিশ বিমান হামলার নিন্দা হামাসের
৯ মাস আগে