ফিলিস্তিনি নিহত
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ৫০ ফিলিস্তিনি নিহত
ইসরায়েলি হামলায় নারী ও শিশুসহ অন্তত ৫০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এ হামলায় আরও অনেকে আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে গাজায় ফিলিস্তিনি সিভিল ডিফেন্স।
স্থানীয় সময় সোমবার (১৮ নভেম্বর) গাজা উপত্যকায় এ হামলা চালানো হয়।
সিভিল ডিফেন্সের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, উত্তর গাজার বেইত লাহিয়া ও জাবালিয়া, মধ্য গাজার নুসেইরাত শিবির এবং দক্ষিণের খান ইউনিস ও রাফাহ শহরে বাস্তুচ্যুতদের আবাসিক বাড়িঘর ও আশ্রয়কেন্দ্র লক্ষ্য করে ইসরায়েলি বোমা হামলা চালানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, ইসরায়েলি অব্যাহত হামলা ও আগ্রাসনের কারণে গাজার উত্তরাঞ্চলে তাদের কাজ বন্ধ রয়েছে। এর ফলে হাজার হাজার নাগরিক মানবিক সহায়তা, চিকিৎসা সেবা ও ত্রাণ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
এদিকে, ফিলিস্তিনি রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির গণমাধ্যম কর্মকর্তা রায়েদ আল-নামাস গাজায় সাংবাদিকদের বলেছেন, চিকিৎসা সরবরাহ ও কর্মীর সংকটের কারণে উত্তরাঞ্চলের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার অবনতি হচ্ছে।
আল-নামাস বলেন, একেবারে ন্যূনতম সেবা দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া ১২ হাজার আহত লোককে উপত্যকার বাইরে চিকিৎসা প্রয়োজন।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলীয় সীমান্তে হামাসের হামলার প্রতিশোধ নিতে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় হামলা করে। ওই হামলায় প্রায় ১,২০০ জন নিহত এবং প্রায় ২৫০ জনকে জিম্মি করা হয়।
গাজাভিত্তিক স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ সোমবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, গাজায় চলমান ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪৩ হাজার ৯২২ জনে দাঁড়িয়েছে।
২ দিন আগে
জেনিনে সামরিক অভিযান চালাচ্ছে ইসরায়েল, ৫ ফিলিস্তিনি নিহত
ফিলিস্তিনের অধিকৃত পশ্চিম তীরের জেনিন শহরে ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযানে পাঁচজন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
শুক্রবার (৫ জুলাই) ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযানে এসব হতাহতের ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, তারা পশ্চিম তীরের জেনিন শহরে বিমান হামলাসহ সন্ত্রাসবিরোধী তৎপরতা চালাচ্ছে।
ইসরায়েলি বাহিনী জানিয়েছে, ইসরায়েলি সেনারা 'একটি ভবন ঘিরে রেখেছে যেখানে ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা(ইসরায়েল যাদের সন্ত্রাসী বলে) জড়ো হয়েছে।' সৈন্যরা গুলি করছে এবং ওই এলাকায় 'বেশ কয়েকজন সশস্ত্র যোদ্ধা'কে লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধে নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা ৩৮ হাজার ছাড়িয়েছে: গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়
ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় পাঁচজনের মৃত্যুর কথা জানিয়েছে। তবে তাদের পরিচয় সম্পর্কে কোনো তথ্য দেয়নি। তাৎক্ষণিকভাবে কোনো পক্ষের কাছ থেকে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যায়নি।
ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত জেনিনে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটল।
ইসরায়েলি বসতি স্থাপনবিরোধী একটি পর্যবেক্ষণ গোষ্ঠী জানিয়েছে, সরকার অধিকৃত পশ্চিম তীরের বসতিগুলোতে প্রায় ৫ হাজার ৩০০ নতুন বাড়ি নির্মাণের পরিকল্পনা করছে।
কট্টরপন্থী সরকারের বসতি স্থাপনের প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে পিস নাউ গ্রুপ যে নির্মাণ পরিকল্পনা প্রকাশ করেছে তা ভবিষ্যৎ ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠন ঠেকাতে পশ্চিম তীরের ওপর ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রণ সুদৃঢ় করার কৌশলের অংশ।
ফিলিস্তিনিরা একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের জন্য পশ্চিম তীর, পূর্ব জেরুজালেম ও গাজা চাইছে। যে এলাকাগুলো ১৯৬৭ সালের আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের সময় দখল করে নেয় ইসরাইল।
আরও পড়ুন: গাজা যুদ্ধবিরতি আলোচনায় প্রতিনিধি দল পাঠাচ্ছে ইসরাইল
গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে পশ্চিম তীরে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছে। গত বছরের ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে হামাসের অভিযানের প্রায় ১ হাজার ২০০ জন নিহত হয়। এর বেশিরভাগ বেসামরিক নাগরিক। এসময় ২০০ জনেরও বেশি ইসরায়েলিকে জিম্মি করে নিয়ে যায় হামাস যোদ্ধারা।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, যুদ্ধে এ পর্যন্ত ৩৮ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। তবে নিহতদের গণনায় যোদ্ধা ও বেসামরিক নাগরিকদের আলাদা করে উল্লেখ করেনি মন্ত্রণালয়। তবে নিহতদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।
কয়েক সপ্তাহ ধরে স্থগিত থাকার পর যুদ্ধবিরতি আলোচনা আবার শুরু হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। হামাস একটি চুক্তির জন্য মার্কিন সমর্থিত প্রস্তাবের সর্বশেষ প্রতিক্রিয়া হস্তান্তর করার একদিন পরে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় বৃহস্পতিবার(৫ জুলাই) জানিয়েছে, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী আলোচনা পুনরায় শুরু করতে আলোচকদের পাঠাচ্ছেন।
গত কয়েক মাস ধরে বারবার একটি চুক্তি সম্পাদন ব্যর্থ হওয়ার পর পুনরায় মার্কিন, কাতার ও মিশরীয় মধ্যস্থতাকারীদের আলোচনা শুরু করার এই উদ্যোগ তাদের মধ্যে ব্যবধান কাটিয়ে ওঠার আরেকটি প্রচেষ্টা বলে মনে হচ্ছে।
তবে হামাস এমন একটি চুক্তি চায়, যার মাধ্যমে ইসরায়েলি সেনারা পুরোপুরি গাজা ত্যাগ করবে এবং যুদ্ধ শেষ হবে। অন্যদিকে নেতানিয়াহু বলেছেন, হামাসকে নির্মূল করার আগে যুদ্ধ শেষ হতে পারে না।
আমেরিকা, মিশর ও কাতারি কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে আলোচনার জন্য ইসরায়েলি আলোচকরা শুক্রবার(৫ জুলাই) কাতারের রাজধানী দোহায় পৌঁছানোর কথা।
আরও পড়ুন: ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন: দ্বিতীয় দফার ভোট গ্রহণ শুরু
৪ মাস আগে
রাফাহতে ইসরায়েলি হামলায় আরও ২৮ ফিলিস্তিনি নিহত
রাফায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় কমপক্ষে আরও ২৮ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। স্থানীয় সময় শনিবার(১০ ফেব্রুয়ারি) ভোরে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে।
তবে স্থলভাগে আক্রমণের আগে দক্ষিণ গাজার শহর থেকে কয়েক হাজার লোককে সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করার জন্য সামরিক বাহিনীকে বলেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী।
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু না জানিয়ে ঘোষণা দেওয়ায় গাজাবাসীর মধ্যে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
গাজার ২৩ লাখ মানুষের অর্ধেকেরও বেশি এখন রাফায় গাদাগাদি করে অবস্থান নিয়েছে। ইসরায়েলি উচ্ছেদের নির্দেশে বারবার উচ্ছেদ করায় গাজার দুই-তৃতীয়াংশ এলাকা এখন এই অবস্থায় রয়েছে। এরপর তারা কোথায় যেতে পারবে তা স্পষ্ট নয়।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রে ফিলিস্তিনি বংশোদ্ভূত ৩ যুবককে গুলি
মার্কিন কর্মকর্তারা বলেছেন, বেসামরিক জনগণের জন্য কোনো পরিকল্পনা ছাড়া রাফাহতে হামলা হলে তা বিপর্যয় ডেকে আনবে।
ইসরায়েল প্রায় প্রতিদিনই রাফাহতে বিমান হামলা চালাচ্ছে। যদিও সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে খান ইউনিস শহরে উত্তর দিকের স্থলভাগের যুদ্ধ থেকে বাঁচতে বেসামরিক নাগরিকদের সেখানে আশ্রয় নিতে বলা হয়েছিল।
শনিবার রাতভর রাফাহ এলাকার বাড়িঘরে তিনটি বিমান হামলায় ২৮ জন নিহত হয়েছেন বলে এক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ও অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের সাংবাদিকরা জানিয়েছেন। প্রতিটি হামলায় অন্তত তিনটি পরিবারের একাধিক সদস্য নিহত হন। নিহতদের মধ্যে মোট ১০টি শিশু ছিল। সবচেয়ে কনিষ্ঠতম শিশুটির বয়স ছিল মাত্র তিন মাস।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আশরাফ আল-কিদরা জানান, ইসরায়েলি বাহিনী খান ইউনিসের ওই এলাকার সবচেয়ে বড় নাসের হাসপাতালে গুলি চালালে অন্তত একজন নিহত ও বেশ কয়েকজন আহত হয়।
আরও পড়ুন: ন্যাম সম্মেলন: ফিলিস্তিনিদের সমর্থন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
তিনি বলেন, তীব্র আগুনের কারণে হাসপাতালের ভবনগুলোর মধ্যে চিকিৎসা কর্মীরা আর চলাচল করতে পারছেন না।
তিনি বলেন, হাসপাতালে ৩০০ চিকিৎসাকর্মী, ৪৫০ জন রোগী এবং ১০ হাজার বাস্তুচ্যুত মানুষ আশ্রয় নিয়েছে।
ইসরায়েল বলছে, চার মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা যুদ্ধের পর মিশরের সীমান্তবর্তী রাফাহ গাজায় হামাসের শেষ শক্ত ঘাঁটি।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে কয়েক হাজার হামাস সদস্যের সশস্ত্র হামলায় নিহত হয় ১ হাজার ২০০ মানুষ। এসময় আরও ২৫০ জনকে জিম্মি করে নিয়ে যায় হামাস। এরপরই হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে ইসরায়েল।
হামাসের সঙ্গে চলমান যুদ্ধে ইসরায়েলি বিমান ও স্থল অভিযানে প্রায় ২৮ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহতদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। গাজার ২৩ লাখ মানুষের প্রায় ৮০ শতাংশ বাস্তুচ্যুত হয়েছে এবং অঞ্চলটি খাদ্য ও চিকিৎসা সেবার ঘাটতিসহ মানবিক সংকটে নিমজ্জিত হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ ও দক্ষিণ আফ্রিকার প্রতি কৃতজ্ঞ: ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত
৯ মাস আগে