ফিলিস্তিনি নিহত
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ২১ ফিলিস্তিনি নিহত
গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় শুক্রবার অন্তত ২১ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। গাজার সিভিল ডিফেন্স কর্তৃপক্ষ বার্তা সংস্থা সিনহুয়াকে এই তথ্য জানিয়েছে।
সংস্থাটির মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল জানিয়েছেন, দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসের দক্ষিণ-পূর্বে আল-ফাখারি শহরের পূর্ব এলাকার একটি বাড়িতে ইসরায়েলি বিমান হামলায় ৯ জন নিহত হয়েছেন। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
তিনি আরও জানান, গাজা শহর এবং খান ইউনিসের আশেপাশের অন্যান্য এলাকায় ব্যাপক বিমান হামলার খবর পাওয়া গেছে। যদিও ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এই হামলার ঘটনাগুলো সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করেনি।
গাজা সিটিতে, শুজাইয়া এবং তুফাহ এলাকায় ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী এবং ইসরায়েলি বাহিনীর মধ্যে তীব্র সংঘর্ষ শুরু হয়। সংঘর্ষের সময় ইসরায়েলি বিমানের হামলাও তীব্র হয় ও কামানের বোমাবর্ষণ করা হয়। ফলে আশপাশে ধোঁয়ার কুণ্ডলী ছড়িয়ে পড়ে। ফিলিস্তিনি সূত্র জানায়, একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে, এলাকা জুড়ে ঘন ধোঁয়ার কুণ্ডলী উড়ছে।
আরও পড়ুন: কাশ্মীরে হামলার ঘটনায় প্রধান উপদেষ্টার নিন্দা
শুক্রবার এক বিবৃতিতে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর মুখপাত্র আভিচায় আদরাই বলেছেন, ২৫২তম ডিভিশনের ৪০১তম ব্রিগেডের সৈন্যরা বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরে এই এলাকায় ‘সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোকে’ লক্ষ্য করে অভিযান চালিয়ে আসছে।
তিনি উল্লেখ করেন, একটি ইসরায়েলি ড্রোন একটি ভবন থেকে ট্যাঙ্ক-বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের সঙ্গে জড়িত একটি ফিলিস্তিনি সেলের সদস্যদের হত্যা করেছে। ওই অভিযানের সময় কোনো ইসরায়েলি হতাহত হয়নি।
এদিকে, ইসরায়েলের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন কান টিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দক্ষিণ গাজায় ৬ জন ইসরায়েলি সৈন্য আহত হয়েছেন, যার মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর। তবে এই ঘটনাকে ‘নিরাপত্তা সংক্রান্ত ঘটনা’ হিসাবে বর্ণনা করা হয়েছে।
এই ঘটনার বিষয়ে আদরাই নিশ্চিত করেছেন যে, দক্ষিণ গাজা উপত্যকায় সংঘর্ষের সময় ৫২৫০তম ব্যাটালিয়নের একজন রিজার্ভ সদস্য গুরুতর আহত হয়েছেন।
হামাসের সামরিক শাখা আল-কাসসাম ব্রিগেডের মুখপাত্র আবু ওবাইদা পৃথক এক বিবৃতিতে বলেছেন, তাদের যোদ্ধারা ইসরায়েলি সেনাদের লক্ষ্যবস্তু করে অতর্কিত হামলা চালিয়েছে।
আরও পড়ুন: ভারতের কাশ্মীরে পর্যটকদের ওপর বন্দুকধারীদের হামলা, নিহত ২৬
গাজার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের মতে, যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে চলতি বছরের ১৮ মার্চ থেকে ইসরায়েল তার তীব্র সামরিক অভিযান পুনরায় শুরু করেছে। এরপর থেকে কমপক্ষে ২ হাজার ৬২ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আর আহত হয়েছেন অন্তত ৫ হাজার ৩৭৫ জন ফিলিস্তিনি। যার ফলে ২০২৩ সালের অক্টোবরে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে গাজায় মোট মৃতের সংখ্যা ৫১ হাজার ৪৩৯ জনে দাঁড়িয়েছে। আর মোট আহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ১৭ হাজার ৪১৬ জনে।
৭ দিন আগে
ইসরায়েলি হামলায় আরও ১৯ ফিলিস্তিনি নিহত
ইসরায়েলের বর্বর হামলায় গাজায় আরও ১৯ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে উপত্যকাটির সিভিল ডিফেন্স। তবে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, গত ২৪ ঘণ্টায় প্রাণ হারিয়েছেন ২৫ ফিলিস্তিনি, আহত হয়েছেন ৮৯ জন।
স্থানীয় সময় বুধবার (১৬ এপ্রিল) ভোর থেকে চালানো ইসরায়েলি হামলায় ১৯ জনের প্রাণহানি ঘটেছে বলে জানিয়েছেন গাজার সিভিল ডিফেন্সের মুখপাত্র মাহমুদ বাশাল।
তিনি জানান, বুধবার উত্তর গাজার আল-তুফফাহ এলাকায় একটি বাড়িতে ইসরায়েলের বিমান হামলায় ১০ জন নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে নারী ও শিশুও ছিলো। এছাড়া, উত্তর গাজার জাবালিয়া এলাকায় তিন ফিলিস্তিনিকে হত্যা করে ইসরায়েলি সেনারা। এসময় আরও ৫ জন আহত হন।
বাশাল জানান, একই দিনে দক্ষিণ গাজার খান ইউনিস এলাকায় ইসরায়েলের ড্রোন হামলায় দুই শিশুসহ অন্তত ৫ জন নিহত হয়েছে। এছাড়াও মধ্য গাজায় একটি তাঁবুতে খাবার বিতরণ করার সময় বিমান হামলায় আরও এক ফিলিস্তিনি নিহত হন।
আরও পড়ুন: গাজার হাসপাতালে ফের ইসরায়েলি হামলা, চিকিৎসক নিহত
ফিলিস্তিনি নিরাপত্তা সূত্রগুলোর তথ্যমতে, পূর্ব গাজা, উত্তর গাজার বেইত হানুন ও বেইত লাহিয়া অঞ্চলে বুধবার অবিরাম বোমাবর্ষণ করেছে ইসরায়েলের সেনাবাহিনী।
এদিকে, হামাসের সশস্ত্র শাখা কাশেম ব্রিগেড এক বিবৃতিতে জানায়, গাজার আল ওয়াফা হাসপাতালের কাছে ইসরায়েলের তিনটি ‘মারকাভা ৪’ ট্যাংকে হামলা চালিয়েছে তারা। তবে এই হামলার বিষয়ে কোনো প্রতিক্রয়া জানায়নি ইসরায়েলের সেনারা। বুধবারের পৃথক এক বিবৃতিতে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে, গত ১৮ মার্চ যুদ্ধবিরতি চুক্তি ভেঙে হামলা চালানোর পর থেকে এ পর্যন্ত হামাসের ১১ জন উচ্চপদস্ত কর্মকর্তাকে হত্যা করেছে তারা।
হামাস জানিয়েছে, ইসরায়েলের হামলায় বুধবার উপত্যকাটিতে ২৫ জন ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন। এ সময় আহত হন আরও ৮৯ জন।
ইসরায়েলের চলমান আগ্রাসনে গাজা নগরী ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে। প্রতিদিনই বেড়ে চলেছে নিহত ও আহতের সংখ্যা।
আরও পড়ুন: ইসরায়েলি নৃশংসতার প্রতিবাদে আজ ঢাকায় 'মার্চ ফর গাজা'
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে গত ১৮ মার্চ থেকে চালানো ইসরায়েলি হামলায় এক হাজার ৬৫২ জনের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত ইসরায়েলি হামলায় মোট প্রাণ হারিয়েছেন ৫১ হাজারের বেশি মানুষ। যাদের মধ্যে বেশিরভাগই নারী ও শিশু।
১৬ দিন আগে
ইসরায়েলি হামলায় গাজায় আরও ৬০ ফিলিস্তিনি নিহত
গাজা উপত্যকায় দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় আরও ৬০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। সোমবার (৭ এপ্রিল) ভোর থেকে চালানো হামলায় তারা নিহত হন।
মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) গাজার সিভিল ডিফেন্সের মুখপাত্র মোহাম্মদ বাশালের বরাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানায় সংবাদ মাধ্যম মিডল ইস্ট আই।
এর আগে নাসের হাসপাতালের কাছে সাংবাদিকদের তাবুতে ইসরায়েলি বোমা হামলায় তিন সাংবাদিক নিহত হন।
চলমান ইসরায়েলি আগ্রাসনে গাজা নগরী ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে। উপত্যকাটিতে ইসরায়েলের কড়াকড়ি আরোপের ফলে ৬ লাখ ২ হাজার শিশু পোলিও টিকা থেকে বঞ্চিত হওয়ায় স্থায়ী স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়েছে।
আরও পড়ুন: গাজার ৫০ শতাংশ ইসরায়েলের দখলে, নিজ ভূমিতে পরবাসী ফিলিস্তিনিরা
অধিকৃত পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গত রবিবার তুরমাস আইয়ায় ইসরায়েলি বাহিনী ১৪ বছর বয়সী ফিলিস্তিনি-আমেরিকান কিশোর ওমর মোহাম্মদ রাবেয়াকে গুলি করে হত্যা করেছে।
যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে ইসরায়েল গত ১৮ মার্চ থেকে গাজায় বড় আকারের বিমান ও স্থল অভিযান শুরু করেছে। শুধু তাই নয় ক্রমাগতভাবে নিজেদের নিয়ন্ত্রণ সম্প্রসারণ করে চলেছে দখলদার ইসরায়েল। এখন পর্যন্ত উপত্যকাটির ৫০ শতাংশ অংশ দখলে নিয়েছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী (আইডিএফ)। এতে নিজ ভূমিতে অস্তিত্বহীন হয়ে পড়েছেন অধিকাংশ ফিলিস্তিনি।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলি বাহিনীর বর্বরতায় এখন পর্যন্ত ৫০ হাজার ৬৯৫ জন ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন। যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।
সূত্র: বিভিন্ন এজেন্সি
২৪ দিন আগে
পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বিমান হামলায় ১০ ফিলিস্তিনি নিহত
অধিকৃত পশ্চিম তীরের তাম্মুন শহরে ইসরায়েলি বিমান হামলায় ১০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
বুধবার (২৯ জানুয়ারি) রাতে তুবাসের দক্ষিণ-পূর্বের তাম্মুন শহরে ইসরাইলি হামলায় এসব হতাহতে ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা।
ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, হামলার পর ১০ জনের লাশ ও বেশ কয়েকজন আহত ব্যক্তিকে তুবাস সরকারি হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: গাজায় বিমান হামলার সময় ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ল হুথি
অন্যদিকে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, তারা পশ্চিম তীরে 'সশস্ত্র সন্ত্রাসী কর্মীদের' একটি সেলকে লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে পশ্চিম তীরে উত্তেজনা বাড়তে থাকে। ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেমে এ পর্যন্ত আট শতাধিক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: বিমান হামলার পর ইয়েমেন ছেড়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা প্রধান
৯৩ দিন আগে
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ৫০ ফিলিস্তিনি নিহত
ইসরায়েলি হামলায় নারী ও শিশুসহ অন্তত ৫০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এ হামলায় আরও অনেকে আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে গাজায় ফিলিস্তিনি সিভিল ডিফেন্স।
স্থানীয় সময় সোমবার (১৮ নভেম্বর) গাজা উপত্যকায় এ হামলা চালানো হয়।
সিভিল ডিফেন্সের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, উত্তর গাজার বেইত লাহিয়া ও জাবালিয়া, মধ্য গাজার নুসেইরাত শিবির এবং দক্ষিণের খান ইউনিস ও রাফাহ শহরে বাস্তুচ্যুতদের আবাসিক বাড়িঘর ও আশ্রয়কেন্দ্র লক্ষ্য করে ইসরায়েলি বোমা হামলা চালানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, ইসরায়েলি অব্যাহত হামলা ও আগ্রাসনের কারণে গাজার উত্তরাঞ্চলে তাদের কাজ বন্ধ রয়েছে। এর ফলে হাজার হাজার নাগরিক মানবিক সহায়তা, চিকিৎসা সেবা ও ত্রাণ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
এদিকে, ফিলিস্তিনি রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির গণমাধ্যম কর্মকর্তা রায়েদ আল-নামাস গাজায় সাংবাদিকদের বলেছেন, চিকিৎসা সরবরাহ ও কর্মীর সংকটের কারণে উত্তরাঞ্চলের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার অবনতি হচ্ছে।
আল-নামাস বলেন, একেবারে ন্যূনতম সেবা দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া ১২ হাজার আহত লোককে উপত্যকার বাইরে চিকিৎসা প্রয়োজন।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলীয় সীমান্তে হামাসের হামলার প্রতিশোধ নিতে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় হামলা করে। ওই হামলায় প্রায় ১,২০০ জন নিহত এবং প্রায় ২৫০ জনকে জিম্মি করা হয়।
গাজাভিত্তিক স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ সোমবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, গাজায় চলমান ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪৩ হাজার ৯২২ জনে দাঁড়িয়েছে।
১৬৫ দিন আগে
জেনিনে সামরিক অভিযান চালাচ্ছে ইসরায়েল, ৫ ফিলিস্তিনি নিহত
ফিলিস্তিনের অধিকৃত পশ্চিম তীরের জেনিন শহরে ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযানে পাঁচজন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
শুক্রবার (৫ জুলাই) ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযানে এসব হতাহতের ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, তারা পশ্চিম তীরের জেনিন শহরে বিমান হামলাসহ সন্ত্রাসবিরোধী তৎপরতা চালাচ্ছে।
ইসরায়েলি বাহিনী জানিয়েছে, ইসরায়েলি সেনারা 'একটি ভবন ঘিরে রেখেছে যেখানে ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা(ইসরায়েল যাদের সন্ত্রাসী বলে) জড়ো হয়েছে।' সৈন্যরা গুলি করছে এবং ওই এলাকায় 'বেশ কয়েকজন সশস্ত্র যোদ্ধা'কে লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধে নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা ৩৮ হাজার ছাড়িয়েছে: গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়
ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় পাঁচজনের মৃত্যুর কথা জানিয়েছে। তবে তাদের পরিচয় সম্পর্কে কোনো তথ্য দেয়নি। তাৎক্ষণিকভাবে কোনো পক্ষের কাছ থেকে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যায়নি।
ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত জেনিনে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটল।
ইসরায়েলি বসতি স্থাপনবিরোধী একটি পর্যবেক্ষণ গোষ্ঠী জানিয়েছে, সরকার অধিকৃত পশ্চিম তীরের বসতিগুলোতে প্রায় ৫ হাজার ৩০০ নতুন বাড়ি নির্মাণের পরিকল্পনা করছে।
কট্টরপন্থী সরকারের বসতি স্থাপনের প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে পিস নাউ গ্রুপ যে নির্মাণ পরিকল্পনা প্রকাশ করেছে তা ভবিষ্যৎ ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠন ঠেকাতে পশ্চিম তীরের ওপর ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রণ সুদৃঢ় করার কৌশলের অংশ।
ফিলিস্তিনিরা একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের জন্য পশ্চিম তীর, পূর্ব জেরুজালেম ও গাজা চাইছে। যে এলাকাগুলো ১৯৬৭ সালের আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের সময় দখল করে নেয় ইসরাইল।
আরও পড়ুন: গাজা যুদ্ধবিরতি আলোচনায় প্রতিনিধি দল পাঠাচ্ছে ইসরাইল
গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে পশ্চিম তীরে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছে। গত বছরের ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে হামাসের অভিযানের প্রায় ১ হাজার ২০০ জন নিহত হয়। এর বেশিরভাগ বেসামরিক নাগরিক। এসময় ২০০ জনেরও বেশি ইসরায়েলিকে জিম্মি করে নিয়ে যায় হামাস যোদ্ধারা।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, যুদ্ধে এ পর্যন্ত ৩৮ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। তবে নিহতদের গণনায় যোদ্ধা ও বেসামরিক নাগরিকদের আলাদা করে উল্লেখ করেনি মন্ত্রণালয়। তবে নিহতদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।
কয়েক সপ্তাহ ধরে স্থগিত থাকার পর যুদ্ধবিরতি আলোচনা আবার শুরু হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। হামাস একটি চুক্তির জন্য মার্কিন সমর্থিত প্রস্তাবের সর্বশেষ প্রতিক্রিয়া হস্তান্তর করার একদিন পরে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় বৃহস্পতিবার(৫ জুলাই) জানিয়েছে, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী আলোচনা পুনরায় শুরু করতে আলোচকদের পাঠাচ্ছেন।
গত কয়েক মাস ধরে বারবার একটি চুক্তি সম্পাদন ব্যর্থ হওয়ার পর পুনরায় মার্কিন, কাতার ও মিশরীয় মধ্যস্থতাকারীদের আলোচনা শুরু করার এই উদ্যোগ তাদের মধ্যে ব্যবধান কাটিয়ে ওঠার আরেকটি প্রচেষ্টা বলে মনে হচ্ছে।
তবে হামাস এমন একটি চুক্তি চায়, যার মাধ্যমে ইসরায়েলি সেনারা পুরোপুরি গাজা ত্যাগ করবে এবং যুদ্ধ শেষ হবে। অন্যদিকে নেতানিয়াহু বলেছেন, হামাসকে নির্মূল করার আগে যুদ্ধ শেষ হতে পারে না।
আমেরিকা, মিশর ও কাতারি কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে আলোচনার জন্য ইসরায়েলি আলোচকরা শুক্রবার(৫ জুলাই) কাতারের রাজধানী দোহায় পৌঁছানোর কথা।
আরও পড়ুন: ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন: দ্বিতীয় দফার ভোট গ্রহণ শুরু
৩০১ দিন আগে
রাফাহতে ইসরায়েলি হামলায় আরও ২৮ ফিলিস্তিনি নিহত
রাফায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় কমপক্ষে আরও ২৮ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। স্থানীয় সময় শনিবার(১০ ফেব্রুয়ারি) ভোরে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে।
তবে স্থলভাগে আক্রমণের আগে দক্ষিণ গাজার শহর থেকে কয়েক হাজার লোককে সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করার জন্য সামরিক বাহিনীকে বলেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী।
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু না জানিয়ে ঘোষণা দেওয়ায় গাজাবাসীর মধ্যে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
গাজার ২৩ লাখ মানুষের অর্ধেকেরও বেশি এখন রাফায় গাদাগাদি করে অবস্থান নিয়েছে। ইসরায়েলি উচ্ছেদের নির্দেশে বারবার উচ্ছেদ করায় গাজার দুই-তৃতীয়াংশ এলাকা এখন এই অবস্থায় রয়েছে। এরপর তারা কোথায় যেতে পারবে তা স্পষ্ট নয়।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রে ফিলিস্তিনি বংশোদ্ভূত ৩ যুবককে গুলি
মার্কিন কর্মকর্তারা বলেছেন, বেসামরিক জনগণের জন্য কোনো পরিকল্পনা ছাড়া রাফাহতে হামলা হলে তা বিপর্যয় ডেকে আনবে।
ইসরায়েল প্রায় প্রতিদিনই রাফাহতে বিমান হামলা চালাচ্ছে। যদিও সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে খান ইউনিস শহরে উত্তর দিকের স্থলভাগের যুদ্ধ থেকে বাঁচতে বেসামরিক নাগরিকদের সেখানে আশ্রয় নিতে বলা হয়েছিল।
শনিবার রাতভর রাফাহ এলাকার বাড়িঘরে তিনটি বিমান হামলায় ২৮ জন নিহত হয়েছেন বলে এক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ও অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের সাংবাদিকরা জানিয়েছেন। প্রতিটি হামলায় অন্তত তিনটি পরিবারের একাধিক সদস্য নিহত হন। নিহতদের মধ্যে মোট ১০টি শিশু ছিল। সবচেয়ে কনিষ্ঠতম শিশুটির বয়স ছিল মাত্র তিন মাস।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আশরাফ আল-কিদরা জানান, ইসরায়েলি বাহিনী খান ইউনিসের ওই এলাকার সবচেয়ে বড় নাসের হাসপাতালে গুলি চালালে অন্তত একজন নিহত ও বেশ কয়েকজন আহত হয়।
আরও পড়ুন: ন্যাম সম্মেলন: ফিলিস্তিনিদের সমর্থন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
তিনি বলেন, তীব্র আগুনের কারণে হাসপাতালের ভবনগুলোর মধ্যে চিকিৎসা কর্মীরা আর চলাচল করতে পারছেন না।
তিনি বলেন, হাসপাতালে ৩০০ চিকিৎসাকর্মী, ৪৫০ জন রোগী এবং ১০ হাজার বাস্তুচ্যুত মানুষ আশ্রয় নিয়েছে।
ইসরায়েল বলছে, চার মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা যুদ্ধের পর মিশরের সীমান্তবর্তী রাফাহ গাজায় হামাসের শেষ শক্ত ঘাঁটি।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে কয়েক হাজার হামাস সদস্যের সশস্ত্র হামলায় নিহত হয় ১ হাজার ২০০ মানুষ। এসময় আরও ২৫০ জনকে জিম্মি করে নিয়ে যায় হামাস। এরপরই হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে ইসরায়েল।
হামাসের সঙ্গে চলমান যুদ্ধে ইসরায়েলি বিমান ও স্থল অভিযানে প্রায় ২৮ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহতদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। গাজার ২৩ লাখ মানুষের প্রায় ৮০ শতাংশ বাস্তুচ্যুত হয়েছে এবং অঞ্চলটি খাদ্য ও চিকিৎসা সেবার ঘাটতিসহ মানবিক সংকটে নিমজ্জিত হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ ও দক্ষিণ আফ্রিকার প্রতি কৃতজ্ঞ: ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত
৪৪৭ দিন আগে