ভারতে পাচার
ভারতে পাচার হওয়া ১৫ নারী-শিশু ফিরেছে দেশে
বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে দেশে ফিরেছে ১৫ বাংলাদেশি নারী-শিশু। ভারতে দুই বছর কারাভোগের পর শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১০টায় ট্রাভেল পারমিট বেনাপোলে হস্তান্তর করেছে ভারতের পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ।
শনিবার (২১ ডিসেম্বর) সকালে রাইটস যশোর নামে একটি এনজিও সংস্থা তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তরের জন্য তাদের নিজস্ব সেল্টার হোমে নিয়ে গেছে।
ফেরত আসাদের মধ্যে ৯ জন নারী ও ৬ জন শিশু রয়েছে। তারা নড়াইল, খুলনা ও সাতক্ষীরা জেলার বাসিন্দা।
বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইব্রাহিম আহমেদ জানান, গত আড়াই বছর আগে অর্থের বিনিময়ে ভালো কাজের প্রলোভন দেখিয়ে দালালরা তাদের ভারতের মুম্বাই শহরে পাচার করে। পরে মুম্বাই রেল স্টেশনে রেখে পালিয়ে যায় দালালরা। সেখান থেকে পুলিশ তাদের আটক করে আদালতে নিয়ে যায়।
পরে আদালত তাদের দুই বছরের কারাদণ্ড দেন। সাজার মেয়াদ শেষে আইনি প্রক্রিয়ায় শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টায় ভারতীয় পুলিশ তাদের দেশে ফেরত পাঠায়।
ওসি জানান, ইমিগ্রেশনে সব আনুষ্ঠানিকতা শেষে বেনাপোল পোর্ট থানায় ১৫ জনকে হস্তান্তর করা হয়েছে। রাইটস যশোর নামে একটি এনজিও সংস্থা তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তরের জন্য থানা থেকে ছাড়িয়ে তাদের নিজস্ব শেল্টার হোমে নিয়ে যায়।
১ দিন আগে
ভারতে কারাভোগ শেষে দেশে ফিরলেন ৯ বাংলাদেশি
ভারতে পাচার হওয়া ৯ বাংলাদেশি যুবক কারাভোগ শেষে দেশে ফিরেছেন।
রবিবার (৮ ডিসেম্বর) সকালে তাদের গ্রহণ করেছে রাইটস নামের একটি এনজিও সংস্থা।
এর আগে শনিবার (৭ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে ভারত সরকারের দেওয়া বিশেষ ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে দেশে ফিরেছেন তারা। ভারতের পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ তাদের বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন।
ফেরত আসা যুবকেরা হলেন- মো. সুজন ফকির (২৮), মো. আব্দুল মোনাব (৩০), মো. রেদোয়ান (২৫),মো. নুর আলম (৩০), তাজির ইসলাম (২৮),শাহজাহান গাজী (৩৫), মো. খাইরুল ইসলাম (২৯),মো. সামাদ মিয়া(২৩), মো. শাহাদত হোসেন(৩৪)। এরা যশোর নড়াইল, সুনামগঞ্জ, খুলনা, চাঁদপুর ও কক্সবাজার জেলার বাসিন্দা।
বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমতিয়াজ ভূঁইয়া জানান, ফেরত আসা যুবকেরা ৫ থেকে ৭ বছর আগে কাজের সন্ধানে ভারতে যান। সেখানে বিভিন্ন এলাকায় খেত খামারে কাজ করার সময় সে দেশের পুলিশের কাছে আটক হন তারা। পরে আদালত তাদের বিভিন্ন মেয়াদে ২-৩-৫ বছর সাজা দেয়।
কারাভোগ শেষে উভয় দেশের দূতাবাসের মাধ্যমে বিশেষ ট্রাভেল পারমিটে শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে দেশে ফিরেছেন তারা। ইমিগ্রেশনের আনুষ্ঠানিকতা শেষে তাদের বেনাপোল পোর্ট থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। সেখান থেকে রাইটস নামের একটি এনজিও সংস্থার কাছে তাদের হস্তান্তর করা হয়েছে।
রাইটস যশোরের সাইকোসোশ্যাল কাউন্সিলর মো. মামুন জানান, বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশ ভারত ফেরত ৯ বাংলাদেশি যুবককে রবিবার সকালে রাইটস নামের একটি এনজিও সংস্থার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তাদের এখন রাইটসের শেল্টার হোমে রাখা হবে। পরে সেখান থেকে তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করবে।
২ সপ্তাহ আগে
বেনাপোল দিয়ে দেশে ফিরল ১৯ বাংলাদেশি
ভারতে পাচার হওয়া ১৯ নারী-পুরুষ ও শিশুকে বেনাপোল দিয়ে হস্তান্তর করেছে ভারতীয় পেট্রাপোল পুলিশ।
এরা ভারতের পশ্চিমবঙ্গের ধ্রুবাশ্রম, লিলুয়া, কিশোরালয় ও আনন্দ আশ্রম নামে শেল্টার হোমের হেফাজতে ছিল।
শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে ভারতের পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ তাদের বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামের রৌমারী সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত
চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান বিশ্বাস এ তথ্য জানিয়েছেন।
দেশে ফেরত আসারা হলেন- স্নেহ বালা, হাসিবুল শেখ, শান্ত বর্মন, রিয়াজ মোল্লা সিয়াম শেখ, আকাশ চন্দ্র দাস, আফরিন জাহান, প্রিয়ন্তি খাতুন, আকলিমা খাতুন, মাসুম বিল্লাহ, সন্দীপ পাল, তৌফিক, অনিক চৌধুরী, মাসুদ সর্দার, সৌরভ বালা, রবিউল শেখ, মধু খান, আন্নি আক্তার, জেসমিন আক্তার, জাকিয়া আক্তার।
এদের বাড়ি জামালপুর, নাটোর, সাতক্ষীরা, পটুয়াখালী, কুমিল্লা, পঞ্চগড়, চাঁদপুর, বাগেরহাট, খুলনা, লালমনিরহাট ও নড়াইল জেলার বিভিন্ন গ্রামে।
বেনাপোল-পেট্রাপোল সীমান্ত দিয়ে দেশে ফেরার পর জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ার ৭ জন, মহিলা আইন সমিতি ৬ জন ও রাইটস যশোর নামে একটি বেসরকারি সংস্থা (এনজিও) ৬ জনকে গ্রহণ করে।
ফেরত আসা নারী-পুরুষ ও শিশুদের তাদের পরিবারের কাছে পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব নিয়েছে এই তিন সংস্থা।
জাস্টিক অ্যান্ড কেয়ারের সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার মুহিত হোসেন বলেন, ভালো কাজ দেওয়ার কথা বলে দালালরা এদের ভারতে নিয়ে যায়। বিভিন্ন বাসা বাড়িতে কাজ করার সময় এরা পুলিশের হাতে আটক হয়। পরে পুলিশ তাদের জেলখানায় পাঠায়।
তিনি আরও বলেন, সেখান থেকে কয়েকটি এনজিও সংস্থা তাদের ছাড়িয়ে নিয়ে নিজেদের আশ্রয়ে রাখে। পরে দুই দেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দেওয়া বিশেষ ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে শুক্রবার তাদের ফেরত আনা হয়েছে।
আরও পড়ুন: লিবিয়ায় ‘ড্যানিয়েলের’ আঘাতে ৬ বাংলাদেশি নিহত
পঞ্চগড় সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত
১ বছর আগে
চুয়াডাঙ্গায় ভুষির বস্তা থেকে ১০টি স্বর্ণের বার জব্দ
ভারতে পাচারের সময় চুয়াডাঙ্গার দর্শনা থানার সুলতানপুর সীমান্তে গমের ভুষির বস্তা থেকে ১০টি স্বর্ণের বার জব্দ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) বিকালে চুয়াডাঙ্গা বিজিবি-৬ সুলতানপুর বিওপির ঝাঝাডাঙ্গা গ্রাম থেকে স্বর্ণের বারগুলো উদ্ধার করে।
জব্দ করা স্বর্ণের বারের ওজন তিন কেজি ১৬৩ গ্রাম। যার বাজারমূল্য প্রায় আড়াই কোটি টাকা।
আরও পড়ুন: শার্শা সীমান্ত থেকে ৮টি স্বর্ণের বার জব্দ
চুয়াডাঙ্গা-৬ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাঈদ মোহাম্মাদ জাহিদুর রহমান পিএসসি এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, সীমান্ত দিয়ে ভারতে স্বর্ণের বড় একটি চালান পাচার হচ্ছে-এমন খবর পেয়ে সীমান্ত পিলার ৭৮/৬-আর থেকে প্রায় ৩০০ গজ বাংলাদেশের ভেতরে ঝাঝাডাঙ্গা গ্রামের চার রাস্তার মোড়ে অবস্থান নেয় বিজিবি। বিকাল ৩টার দিকে সন্দেহ হওয়ায় নাস্তিপুর সীমান্ত এলাকার দিকে যেতে থাকা ব্যাটারিচালিত একটি ভ্যান থামানো হয়। এসময় ভ্যানের যাত্রীদের মধ্যে একজন দৌড়ে পালিয়ে যান। পরে ভ্যানে পড়ে থাকা তার ভুষির বস্তায় ছোট-বড় ১০টি সোনার বার পাওয়া যায়।
তিনি বলেন, ভ্যানের চালক ও অন্য যাত্রীরা ওই লোককে চেনেন না বলে জানান। উদ্ধার করা সোনার আনুমানিক বাজার মূল্য দুই কোটি ৫৫ লাখ টাকা।
তিনি আরও জানান, এ ব্যাপারে নায়েক দিদার বাদশা বাদী হয়ে দর্শনা থানায় মামলা দায়ের করেন এবং উদ্ধার করা স্বর্ণের বারগুলো চুয়াডাঙ্গা ট্রেজারি অফিসে জমা দেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে ২৩টি স্বর্ণের বার জব্দ, যাত্রী আটক
বেনাপোলে যাত্রীর পেট থেকে ৫টি স্বর্ণের বার জব্দ, আটক ১
১ বছর আগে
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরলেন ৮ নারী
ভারতে পাচার হওয়া আট বাংলাদেশি নারী দুই বছর সাজাভোগ শেষে বিশেষ ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে দেশে ফিরেছেন। বুধবার সন্ধ্যায় ভারতের পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে তাদের হস্তান্তর করেন।
তারা হলেন- লিজা মন্ডল, বৃষ্টি আক্তার, রেবেকা খাতুন, নাসরিন মন্ডল, রেবেকা আক্তার, সুলতানা বেগম, হেলেনা খাতুন ও রিতু আক্তার।
আরও পড়ুন: ঝিনাইদহে সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে যাওয়ার সময় আটক ২
ফেরত আসা বৃষ্টি আক্তার বলেন, আমরা দালালদের মাধ্যেমে বিভিন্ন সীমান্ত পথে ভালো কাজের আশায় ভারতে পাড়ি জমাই। এরপর বাসা বাড়িসহ বিভিন্ন কাজের সময় ভারতীয় পুলিশের হাতে আটক হয়ে আদালতের মাধ্যেমে দুই বছর প্রাজাওয়ালা হায়দারাবাদ শেল্টার হোমে থেকে বুধবার দেশে ফিরেছি। শেল্টারহোমে আমাদের বয়সী অনেক বাংলাদেশি মেয়েরা আছে। তারা দেশে আসার অপেক্ষায় প্রহর গুনছে।
বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ বলেন, ভারত সরকারের বিশেষ ট্রাভেল পারমিটে ফেরত আসা বাংলাদেশি নারীদের ইমিগ্রেশনের আনুষ্ঠানিকতা শেষে বেনাপোল পোর্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। সেখান থেকে এনজিও সংস্থা জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ার তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করবেন।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা সীমান্ত দিয়ে চোরাই পথে আসছে ভারতীয় গরু
যশোর জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ারের সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার মুহিত হোসেন বলেন, ফেরত আসাদের যশোর জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ারের নিজস্ব শেল্টার হোমে রাখা হবে। এরপর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তরর করা হবে।
২ বছর আগে
ভারতে পাচারের সময় সাতক্ষীরায় স্বর্ণসহ যুবক আটক
সাতক্ষীরার সদর উপজেলার লক্ষ্মীদাড়ি সীমান্ত দিয়ে ভারতে পাচারের সময় ১ কেজি ৭৫০ গ্রাম ওজনের স্বর্ণসহ এক যুবককে আটক করেছে বিজিবি।
৩ বছর আগে
দেড় বছর পর দেশে ফিরলের ভারতে পাচার হওয়া ৪ তরুণী
দেড় বছর আগে ভারতে পাচার হওয়া চার বাংলাদেশি তরুণীকে হস্তান্তর করেছে ভারতীয় ইমিগ্রেশন পুলিশ।
৪ বছর আগে
ভারতে পাচারের সময়ে যশোরে ১১ মণ ইলিশ জব্দ
ভারতে পাচারের সময়ে যশোরের শার্শা উপজেলার গোগা সীমান্ত থেকে সাড়ে ১১ মণ ইলিশ মাছ জব্দ করেছে বিজিবি সদস্যরা।
৪ বছর আগে
ভারতে পাচার ৫ বাংলাদেশি কিশোরকে দেড় বছর পর হস্তান্তর
ভারতে পাচার হওয়া পাঁচ বাংলাদেশি কিশোরকে দেড় বছর পর বুধবার বেনাপোল দিয়ে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করেছে বিএসএফ।
৪ বছর আগে