এক ওয়েবিনারে বক্তব্য প্রদানকালে তিনি বলেন, ‘একবার গ্রাহকরা প্রি-পেইড মিটার পেয়ে গেলে তাদের আর কোনো অভিযোগ থাকবে না।’
ফোরাম ফর এনার্জি রিপোর্টার্স (এফইআরবি) ‘রাজধানীতে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহে ভূগর্ভস্থ বিতরণ লাইন’ শীর্ষক ওয়েবিনারটি আয়োজন করে।
অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বিদ্যুৎ সচিব মো. হাবিবুর রহমান, বুয়েটের অধ্যাপক জিয়াউর রহমান খান, বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন।
ফোরাম ফর এনার্জি রিপোর্টার্স বাংলাদেশের চেয়ারম্যান অরুণ কর্মকার সভাপতিত্ব করেন। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ডিপিডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিকাশ দেওয়ান ও ডেসকোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. কাওসার আমীর আলী। এফইআরবির নির্বাহী পরিচালক শামীম জাহাঙ্গীর অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন।
নসরুল হামিদ বলেন, সরকার নগরীর বিদ্যুৎ বিতরণ নেটওয়ার্ককে আধুনিকীকরণ করতে চায়। এজন্য ডেসকো ও ডিপিডিসি তাদের নেটওয়ার্ককে ভূগর্ভে নিয়ে যাওয়ার জন্য একটি বড় কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।
অতিরঞ্জিত বিদ্যুতের বিল সম্পর্কে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির করা অভিযোগ স্বীকার করে তিনি বলেন, কিছু কর্মকর্তা এই অপকর্মের জন্য দায়ী এবং তাদের কয়েকজনকে অন্যায় কাজের জন্য বরখাস্ত করা হয়েছে। এটি মূলত গত বছর কোভিড-১৯ মহামারি চলাকালীন ঘটেছে।
তিনি বলেন, গ্রাহকরা যাতে কোনো অতিরঞ্জিত বিল না পায় সে জন্য ঢাকা শহরে প্রি-পেইড মিটার স্থাপন করা হচ্ছে।
প্রতিমন্ত্রী রাত ৮টার মধ্যে দোকান মালিকদের দোকান বন্ধ রাখার নির্ধারিত সময় ঠিকভাবে মেনে চলার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘দোকান মালিকরাসহ বিদ্যুৎ গ্রাহকদের অবশ্যই শৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে তাদের সহায়তা বাড়াতে হবে।’
সিস্টেমের ক্ষয়ক্ষতি হ্রাস সম্পর্কে ডেসকো ও ডিপিডিসির দাবির সাথে একমত না হয়ে হেলাল উদ্দিন বলেন, বিতরণ সংস্থাগুলোর সিস্টেমের ক্ষতি হ্রাসে কোনো সাফল্য নেই।
‘বরং তারা অতিরঞ্জিত বিল করে তাদের আয় বাড়িয়ে দিচ্ছে যার মাধ্যমে তারা শেষ পর্যন্ত সাফল্য দেখায়,’ তিনি বলেন।
বিদ্যুৎ সচিব হাবিবুর রহমান বলেন, অতিরিক্ত বিলের জন্য ডেসকো ও ডিপিডিসির বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ দুর্ভাগ্যজনক কারণ বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবসায থেকে লাভ আদায়ের সরকারের কোনো ইচ্ছা নেই।
ঝুলন্ত বিদ্যুতের তার
বিকাশ দেওয়ান বলেন, একটি অস্ট্রেলিয়ান পরামর্শ সংস্থা ভূগর্ভস্থ তারের সাথে ঝুলন্ত তার প্রতিস্থাপনের জন্য একটি নকশা তৈরি করছে।
তিনি বলেন, কোভিড-১৯ তাদের পদক্ষেপকে মারাত্মকভাবে ব্যাহত করেছে। ‘তবে আমরা শিগগিরই আমাদের প্রকল্পটি দ্রুততর করার বিষয়ে আশাবাদী।’
কাওসার আমির আলী জানান, তার ভূগর্ভে নিয়ে যাওয়ার পদক্ষেপের অংশ হিসেবে ডেসকো এর এলাকায় বেশ কয়েকটি ভূগর্ভস্থ সাবস্টেশন স্থাপনের একটি প্রকল্প গ্রহণ করেছে।
তিনি বলেন, একটি আধুনিক বহুতল ভবন তৈরি করা হবে যার বিতরণ নেটওয়ার্ক পরিচালনার জন্য সাবস্টেশনও থাকবে।
আরও পড়ুন: ‘বিদ্যুতের কাজ করতে গিয়ে হাত হারালাম তবুও চাকরি স্থায়ীকরণ হলো না’
বিদ্যুতের গ্রাহকরা যে কোনো সময় প্রি-পেইড মিটার নিতে পারবেন
রূপপুর বিদ্যুত সঞ্চালন প্রকল্পগুলো সময়মতো বাস্তবায়ন হওয়া নিয়ে আশঙ্কা