ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ
কর্মক্ষেত্র-বাচ্চার স্কুলের কাছে বাসা নেওয়ার পরামর্শ ডিএমপি কমিশনারের
বর্তমানে ঢাকা শহরের ট্রাফিক ব্যবস্থা খুবই বিশৃঙ্খলার মধ্যে রয়েছে বলে স্বীকার করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, যাত্রী, চালক, পথচারী থেকে শুরু করে কেউই নিয়ম মানে না।
সোমবার (৯ ডিসেম্বর) ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘ঢাকা শহরের ট্রাফিক ব্যবস্থা খুবই বিশৃঙ্খল অবস্থায় আছে। যারা চলাচল করে তারা নিয়ম মানে না। হকাররা ফুটপাত দখল করে বসে আছে। আবার ফুটপাতে মোটরসাইকেলও উঠাচ্ছেন চালকরা। এই অবস্থায় ট্রাফিক ব্যবস্থা খুবই জটিল হয়ে পড়েছে।
যোগদানের পরপরই তিনি এসব বিষয়ে নজর দিয়েছেন বলে জানান। একই সঙ্গে ট্রাফিকের এই অব্যবস্থাপনা দূর করতে হলে সবাইকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
আরও পড়ুন: মামলা নিতে না চাইলে ওসিদের এক মিনিটে বরখাস্ত করা হবে: ডিএমপি কমিশনার
শেখ সাজ্জাত বলেন, ‘ঢাকায় প্রায় দুই কোটি মানুষ। এত ঘনবসতি দুয়েকটা দেশে থাকতে পারে। ৫ আগস্টের পরে যখন পুলিশ নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ে, তখন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয়। সবার সহযোগিতায় আমরা সেই অবস্থা কাটিয়ে উঠেছি।’
ডিএমপি কমিশনার বলেন, 'ঢাকায় আমাদের রাস্তা থাকা উচিত ২৫ ভাগ, আছে ৭ ভাগ। বিগত সরকারের আমলে অটোরিকশার অনুমোদন দেওয়া হয়। এগুলো চলতে থাকলে ঢাকা শহরে চলার মতো অবস্থা থাকবে না। আমাদের রাস্তার জায়গা অত্যন্ত সীমিত। তাই এটা বন্ধ করতে হবে। আমরা এখন পর্যন্ত দেড় লাখ অটোরিকশার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছি। আমরা এটা নিয়ে কাজ করছি।’
যানজট কমাতে কর্মস্থলের আশেপাশে বাসা নেওয়ার পরামর্শ দেন এ পুলিশ কর্মকর্তা।
তিনি বলেন, ‘আপনার বাচ্চার স্কুল ও কর্মক্ষেত্রের কাছে বাসা নেওয়ার চেষ্টা করেন। তাহলে গাড়ি ব্যবহার অনেকটা কমে যাবে। সবার সহযোগিতা লাগবে। বাচ্চাসহ তিন-চারজন বা পুরো পরিবারকে একটা মোটরসাইকেলে চলতে দেখা যায়। যেটা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ, এরকম দেখলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ট্রাফিক ছাড়াও আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থার অবনতির কথাও তুলে ধরেন তিনি। শেখ সাজ্জাত বলেন, ‘আমার কাছে তথ্য আছে ছিনতাইয়ের ঘটনা বেড়ে গেছে। বিশেষ করে ভোরের দিকে। আমি বলেছি এ ব্যাপারে সতর্ক থাকতে।’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'আমি একটি অভিযোগ বাক্স রাখব। এছাড়া উন্মুক্ত আলোচনা করে সবার পরামর্শ নেব।'
তিনি বলেন, 'আমি ট্রাফিকের প্রতি বেশি জোর দিচ্ছি কারণ, এটা সবচেয়ে ভোগান্তির জায়গা। উত্তরা থেকে মতিঝিল থেকে আসতে তিন ঘণ্টা লাগে। এই অবস্থা দেখলে বিদেশিরা কেন বিনিয়োগ করবে?’
সাজ্জাত আরও বলেন, ‘জুলাই আন্দোলনে ডিএমপি পেশাদারিত্বের বাইরে গিয়ে যে কাজগুলো করেছে, তার জন্য আমি ঢাকাবাসীর কাছে এবং দেশবাসীর কাছে ক্ষমাপ্রার্থী। তাদের বিভিন্ন জায়গায় বদলি করে দেওয়া হয়েছে এবং শাস্তির ব্যবস্থাও করা হয়েছে। আমরা নতুন করে দেশবাসীর সেবার জন্য কাজ শুরু করেছি।'
আরও পড়ুন: ডিএমপি কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব নিলেন সাজ্জাত আলী
১ সপ্তাহ আগে
৩ পুলিশ সদস্যকে হত্যায় জড়িতরা ছাড় পাবে না: ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) যুগ্ম কমিশনার (অপারেশন) বিপ্লব কুমার সরকার বলেছেন, তিন পুলিশ সদস্যকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িতদের ছাড় দেওয়া হবে না।
তিনি বলেন, ‘পুলিশের তিন সদস্য প্রাণ দিয়েছেন। তাদের পিটিয়ে হত্যা করা হয়। যারা তাদের হত্যা করেছে, যারা পোশাকধারী পুলিশের ওপর হামলা করেছে, তাদের একজনকেও রেহাই দেওয়া হবে না। তারা যেই হোক না কেন, তাদের ছাড় দেওয়া হবে না। তারা যেখানেই থাকুক না কেন, তাদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনতে আমরা বদ্ধপরিকর।’
বুধবার (২৪ জুলাই) ডিএমপির সদর দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার।
তিনি বলেন, গত কয়েকদিন ধরে বিএনপি-জামায়াত ও মৌলবাদী শক্তি দেশব্যাপী নাশকতার নেতৃত্ব দিয়েছে।
এ পর্যন্ত ১৫৪টি মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং ১ হাজার ৩৮০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানান ডিএমপির এই কর্মকর্তা। তিনি বলেন, অনেকে রিমান্ডে আছেন এবং তারা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিচ্ছেন।
আরও পড়ুন: আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নিত করার অপতৎপরতা কঠোরভাবে মোকাবিলা করা হবে: ডিএমপি কমিশনার
তিনি বলেন, দুর্বৃত্তরা ৬৯টি পুলিশ স্থাপনায় হামলা চালায়। বেশ কয়েকটি ট্রাফিক বক্সে আগুন ধরিয়ে দেয় এবং কয়েকটি পুলিশ ফাঁড়ি ও স্টেশনে অগ্নিসংযোগের চেষ্টা করে।
ডিএমপি যুগ্ম কমিশনার বলেন, ‘হামলার মূল লক্ষ্য ছিল ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ ও বাংলাদেশ পুলিশ। মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর ওপর প্রথম গুলি ছোড়ে পুলিশ। তাই মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার চেতনার পরিপন্থীদের পুলিশের ওপর ব্যাপক ক্ষোভ রয়েছে। তাই যেকোনো নাশকতার প্রথম লক্ষ্যবস্তু বাংলাদেশ পুলিশ।’
সহিংসতায় ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে জানতে চাইলে বিপ্লব বলেন, 'আমাদের উন্নয়ন বিভাগ এটা নিয়ে কাজ করছে। ৮ কোটি ৭২ লাখ টাকার সরঞ্জাম ধ্বংস করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘নাশকতা ও ধ্বংসযজ্ঞের মাত্রা এবং যেভাবে পুলিশসহ অন্যান্য সরকারি স্থাপনা পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে তা বিবেচনায় নিলে এটা নির্দ্বিধায় বলা যায়, এটা ছাত্র আন্দোলন হতে পারে না। আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে নিয়ে যাওয়ার জন্য এর পেছনে বিএনপি-জামায়াত ছিল।’
এর সঙ্গে সাধারণ কোনো শিক্ষার্থী জড়িত ছিল না বলেও জানান ডিএমপির এই কর্মকর্তা।
ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার বলেন, ‘আমরা হামলার স্থানের সব ফুটেজ এবং বিভিন্ন উৎস থেকে ভিডিও পাচ্ছি। সাধারণ মানুষ ভিডিও আমাদের দিচ্ছেন। আমরা সব তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করছি। যারা এই সহিংসতার মূলহোতা, তাদের গ্রেপ্তারে চিরুনি অভিযান চলছে।’
আরও পড়ুন: কোটা আন্দোলনে রাজধানীতে আহত ১২ পুলিশ: ডিএমপি
কোটাবিরোধী আন্দোলনের নামে সড়ক অবরোধের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি ডিএমপির
৪ মাস আগে
কোটা আন্দোলনে রাজধানীতে আহত ১২ পুলিশ: ডিএমপি
চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনে ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় দায়িত্ব পালনের সময় একজন পরিদর্শকসহ ১২ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।
আহতরা হলেন- বনানী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আনিসুর রহমান, মহাখালী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ শাহ মিরাজ উদ্দিন, রূপনগর থানার এসআই আল মামুন ও সাইফুল ইসলাম, পিওএম সাউথ ডিভিশনের কনস্টেবল তানভীর, মাহমুদুল ইসলাম, মাহিন ইসলাম নাসিম, পিওএম নর্থ ডিভিশনের কনস্টেবল মুক্তার ও মুরাদ, মহাখালী পুলিশ ফাঁড়ির কনস্টেবল হাসান আলী ও রাশেদ এবং গুলশান ট্রাফিক বিভাগের কনস্টেবল আবদুল লতিফ।
ডিএমপির সহকারী কমিশনার (মিডিয়া) জাহাঙ্গীর কবির জানান, আহতদের কেউ কেউ রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
তিনি বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি, দোয়েল চত্বর, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, শাহবাগ, সায়েন্সল্যাব, নিউমার্কেট, মহাখালী, মিরপুর, বাড্ডা, রামপুরা, বনানীসহ বেশ কয়েকটি এলাকা অবরোধ করে।
পুলিশ ছাড়াও অন্তত ২৫ জন সাংবাদিক আন্দোলনকারীদের হামলার শিকার হয়েছেন বলে জানান ডিএমপির সহকারী কমিশনার।
৫ মাস আগে
টানা ভারী বৃষ্টিতে সৃষ্ট যানজট নিয়ে ডিএমপির সতর্কতা
শুক্রবার সকাল থেকে টানা ভারী বৃষ্টি ও জলাবদ্ধতার কারণে সৃষ্ট যানজটের বিষয়ে রাজধানীর কয়েকটি এলাকার বাসিন্দাদের সতর্ক করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ।
শুক্রবার (১২ জুলাই) ভোর থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত টানা বৃষ্টির কারণে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে সড়কের মাঝখানে অনেক যানবাহন বিকল হতে দেখা গেছে।
আরও পড়ুন: সকাল থেকে বৃষ্টি হওয়ায় ঢাকার বাতাসের মানে কিছুটা উন্নতি
ডিএমপির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জলাবদ্ধতার কারণে অনেক যানবাহন বিকল হয়ে যাওয়ায় নগরীর সড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
যেসব এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা যাচ্ছে- ফকিরাপুল, নয়াপল্টন, বায়তুল মোকাররম, শান্তিনগর, মালিবাগ, আরামবাগ, প্রগতি সরণি, নিউমার্কেট, ধানমন্ডি রাপা প্লাজা, বংশাল, মিরপুর রোকেয়া সরণি, দয়াগঞ্জ ক্রসিং, সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল, নিমতলী, টয়েনবি সার্কেল রোড, ধানমন্ডি ২৭, এলিফ্যান্ট রোড, মৎস্য ভবন, কারওয়ান বাজার, বিজয় সরণি, ঢাকা গেট ভিআইপি রোড ও মিরপুর মাজার রোড।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর সকাল ৯টা পর্যন্ত তিন ঘণ্টায় ৬০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে।
আরও পড়ুন: ভারী বৃষ্টিপাতে ঢাকায় জলাবদ্ধতা, ভোগান্তিতে যাত্রীরা
৫ মাস আগে
৪৮ ঘণ্টায় ৩৫ শিশু নিখোঁজের তথ্য গুজব: ডিএমপি
শনিবার (৬ জুলাই) সকাল থেকে ‘৪৮ ঘণ্টায় ৩৫ শিশু নিখোঁজ’ এমন একটি পোস্ট দেখা যেতে থাকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের বিভিন্ন গ্রুপ ও ব্যক্তিগত আইডিতে।
পোস্টগুলোতে বলা হয়, ‘ব্রেকিং নিউজ, গত ৪৮ ঘণ্টায় ঢাকা ও চট্টগ্রামে ৩৫ শিশু নিখোঁজ হয়েছে।’
ফেসবুকে ব্যাপকভাবে এই তথ্য ছড়িয়ে পড়লে অভিভাবকরাও আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।
এই অভিযোগকে 'ভিত্তিহীন গুজব' বলে উড়িয়ে দিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।
ডিএমপি জানায়, তদন্তে দেখা গেছে একের পর এক শিশু নিখোঁজ হওয়ার এই অভিযোগ ভিত্তিহীন। নিখোঁজ হিসেবে যাদের পোস্ট করা হয়েছিল তাদের অনেককে পরে পাওয়া গেছে। আবার পাওয়া গেলেও তা আর জানানো হয় না।
আদাবর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘আমরা এ ধরনের কোনো তথ্য পাইনি।’
একই বক্তব্য দেন শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূর আলমও।
এ প্রসঙ্গে ডিএমপি অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন) খন্দকার মহিদ উদ্দিন বলেন, ‘৪৮ ঘণ্টায় ৩৫ শিশু নিখোঁজ হয়েছে এমন কোনো তথ্য ডিএমপির কাছে নেই।’
তিনি আরও জানান, গত ৪ থেকে ৬ মে পর্যন্ত ৭২ ঘণ্টায় বিভিন্নভাবে শিশু নিখোঁজের ঘটনায় বিভিন্ন থানায় ৩৩টি জিডি করা হয়েছে। জুন মাসে, ৪ থেকে ৬ তারিখ পর্যন্ত ৭২ ঘণ্টায় ৩৬টি জিডি করা হয়েছে। একইভাবে, ৪ থেকে ৬ জুলাই ৭২ ঘণ্টায় ৩২টি জিডি করা হয়।
ডিএমপি অতিরিক্ত কমিশনার আরও বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার হওয়া ‘৪৮ ঘণ্টায় ৩৫ শিশু নিখোঁজ হয়েছে’ এমন তথ্য সঠিক নয়।
এছাড়া নিখোঁজ হওয়ার শিশুদের পরবর্তীতে সন্ধান পাওয়া গিয়েছে বলেও জানান তিনি।
৫ মাস আগে
বারিধারায় পুলিশ হত্যার ঘটনায় ডিএমপির তদন্ত কমিটি গঠন
রাজধানীর বারিধারার কূটনৈতিক এলাকায় সহকর্মীর গুলিতে পুলিশ কনস্টেবল নিহত হওয়ার ঘটনায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গুলশান বিভাগের উপকমিশনারকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
তদন্ত কমিটির প্রধান গুলশান বিভাগের ডিসি রিফাত হোসেন শামীম বলেন, তদন্ত কমিটিকে সাত কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। তবে কমিটির অপর দুই সদস্যের নাম তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।
এর আগে শনিবার রাতে বারিধারায় পুলিশ কনস্টেবল কাওসারের সহকর্মী মনিরুল ইসলামকে গুলি করে হত্যার ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের ঘোষণা দেন পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। তিনি বলেন, সিসিটিভি ফুটেজ ও প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ানের ভিত্তিতে তদন্ত করা হবে।
আরও পড়ুন: বারিধারায় সহকর্মীর গুলিতে পুলিশ সদস্য নিহত, পথচারী আহত
শনিবার রাত ১১টার পর পুলিশ কনস্টেবল মনিরুল ইসলাম ও কাওসার আলীর মধ্যে উত্তপ্ত বাকবিতণ্ডা হয়। এ সময় কাওসার এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়তে শুরু করলে মনিরুলের বুকে বিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় ঘটনাস্থলে থাকা জাপান দূতাবাসের গাড়িচালক সাজ্জাদ শেখও আহত হন।
গোলাগুলির ঘটনায় ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে, যার ফলে আশেপাশের এলাকার রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। সোয়াট ও গোয়েন্দা শাখাসহ বিশেষ পুলিশ বাহিনী কাওসারকে নিরস্ত্র ও গ্রেপ্তার করতে প্রায় আধা ঘণ্টা সময় নেয়।
পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা দ্রুত ঘটনাস্থলে আসেন।
আরও পড়ুন: বারিধারায় পুলিশের গুলিতে পুলিশ নিহত: যেসব বিষয় জানা গেছে
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নিরাপত্তাকর্মী জানান, মনিরুলকে গুলি করার পর কাওসার ফিলিস্তিনি দূতাবাসের প্রধান ফটকে দাঁড়িয়ে ছিলেন। মনিরুলের প্রাণহীন লাশ দেখিয়ে কী হয়েছে জানতে চাইলে কাওসার দাবি করেন, তিনি (মনিরুল) 'ভান করছেন'।
এরপর কাওসার দূতাবাসের গেটের সামনের রাস্তায় সরে গেলে নিরাপত্তাকর্মীরা তাকে আটক করেন। ঘটনার সময় পাঁচ থেকে ছয় রাউন্ড গুলির শব্দ শোনা গেছে বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা।
আরও পড়ুন: বারিধারায় গুলিবর্ষণ: পুলিশ কনস্টেবলদের মধ্যে কোনো পূর্বশত্রুতা ছিল না: ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার
৬ মাস আগে
রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে নাশকতার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি ডিএমপির
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার খ. মহিদ উদ্দিন হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে যারা নাশকতামূলক কাজ করবে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শুক্রবার (১০ নভেম্বর) ঢাকায় ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা সবাইকে অনুরোধ করতে চাই শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক কর্মসূচি হলে পেশাদারিত্ব ও দায়িত্ববোধের অংশ হিসেবে ডিএমপি যা যা করা দরকার তাই করবে। তবে কেউ যদি নাশকতা করে, আগুন ধরিয়ে দেয়, তাহলে ডিএমপি তাদের নিরাপত্তার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করার পাশাপাশি আইনগত ব্যবস্থা নেবে।’
তিনি বলেন, রাজনীতি মানুষের জন্য হওয়া উচিত। তবে যারা ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত থাকবে তাদের পুনরাবৃত্তি না করতে বলা হচ্ছে।
মহিদ উদ্দিন বলেন, আমরা দেখেছি বিভিন্ন জায়গা থেকে এ ধরনের অপরাধীদের (অগ্নিসংযোগকারীদের) দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এবং তারা নির্বিচারে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে।
আরও পড়ুন: ঢাকায় ১১২ মামলায় ১০ দিনে গ্রেপ্তার ১৬৩৬ জন: ডিএমপি
১২ ও ১৩ নভেম্বর আবারও দেশব্যাপী অবরোধের ডাক দেওয়ায় রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে ধ্বংসাত্মক কিছু না করার জন্য তিনি সবাইকে অনুরোধ জানান।
তিনি বলেন, ডিএমপি ইতিবাচক, সংবেদনশীল এবং যেকোনো রাজনৈতিক কর্মসূচির নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।
তারা আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করার চেষ্টা করছেন বলেনও জানান তিনি।
মহিদ উদ্দিন বলেন, ২৮ অক্টোবর ঢাকা মহানগরীতে ৬৪টি গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে এবং রাজনৈতিক কর্মসূচিতে যা ঘটেছে তা অপ্রত্যাশিত ও অগ্রহণযোগ্য।
বাসের হেলপারকে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনাকে নির্মম আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, সম্প্রতি দুর্বৃত্তরা যাত্রীদের ছদ্মবেশে বাসে আগুন দিয়ে পালিয়ে যায়।
অগ্নিসংযোগের ঘটনায় জড়িতদের ঢাকা শহরের ১২টি স্থান থেকে আটক করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, জনগণের নিরাপত্তার জন্য সংশ্লিষ্টদের বিশেষ করে পরিবহন সংশ্লিষ্টদের কাছ থেকে সচেতনতা ও সহযোগিতা আশা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: অগ্নিসংযোগকারীদের ধরতে ২০ হাজার টাকা পুরস্কার ঘোষণা ডিএমপি কমিশনারের
মেট্রোরেলে যাত্রীদের নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছে এমআরটি পুলিশ: ডিএমপি কমিশনার
১ বছর আগে
জনগণ যেন গুজবে বিভ্রান্ত না হয়, সে বিষয়ে সতর্ক থাকুন: ডিএমপি কমিশনার
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান গুজব প্রতিরোধে ডিএমপির সকল সদস্যকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন।
তিনি তাদের (পুলিশ সদস্যদের) জনগণের সামনে সত্য উন্মোচন করে সঠিক তথ্য উপস্থাপনের আহ্বান জানান।
সোমবার (১৬ অক্টোবর) ডিএমপি সদর দপ্তরে ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসের মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ নির্দেশনা দেন।
তিনি বলেন, যারা সমাজকে বিঘ্নিত করবে তাদের অবশ্যই আইনের আওতায় আনতে হবে এবং তাদের বিরুদ্ধেও যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: অবসরে যাচ্ছেন ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক
তিনি আরও বলেন, পেশাদারিত্ব, নিষ্ঠা, দক্ষতা, আন্তরিকতা, সততা ও ত্যাগের মাধ্যমে ডিএমপি আজ যে অবস্থানে পৌঁছেছে, আগামী দিনগুলোতেও যেকোনো কঠিন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ডিএমপি প্রস্তুত রয়েছে।
তিনি বলেন, পুলিশকে দিনরাত কাজ করতে হয় এবং যেকোনো প্রয়োজনে যেকোনো সময় যেকোনো জায়গায় যেতে হয়। এজন্য আমাদের সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। আমরা সুশৃঙ্খল বাহিনীর সদস্য। আমাদের কাজে শৃঙ্খলা আনতে হবে। আমাদের সঠিক নিয়ম অনুযায়ী পোশাক পরতে হবে।
যানজট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যানজট নগরবাসীর সবচেয়ে বড় সমস্যা। প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে আমরা অনেকেই এর জন্য দায়ী। তাই যানজট নিরসনে আমাদের সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, ঢাকার ঘনবসতিপূর্ণ এলাকাগুলো চিহ্নিত করতে হবে এবং সমস্যাগুলো সমাধান করতে হবে। ট্রাফিক বিভাগকে ইতোমধ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ডিএমপি কমিশনার পুলিশ কর্মকর্তাদের মামলার তদন্ত ও মনিটরিংয়ে আরও আন্তরিক হওয়ার নির্দেশ দেন, যাতে দ্রুততম সময়ের মধ্যে মামলার তদন্ত শেষ করা যায়।
তদন্ত সংশ্লিষ্ট কোনো কারণে যেন কোনো অপরাধী বেকসুর খালাস না পায়, তা নিশ্চিত করতেও নির্দেশ দেন তিনি।
এ সময় ডিএমপি কমিশনার ঢাকা মহানগরীর আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা ও জননিরাপত্তা রক্ষায় ভালো কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ ডিএমপির বিভিন্ন পর্যায়ের পুলিশ সদস্যদের মাঝে আর্থিক পুরস্কার বিতরণ করেন।
এ সময় ডিএমপি সদর দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বাজার নিয়ন্ত্রণকারী দলে সম্পৃক্ত হবে ডিএমপি: ডিএমপি কমিশনার
ডিএমপি কমিশনারের দায়িত্ব নিলেন হাবিবুর রহমান
১ বছর আগে
আদালতের পরোয়ানা থাকলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না: ডিবি প্রধান
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার ও গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেছেন, যত বড় নেতাই হোন না কেন, কোনো মামলার পরোয়ানা থাকলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।
বুধবার (১১ অক্টোবর) নগরীর মিন্টো রোডের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: ঢাকায় বিএনপির মিছিলে মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগকারীদের শাস্তি হবে: ডিবি প্রধান
এক প্রশ্নের জবাবে ডিবি প্রধান বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাজ অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা।
তিনি বলেন, আইন তার নিজস্ব পথে চলবে এবং কোনো প্রভাব কাজ করবে না।
ডিবির এই শীর্ষ কর্মকর্তা দাবি করেন, বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানিকে তার বিরুদ্ধে জারি করা পরোয়ানার বিষয়ে বারবার জানানো হলেও তিনি আদালত থেকে জামিন নেননি। লক্ষ্মীপুরে তার বিরুদ্ধে দুটি পরোয়ানা জারি করা হয়।
লক্ষ্মীপুর জেলা পুলিশের অনুরোধে ধানমন্ডি মডেল থানা পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। এ ছাড়া রাজধানীর সায়েন্স ল্যাব এলাকায় পুলিশের ওপর হামলার একটি মামলারও আসামি তিনি।
ধানমন্ডি থানা পুলিশ দুটি কারণে তাকে গ্রেপ্তার করে। তার বিরুদ্ধে পরোয়ানা থাকলেও তিনি আদালতে হাজির হননি এবং জামিনও নেননি বলে জানান ওই কর্মকর্তা।
কোনো মামলায় তিনি আদালতে হাজির হননি। পরোয়ানা থাকায় বিএনপি নেতাকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে বলে জানান ডিবি প্রধান।
ধানমন্ডির বাসা থেকে বুধবার ভোরে অ্যানিকে গ্রেপ্তার করে ধানমন্ডি থানা পুলিশ।
আরও পড়ুন: আটকের পর ডিবি প্রধানের সঙ্গে গয়েশ্বরের দুপুরের ভোজ
যুবলীগ নেতা রুবেল হত্যায় জড়িত সবাই শনাক্ত: ডিবি প্রধান
১ বছর আগে
ঢাকায় সাঈদীর গায়েবানা জানাজা হবে না: ডিএমপি প্রধান
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) বলেছেন, যুদ্ধাপরাধের আসামি ও জামায়াতে ইসলামীর নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর গায়েবানা জানাজা রাজধানীতে হতে দেওয়া হবে না।
সোমবার রাতে জামায়াত-শিবিরের হামলা-ভাঙচুরের কথা বিবেচনা করে অনুমতি দেওয়া হবে না বলে জানান তিনি।
আজ সকালে রাজধানীর মিন্টু রোডে জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মৃত্যু ও পরবর্তী প্রতিক্রিয়া নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপি কমিশনার এ মন্তব্য করেন।
আরও পড়ুন: সাঈদীর মরদেহ বহনকারী অ্যাম্বুলেন্স ঘিরে সমর্থকদের বিক্ষোভ: শাহবাগে মোটরসাইকেলে আগুন
ডিএমপি প্রধান বলেন, ফজরের নামাজের পর জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতাল এলাকা দখল করে এবং সাঈদীর মরদেহ বহনকারী অ্যাম্বুলেন্স ঘিরে বিক্ষোভ করে।
ঢাকার শাহবাগে বিএসএমএমইউর সামনে তারা কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর ও পুলিশের ওপর হামলা চালায়।
পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে তাদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করতে বাধ্য হয়।
এর আগে সোমবার রাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন দেলোয়ার হোসেন সাঈদী।
আরও পড়ুন: যুদ্ধাপরাধী দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী মারা গেছেন
বুকে ব্যথা নিয়ে কারাগার থেকে হাসপাতালে সাঈদী
১ বছর আগে