ভিনিসিউস জুনিয়র
প্রথম দেখাতেই রিয়ালকে হারিয়ে দিল লিল
ভিনিসিউস, বেলিংহ্যাম, এন্দ্রিক; এরপর কিলিয়ান এমবাপ্পেকে মাঠে নামালেন কার্লো আনচেলত্তি, কিন্তু কোনোভাবেই প্রতিপক্ষের জাল খুঁজে পেল না রিয়াল মাদ্রিদের তারকা ফুটবলাররা। আর এর ফলে এক মৌসুমের বেশি সময় পরে অবশেষে হারের স্বাদ পেল বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের দ্বিতীয় রাউন্ডের ম্যাচে বুধবার রাতে লিলের ঘরের মাঠে খেলতে গিয়ে ১-০ গোলে হেরেছে রিয়াল মাদ্রিদ।
প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে পেনাল্টি থেকে জয়সূচক ও ম্যাচের একমাত্র গোলটি করেন লিলের কানাডিয়ান স্ট্রাইকার জনাথন ডেভিড। এরপর দ্বিতীয়ার্ধে একের পর এক অসাধারণ সব সেভ করে রিয়ালকে কোনোভাবেই সমতায় ফিরতে দেননি ক্লাবটির ফরাসি গোলরক্ষক লুকা শেভালিয়ে।
আরও পড়ুন: অভিষেক ম্যাচে গোল করে রিয়াল মাদ্রিদের ইতিহাসের পাতায় এন্দ্রিক
এর ফলে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে টানা ৩৬ ম্যাচ অপরাজিত থাকার পর হারল রিয়াল মাদ্রিদ। চ্যাম্পিয়ন্স লিগেও গত আসর অপরাজিত কাটানোর পর চলতি আসরে এর আগ পর্যন্ত অপরাজিত ছিল দলটি।
অপরদিকে, রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে খেলতে নেমে প্রথম ম্যাচই জিতে দিনটি স্মরণীয় করে রাখল লিল। শুধু তাই নয়, ঘরের মাঠে কোনো স্প্যানিশ প্রতিপক্ষের বিপক্ষে এটিই প্রথম জয় ফরাসি ক্লাবটির।
কিলিয়ান এমবাপ্পে ইনজুরি থেকে ফেরায় এদিন তাকে শুরুর একাদশে রাখেননি রিয়াল বস কার্লো আনচেলত্তি। এর ফলে প্রথমবারের মতো রিয়ালের জার্সিতে ম্যাচ শুরু করেন এন্দ্রিক। আর এতেই চ্যাম্পিয়ন্স লিগে রিয়াল মাদ্রিদের ইতিহাসের সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড় হিসেবে ম্যাচ শুরু করেন এই ব্রাজিলীয় তরুণ।
১৮ বছর ৭৩ দিন বয়সে ইউরোপের সফলতম ক্লাবটির হয়ে শুরুর একাদশে থেকে ম্যাচ শুরু করেন এন্দ্রিক। এর ফলে তিনি ভেঙে দেন ১৯৯৫ সালে গড়া ক্লাবটির সাবেক অধিনায়ক রাউল গন্সালেসের রেকর্ড। আয়াক্সের বিপক্ষে মাঠে নামা ওইদিন তার বয়স ছিল ১৮ বছর ৭৮ দিন।
১ মাস আগে
বর্ণবাদ রুখতে স্পেনের ফুটবলে নতুন আইন
বর্ণবাদের অভিযোগ তুলে বিশ্বকাপ আয়োজন সরিয়ে নেওয়ার প্রস্তাব দিয়ে সম্প্রতি গোটা স্পেনজুড়ে হৈ চৈ ফেলে দিয়েছেন রিয়াল মাদ্রিদের ব্রাজিলীয় ফরোয়ার্ড ভিনিসিউস জুনিয়র। ওই মন্তব্যের কারণে তিনি ব্যাপক সমালোচিত হলেও বর্ণবাদ রুখতে এবার লা লিগা ও স্পেনের আন্তর্জাতিক ফুটবলে নতুন আইন চালু করছে দেশটি।
স্প্যানিশ ফুটবল ফেডারেশন (আরএফইএফ) ও লা লিগা বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) জানিয়েছে, বর্ণবাদের বিরুদ্ধে রেফারিদের জন্য নতুন আইন চালু করা হবে। খেলা চলাকালে বর্ণবাদী আচরণের ঘটনা ঘটলে মাঠ থেকেই এ বিষয়ে সংকেত দিতে পারবেন রেফারি।
চলতি বছরের মে মাসে ব্যাংককে অনুষ্ঠিত ফিফার কংগ্রেসে বর্ণবাদবিরোধী ‘ক্রস-আর্ম’ অঙ্গভঙ্গির অনুমোদন পায়। এবার সেই আইনটি গ্রহণ করতে চলেছে স্পেন।
আইনে বলা হয়েছে, রেফারিরা সরাসরি কোনো বর্ণবাদী আচরণ প্রত্যক্ষ করলে কিংবা খেলোয়াড়রা এ নিয়ে অভিযোগ দিলে, এমনকি মাঠের নিরাপত্তাকর্মীরাও এ বিষয়ে অভিযোগ দিলে প্রধান রেফারি সংকেত দেবেন। তিন ধাপের সংকেত পদ্ধতি বাস্তবায়নের মাধ্যমে ম্যাচ থামাতে, স্থগিত করতে, এমনকি পরিত্যক্ত পর্যন্ত করতে পারবেন রেফারি।
আরও পড়ুন: বর্ণবাদ পরিস্থিতির উন্নতি না হলে স্পেনে বিশ্বকাপ চান না ভিনিসিউস
আরএফইএফ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘ফুটবলে যে কোনো ধরনের বৈষম্যের বিরুদ্ধে, বিশেষ করে বর্ণবাদী মনোভাব ও আচরণের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে উভয় প্রতিষ্ঠান তাদের অঙ্গীকারে দৃঢ় থাকতে এই আইন বাস্তবায়ন করবে।’
গত কয়েক মৌসুম ধরে ভিনিসিউস জুনিয়র বেশ কয়েকবার বর্ণবাদী আচরণ ও মন্তব্যের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করে আসছেন। ২০২৩ সালের মে মাসে ভ্যালেন্সিয়ার মেস্তায়া স্টেডিয়ামে এই ফুটবলারের সঙ্গে বর্ণবাদী আচরণের দায়ে ঘরের মাঠের তিন সমর্থককে চলতি বছর কারাদণ্ডও দিয়েছে দেশটির আদালত।
এসব অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ২০২৬ সালে অনুষ্ঠিত হতে চলা বিশ্বকাপের আয়োজন স্পেন থেকে সরিয়ে নিতে সম্প্রতি প্রস্তাব করেন ভিনিসিউস। তার মন্তব্যের পর স্পেনের রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ থেকে শুরু করে ফুটবল পাড়ার মানুষ- সবাই তার বিরুদ্ধে সরব হন। এমনকি তার ক্লাব সতীর্থদেরও তার মন্তব্যের সমালোচনা করতে দেখা যায়।
আরও পড়ুন: ভিনিসিউসের মন্তব্যে ‘চটেছে’ রিয়াল মাদ্রিদ
ভিনির মন্তব্যের সমালোনা করলেও দেশ থেকে বর্ণবাদ নিশ্চিহ্ন করতে কাজ করছেন বলে মন্তব্য করেন মাদ্রিদের মেয়র। এর প্রায় এক সপ্তাহ পর দেশটির ফুটবল ফেডারেশন ও লা লিগা থেকে এই ঘোষণা এল।
২ মাস আগে
ভিনিসিউসের মন্তব্যে ‘চটেছে’ রিয়াল মাদ্রিদ
বর্ণবাদ ইস্যুতে স্পেনকে কাঠগড়ায় তোলায় এবার ভিনিসিউস জুনিয়রের ওপর ক্ষেপেছে তারই ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদ। শুধু তাই নয়, ব্রাজিলীয় এই ফরোয়ার্ড ক্লাবের আদর্শও ধারণ করছে না বলে অভিযোগ কর্তৃপক্ষের।
পর্তুগাল ও মরক্কোর সঙ্গে যৌথভাবে ২০৩০ সালের ফিফা বিশ্বকাপ আয়োজন করতে চলেছে স্পেন। তবে দেশটিতে বর্ণবাদের অভিযোগ তুলে গত সপ্তাহে স্প্যানিশ পত্রিকাগুলোর প্রধান শিরোনাম হন ভিনিসিউস।
সিএনএনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, এ বিষয়ে পর্যাপ্ত অগ্রগতি না হলে ভেন্যু পরিবর্তনের বিষয়টি বিবেচনা করা উচিত।
ভিনিসিউস বলেন, ‘২০৩০ সাল পর্যন্ত আমাদের পরিবর্তনের অনেক জায়গা আছে। আশা করি, স্পেন (মানসিকভাবে) আরও বিকশিত হবে এবং বুঝতে পারবে যে গায়ের রঙের কারণে কাউকে অপমান করা কতটা গুরুতর অপরাধ।’
‘যদি ২০৩০ সালের মধ্যে পরিস্থিতির উন্নতি না হয়, আমি মনে করি আমাদের (বিশ্বকাপ) ভেন্যু সরিয়ে নিতে হবে। কারণ বর্ণবাদের শিকার হতে পারে- এমন আশঙ্কা যদি কোনো খেলোয়াড়ের থাকে, তাহলে তিনি সেই দেশে খেলতে মোটেও স্বাচ্ছন্দ্য ও নিরাপদ বোধ বোধ করেন না। সেখানে তার জন্য খেলা কঠিন।’
ভিনিসিউসের এমন মন্তব্য স্পেনে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। এ নিয়ে স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যমে কেউ কেউ যুক্তি দিয়েছেন যে, ভিনিসিউস ভুলভাবে স্পেনকে বর্ণবাদী দেশ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন।
এল চিরিঙ্গিতোয় এক শোতে মাদ্রিদ ও স্পেনের সাবেক গোলরক্ষক পাকো বুইয়ো বলেছেন, ‘দেশের সবাইকে এক কাতারে ফেলেছেন ভিনিসিউস, বিষয়টি ভাবলেই কষ্ট পাচ্ছি।’
আরও পড়ুন: বর্ণবাদ পরিস্থিতির উন্নতি না হলে স্পেনে বিশ্বকাপ চান না ভিনিসিউস
ভিনিসিউসের মন্তব্যে ক্ষেপেছেন মাদ্রিদের মেয়র হোসে লুইস মার্তিনেস-আলমেইদাও। বুধবার গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় রিয়াল তারকার বক্তব্যের সমালোচনা করেন তিনি।
মেয়র বলেন, ‘আশা করি, অবিলম্বে তিনি এই বক্তব্য সংশোধন করবেন। হ্যাঁ, আমাদের সমাজে এখনও কিছু বর্ণবাদী ঘটনা ঘটছে এবং তাদের নির্মূল করার জন্য কঠোর পরিশ্রমও করছি আমরা। তবে স্পেন ও মাদ্রিদকে নিয়ে ঢালাওভাবে এটি বলা অন্যায় যে, আমরা একটি বর্ণবাদী সমাজ, যেমনটি তিনি বলেছেন।’
‘তার এই মন্তব্য মাদ্রিদ ও স্পেনে ২০৩০ বিশ্বকাপের আয়োজনকে ঝুঁকিতে ফেলতে পারে। তিনি একজন অসাধারণ ফুটবলার, তার মানে এই নয় যে, মুখে যা আসে তিনি তা-ই বলবেন। অথচ সেটিই তিনি করে চলেছেন।’
মাদ্রিদ ও স্পেনের মানুষের কাছে ভিনিসিউসের ক্ষমা চাওয়া উচিৎ বলে মন্তব্য করেন মার্তিনেস-আলমেইদা।
ভিনির ক্লাব সতীর্থ ও অধিনায়ক দানি কারভাহালও এ বিষয়ে তার সমালোচনা করেন। এবার বিষয়টি নিয়ে খোদ রিয়াল মাদ্রিদ থেকে অসন্তোষের কথা জানা গেছে।
স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম স্পোর্তের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভিনিসিউসের ওই মন্তব্যে মোটেও খুশি নয় রিয়াল মাদ্রিদ, বরং এই ফরোয়ার্ডের ওপর তারা ধৈর্য্য হারাতে শুরু করেছে।
ক্লাবটির বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যমটির দাবি, রিয়াল মাদ্রিদ বিশ্বের কাছে যে ভাবমূর্তি তুলে ধরতে চায়, ভিনিসিউস তা ধারণ করে না বলেই বিশ্বাস ক্লাব কর্তৃপক্ষের। তাছাড়া মাঠেও তার আচরণ উত্তেজনাকর।
স্পোর্ত বলছে, যদি এসব চলতে থাকে, তবে আসন্ন ব্যালন দ’রের জয়ের অন্যতম ফেভারিট এই তারকাকে ছেড়ে দিতেও পিছপা হবে না রিয়াল মাদ্রিদ। আর তা সত্যি হলে বার্সেলোনার টার্গেট নিকো উইলিয়ামসের দিকে নজর দিতে পারে তারা।
এদিকে ভিনিকে পেতে মুখিয়ে রয়েছে সৌদি প্রো লিগ। তাকে দলে পেতে গত দলবদলের মৌসুমেও সৌদি আরব থেকে বিরাট অঙ্কের আর্থিক প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল বলে জানা যায়।
আরও পড়ুন: ভিনিসিউসের জন্য সৌদির ৫০০ মিলিয়ন ইউরোর প্রস্তাব ফেরাল রিয়াল
অবশ্য সিএনএনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ভিনিসিউস এও স্পষ্ট করেছিলেন যে, তার এই বক্তব্য কিছু সংখ্যক সমর্থকের উদ্দেশে।
ভিনি বলেন, ‘স্পেনের বেশিরভাগ মানুষই বর্ণবাদী নয়। তবে এমন একটি গোষ্ঠী রয়েছে, যারা এমন একটি দেশের ভাবমূর্তিকে প্রভাবিত করছে। আমি রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে খেলতে ভালোবাসি। স্পেনকেও ভালোবাসি আমি। পরিবার নিয়ে বসবাসের জন্য এর চেয়ে ভালো পরিবেশ হয় না।’
‘তবে (আপত্তিকর) বিষয়গুলোর ব্যাপারে দেশটি আরও বিকশিত হতে পারে। ইতোমধ্যে তারা অনেক বিকশিত হয়েছে, কিন্তু উন্নতি করার আরও জায়গা রয়েছে, যেমন: ২০৩০ সালের মধ্যে দেশ থেকে বর্ণবাদী ঘটনা ও বর্ণবাদ কমাতে পারে এবং সেটিই হওয়া উচিত।’
২ মাস আগে
দ্বিতীয়ার্ধের জমজমাট লড়াইয়ের পরও ফের পয়েন্ট খোয়াল রিয়াল মাাদ্রিদ
নতুন মৌসুমে অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলতে গিয়েই বারবার নিজেদের হারিয়ে ফেলছে বর্তমান লা লিগা চ্যাম্পিয়ন রিয়াল মাদ্রিদ। প্রথম ম্যাচে মায়োর্কার মাঠ থেকে জয় আনতে ব্যর্থ হওয়া দলটি তৃতীয় ম্যাচেও একইরকমভাবে হতাশ হয়েছে।
বুধবার রাতে স্পেনের কানারি দ্বীপের গ্রান কানেরিয়া স্টেডিয়ামে তারকায় ঠাসা রিয়াল মাদ্রিদকে ১-১ গোলের ড্রয়ে রুখে দিয়েছে পুঁচকে লাস পালমাস।
ম্যাচজুড়ে বল দখলের লড়াইয়ে রিয়ালকে সমানে চ্যালেঞ্জ দিয়ে গেছে স্বাগতিকরা। তাছাড়া আক্রমণাত্মক রক্ষণ গড়ে চ্যাম্পিয়নদের আক্রমণগুলোও একের পর এক প্রতিহত করে গেছে তারা। শেষ মুহূর্তে গোল পেয়ে ম্যাচটি জিতে নেওয়ারও ভালো সম্ভাবনা জাগায় তারা, তবে ভাগ্য রিয়ালের পক্ষে থাকায় ১ পয়েন্ট নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে লুইস মিগেল কারিয়নের শিষ্যদের।
এদিন ম্যাচ শুরুর পর পঞ্চম মিনিটেই এগিয়ে যায় লাস পালমাস। হঠাৎ আক্রমণে উঠে অরেলিয়েঁ চুয়ামেনিকে পরাস্ত করে আলবার্তো মলেইরোকে পাস দেন অলিভার ম্যাকবার্নি। পাস ধরে প্রথম শটেই লক্ষ্যভেদ করেন ২০ বছর বয়সী এই তরুণ উইঙ্গার।
গোল খেয়ে আক্রমণাত্মক ফুটবলে লাস পালমাসকে চেপে ধরার চেষ্টা করে রিয়াল মাদ্রিদ। তবে সম্মিলিত প্রচেষ্টা, কাউন্টার প্রেসিং ও জমাট রক্ষণে রিয়ালের সেসব প্রচেষ্টা অঙ্কুরেই বিনষ্ট করে দিতে থাকে স্বাগতিকরা। শুধু তা-ই নয়, প্রতিপক্ষের পা থেকে বল ছিনিয়ে নিয়ে পজেশনাল ফুটবলে বলের ওপর নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখার চেষ্টা করে লাস পালমাস, পাশাপাশি আক্রমণ তৈরির চেষ্টা করে রিয়ালকেও অস্বস্তিতে রাখে তারা।
২৫তম মিনিটে প্রথম গোলে শট নেয় রিয়াল মাদ্রিদ। ডি-বক্সের সামান্য বাইরে থেকে ফাউল আদায় করেন ভিনিসিউস। সেখান থেকে ফেদেরিকো ভালভার্সে দারুণ একটি ফ্রি কিক নিলেও অসাধারণ দক্ষতায় শটটি প্রতিহত করে ব্যবধান ধরে রাখেন লাস পালমাস গোলরক্ষক জ্যাসপার সিলিসেন।
২৮তম মিনিটে আক্রমণে উঠে বক্সের বাইরে থেকে শট নেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। তবে শটে জোর না থাকায় সহজেই বলটি লুফে নেন সিলিসেন।
মিনিট দশেক পর বক্সের বেশ বাইরে থেকে দূরপাল্লার শট হানেন আন্টোনিও রুয়েডিগার, তবে বাঁ পাশের পোস্টঘেঁষে বল গোলের ঢোকার মুখে ঝাঁপিয়ে হাত প্রসারিত করে সেটি বাইরে বের করে দেন সিলিসেন।
আরও পড়ুন: এমবাপ্পে না পারলেও অভিষেকে গোল এন্দ্রিকের, জয়ে ফিরল রিয়াল
এরপর ৪১তম মিনিটে রিয়াল মাদ্রিদের আরও একটি পাল্টা আক্রমণ সঠিক সময়ে এগিয়ে এসে শেষ পর্যন্ত নিস্ফল করে দেন ৩৫ বছর বয়সী এই সাবেক বার্সা গোলরক্ষক।
প্রথমার্ধের ত্রিশ মিনিটের পর থেকে একের পর এক গেম ডেভেলপ করে সমতায় ফেরার চেষ্টায় ব্রতী হয় রিয়াল মাদ্রিদ। তবে জমাট রক্ষণ ও সিলিসেনের নৈপুণ্যে তাদের সব প্রচেষ্টা ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠার আগেই নিস্ক্রিয় হয়ে যায়। ফলে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় লাস পালমাস।
প্রথমার্ধে রিয়ালের ছয়টি শটের তিনটি ছিল লক্ষ্যে, অন্যদিকে লাস পালমাস দুটি শটের একটি লক্ষ্যে রাখতে পারে, যেটি থেকে গোল আদায় করে তারা।
তবে বল দখলের লড়াইয়ে একদমই পিছিয়ে ছিল না লাস পালমাস। রিয়ালের ৫২ শতাংশ সময় বলের ওপর নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি ৪৮ শতাংশ সময় বল দখলে রেখে লা লিগা চ্যাম্পিয়নদের সমানে টক্কর দেয় তারা।
২ মাস আগে
ভিনিসিউসের জন্য সৌদির ৫০০ মিলিয়ন ইউরোর প্রস্তাব ফেরাল রিয়াল
ভিনিসিউস দলের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা বুঝিয়ে দিল রিয়াল মাদ্রিদ। সম্প্রতি ২৪ বছর বয়সী এই স্ট্রাইকারকে প্রো লিগে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা শুরু করেছে সৌদি আরব। এর জন্য বিরাট অঙ্কের আর্থিক প্রস্তাব করলেও তা ফিরিয়ে দিয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ।
এল চিরিঙ্গিতোর বরাত দিয়ে স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম মুন্দো দেপর্তিভো জানিয়েছে, ভিনিসিউসকে পেতে ৫০০ মিলিয়ন ইউরোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল, তবে সে প্রস্তাব গ্রহণ করেনি বর্তমান স্পেন ও ইউরোপ চ্যাম্পিয়নরা।
অবশ্য ভিনিসিউসের জন্য রাখা ১ বিলিয়ন ইউরো রিলিজ ক্লসের অর্থ পরিশোধে সম্মত হলে রিয়াল মাদ্রিদের পক্ষ থেকে সাড়া মিলতে পারে বলেও প্রতিবদনে বলা হয়েছে।
এর আগে, পাঁচ মৌসুমের জন্য ব্রাজিলের এই প্রতিভাকে মোট ১ বিলিয়ন ইউরো দেওয়া হয়েছিল বলে এক প্রতিবদনে জানায় রয়টার্স।
সূত্রের বরাতে বার্তাসংস্থাটি জানিয়েছিল, বেতন-বোনাসসহ ভিনিসিউসকে প্রতি মৌসুমে ২০০ মিলিয়ন ইউরো করে দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন সৌদি পাবলিক ইনভেস্টমেন্ট ফান্ডের (পিআইএফ) কর্মকর্তারা। পাশাপাশি ব্রাজিলের এই ফরোয়ার্ডকে ২০৩৪ সালে সৌদি আরবে অনুষ্ঠিতব্য বিশ্বকাপের দূত হওয়ারও একটি বিশেষ প্রস্তাব রাখা হয়েছিল চুক্তিতে।
এরপর এজেন্টের সঙ্গে এ নিয়ে ভিনি আলোচনা করেছেন বলেও জানা যায়। তার এজেন্ট তখন বলেন, মাদ্রিদে সুখে থাকলেও এই ধরনের বিরাট অঙ্কের প্রস্তাব অবশ্যই সতর্কতার সঙ্গে বিবেচনা করা উচিৎ।
আরও পড়ুন: সৌদির বিলিয়ন ইউরোর প্রস্তাব গ্রহণে ‘রাজি’ ভিনিসিউস
তবে এ ব্যাপারে রিয়াল মাদ্রিদ ভিনিসিউসকে নিয়ে এসব ভাবছে না। কিন্তু আগামী দলবদলের মৌসুমেও যদি সৌদি আরব এই তারকা ফুটবলের আশা না ছাড়ে, তবে পরিস্থিতি বেশ জটিল হয়ে পড়তে পারে।
চলতি মৌসুমে শেষে রিয়াল মাদ্রিদের সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ দুই বছর অবশিষ্ট থাকবে ভিনিসিউসের। সাধারণত এমন পর্যায়ে খেলোয়াড়দের সঙ্গে নতুন চুক্তির বিষয়ে আলোচনা করে থাকে ক্লাবগুলো। নতুন শর্তে না মিললে ওই খেলোয়াড় বিক্রি করে দিয়ে লাভের চেষ্টা করে থাকে ক্লাব।
সেক্ষেত্রে ভিনিসিউস রিয়ালকে কী ধরনের বেতন-বোনাসের প্রস্তাব দেবেন, আর তার পরিপ্রেক্ষিতে ক্লাবের পক্ষ থেকে তাকে কতটা আশ্বস্ত করতে পারবে, সেদিকে চেয়ে থাকবে সৌদি কর্তৃপক্ষ। তবে নতুন চুক্তি আলোচনায় সৌদি আরবের দেওয়া প্রস্তাবটি যে দুই পক্ষকেই প্রভাবিত করবে, তা আগে থেকেই বলে দেওয়া যায়।
সৌদির প্রস্তাবের পর ভিনিসিউস নিশ্চয়ই বেতন-বোনাস নিয়ে বেশ বড় লাফ দিতে চাইবেন, আর তাতে না পোষালে রিয়াল তাকে বিক্রি করে দেওয়ার চেষ্টা করলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।
আরও একটি বিষয় রিয়াল মাদ্রিদ ও ভিনিসিউস উভয় পক্ষকেই ভাবাতে পারে। আর তা হচ্ছে, এমবাপ্পের রিয়ালে যোগদান। দুজনে একই পজিশনের ফুটবলার হওয়ায় লা লিগার গত দুই ম্যাচেই রিয়ালকে আক্রমণভাগের বাঁ পাশে ভুগতে দেখা গেছে।
ভিনিসিউসকে বাঁয়ে খেলিয়ে এমবাপ্পেকে মাঝে, অর্থাৎ ৯ নম্বর পজিশনে খেলানো হলেও বারবার নিজের সহজাত পজিশনে চলে যেতে দেখা যায় এমবাপ্পেকে। ফলে বাঁ পাশে একপ্রকার নিষ্প্রভ ছিলেন ভিনিসিউস। আবার দুই পজিশনের বিড়ম্বনায় পড়ে নিজের স্বভাবসুলভ ফুটবল খেলতে পারেননি এমবাপ্পেও। ফলে রিয়াল বস কার্লো আনচেলত্তি যদি পজিশনের এই জটিলতার সমাধান না করতে পারেন, তবে ভিনিসিউসের জন্য ভিন্ন কিছু ভাবা অপ্রাসঙ্গিক হবে না।
আরও পড়ুন: আক্রমণভাগে পরিবর্তন আসায় দলে ভারসাম্যের অভাব দেখছেন আনচেলত্তি
প্রসঙ্গত, নিজ দেশের ফুটবল লিগকে জনপ্রিয় করতে গত কয়েক বছর ধরে কাড়ি কাড়ি টাকা খরচ করে বিশ্বের নামকরা সব ফুটবলারদের কিনে চলেছে সৌদি প্রো লিগের ক্লাবগুলো। এই তালিকায় ইতোমধ্যে নাম লিখিয়েছেন ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো, নেইমার, করিম বেনজেমার মতো তারকা ফুটবলাররা।
এর আগে, ফুটবলের আর্জেন্টাইন মায়েস্ত্রো লিওনেল মেসি, ফ্রান্সের তারকা ফুটবলার কিলিয়ান এমবাপ্পেদেরও সৌদি আরবে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে পিআইএফ। তবে লিওনেল মেসি বার্সেলোনা থেকে পিএসজি হয়ে বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের ক্লাব ইন্টার মায়ামির হয়ে খেলছেন। আর এমবাপ্পে পিএসজির সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর এই মৌসুমে নিজের স্বপ্নের ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদে নাম লিখিয়েছেন।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালে পাঁচ বছরের জন্য রিয়াল মাদ্রিদে চুক্তির মেয়াদ বাড়ান ভিনিসিউস। ক্লাবটির জার্সিতে গত মৌসুমে লা লিগা, চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ও স্প্যানিশ সুপার কাপ জিতে এ বছরের ব্যালন দ’র জয়ের অন্যতম দাবিদার হিসেবে ফুটবলবোদ্ধাদের বিবেচনায় রয়েছেন তিনি।
২ মাস আগে
ব্যালন দ’র: ভিনিসিউস, বেলিংহ্যামকে ফেভারিট মনে করেন না কারভাহাল
লা লিগা ও স্প্যানিশ সুপার কাপ জয়ের পর রিয়াল মাদ্রিদ চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতায় দলটির দুই তারকা খেলোয়াড় ভিনিসিউস জুনিয়র ও জুড বেলিংহ্যামকে এ বছরের ব্যালন দ’র পুরস্কারের জন্য ফেভারিটের তালিকায় শীর্ষে রেখেছেন অনেকেই। তবে রিয়াল মাদ্রিদের দানি কারভাহালই তার সতীর্থদের এ বছর এই পুরস্কারের জন্য ফেভারিট মনে করেন না।
ব্যালন দ’রের জন্য তিন ফেভারিটের মধ্যে ভিনি, বেলিংহ্যামকে দেখছেন না ৩২ বছর বয়সী রিয়াল মাদ্রিদের এই স্প্যানিশ ফুলব্যাক। তবে তার পছন্দের সেরা পাঁচ ফুটবলারের মধ্যে তারা আছেন বলে জানিয়েছে স্পেনের ফুটবল সাময়িকী ফুতবল এস্পানিয়া।
যদিও ব্যালন দ’রে ভোট দেওয়ার অধিকার নেই কারভাহালের। তবে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি জানিয়েছেন, নিজেদের সেরাদের কাতারে রাখতে গত মৌসুমে তারা (ভিনি, বেলিংহ্যাম) যথেষ্ট কাজ করেছে। তবে (ব্যালন দ’রে ভোট দিতে পারলে) আমার পাঁচ পয়েন্টের তিন পয়েন্টই আমি দেব রদ্রিকে। আর এক পয়েন্ট দেব হোসেলুকে।
আরও পড়ুন: শাস্তি পেতে পারেন বেলিংহ্যাম
উল্লেখ্য, জমজ বোনকে বিয়ে করায় হোসেলু কারভাহালের ভায়রা। তবে এসবের ওপরে তিনি ফুটবলকে স্থান দেন বলে জানিয়েছেন।
এদিকে, ক্লাবের হয়ে আলো ছড়ালেও জাতীয় দলের জার্সি গায়ে মোটেও ভালো পারফরম্যান্স দেখাতে পারেননি ভিনিসিউস জুনিয়র। চলমান কোপা আমেরিকার কোয়ার্টার ফাইনালে উরগুয়ের কাছে হেরে বিদায় নিতে হয়েছে তাদের।
তবে, বেলিংহ্যাম উঠেছেন ইউরোর ফাইনালে। গ্রুপ পর্বের খুব বেশি আশার সঞ্চার করতে না পারলেও কোনোমতে নকআউট পেরিয়ে, সেমিফাইনালে নেদারল্যান্ডসকে ২-১ গোলে হারিয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মতো ফাইনালে উঠেছে বেলিংহ্যামদের ইংল্যান্ড।
অপরদিকে, গত মৌসুমেও প্রিমিয়ার লিগ জিতে টানা চার মৌসুম ধরে লিগ শিরোপা ধরে রেখেছে পেপ গার্দিওয়লার ম্যানচেস্টার সিটি। রদ্রি দলটির অধিনায়ক। এছাড়া চলমান ইউরো জয়ের দৌড়ের বেশ শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছেন তিনি।
আজ রাত একটায় রেকর্ড চতুর্থবারের মতো ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লক্ষ্যে ফাইনালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে মাঠে নামছে রদ্রি-কারভাহালের স্পেন।
আরও পড়ুন: বিরল কীর্তিতে রোনালদোর পাশে বসলেন ইয়ামাল
৪ মাস আগে
প্যারাগুয়েকে উড়িয়ে শঙ্কা কাটাল ব্রাজিল
কোপা আমেরিকার চলতি আসরের শুরুটা আশানুরূপ হয়নি ব্রাজিলের। কোস্টারিকার সঙ্গে ড্র করে নকআউট পর্বে ওঠা নিয়ে ভক্তদের মনে জাগিয়েছিল শঙ্কা। মূলত, ড্রয়ের কারণে নয়, ম্যাচে দলটির খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্সই ছিল হতাশা জাগানিয়া। তবে দ্বিতীয় ম্যাচে প্যারাগুয়ের বিপক্ষে দুর্দান্ত জয়ে সে আশঙ্কা কাটিয়েছে দরিভাল জুনিয়রের শিষ্যরা।
লাস ভেগাসের অ্যালেজায়ান্ট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় শনিবার সকালে প্যারাগুয়ের বিপক্ষে ৪-১ গোলের জয় পেয়েছে ব্রাজিল। ভিনিসিউসের জোড়া গোলের ম্যাচে স্যাভিনিয়ো এবং লুকাস পাকেতা বাকি গোল দুটি করেন।
স্কোরলাইন দেখে ম্যাচটি একপেশে মনে হলেও মাঠের খেলায় তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে প্যারাগুয়ে। ব্রাজিলের পায়ে ৫৪ শতাংশ সময় বল থাকলেও ৪৬ শতাংশ সময় নিজেদের পায়ে বল রাখতে সক্ষম ছিল দলটি। এছাড়া পুরো ম্যাচে ব্রাজিল গোলের জন্য শট নেয় ১৭টি, যার ৬টি ছিল লক্ষ্যে। অপরদিকে, প্যারাগুয়ের ১৫টি শট থেকেও ৬টি লক্ষ্যে ছিল।
দুই অর্ধে দুটি পেনাল্টিতে ব্রাজিলের কাজ অনেকটা সহজ হয়ে গেলেও তার একটি থেকে গোল আদায় করতে পারে পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। ম্যাচের ৩১তম মিনিটে পাওয়া প্রথম স্পট কিক থেকে গোল আদায় করতে না পেরে দলকে এগিয়ে নিতে ব্যর্থ হন লুকাস পাকেতা। গোলরক্ষককে পরাস্ত করতে গিয়ে তার শটটি গোলপোস্টেরই বাইরে দিয়ে চলে যায়।
তবে এর চার মিনিট পরই দর্শকদের আনন্দে ভাসান ভিনিসিউস। ডি বক্সের ভেতর পাকেতার বাড়ানো বল থেকে লক্ষ্যভেদ করেন রিয়াল মাদ্রিদ তারকা।
আরও পড়ুন: লাউতারোর গোলে কোয়ার্টার ফাইনালে আর্জেন্টিনা
এরপর প্রথমার্ধের খেলা দুই মিনিট বাকি থাকতে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন স্যাভিনিয়ো। ব্রুনো গিমেরায়েসের শট গোলরক্ষকক ফিরিয়ে দিলে বল প্যারাগুয়ের এক ডিফেন্ডারের পায়ে লেগে চলে যায় স্যাভিনিয়োর কাছে। এরপর বল জালে জড়াতে খুব বেশি বেগ পেতে হয়নি আসন্ন মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে জায়গা করে নেওয়া জিরোনার এই ফরোয়ার্ডের।
এরপর মাঠের পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। প্রতিপক্ষের সঙ্গে বিবাদে জড়ান ভিনিসিউস। তাকে ধাক্কা মেরে ফেলেও দেওয়া হয়। তবে বিরতির ঠিক আগেই অতিরিক্ত সময়ে গোল করে এর জবাব দেন তিনি। ফলে ৩-০ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে প্রথমার্ধ শেষ করে ব্রাজিল।
৪ মাস আগে