লামিন ইয়ামাল
এবার রিয়ালের মাঠেই বর্ণবিদ্বেষের শিকার বার্সার তিন খেলোয়াড়
প্রতিপক্ষের সমর্থকদের কাছ থেকে বর্ণবাদী স্লোগান শুনতে শুনতে জেরবার রিয়াল মাদ্রিদের ব্রাজিলীয় ফরোয়ার্ড ভিনিসিউস জুনিয়র। এ নিয়ে অভিযোগের শেষ নেই তার; এমনকি রিয়ালের সমর্থকরাও ভিনিসিউসের পক্ষ নিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঘৃণ্য এ আচরণের সমালোচনায় মুখর থাকেন। এবার সান্তিয়াগো বের্নাবেউতে সেই রিয়াল সমর্থকদের কাছেই বর্ণবিদ্বেষের শিকার হয়েছেন বার্সেলোনার তিন খেলোয়াড়।
ঘটনাটি ঘটে শনিবার রাতে এল ক্লাসিকো চলাকালে। ৪-০ গোলে বার্সার কাছে বিধ্বস্ত হওয়ার ওই রাতে ম্যাচের ৭৭তম মিনিটে রাফিনিয়ার অ্যাসিস্টে তৃতীয় গোলটি করেন বার্সেলোনার ১৭ বছর বয়সী প্রতিভাবান উইঙ্গার লামিন ইয়ামাল।
এল ক্লাসিকোতে সর্বকনিষ্ঠ ফুটবলার হিসেবে গোলের রেকর্ড করে মাঠেই উদযাপন শুরু করেন তিনি। এ সময় গ্যালারি থেকে তার উদ্দেশে বর্ণবাদী স্লোগান দিতে শুরু করে রিয়ালের কিছু সমর্থক। এমনকি ম্যাচের শেষ দিকে যখন রাফিনিয়ার সঙ্গে কর্নার কিক নিতে যান লামিন, তখন উচ্ছৃঙ্খল সমর্থকরা আরও বেপরোয়া হয়ে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকেন।
ম্যাচের পর স্পেনের ক্রীড়াবিষয়ক সংবাদমাধ্যম রেলেভো জানায়, শুধু লামিন নন; আনসু ফাতি ও আলেহান্দ্রো বালদেও গ্যালারি থেকে বর্ণবিদ্বেষের শিকার হয়েছেন।
এ ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে গোটা স্প্যানিশ প্রশাসন। সমর্থকদের এমন আচরণে লজ্জা প্রকাশ করে এ ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ।
এছাড়া এ ঘটনার পেছনের কারিগরদের চিহ্নিত করতে ইতোমধ্যে তদন্ত শুরু করা হয়েছে বলে ক্লাবটির পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বর্ণবাদ পরিস্থিতির উন্নতি না হলে স্পেনে বিশ্বকাপ চান না ভিনিসিউস
এ ঘটনার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে লা লিগা কর্তৃপক্ষও তাদের কার্যক্রম শুরু করেছে। স্পেনের বর্ণবাদবিরোধী সংস্থার কাছে অভিযোগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা।
লা লিগা তাদের বিবৃতিতে বলেছে, ‘বার্সেলোনার খেলোয়াড়দের উদ্দেশে ওঠা বর্ণবাদী স্লোগান নিয়ে স্পেনের জাতীয় পুলিশের হেট ক্রাইম ইউনিটে অভিযোগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে লা লিগা। পাশাপাশি স্টেট অ্যাটর্নি জেনারেলের অফিসের হেট ক্রাইমস অ্যান্ড ডিসক্রিমিনেশন ইউনিটের সমন্বয়কারী প্রসিকিউটরকেও এ বিষয়ে অবহিত করা হবে।’
‘লা লিগা সান্তিয়াগো বের্নাবেউয়ের ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে এবং স্টেডিয়ামের ভেতরে ও বাইরে যেকোনো ধরনের বর্ণবাদী আচরণ ও ঘৃণা দূর করতে নিজেদের অঙ্গীকারে অটল রয়েছে।’
২ সপ্তাহ আগে
হেরে বার্সেলোনার রেকর্ড ভাঙার স্বপ্ন ধূলিসাৎ রিয়ালের
সান্তিয়াগো বের্নাবেউয়ে খেলা শুরুর পর থেকে প্রায় ৭৮ হাজার রিয়াল মাদ্রিদ সমর্থকের যে বিশাল গর্জনে বুক কেঁপে কেঁপে উঠছিল বার্সেলোনার তরুণ খেলোয়াড়দের, দ্বিতীয়ার্ধের কিছুক্ষণ পর থেকে সেই উল্লাস কোথায় যেন মিলিয়ে গেল, আর এক কোনায় থাকা মাত্র ৪০০ ব্লাউগ্রানা সমর্থকের চিৎকারে ছাপিয়ে গেল গোটা গ্যালারির স্তব্ধতা। বার্সেলোনাকে আরও একবার হারিয়ে, কিংবা অন্তত হার এড়িয়ে বার্সারই টানা জয়ের রেকর্ড ভাঙার যে স্বপ্ন নিয়ে মাঠে নেমেছিলেন ভিনিসিউস-এমবাপ্পে-বেলিংহ্যামরা, ম্যাচ শেষ হওয়ার আগেই সেই স্বপ্ন ভেঙে খানখান হয়ে গেল।
সান্তিয়াগো বের্নাবেউতে লা লিগায় মৌসুমের প্রথম এল ক্লাসিকোতে রিয়ালের মাঠেই বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের ৪-০ গোলে বিধ্বস্ত করেছে হান্সি ফ্লিকের ছোঁয়ায় বদলে যাওয়া বার্সেলোনা।
২০২২ সালের ২০ মার্চের পর ঘরের মাঠে এটিই রিয়ালের সবচেয়ে বড় হার। ওই ম্যাচটিও তারা হেরেছিল বার্সেলোনার কাছেই, একই ব্যবধানে।
এছাড়া সব মিলিয়ে টানা চার ম্যাচ জেতার পর এদিন বার্সার কাছে হারল রিয়াল মাদ্রিদ। ২০২৩ সালের ২৯ জুলাই সর্বশেষ রিয়ালকে ৩-০ গোলে হারিয়েছিল শাভি এরনান্দেসের শিষ্যরা।
আরও পড়ুন: সেভিয়াকে বিধ্বস্ত করে এল ক্লাসিকোর প্রস্তুতি সারল বার্সেলোনা
চলতি মৌসুমে ভালো শুরু না পেলেও নানাভাবে হার এড়িয়ে লা লিগায় টানা ৪২ ম্যাচ অপরাজিত ছিল রিয়াল মাদ্রিদ। সর্বশেষ ম্যাচে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের বিপক্ষে দুই গোলে পিছিয়ে পড়েও দুর্দান্তভাবে ঘরে দাঁড়িয়ে ৫-২ গোলে জিতে দারুণভাবে এল ক্লাসিকোর প্রস্তুতিও সারে কার্লো আনচেলত্তির দল। তবে ক্লাসিকোতে বড় হারে সব প্রস্তুতি ধূলায় মিশে গেছে দলটির। অন্যদিকে, রিয়ালকে হারিয়ে নিজেদের রেকর্ড অক্ষত রেখেছে বার্সেলোনা।
এই ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে এসে ভিনিসিউস-এমবাপের মতো ক্ষিপ্র গতির খেলোয়াড়দের আটকানোর কৌশল বাতলে দিয়েছিলেন বার্সা বস ফ্লিক। সেই কৌশল অবলম্বন করেই রিয়ালের বিষদাঁত বের করতে দেননি এই জার্মান।
ম্যাচে শুধু এমবাপেই ৮ বার বার্সার অফসাইডের ফাঁদে পড়েছেন। ফরাসি এই স্ট্রাইকারের নৈপুণ্যে ম্যাচের ৩০তম মিনিটে এগিয়েও গিয়েছিল রিয়াল, তবে অফসাইডে কাটা পড়ে তার গোলটি।
আরও পড়ুন: রিয়ালের অগ্নিঝরা ফুটবলে পুড়ে ছাই ডর্টমুন্ড
প্রথমার্ধে মাঠে তেমনভাবে প্রভাব বিস্তার করতে না পারলেও দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই নিজেদের জাত চেনাতে শুরু করে রিয়ালের খেলোয়াড়রা। তবে বলের দখল, গতি নিয়ন্ত্রণ, রক্ষণ, কাউন্টার প্রেসিং ও ফিনিশিংয়ে তাদের চেয়ে পরিষ্কারভাবে এগিয়ে ছিল বার্সেলোনার খেলোয়াড়রা; আর এর ফলও পেয়েছে তারা।
৩ সপ্তাহ আগে
রাফিনিয়ার হ্যাটট্রিকে ৯ বছর পর বায়ার্নকে হারাল বার্সেলোনা
২০১৫ সালে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ের পথে সবশেষ বায়ার্ন মিউনিখকে হারিয়েছিল বার্সেলোনা। তারপর থেকে এই বায়ার্নই হয়ে ছিল দলটির কাছে এক আতঙ্কের নাম। পরে যতবার দেখা হয়েছে, বড় ব্যবধানে বার্সাকে হারিয়ে জয়োল্লাস করেছে বাভারিয়ানরা। তবে ৯ বছর পর দুর্দান্তভাবে জিতে সেইসব ক্ষতে প্রলেপ দিয়েছে হান্সি ফ্লিকের শিষ্যরা।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের তৃতীয় রাউন্ডের ম্যাচে বুধবার রাতে অলিম্পিক স্টেডিয়ামে বায়ার্ন মিউনিখকে ৪-১ ব্যবধানে হারিয়েছে হান্সি ফ্লিকের ছোঁয়ায় বদলে যাওয়া বার্সেলোনা।
এদিন রাফিনিয়ার হ্যাটট্রিকের পাশাপাশি অন্য গোলটি করেন রবের্ট লেভানডোভস্কি। আর বায়ার্নের একমাত্র গোলটি আসে হ্যারি কেইনের পা থেকে।
ইউরোপ সেরার এ প্রতিযোগিতায় বায়ার্নের বিপক্ষে টানা ছয় ম্যাচ হারের পর জয়ের মুখ দেখল বার্সেলোনা। তাদের সবশেষ জয়টি ছিল প্রায় সাড়ে ৯ বছর আগে; ২০১৫ সালের মে মাসে কাম্প নউয়ে সেমিফাইনালের প্রথম লেগে নেইমারের একটি ও লিওনেল মেসির জোড়া গোলে ৩-০ ব্যবধানে জিতেছিল কাতালানরা।
আরও পড়ুন: সেভিয়াকে বিধ্বস্ত করে এল ক্লাসিকোর প্রস্তুতি সারল বার্সেলোনা
চ্যাম্পিয়ন্স লিগে সব মিলিয়ে বায়ার্নের সঙ্গে ১৪ বারের দেখায় বার্সেলোনার মাত্র তৃতীয় জয় এটি; এছাড়া একটি ম্যাচ ড্র এবং হেরেছে ১০টি।
ম্যাচের তখনও এক মিনিট পার হয়নি, এর আগেই গোল করে বার্সেলোনাকে এগিয়ে নেন রাফিনিয়া।
মাঝমাঠ থেকে ফের্মিন লোপেসের বাড়ানো বল ধরে বায়ার্নের হাই লাইন ডিফেন্স ভেঙে এগিয়ে যান রাফিনিয়া। এরপর ম্যাচের ৫৭তম সেকেন্ডে মানুয়েল নয়ারকে পরাস্ত করেন তিনি।
৩ সপ্তাহ আগে
ইয়াং বয়েজের বিপক্ষে বার্সেলোনার দাপুটে জয়
প্রথম ম্যাচে মোনাকোর বিপক্ষে নিজেদের ছায়া হয়ে থাকলেও দ্বিতীয় ম্যাচেই খোলস ছেড়ে বেরিয়ে এল বার্সেলোনা। আর নিজেদের স্বভাবজাত ফুটবল খেলে ইয়াং বয়েজকে উড়িয়ে দিয়ে দারুণভাবে ঘুরে দাাঁড়াল দলটি।
অলিম্পিক স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার রাতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের দ্বিতীয় রাউন্ডের ম্যাচে সুইস ক্লাবটিকে ৫-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে হান্সি ফ্লিকের শিষ্যরা।
এদিন জোড়া গোল করেন হান্সি ফ্লিকের তত্ত্বাবধায়নে চলতি মৌসুমে উড়তে থাকা রবের্ট লেভানডোভস্কি। বাকি দুটি গোল করেন রাফিনিয়া ও ইনিগো মার্তিনেস এবং আত্মঘাতী গোল হিসেবে আসে পঞ্চম গোলটি।
ম্যাচজুড়ে বল দখলের লড়াই দাপট দেখায় বার্সেলোনা। ৭০ শতাংশ সময় বল নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রেখে মোট ২০টি শট নেয় তারা, যার আটটি লক্ষ্যে ছিল। অন্যদিকে, ম্যাচজুড়ে মোট পাঁচটি শট একটি লক্ষ্যে রাখতে সমর্থ হয় ইয়াং বয়েজ, ওই শটটি থেকে গোল পেলেও অফসাইডে তা বাতিল হয়ে যায়।
আরও পড়ুন: শুরুতেই লাল কার্ড, হেরে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শুরু বার্সেলোনার
তুলনামূলক দুর্বল দল পেয়ে ম্যাচের শুরুতেই ইয়াং বয়েজকে চেপে ধরে বার্সেলোনা। চতুর্থ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া শটে গোল খোঁজেন লামিন ইয়ামাল, কিন্তু শটে জোর না থাকায় সহজেই বল তালুবন্দি করেন ইয়াং বয়েজ গোলরক্ষক মারভিন কেলার।
এরপর অষ্টম মিনিটে অসাধারণ দলীয় ফুটবল প্রদর্শন শেষে গোলের খাতা খোলে বার্সেলোনা। ডান পাশ থেকে গোলমুখে রাফিনিয়ার বাড়ানো নিচু ক্রস থেকে প্রথম ছোঁয়াতেই লক্ষ্যভেদ করেন রবের্ট লেভানডোভস্কি।
গোল খেয়ে আরও রক্ষণাত্মক খেলা শুরু করে ইয়াং বয়েজ। ফলে তাদের দুই স্তরের জমাট রক্ষণ ভেদ করতে যথেষ্ট বেগ পেতে হচ্ছিল কাতালানদের।
১ মাস আগে
উড়তে থাকা বার্সেলোনাকে মাটিতে নামাল ওসাসুনা
একের পর এক দুর্দান্ত জয়ে লা লিগায় উড়ে চলেছিল হান্সি ফ্লিকের বার্সেলানা। এবার সেই উড়তে থাকা দলটিকে মাটিতে নামাল ওসাসুনা।
লা লিগার অষ্টম রাউন্ডের ম্যাচে ওসাসুনার এল সাদার স্টেডিয়ামে বার্সেলোনাকে ৪-২ গোলে হারিয়েছে স্বাগতিকরা।
এর ফলে লিগে সাত ম্যাচ পর বার্সেলোনা প্রথম হারের মুখ দেখেছে। অন্যদিকে, চলতি মৌসুমে ঘরের মাঠে নিজেদের অপজেয় যাত্রা আরও একটু লম্বা করেছে ওসাসুনা (তিন জয়, এক ড্র)।
শুধু তা-ই নয়, লিগে এক যুগ পর নিজেদের মাঠে বার্সেলোনার বিপক্ষে জয় পেল ওসাসুনা। সর্বশেষ ২০১২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ঘরের মাঠে কাতালানদের হারিয়েছিল দলটি।
চোটজর্জর দল নিয়ে ভুগতে থাকায় এদিন বেশকিছু পরিবর্তন নিয়ে একাদশ সাজিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে চেয়েছিলেন বার্সা বস ফ্লিক। তবে ওসাসুনার শারীরিকভাবে সামর্থ্যবান ফুটবলারদের সামনে সেই পরীক্ষায় চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: বার্সেলোনা ও সমর্থকদের উয়েফার শাস্তি
এদিন ওসাসুনার হয়ে জোড়া গোল করে ম্যাচসেরা হয়েছেন দলটির ফরোয়ার্ড আন্তে বুদিমির। এছাড়া দুই অর্ধে দুটি গোল করেন যথাক্রমে উইঙ্গার ব্রায়ান সারাগোসা এবং আবেল ব্রেতোনেস।
বার্সেলোনার গোলদুটি করেন পাউ ভিক্তর ও লামিন ইয়ামাল।
এদিন গত ম্যাচের একাদশের চার খেলোয়াড়কে বিশ্রাম দিয়ে নতুন একাদশ সাজান হান্সি ফ্লিক। রক্ষণভাগে লেফট ব্যাক আলেক্স বালদের পরিবর্তে ক্লাবটির ‘বি’ টিমের খেলোয়াড় জেরার্দ মার্তিন এবং সেন্টার ব্যাক ইনিগো মার্তিনেসের পরিবর্তে আরেক তরুণ সের্জি দমিঙ্গেসকে সুযোগ দেন তিনি। এছাড়া আক্রমণ ভাগের কার্যকর দুই উইঙ্গার রাফিনিয়া ও লামিন ইয়ামালকে বেঞ্চে বসিয়ে তাদের পরিবর্তে যথাক্রমে পাউ ভিক্তর ও ফেররান তোরেস দিয়ে ম্যাচ শুরু করান এই জার্মান কোচ।
মাঠে নামার পর থেকেই খেলায় দক্ষতার অভাব স্পষ্ট হয়ে ওঠে বার্সেলোনার। আর তা দেখে গোল পেতে শুরু থেকেই মরিয়া হয়ে ওঠে ওসাসুনা।
ম্যাচের পঞ্চদশ মিনিটে ডান পাশ দিয়ে দুর্দান্ত এক আক্রমণে উঠে বার্সেলোনার বক্সের সামান্য বাইরে থেকে কাছের পোস্টে বুলেট শট নেন উইং ব্যাক হেসুস আরেসো। তবে শটটি লক্ষ্যে রাখতে ব্যর্থ হন তিনি।
এর তিন মিনিট পরই গোল পেয়ে যায় ওসাসুনা। বাঁ পাশ ধরে আক্রমণে উঠে কর্নার স্পটের কাছ থেকে গোলমুখে ক্রস বাড়ান উইঙ্গার ব্রায়ান সারাগোসা। তা থেকে হেডারে ঠিকানা খুঁজে নেন আন্তে বুদিমির।
১ মাস আগে
বড় জয়ে অপরাজেয় যাত্রা অব্যাহত বার্সেলোনার
চ্যাম্পিয়ন্স লিগে হতাশাজনক পারফরম্যান্সের পর লিগ ম্যাচে ফের জ্বলে উঠল বার্সেলোনা। হারের হতাশা ভুলে ভিয়ারিয়ালের মাঠ থেকে বড় জয় নিয়ে ফিরল হান্সি ফ্লিকের দল।
এস্তাদিও দে লা সিরামিকায় স্থানীয় সময় রবিবার রাতে ভিয়ারিয়ালের বিপক্ষে ৫-১ ব্যবধানে জিতেছে বার্সেলোনা।
প্রথমার্ধে রবের্ট লেভানডোভস্কি জোড়া গোল করে দলকে এগিয়ে নিলে বিরতির পরই ব্যবধান বাড়ান চলতি মৌসুমে প্রথমবার শুরুর একাদশে জায়গা পাওয়া বার্সেলোনা মিডফিল্ডার পাবলো তোরে। এরপর আরও দুই গোল করে দলের জয় নিশ্চিত করেন পুরো ম্যাচজুড়ে আলো ছড়ানো রাফিনিয়া। অন্যদিকে, প্রথমার্থে ভিয়ারিয়ালের একমাত্র গোলটি করেন আয়োসে পেরেস।
অবশ্য হ্যাটট্রিক করতে পারতেন লেভানডোভস্কি, তবে পেনাল্টি মিস করায় সে গৌরব থেকে বঞ্চিত হয়েছেন এই পোলিশ তারকা। দুই গোলে লা লিগায় ৬ ম্যাচে ৬ গোল ও দুটি অ্যাসিস্ট হলো তার। এছাড়া পাঁচ গোল করে লিগের সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে উঠেছেন রাফিনিয়া।
আরও পড়ুন: শুরুতেই লাল কার্ড, হেরে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শুরু বার্সেলোনার
এই দুজনের পাশাপাশি লামিন ইয়ামালের কথা উল্লেখ না করলেই নয়; চলতি মৌসুমে সব মিলিয়ে ৭ ম্যাচ খেলে প্রতি ম্যাচে অন্তত একটি গোলে অবদান রেখেছেন ১৭ বছরে পা দেওয়া এই স্প্যানিশ তরুণ। গোল-অ্যাসিস্ট মিলিয়ে (লেভানডোভস্কির সমান আটটি) সর্বোচ্চ অবস্থানে রয়েছেন তিনি। লিগে এখন পর্যন্ত তিন গোলের পাশাপাশি পাঁচটি অ্যাসিস্ট করেছেন তিনি।
স্কোরলাইন দেখে ম্যাচটি একপেশে মনে হলেও পুরো ম্যাচজুড়ে এক মুহূর্তের জন্যেও বার্সেলোনাকে ছেড়ে কথা বলেনি ভিয়ারিয়াল। বার্সা একবার আক্রমণে উঠলে পরমুহূর্তে আক্রমণে উঠেছে মার্সেলিনোর শিষ্যরা। তবে অফসাইড আর ভাগ্যের ফেরে বল পোস্টে লাগায় বেশ কয়েকটি গোলবঞ্চিত হয়েছে তারা।
ম্যাচজুড়ে বার্সেলোনার ১৬টি শটের বিপরীতে ১৪টি শট নেয় ভিয়ারিয়াল। তবে শট লক্ষ্যে রাখার ক্ষেত্রে ভিয়ারিয়ালকে পেছনে ফেলেছে বার্সেলোনা; তাদের ১০ শট লক্ষ্যে থাকলেও মাত্র চারটি শট গোলমুখে রাখতে পারে ভিয়ারিয়াল।
শুক্রবার রাতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচে বড় ভুলের পর ম্যাচ হারায় টের স্টেগেনকে অনেকে কাঠগড়ায় তুললেও এ ম্যাচের শুরু থেকেই চমক দেখাতে থাকেন এই গোলরক্ষক। তবে প্রথমার্ধের খেলা শেষ হওয়ার কিছুক্ষণ আগে দলকে নিশ্চিত গোল খাওয়া থেকে বাঁচাতে গিয়ে চোট পান তিনি। মাঠে প্রাথমিক চিকিৎসা দিলে সুস্থ না হওয়ায় পরে স্ট্রেচারে শুয়ে তাকে মাঠ ছাড়তে হয়।
১ মাস আগে
শুরুতেই লাল কার্ড, হেরে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শুরু বার্সেলোনার
হান্সি ফ্লিকের তত্ত্বাবধায়নে একের পর এক ম্যাচ জিতে উড়ছিল কাতালান জায়ান্ট বার্সেলোনা। তবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের প্রথম ম্যাচেই তাদের মাটিতে নামাল ফরাসি লিগের ক্লাব মোনাকো।
মোনাকোর স্তাদ দ্বিতীয় লুইস স্টেডিয়ামে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের প্রথম রাউন্ডের ম্যাচে বৃহস্পতিবার রাতে দশজনের বার্সেলোনাকে ২-১ গোল হারিয়েছে স্বাগতিকরা।
এর ফলে চলতি মৌসুমে লিগে টানা পাঁচ জয়ের পর প্রথম হারের স্বাদ পেল কাতালুনিয়ার দলটি। সেইসঙ্গে থামল হান্সি ফ্লিকের অপরাজেয় বার্সেলোনা যাত্রা।
ম্যাচের দশম মিনিটে গোলরক্ষক মার্ক আন্দ্রে টের স্টেগেনের ভুলে পেশাদার ফাউল করে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন বার্সার মিডফিল্ডার হিসেবে মাঠে নামা ডিফেন্ডার এরিক গার্সিয়া। এর ৬ মিনিট পর দারুণ এক গোলে মোনাকোকে এগিয়ে নেন দলটির জাপানি মিডফিল্ডার তাকুমি মিনামিনো। এরপর ২৮ তম মিনিটে আরও অসাধারণ গোল করে বার্সেলোনাকে সমতায় ফেরান লামিন ইয়ামাল। এরপর দ্বিতীয়ার্ধে ৭১তম মিনিটে দলের জয়সূচক গোলটি করেন মোনাকোর নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড জর্জ ইলেনিকিয়েনা।
আরও পড়ুন: রিয়াল মাদ্রিদের মাঠে লড়াই করেও হারল স্টুটগার্ট
ম্যাচের শুরুতেই একজন খেলোয়াড় কমে যাওয়ায় পুরো ম্যাচজুড়েই আত্মবিশ্বাসের অভাব লক্ষ করা গেছে বার্সেলোনার ফুটবলারদের মধ্যে। সমতাসূচক গোলটি করার পর থেকে অবশ্য তারা জয়ের জন্যই খেলে যাচ্ছিল, তবে নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ার ত্রিশ মিনিট আগে দ্বিতীয় গোলটি হজম করে আর ম্যাচে ফেরা হয়নি হান্সি ফ্লিকের শিষ্যদের।
এদিন সাবধানি শুরুর কারণে ধীগিতিতে খেলতে থাকে দুদল। তবে প্রথম গোলে শট নেয় মোনাকো। আক্রমণে উঠে বাঁ পাশ ধরে বক্সের মধ্যে ঢুকে নিচু শট নেন দলটির উইঙ্গার এলিস বেন সেগির। তবে বার্সেলোনার এক ডিফেন্ডারের পায়ে লেগে শটটি গতি হারালে সহজেই বল লুফে নেন টের স্টেগেন।
এর কিছুক্ষক্ষণ পরই বার্সেলোনার জন্য আসে দুঃসংবাদ। এরিক গার্সিয়া লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়লে শুরুতেই দশজনের দলে পরিণত হয় পান্সি ফ্লিকের দল।
বল রিসিভ করে তিনজনকে পাস দেওয়ার সুযোগ ছিল টের স্টেগেনের কাছে; ডান পাশে ইনিগো মার্তিনেস ও বাঁ পাশে আলেক্স বালদে ফাঁকা ছিলেন, কিন্তু মাঝখানে প্রতিপক্ষ ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলা এরিক গার্সিয়াকে পাস দেন এই গোলরক্ষক। ফলে বল বাড়ানো দেখেই গার্সিয়ে পেছন থেকে চ্যালেঞ্জ করে বল কেড়ে নেন মিনামিনো। তিনি বক্সে ঢুকতে গেলে গোল খাওয়া থেকে বাঁচতে ফাউল করার বিকল্প ছিল না গার্সিয়ার সামনে। ফলে সরাসরি লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হয় তার।
১ মাস আগে
জিরোনায় বড় জয়ে মধুর প্রতিশোধ বার্সেলোনার
শুনতে অস্বাভাবিক মনে হলেও নগর প্রতিদ্বন্দ্বীদের বিপক্ষে গত তিন ম্যাচের একটিতেও জয় পায়নি বার্সেলোনা। এর মধ্যে সবশেষ দুটি ম্যাচেই তারা হেরেছে ৪-২ ব্যবধানে। তবে বড় ব্যবধানে জিতে সেই হারের ক্ষতে প্রলেপ দিল হান্সি ফ্লিকের শিষ্যরা।
কাতালুনিয়ার এস্তাদি মন্তিলিভিতে রবিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সময় বিকালে গত মৌসুমে অসাধারণ পারফর্ম করে এবারের চ্যাম্পিয়ন্স লিগে জায়গা করে নেওয়া জিরোনার বিপক্ষে ৪-১ গোলের জয় পেয়েছে বার্সেলোনা।
গত মৌসুমে এই স্টেডিয়ামেই নগর প্রতিদ্বন্দ্বীদের ৪-২ ব্যবধানে হারিয়ে ক্লাবের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলার গৌরব অর্জন করে কোচ মিচেলের শিষ্যরা। ২০২৩ সালের ২৮ জানুয়ারির পর থেকে এই মাঠে জয়বঞ্চিত ছিল বার্সেলোনা। ওই ম্যাচে পেদ্রির একমাত্র গোলে তিন পয়েন্ট সংগ্রহ করেছিল ‘ব্লাউগ্রানা’ খ্যাত দলটি।
তবে আজকে জোড়া গোল করে ম্যাচের নায়ক লামিন ইয়ামাল। এছাড়া একটি করে গোল করেন গত দলবদলের মৌসুমে বার্সায় ফেরা মিডফিল্ডার দানি অলমো এবং চোটের কারণে দীর্ঘদিন পর মাঠে ফেরা পেদ্রি। এছাড়া জিরোনার একমাত্র গোলটি করেন ক্রিস্তিয়ান স্তুয়ানি।
এদিন দ্বিতীয়ার্ধে কিছুটা চ্যালেঞ্জ জানালেও ম্যাচজুড়ে আধিপত্য ধরে রাখে বার্সেলোনা। ম্যাচজুড়ে ১৭টি শট নেয় তারা যার আটটি লক্ষ্যে ছিল। অন্যদিকে, ৯টি শটের পাঁচটি লক্ষ্যে রেখেও একটির বেশি গোল পায়নি স্বাগতিকরা।
আরও পড়ুন: বার্সার দায়িত্ব নিয়ে শিরোপা জিততে বদ্ধপরিকর ফ্লিক
ম্যাচের শুরু থেকেই জিরোনাকে চেপে ধরে বার্সেলোনা। এর ফল তারা পেয়ে যাচ্ছিল প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই।
ষষ্ঠ মিনিটে ক্ষিপ্র আক্রমণে উঠে প্রতিপক্ষের বক্সের মধ্যে একের পর এক পাসের পর জোরালো শট নেন একপ্রকার ফাঁকায় থাকা লামিন ইয়ামাল, কিন্তু ওই শটে জিরোনা গোলরক্ষক পাওলো গাস্সানিগাকে তেমন কোনো পরীক্ষাতেই ফেলতে পারেননি ১৭ বছর বয়সী এই স্ট্রাইকার। ফলে ম্যাচে এগিয়ে যাওয়া থেকে বঞ্চিত হয় বার্সা।
ম্যাচের ষোড়শ মিনিটে কর্নার থেকে আসা ক্রসে হেডারে লক্ষ্যভেদ করার চেষ্টা করেন লেভানডোভস্কি, তবে বল সরাসরি গোলরক্ষকের কাছে চলে যায়। পরের মিনিটে জিরোনার মিগেল গুতিয়েরেসের নিচু শট ঠেকান বার্সা গোলরক্ষক মার্ক আন্দ্রে টের স্টেগেন।
ম্যাচের ২৩তম মিনিটে বাঁ পাশ ধরে এগিয়ে গিয়ে বক্সে ঢুকেই বুলেট গতিতে শট হানেন বার্সা উইং ব্যাক আলেহান্দ্রো (আলেক্স) বালদে, কিন্তু তার সেই শট ক্রসবারের বেশ বাইরে দিয়ে চলে যায়।
তবে ম্যাচের আধঘণ্টা অতিবাহিত হওয়ার পর বার্সেলোনাকে আর আটকে রাখতে পারেনি স্বাগতিকরা।
৩০তম মিনিটে গোলরক্ষকের ছোট পাস ধরে সামনে এগোচ্ছিলেন জিরোনা ডিফেন্ডার দাভিদ লোপেস। বক্সের বাইরে বের হতেই হঠাৎ ছুটে গিয়ে তার কাছ থেকে বল ছিনিয়ে নেন লামিন। এরপর মাঝ বরাবর একটু এগিয়ে গিয়ে জোরালো শটে বল ঠিকানায় পাঠিয়ে দেন তিনি।
২ মাস আগে
প্রায় পুরো ম্যাচ ১০ জনে খেলা স্পেনে বিধ্বস্ত সুইজারল্যান্ড
স্পেন কেন বর্তমানে ইউরোপের সেরা দল, আজ তার সবচেয়ে পরিষ্কার প্রমাণ দেখল বিশ্ব। ম্যাচের ৭০ মিনিটের বেশি সময় দশ খেলোয়াড় নিয়ে খেলে, রক্ষণাত্মক ফুটবল খেলে কোনোমতে প্রতিপক্ষকে ঠেকিয়ে, চকিতে পাওয়া সুযোগগুলো কাজে লাগিয়ে আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলা সুইজারল্যান্ডের ঘরের মাঠ থেকে ৪-১ ব্যবধানের জয় তুলে নিয়েছে তারা।
জেনেভায় নেশন্স লিগের ‘এ’ লিগের চতুর্থ গ্রুপের দ্বিতীয় রাউন্ডের ম্যাচে রবিবার রাতে স্বাগতিক সুইসদের বিপক্ষে বড় জয়ে নকআউটে যাওয়ার পথে ফিরেছে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।
দলের হয়ে মাঝের দুটি গোল করেন মিডফিল্ডার ফাবিয়ান রুইস এবং বাকি গোলদুটি থেকে ম্যাচের প্রথম গোলটি করেন রিয়াল মাদ্রিদ ফরোয়ার্ড হোসেলু এবং শেষেরটি বার্সেলোনা স্ট্রাইকার ফেররান তোরেস। অপরদিকে, সুইসদের একমাত্র গোলটি করেন জেকি আমদুনি।
প্রথম ম্যাচে সার্বিয়ার বিপক্ষে গোলশূন্য ড্রয়ের পর এদিন পুরোনো ধ্বংসাত্মক চেহারায় ফেরে লুইস দে লা ফুয়েন্তের শিষ্যরা। ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণের পর আক্রমণ চালাতে থাকে তারা।
এরই ধারাবাহিকতায় তৃতীয় মিনিটে প্রথম আক্রমণে যায় স্পেন এবং দ্বিতীয় প্রচেষ্টাতেই গোল পেয়ে যায় তারা।
আরও পড়ুন: সার্বিয়ার ‘রক্ষণ দুর্গ’ ভাঙতে ব্যর্থ চ্যাম্পিয়নরা
পাল্টা আক্রমণে উঠে বক্সের ভেতর থেকে শট নিলে হোসেলুর সেই শট ঠেকিয়ে কর্নারে পরিণত করেন ইয়ান জমারের অবসরের কারণে সুইসদের গোলপোস্ট সামলানো গ্রেগর কোবেল। এরপর শর্ট কর্নারের পর ডান দিক থেকে প্রতিপেক্ষর একাধিক ডিফেন্ডারকে ড্রিবল করে ভেতরে ঢুকে গোলমুখে ক্রস দেন লামিন ইয়ামাল। সেখান থেকে হেডারে বল লক্ষ্যে পাঠান হোসেলু। শূন্যে ভাসা অবস্থায় কোবেল বল ক্লিয়ার করলেও ভিএআর রিভিউতে দেখা যায় ততক্ষণে গোললাইন অতিক্রম করেছে বল। ফলে গোল পেয়ে ম্যাচে এগিয়ে যায় স্পেন।
চার মিনিট পরই অবশ্য চমৎকার এক পাল্টা আক্রমণে উঠে সমতায় ফেরে সুইজারল্যান্ড। তবে অফসাইডের কারণে গোলটি বাতিল হয়ে যায়। বাঁ পাশ ধরে উঠে গিয়ে গোলমুখে ক্রস দেন ব্রাইল এম্বলো, কিন্তু বেসির ওমেরাজিক বল জালে পাঠালেও ভিএআর রিভিউতে দেখা যায়, অফসাইড ছিলেন তিনি।
ত্রয়োদশ মিনিটে লামিন ইয়ামালের নৈপুণ্যে ব্যবধান বাড়ায় স্পেন। নিজেদের অর্ধ থেকে প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়কে চ্যালেঞ্জ করে বল কেড়ে নেন ১৭ বছর বয়সী এই প্রতিভাবান তরুণ। এরপর দ্রুতগতিতে বল নিয়ে উঠে গিয়ে বক্সের কিছুটা বাইরে থেকে তারই সঙ্গে দ্রুত গতিতে এগিয়ে আসা নিকো উইলিয়ামসকে পাস বাড়ান লামিন। নিকো সেখান থেকে এক ডিফেন্ডারকে ড্রিবল করে গোলে শট নিলেও তার প্রচেষ্টা ফিরিয়ে দেন কোবেল। কিন্তু ভাগ্য সহায় না থাকলে যা হয়; বল এসে পড়ে ছয় বক্সের বাইরে থাকা ফাবিয়ান রুইসের সামনে। সময় নষ্ট না করে সেখান থেকে জোরালো শটে ঠিকানা খুঁজে নেন এই মিডফিল্ডার।
২ মাস আগে
সার্বিয়ার ‘রক্ষণ দুর্গ’ ভাঙতে ব্যর্থ চ্যাম্পিয়নরা
শুরুর জড়তা কাটিয়ে একের পর এক আক্রমণ চালিয়ে গেল স্পেন, কিন্তু সতর্ক ফুটবলে রক্ষণে দেওয়াল তুলে তার প্রায় সবকটিই রুখে দিল সার্বিয়া। ফলে বড় ধাক্কা খেয়ে নেশন্স লিগ অভিযান শুরু করলে সম্প্রতি ইউরো জিতে আত্মবিশ্বাসের তুঙ্গে থাকা লুইস দে লা ফুয়েন্তের শিষ্যরা।
বৃহস্পতিবার রাতে নেশন্স লিগের শুরু ম্যাচে গত মৌসুমে প্রোমোশন পেয়ে মূল পর্বে আসা সার্বিয়ার বিপক্ষে জয়বঞ্চিত হয়েছে টুর্নামেন্টে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। দেশটির রাজধানী বেলগ্রেডে অনুষ্ঠিত লিগ ‘এ’ এর গ্রুপ-৪ এর ম্যাচটি গোলশূন্য ড্র হয়েছে।
ম্যাচে ৭৪ শতাংশ সময় বলের দখল রেখে মোট ২১ শট নেয় স্পেন, যার পাঁচটি লক্ষ্যে রাখতে পারে তারা। অন্যদিকে সার্বিয়ার আটটি প্রচেষ্টার মাত্র একটি ছিল লক্ষ্যে।
এদিন কিছুটা ধীরগতিতে ম্যাচ শুরু করে স্পেন। বল দখলে রেখে খুবই স্লো ফুটবল খেলতে শুরু করে তারা। অন্যদিকে, সজাগ থেকে স্পেনের আক্রমণে ওঠার মুহূর্তের অপেক্ষা করতে থাকে সার্বিয়া। প্রথম দিকে আক্রমণে উঠলেও সময়ের পরিক্রমায় স্পেন যখন খোলস ছেড়ে বের হতে শুরু করে, তখন দুই ধাপে ৯ জন খেলোয়াড়ের রক্ষণ দুর্গ তৈরি করে তারা। ম্যাচজুড়ে যে কোনোভাবে গোল ঠেকাতে মরিয়া ছিল সার্বিয়া।
আরও পড়ুন: রেকর্ড চতুর্থবার শিরোপা জিতে নবযুগের সূচনা করল স্পেন
অষ্টম মিনিটে ম্যাচের প্রথম সুযোগ পায় সার্বিয়া। নিজেদের বক্স থেকে বল ধরে পাল্টা আক্রমণে উঠে গোলের ভালো সম্ভাবনা তৈরি করে স্বাগতিকরা। তবে শেষ পর্যন্ত স্প্যানিশ রক্ষণে তা প্রতিহত হয়ে যায়।
এরপর দশম ও দ্বাদশ মিনিটেও দুটি আক্রমণে ওঠে সার্বিয়া, তবে ভালো ফিনিশিংয়ের অভাবে সেগুলো আলোর মুখ দেখেনি। এরপর নিজেদের স্বভাবজাত ফুটবলে ফেরে স্পেন।
অষ্টাদশ মিনিটে মুহূর্মুহু আক্রমণে সার্বিয়ার রক্ষণ কাঁপিয়ে দেয় চ্যাম্পিয়নরা। তবে শেষ পর্যন্ত তাদের রুখে দেয় সার্বিয়ার জমাট রক্ষণ।
দুই মিনিট পর আরও দুটি আক্রমণ শানায় স্পেন। তবে দানি কারভাহালের শট পোস্টের উপর দিয়ে বেরিয়ে যায়। এরপর ২৪তম মিনিটে মার্তিন জুবিমেন্দির দুর্বল শট লুফে নেন সার্বিয়ান গোলরক্ষক।
২৮তম মিনিটে পাল্টাপাল্টি দুটি পাল্টা আক্রমণ দেখে সমর্থকরা। দুই দলেরই রক্ষণভাগ এসময় নড়বড়ে হয়ে গেলেও গোল খাওয়া থেকে শেষমেষ বেঁচে যায় দুপক্ষই।
৩২তম মিনিটে গোল পেয়েই যাচ্ছিল স্পেন, তবে ফরোয়ার্ড আয়োসে পেরেসের বুলেট শট ঝাঁপিয়ে ঠেকিয়ে দেন সার্বিয়ান গোলরক্ষক। দুই মিনিট পর প্রায় ফাঁকা গোলপোস্ট পেয়েও সুযোগ কাজে লাগাতে ব্যর্থ হন সার্বিয়ার এসি মিলান স্ট্রাইকার লুকা ইয়োভিচ।
পাল্টা আক্রমণে উঠে দ্রুতগতিতে বল নিয়ে স্পেনের বক্সের সামনে গিয়ে ডিফেন্ডারদের ফাঁকি দিয়ে চকিতে বক্সে ঢোকা ইয়োভিচকে পাস বাড়ান আন্দ্রিয়া জিভকোভিচ। এসময় স্পেনের গোলরক্ষক দাভিদ রায়াও খানিকটা সামনে চলে এসেছিলেন। কিন্তু ডান পাশ থেকে তাড়াহুড়া করতে গিয়ে দূরের পোস্টের বাইরে দিয়ে বল মারেন সাবেক রিয়াল মাদ্রিদ ফরোয়ার্ড ইয়োভিচ। ফলে নিশ্চিত গোলের সুযোগবঞ্চিত হয় সার্বিয়া।
পরের মিনিটে দুই পাশে দুটি জোরালো শটে গোল পাওয়ার চেষ্টা করে দুই দল। তবে কোনো শটই গোল নিয়ে আসতে পারেনি।
বাকি সময়টুকু সার্বিয়াকে চেপে ধরে গোল তুলে নেওয়ার চেষ্টা করে স্পেন, কিন্তু সার্বিয়ার রক্ষণভাগ সতর্কতার সঙ্গে তাদের রুখে দিলে জাল অক্ষত রেখেই বিরতিতে যায় দুই দল।
২ মাস আগে