লামিন ইয়ামাল
লামিনের মাঝে নিজের কৈশোর দেখতে পান মেসি
বাঁ পায়ের জাদু দিয়ে ইতোমধ্যে ফুটবল বিশ্বে নিজের উপস্থিতি জানান দিয়েছেন বার্সেলোনার তরুণ স্প্যানিশ প্রতিভা লামিন ইয়ামাল। অসাধারণ ড্রিবলিং, ডি-বক্সের বাইরে থেকে বাঁকানো শটে গোলের জন্য বেশ আগে থেকে অনেকেই তাকে বার্সেলোনার ইতিহাসের সেরা খেলোয়াড় লিওনেল মেসির সঙ্গে তুলনা করতে শুরু করেছেন। এবার সেই কথায় সমর্থন দিলেন খোদ মেসি।
সম্প্রতি জার্মানিতে ক্রীড়া সামগ্রী নির্মাতা প্রতিষ্ঠান অ্যাডিডাসের সদর দপ্তরে একটি ইভেন্টে মেসির কাছে নতুন প্রজন্মের একজন খেলোয়াড়ের নাম জানতে চাওয়া হয়। সেখানে লামিন ইয়ামালের সম্পর্কে বলতে গিয়ে মেসি জানান, তার মধ্যে নিজের ছোটবেলার ছায়া দেখতে পান তিনি।
‘তরুণ ফুটবলারদের দারুণ একটি প্রজন্ম উঠে এসেছে, যাদের সামনে অনেক বছর পড়ে আছে। যদি কাউকে বেছে নিতে হয়, আর সেটা তার বয়স ও ভবিষ্যত বিবেচনায়, আমি শুনেছি অনেকেই লামিন ইয়ামালকে বেছে নিয়েছে। কোনো সন্দেহ নেই আমিও তা–ই নেব, (এ বিষয়ে) আমি একমত।’
তিনি বলেন, ‘তবে এটি শুধু তার ওপর নয়, আরও অনেক কিছুর ওপর নির্ভর করছে। কারণ, ফুটবল এমনই। কিন্তু সে-ই (ফুটবলের) বর্তমান এবং নিঃসন্দেহে দারুণ ভবিষ্যৎ তার সামনে রয়েছে।’
আরও পড়ুন: বার্সার বিশেষ দিনে নিজের ‘বিশেষ দিন’ কোনটি, জানালেন মেসি
মেসির মতোই লা মাসিয়া ফুটবল অ্যাকাডেমিতে বেড়ে উঠে বার্সেলোনার জার্সিতে পেশাদার ফুটবলে হাতেখড়ি হয়েছে লামিনের। মাত্র ১৫ বছর বয়সে সিনিয়র ফুটবলে নাম লেখানোর পর থেকে যেখানেই খেলছেন, একের পর এক রেকর্ড নিজের নামে করে নিচ্ছেন গত জুলাইতে ১৭ বছরে পা দেওয়া এই উইঙ্গার।
বার্সেলোনার জার্সিতে অভিষেকের দিন ক্লাবটির ইতিহাসের সর্বকনিষ্ঠ (১৫ বছর ২৯০ দিন) ফুটবলার হিসেবে মাঠে নামেন তিনি। এরপর স্পেন জাতীয় দলের হয়ে মাঠে নেমেই দেশটির ইতিহাসের সর্বকনিষ্ঠ ফুটবলারদের অন্যতম বনে যান তিনি। তার চেয়ে কম বয়সে লা রোহাদের জার্সিতে মাঠে নেমেছেন মাত্র চারজন খেলোয়াড়।
গত বছরের অক্টোবরে গ্রানাদার বিপক্ষে প্রথম জালের দেখা পেয়ে লা লিগার ইতিহাসে সবচেয়ে কম বয়সে (১৬ বছর ৮৭ দিন) গোল করার কীর্তি গড়েন এই তরুণ প্রতিভা। এরপর ২০২৪ সালের ইউরো আসরেও চোখধাঁধানো পারফরম্যান্স উপহার দেন বাঁ পায়ের এই প্রতিভাবান ফুটবলার। টুর্নামেন্টের সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে নামার রেকর্ড গড়ার পর স্পেনকে রেকর্ড চতুর্থবার ইউরোপসেরার মুকুট পরাতে রাখেন বড় অবদান। একটি গোল ও চারটি অ্যাসিস্টে টুর্নামেন্টের সেরা উদীয়মান খেলোয়াড়ের পুরস্কার জেতার আগে টুর্নামেন্টটির ইতিহাসের সর্বকনিষ্ঠ গোল ও অ্যাসিস্টদাতার স্বীকৃতি অর্জন করেন তিনি।
এরপর চলতি বছরের ব্যালন দ’র অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েও নতুন ইতিহাস গড়েন লামিন। সেখানে সর্বকনিষ্ঠ ফুটবলার হিসেবে বর্ষসেরা তরুণ ফুটবলারের পুরস্কার কোপা ট্রফি জেতেন তিনি। সব মিলিয়ে এই তরুণ এখন শুধু বার্সেলোনারই নন, বিশ্ব ফুটবলের অন্যতম সেরা খেলোয়াড়ের স্বীকৃতি পাচ্ছেন।
তবে লিওনেল মেসির সঙ্গে নিজের তুলনা শুনতে ভালো লাগলেও আর্জেন্টাইন মায়েস্ত্রোর পর্যায়ে পৌঁছানো সম্ভব নয় বলে মত তার।
সম্প্রতি একটি স্প্যানিশ টিভি চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে লামিন বলেন, ‘আমাকে ফুটবল ইতিহাসের সেরা খেলোয়াড়ের সঙ্গে তুলনা করা হয়, বিষয়টি মন্দ লাগে না। তবে মেসির পর্যায়ে পৌঁছানো অসম্ভব।’
আরও পড়ুন: লিওনেল মেসির পর্যায়ে পৌঁছানো অসম্ভব: ইয়ামাল
৫ দিন আগে
দ্বিতীয়ার্ধের চরম নাটকীয়তা শেষে ডর্টমুন্ড বধ বার্সেলোনার
বার্সেলোনা-ডর্টমুন্ড ম্যাচ মানেই যেন সুন্দর ফুটবল, আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণ পসরা ও গোলের উচ্ছ্বাসের সমন্বয়ে জমজমাট এক লড়াই। এবারও তার ব্যতিক্রম হলো না। তবে উপভোগ্য ফুটবল উপহার দিয়েও নিয়তি মেনে শেষ পর্যন্ত ব্যথার মালা গলায় পরতে হয়েছে কালো-হলুদ জার্সিধারীদেরই।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগে বার্সেলোনা ও ডর্টমুন্ডের মুখোমুখি হওয়া সাম্প্রতিক মৌসুমগুলোতে নিয়মিত ঘটনা হয়ে গেছে। এরই ধারাবাহিকতায় জিগনাল ইদুনা পার্কে স্বাগকিতদের ৩-২ গোলে হারিয়েছে কাতালান জায়ান্টরা।
ম্যাচের নাটক, উত্তেজনা, উল্লাস- সবই হয়েছে দ্বিতীয়ার্ধে। তাই বলে প্রথমার্ধ যে ম্যাড়মেড়ে ছিল, মোটেও তা নয়।
এদিন ম্যাচের তৃতীয় মিনিটেই পরপর দুটি দারুণ সুযোগ পায় বার্সেলোনা। তবে ফিনিশিংয়ের অভাবে সুযোগগুলো মাঠে মারা যায়।
আক্রমণ-প্রতি আক্রমণে ম্যাচ এগিয়ে যাওয়ার মাঝে ত্রয়োদশ মিনিটে ফের আরেকটি সুযোগ তৈরি করে কাতালানরা। পাল্টা আক্রমণে উঠে বিপরীত পাশ ধরে অনেকটা ফাঁকায় এগোতে থাকা রাফিনিয়ার উদ্দেশে পায়ের পাতা দিয়ে বাঁকানো সিগনেচার পাস দেন লামিন ইয়ামাল। তবে সেবারও ফিনিংশের অভাবে সুযোগ হারায় দলটি।
চার মিনিট পর গোল করতে পারতেন মার্সেল জাবিৎসার, তবে সতীর্থের পাসে গতি থাকায় সুবিধা করতে পারেননি ডর্টমুন্ডের এই অস্ট্রিয়ান মিডফিল্ডার।
ম্যাচের শুরুতে বার্সাকে চেপে ধরার চেষ্টা করলেও সময় অতিবাহিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় হান্সি ফ্লিকের শিষ্যরা। আর তটস্থ হয়ে তাদের স্পেস কমিয়ে দিতে এবং সুযোগ পেলেই ক্ষিপ্র গতিতে আক্রমণে ওঠার চেষ্টায় থাকে নুরি সাহিনের শিষ্যরা।
ভুগতে ভুগতে ৪০তম মিনিটের শুরুতে দারুণ একটি আক্রমণে উঠে গোল পেয়েই গিয়েছিল ডর্টমুন্ড, কিন্তু সতীর্থের কাছ থেকে আসা উড়ন্ত ক্রসে মাথা লাগিয়েও ইনিয়াকি পেনিয়াকে পরাস্ত করতে ব্যর্থ হন সেরহু গিরাসি।
প্রথমার্ধে বলের ওপর একক আধিপত্য ধরে রাখলেও আক্রমণে খানিকটা নিষ্প্রভ ছিল বার্সা। ফলে গোলের উদ্দেশ্যে ৮টি শট নিয়ে তার তিনটি লক্ষ্যে রেখেও কাজের কাজ করতে ব্যর্থ হয় তারা।
অপরদিকে, প্রায় পুরোটা সময়জুড়ে রক্ষণ সামলানো ডর্টমুন্ড মাঝেমধ্যে দুয়েকটি সুযোগ তৈরি করলেও বার্সার অফসাইড ফাঁদ কিংবা ডিফেন্ডারদের নৈপুণ্যে বারবারই হতাশ হয়। ফলে স্কোরলাইনে কোনো পরিবর্তন না আনতে পেরেই বিরতিতে যায় দুদল।
১ সপ্তাহ আগে
এক ম্যাচ পর ফের বার্সেলোনার হোঁচট
লা লিগায় টানা তিন ম্যাচ অপরাজিত থেকে শীর্ষস্থান নড়বড়ে করার পর মায়োর্কার বিপক্ষে বড় জয় পেয়েছিল বার্সেলোনা। তবে পরের ম্যাচেই রিয়াল বেতিসের মাঠে গিয়ে পয়েন্ট খুইয়েছে কাতালান জায়ান্টরা।
শনিবার বেনিতো ভিয়ামারিন স্টেডিয়ামে লা লিগায় নিজেদের ১৭তম ম্যাচটি রিয়াল বেতিসের সঙ্গে ২-২ গোলে ড্র করেছে বার্সেলোনা।
প্রথমার্ধে ৩৯তম মিনিটে লেভানডোভস্কির গোলে এগিয়ে থাকার পর দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নেমেই লিড হারায় বার্সেলোনা। ম্যাচের ৬৮তম মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল আদায় করে স্বাগতিকদের সমতায় ফেরান জিওভানি লো সেলসো। এরপর ম্যাচের ৮২তম মিনিটে ফেররান তোরেসের গোলে বার্সেলোনা এগিয়ে গেলেও অতিরিক্ত যোগ করা সময়ে ফের ম্যাচে সমতা টানেন বেতিসের বদলি নামা ফরোয়ার্ড আসানে দিয়াও।
এদিন ম্যাচের শুরু থেকেই মুহুর্মুহু আক্রমণে বার্সার রক্ষণে কাঁপুনি ধরিয়ে দেয় বেতিস। এর মধ্যে ম্যাচের প্রথম দুই মিনিটেই গোল করার দুটি দারুণ সুযোগ তৈরি করে তারা। তবে বার্সার রক্ষণভাগ ও গোলরক্ষকের কল্যাণে শুরুতেই পিছিয়ে পড়া থেকে বেঁচে যায় সফরকারীরা।
শুরু ধাক্কা সামলে দ্রুতই খোলস ছেড়ে বেরিয়ে ছন্দে ফেরে বার্সেলোনা। আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে ম্যাচের ৩৯তম মিনিটে গোলের খাতাও খোলে তারা।ডান দিকে দিয়ে আক্রমণে উঠে লামিন, পেদ্রির পা ঘুরে বল আসে এগোতে থাকা জুল কুন্দের কাছে। তিনি খানিকটা এগিয়ে গিয়ে গোলমুখে সতীর্থের উদ্দেশে ক্রস দেন, আলতো টোকায় তার নিচু ক্রস থেকে ঠিকানা খুঁজে নেন রবের্ট লেভানডোভস্কি।
এর ফলে লা লিগায় ১৬ ম্যাচে তার গোলসংখ্যা বেড়ে হলো ১৬টি। এছাড়া সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ২১ ম্যাচে ২৩ গোল করলেন এই পোলিশ স্ট্রাইকার। শুধু তা-ই নয়, ২০১৮/১৯ মৌসুমে লিওনেল মেসির পর লা লিগায় এই প্রথম কোনো খেলোয়াড় মৌসুমের প্রথম ১৬ ম্যাচে ১৬ বা তার বেশি গোল করলেন। চলতি মৌসুমে রিয়াল মাদ্রিদের দুই তারকা ফরোয়ার্ড ভিনিসিউস জুনিয়র ও কিলিয়ান এমবাপ্পে যৌথভাবে গোল করেছেন ১৬টি।
১ সপ্তাহ আগে
এবার রিয়ালের মাঠেই বর্ণবিদ্বেষের শিকার বার্সার তিন খেলোয়াড়
প্রতিপক্ষের সমর্থকদের কাছ থেকে বর্ণবাদী স্লোগান শুনতে শুনতে জেরবার রিয়াল মাদ্রিদের ব্রাজিলীয় ফরোয়ার্ড ভিনিসিউস জুনিয়র। এ নিয়ে অভিযোগের শেষ নেই তার; এমনকি রিয়ালের সমর্থকরাও ভিনিসিউসের পক্ষ নিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঘৃণ্য এ আচরণের সমালোচনায় মুখর থাকেন। এবার সান্তিয়াগো বের্নাবেউতে সেই রিয়াল সমর্থকদের কাছেই বর্ণবিদ্বেষের শিকার হয়েছেন বার্সেলোনার তিন খেলোয়াড়।
ঘটনাটি ঘটে শনিবার রাতে এল ক্লাসিকো চলাকালে। ৪-০ গোলে বার্সার কাছে বিধ্বস্ত হওয়ার ওই রাতে ম্যাচের ৭৭তম মিনিটে রাফিনিয়ার অ্যাসিস্টে তৃতীয় গোলটি করেন বার্সেলোনার ১৭ বছর বয়সী প্রতিভাবান উইঙ্গার লামিন ইয়ামাল।
এল ক্লাসিকোতে সর্বকনিষ্ঠ ফুটবলার হিসেবে গোলের রেকর্ড করে মাঠেই উদযাপন শুরু করেন তিনি। এ সময় গ্যালারি থেকে তার উদ্দেশে বর্ণবাদী স্লোগান দিতে শুরু করে রিয়ালের কিছু সমর্থক। এমনকি ম্যাচের শেষ দিকে যখন রাফিনিয়ার সঙ্গে কর্নার কিক নিতে যান লামিন, তখন উচ্ছৃঙ্খল সমর্থকরা আরও বেপরোয়া হয়ে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকেন।
ম্যাচের পর স্পেনের ক্রীড়াবিষয়ক সংবাদমাধ্যম রেলেভো জানায়, শুধু লামিন নন; আনসু ফাতি ও আলেহান্দ্রো বালদেও গ্যালারি থেকে বর্ণবিদ্বেষের শিকার হয়েছেন।
এ ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে গোটা স্প্যানিশ প্রশাসন। সমর্থকদের এমন আচরণে লজ্জা প্রকাশ করে এ ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ।
এছাড়া এ ঘটনার পেছনের কারিগরদের চিহ্নিত করতে ইতোমধ্যে তদন্ত শুরু করা হয়েছে বলে ক্লাবটির পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বর্ণবাদ পরিস্থিতির উন্নতি না হলে স্পেনে বিশ্বকাপ চান না ভিনিসিউস
এ ঘটনার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে লা লিগা কর্তৃপক্ষও তাদের কার্যক্রম শুরু করেছে। স্পেনের বর্ণবাদবিরোধী সংস্থার কাছে অভিযোগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা।
লা লিগা তাদের বিবৃতিতে বলেছে, ‘বার্সেলোনার খেলোয়াড়দের উদ্দেশে ওঠা বর্ণবাদী স্লোগান নিয়ে স্পেনের জাতীয় পুলিশের হেট ক্রাইম ইউনিটে অভিযোগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে লা লিগা। পাশাপাশি স্টেট অ্যাটর্নি জেনারেলের অফিসের হেট ক্রাইমস অ্যান্ড ডিসক্রিমিনেশন ইউনিটের সমন্বয়কারী প্রসিকিউটরকেও এ বিষয়ে অবহিত করা হবে।’
‘লা লিগা সান্তিয়াগো বের্নাবেউয়ের ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে এবং স্টেডিয়ামের ভেতরে ও বাইরে যেকোনো ধরনের বর্ণবাদী আচরণ ও ঘৃণা দূর করতে নিজেদের অঙ্গীকারে অটল রয়েছে।’
১ মাস আগে
হেরে বার্সেলোনার রেকর্ড ভাঙার স্বপ্ন ধূলিসাৎ রিয়ালের
সান্তিয়াগো বের্নাবেউয়ে খেলা শুরুর পর থেকে প্রায় ৭৮ হাজার রিয়াল মাদ্রিদ সমর্থকের যে বিশাল গর্জনে বুক কেঁপে কেঁপে উঠছিল বার্সেলোনার তরুণ খেলোয়াড়দের, দ্বিতীয়ার্ধের কিছুক্ষণ পর থেকে সেই উল্লাস কোথায় যেন মিলিয়ে গেল, আর এক কোনায় থাকা মাত্র ৪০০ ব্লাউগ্রানা সমর্থকের চিৎকার ছাপিয়ে গেল গোটা গ্যালারির স্তব্ধতা। বার্সেলোনাকে আরও একবার হারিয়ে, কিংবা অন্তত হার এড়িয়ে বার্সারই টানা জয়ের রেকর্ড ভাঙার যে স্বপ্ন নিয়ে মাঠে নেমেছিলেন ভিনিসিউস-এমবাপ্পে-বেলিংহ্যামরা, ম্যাচ শেষ হওয়ার আগেই সেই স্বপ্ন ভেঙে খান খান হয়ে গেল।
সান্তিয়াগো বের্নাবেউতে লা লিগায় মৌসুমের প্রথম এল ক্লাসিকোতে রিয়ালের মাঠেই বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের ৪-০ গোলে বিধ্বস্ত করেছে হান্সি ফ্লিকের ছোঁয়ায় বদলে যাওয়া বার্সেলোনা।
২০২২ সালের ২০ মার্চের পর ঘরের মাঠে এটিই রিয়ালের সবচেয়ে বড় হার। ওই ম্যাচটিও তারা হেরেছিল বার্সেলোনার কাছেই, একই ব্যবধানে।
এছাড়া সব মিলিয়ে টানা চার ম্যাচ জেতার পর এদিন বার্সার কাছে হারল রিয়াল মাদ্রিদ। ২০২৩ সালের ২৯ জুলাই সর্বশেষ রিয়ালকে ৩-০ গোলে হারিয়েছিল শাভি এরনান্দেসের শিষ্যরা।
আরও পড়ুন: সেভিয়াকে বিধ্বস্ত করে এল ক্লাসিকোর প্রস্তুতি সারল বার্সেলোনা
চলতি মৌসুমে ভালো শুরু না পেলেও নানাভাবে হার এড়িয়ে লা লিগায় টানা ৪২ ম্যাচ অপরাজিত ছিল রিয়াল মাদ্রিদ। সর্বশেষ ম্যাচে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের বিপক্ষে দুই গোলে পিছিয়ে পড়েও দুর্দান্তভাবে ঘরে দাঁড়িয়ে ৫-২ গোলে জিতে দারুণভাবে এল ক্লাসিকোর প্রস্তুতিও সারে কার্লো আনচেলত্তির দল। তবে ক্লাসিকোতে বড় হারে সব প্রস্তুতি ধূলায় মিশে গেছে দলটির। অন্যদিকে, রিয়ালকে হারিয়ে নিজেদের রেকর্ড অক্ষত রেখেছে বার্সেলোনা।
এই ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে এসে ভিনিসিউস-এমবাপ্পের মতো ক্ষিপ্র গতির খেলোয়াড়দের আটকানোর কৌশল বাতলে দিয়েছিলেন বার্সা বস ফ্লিক। সেই কৌশল অবলম্বন করেই রিয়ালের বিষদাঁত বের করতে দেননি এই জার্মান।
ম্যাচে শুধু এমবাপ্পেই ৮ বার বার্সার অফসাইডের ফাঁদে পড়েছেন। ফরাসি এই স্ট্রাইকারের নৈপুণ্যে ম্যাচের ৩০তম মিনিটে এগিয়েও গিয়েছিল রিয়াল, তবে অফসাইডে কাটা পড়ে তার গোলটি।
আরও পড়ুন: রিয়ালের অগ্নিঝরা ফুটবলে পুড়ে ছাই ডর্টমুন্ড
প্রথমার্ধে মাঠে তেমনভাবে প্রভাব বিস্তার করতে না পারলেও দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই নিজেদের জাত চেনাতে শুরু করে রিয়ালের খেলোয়াড়রা। তবে বলের দখল, গতি নিয়ন্ত্রণ, রক্ষণ, কাউন্টার প্রেসিং ও ফিনিশিংয়ে তাদের চেয়ে পরিষ্কারভাবে এগিয়ে ছিল বার্সেলোনার খেলোয়াড়রা; আর এর ফলও পেয়েছে তারা।
১ মাস আগে
রাফিনিয়ার হ্যাটট্রিকে ৯ বছর পর বায়ার্নকে হারাল বার্সেলোনা
২০১৫ সালে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ের পথে সবশেষ বায়ার্ন মিউনিখকে হারিয়েছিল বার্সেলোনা। তারপর থেকে এই বায়ার্নই হয়ে ছিল দলটির কাছে এক আতঙ্কের নাম। পরে যতবার দেখা হয়েছে, বড় ব্যবধানে বার্সাকে হারিয়ে জয়োল্লাস করেছে বাভারিয়ানরা। তবে ৯ বছর পর দুর্দান্তভাবে জিতে সেইসব ক্ষতে প্রলেপ দিয়েছে হান্সি ফ্লিকের শিষ্যরা।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের তৃতীয় রাউন্ডের ম্যাচে বুধবার রাতে অলিম্পিক স্টেডিয়ামে বায়ার্ন মিউনিখকে ৪-১ ব্যবধানে হারিয়েছে হান্সি ফ্লিকের ছোঁয়ায় বদলে যাওয়া বার্সেলোনা।
এদিন রাফিনিয়ার হ্যাটট্রিকের পাশাপাশি অন্য গোলটি করেন রবের্ট লেভানডোভস্কি। আর বায়ার্নের একমাত্র গোলটি আসে হ্যারি কেইনের পা থেকে।
ইউরোপ সেরার এ প্রতিযোগিতায় বায়ার্নের বিপক্ষে টানা ছয় ম্যাচ হারের পর জয়ের মুখ দেখল বার্সেলোনা। তাদের সবশেষ জয়টি ছিল প্রায় সাড়ে ৯ বছর আগে; ২০১৫ সালের মে মাসে কাম্প নউয়ে সেমিফাইনালের প্রথম লেগে নেইমারের একটি ও লিওনেল মেসির জোড়া গোলে ৩-০ ব্যবধানে জিতেছিল কাতালানরা।
আরও পড়ুন: সেভিয়াকে বিধ্বস্ত করে এল ক্লাসিকোর প্রস্তুতি সারল বার্সেলোনা
চ্যাম্পিয়ন্স লিগে সব মিলিয়ে বায়ার্নের সঙ্গে ১৪ বারের দেখায় বার্সেলোনার মাত্র তৃতীয় জয় এটি; এছাড়া একটি ম্যাচ ড্র এবং হেরেছে ১০টি।
ম্যাচের তখনও এক মিনিট পার হয়নি, এর আগেই গোল করে বার্সেলোনাকে এগিয়ে নেন রাফিনিয়া।
মাঝমাঠ থেকে ফের্মিন লোপেসের বাড়ানো বল ধরে বায়ার্নের হাই লাইন ডিফেন্স ভেঙে এগিয়ে যান রাফিনিয়া। এরপর ম্যাচের ৫৭তম সেকেন্ডে মানুয়েল নয়ারকে পরাস্ত করেন তিনি।
১ মাস আগে
ইয়াং বয়েজের বিপক্ষে বার্সেলোনার দাপুটে জয়
প্রথম ম্যাচে মোনাকোর বিপক্ষে নিজেদের ছায়া হয়ে থাকলেও দ্বিতীয় ম্যাচেই খোলস ছেড়ে বেরিয়ে এল বার্সেলোনা। আর নিজেদের স্বভাবজাত ফুটবল খেলে ইয়াং বয়েজকে উড়িয়ে দিয়ে দারুণভাবে ঘুরে দাাঁড়াল দলটি।
অলিম্পিক স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার রাতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের দ্বিতীয় রাউন্ডের ম্যাচে সুইস ক্লাবটিকে ৫-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে হান্সি ফ্লিকের শিষ্যরা।
এদিন জোড়া গোল করেন হান্সি ফ্লিকের তত্ত্বাবধায়নে চলতি মৌসুমে উড়তে থাকা রবের্ট লেভানডোভস্কি। বাকি দুটি গোল করেন রাফিনিয়া ও ইনিগো মার্তিনেস এবং আত্মঘাতী গোল হিসেবে আসে পঞ্চম গোলটি।
ম্যাচজুড়ে বল দখলের লড়াই দাপট দেখায় বার্সেলোনা। ৭০ শতাংশ সময় বল নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রেখে মোট ২০টি শট নেয় তারা, যার আটটি লক্ষ্যে ছিল। অন্যদিকে, ম্যাচজুড়ে মোট পাঁচটি শট একটি লক্ষ্যে রাখতে সমর্থ হয় ইয়াং বয়েজ, ওই শটটি থেকে গোল পেলেও অফসাইডে তা বাতিল হয়ে যায়।
আরও পড়ুন: শুরুতেই লাল কার্ড, হেরে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শুরু বার্সেলোনার
তুলনামূলক দুর্বল দল পেয়ে ম্যাচের শুরুতেই ইয়াং বয়েজকে চেপে ধরে বার্সেলোনা। চতুর্থ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া শটে গোল খোঁজেন লামিন ইয়ামাল, কিন্তু শটে জোর না থাকায় সহজেই বল তালুবন্দি করেন ইয়াং বয়েজ গোলরক্ষক মারভিন কেলার।
এরপর অষ্টম মিনিটে অসাধারণ দলীয় ফুটবল প্রদর্শন শেষে গোলের খাতা খোলে বার্সেলোনা। ডান পাশ থেকে গোলমুখে রাফিনিয়ার বাড়ানো নিচু ক্রস থেকে প্রথম ছোঁয়াতেই লক্ষ্যভেদ করেন রবের্ট লেভানডোভস্কি।
গোল খেয়ে আরও রক্ষণাত্মক খেলা শুরু করে ইয়াং বয়েজ। ফলে তাদের দুই স্তরের জমাট রক্ষণ ভেদ করতে যথেষ্ট বেগ পেতে হচ্ছিল কাতালানদের।
২ মাস আগে
উড়তে থাকা বার্সেলোনাকে মাটিতে নামাল ওসাসুনা
একের পর এক দুর্দান্ত জয়ে লা লিগায় উড়ে চলেছিল হান্সি ফ্লিকের বার্সেলানা। এবার সেই উড়তে থাকা দলটিকে মাটিতে নামাল ওসাসুনা।
লা লিগার অষ্টম রাউন্ডের ম্যাচে ওসাসুনার এল সাদার স্টেডিয়ামে বার্সেলোনাকে ৪-২ গোলে হারিয়েছে স্বাগতিকরা।
এর ফলে লিগে সাত ম্যাচ পর বার্সেলোনা প্রথম হারের মুখ দেখেছে। অন্যদিকে, চলতি মৌসুমে ঘরের মাঠে নিজেদের অপজেয় যাত্রা আরও একটু লম্বা করেছে ওসাসুনা (তিন জয়, এক ড্র)।
শুধু তা-ই নয়, লিগে এক যুগ পর নিজেদের মাঠে বার্সেলোনার বিপক্ষে জয় পেল ওসাসুনা। সর্বশেষ ২০১২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ঘরের মাঠে কাতালানদের হারিয়েছিল দলটি।
চোটজর্জর দল নিয়ে ভুগতে থাকায় এদিন বেশকিছু পরিবর্তন নিয়ে একাদশ সাজিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে চেয়েছিলেন বার্সা বস ফ্লিক। তবে ওসাসুনার শারীরিকভাবে সামর্থ্যবান ফুটবলারদের সামনে সেই পরীক্ষায় চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: বার্সেলোনা ও সমর্থকদের উয়েফার শাস্তি
এদিন ওসাসুনার হয়ে জোড়া গোল করে ম্যাচসেরা হয়েছেন দলটির ফরোয়ার্ড আন্তে বুদিমির। এছাড়া দুই অর্ধে দুটি গোল করেন যথাক্রমে উইঙ্গার ব্রায়ান সারাগোসা এবং আবেল ব্রেতোনেস।
বার্সেলোনার গোলদুটি করেন পাউ ভিক্তর ও লামিন ইয়ামাল।
এদিন গত ম্যাচের একাদশের চার খেলোয়াড়কে বিশ্রাম দিয়ে নতুন একাদশ সাজান হান্সি ফ্লিক। রক্ষণভাগে লেফট ব্যাক আলেক্স বালদের পরিবর্তে ক্লাবটির ‘বি’ টিমের খেলোয়াড় জেরার্দ মার্তিন এবং সেন্টার ব্যাক ইনিগো মার্তিনেসের পরিবর্তে আরেক তরুণ সের্জি দমিঙ্গেসকে সুযোগ দেন তিনি। এছাড়া আক্রমণ ভাগের কার্যকর দুই উইঙ্গার রাফিনিয়া ও লামিন ইয়ামালকে বেঞ্চে বসিয়ে তাদের পরিবর্তে যথাক্রমে পাউ ভিক্তর ও ফেররান তোরেস দিয়ে ম্যাচ শুরু করান এই জার্মান কোচ।
মাঠে নামার পর থেকেই খেলায় দক্ষতার অভাব স্পষ্ট হয়ে ওঠে বার্সেলোনার। আর তা দেখে গোল পেতে শুরু থেকেই মরিয়া হয়ে ওঠে ওসাসুনা।
ম্যাচের পঞ্চদশ মিনিটে ডান পাশ দিয়ে দুর্দান্ত এক আক্রমণে উঠে বার্সেলোনার বক্সের সামান্য বাইরে থেকে কাছের পোস্টে বুলেট শট নেন উইং ব্যাক হেসুস আরেসো। তবে শটটি লক্ষ্যে রাখতে ব্যর্থ হন তিনি।
এর তিন মিনিট পরই গোল পেয়ে যায় ওসাসুনা। বাঁ পাশ ধরে আক্রমণে উঠে কর্নার স্পটের কাছ থেকে গোলমুখে ক্রস বাড়ান উইঙ্গার ব্রায়ান সারাগোসা। তা থেকে হেডারে ঠিকানা খুঁজে নেন আন্তে বুদিমির।
২ মাস আগে
বড় জয়ে অপরাজেয় যাত্রা অব্যাহত বার্সেলোনার
চ্যাম্পিয়ন্স লিগে হতাশাজনক পারফরম্যান্সের পর লিগ ম্যাচে ফের জ্বলে উঠল বার্সেলোনা। হারের হতাশা ভুলে ভিয়ারিয়ালের মাঠ থেকে বড় জয় নিয়ে ফিরল হান্সি ফ্লিকের দল।
এস্তাদিও দে লা সিরামিকায় স্থানীয় সময় রবিবার রাতে ভিয়ারিয়ালের বিপক্ষে ৫-১ ব্যবধানে জিতেছে বার্সেলোনা।
প্রথমার্ধে রবের্ট লেভানডোভস্কি জোড়া গোল করে দলকে এগিয়ে নিলে বিরতির পরই ব্যবধান বাড়ান চলতি মৌসুমে প্রথমবার শুরুর একাদশে জায়গা পাওয়া বার্সেলোনা মিডফিল্ডার পাবলো তোরে। এরপর আরও দুই গোল করে দলের জয় নিশ্চিত করেন পুরো ম্যাচজুড়ে আলো ছড়ানো রাফিনিয়া। অন্যদিকে, প্রথমার্থে ভিয়ারিয়ালের একমাত্র গোলটি করেন আয়োসে পেরেস।
অবশ্য হ্যাটট্রিক করতে পারতেন লেভানডোভস্কি, তবে পেনাল্টি মিস করায় সে গৌরব থেকে বঞ্চিত হয়েছেন এই পোলিশ তারকা। দুই গোলে লা লিগায় ৬ ম্যাচে ৬ গোল ও দুটি অ্যাসিস্ট হলো তার। এছাড়া পাঁচ গোল করে লিগের সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে উঠেছেন রাফিনিয়া।
আরও পড়ুন: শুরুতেই লাল কার্ড, হেরে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শুরু বার্সেলোনার
এই দুজনের পাশাপাশি লামিন ইয়ামালের কথা উল্লেখ না করলেই নয়; চলতি মৌসুমে সব মিলিয়ে ৭ ম্যাচ খেলে প্রতি ম্যাচে অন্তত একটি গোলে অবদান রেখেছেন ১৭ বছরে পা দেওয়া এই স্প্যানিশ তরুণ। গোল-অ্যাসিস্ট মিলিয়ে (লেভানডোভস্কির সমান আটটি) সর্বোচ্চ অবস্থানে রয়েছেন তিনি। লিগে এখন পর্যন্ত তিন গোলের পাশাপাশি পাঁচটি অ্যাসিস্ট করেছেন তিনি।
স্কোরলাইন দেখে ম্যাচটি একপেশে মনে হলেও পুরো ম্যাচজুড়ে এক মুহূর্তের জন্যেও বার্সেলোনাকে ছেড়ে কথা বলেনি ভিয়ারিয়াল। বার্সা একবার আক্রমণে উঠলে পরমুহূর্তে আক্রমণে উঠেছে মার্সেলিনোর শিষ্যরা। তবে অফসাইড আর ভাগ্যের ফেরে বল পোস্টে লাগায় বেশ কয়েকটি গোলবঞ্চিত হয়েছে তারা।
ম্যাচজুড়ে বার্সেলোনার ১৬টি শটের বিপরীতে ১৪টি শট নেয় ভিয়ারিয়াল। তবে শট লক্ষ্যে রাখার ক্ষেত্রে ভিয়ারিয়ালকে পেছনে ফেলেছে বার্সেলোনা; তাদের ১০ শট লক্ষ্যে থাকলেও মাত্র চারটি শট গোলমুখে রাখতে পারে ভিয়ারিয়াল।
শুক্রবার রাতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচে বড় ভুলের পর ম্যাচ হারায় টের স্টেগেনকে অনেকে কাঠগড়ায় তুললেও এ ম্যাচের শুরু থেকেই চমক দেখাতে থাকেন এই গোলরক্ষক। তবে প্রথমার্ধের খেলা শেষ হওয়ার কিছুক্ষণ আগে দলকে নিশ্চিত গোল খাওয়া থেকে বাঁচাতে গিয়ে চোট পান তিনি। মাঠে প্রাথমিক চিকিৎসা দিলে সুস্থ না হওয়ায় পরে স্ট্রেচারে শুয়ে তাকে মাঠ ছাড়তে হয়।
২ মাস আগে
শুরুতেই লাল কার্ড, হেরে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শুরু বার্সেলোনার
হান্সি ফ্লিকের তত্ত্বাবধায়নে একের পর এক ম্যাচ জিতে উড়ছিল কাতালান জায়ান্ট বার্সেলোনা। তবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের প্রথম ম্যাচেই তাদের মাটিতে নামাল ফরাসি লিগের ক্লাব মোনাকো।
মোনাকোর স্তাদ দ্বিতীয় লুইস স্টেডিয়ামে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের প্রথম রাউন্ডের ম্যাচে বৃহস্পতিবার রাতে দশজনের বার্সেলোনাকে ২-১ গোল হারিয়েছে স্বাগতিকরা।
এর ফলে চলতি মৌসুমে লিগে টানা পাঁচ জয়ের পর প্রথম হারের স্বাদ পেল কাতালুনিয়ার দলটি। সেইসঙ্গে থামল হান্সি ফ্লিকের অপরাজেয় বার্সেলোনা যাত্রা।
ম্যাচের দশম মিনিটে গোলরক্ষক মার্ক আন্দ্রে টের স্টেগেনের ভুলে পেশাদার ফাউল করে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন বার্সার মিডফিল্ডার হিসেবে মাঠে নামা ডিফেন্ডার এরিক গার্সিয়া। এর ৬ মিনিট পর দারুণ এক গোলে মোনাকোকে এগিয়ে নেন দলটির জাপানি মিডফিল্ডার তাকুমি মিনামিনো। এরপর ২৮ তম মিনিটে আরও অসাধারণ গোল করে বার্সেলোনাকে সমতায় ফেরান লামিন ইয়ামাল। এরপর দ্বিতীয়ার্ধে ৭১তম মিনিটে দলের জয়সূচক গোলটি করেন মোনাকোর নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড জর্জ ইলেনিকিয়েনা।
আরও পড়ুন: রিয়াল মাদ্রিদের মাঠে লড়াই করেও হারল স্টুটগার্ট
ম্যাচের শুরুতেই একজন খেলোয়াড় কমে যাওয়ায় পুরো ম্যাচজুড়েই আত্মবিশ্বাসের অভাব লক্ষ করা গেছে বার্সেলোনার ফুটবলারদের মধ্যে। সমতাসূচক গোলটি করার পর থেকে অবশ্য তারা জয়ের জন্যই খেলে যাচ্ছিল, তবে নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ার ত্রিশ মিনিট আগে দ্বিতীয় গোলটি হজম করে আর ম্যাচে ফেরা হয়নি হান্সি ফ্লিকের শিষ্যদের।
এদিন সাবধানি শুরুর কারণে ধীগিতিতে খেলতে থাকে দুদল। তবে প্রথম গোলে শট নেয় মোনাকো। আক্রমণে উঠে বাঁ পাশ ধরে বক্সের মধ্যে ঢুকে নিচু শট নেন দলটির উইঙ্গার এলিস বেন সেগির। তবে বার্সেলোনার এক ডিফেন্ডারের পায়ে লেগে শটটি গতি হারালে সহজেই বল লুফে নেন টের স্টেগেন।
এর কিছুক্ষক্ষণ পরই বার্সেলোনার জন্য আসে দুঃসংবাদ। এরিক গার্সিয়া লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়লে শুরুতেই দশজনের দলে পরিণত হয় পান্সি ফ্লিকের দল।
বল রিসিভ করে তিনজনকে পাস দেওয়ার সুযোগ ছিল টের স্টেগেনের কাছে; ডান পাশে ইনিগো মার্তিনেস ও বাঁ পাশে আলেক্স বালদে ফাঁকা ছিলেন, কিন্তু মাঝখানে প্রতিপক্ষ ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলা এরিক গার্সিয়াকে পাস দেন এই গোলরক্ষক। ফলে বল বাড়ানো দেখেই গার্সিয়ে পেছন থেকে চ্যালেঞ্জ করে বল কেড়ে নেন মিনামিনো। তিনি বক্সে ঢুকতে গেলে গোল খাওয়া থেকে বাঁচতে ফাউল করার বিকল্প ছিল না গার্সিয়ার সামনে। ফলে সরাসরি লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হয় তার।
২ মাস আগে