আতলেতিকো মাদ্রিদ
এক ম্যাচ পর ফের বার্সেলোনার হোঁচট
লা লিগায় টানা তিন ম্যাচ অপরাজিত থেকে শীর্ষস্থান নড়বড়ে করার পর মায়োর্কার বিপক্ষে বড় জয় পেয়েছিল বার্সেলোনা। তবে পরের ম্যাচেই রিয়াল বেতিসের মাঠে গিয়ে পয়েন্ট খুইয়েছে কাতালান জায়ান্টরা।
শনিবার বেনিতো ভিয়ামারিন স্টেডিয়ামে লা লিগায় নিজেদের ১৭তম ম্যাচটি রিয়াল বেতিসের সঙ্গে ২-২ গোলে ড্র করেছে বার্সেলোনা।
প্রথমার্ধে ৩৯তম মিনিটে লেভানডোভস্কির গোলে এগিয়ে থাকার পর দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নেমেই লিড হারায় বার্সেলোনা। ম্যাচের ৬৮তম মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল আদায় করে স্বাগতিকদের সমতায় ফেরান জিওভানি লো সেলসো। এরপর ম্যাচের ৮২তম মিনিটে ফেররান তোরেসের গোলে বার্সেলোনা এগিয়ে গেলেও অতিরিক্ত যোগ করা সময়ে ফের ম্যাচে সমতা টানেন বেতিসের বদলি নামা ফরোয়ার্ড আসানে দিয়াও।
এদিন ম্যাচের শুরু থেকেই মুহুর্মুহু আক্রমণে বার্সার রক্ষণে কাঁপুনি ধরিয়ে দেয় বেতিস। এর মধ্যে ম্যাচের প্রথম দুই মিনিটেই গোল করার দুটি দারুণ সুযোগ তৈরি করে তারা। তবে বার্সার রক্ষণভাগ ও গোলরক্ষকের কল্যাণে শুরুতেই পিছিয়ে পড়া থেকে বেঁচে যায় সফরকারীরা।
শুরু ধাক্কা সামলে দ্রুতই খোলস ছেড়ে বেরিয়ে ছন্দে ফেরে বার্সেলোনা। আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে ম্যাচের ৩৯তম মিনিটে গোলের খাতাও খোলে তারা।ডান দিকে দিয়ে আক্রমণে উঠে লামিন, পেদ্রির পা ঘুরে বল আসে এগোতে থাকা জুল কুন্দের কাছে। তিনি খানিকটা এগিয়ে গিয়ে গোলমুখে সতীর্থের উদ্দেশে ক্রস দেন, আলতো টোকায় তার নিচু ক্রস থেকে ঠিকানা খুঁজে নেন রবের্ট লেভানডোভস্কি।
এর ফলে লা লিগায় ১৬ ম্যাচে তার গোলসংখ্যা বেড়ে হলো ১৬টি। এছাড়া সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ২১ ম্যাচে ২৩ গোল করলেন এই পোলিশ স্ট্রাইকার। শুধু তা-ই নয়, ২০১৮/১৯ মৌসুমে লিওনেল মেসির পর লা লিগায় এই প্রথম কোনো খেলোয়াড় মৌসুমের প্রথম ১৬ ম্যাচে ১৬ বা তার বেশি গোল করলেন। চলতি মৌসুমে রিয়াল মাদ্রিদের দুই তারকা ফরোয়ার্ড ভিনিসিউস জুনিয়র ও কিলিয়ান এমবাপ্পে যৌথভাবে গোল করেছেন ১৬টি।
১ সপ্তাহ আগে
গত মৌসুমের হারের প্রতিশোধ নেওয়াই রিয়ালের লক্ষ্য: আনচেলত্তি
ঘরোয়া লিগে সব মিলিয়ে গত মৌসুমে মাত্র দুই ম্যাচ হারে রিয়াল মাদ্রিদ; দুটিই নগর প্রতিদ্বন্দ্বী আতলেতিকো মাদ্রিদের বিপক্ষে। তাই এ মৌসুমের প্রথম মাদ্রিদ ডার্বিতেই তার শোধ তুলতে চান আনচেলত্তি।
মাদ্রিদের সিভিতাস মেত্রোপলিতানো স্টেডিয়ামে রবিবার রাতে লা লিগায় মৌসুমের প্রথম মাদ্রিদ ডার্বিতে মুখোমুখি হবে স্প্যানিশ রাজধানীর দুই চির প্রতিদ্বন্দ্বী। এই ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে আসেন রিয়াল কোচ কার্লো আনচেলত্তি।
তিনি বলেন, ‘আমাদের গত বছরের ভুলগুলো এবার কোনোভোবেই পুনরাবৃত্তি হতে দেওয়া যাবে না। ওই শিক্ষাটা (গত মৌসুমের) আগামীকাল কাজে লাগাতে হবে। সেখানে (মেত্রোপলিতানোয়) খেলা সবসময়ই কঠিন।’
আরও পড়ুন: মাদ্রিদ ডার্বির আগে রিয়াল শিবিরে দুঃসংবাদ
কাড়ি কাড়ি টাকা খরচ করে বেশকিছু খেলোয়াড় কিনে এবার লিগ জয়ের উদ্দেশ্যেই নতুন মৌসুম শুরু করেছে আতেলেতিকো মাদ্রিদ। হুলিয়ান আলভারেস, আলেকজান্ডার সোর্লথ, কনর গ্যালাগার, রবিন লে নরমান্দ, হুয়ান মুসোর মতো তারকা খেলোয়াড় দলে ভিড়িয়েছে তারা। সেইসঙ্গে ক্লাবটির পুরনো খেলোয়াড়রাও ছন্দে রয়েছেন। এর প্রভাব দেখা যাচ্ছে পয়েন্ট টেবিলেও, রিয়াল মাদ্রিদের চেয়ে মাত্র দুই পয়েন্টে পিছিয়ে রয়েছে তারা। ৭ ম্যাচের চারটি জয় ও তিনটি ড্র করলেও হারেনি এখন পর্যন্ত। তাদের সে শক্তিমত্তার কথা ঝরল আনচেলত্তির কণ্ঠেও।
‘এ বছর তারা অনেক উন্নতি করেছে। বেশকিছু দারুণ খেলোয়াড়ও কিনেছে তারা। ফলে লিগের শেষ পর্যন্ত যে ওরা আমাদের ও বার্সেলোনাকে চ্যালেঞ্জ দিয়ে যাবে, তা একপ্রকার নিশ্চিত।’
তবে নিজের শিষ্যদের বোঝাপড়া নিয়েও আত্মবিশ্বাসী ৬৫ বছর বয়সী এই কোচ।
‘আমাদের দলও আগের চেয়ে অনেক ঐক্যবদ্ধ ও কার্যকর এবং আগামীকাল তাদের খুবই গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা দিতে হবে।’
তবে সর্বোপরি এমন একটি লড়াই হবে, যা থেকে দর্শক আনন্দ পাবে বলে মনে করেন আনচেলত্তি।
আরও পড়ুন: জয়ে আনচেলত্তির ৩০০তম ম্যাচ রাঙাল রিয়াল মাদ্রিদ
২ মাস আগে
মাদ্রিদ ডার্বির আগে রিয়াল শিবিরে দুঃসংবাদ
মৌসুমের প্রথম মাদ্রিদ ডার্বি অনুষ্ঠিত হতে আর বাকি চার দিন। এমন সময়ে রিয়াল মাদ্রিদের জন্য এলো দুঃসংবাদ। ম্যাচটির আগে চোটের কারণে ছিটকে গেছেন দলটির ফরাসি তারকা কিলিয়ান এমবাপ্পে।
বুধবার এক বিবৃতিতে লা লিগা চ্যাম্পিয়ন রিয়াল মাদ্রিদ জানিয়েছে, বাঁ পায়ের উরুতে চোট ধরা পড়েছে এমবাপ্পের। এর চেয়ে বেশি বিস্তারিত জানায়নি ক্লাবটি।
তবে ট্রান্সফার গুরু ফাব্রিৎসিও রোমানো জানিয়েছেন, অন্তত তিন সপ্তাহ মাঠের বাইরে থাকতে হবে এই ফরোয়ার্ডকে। এই সময়ে তিনি সপ্তাহান্তে আতলেতিকো মাদ্রিদ, এরপর চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ফরাসি ক্লাব লিল এবং লা লিগায় রিয়াল ভাইয়াদোলিদের বিপক্ষে ম্যাচগুলো খেলতে পারবেন না।
গতরাতে আলাভেসের বিপক্ষে ৩-২ ব্যবধানে জয়ের ম্যাচে একটি গোল করেন এমবাপ্পে। তবে ম্যাচের পুরোটা সময় খেলতে পারেননি ২৫ বছর বয়সী এই স্ট্রাইকার। ৮০তম মিনিটে অস্বস্তি নিয়ে তাকে মাঠ ছাড়তে দেখা যায়। এরপর আজ ক্লাবের পক্ষ থেকে মেডিকেল পরীক্ষায় তার চোট ধরা পড়ল।
আরও পড়ুন: জয়ে আনচেলত্তির ৩০০তম ম্যাচ রাঙাল রিয়াল মাদ্রিদ
পিএসজি থেকে রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দিয়ে দলটিতে মানিয়ে নিতে যথেষ্ট ভুগতে হচ্ছে এমবাপ্পেকে। লা লিগায় শুরুর তিন ম্যাচে কোনো গোল পাননি তিনি। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নিজেকে মেলে ধরছেন; পরের চার ম্যাচে পাঁচ গোল করেছেন তিনি। পাশাপাশি সতীর্থদের সঙ্গে বোঝাপড়া বাড়তে শুরু করেছিল তার। এরইমাঝে এলো ছন্দপতন।
আলাভেসের বিপক্ষে জয়ের পর লা লিগায় সব মিলিয়ে টানা ৩৯ ম্যাচ অপরাজিত রয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। বার্সেলোনার ৪৩ ম্যাচের রেকর্ডটি স্পর্শ করতে মাদ্রিদ ডার্বিতে ভালো করার বিকল্প নেই বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের। ম্যাচটির আগে এমবাপ্পের ছিটকে যাওয়াটা তাই রিয়ালের জন্য বড় ধাক্কা।
লা লিগায় ৭ ম্যাচে ১৭ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। এক ম্যাচ কম খেলে এক পয়েন্ট বেশি নিয়ে টেবিলের শীর্ষে থাকা বার্সেলোনা নিজেদের সপ্তম ম্যাচে গেতাফের বিপক্ষে মাঠে নামছে আজ রাতে।
২ মাস আগে
জিততে বাধ্য করছে নতুন ফরম্যাটের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ: সিমিওনে
নতুন মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে যে পরিবর্তন এসেছে, তাতে ক্লাবগুলোর জয়ের বিকল্প দেখছেন না আতলেতিকো মাদ্রিদ কোচ দিয়েগো ‘চোলো’ সিমিওনে। এই আর্জেন্টাইন কোচের মতে, চ্যাম্পিয়ন্স লিগের এই ফরম্যাট ক্লাবগুলো জিততে বাধ্য করছে।
বৃহস্পতিবার রাতে ঘরের মাঠ সিভিতাস মেত্রোপলিতানোয় চ্যাম্পিয়ন্স লিগে নিজেদের প্রথম ম্যাচে জার্মান ক্লাব লাইপসিগকে আতিথ্য দেয় মাদ্রিদের দলটি। ম্যাচটিতে শুরুতে পিছিয়ে পড়েও হোসে মারিয়া হিমিনেসের শেষ মুহূর্তের গোলে জয় পেয়েছে আতলেতিকো মাদ্রিদ।
শিষ্যদের পারফরম্যান্সের ব্যাপারে ম্যাচশেষে মুভিস্টারকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে চোলো বলেন, ‘ম্যাচটি ভালো ছিল, আমি সন্তুষ্ট। ম্যাচটিতে যেভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হলো, তাতে ফলাফল ড্র হলেও আমি অখুশি হতাম না। নতুন খেলোয়াড়দের নিয়ে সম্পূর্ণ ভিন্ন তরিকায় ম্যাচটি খেলেছি আমরা।’
‘ম্যাচে খেলোয়াড়রা দায়িত্ব অনুযায়ী কাজ সামলেছে, সঠিক সময়ে বলও নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে, আর আমি এভাবেই পরিকল্পনা করেছিলাম। ম্যাচের ৮০ শতাংশই আমরা নিয়ন্ত্রণ করেছি।’
আরও পড়ুন: ভালো খেলার চেয়ে ম্যাচ জেতা বেশি গুরুত্বপূর্ণ: আনচেলত্তি
চলতি মৌসুম থেকে ইউরোপের সেরা টুর্নামেন্টের প্রাথমিক পর্যায়ের খেলায় পরিবর্তন এনেছে উয়েফা। গ্রুপপর্বের পরিবর্তে এখন থেকে ৩৬টি দল একে অপরের সঙ্গে লিগ খেলবে, যেখানে পয়েন্ট টেবিলের প্রথম আট দল সরাসরি নকআউট পর্বে জায়গা করে নেবে। পরের ১৬টি দল থেকে আট দল দুই লেগের প্লে-অফ খেলে নকআউটে যাবে এবং শেষের দলগুলো সরাসরি বাদ পড়বে।
ফলে সরাসরি নকআউটের টিকিট পেতে প্রতিটি ম্যাচ থেকেই যে পূর্ণ তিন পয়েন্ট পেতে চাইবে দলগুলো, তা-ই ঝরল সিমিওনের কণ্ঠে।
‘এই (নতুন) ফরম্যাট আমাদের জিততে বাধ্য করছে। আপনি যদি ড্রও করেন, সে ক্ষেত্রেও (প্রতিপক্ষ দলগুলোর চেয়ে) পিছিয়ে পড়তে পারেন। ফলে প্রত্যেক ম্যাচেই জয় পেতে প্রতিটি দলকে মরিয়া হয়ে খেলতে হবে।’
আরও পড়ুন: শুরুতেই লাল কার্ড, হেরে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শুরু বার্সেলোনার
ঘরোয়া ও চ্যাম্পিয়ন্স লিগ মিলিয়ে চলতি মৌসুমে এখনও অপরাজিত আতলেতিকো মাদ্রিদ। লা লিগায় পঞ্চম রাউন্ডের খেলা শেষে তিনটি জয় ও দুটি ড্রয়ে ১১ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে তারা। গতরাতে লাইপসিগকে হারিয়ে চলতি মৌসুমে অপরাজেয় যাত্রা অব্যহত রেখেছে সিমিওনের শিষ্যরা।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগে তাদের পরবর্তী ম্যাচ আগামী ২ অক্টোবর। বাংলাদেশ সময় রাত ১টায় পর্তুগিজ ক্লাব বেনফিকার মাঠে খেলতে যাবে আতলেতিকো মাদ্রিদ। ২২, ২৬ ও ২৯ সেপ্টেম্বর লা লিগায় যথাক্রমে রায়ো ভায়েকানো, সেল্তা ভিগো ও নগর প্রদিদ্বন্দ্বী রিয়াল মাদ্রিদের মুখোমুখি হবে তারা।
২ মাস আগে
মৌসুমের সর্বকনিষ্ঠ স্কোয়াড বার্সেলোনার
আর্থিক সংকটে জর্জরিত হওয়ায় গত কয়েক মৌসুম ধরেই দলবদলের মৌসুমে ভুগছে বার্সেলোনা। নতুন কোনো তারকা ফুটবলার তো কিনতে পারছেই না, বরং অভিজ্ঞদের অনেককেই ছেড়ে দিতে বাধ্য হচ্ছে ক্লাবটি।
সবশেষ দলবদলের মৌসুমে গত মৌসুমে দলের অন্যতম সেরা খেলোয়াড় ইলকাই গুন্ডোগানকে ফ্রিতে ছেড়ে দিয়েছে বার্সেলোনা। ফাইনান্সিয়াল ফেয়ার প্লে আইনে আয় ও খরচ ১:১ অনুপাতে ফেরাতেই সেরা খেলোয়াড় হলেও সর্বাধিক বেতন পাওয়া গুন্ডোগানকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়েছে ক্লাবটি। এমনকি আসন্ন শীতকালীন দলবদলের মৌসুমে ফ্রেঙ্কি ডি ইয়ংয়ের মতো ফুটবলারের জন্যেও তারা প্রস্তাব শুনতে চায় বলে গুঞ্জন রয়েছে। দলের এমন দুর্দশায় আরও একবার তাদের নির্ভর করতে হচ্ছে লা মাসিয়ার ওপর।
নিজেদের এই অ্যাকাডেমির তরুণ সব ফুটবলারদের মূল দলে খেলার সুযোগ দিয়েই গত কয়েক মৌসুম ধরে ঘরোয়া ও ইউরোপীয় অঙ্গনে প্রতিযোগিতা করে চলেছে দলটি। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি।
আরও পড়ুন: বার্সেলোনা থেকে আবারও সিটিতে গুন্ডোগান
বেশ কয়েকজন ফুটবলারকে চুক্তি শেষ করে, ধারে বা ফ্রিতে ছেড়ে দিয়ে মাত্র একজন খেলোয়াড় দলে ভিড়িয়েছে তারা। ৬০ মিলিয়ন ইউরো দিয়ে লাইপসিগ থেকে দানি অলমোকে দলে ভেড়ালেও লা লিগায় নিবন্ধন করাতে ঘাম ছুটে গেছে তাদের। এই পরিস্থিতিতে মার্ক বের্নাল, পাউ ভিক্তর, আলেক্স ভায়ের মতো তরুণদের লা মাসিয়া থেকে মূল দলে খেলার সুযোগ করে দিয়েছে ক্লাবটির স্পোর্টিং বিভাগের কর্তারা।
আর এসব কারণে চলতি মৌসুমে লা লিগার ক্লাবগুলোর মধ্যে সবচেয়ে কম বয়সী স্কোয়াড এখন কাতালুনিয়ার এই ক্লাবটির।
৩৬ বছর বয়সী রবের্ট লেভানডোভস্কি থাকলেও বার্সেলোনার স্কোয়াডের গড় বয়স ২৪.১ বছর। সর্বকনিষ্ঠ স্কোয়াডের দিক থেকে লা লিগায় তাদের পরেই রয়েছে রিয়াল সোসিয়েদাদ ও ভালেন্সিয়া, উভয় ক্লাবেরই স্কোয়াডের গড় বয়স ২৫ বছর। ২৬.৫ বছর গড় বয়স নিয়ে তালিকার অষ্টম স্থানে রয়েছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন রিয়াল মাদ্রিদ।
আরও পড়ুন: রাফিনিয়ার হ্যাটট্রিক, ৭-০ ব্যবধানে জিতল বার্সেলোনা
তবে সবচেয়ে বেশি বয়সী স্কোয়াডের কাতারে রয়েছে আতলেতিকো মাদ্রিদ। ক্লাবটির স্কোয়াডের গড় বয়স ২৮.১ বছর। তাদের চেয়ে বেশি বয়সী স্কোয়াড আছে শুধু একটি ক্লাবের। চলতি মৌসুমে ২৯.৩ বছর গড় বয়স নিয়ে সবচেয়ে অভিজ্ঞ স্কোয়াড রায়ো ভায়েকানোর।
তবে অবাক করার বিষয় হচ্ছে, এত এত ছোট ছোট ফুটবলার দিয়ে খেলিয়েও চলতি মৌসুমের শুরুটা সবচেয়ে ভালোভাবে করেছেন বার্সেলোনা কোচ হান্সি ফ্লিক। তারুণ্য ও অভিজ্ঞতার এক দারুণ মিশ্রণে মৌসুমের প্রথম চার ম্যাচেই জয় পাওয়া একমাত্র দল তারই।
৩ মাস আগে
চেলসি থেকে আতলেতিকো মাদ্রিদে গ্যালাগার
প্রথমে চুক্তি একেবারেই চূড়ান্ত হয়ে গিয়েও ভেস্তে যায়। এরপর কিছুদিনের অনিশ্চয়তা। তারপর সব অনিশ্চয়তা কাটিয়ে সেই আতলেতিকো মাদ্রিদেই নাম লেখালেন ইংলিশ মিডফিল্ডার কনর গ্যালাগার।
৪২ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে তাকে চেলসি থেকে ওয়ান্দা মেত্রোপলিতানোয় নিয়ে এসেছে আতলেতিকো মাদ্রিদ। পাঁচ বছরের জন্য মাদ্রিদের এই ক্লাবটির সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছেন ২৪ বছর বয়সী এই ফুটবলার।
গ্যালাগারকে পেতে টটেনহ্যাম হটস্পার ও অ্যাস্টন ভিলাও চেষ্টা চালিয়েছিল। তবে আতলেতিকো মাদ্রিদকেই বেছে নিয়েছেন তিনি।
শৈশবের ক্লাব ছেড়ে যাওয়ার আগে ভক্ত-সমর্থকদের উদ্দেশে আবেগী বিদায় বার্তা লিখেছেন তিনি।
‘আমার স্বপ্ন সত্যি করতে চেলসির সবাইকে ধন্যবাদ। প্রতিবার যখনই আমি এই ক্লাবের জার্সি গায়ে চড়িয়েছি, ততবারই সম্মানিত বোধ করেছি। তাছাড়া অসংখ্যবার অধিনায়কের ভূমিকা পালন করতে পারাটাও ছিল আমার কাছে স্বপ্নের মতো।’
‘আমি (এখানে) প্রতিটি মুহূর্ত উপভোগ করেছি। এই স্মৃতি আজীবন আমার হৃদয়ে থাকবে। ভক্তদের কাছ থেকে যে পরিমাণ সমর্থন ও ভালোবাসা পেয়েছি তার জন্য আমি কৃতজ্ঞ। (স্ট্যামফোর্ড) ব্রিজে আমার নামে জয়ধ্বনি শুনতে পাওয়া সত্যিই এক বিশেষ অনুভূতি ছিল।’
‘সবকিছুর জন্য ধন্যবাদ! ক্লাবের ভবিষ্যতের জন্য আমার শুভকামনা। আশা করি, স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে খুব শিগগিরই দেখা হবে।’
এদিকে এক অফিশিয়াল বিবৃতিতে চেলসি লিখেছে, ‘ক্যারিয়ারের নতুন অধ্যায় শুরু করতে যাওয়া গ্যালাগারকে আমাদের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা।’
আরও পড়ুন: আলভারেস আতলেতিকোর ডিএনএর সঙ্গে পুরোপুরি মানানসই: সিমিওনে
মাত্র আট বছর বয়স থেকে চেলসির অ্যাকাডেমিতে বেড়ে উঠে গত মৌসুমে ক্লাবটির মূল দলে জায়গা করে নেন গ্যলাগার। তবে চেলসির অ্যাকাডেমিতে বড় হলেও পেশাদার ফুটবলে চেলসির শার্ট পরতে বেশ অপেক্ষা করতে হয় এই মিডফিল্ডারকে। শুরুতে চার্লটন, সোয়ানসি, ওয়েস্ট ব্রমউইচ অ্যালবিয়ন ও ক্রিস্টাল প্যালেসের মতো ক্লাবে তাকে ধারে খেলতে পাঠায় চেলসি। এরপর ২০২২ সালে তিনি চেলসির সিনিয়র দলের শার্ট পরার সুযোগ পান।
তারপর গত মৌসুমে লিগে ৩৭ ম্যাচে শুরুর একাদশে থেকে মাঠে নামেন গ্যালাগার। বাকি একটি ম্যাচ শৃঙ্খলাজনিত শাস্তির কারণে খেলা হয়নি তার। শুধু তাই নয়, রিস জেমস ও বেন চিলওয়েলের চোটের কারণে অধিকাংশ ম্যাচেই অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
৩ মাস আগে
অবশেষে ‘ঠিকানা’ খুঁজে পেলেন ফেলিক্স
আতলেতিকো মাদ্রিদে থাকতে না চাওয়ায় গত দুই মৌসুম ধরে এক প্রকার ভেসে বেড়াচ্ছিলেন পর্তুগিজ তারকা জোয়াইও ফেলিক্স। অবশেষে ২০২২-২৩ মৌসুমে ধারে খেলা স্ট্যামফোর্ড ব্রিজই হলো তার নতুন ঠিকানা।
বুধবার (২১ আগস্ট) এক বিবৃতিতে প্রিমিয়ার লিগ জানিয়েছে, ৪৫ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে আতলেতিকো মাদ্রিদ থেকে ২৪ বছর বয়সী এই তারকাকে দলে টেনেছে চেলসি।
দুই মৌসুম আগে ওয়ান্দা মেত্রোপলিতানো ছাড়ার ইচ্ছার কথা জানানোর পর থেকেই প্রতিভাবান এই তরুণ ফুটবলারের জন্য নতুন ঠিকানা খুঁজছিল আতলেতিকো। ২০২২-২৩ মৌসুমের শেষ ছয় মাসের জন্য চেলসিতে তাকে ধারে পাঠানো হয়। সে সময় ব্লুজদের হয়ে ২০ ম্যাচ খেলে ৪ গোল করেন ফেলিক্স।
তবে মৌসুম শেষে চেলসি তাকে রাখতে না চাওয়ায় আবারও ফিরতে হয় মাদ্রিদে। এরপর গত মৌসুমে বার্সেলোনা তাকে এক মৌসুমের জন্য ধারে নেয়। মৌসুমজুড়ে কোচ শাভি এরনান্দেসের শুরুর একাদশে জায়গা করে নিতে না পারলেও বেশিরভাগ ম্যাচে তিনি নামেন বদলি খেলোয়াড় হিসেবে। তারপরও কাতালুনিয়ার দলটির হয়ে ৪৪ ম্যাচ খেলে ১০ গোল করেন এই ফরোয়ার্ড।
এরপর বার্সেলোনাও তাকে পাকাপাকিভাবে দলে না টেনে মৌসুম শেষে আতলেতিকোয় পাঠিয়ে দেয়। তারপর থেকে ফের ফেলিক্সের জন্য নতুন ঠিকানা খুঁজছিল মাদ্রিদের ক্লাবটি।
আরও পড়ুন: চেলসিতেই যাচ্ছেন মেসিনিয়ো!
কিছুদিন থেকেই তাকে দলে টানতে চেলসির ইচ্ছার কথা জানিয়ে আসছিলেন ট্রান্সফার গুরু ফাব্রিৎসিও রোমানো। এবার গুঞ্জন সত্যি করে অবশেষে স্থায়ী দলবদলে ঠিকানা খুঁজে পেলেন এই পর্তুগিজ তারকা। চেলসিতে যোগ দিয়ে তার কণ্ঠেও এ বিষয়ে স্বস্তি ঝরেছে।
চেলসির অফিশিয়াল সাইটে ফেলিক্স লিখেছেন, ‘(স্থায়ী) ঠিকানা করে নিতে এটি আমার জন্যে একটি ভালো সুযোগ।’
‘চেলসি ও বার্সায় দুটি লোনপর্ব শেষের পর আমার একটি জায়গায় স্থায়ী হওয়ার দরকার ছিল। এক্ষেত্রে চেলসির চেয়ে ভালো স্থান হতে পারে না। উন্নতি করার জন্য এই ক্লাবটি আমার কাছে একেবারে উপযুক্ত মনে হয়।’
শুধু আতলেতিকো ছাড়তেই চেলসিতে আসেননি ফেলিক্স। ক্লাবটির অনেকগুলো বিষয় তাকে গন্তব্য নির্বাচনে সহায়তা করেছে বলেও তিনি জানিয়েছেন।
‘অনেকগুলো বিষয়ের একটু একটু করে নিয়ে আমি চেলসিতে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এই ক্লাব, প্রজেক্ট, লিগ, সমর্থক ও এখানে আমার কাটানো সময়- সবকিছু আমি পছন্দ করি। এখানে (এর আগে) যখন ছিলাম, ভালো ফল আনতে না পারলেও ওই সময়টা আমি খুব ভালো কাটিয়েছিলাম। তাই ফিরে আসতে পেরে সত্যিই আমি খুশি।’
তবে আগের ব্যর্থতা আর পেছনে ফিরে দেখতে চান না তিনি। সময়ের সঙ্গে তিনি যে নিজেও বদলেছেন, তা জানিয়ে আগামীতে আরও ভালো করার প্রত্যয় ঝরল এ তরুণের কণ্ঠে।
‘সেবারের চেয়ে এবার আমি অনেকটাই বদলেছি। এখন আমার বয়স ২৪, (আগামী) নভেম্বরে ২৫-এ পা দেব। খেলোয়াড় হিসেবে এখন নিজেকে অনেকটাই পরিণত মনে হয়। প্রিমিয়ার লিগে খেলতে আমি এখন অনেকটাই প্রস্তুত।’
নিজের সেরাটা এখনও দেখাননি জানিয়ে ফেলিক্স বলেন, এই বছরটি ভালো একটি বছর হতে চলেছে। কারণ অবশেষে আমি ঠিকানা খুঁজে পেয়েছি। তাই নতুন ঠিকানায় ফুটবলটা উপভোগ করতে চাই।’
আরও পড়ুন: আলভারেস আতলেতিকোর ডিএনএর সঙ্গে পুরোপুরি মানানসই: সিমিওনে
ফেলিক্সকে পেয়ে উচ্ছ্বসিত চেলসি কোচ এনসো মারেসকাও। তিনি বলেছেন, ‘জোইয়াও (ফেলিক্স) দারুণ প্রতিভাবান। ক্লাবের সবাই আগে থেকেই তাকে চেনে। তার ভালো দিকগুলোর মধ্যে রয়েছে- সে ইনসাইড, নম্বর নাইন কিংবা আউটসাইড- বিভিন্ন পজিশনে খেলতে পারে।’
১৯৯৯ সালে পর্তুগালের ভিসেউতে জন্ম নেওয়া এই ফুটবলার মাত্র ১৭ বছর বয়সে বেনফিকার জার্সিতে পেশাদার ফুটবলে নিজের ক্যারিয়ার শুরু করেন। ২০১৮ সালে মাত্র বেনফিকার হয়ে ওই মৌসুমে ২৬ ম্যাচে ১৫ গোল ও ৯ অ্যাসিস্ট করে ইউরোপীয় ফুটবলে সাড়া ফেলে দেন তিনি। পর্তুগিজ লিগের ওই মৌসুমের ‘গোল্ডেন বয়’ খেতাবও জোটে তার।
পরের বছর জাতীয় দলের জার্সিতে অভিষেক হয় ফেলিক্সের। এরপর ২০২০ সালে আতলেতিকো মাদ্রিদে পাড়ি জমান তিনি। ক্লাবের রেকর্ড ফিতে ফেলিক্সকে দলে টানে আতলেতিকো। তবে দিয়েগো সিমিওনের তত্ত্বাবধায়নে নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি এই প্রতিভাবান ফুটবলার।
৩ মাস আগে
আলভারেস আতলেতিকোর ডিএনএর সঙ্গে পুরোপুরি মানানসই: সিমিওনে
হুলিয়ান আলভারেসকে দলে পেয়ে উচ্ছ্বসিত আতলেতিকো মাদ্রিদ বস দিয়েগো ‘চোলো’ সিমিওনে। ২৪ বছর বয়সী এই ফুটবলারের কাছ থেকে দুর্দান্ত কিছু আশা করেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
সোমবার (১৯ আগস্ট) বাংলাদেশ সময় রাত দেড়টায় লা লিগায় মৌসুমের প্রথম ম্যাচে লা সিরামিকা স্টেডিয়ামে ভিয়ারিয়ালের মুখোমুখি হবে আতলেতিকো মাদ্রিদ। ওই ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে সদ্য শুরু হওয়া মৌসুমে দল নিয়ে নিজেদের পরিকল্পনার কথা বলেন সিমিওনে। সেখানেই উঠে আসে আলভারেসের প্রসঙ্গটি।
এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘হুলিয়ান এমন একজন খেলোয়াড়, যার কাছ থেকে ভালো কিছু পাওয়ার জন্য আমরা সবাই প্রতীক্ষায় রয়েছি। নিশ্চিতভাবেই সে দলের উন্নতিতে সহযোগিতা করবে।’
‘তার সব বৈশিষ্ট্যই আতলেতিকোর ডিএনএর সঙ্গে মিলে যায়। ইতোমধ্যে সে (দলে) একটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গা করে নিয়েছে। আশা করছি, আমরা এমন একটি দল গড়তে পারব, যা তার দক্ষতা থেকে আরও শক্তি পাবে।’
ম্যানচেস্টার সিটি ছেড়ে আলভারেস মাদ্রিদের এই ক্লাবটিতে পাড়ি জমিয়েছেন এক সপ্তাহ হয়েছে। এরইমধ্যে তিনি নাকি দলটির সঙ্গে মানিয়ে নিয়েছেন।
এ বিষয়ে সিমিওনে বলেন, ‘সে কয়েকদিন হলো এখানে এসেছে। মাত্র চার দিন আমাদের অনুশীলনে অংশ নিয়েছে, কিন্তু দলের সঙ্গে সে বেশ ভালোভাবে মানিয়ে নিয়েছে।’
আরও পড়ুন: বার্সেলোনা ছেড়ে ইংলিশ ক্লাবে রোনালদিনিয়োর ছেলে
লিগ টেবিলের চারে থেকে গত মৌসুম শেষ করে লস রোহিব্লাঙ্কোসরা। এরপর চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের কাছে হেরে বিদায় নিতে হয় এল চোলোর শিষ্যদের। তাছাড়া মৌসুমজুড়ে তাদের পারফরম্যান্সও ছিল নিজেদের নামের সঙ্গে বেমানান।
তবে নতুন মৌসুমে এসব দুঃস্মৃতি ভুলতে চায় ক্লাবটি। ফলে কাড়ি কাড়ি টাকা খরচ করে চলেছে চলতি দলবদলের মৌসুমে।
৯৫ মিলিয়ন (৭৫+২০) ইউরোর বিনিময়ে ম্যানচেস্টার সিটি থেকে আলভারেসকে দলে ভিড়িয়েছে তারা। এরপর ৩৯.৫ মিলিয়ন (৩৪.৫+৫) ইউরো দিয়ে ইউরোয় টুর্নামেন্টজুড়ে স্পেনের রক্ষণে আলো ছড়ানো ডিফেন্ডার রবিন লে নরমান্দকে রিয়াল সোসিয়েদাদ থেকে ওয়ান্দা মেত্রোপলিতানোয় নিয়ে আসে আতলেতিকো। শুধু তাই নয়, গত মৌসুমে লা লিগার সর্বোচ্চ গোলদাতা আলেকজান্ডার সোরলথকেও দলে টেনেছে তারা। ভিয়ারিয়ালের এই নরওয়েজিয়ান ফরোয়ার্ডকে দলে পেতে তাদের ৩৫ মিলিয়ন (৩০+৫) ইউরো খরচ হয়েছে।
ফলে চলতি মৌসুমে সম্ভাব্য সব শিরোপা জিততে যে দল গঠন করছেন সিমিওনে, তা একপ্রকার স্পষ্ট।
এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘সেরা দল হিসেবে মৌসুম শুরু করতে চলেছে রিয়াল মাদ্রিদ। দারুণ সব খেলোয়াড়সমৃদ্ধ দলটি মৌসুমজুড়ে এটাই প্রমাণ করবে, যেখানে বাকি সব দলকে পেছনে থেকে তাদের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করতে হবে।’
‘বার্সেলোনাকে দেখুন, তারাও প্রতিনিয়ত দলের উন্নয়ন করছে। দারুণ সব ফুটবলার এনে রিয়াল (মাদ্রিদ) তাদের উন্নতির ধারা অব্যাহত রেখেছে। তাই আমাদেরও নিজেদের বিষয়ে ভাবতে হবে।’
আরও পড়ুন: সৌদির বিলিয়ন ইউরোর প্রস্তাব গ্রহণে ‘রাজি’ ভিনিসিউস
তবে প্রতিভাধর সব তারকা ফুটবলারদের দলে টানলেও চলতি দলবদলের বাজারে এখনও তাদের কার্যক্রম শেষ হয়নি বলে জানিয়েছেন ৫৪ বছর বয়সী এই আর্জেন্টাইন কোচ।
এ বিষয়ে তার মন্তব্য, ‘দল এখনও পূর্ণাঙ্গ রূপ পায়নি। আমরা এখনও এ বিষয়ে কাজ করছি। আমাদের ঠিক কী দরকার, তা আমরা জানি। সে অনুযায়ীই কাজ চলছে।’
প্রসঙ্গত, চেলসির তরুণ ইংলিশ মিডফিল্ডার কনর গ্যালাগারের সঙ্গে চুক্তি প্রায় চূড়ান্ত হয়ে গেলেও শেষ মুহূর্তে তা ভেস্তে যায়। তবে তাকে পেতে আতলেতিকো ফের চেষ্টা করছে বলে স্প্যানিশ ও ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমগুলোতে খবর বেরিয়েছে।
৪ মাস আগে
সিটিতে থাকছেন কি না, অলিম্পিকের পর জানাবেন আলভারেস
মাত্র ২৪ বছর বয়সেই ফুটবলের সম্ভাব্য সব শিরোপা ছুঁয়ে দেখার সুযোগ হয়েছে আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড হুলিয়ান আলভারেসের। এর মধ্যে ইউরোপিয়ান ক্লাব ফুটবলের সব শিরোপা জিতেছেন ম্যানচেস্টার সিটির জার্সিতে। তারপরও ক্লাবটিতে থাকার ব্যাপারে সংশয় প্রকাশ করেছেন এই আর্জেন্টাইন।
মূলত মূল একাদশে নিয়মিত খেলতেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা ভাবছেন বলে জানিয়েছেন আলভারেস। সিটির হয়ে খেললেও পেপ গার্দিওলার দলের শুরুর একাদশের নিয়মিত সদস্য নন তিনি। বেশিরভাগ সময় বেঞ্চ থেকেই মাঠে নামতে হয় তাকে।
কোপা আমেরিকায় সফল যাত্রা শেষ করে এখন অলিম্পিকে আর্জেন্টিনার হয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন আলভারেস। তাই সাংবাদিকদের দলবদলের প্রশ্ন শুনেই সংক্ষেপে জানিয়ে দিলেন, ‘এখন নয়। অলিম্পিক অভিযান শেষ করে তবেই এ বিষয়ে কথা হবে।’
আরও পড়ুন: রেড বুলের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হলেন এন্দ্রিক
সিটিতে যে একেবারে খারাপ সময় কাটাচ্ছেন, তাও অবশ্য নয়, বদলি নামলেও গোল-অ্যাসিস্টের দেখা পান তিনি নিয়মিতই। চুক্তির মেয়াদ তিন বছর বাকি থাকলেও গত মার্চে তা আরও এক বছর বাড়িয়ে নিয়েছেন তিনি।
অলিম্পিকের সোনা পুনরুদ্ধার অভিযানে গ্রুপ পর্বের প্রথম ম্যাচেই মরক্কোর বিপক্ষে নাটকীয়ভাবে হেরে বসে আর্জেন্টিনা। এরপর দ্বিতীয় ম্যাচে ইরাকের বিপক্ষে জিতেছে আলভারেসের দল। এর ফলে নকআউট পর্বে তাদের ওঠার সম্ভাবনা এখনও টিকে আছে।
মঙ্গলবার গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে ইউক্রেইনের মুখোমুখি হয়েছে হাভিয়ের মাসচেরানোর শিষ্যরা। এই ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে এসে সাংবাদিকদের একের পর এক প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে জেরবার হন তিনি।
দলবদলের ইচ্ছার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে এখন বেশ আলোচনা হচ্ছে। তবে আমি এখনই কিছু ভাবছি না। আমি কেবল এখানেই (অলিম্পিকে) মনোযোগী। এটা একটা ছোট্ট টুর্নামেন্ট। এরপরই এসব (দলবদল) নিয়ে ভাবব।’
সিটিতে যে ভালো আছেন, সে কথাও ঝরল তার কণ্ঠে, ‘ম্যানচেস্টার সিটিতে আমি খুব ভালো আছি, অনেক মিনিট খেলেছি। তবে ভিন্ন কিছু সিদ্ধান্ত যদি নেই, তা (অলিম্পিকের) পরে।’
‘এখান থেকে ফিরে আমি আগে কিছুদিন ছুটি কাটাব। এরপর এ বিষয়ে ভেবে সিদ্ধান্ত নেব।’
আরও পড়ুন: সিটি সমর্থকদের সুখবর দিলেন গার্দিওলা
গত মে মাসে এফএ কাপের ফাইনালে নগর প্রতিপক্ষ ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের কাছে হেরে যায় সিটি। ওই ম্যাচেও শুরুর একাদশে জায়গা হয়নি আলভারেসের। দ্বিতীয়ার্ধে বদলি হিসেবে নামেন তিনি। তবে ম্যাচে নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তন করতে পারেননি এই ফুটবলার। তার পর থেকেই আতলেতিকো মাদ্রিদ তাকে পেতে ইচ্ছুক বলে গুঞ্জন ওঠে।
ওই ম্যাচে হেরে অসন্তুষ্ট হলেও সিটিতে তিনি ভালো আছেন বলে জানান।
‘দেখুন, ফুটবলাররা সবসময়ই দলের জন্য কিছু করার চেষ্টা করে। সেক্ষেত্রে বড় ম্যাচে (মাঠের) বাইরে থাকাটা বেশ কষ্টকর। তবে গত মৌসুম আমার মন্দ কাটেনি। তাই আমি একেবারে অখুশি নই।’
প্রাক-মৌসুমের প্রীতি ম্যাচ খেলতে বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র সফরে রয়েছে সিটি। সেখান থেকে আলভারেসের ভবিষ্যৎ নিয়ে করা প্রশ্নের জবাব দিতে হচ্ছে গার্দিওলারও।
তিনি বলেন, ‘আমি জানি যে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচগুলোতে খেলতে চায়। কিন্তু তা শুধু সে-ই নয়, সবাই চায়। দলের অন্তত ১৮-১৯ জন ফুটবলার গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে শুরুর একাদশে থাকতে চায়।’
আরও পড়ুন: বর্ণবাদী স্লোগান দেওয়ায় ৭ দেশের ওপর উয়েফার নিষেধাজ্ঞা
‘সে যে এ বিষয়ে (দলবদল) ভাবতে চায়, তা আমিও পড়েছে। ঠিক আছে, ভাবুক। ভেবে সিদ্ধান্ত নিক আগে। এরপর আমাদের জানালে আমরা যে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব।’
তবে তাকে যে ছাড়তে চান না সে কথাও জানালেন সিটি বস, ‘তার ভবিষ্যৎ নিয়ে সচেতন থাকলেও এই মুহূর্তে তাকে ছাড়ার চিন্তা একদমই করছি না।’
৪ মাস আগে