ধর্ম উপদেষ্টা
বৈষম্য দূর করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে শরীয়াহ ব্যাংকিং: ধর্ম উপদেষ্টা
ধর্ম বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, যাকাত, সাদাকা ও ওয়াকফের মতো ব্যবস্থার মাধ্যমে সমাজের সুবিধাবঞ্চিত মানুষের কল্যাণে কাজ করে ইসলামী ব্যাংকিং। এটি দারিদ্র্য দূরীকরণ ও আয় বৈষম্য কমানোর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
শনিবার (১৫ মার্চ) সকালে রাজধানীর বাড্ডায় ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে ইনিস্টিটিউট অব ইসলামিক ব্যাংকিং, ফিন্যান্স অ্যান্ড ইকোনমিক্স উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এমন কথা বলেন।
ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, বর্তমানে ইসলামী ব্যাংকিং শুধু মুসলিম দেশেই নয়, বরং যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, মালয়েশিয়া ও সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ বিভিন্ন দেশেও জনপ্রিয় হচ্ছে। আন্তর্জাতিক বাজারেও এটি একটি নির্ভরযোগ্য ও লাভজনক ব্যাংকিং ব্যবস্থা হিসেবে বিবেচিত। সারা দুনিয়ায় ১.৮ ট্রিলিয়ন ডলার ব্যবস্থাপিত হয়।
আরও পড়ুন: পাশববৃত্তিকে দমন করতে না পারলে মানুষ পশুতে পরিণত হয়: ধর্ম উপদেষ্টা
এতে সভাপতিত্ব করেন ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর ড. আবুল কাশেম মিয়া। স্বাগত বক্তব্য দেন ইনিস্টিউটের পরিচালক অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ উমর ফারুক। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন, অধ্যাপক ড. গিয়াস উদ্দীন তালুকদার, সেন্ট্রোল শরীয়াহ বোর্ড ফেলোস ফোরামের সভাপতি মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ শরীফ।
বক্তারা বলেন, ইসলামিক ফিন্যান্স একটি ন্যায়সঙ্গত ও নৈতিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা, যা সুদের পরিবর্তে লাভ-ক্ষতির ভিত্তিতে লেনদেন করে। এটি শুধু মুসলমানদের জন্য নয়, বরং যে কেউ ন্যায়সঙ্গত ও স্বচ্ছ অর্থনৈতিক ব্যবস্থার অংশ হতে পারে।
১০ দিন আগে
পাশববৃত্তিকে দমন করতে না পারলে মানুষ পশুতে পরিণত হয়: ধর্ম উপদেষ্টা
ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, ‘সিয়াম সাধনায় উজ্জ্বীবিত হয়ে পাশববৃত্তিকে দমন করতে হবে। অন্যথায় মানুষ তার মর্যাদা হারিয়ে পশুতে পরিণত হয়ে যাবে। অন্তরকে পরিশুদ্ধ করতে পারলে পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্র পরিশুদ্ধ হবে।’
মঙ্গলবার (১১ মার্চ) রাজধানীর শাহবাগে বিসিএস প্রশাসন একাডেমি আয়োজিত দোয়া ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ধর্ম উপদেষ্টা বলেন , ‘নারীরা হচ্ছেন মায়ের জাতি। তাদের প্রতি যারা অসম্মান ও অমর্যাদাপূর্ণ আচরণ করে, তারা হায়েনা ও নরাধম।’
ড. খালিদ হোসেন বলেন, ‘দেশকে অস্থিতিশীল করার ধারাবাহিক যে নীলনকশা, ধর্ষণের ঘটনা তার বাস্তবায়ন মাত্র। সামনে ষড়যন্ত্রের কুশীলবরা নতুন এজেন্ডা নিয়ে মাঠে নামবে।’
আরও পড়ুন: জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে ইমামদের ভূমিকা রাখার সুযোগ রয়েছে: ধর্ম উপদেষ্টা
এ সময় তিনি জনগণকে সতর্ক থাকার আহবান জানান।
বিসিএস প্রশাসন একাডেমির রেক্টর ড. মুহাম্মদ ওমর ফারুকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ অনুষ্ঠানে ১৩৫, ১৩৬ ও ১৩৭তম আইন ও প্রশাসন কোর্সের প্রশিক্ষণার্থী অফিসারগণ উপস্থিত ছিলেন।
১৪ দিন আগে
জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে ইমামদের ভূমিকা রাখার সুযোগ রয়েছে: ধর্ম উপদেষ্টা
ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, ‘ধর্মীয় বিষয়ের পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক ইস্যুতে ইমামরা দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করে আসছেন। দেশ ও জাতির সামগ্রিক উন্নয়নে ইমামদের ভূমিকা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণেও ইমামদের তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা রাখার সুযোগ রয়েছে। তারা হাওরাঞ্চলের মানুষের জীবনমান উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেন।’
বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সিলেটে বিভাগীয় কমিশনারের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত বিভাগীয় সেমিনারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
‘হাওর এলাকার জনগণের জীবনমান উন্নয়ন ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে ইমামদের মাধ্যমে উদ্বুদ্ধকরণ’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেন, ‘মসজিদের খুতবায় জীবনঘনিষ্ঠ বিষয় তুলে ধরা প্রয়োজন। মানুষের জীবনে কাজে লাগতে পারে, এমন বিষয় খুতবায় প্রাধান্য দিলে জাতি উপকৃত হবে।’
ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, ‘ইমামদের কথা মানুষ শোনে, তাদের জনগণ সম্মান করে। কোরআন-হাদিসের আলোক সমসাময়িক বিষয়গুলো উপস্থাপন করলে মানুষ সেটা লুফে নেবে।’
খুতবায় অতীত ইতিহাস, ভিত্তিহীন ও বাস্তবতাবিবর্জিত কথাবার্তা পরিহার করার অনুরোধ জানিয়ে তিনি ইমামদের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি আয়বর্ধক কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত হওয়ার অনুরোধ জানান।
ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রণীত প্রাক-খুতবাকে ‘চমৎকার’ অভিহিত করে ড. খালিদ বলেন, ‘এ খুতবায় সন্ত্রাস, দুর্নীতি, মাদক, নারী নির্যাতন প্রতিরোধ, পিতা-মাতার প্রতি দায়িত্ব-কর্তব্যের মতো জীবনধর্মী ও সমসাময়িক বিষয়গুলো সন্নিবেশিত করা হয়েছে।’
জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ, বনায়ন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ প্রতিরোধ প্রভৃতি বিষয়ে আলেম-ওলামাদেরকে সোচ্চার ভূমিকা রাখার অনুরোধ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: ডিসিদের মতো এসপিদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছ: ধর্ম উপদেষ্টা
বিভাগীয় কমিশনার খান মো. রেজা-উন-নবীর সভাপতিত্বে সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা দেন সিলেট রেঞ্জ ডিআইজি মো. মুশফেকুর রহমান, মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মো. রেজাউল করিম ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রকল্প পরিচালক বজলুর রশীদ। অন্যান্যের মধ্যে ইসলামিক ফাউন্ডেশন সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক মহিউদ্দিন মজুমদার, দৈনিক জালালাবাদ পত্রিকার সম্পাদক মুকতাবিস-উন-নূর প্রমুখ বক্তব্য দেন।
এছাড়া সরকারি কর্মকর্তা, ইমাম, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার শতাধিক ব্যক্তি সেমিনারে অংশগ্রহণ করেন।
পরে উপদেষ্টা ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়ে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত বিভাগীয় ইমাম সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতা দেন এবং শ্রেষ্ঠ ইমামদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।
২৭ দিন আগে
রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ইমামরা প্রশিক্ষণের আওতায় আসছে: ধর্ম উপদেষ্টা
রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ইমামরা প্রশিক্ষণের আওতায় আসছে বলে জানিয়েছেন ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন। তিনি বলেন, এ প্রশিক্ষণে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমির প্রশিক্ষণ মডিউল অনুসরণ করা হবে। তুরস্কের আল মুয়াসসাসা দিয়ানা ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে এই প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এ প্রশিক্ষণ কার্যক্রম সমন্বয় ও তদারকির দায়িত্বে থাকবে ধর্ম মন্ত্রণালয়।
বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে ঢাকার বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে ইমাম মুয়াজ্জিন কল্যাণ ট্রাস্ট হতে নির্বাচিত ইমাম মুয়াজ্জিনদের মাঝে আর্থিক অনুদান ও সুদমুক্ত ঋণের চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় ধর্ম উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের অধীনে ইমাম মুয়াজ্জিন কল্যাণ ট্রাস্ট একটি সমাজবান্ধব ট্রাস্ট। এ ট্রাস্টের মাধ্যমে ইমাম-মুয়াজ্জিনদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে সুদমুক্ত ঋণ ও আর্থিক অনুদান প্রদান করা হয়। এ ট্রাস্টের মাধ্যমে একটি মিনারেল ওয়াটার প্লান্ট স্থাপনের বিষয়েও কাজ চলছে।
চলতি অর্থবছরে ইমাম-মুয়াজ্জিন কল্যাণ ট্রাস্ট হতে ৬০০ জন অস্বচ্ছল ও দরিদ্র ইমাম-মুয়াজ্জিনকে সুদমুক্ত ঋণ হিসেবে এক কোটি ৮০ লাখ টাকা প্রদান করা হবে।
আরও পড়ুন: ধর্ম উপদেষ্টার ‘ইসলামী বিধিবিধান’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন
এছাড়া, আর্থিক সাহায্য হিসেবে ৪ হাজার ৬২০ জন অসহায়-দরিদ্র ইমাম-মুয়াজ্জিনকে পাঁচ হাজার টাকা হারে দুই কোটি ৩১ লাখ টাকা প্রদান করা হবে।
বর্তমানে এ ট্রাস্টভুক্ত ইমাম ও মুয়াজ্জিনে সংখ্যা প্রায় ৮৪ হাজার। এ ট্রাস্টের মাধ্যমে কোন ইমাম বা মুয়াজ্জিন মারাত্মক দুর্ঘটনায় পঙ্গুত্ব, দুরারোগ্য ব্যাধি ইত্যাদি কারণে অক্ষম হয়ে পড়লে তাকে আর্থিক সাহায্য প্রদান করা হয়ে থাকে।
৩৪ দিন আগে
ধর্ম উপদেষ্টার ‘ইসলামী বিধিবিধান’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন
ঢাকা, ১৫ ফেব্রুয়ারি, (ইউএনবি)— ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন রচিত ‘ইসলামী বিধিবিধান’ গ্রন্থটির মোড়ক উন্মোচন করা হয়েছে। গ্রন্থটি বিশ্বকল্যাণ পাবলিকেশন্স থেকে প্রকাশিত হয়েছে।
শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর পুরানা পল্টনে ডিআর টাওয়ারে বইটির মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বইটির প্রকাশক মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম। এই বইয়ে চারটি অধ্যায়ে কুরআন হাদিসের আলোকে ইমান, ইবাদত, মুআমালাত ও মুআশারাতের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াবলি সন্নিবেশিত হয়েছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ এবং মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক ই আজম বীর প্রতীক। সভাপতিত্ব করেন ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপদেষ্টা ফারুক ই আজম বলেন, “কুরআন হাদিসের দালিলিক প্রমাণসহ শরিয়তের নানা বিষয় ‘ইসলামী বিধিবিধান’ গ্রন্থে সন্নিবেশিত হয়েছে। এ বইটি শরিয়তের আকিদা ও অনুসরণযোগ্য নিয়মনীতি বিষয়ে সমাজে প্রচলিত প্রশ্ন, বিভেদ ও বিভক্তি নিরসনে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।”
বইটির পাঠকপ্রিয়তা ও বহুল প্রচার কামনা করে তিনি বইটিকে ডিজিটাল ফর্মেও প্রকাশের পরামর্শ দেন। ধর্মীয় কোনো বিষয়ে প্রশ্নের উদয় হলে তাৎক্ষণিকভাবে সেটির সমাধান যেন এই বই থেকেই পাঠক খুঁজে পেতে পারে, সে বিষয়ে প্রকাশককে ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ জানান মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টা।
আরও পড়ুন: আমানুল্লাহ খানের প্রিয় বইয়ের নতুন ঠিকানা এইউবির পাঠাগার
সভাপতির বক্তব্যে ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, ‘কুরআন হাদিসের আলোকে ইসলামী শরিয়তের বিভিন্ন বিষয় বইটিতে তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে। মতপার্থক্য তৈরি করতে পারে—এরূপ বিষয়গুলো পরিহার করার প্রয়াস চালানো হয়েছে।’
বইটি সংক্ষিপ্ত কলেবরে প্রকাশ করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বইটির পরবর্তী সংস্করণে মাসলা-মাসায়েলগুলো আরও বিশদভাবে তুলে ধরার আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এ সময় বইটি প্রকাশের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান উপদেষ্টা।
ধর্ম উপদেষ্টার সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান, ইসলামী আরবী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মো. শামছুল আলম, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক আ. ছালাম খান, দৈনিক নয়া দিগন্তের জ্যেষ্ঠ সহ-সম্পাদক মাওলানা লিয়াকত আলী, কবি ও গবেষক মুসা আল হাফিজ, আবেদ হোল্ডিংস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবু খালিদ মো. বরকত উল্লাহ প্রমুখ।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ধর্ম উপদেষ্টার একান্ত সচিব ছাদেক আহমদ, ফাস্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবু রেজা ইয়াহিয়া ও নাজমুল হক মদিনাতুল জামিয়া আরাবিয়া কামিল মাদ্রাসার উপাধ্যক্ষ শেখ লোকমান হোসেন প্রমুখ।
৩৮ দিন আগে
কোনো অবস্থাতেই হজ চুক্তির সময় আর বাড়ানো হবে না: ধর্ম উপদেষ্টা
কোনো অবস্থাতেই হজ চুক্তির সময় আর বাড়ানো হবে না বলে জানিয়েছেন ধর্মবিষয়ক উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন। তিনি বলেন, ‘আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সৌদি সরকারের পক্ষ থেকে হজ সেবাদানকারী কোম্পানির সঙ্গে সকল চুক্তি সম্পন্ন করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘চুক্তি সম্পন্ন করতে মাত্র ৪ দিন বাকি থাকলেও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় নিবন্ধন করা প্রায় অর্ধেক হজযাত্রীর চুক্তি এখনও সম্পন্ন করা হয়নি। যদি কারও চুক্তি সম্পন্ন না হয়; তার দায় সৌদি সরকার নেবে না, ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ও নেবে না। দায় এজেন্সিকে নিতে হবে।’
সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলন করে এ তথ্য জানান খালিদ হোসেন। তিনি বলেন, ‘হজের জন্য ৮৭ হাজার ১০০ জন নিবন্ধন করেছেন। সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৫ হাজার ২০০ জন ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৮১ হাজার ৯০০ জন নিবন্ধন করেছেন। সরকারি ব্যবস্থাপনায় নিবন্ধনকারীদের সকল চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে। বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় নিবন্ধনকারীদের ক্ষেত্রে অনেক এজেন্সি চুক্তি সম্পন্ন করতে ধীরগতি দেখা যাচ্ছে। এছাড়া বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৪৫ হাজার হজযাত্রীর চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে।’
ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, ‘বেসরকারি এজেন্সিগুলোও তাদের অধীনে নিবন্ধিত হজযাত্রীদের জন্য সৌদি সরকারের গাইডলাইন অনুসারে কাজ করে যাচ্ছেন। অনেকের কার্যক্রম বেশ সন্তোষজনক, আবার অনেকে ধীর গতিতে চলছেন।’
আরও পড়ুন: আলেমরা উদ্যোক্তা হলে দেশের চেহারা পাল্টে যাবে: ধর্ম উপদেষ্টা
সৌদি সরকারের পক্ষ থেকে হজ সেবাদানকারী কোম্পানির সঙ্গে ১৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সব চুক্তি সম্পাদনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে ও এই ডেডলাইনের মধ্যে তাদের পক্ষ থেকে সব চুক্তি সম্পন্ন করার জন্য তাগিদ দিচ্ছেন বলে জানান আ ফ ম খালিদ হোসেন।
তিনি আরও বলেন, সৌদি হজ ও উমরাহ মন্ত্রণালয় হতে গতকালও (রবিবার) আমাদেরকে একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা পাঠানো হয়েছে, যেখানে বলা হয়েছে চুক্তি সম্পাদনের গতি খুবই কম ও অনেকক্ষেত্রে তেমন কোনো অগ্রগতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। ডেডলাইন ১৪ ফেব্রুয়ারি ও এটা কোনোভাবেই বাড়ানো হবে না। বাংলাদেশ হতে হজের জন্য নিবন্ধিত কোনো ভাই বা বোন যাতে হজব্রত পালন করা হতে বঞ্চিত না হয় সে বিষয়ে আমাদেরকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করেছেন।
খালিদ হোসেন বলেন, হজ সার্ভিস কোম্পানির সঙ্গে ১৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে চুক্তি সম্পাদনের বিষয়টি গত বছরের ২৩ অক্টোবর সৌদি হজ ও উমরাহ মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়। পরবর্তীতে আরও কয়েকবার পত্র মারফত আমাদেরকে এ বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে ও সে মোতাবেক আমাদের মন্ত্রণালয় থেকে সংশ্লিষ্ট এজেন্সিগুলোকে জানানো হয়েছে।’
তিনি বলেন, আমাদের মন্ত্রণালয় থেকে বিষয়গুলো সার্বক্ষণিক তদারকি করা হচ্ছে। আমরা গতকালই এজেন্সিদেরকে তাগিদপত্র দিয়েছি। সোমবার সকালেও সংশ্লিষ্ট এজেন্সি মালিক/পরিচালকদের সঙ্গে সভা করেছি। তাদেরকে ১৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সকল চুক্তি সম্পাদনের জন্য বলা হয়েছে।
সৌদি সরকারের বেঁধে দেওয়া সময় ১৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে কি কি চুক্তি করতে হবে সে তথ্য জানান উপদেষ্টা। এর মধ্যে রয়েছে— মিনায় ও আরাফায় তাঁবু ও ক্যাটারিংয়ের জন্য সার্ভিস কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি। বাড়ি/হোটেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে চুক্তি। পরিবহন কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি। ক্যাটারিং নিতে আগ্রহী হলে ক্যটারিং সেবাদানকারি কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি।
আরও পড়ুন: নাশকতাকারী কোনোভাবেই দেশপ্রেমিক হতে পারে না: ধর্ম উপদেষ্টা
এজেন্সির অবহেলায় কোনো হজযাত্রী হজ করতে না পারলে এজেন্সির বিরুদ্ধে কি ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে? এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘এজেন্সির লাইসেন্স বাতিল তো হবেই। আর্থিক জরিমানা করা হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘হজ ও উমরাহ বিধিমালা ২০২২-এ সরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রীদের জন্য বাড়িভাড়া করার লক্ষ্যে ধর্ম সচিবের নেতৃত্বে ১২ সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি রয়েছে। এ কমিটি প্রয়োজনে সদস্য কো-অপ্ট করতে পারে। এ বছর এই কমিটিতে সৌদি আরবে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের ২ জন ও জেদ্দা কনস্যুলেটের ২ জন প্রতিনিধি কো-অপ্ট করা হয়। এদের মধ্যে সৌদি দূতাবাসের ডিফেন্স এটাশে ও জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিও ছিলেন।’
৪৩ দিন আগে
আলেমরা উদ্যোক্তা হলে দেশের চেহারা পাল্টে যাবে: ধর্ম উপদেষ্টা
ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, আলেমরা উদ্যোক্তা হলে দেশের চেহারা পাল্টে যাবে। জাতির উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে; রাষ্ট্রে সমৃদ্ধি আসবে।
বুধবার (২৯ জানুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে চীনমৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে কওমি উদ্যোক্তা সম্মেলন ২০২৫-এ প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, উদ্যোক্তা তৈরির প্রয়াস আমাদের রাষ্ট্রীয় জীবনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। বিশেষ করে আলেমদের এরূপ উদ্যোগ আরও বেশি প্রশংসনীয়। তাদের মধ্যে যেহেতু আল্লাহ-ভীতি আছে, সে কারণে তারা ব্যবসার ক্ষেত্রে কোনরূপ অনৈতিক পন্থা অবলম্বন করবেন না। তারা পণ্যে ভেজাল দেবেন না, ওজনে কম দেবেন না, পরিমাণেও কম দেবেন না। এর ফলে বাজারে বিশুদ্ধ খাদ্যদ্রব্য ও খাঁটি পণ্য পাওয়া যাবে।
তিনি বলেন, উন্নয়নের জন্য প্রয়োজন উদ্যোগ। উদ্যোগ গ্রহণের জন্য প্রয়োজন অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করা। অনুকূল পরিবেশ ছাড়া উদ্যোক্তা তৈরি হয় না। উদ্যোক্তা তৈরির জন্য সরকারি ও বেসরকারি প্রয়াস নিতে হবে।
উদ্যোক্তা তৈরির সুবিধাসমূহ তুলে ধরে উপদেষ্টা বলেন, কোনো উদ্যোক্তা সফল হলে প্রথমত ব্যক্তির লাভ, এরপরে সমষ্টিগত লাভ; সমাজ ও দেশের লাভ। উদ্যোক্তা তৈরি হলে মানুষের অলস অর্থ বিনিয়োগ হয়। এর ফলে বাজারে তারল্যসংকট দূরীভূত হয় এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়। এছাড়া, প্রতিযোগিতামূলক বাজার গড়ে ওঠে এবং বাজারে গুণগতমানের পণ্যের সমাহার ঘটে।
আরও পড়ুন: নাশকতাকারী কোনোভাবেই দেশপ্রেমিক হতে পারে না: ধর্ম উপদেষ্টা
হাদিসের উদ্ধৃতি দিয়ে উপদেষ্টা আরও বলেন, বৈধ অর্থ আয়ের যে ১০টি পথ আছে, তার ৯টিই হলো ব্যবসা। টাকা আয় করতে হবে বৈধ পথে। যেনতেনভাবে টাকা আয়ের চিন্তা-ভাবনা পরিহার করতে হবে।
টাকার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে ড. খালিদ বলেন, টাকা থাকা ভালো। আর্থিক স্বচ্ছলতা থাকলে হজ ও জাকাতের মতো ফরজ ইবাদত সম্পাদন করা যায়। আর্থিক দীনতা মানুষের স্বভাব নষ্ট করে দেয় এবং মানুষ অপরাধমূলক কার্যকলাপে জড়িয়ে পড়ে। এ কারণে আর্থিক স্বচ্ছলতা অর্জনে সবাইকে উদ্যোগী হতে হবে।
কওমি উদ্যোক্তার প্রতিষ্ঠাতা মাওলানা রোকন রাইয়ানের সভাপতিত্বে সম্মেলনে রহিম আফরোজ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিয়াজ রহিম, বিশিষ্ট লেখক ও গবেষক মাওলানা শরীফ মুহাম্মদ, আইএফএ কনসালটেন্সির সহ-প্রতিষ্ঠাতা ড. মুফতি ইউসুফ সুলতান, কওমি উদ্যোক্তার সহ-প্রতিষ্ঠাতা মুমিনুল ইসলাম প্রমুখ বক্তব্য দেন।
অনলাইন টেক অ্যাকাডেমির পৃষ্ঠপোষকতায় দিনব্যাপী এ সম্মেলনে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কওমি ঘরানার দুই সহস্রাধিক আলেম উদ্যোক্তা অংশগ্রহণ করেন।
৫৫ দিন আগে
নাশকতাকারী কোনোভাবেই দেশপ্রেমিক হতে পারে না: ধর্ম উপদেষ্টা
ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর একের পর এক চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছে। নানামুখী আন্দোলন-সংগ্রাম ও নাশকতার মাধ্যমে সরকারের পথযাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করা হচ্ছে। এমন নাশকতাকারীরা কোনোভাবেই দেশপ্রেমিক হতে পারে না।
শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) বিকালে চট্টগ্রামের লালখান বাজারে জামেয়াতুল উলুম মাদ্রাসা মাঠে মরহুম ড. জামাল নজরুল ইসলামের স্মরণসভায় তিনি এসব কথা বলেন। মরহুম ড. জামাল নজরুল ইসলাম স্মৃতি সংসদ এ স্মরণসভার আয়োজন করে।
ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, ‘সরকার দায়িত্ব নেওয়ার প্রায় ৫ মাস অতিক্রান্ত হতে যাচ্ছে। এই সময়ে প্রতি মাসেই কোনো না কোনো নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড চালানো হয়েছে। এই সময়ে সচিবালয় ঘেরাও করা হয়েছে। এছাড়া সাম্প্রদায়িক বিষবাষ্প ছড়ানো ও পাহাড়ি-বাঙালি সংঘাত উস্কে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। এমনকি প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র সচিবালয়ে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে।’
‘কিন্তু সরকার সব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে সামনে এগিয়ে যাচ্ছে। এ সরকারের ব্যর্থ হওয়ার কোনো আশঙ্কা নেই। এই সরকার ব্যর্থ হলে অমানিশা নেমে আসবে। তাই দেশ ও জাতির কল্যাণে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’
নাশকতাকারীদের প্রতি হুশিয়ারি উচ্চারণ করে তিনি বলেন, ‘নাশকতাকারীদেরকে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ইতোমধ্যে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ তদন্তে যারা দোষী প্রমাণিত হবে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
ড. জামাল নজরুল ইসলামের স্মৃতিচারণ করে উপদেষ্টা বলেন, ‘তিনি অত্যন্ত সজ্জন, বিনয়ী ও সরল প্রকৃতির মানুষ ছিলেন। মাদ্রাসার প্রতিও তার গভীর অনুরাগ ছিল। তিনি এই জামেয়াতুল উলুম লালখান বাজার মাদরাসা প্রতিষ্ঠার জন্য ৩০ বিঘা জমি দান করে গেছেন। তার এ অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ড. জামাল নজরুল ইসলাম ছিলেন একজন নির্মোহ দেশপ্রেমিক। তিনি কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চ বেতনের চাকরি ত্যাগ করে দেশে ফিরে এসে মাত্র আড়াই হাজার টাকা বেতনে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে গণিত বিভাগে অধ্যাপক হিসেবে যোগদান করেন।’
এ সময় তিনি ড. জামাল নজরুলে রুহের মাগফেরাত কামনা করেন। এছাড়া, ড. জামাল নজরুল ইসলামকে নিয়ে স্মৃতিচারণমূলক স্মারকগ্রন্থ প্রকাশের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন উপদেষ্টা।
আরও পড়ুন: গত ১৫ বছরের নির্বাচন স্পষ্ট প্রহসন: ধর্ম উপদেষ্টা
জামেয়াতুল উলুম লালখান বাজার মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা মহাপরিচালক মুফতি মুহাম্মদ ইজহারুল ইসলাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ডা. শাহাদত হোসাইন।
অনুষ্ঠানে ইরান দূতাবাসের কালচারাল কাউন্সিলর সৈয়দ রেজা মীর মোহাম্মদী, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মোহাম্মদ ইয়াহিয়া আখতার প্রমূখ বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে, চট্টগ্রাম মহানগরে কল্পলোক আবাসিক এলাকায় জেলা মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র পরিদর্শন করেন উপদেষ্টা। এ সময় উপদেষ্টার একান্ত সচিব ছাদেক আহমদ ও ইসলামিক ফাউন্ডেশন চট্টগ্রামের বিভাগীয় পরিচালক বোরহান উদ্দিন মো. আবু আহসান উপস্থিত ছিলেন।
৮৮ দিন আগে
গত ১৫ বছরের নির্বাচন স্পষ্ট প্রহসন: ধর্ম উপদেষ্টা
ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশে যত নির্বাচন হয়েছে, তার মধ্যে দুয়েকটা ছাড়া অন্যগুলোর স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন থেকে যায়। বিশেষ করে বিগত ১৫ বছরের নির্বাচন ছিল স্পষ্ট প্রহসন।
মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে ইসলামিক ফাউন্ডেশন আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, ‘গত ১৫ বছরে নির্বাচনের নামে যেটা হয়েছে সেগুলোকে নির্বাচন বলা যায় না। এসব নির্বাচন নিয়ে জনগণের কোনো আগ্রহ ছিল না। নির্বাচন ব্যবস্থা পুরোপুরি ধ্বংস করা হয়েছে। আমরা যে লক্ষ্যে স্বাধীনতা অর্জন করেছি তা পূরণ হয়নি। গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘এ দেশে আয়না ঘর তৈরি হয়েছে, মানুষকে গুম ও খুন করা হয়েছে। এদের অনেকের হদিস পর্যন্ত মেলেনি। বিরোধী মতকে বিভৎসরূপে দমন করা হয়েছে। একটি গণতান্ত্রিক ও স্বাধীন রাষ্ট্রে এটা কেবল দুঃখজনকই নয়, লজ্জাজনকও বটে।’
আরও পড়ুন: একটি গোষ্ঠী ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের অপচেষ্টা করছে: ধর্ম উপদেষ্টা
‘একটি দেশের ব্যাংকগুলোকে ধ্বংস করে রাষ্ট্রকে দেউলিয়া করার মতো কাজ যারা করে, তারা দেশপ্রেমিক হওয়ার যোগ্য নন।’
বিজয়ের গুরুত্ব ও তাৎপর্য তুলে ধরে ড. খালিদ বলেন, ‘আমাদের জাতীয় জীবনে মহান বিজয় দিবস অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ও গুরুত্ববহ। অসংখ্য প্রাণ ও বহু মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে এই বিজয় অর্জিত হয়েছে। এর পেছনে বহু ত্যাগ-তিতীক্ষা ও সংগ্রামের গৌরবময় ইতিহাস রয়েছে। একটি কল্যাণমূখী, বৈষম্যহীন ও ইনসাফভিত্তিক রাষ্ট্র গঠন এবং গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠানিক রূপদানের জন্যই এই বিজয় অর্জিত হয়। কিন্তু আপসোসের বিষয় হলো, দীর্ঘ পথ পরিক্রমার পরও আমাদের কাঙ্ক্ষিত সেই স্বপ্ন অনেকাংশেই পূরণ হয়নি।’
সবাইকে দেশপ্রেমে উজ্জীবিত হয়ে স্বাধীনতার স্বপ্নপূরণে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান উপদেষ্টা।
তিনি আরও বলেন, ‘এত মানুষ যে কারণে সংগ্রাম চালাল, যুদ্ধ করল ও প্রাণ দিল, তাদের এই আত্মত্যাগ সার্থক হবে, যদি আমরা স্বাধীনতার লক্ষ্য পানে এগিয়ে যেতে পারি। একটি কল্যাণকামী রাষ্ট্র গঠন ও গণতন্ত্রের প্রাতিষ্ঠানিক রূপায়নের প্রয়াস সফল হলেই শহিদদের আত্মা শান্তি পাবে।’
এ সময় তিনি ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সর্বোচ্চ পেশাদারত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে দেশ গঠনে ভূমিকা রাখার অনুরোধ জানান।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক মো. সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম প্রকল্পের পরিচালক মো. শফিউল আলম, উপদেষ্টার একান্ত সচিব ছাদেক আহমদ, ইফার দ্বীনি দাওয়াত বিভাগের পরিচালক মো. তৌহিদুল আনোয়ার প্রমুখ বক্তব্য দেন।
অনুষ্ঠানে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পরিচালক, উপপরিচালকসহ অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানের শেষে মহান মুক্তিযুদ্ধ ও জুলাই বিপ্লবে শহিদদের রুহের মাগফেরাত এবং দেশ-জাতির উন্নয়ন, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি কামনা করে মোনাজাত করা হয়।
আরও পড়ুন: ধর্ম উপদেষ্টার সঙ্গে আলজেরিয়ার রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
৯৮ দিন আগে
একটি গোষ্ঠী ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের অপচেষ্টা করছে: ধর্ম উপদেষ্টা
ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, দেশের ভিতরে ও বাইরে একটি গোষ্ঠী আমাদের সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতিকে বিনষ্ট করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করার চেষ্টা চালাচ্ছে। দেশবাসীকে সঙ্গে নিয়ে সকল ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করা হবে। কোন ষড়যন্ত্র সফল হতে দেওয়া হবে না।
তিনি বলেন, ব্যক্তি হোক কিংবা গোষ্ঠীই হোক, যারা চক্রান্ত করবে সরকার তদন্তের মাধ্যমে তাদের বিচারের মুখোমুখি দাঁড় করাবে। ফৌজদারি অপরাধের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিচারের মাধ্যমে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে বলে জানান ধর্ম উপদেষ্টা।
শনিবার (৩০ নভেম্বর) ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (আইডিইবি)’র মাল্টিপারপাস হলে বাউফল ফাউন্ডেশন ঢাকা আয়োজিত গুণীজন ও কৃতি শিক্ষার্থী সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশকে বৈচিত্র্যময় দেশ হিসেবে অভিহিত করে ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, আমাদের এই প্রিয় মাতৃভূমিতে নানা ধর্ম-বর্ণ ও সম্প্রদায়ের মানুষের বসবাস। তাই সাংবিধানিকভাবে সবার অধিকার সমান। সব ধর্মের মানুষ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্যদিয়ে ধর্মচর্চা, প্রচার ও পালন করে আসছে এবং আগামীতেও নির্বিঘ্নে ধর্ম পালন করে যাবে বলেও জানান ধর্ম উপদেষ্টা।
ধর্ম উপদেষ্টা আরও বলেন, দেশ যেখানে দাঁড়িয়ে আছে তার পেছনে গুনীজনদের অবদান অনস্বীকার্য। অতীতে বাউফল থানার গুনীজনেরা জাতি গঠনে বিশেষ ভূমিকা পালন করেছে। আগামী দিনেও বাঙালি জাতিসত্তার বিকাশে বাউফল থানা থেকে আরও বেশি গুণীজন তৈরি হবে।
আরও পড়ুন: ধর্ম উপদেষ্টার সঙ্গে আলজেরিয়ার রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
সরকার নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচনের যে তারিখ ঘোষণা দেবেন সেই তারিখে নির্বাচন হবে। এছাড়া ১৫ থেকে ১৬ বছর পর জনগণ তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারবে বলে জানান আ ফ ম খালিদ হোসেন।
আ ফ ম খালিদ হোসেন আরও বলেন, এরই মধ্যে নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠিত হয়েছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার শপথ নিয়েছেন। এরপর ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা হবে। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
তিনি বলেন, ভোটের সংস্কৃতি বিলুপ্ত হয়ে গেছে এবং রাজনৈতিক সংস্কৃতিও হারিয়ে ফেলেছিলাম। এই সংস্কৃতিকে আমরা ফিরিয়ে আনতে চাই। জনগণ যাদের নির্বাচিত করবে তাদের হাতে দায়িত্ব হস্তান্তর করে বিদায় নেব।
আগামীতে যারা রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বে আসবেন তাদের পথ আমরা সুগম করে যাব বলেও জানান ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন।
উল্লেখ্য, এ অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ২০ জন গুণী ব্যক্তি, ১২০ জন গুণী শিক্ষার্থী ও ৬ জন শহীদ পরিবারকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
বাউফল ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন সাবেক যুগ্মসচিব রফিকুল ইসলাম ও আব্দুল হক।
পরে উপদেষ্টা উত্তর যাত্রাবাড়ীতে বাংলাদেশ জমিয়তে আহলে হাদীসের কেন্দ্রীয় কার্যালয় এবং মাদরাসা মুহাম্মাদীয়া আরাবিয়া পরিদর্শন করেন।
আরও পড়ুন: ইসলাম ধর্মকে নিয়ে কোনো হীন চক্রান্ত দেশে সফল হবে না: ধর্ম উপদেষ্টা
১১৫ দিন আগে