পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
জাতিসংঘের তদন্তে কোনো হস্তক্ষেপ করব না: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশনের তদন্তে বাংলাদেশ কোনো হস্তক্ষেপ করবে না বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা চাই সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ একটা তদন্ত হোক। আমরা কোনো হস্তক্ষেপ করব না। তারা তদন্তের কাজে কোথাও গেলে, সেখানকার নিরাপত্তার ব্যবস্থা বা থাকার ব্যবস্থা করতে হলে, সেসব লজিস্টিকস সহযোগিতা করতে আমরা রাজি আছি। এটি তাদের বলেছি।’
মঙ্গলবার বিকালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশনের তদন্তকাজ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: এটি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে 'অর্থবহ সম্পর্কের' ভিত্তি: পররাষ্ট্র সচিব
জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশন সরকারের কাছে কোনো সহযোগিতা চেয়েছে কি না প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, এখনো তারা সহযোগিতার বিষয়ে কিছু বলেনি। তারা নিজেরাই সবকিছু আয়োজন করতে পারবে বলে মনে করছে। প্রয়োজন হলে তারা আমাদের জানাবে।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে কোন স্ট্যাটাসে আছেন, তা অফিসিয়ালি জানা গেছে কি না-এমন প্রশ্নের জবাবে তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানি না। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রথমে যেটুকু বলেছিলেন, তিনি (শেখ হাসিনা) এসেছেন, খুব তাড়াতাড়ি তাকে আসতে দিতে হয়েছে- সেটুকুই আমরা জানি।
শেখ হাসিনা কী স্ট্যাটাসে ভারতে রয়েছেন, তা জানতে চাওয়া হয়েছে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, ‘এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে জানতে চাওয়া হয়নি।’
পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর শেখ হাসিনা কোন প্রক্রিয়ায় ভারতে অবস্থান করবেন- জানতে চাইলে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, সবকিছু শুধু আইন দিয়ে চলে না। ভারত সরকার তাকে আশ্রয় দিয়েছে, তিনি সেখানে থাকছেন; আমাদের এটা সেভাবেই দেখতে হবে।
এর আগে সকালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে উপদেষ্টার সঙ্গে আলাদা সাক্ষাথৎ করেন, ঢাকায় নিযুক্ত মালদ্বীপের হাইকমিশনার শিউনিন রাশীদ এবং ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন অব মাইগ্রেশনের (আইওএম) বাংলাদেশ মিশন প্রধান আব্দুসাত্তার ইসোয়েভ।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ সীমান্ত হত্যার প্রতিবাদের ভাষাকে আরও ‘শক্তিশালী’ করেছে: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
রাষ্ট্রপতির নাগরিকত্বের বিষয়ে যা বললেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
বাংলাদেশ সীমান্ত হত্যার প্রতিবাদের ভাষাকে আরও ‘শক্তিশালী’ করেছে: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছেন, সাম্প্রতিক সীমান্ত হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে বাংলাদেশ প্রতিবাদের ভাষাকে আরও শক্তিশালী করেছে এবং এ ধরনের কর্মকাণ্ডের স্পষ্টভাবে নিন্দা জানিয়েছে।
সাম্প্রতিক সীমান্ত হত্যাকাণ্ড নিয়ে মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা আমাদের প্রতিবাদের ভাষাকে আরও শক্তিশালী করেছি। আমরা প্রতি মুহূর্তে যা বলছি তা খুবই স্পর্শকাতর একটি বিষয়। আমরা আশা করি ভারত বিষয়টি বিবেচনায় নেবে।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক জনকেন্দ্রিক হোক: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা হোসেন সীমান্ত হত্যা বন্ধে বাংলাদেশের আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, দুই দেশের স্বার্থে এই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসা দরকার। কারণ এতে কোনো লাভ হয় না, বরং সম্পর্কের ওপর এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।
তিনি বলেন, ‘আমরা তাদের পরিষ্কারভাবে বলেছি, আমরা এই ঘটনার নিন্দা জানাই। এসব ঘটনা বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের ক্ষেত্রে খুবই নেতিবাচক ভূমিকা রাখছে। আমি কখনও কাউকে বলতে শুনিনি যে এটি ভারতের জন্য সুফল বয়ে আনে।’
বাংলাদেশ সরকার এর আগে ভারত সরকারকে এ ধরনের 'জঘন্য কর্মকাণ্ডের' পুনরাবৃত্তি বন্ধ করতে এবং সীমান্ত হত্যাকাণ্ডের তদন্তের মাধ্যমে দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনার আহ্বান জানিয়েছে।
মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার স্বর্ণা দাস (১৩) নামে এক কিশোরী ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে নিহত হওয়ার ঘটনায় গত ১ সেপ্টেম্বর ভারত সরকারের কাছে আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদ জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
আজ ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনে পাঠানো প্রতিবাদলিপিতে বাংলাদেশ এ ধরনের নির্মম ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে এবং এ ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতির নাগরিকত্বের বিষয়ে যা বললেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
বাংলাদেশ সরকার স্মরণ করিয়ে দিয়েছে যে, সীমান্ত হত্যার এ ধরনের ঘটনা অনাকাঙ্ক্ষিত ও প্রত্যাশিত এবং এ ধরনের কর্মকাণ্ড সীমান্ত কর্তৃপক্ষের জন্য যৌথ ভারত-বাংলাদেশ নির্দেশিকা, ১৯৭৫ এর বিধানের লঙ্ঘন।
ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা মঙ্গলবার তার কার্যালয়ে নবনিযুক্ত পররাষ্ট্র সচিব জসিম উদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনা করেন।
এর আগে সোমবার পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সুসম্পর্ক গড়ে তোলার ক্ষেত্রে সীমান্ত হত্যা অবশ্যই একটি বাধা।
তিনি বলেন, সীমান্তে একজন মানুষ নিহত হলে সারা দেশে প্রতিক্রিয়া হয়।
উপদেষ্টা বলেন,‘এটি একটি নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া, যা আমরা চাই না।’
এদিকে ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে আরও এক বাংলাদেশি যুবক নিহত হয়েছেন।
এসময় আহত হয়েছেন- উপজেলার ফকির ভিটা গ্রামের জয়ন্ত কুমার সিংহ (১৫), জয়ন্তর বাবা মহাদেব কুমার সিংহ ও ফকির ভিটা গ্রামের বাংদু মোহাম্মদ।
আরও পড়ুন: ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে যুদ্ধের আশঙ্কা নেই: রাজনাথের মন্তব্য প্রসঙ্গে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
আহতরা রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন জানিয়ে তিনি বলেন, বিএসএফ সদস্যরা যুবকের লাশ নিয়ে গেছে।
সীমান্ত হত্যা অগ্রহণযোগ্য উল্লেখ করে হোসেন বলেন, সীমান্ত হত্যা এমন সময়ে ঘটেছে যখন বলা হচ্ছে দুই দেশ একটি সোনালী অধ্যায়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে এবং এই ধারায় কোনো পরিবর্তন হয়নি।
রাষ্ট্রপতির নাগরিকত্বের বিষয়ে যা বললেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছেন, রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সম্ভাব্য দ্বৈত নাগরিকত্বের বিষয়টি অত্যন্ত ‘স্পর্শকাতার’। এটি রাষ্ট্রপতির বিষয় এবং এ জাতীয় জল্পনা-কল্পনার বিষয়ে তার কিছু বলার নেই।
সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা খুবই স্পর্শকাতর বিষয়।
আরও পড়ুন: আড়িয়াল বিল দখলমুক্ত করতে কঠোর পদক্ষেপের নির্দেশ পানিসম্পদ উপদেষ্টার
উপদেষ্টা বলেন, অনুমানের ভিত্তিতে তিনি এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য চাইবেন না। ‘আমি কিছু বলতে পারব না।’
তিনি বলেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যদি এর সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়, তাহলে তা হবে শেষ পর্যায়ে।
তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘কিন্তু আমি এটা নিয়ে কথা বলতে চাই না। এর একটি আইনগত দিক রয়েছে এবং রাষ্ট্রপতির নিজস্ব বিষয় রয়েছে। এটা আমার কাজ নয়।’
এ বিষয়ে আরও চাপ দেওয়া হলে উপদেষ্টা সাংবাদিকদের আইন উপদেষ্টার সঙ্গে কথা বলতে বলেন, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বিষয়টি খতিয়ে দেখতে পারে।
আরও পড়ুন: ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের ১৪ সেপ্টেম্বর সম্মান জানাবে সরকার: উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হতাহতের তথ্যভাণ্ডার তৈরির কাজ চূড়ান্ত পর্যায়ে: উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ
অধ্যাপক ইউনূস জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যোগ দেবেন: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৯তম অধিবেশনে ছোট ও কার্যকরী একটি প্রতিনিধি দল নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস যোগ দেবেন বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, 'তিনি (সিএ) বড় প্রতিনিধি দলের পরিবর্তে একটি ছোট প্রতিনিধি দল সঙ্গে নেবেন।’
উপদেষ্টা বলেন, প্রধান উপদেষ্টা সেখানে তার কাজ সম্পন্ন করে যত দ্রুত সম্ভব দেশে ফিরে আসতে চান।
আরও পড়ুন: অধ্যাপক ইউনূসকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর ফোন, অর্থনৈতিক সহযোগিতা বাড়ানোর আগ্রহ প্রকাশ
হোসেন বলেন, শুধুমাত্র ইউএনজিএ-তে সরাসরি দায়িত্বপ্রাপ্তরাই প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে যাবেন।
তবে সফরের সুনির্দিষ্ট তারিখ ও সময়কাল এখনো চূড়ান্ত হয়নি বলে জানান তিনি।
রবিবার পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, সাইডলাইনে কিছু বৈঠক হতে পারে, তবে নিউইয়র্কে তার সীমিত অবস্থানের কারণে পরিধিও সীমিত হবে।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৯তম অধিবেশন আগামী ১০ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার শুরু হবে। উচ্চ পর্যায়ের সাধারণ আলোচনা শুরু হবে ২৪ সেপ্টেম্বর।
চলতি বছরের সামিট অব দ্য ফিউচার অনুষ্ঠিত হবে ২২ ও ২৩ সেপ্টেম্বর। আমাদের আন্তর্জাতিক ব্যবস্থা কীভাবে বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের চাহিদা আরও ভালভাবে মেটাতে পারে তা নির্ধারণের জন্য এই ধরনের প্রথম শীর্ষ সম্মেলনটি সব বয়সের নেতা, শুভাকাঙ্ক্ষী এবং কর্মীদের একত্রিত করবে।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৯তম অধিবেশনে প্রধান উপদেষ্টার অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক বিশেষজ্ঞ মাইকেল কুগেলম্যান এর আগে বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী ও স্থিতিশীল করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় কোন কোন ক্ষেত্রে সহায়ক হতে পারে সেসব বিষয়ে তার সরকারের অর্থনৈতিক পরিকল্পনা বিনিময়ের জন্য এটি একটি বড় সুযোগ।
ওয়াশিংটন ডিসির উইলসন সেন্টারের সাউথ এশিয়া ইনস্টিটিউটের পরিচালক কুগেলম্যান রাইট টু ফ্রিডম-আরটুএফ আয়োজিত এক ওয়েবিনারে বলেন, 'যদি তিনি তা করেন(অধিবেশনে যোগ দেন), তাহলে তিনি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে নিউইয়র্কে সবচেয়ে বড় বৈশ্বিক প্ল্যাটফর্মে বক্তব্য দেবার সুযোগ পাবেন।’
এর ফলে অধ্যাপক ইউনূস বেশ কিছু কাজ করতে পারতেন, বেশ কিছু কথা তিনি বলতে পারতেন বলেও উল্লেখ করেছিলেন কুগেলম্যান।
তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, সর্বোপরি তার উচিত দেশ পরিচালনার জন্য একটি দৃষ্টিভঙ্গি, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের লক্ষ্য, সংস্কারের জন্য তার পরিকল্পনা এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য তার প্রচেষ্টাগুলো তুলে ধরা।’
আরও পড়ুন: চলতি মাসে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দেবেন ইউনূস: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
ইউএনজি’র ৭৯তম অধিবেশন ড. ইউনূসের সরকারের জন্য বড় সুযোগ: কুগেলম্যান
আদালত চাইলে শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা হবে: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
দেশের বিচার বিভাগ থেকে নির্দেশনা পেলে শেখ হাসিনাকে ভারত থেকে দেশে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। তিনি বলেছেন, ‘আমাকে দেশের আইন-আদালত যদি তাকে (শেখ হাসিনা) ফেরত আনার ব্যবস্থা করতে বলে, তাহলে সে ব্যবস্থা করার চেষ্টা করব।’
রোববার (১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে শেখ হাসিনাকে ভারতে থেকে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: চলতি মাসে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দেবেন ইউনূস: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
মো. তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘তবে ভারত ফেরত দেবে কিনা সেটা তাদের ব্যাপার। তাদের সঙ্গে আমাদের চুক্তি আছে, সে অনুযায়ী ভারত চাইলে ফেরত দিতে পারার কথা। তবে সে দেশেও লিগ্যাল প্রসেস (আইনি প্রক্রিয়া) আছে এবং সেই অনুযায়ীই ফেরত আনার চেষ্টা করতে হবে।’
শেখ হাসিনার লাল পাসপোর্ট বাতিল হওয়ার পর এখন তিনি ঠিক কী হিসেবে বা কোন স্ট্যাটাসে ভারতে আছেন- এ প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘এ বিষয়ে ভারতকে জিজ্ঞাসা করুন। তারা বলতে পারবে কোন স্ট্যাটাসে শেখ হাসিনা ভারতে আছেন।’
বাংলাদেশে ভারতীয় ঠিকাদারদের পরিচালিত প্রকল্পের কাজ বন্ধ থাকার বিষয়টি পররাষ্ট্র উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, ‘দেখুন এটা তো অনস্বীকার্য যে, কোনো বিপ্লবী কর্মকাণ্ডের পর (দেশে) একটু অস্থিরতা থাকতেই পারে। আমাদের এখানেও ল অ্যান্ড অর্ডার নিয়ে একটু সমস্যা ছিল, সেটাকে আমরা নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসতে পেরেছি। এখন আস্তে আস্তে সব নরমাল (স্বাভাবিক) হয়ে আসবে। তারাও (ভারতীয়রাও) আসবেন, কারণ যে প্রজেক্টগুলো (প্রকল্প) চলমান আছে সেগুলোতো আমাদের শেষ করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় ভারতীয়রা এক ধরনের ভীতির মধ্যে আছেন। এ ভীতি থেকে তারা নিশ্চয় বেরিয়ে আসতে পারবেন।’
ভারতের সঙ্গে হওয়া বিগত সরকারের সবশেষ সময়ে করা সমঝোতা স্মারক বর্তমান সরকার পুনর্বিবেচনা করবে কি না জানতে চাইলে তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘এমওইউ চূড়ান্ত চুক্তি নয়। কাজেই এখানে আমাদের স্বার্থ সুরক্ষিত হয়েছে কি না, সেটি আমরা দেখতেই পারি। দেশের স্বার্থ রক্ষা করে যা করা দরকার আমরা তা-ই করব।’
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে প্রধান উপদেষ্টা যাচ্ছেন কি না- এমন প্রশ্নে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যাচ্ছেন; সেটার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে তিনি খুব সংক্ষিপ্ত সফর করে চলে আসবেন।’
আরও পড়ুন: শাটডাউন তুলে নিতে চিকিৎসকদের প্রতি অনুরোধ স্বাস্থ্য উপদেষ্টার
বিজ্ঞান গবেষণায় দেশকে ভালো অবস্থানে নিয়ে যেতে চাই: উপদেষ্টা