পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
জবাবদিহিই রোহিঙ্গা সংকট সমাধানের চাবিকাঠি: ঢাকা
তুরস্ক সফররত পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন জোর দিয়ে বলেছেন, রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার এবং এই সংকটের চূড়ান্ত সমাধানের জন্য জবাবদিহি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
পাশাপাশি জাতিসংঘের একাধিক প্রস্তাব অনুযায়ী স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার ন্যায়সঙ্গত দাবির প্রতি বাংলাদেশের সমর্থন অব্যাহত রাখার বিষয়টি পুর্নব্যক্ত করেছেন তিনি।
শুক্রবার (১১ এপ্রিল) তুরস্কের আনাতোলিয়ায় ‘আনাতোলিয়া ডিপ্লোমেসি ফোরাম ২০২৫’ সম্মেলনের ফাঁকে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) প্রসিকিউটর করিম এ এ খানের সঙ্গে বৈঠক করেন হোসেন।
বৈঠকে তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. মাহফুজ আলম, তুরস্কে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতসহ উভয় পক্ষের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: প্রথম ধাপে ১ লাখ ৮০ হাজার রোহিঙ্গা ফেরত নেবে মিয়ানমার
বৈঠকে ইসরায়েলের সাম্প্রতিক আগ্রাসনে ফিলিস্তিনের জনগণের দুর্ভোগের বিষয়ে গভীর সমবেদনা প্রকাশ করেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা। এ সময় বাংলাদেশ ও আইসিসির মধ্যকার সম্পর্কের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা হয়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, আইসিসির প্রসিকিউটর আন্তর্জাতিক বিচার ব্যবস্থার প্রতি বাংলাদেশের অবিচল অবস্থানের প্রশংসা করেন।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা রোম সনদ ও আইসিসির প্রতি বাংলাদেশের অব্যাহত সমর্থনের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন। বলেন, ‘বিশেষজ্ঞ, শিক্ষাবিদ ও আইনজ্ঞদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ করে তোলার ক্ষেত্রে আইসিসির সঙ্গে বাস্তব সহযোগিতা অন্বেষণে বাংলাদেশের আগ্রহ রয়েছে।’ রোহিঙ্গা সংকট ও গাজা পরিস্থিতি নিয়ে তিনি আইসিসির অবস্থানেরও প্রশংসা করেন।
আগামী দিনে বিদ্যমান কর্মপ্রচেষ্টার মাত্রা আরও বাড়ানোর বিষয়ে উভয় পক্ষ সম্মত হয়েছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: আরাকানের যুদ্ধাবস্থা নিরসন করেই রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন: খলিলুর রহমান
৮ দিন আগে
যেকেউ সরকারের সমালোচনা করতে পারছেন: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
কোনো ভয়ভীতি ছাড়াই যেকেউ অন্তর্বর্তী সরকারের সমালোচনা করতে পারেন বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন। তিনি বলেন, ‘নিজেদের কার্যক্রম নিয়ে সরকারকে প্রায়ই সমালোচনার মুখে পড়তে হয়, এটিই বর্তমান প্রশাসনের সফলতা। কেউ বর্তমান সরকারের সমালোচনা করতে ভয় পান না।’
বুধবার (২০ মার্চ) রাজধানীর গুলশান শুটিং ক্লাবে ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশের (ডিক্যাব) ২৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে ইফতার ও নৈশভোজে অংশ নিয়ে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
সবার প্রতি প্রশ্ন রেখে উপদেষ্টা বলেন, ‘বছরখানেক কিংবা আট মাস আগে ক্ষমতাসীন সরকারের সমালোচনা কী আপনি করতে পারতেন, যেটা আপনি বর্তমানে করতে পারছেন? যদি আর কিছু না হয়, তবুও সরকারের অন্তত একটি সফলতা হচ্ছে, যে কেউ ইচ্ছা করলেই নির্ভয়ে সরকারের সমালোচনা করতে পারেন। এটাই গণতন্ত্রের মূলকথা।’
এ সময়ে সাবেক মন্ত্রী ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, পররাষ্ট্র সচিব জসিম উদ্দিন, বিম্সটেক সেক্রেটারি জেনারেল ইন্দ্রা মনি পান্ডে, ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা, চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার, রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার জি খোজিন, দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়াং-সিক, জাপানি রাষ্ট্রদূত সাইদা সিনিচি, জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধি গোয়েন লুইস, প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেসসচিব আবুল কালাম আজাদ, সিনিয়র সাংবাদিক ও ডিক্যাব সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: দুই মাসের মধ্যে তুলাকে কৃষি পণ্য ঘোষণা করা হবে: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
ডিক্যাব সভাপতি এ কে এম মঈনুদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক আরিফুজ্জামান মামুনও অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘জাতীয় জীবনের এক কঠিন সময় পার করছে বাংলাদেশ। জনগণের আকাঙ্ক্ষা অনুসারে সংস্কার কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছে সরকার। তবে অন্তর্বর্তী সরকার সব আকাঙ্ক্ষাই যে পূরণ করতে পারছে, তা বলছি না। তবে এমন একটি পথ তৈরি করতে হবে, যা সত্যিকার অর্থে বৈষম্যমুক্ত এবং গণতান্ত্রিক সমাজের চূড়ান্ত লক্ষ্যে নিয়ে যাবে দেশকে।’
‘কিছু কিছু সংস্কার নির্বাচনের আগেই করতে হবে। যেটা সরকার দ্রুততম সময়ের মধ্যে করতে চেষ্টা করছে, যাতে নির্বাচন দিয়ে গণতান্ত্রিক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করা যায়। আর কিছু সংস্কার পরবর্তী সময়ে অব্যাহত থাকবে,’ বলেন তিনি।
ডিক্যাব সভাপতি এ কে এম মঈনুদ্দিন বলেন, ‘গেল ২৭ বছর ধরে বিভিন্ন জটিল ইস্যুতে নিরপেক্ষ সাংবাদিকতার মাধ্যমে বাংলাদেশের সঙ্গে বিশ্বের অন্যান্য দেশের পারস্পরিক বোঝাপড়া—দ্বিপাক্ষিক, আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক—এগিয়ে নিতে সামনের সারিতে ছিল ডিক্যাব।’
‘সামনের দিনগুলোতে, বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রেখে জাতীয় স্বার্থ রক্ষার পাশাপাশি জনগণ ও নীতিনির্ধারকদের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে ভূমিকা অব্যাহত রাখবেন ডিক্যাব সদস্যরা,’ বলেন তিনি।
এ কে এম মঈনুদ্দিন বলেন, ‘বাংলাদেশ যখন একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ ও শক্তিশালী গণতন্ত্রের দিকে যাচ্ছে, তখন পেশাগত দক্ষতা বাড়াতে নিজেদের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করছে ডিক্যাব।’
‘আসুন আমরা বাংলাদেশে একটি শান্তিপূর্ণ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক গণতান্ত্রিক উত্তরণের স্বপ্ন দেখি, যা আমাদের জাতির দীর্ঘমেয়াদী স্থিতিশীলতা এবং সাফল্যের জন্য অপরিহার্য,’ তিনি বলেন।
৩১ দিন আগে
দুই মাসের মধ্যে তুলাকে কৃষি পণ্য ঘোষণা করা হবে: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
দুই মাসের মধ্যে তুলাকে কৃষি পণ্য ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো.তৌহিদ হোসেন। তিনি বলেন, এতে দেশে তুলা উৎপাদন বেড়ে যাবে।
সোমবার (১৭ মার্চ) রাজধানীর পল্টনে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) মিলনায়তনে ‘বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয়ে বাংলাদেশে তুলা চাষের গুরুত্ব ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
এ সময় দেশি তুলার ওপর আরোপিত ট্যাক্স জরুরিভিত্তিতে প্রত্যাহার করতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
যেসব জমিতে তামাক চাষ হচ্ছে, তার কিছু অংশে তুলা চাষের পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, ‘তামাক চাষের কারণে জমির উর্বরতা নষ্ট হচ্ছে। তামাক চাষে জমির কিছু অংশে তুলা চাষ করলে কৃষকও লাভবান হবেন, আবার দেশও অর্থনৈতিকভাবে উপকৃত হবে।’
আরও পড়ুন: মাংস-ডিম আমদানিতে নিরুৎসাহিত করলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা
দেশের জন্য ভালো হবে এমন কোনো পদক্ষেপ যদি কোনো গোষ্ঠীর বিপক্ষেও যায়, তাও সিদ্ধান্ত নিতে অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকার পিছপা হবে না বলে দাবি করেন তৌহিদ হোসেন। এক্ষেত্রে নীতি সহায়তা দেওয়ার বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ারও আশ্বাস দেন তিনি।
উপদেষ্টা জানান, তুলা রপ্তানিতে যুক্তরাষ্ট্র শুল্কারোপ করলেও বাংলাদেশ এর বাইরে। এ কারণে যুক্তরাষ্ট্র থেকে তুলা আমদানির উদ্যোগ নেওয়া হতে পারে।
আমদানি ব্যয় সাশ্রয়ী হওয়ায় যেখানে দেশি তুলাকে প্রণোদনা দেওয়া উচিত, সেখানে ট্যাক্স-ভ্যাট বসানো হয়েছে বলে অভিমত দেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা।
এ সময়ে দেশি তুলার ওপর আরোপিত এই ট্যাক্স কমানোর জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যানের কাছে সুপারিশ করা হবে বলে জানান এনবিআরের সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন (কাস্টম বন্ড)। দ্রুতই দেশি তুলার ওপরে আরোপিত ট্যাক্স-ভ্যাট প্রত্যাহারের সুখবর আসবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
আরও পড়ুন: হাওর রক্ষায় কীটনাশক ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করতে হবে: মৎস্য উপদেষ্টা
বাংলাদেশ কটন জিনার্স এ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক গোলাম সাবের বলেন, ‘বাংলাদেশে তামাক কৃষি পণ্য, কিন্তু তুলাকে এখনো কৃষি পণ্য হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি। এর ফলে তুলা চাষী ও জিনার্সরা কৃষি ঋণ নেওয়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হন।’
তিনি জানান, ‘ঋণ নিতে তুলাচাষীদের দিতে হয় বাড়তি সুদ। সরকারের নীতি সহায়তা পাওয়া গেলে অন্তত দুই লাখ হেক্টর জমিতে তুলা চাষ করা যাবে। এতে যে পরিমাণ তুলা আমদনি করা হয়, তার চার ভাগের এক ভাগ দেশে উৎপাদন করা সম্ভব হবে।’
তুলা আমদানিতে চীনকে হটিয়ে বাংলাদেশ এখন শীর্ষ দেশে পরিণত হতে যাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘চামড়ার মৌসুমে ট্যানার্সদের যেভাবে স্বল্প সুদের ঋণ দেওয়া হয়, তুলাতেও সেই ব্যবস্থা চালু করা হলে কৃষকরা তুলা উৎপাদন করে দাম পাওয়ার অনিশ্চয়তা থেকে বের হয়ে আসতে পারবেন।’
৩৩ দিন আগে
আমিরাত ও ওমান সফরে যাচ্ছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
সরকারি সফরে সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) উদ্দেশে রওয়ানা হয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।
বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় তিনি দুবাইয়ের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র।
আরও পড়ুন: দালালের খপ্পরে রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধে জড়াচ্ছেন বাংলাদেশিরা: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা দুবাই থেকে ওমানের রাজধানী মাস্কাটে যাবেন ১৪ ফেব্রুয়ারি। সেখানে তিনি ইন্ডিয়ান ওশান কনফারেন্সে অংশগ্রহণ করবেন।
কনফারেন্স শেষে ১৮ ফেব্রুয়ারি দেশে ফেরার কথা রয়েছে তার।
৬৬ দিন আগে
চীনের ঋণের শর্ত শিথিল-পরিশোধের সময় বাড়ানোর প্রস্তাব দেবে বাংলাদেশ: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
ঋণের শর্ত শিথিলসহ সুদহার কমানো ও পরিশোধের সময় বাড়ানোর বিষয়ে চীনের সঙ্গে বাংলাদেশ আলোচনা করবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।
তিনি বলেন, ‘চীনের সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্ক আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। কারণ আমাদের দেশের অনেক প্রকল্পে তাদের বিনিয়োগ আছে। সেগুলো প্রধানত ঋণভিত্তিক। কিছু প্রকল্প চলমান আছে। আমাদের আরও কিছু বিষয় আছে। এর মধ্যে ঋণের শর্তাবলি নিয়ে আমরা কথাবার্তা বলব। যেমন ঋণের সুদের হার কমানো এবং পরিশোধের সময় বাড়ানোর বিষয়ে কথা বলব।’
বুধবার (১৫ জানুয়ারি) সচিবালয়ে আসন্ন চীন সফর নিয়ে ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: ভারত-চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে হবে বাংলাদেশের: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ বলেন, ‘আমরা চাইব যখন এলডিসি থেকে গ্রাজুয়েট করবে বাংলাদেশ তখন চীন যেন ইউরোপের মতো আগামী তিন বছর আমাদের কোটা ও শুল্কমুক্ত সুবিধা দেয়। তবে এখনো চীন আমাদের সব পণ্যেই শুল্কমুক্ত সুবিধা দিচ্ছে। আমাদের গ্রাজুয়েশনের পরে তাদের কাছে থেকে আলাদাভাবে সেই সুবিধাটা নিতে হবে।’
তিনি বলেন, এই সফরে আলোচনায় প্রাধান্য পাবে অর্থনৈতিক বিষয়। এরমধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হলো ব্যবসা ও বাণিজ্য। অফিসিয়ালি চীন আমাদের সবচেয়ে বড় ব্যবসায়িক বন্ধু। তবে ক্ষেত্র বিশেষে ভারতকে বড় ব্যবসায়িক অংশীদার বলা হয়। কারণ আন-অফিসিয়াল ব্যবসা আছে প্রচুর।
উপদেষ্টা বলেন, প্রধানত আমদানিভিত্তিক প্রচুর ব্যবসা আছে আমাদের। আমদানিগুলো এজন্য প্রয়োজনীয়, যা আমাদের রপ্তানির জন্য সেগুলোর ওপর নির্ভরশীল। এজন্য চীনের সঙ্গে আমাদের বাণিজ্যিক সম্পর্ক গুরুত্বপূর্ণ।
কালচারাল বিষয় উল্লেখ করেন উপদেষ্টা বলেন, চীনের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের ৫০ বছর পূতি উপলক্ষে চীন ও বাংলাদেশে কিছু অনুষ্ঠানের বিষয়ে আলোচনা হবে।
চীনের ৫ বিলিয়ন ডলারের বাজেট সহায়তার প্রশ্নে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা এ বিষয়ে কথাবার্তা বলব। দেখি তারা কতটুকু সহায়তা দিতে পারে। যদি প্রকল্প ঋণ ত্বরান্বিত করা যায়, তাহলে সেটাও সুবিধা হতে পারে। আলোচনায় অর্থনৈতিক বিষয়াবলি আসবে। আর পাঁচ বিলিয়ন ডলারের আলোচনা আছে তা বহাল থাকবে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: প্রবাসীদের দেশে বিনিয়োগে দক্ষতা ও নেটওয়ার্ক কাজে লাগানোর আহ্বান পররাষ্ট্র উপদেষ্টার
আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘প্রকল্প ঋণের বিষয়ে কমিটমেন্ট ফি তুলে দেওয়া ও সুদহার নিয়েও আলোচনা করা হবে। বিভিন্ন প্রকল্প ঋণে সুদের হার ভিন্ন ভিন্ন হলেও সাধারণভাবে এটি কমানোর অনুরোধ করবে বাংলাদেশ। অর্থনীতির উপর চাপ কমাতে প্রকল্প ঋণগুলো পরিশোধের সময়সীমা ১৫ থেকে ২০ বছরের পরিবর্তে বাড়িয়ে ৩০ বছর করার চেষ্টা করা হবে। আর কমিটমেন্ট ফি যাতে তুলে দেওয়া যায়, সেই চেষ্টা করব।’
গ্লোবাল ডেভেলপমেন্ট নিয়ে চীনের উদ্যোগের বিষয়ে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের অবস্থান জানতে চাইলে তিনি বলেন, আলোচনা চলমান আছে, তা আমরা ইতিবাচক দৃষ্টিতেই দেখব।
জেডিআই নিয়ে তিনি বলেন, এটি নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। তবে এখনি সমঝোতা স্মারক হবে কিনা, তা বলতে পারছি না।
বেইজিংয়ে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করবেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। বেইজিং ও সাংহাইয়ে পৃথক গবেষণা সংগঠনে বক্তব্য দেবেন তিনি। এছাড়া কয়েকটি প্রযুক্তি কারখানা পরিদর্শনও করবেন তিনি।
আরও পড়ুন: প্রবাসীদের বাংলাদেশের নয় স্থানীয় রাজনীতিতে যুক্ত হওয়ার আহ্বান পররাষ্ট্র উপদেষ্টার
৯৪ দিন আগে
ভারত-চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে হবে বাংলাদেশের: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
ভারত, চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মতো বড় দেশগুলোর সঙ্গে বৈদেশিক সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে ভারসাম্য বজায় রাখতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।
শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ মিলনায়তনে ফোরাম ফর বাংলাদেশ স্টাডিজ আয়োজিত জাতীয় সংলাপে তিনি এ কথা বলেন।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘ভারত ও চীনের মধ্যে সংঘাত আছে। যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের মধ্যে এক ধরনের সখ্যতা আছে। আবার এই তিনটি দেশের সঙ্গে আমাদের ভালো সম্পর্কটা রাখাটাও গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, প্রতিটি দেশে বাংলাদেশের স্বার্থ আছে। আমাদের মনে রাখতে হবে- ভারত ও চীনের এত শত্রুতার মধ্যেও তাদের বাণিজ্যের পরিমাণ ১০০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি।’
তৌহিদ বলেন, ‘আমাদের আরেকটি স্বার্থ আছে তা হলো- আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আমরা যেহেতু প্রধান প্লেয়ার না। তাই আমাদেরকে এক ধরনের ভারসাম্য বজায় রেখে চলতে হবে। এটিও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।’
মিয়ানমার ইস্যুতে তিনি বলেন, মিয়ানমারের চারপাশে স্থল সীমান্ত থাকা দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের আমন্ত্রণ জানিয়েছিল থাই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ব্যাংককে আমি গিয়েছিলাম। সেখানে মূল আলোচনায় তিনটি বিষয় ছিল। সেগুলো হলো- সীমান্ত, মাদক ও অন্যান্য অপরাধ এবং মিয়ানমারের ভবিষ্যৎ কী হবে। রোহিঙ্গাদের কথা বলা ছিল না।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, তিনি আমন্ত্রণ পেয়ে বলেছিলেন মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের স্বার্থ ওতোপ্রোতভাবে জড়িত। রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান না করে এই তিনটি জিনিসের সমাধান করতে পারবেন না। এটি অনানুষ্ঠানিক আলোচনা ছিল বলে উল্লেখ করেন তিনি।
অন্যান্য চারটি দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় আলোচনায় তৌহিদ হোসেন বলেছেন, ‘এখানে যদি তাদের সমস্যার সমাধান আপনারা না করেন,তাহলে সমস্যার সমাধান হবে না। তাদের জনতাত্ত্বিক অবস্থান অনুযায়ী অন্তত ২ লাখ তরুণ-তরুণী আছে। তারা আলো দেখার সুযোগ পাচ্ছেন না। তারা হতাশায় নিমজ্জিত। ফলে তারা হতাশাজনক কাজ করছে- যা বাংলাদেশসহ প্রত্যেকটি দেশেরই ক্ষতি হবে। ইতোমধ্যে তার লক্ষণও দেখা গেছে। নৌকায় মানুষ সেখানে পৌঁছে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, তিনটি বিষয় আমাদের স্বার্থের সঙ্গে জড়িত। তিনটি সমস্যার সমাধের সঙ্গেই রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান জরুরি। এটি আমাদের অবস্থান।
আরও পড়ুন: ঐক্যবদ্ধতায় স্বাধীন পরিবেশ সৃষ্টির সুযোগ পেয়েছি: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
সীমান্তের শতভাগ নিয়ন্ত্রণ আরাকান আর্মির নিয়ন্ত্রণে চলে যাওয়ার বিষয়টি মিয়ানমারের প্রতিনিধিকে জানানোর কথা উল্লেখ করেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা।
উপদেষ্টা তৌহিদ বলেন, আমাদের দেশের স্বার্থ আমাদেরকে দেখতে হবে। আমাদের স্বার্থ হচ্ছে মিয়ানমারে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা। এখন তো রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে কথা বলতে পারছি না। কার সঙ্গে কথা বলব? এটা নিয়েও তো সমস্যা আছে।
তিনি বলেন, অতীতে যে অঞ্চলগুলো থেকে রোহিঙ্গারা বিতাড়িত হয়েছেন, আরাকান আর্মির সময়েও তারা বিতাড়িত হচ্ছেন। সেখানে তো মিয়ানমার রাষ্ট্রের কর্তৃত্ব নেই। এমতাবস্থায় আগামী ২ থেকে ৬ মাসের মধ্যে কাউকে ফেরত পাঠাতে পারব এমন আশাও করতে পারছি না। কিন্তু, শান্তি প্রতিষ্ঠিত হলে তাদেরকে অবশ্যই ফেরতের ব্যবস্থা করতে হবে। না হলে কারও শান্তি থাকবে না- এটি তাদেরকে স্পষ্ট করে বলেছি।
১১২ দিন আগে
ঐক্যবদ্ধতায় স্বাধীন পরিবেশ সৃষ্টির সুযোগ পেয়েছি: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছেন, ঐক্যবদ্ধতার কারণে আজকের সাফল্য অর্জিত হয়েছে। ঐক্যের কারণেই দ্বিতীয়বার একটি স্বাধীন পরিবেশ সৃষ্টি করার সুযোগ আমরা পেয়েছি।
তিনি বলেন, ছাত্ররা যখন রাস্তায় নেমেছে তখন মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। মানুষ তাদের পেছনে ছিল। বিপ্লব সাধনকারীদের প্রতি কৃতজ্ঞতাও জানান পররাষ্ট্র উপদেষ্টা।
শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ মিলনায়তনে ফোরাম ফর বাংলাদেশ স্টাডিজ আয়োজিত জাতীয় সংলাপে তিনি এ কথা বলেন।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আমরা দেখেছি রাষ্ট্রের চেয়ে একটি গ্রুপকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। আর তার মধ্যে যিনি প্রধান তার ক্ষেত্রে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। আর রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য ক্ষমতায় যাওয়া ও থাকে গুরুত্বপূর্ণ। এটি তাদের লক্ষ্যের মধ্যেই থাকে। সেখানে অনেক ক্ষেত্রেই বিচ্যুত হয়ে যায় মূলনীতি থেকে। যাতে তারা মূলনীতিকে বিচ্যুত হতে না পারে সেটা পর্যবেক্ষণ ও রক্ষা করার দায়িত্ব সাধারণ মানুষের। এখানেই গণতন্ত্রের ভূমিকাটা।
আরও পড়ুন: হাসান আরিফের মৃত্যুতে পররাষ্ট্র উপদেষ্টার শোক
তিনি বলেন, একটি গণতান্ত্রিক সমাজ যদি প্রতিষ্ঠিত হয়, তাহলে মানুষের স্বার্থটা প্রাধান্য পাবে। সেটার সঙ্গে রাষ্ট্রের স্বার্থ জড়িত।
তিনি বলেন, একই বিষয়ে দ্বিমত থাকতে পারে। তবুও ঐক্যের প্রয়োজন। জাতীয় স্বার্থের প্রশ্নে ঐক্য থাকাটা জরুরি। পৃথিবীর বেশিরভাগ দেশে এই জিনিসটি আছে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে গত পঞ্চাশ বছরে আমরা তা কখনো দেখিনি। সবসময়েই সরকার যেটা মনে করে সেটা করেছে। এমনো হয়েছে বৈদেশিক ক্ষেত্রে সরকার ভালো কিছু করতে উদ্যোগ নিলেও তা বিরোধীরা সমর্থন করেনি। এটি প্যাথলজিক্যাল ছিল যে অপজিশন সরকারের কোনো কিছুই মানবে না, সরকারও বিরোধীদের কোনো কিছুই মানবে না। এই অবস্থা থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে। আমাদের একটি ঐকমত্য লাগবে- দেশের স্বার্থ যেখানে জড়িত, সেখানে দুপক্ষের মাঝে আলোচনা হবে। প্রথমত একতরফা কিছু করা হবে না। দ্বিতীয়ত আসলেই সেখানে স্বার্থ থাকলে দুপক্ষই ঐকমত্য পোষণ করবে এবং দেশের স্বার্থটাকে বড় করে দেখবে।
উপদেষ্টা বলেন, আগামীতে যে সরকার আসতে যাচ্ছে, আমাদের সবারেই প্রত্যাশা, বিশেষ করে ছাত্র আন্দোলন যারা করেছে- তারা কিন্তু পরিবর্তন চেয়েছে। আমরা পূর্বের অবস্থায় ফিরে যেতে চাই না। শুধু দল পরিবর্তন হবে মানুষ পরিবর্তন হবে, আর রাষ্ট্র যেভাবে চলবে তার কোনো পরিবর্তন হবে না- এটি কেউই মনে হয় চায় না। আগামী দিনে যারা নির্বাচিত হয়ে আসবেন তারা যেন এটি মনে রাখেন মানুষের যে ইচ্ছা তার যেন প্রতিফলন থাকে। তারাও যেন ঐক্যবদ্ধভাবে দেশ চালান।
আরও পড়ুন: আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য পারস্পরিক সহযোগিতার বিকল্প নেই: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
১১২ দিন আগে
বড়দিনে খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের সঙ্গে পররাষ্ট্র উপদেষ্টার শুভেচ্ছা বিনিময়
বড়দিন উপলক্ষে খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।
বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর কাকরাইল চার্চ পরিদর্শনে যান পররাষ্ট্র উপদেষ্টা। সেখানে খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন তিনি।
এ সময় উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের সংস্কৃতির অংশ হচ্ছে সব ধর্মের মাঝে সম্প্রীতি ও সহাবস্থান। এটি আমাদের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের সংস্কৃতিতে ধর্মীয় সংঘাত নেই। আমরা সবাই একসঙ্গে শান্তিতে থাকতে চাই।’
আরও পড়ুন: আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য পারস্পরিক সহযোগিতার বিকল্প নেই: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
মুক্তিযুদ্ধ এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক-ই আজম বীর প্রতীক, আর্চবিশপ বিজয় এন ডি’ক্রুজ, ফাদার অ্যালবার্ট রোজারিও প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
১১৫ দিন আগে
আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য পারস্পরিক সহযোগিতার বিকল্প নেই: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
আজারবাইজানের বাকুতে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত কনফারেন্স অন ইন্টারেকশন অ্যান্ড কনফিডেন্স বিল্ডিং মেজার্স ইন এশিয়ার (সিআইসিএ) সপ্তম মন্ত্রিপরিষদের সম্মেলনে সদস্য দেশগুলোর মধ্যে অধিকতর সহযোগিতার আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।
যুদ্ধ, সংঘাত, জলবায়ু পরিবর্তন ও প্রাকৃতিক দুর্যোগকে মানবসভ্যতার জন্য হুমকি হিসেবে উল্লেখ করে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য অর্থপূর্ণ উপায় খুঁজে বের করা এবং এশীয় অঞ্চলে শান্তি, স্থিতিশীলতা ও সম্মিলিত নিরাপত্তা বজায় রাখতে সংহতির ভিত্তিতে সংলাপ চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান উপদেষ্টা।
অর্থনৈতিক, পরিবেশ ও মানবীয় ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মাঝে আত্মবিশ্বাস তৈরির বিষয়ে সিআইসিএকে একটি কার্যকর প্ল্যাটফর্ম হিসেবে উল্লেখ করে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা ভবিষ্যতে এ ফোরামের মাধ্যমে নতুন নতুন অংশীদারত্ব তৈরির আশাবাদ ব্যক্ত করেন। সদস্য রাষ্ট্র হিসেবে বিশেষ করে তথ্যপ্রযুক্তি, প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও পরিবেশ সুরক্ষার ক্ষেত্রে কো-চেয়ারের ভূমিকায় বাংলাদেশ আগামী দিনগুলোতে সিআইসিএতে বিশেষ অবদান রাখবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ সম্মান ও সমতার ভিত্তিতে সব দেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক চায়: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
উল্লেখ্য, এশিয়া অঞ্চলের শান্তি, নিরাপত্তা ও স্থিতিশীতা উন্নয়নের লক্ষ্যে ১৯৯২ সালে বহুজাতীয় ফোরাম সিআইসিএ প্রতিষ্ঠিত হয়, যার বর্তমান সদস্য সংখ্যা ২৮।
বাংলাদেশ ২০১৪ সালে সিআইসিএর সদস্যপদ লাভ করে। এবারের মন্ত্রিপর্যায়ের সভায় সিআইসিএর বর্তমান সভাপতি কাজাখস্তান পরবর্তী দুই বছরের জন্য আজারবাইজানের কাছে সভাপতির দায়িত্ব হস্তান্তর করে।
বৈঠকে সিআইসিএ সদস্য রাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও কয়েকটি আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রধানরা অংশগ্রহণ করেন। এছাড়া, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আঞ্চলিক সংস্থা অনুবিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের সদস্য হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
১২৩ দিন আগে
বাংলাদেশ সম্মান ও সমতার ভিত্তিতে সব দেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক চায়: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
সম্মান ও সমতার ভিত্তিতে সব দেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তুলতে বাংলাদেশ সরকার কাজ করছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা সব দেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক চাই, তবে সেটা সম্মানের ভিত্তিতে, সমতার ভিত্তিতে। সরকার সেই লক্ষ্যেই কাজ করছে।’
শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) নরসিংদীর বেলাব উপজেলা সম্মেলন কক্ষে উপজেলা পর্যায়ের সকল কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
তৌহিদ হোসেন বলেন, আমরা ভারতকে স্পষ্ট বার্তা দিয়েছি। আমরা দুপক্ষেরই ভালো সম্পর্ক চাই। তবে সেটা হতে হবে দুপক্ষেরই স্বার্থের ভিত্তিতে।
আরও পড়ুন: ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ ও স্বাভাবিক সম্পর্ক চায় বাংলাদেশ: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
তিনি আরও বলেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে একটি বিশেষ পরিস্থিতিতে আমাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। বিশেষ কিছু সংস্কার শেষে সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে রাজনীতিবিদদের হাতে ক্ষমতা দিয়ে আমরা সরে যাব। তারা দেশ চালাবেন। তবে তাদের দায়িত্ব নিতে হবে, যাতে পুনরায় ছাত্র-ছাত্রীদের রাস্তায় নেমে আসতে না হয়। ছেলে মেয়েদের প্রাণ যেনো আর না ঝরে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আব্দুল করিমের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন সেতু বিভাগের সাবেক সচিব মো. জাহিদ হোসেন, এম আর ডি আইয়ের অ্যাডভাইজার মো. সাহিদ হোসেন, বাংলাদেশ জ্বালানি ও বিদ্যুৎ গবেষণা কাউন্সিল (বিইপিআরসি) চেয়ারম্যান (সিনিয়র সচিব) মোহাম্মদ ওয়াহিদ হোসেন, বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর সাবেক এয়ার কমোডর মো. খালিদ হোসেন, সহকারী পুলিশ সুপার (রায়পুরা সার্কেল) আফসান আল আলম, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ নাজমুল হোসেন, উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আহসান হাবীব বিপ্লব, সাবেক সভাপতি অলিউর রহমান কাওসার প্রমুখ।
আরও পড়ুন: পর্তুগালে জাতিসংঘ সভ্যতা জোটের দশম গ্লোবাল ফোরামে যোগ দেবেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
১২৬ দিন আগে