পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য পারস্পরিক সহযোগিতার বিকল্প নেই: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
আজারবাইজানের বাকুতে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত কনফারেন্স অন ইন্টারেকশন অ্যান্ড কনফিডেন্স বিল্ডিং মেজার্স ইন এশিয়ার (সিআইসিএ) সপ্তম মন্ত্রিপরিষদের সম্মেলনে সদস্য দেশগুলোর মধ্যে অধিকতর সহযোগিতার আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।
যুদ্ধ, সংঘাত, জলবায়ু পরিবর্তন ও প্রাকৃতিক দুর্যোগকে মানবসভ্যতার জন্য হুমকি হিসেবে উল্লেখ করে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য অর্থপূর্ণ উপায় খুঁজে বের করা এবং এশীয় অঞ্চলে শান্তি, স্থিতিশীলতা ও সম্মিলিত নিরাপত্তা বজায় রাখতে সংহতির ভিত্তিতে সংলাপ চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান উপদেষ্টা।
অর্থনৈতিক, পরিবেশ ও মানবীয় ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মাঝে আত্মবিশ্বাস তৈরির বিষয়ে সিআইসিএকে একটি কার্যকর প্ল্যাটফর্ম হিসেবে উল্লেখ করে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা ভবিষ্যতে এ ফোরামের মাধ্যমে নতুন নতুন অংশীদারত্ব তৈরির আশাবাদ ব্যক্ত করেন। সদস্য রাষ্ট্র হিসেবে বিশেষ করে তথ্যপ্রযুক্তি, প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও পরিবেশ সুরক্ষার ক্ষেত্রে কো-চেয়ারের ভূমিকায় বাংলাদেশ আগামী দিনগুলোতে সিআইসিএতে বিশেষ অবদান রাখবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ সম্মান ও সমতার ভিত্তিতে সব দেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক চায়: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
উল্লেখ্য, এশিয়া অঞ্চলের শান্তি, নিরাপত্তা ও স্থিতিশীতা উন্নয়নের লক্ষ্যে ১৯৯২ সালে বহুজাতীয় ফোরাম সিআইসিএ প্রতিষ্ঠিত হয়, যার বর্তমান সদস্য সংখ্যা ২৮।
বাংলাদেশ ২০১৪ সালে সিআইসিএর সদস্যপদ লাভ করে। এবারের মন্ত্রিপর্যায়ের সভায় সিআইসিএর বর্তমান সভাপতি কাজাখস্তান পরবর্তী দুই বছরের জন্য আজারবাইজানের কাছে সভাপতির দায়িত্ব হস্তান্তর করে।
বৈঠকে সিআইসিএ সদস্য রাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও কয়েকটি আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রধানরা অংশগ্রহণ করেন। এছাড়া, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আঞ্চলিক সংস্থা অনুবিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের সদস্য হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
১ দিন আগে
বাংলাদেশ সম্মান ও সমতার ভিত্তিতে সব দেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক চায়: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
সম্মান ও সমতার ভিত্তিতে সব দেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তুলতে বাংলাদেশ সরকার কাজ করছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা সব দেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক চাই, তবে সেটা সম্মানের ভিত্তিতে, সমতার ভিত্তিতে। সরকার সেই লক্ষ্যেই কাজ করছে।’
শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) নরসিংদীর বেলাব উপজেলা সম্মেলন কক্ষে উপজেলা পর্যায়ের সকল কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
তৌহিদ হোসেন বলেন, আমরা ভারতকে স্পষ্ট বার্তা দিয়েছি। আমরা দুপক্ষেরই ভালো সম্পর্ক চাই। তবে সেটা হতে হবে দুপক্ষেরই স্বার্থের ভিত্তিতে।
আরও পড়ুন: ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ ও স্বাভাবিক সম্পর্ক চায় বাংলাদেশ: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
তিনি আরও বলেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে একটি বিশেষ পরিস্থিতিতে আমাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। বিশেষ কিছু সংস্কার শেষে সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে রাজনীতিবিদদের হাতে ক্ষমতা দিয়ে আমরা সরে যাব। তারা দেশ চালাবেন। তবে তাদের দায়িত্ব নিতে হবে, যাতে পুনরায় ছাত্র-ছাত্রীদের রাস্তায় নেমে আসতে না হয়। ছেলে মেয়েদের প্রাণ যেনো আর না ঝরে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আব্দুল করিমের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন সেতু বিভাগের সাবেক সচিব মো. জাহিদ হোসেন, এম আর ডি আইয়ের অ্যাডভাইজার মো. সাহিদ হোসেন, বাংলাদেশ জ্বালানি ও বিদ্যুৎ গবেষণা কাউন্সিল (বিইপিআরসি) চেয়ারম্যান (সিনিয়র সচিব) মোহাম্মদ ওয়াহিদ হোসেন, বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর সাবেক এয়ার কমোডর মো. খালিদ হোসেন, সহকারী পুলিশ সুপার (রায়পুরা সার্কেল) আফসান আল আলম, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ নাজমুল হোসেন, উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আহসান হাবীব বিপ্লব, সাবেক সভাপতি অলিউর রহমান কাওসার প্রমুখ।
আরও পড়ুন: পর্তুগালে জাতিসংঘ সভ্যতা জোটের দশম গ্লোবাল ফোরামে যোগ দেবেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
৪ দিন আগে
ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ ও স্বাভাবিক সম্পর্ক চায় বাংলাদেশ: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য বরাবরের মতোই দেখছেন উল্লেখ করে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেছেন, পারস্পরিক স্বার্থ রক্ষা করে ভারতের সঙ্গে স্বাভাবিক ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক দেখতে চায় বাংলাদেশ।
তিনি বলেন, ‘আমি এটাকে মমতার মন্তব্যকে তার হিসেবেই দেখতে চাই। তিনি কেন এ ধরনের মন্তব্য করলেন তা আমার বোধগম্য নয়।’
সোমবার (২ ডিসেম্বর) এক সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে বলেন তিনি এ কথা বলেন।
হোসেন বলেন, রাজনীতিবিদরা বিভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গিতে মন্তব্য করলেও তিনি ব্যক্তিগতভাবে মনে করেন এটি তার(মমতার) কাছ থেকে সঠিক পদক্ষেপ নয়।
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলাদেশে চলমান পরিস্থিতি মোকাবিলায় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোকে শান্তিরক্ষা মিশন মোতায়েনের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: পর্তুগালে জাতিসংঘ সভ্যতা জোটের দশম গ্লোবাল ফোরামে যোগ দেবেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
এনডিটিভিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মমতা বলেন, ‘ বাংলাদেশে আমাদের পরিবার আছে...সম্পদ ও প্রিয়জনরা আছে। এ বিষয়ে ভারত সরকার যে অবস্থান নেবে আমরা তা মেনে নেব। কিন্তু আমরা বিশ্বের যেকোনো জায়গায় ধর্মীয় ভিত্তিতে নৃশংসতার নিন্দা করি এবং কেন্দ্রীয় সরকার ও প্রধানমন্ত্রীর কাছে হস্তক্ষেপের আবেদন জানাই।’
এর আগে উপদেষ্টা ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় অবস্থানরত কূটনীতিকদের সংখ্যালঘু ইস্যুতে ব্রিফ করেন এবং সরকারের অবস্থান ব্যাখ্যা করেন এবং বর্তমান পরিস্থিতি তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, সংবাদমাধ্যমের একাংশ, বিশেষ করে ভারতের সংবাদমাধ্যম অপপ্রচারে লিপ্ত। তিনি বলেন, ‘আমরা বলেছি, সমাজে আমরা সব সময় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রেখেছি। আমরা বলছি না যে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেনি, তবে এগুলো বিচ্ছিন্ন এবং সব শাসনামলেই কমবেশি ঘটে।’
হোসেন বলেন, সরকার কূটনীতিকদের জানিয়েছে যে, ধর্মীয় সম্প্রীতি সমাজের অংশ এবং সরকার এটি বজায় রাখতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।
তিনি বলেন, দেশ খারাপ পরিস্থিতির দিকে এগোচ্ছে- এমনটি বোঝানোর জন্য দেশীয় ও বৈশ্বিকভাবে চেষ্টা চলছে। ‘আমাদের ভুলে গেলে চলবে না যে, বিশ্বব্যাপী একটি গোষ্ঠী (সরকারের বিরুদ্ধে) প্রচারণা চালাচ্ছে।’
উপদেষ্টা বলেন, দেশে কেউ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করলে সরকার কঠোর হাতে তা দমন করবে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি ভারত সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট কিছু না বললেও গণমাধ্যমের বিষয় উঠে এসেছে।
তিনি বলেন, ব্রিফিংয়ে কূটনীতিকদের সঙ্গে ঢাকাস্থ ভারতীয় হাইকমিশনের একজন প্রতিনিধিও উপস্থিত ছিলেন।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কোনো পরিস্থিতিতে ইসকনের সাবেক নেতা চন্দন কুমার ধর ওরফে চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তা কূটনীতিকদের জানিয়েছেন। তিনি এখন কারাগারে আছেন।
তিনি বলেন, সরকার দেশে কোনো সাম্প্রদায়িক কর্মকাণ্ডকে প্রশ্রয় দেবে না এবং সব নাগরিককে সমান চোখে দেখে।
সরকার অনেক ক্ষেত্রে সমস্যা সমাধানে করেছেন উল্লেখ করে হোসেন বলেন, ‘আমরা বলিনি যে দেশে কোনো সমস্যা নেই। যেখানে যে সমস্যা আছে, আমরা সেগুলো সমাধান করার চেষ্টা করছি।’
চলতি মাসে নির্ধারিত ফরেন অফিস কনসালটেশন (এফওসি) অনুষ্ঠিত হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'আমি মনে করি এটি অনুষ্ঠিত হবে।’
হোসেন স্বীকার করেন, ৫ আগস্টের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর ভারতের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ধারায় পরিবর্তন এসেছে।
আরও পড়ুন: আফ্রিকা-বাংলাদেশের সম্পর্কে নতুন মাত্রা যোগ করবে ইথিওপিয়ান এয়ারলাইন্স: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
২ সপ্তাহ আগে
সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে 'জিরো টলারেন্স' অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেছে বাংলাদেশ
সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের 'জিরো টলারেন্স' নীতির কথা উল্লেখ করে বৈশ্বিক নিরাপত্তা সহযোগিতা এবং জাতিসংঘ কনভেনশনে বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।
তিনি সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় মানবাধিকারকেন্দ্রিক দৃষ্টিভঙ্গির গুরুত্বের ওপর জোর দেন, রাজনৈতিকভাবে অপব্যবহার করা নিরাপত্তা ব্যবস্থার বিরুদ্ধে সতর্কতা অবলম্বনের কথা বলেন এবং মৌলিক স্বাধীনতা রক্ষায় বাংলাদেশের চলমান সংস্কারের কথা তুলে ধরেন।
কুয়েত সিটিতে 'স্ট্রেংদেনিং ইন্টারন্যাশনাল কাউন্টার-টেরোরিজম কো-অপারেশন অ্যান্ড বিল্ডিং এজাইল বর্ডার সিকিউরিটি মেকানিজম' শীর্ষক উচ্চ পর্যায়ের সম্মেলনে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা।
নিরাপত্তা ও সীমান্ত ব্যবস্থাপনায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) দায়িত্বশীল ব্যবহারের আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী পর্যায়ের অধিবেশনে তিনি বলেন, ‘এআইকে অবশ্যই মানবাধিকারকে সম্মান করতে হবে এবং স্থানীয় প্রেক্ষাপটের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে হবে।’
সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বিশ্বব্যাপী সমন্বিত প্রচেষ্টা জোরদার করার জন্য উন্নত প্রযুক্তির দেশগুলোকে তাদের দক্ষতা ভাগ করে নেওয়ার আহ্বান জানান তৌহিদ হোসেন।
সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় বহুপাক্ষিকতার সারমর্ম তুলে ধরে উপদেষ্টা বলেন, সত্যিকারের নিরাপত্তা তখনই অর্জিত হয় যখন প্রতিটি সমাজ সুরক্ষিত থাকে।
তিনি আরও বলেন, 'আজকের আন্তঃসংযুক্ত বিশ্বে প্রতিটি সমাজ নিরাপদ না হওয়া পর্যন্ত কোনো সমাজই সত্যিকার অর্থে নিরাপদ নয়।’
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মতে, মধ্য এশিয়ার দেশগুলোতে সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলা ও সীমান্ত সুরক্ষায় সহযোগিতা বাড়ানোর জন্য ২০১৮ সালে চালু হওয়া একটি উদ্যোগ ‘দুশানবে প্রসেস’-এর চতুর্থ পুনরাবৃত্তি এই উচ্চ পর্যায়ের সম্মেলনটি।
এই সম্মেলনটি বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি প্রথমবারের মতো ‘দুশানবে প্রসেস’-এর সুযোগ ও প্রভাব মধ্য এশিয়ার বাইরেও প্রসারিত করেছে এবং জাতিসংঘের গ্লোবাল কাউন্টার-টেরোরিজম স্ট্র্যাটেজির বাস্তবায়ন জোরদার করার প্রচেষ্টার সঙ্গে সংযুক্ত করেছে।
১ মাস আগে
আফ্রিকা-বাংলাদেশের সম্পর্কে নতুন মাত্রা যোগ করবে ইথিওপিয়ান এয়ারলাইন্স: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছেন, ইথিওপিয়ান এয়ারলাইন্সের বাংলাদেশে ফ্লাইট পরিচালনা আফ্রিকা ও বাংলাদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কে এক নতুন মাত্রা যোগ করবে।
সরাসরি ঢাকা-আদ্দিস আবাবা রুটে ফ্লাইট পরিচালনা শুরু করেছে আফ্রিকার উড়োজাহাজ প্রতিষ্ঠান ইথিওপিয়ান এয়ারলাইন্স। এ উপলক্ষে রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব নাসরিন জাহান, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মনজুর কবির ভূঁইয়া, ইথিওপিয়ান সিভিল এভিয়েশন অথরিটির মহাপরিচালক গেটাচিউ মেনগিস্টি আলেমায়েহু ও ইথিওপিয়ান এয়ারলাইন্সের জেনারেল সেলস এজেন্ট রিদম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সোহাগ হোসেন।
অনুষ্ঠানে বক্তারা, বাণিজ্য, পর্যটনও সাংস্কৃতিক বিনিময় বৃদ্ধির সম্ভাবনা তুলে ধরে প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধিতে নতুন পথ খোঁজার উপর জোর দেন।
পরে আফ্রিকান শিল্পীদের পরিবেশনায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
১ মাস আগে
কমনওয়েলথ শীর্ষ সম্মেলনে বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মের ভূমিকা তুলে ধরলেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
২৭তম কমনওয়েলথ শীর্ষ সম্মেলনে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক স্বৈরাচারী সরকার পরিবর্তনের পটভূমি এবং পরিবর্তন আনয়নে তরুণ প্রজন্মের ত্যাগ ও অবদান তুলে ধরেছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।
এসময় তিনি টেকসই ভবিষ্যৎ গড়তে কমনওয়েলথের ১.৫ বিলিয়ন তরুণদের অধিকতর সম্পৃক্ত করার বিষয়ে আলোকপাত করেন। পাশাপাশি জলবায়ু পরিবর্তন ও রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে কমনওয়েলথ নেতাদের একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান তৌহিদ হোসেন।
সামোয়ার রাজধানী আপিয়ায় ২১-২৬ অক্টোবর অনুষ্ঠিত এ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ইউনুসের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়া ছাড়াও ২৫ অক্টোবর তিনি নির্বাহী আলোচনায় অংশ নেন। এছাড়াও, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা ২৬ অক্টোবর সরকার প্রধানদের রিট্রিটে বক্তব্য দেন।
সম্মেলনে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক, পরিবেশগত এবং নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জগুলো নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যেকার অধিকতর যোগাযোগ, বাণিজ্য এবং টেকসই ভবিষ্যৎ গড়ার লক্ষ্যে সহযোগিতা জোরদার করার বিষয়ে আলোচনা করেন কমনওয়েলথ রাষ্ট্রগুলোর নেতারা।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা ইউথ ফোরাম, বিজনেস ফোরাম, ক্ষুদ্র দ্বীপ রাষ্ট্রগুলোর বিষয়ে কমনওয়েলথ মিনিস্ট্রিয়াল মিটিং এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রীদের নিয়ে বৈঠকে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন।
কমনওয়েলথ শীর্ষ সম্মেলনে এবার ৩৭টি সাইড ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হয়।
এর মধ্যে একটি বাংলাদেশ ও সামোয়া যৌথভাবে আয়োজন করে। ‘ক্লাইমেট ভালনারেবিলিটি অ্যান্ড রেজিলেন্ট ইউথ: টুওয়ার্ডস এ নেট জিরো ফিউচার’ শীর্ষক এই সাইড ইভেন্টে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা এবং সামোয়ার মহিলা ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক মন্ত্রী যৌথভাবে সভাপতিত্ব করেন।
এই সাইড ইভেন্টে নামিবিয়া, জ্যামাইকা ও মালদ্বীপের মন্ত্রী পর্যায়ের প্রতিনিধি এবং মাল্টার পররাষ্ট্র সচিব ছাড়াও ৬০ জনেরও অধিক প্রতিনিধি যোগ দেন।
এছাড়াও তরুণ প্রতিনিধিরা জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব মোকাবিলা ও টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে গৃহীত বিভিন্ন উদ্যোগ সম্পর্কে তাদের মতামত তুলে ধরেন।
বাংলাদেশ প্রতিনিধি দল বিভিন্ন সাইড ইভেন্টে অংশগ্রহণ করে।
শীর্ষ সম্মেলনে যোগদানের পাশপাশি পররাষ্ট্র উপদেষ্টা সামোয়ার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। এছাড়াও, তিনি পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী এবং যুক্তরাজ্য, মালদ্বীপ ও অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে দ্বি-পাক্ষিক বৈঠক করেন। বৈঠকগুলোতে দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক সম্পর্কোন্নয়নের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন।
সব বৈঠকে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসন এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে চলমান মামলা কার্যক্রমের বিষয় জোরালোভাবে উপস্থাপন করেন।
এছাড়াও, তিনি বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও মানবাধিকার নিশ্চিতে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রত্যয়ের কথাও তুলে ধরেন।
সামোয়ায় কমনওয়েলথ শীর্ষ সম্মেলন শেষে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা দেশে ফেরার পথে নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ডে নিউজিল্যান্ডে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় অংশগ্রহণ করেন।
মতবিনিময় সভার পূর্বে নিউজিল্যান্ডের সিনেটর ফিল টোয়াইফোর্ড পররাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
এছাড়াও সরকার প্রধানদের সম্মানে ব্রিটেনের রাজার নৈশভোজ ছাড়াও একাধিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেন তিনি।
‘ওয়ান রেজিলেন্ট কমন ফিউচার: ট্রান্সফর্মিং আওয়ার কমন ওয়েলথ’ শীর্ষক প্রতিপাদ্য নিয়ে আধুনিক কমনওয়েলথ প্রতিষ্ঠার ৭৫তম বার্ষিকীতে আয়োজিত ২৭তম কমনওয়েলথ শীর্ষ সম্মেলন উদ্বোধন করেন কমনওয়েলথের সভাপতি যুক্তরাজ্যের রাজা তৃতীয় চার্লস।
এ সম্মেলন বৈশ্বিক ও ভূ-রাজনৈতিক কারণে বিশেষ তাৎপর্য বহন করে।
১ মাস আগে
গ্রেপ্তারি পরোয়ানা সাপেক্ষে হাসিনাকে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেবে বাংলাদেশ: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করায় সরকার সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবেন বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।
বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা এইমাত্র এটা জানতে পেরেছি। আমরা প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেওয়ার চেষ্টা করব।’
তিনি বলেন, তাদের হাতে এক মাস সময় আছে। এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'আমি এর বেশি কিছু বলতে চাই না।’
একইসঙ্গে শেখ হাসিনাসহ ৪৬ আসামিকে গ্রেপ্তার করে ১৮ নভেম্বরের মধ্যে আদালতে হাজির করতে নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি
২ মাস আগে
জুলাই বিপ্লবে আহতদের চিকিৎসা-পুনর্বাসনে সরকার বদ্ধপরিকর: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
জুলাই বিপ্লবে আহতদের যথাযথ চিকিৎসা ও পুনর্বাসনে অন্তর্বতীকালীন সরকার বদ্ধপরিকর বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।
তিনি বলেন, আহতদের চিকিৎসার বিষয়ে বর্তমান সরকার খুবই সিরিয়াস। আমি পুনরায় নিশ্চয়তা দিচ্ছি যে, যতদিন পর্যন্ত তাদের সাপোর্ট (সহযোগিতা) প্রয়োজন পড়বে, সরকার তা দিতে বদ্ধপরিকর।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোই একমাত্র সমাধান: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ট্রমাটোলজি অ্যান্ড অর্থোপেডিক রিহ্যাবিলিটেশনে (পঙ্গু হাসপাতালে) চিকিৎসাধীন জুলাই বিপ্লবে আহতদের দেখতে গিয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
এসময় তিনি আহতদের চিকিৎসার খোঁজখবর নেন ও তাদের সমস্যার কথা শুনেন।
চিকিৎসা শেষে আহতদের পুনর্বাসন করার লক্ষ্যে যোগ্যতা অনুযায়ী তাদের জন্য চাকুরির ব্যবস্থা করা হবে বলেও জানান পররাষ্ট্র উপদেষ্টা।
আহতদের বিদেশে উন্নত চিকিৎসার বিষয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আমাদের সিদ্ধান্ত আছে- চিকিৎসকরা যখন বলবেন আমাদের এখানে চিকিৎসা সম্ভব নয়, তখন আমরা বিদেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করব।
আরও পড়ুন: সহযোগিতার গভীর সম্পর্কের 'ঐতিহাসিক সুযোগের' সম্মুখে ঢাকা-বেইজিং: রাষ্ট্রদূত
২ মাস আগে
রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোই একমাত্র সমাধান: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোই একমাত্র সমাধান বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন
সোমবার রাজধানীর একটি হোটেলে ‘বাংলাদেশ-চীনের সম্পর্ক: ভবিষ্যত দৃষ্টিভঙ্গি’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে চীন শুরু থেকেই সহযোগিতা করে আসছে। রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোই একমাত্র সমাধান। তারা যাতে তাদের অধিকার ও নিরাপত্তাসহ নিজ দেশে ফিরতে পারে, সেজন্য চীনের আরও সক্রিয় ভূমিকা প্রত্যাশা করি। যাতে রোহিঙ্গা সমস্যার সম্পূর্ণ সমাধান সম্ভব হয়।
আরও পড়ুন: সুসম্পর্ক স্থাপনে সম্মত ঢাকা-দিল্লি: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
বাংলাদেশ-চীন সম্পর্কের ৫০ বছর উপলক্ষে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ, ঢাকাস্থ চীন দূতাবাস এবং সেন্টার ফর চায়না স্টাডিজ এ সেমিনারের আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন, অর্থনীতিবিদ দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের চেয়ারম্যান এ এফ এম গওসোল আযম সরকার, মহাপরিচালক মেজর জেনারেল ইফতেখার আনিস ছিলেন।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশ-চীনের মধ্যে সামরিক খাতে গুরুত্বপূর্ণ সহযোগিতা বিদ্যমান রয়েছে। চীন বাংলাদেশে সামরিক সরঞ্জামের বড় সরবরাহকারী। সামরিক বাহিনীর আধুনিকায়নে ও প্রশিক্ষণে চীনের আরও সহযোগিতা আমাদের প্রয়োজন।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, সামরিক খাতে দুদেশের গুরুত্বপূর্ণ বিদ্যমান সহযোগিতা জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে কার্যকর অংশগ্রহণে বাংলাদেশের সামর্থ্য বাড়িয়েছে।
বাংলাদেশে অবকাঠামো উন্নয়ন, বিদ্যুৎ, গ্রিন এনার্জি, আইসিটিসহ অন্যান্য খাতে চীনের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
বাংলাদেশ-চীনের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক সৌহার্দ্যপূর্ণ সহাবস্থান ও সহযোগিতামূলক সাফল্যের দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার পর থেকে বিগত বছরগুলোতে চীন ও বাংলাদেশ নিরলসভাবে একে অপরকে সমান মর্যাদাসম্পন্ন হিসেবে মূল্যায়ন করেছে এবং পারস্পরিক সুবিধা অনুসরণ করেছে। উভয় দেশ প্রথম থেকেই অভিন্ন মৌলিক স্বার্থের বিষয়ে একে অপরকে সমর্থন করেছে এবং নিজ নিজ উন্নয়নে একসঙ্গে কাজ করেছে। এর ফলে বাংলাদেশ-চীনের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক সৌহার্দ্যপূর্ণ সহাবস্থান ও সহযোগিতামূলক সাফল্যের দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ সীমান্ত হত্যার প্রতিবাদের ভাষাকে আরও ‘শক্তিশালী’ করেছে: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
২ মাস আগে
বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছেন, সারাদেশে শান্তিপূর্ণভাবে শারদীয় দুর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এ দেশে হিন্দু-মুসলমান-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান সবাই একে অপরের কাঁধে-কাঁধ মিলিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করে আসছে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত আমাদের দেশ।
দুই-একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: এবারের দুর্গাপূজায় প্রায় দ্বিগুণ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
শনিবার (১২ অক্টোবর) মহানবমী পূজা উপলক্ষে নরসিংদী শহরের সেবাসংঘ দুর্গামন্দির পরিদর্শনকালে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও বলেন, সারাদেশে দুর্গাপূজা সুচারুভাবে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পেলে সঙ্গে সঙ্গেই যথাযথ ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, সার্বিকভাবে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। প্রতিমা বিসর্জনের মাধ্যমে রবিবার দুর্গাপূজা সম্পন্ন হবে।
শান্তিপূর্ণভাবে পূজা সম্পন্ন করার লক্ষ্যে সবাইকে সজাগ দৃষ্টি রাখার আহ্বান জানান তৌহিদ হোসেন।
এসময় তার সঙ্গে ছিলেন নরসিংদী জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রাশেদ হোসেন চৌধুরী, ২৮ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ হুমায়ন রশিদ, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক ও নরসিংদী পৌরসভার প্রশাসক মৌসুমী সরকার রাখী, সেবাসংঘ দুর্গামন্দির কমিটির সভাপতি সরোজ কুমার সাহা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট সদস্য রঞ্জিত কুমার সাহা, পৌরসভা পূজা বিসর্জন কমিটির সভাপতি কাজল সাহা ও সদস্য সচিব দীপক কুমার বর্মন প্রিন্স প্রমুখ।
আরও পড়ুন: মানুষ কেমন বাংলাদেশ চায় তা দেয়ালে দেয়ালে লেখা হয়ে গেছে: উপদেষ্টা নাহিদ
২ মাস আগে