ট্রলার ডুবি
কক্সবাজারে ঝড়ের কবলে পড়ে ট্রলার ডুবিতে নিহত ১, উদ্ধার ১৩
কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় এফবি সাগর নামক একটি ফিশিং ট্রলার ডুবির ঘটনায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। এসময় ১৩ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। ট্রলারটিতে মাঝিসহ ১৪ জেলে ছিল বলে জানা গেছে।
মঙ্গলবার (১৬ মে) দিবাগত রাতে বঙ্গোপসাগরে কালবৈশাখী ঝড়ের কবলে পড়ে ট্রলারটি ডুবে যায়।
নিহত বিশ্বনাথ চন্দ্র দাশ হাতিয়া এলাকার বাসিন্দা।
বুধবার বিষয়টি নিশ্চিত করে ট্রলারের মাঝি হিরা আহমদ জানান, ট্রলারে কেবিনে আটকে পড়েন।
আরও পড়ুন: মেঘনা নদীতে সাড়ে ৩ হাজার বস্তা চিনিবোঝাই ট্রলার ডুবি
তিনি আরও জানান, সোমবার রাতে আলী আকবর ডেইল মৎস্য ঘাট থেকে ১৪ জন মাঝি-মাল্লা নিয়ে মাছ শিকারের জন্য যায় ট্রলারটি।
মঙ্গলবার দিবাগত রাতে বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরার ট্রলারটি হঠাৎ ঝড়ের কবলে পড়ে বাতাসের তোড়ে উল্টে যায়। এ সময় অপর জেলেরা সাগরে ছিটকে পড়লেও ট্রলারে আটকে যান জেলে বিশ্বনাথ চন্দ্র দাশ। ট্রলার ডুবির সময় আশেপাশে থাকা মাছ ধরার ট্রলার এসে ১৩ জেলেকে জীবিত উদ্ধার করে।
এ সময় জেলে বিশ্বনাথের সন্ধান পাওয়া যায়নি। পরে বিশ্বনাথের লাশ ভাসমান অবস্থায় সাগরে দেখতে পাই।
বিষয়টি নিশ্চিত করে আলী আকবর ডেইল ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আকতার কামাল সিকদার জানান, একজনের লাশ উদ্ধার করে তীরে নিয়ে আসা হয়েছে, ট্রলারটি এখনও নিখোঁজ রয়েছে। ট্রলারের অন্য ১৩ জন মাঝিমাল্লা সুস্থ আছেন বলেও জানান তিনি।
কুতুবদিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মিজানুর রহমান জানান, বঙ্গোপসাগরে আলী আকবর ডেইল ইউনিয়নের রত্নসেন দাশের মালিকানাধীন একটি ট্রলার দুর্ঘটনায় একজন জেলের লাশ উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগরে ১৮ ট্রলার ডুবি: নিহত জেলে পরিবারকে ২০ হাজার টাকা প্রদান
বঙ্গোপসাগরে ১৮ ট্রলার ডুবি: নিহত জেলে পরিবারকে ২০ হাজার টাকা প্রদান
বঙ্গোপসাগরে সুন্দরবনের দুবলারচরের বিভিন্ন এলাকায় ১৮ মাছ ধরা ট্রলার ডুবিতে নিখোঁজ সাত জেলের পরিবারকে অর্থ সহায়তা দেয়া হয়েছে।
ট্রলার ডুবিতে নিহতের প্রত্যেক পরিবারকে বাগেরহাট জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২০ হাজার টাকা করে আর্থিক সাহায্য দেয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগরে ১৮ ট্রলার ডুবি: নিখোঁজ আরেক জেলের লাশ উদ্ধার
এব্যাপারে বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান জানান, মাছ ধরতে গিয়ে ঝড়ের কবলে পড়ে ট্রলার ডুবিতে বাগেরহাটর যে কয়জন জেলে মারা গেছে তাদের প্রত্যেক পরিবারক ২০ হাজার টাকা করে আর্থিক সাহায্য দেয়া হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহীদের এবিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। অপর নিখোঁজ জেলেদের উদ্ধারে প্রতিদিন উদ্ধার অভিযান চলছে।
এদিকে বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলার বগা গ্রামে নিখোঁজ জেলেদের পরিবারে শোকের মাতম
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে প্রতিদিন ১২ হাজারের বেশি ভ্যাকসিন দেয়া হচ্ছে
প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার রাত ১০টার দিকে বঙ্গোপসাগরে সুন্দরবনের দুবলারচরের বিভিন্ন এলাকায় মৌসুমে ঝড়ের তাণ্ডবে দেড় শতাধিক জেলেকে নিয়ে ১৮টি মাছ ধরা ট্রলার ডুবে যায়। প্রায় দেড়শত জেলে সাঁতরিয়ে এবং অন্য ট্রলারের সাহায্যে তীরে উঠতে সক্ষম হলেও কমপক্ষে ১৪ জেলে নিখোঁজ হন।
বঙ্গোপসাগরে ১৮ ট্রলারডুবি, ৩ জেলে নিখোঁজ
ঝড়ের কবলে পড়ে সুন্দরবনের দুবলারচর ও বঙ্গোপসাগরের বিভিন্ন এলাকায় ১৮টি মাছ ধরার ছোট-বড় ট্রলার ডুবে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এই সময় তিন জেলে নিখোঁজ ও জীবিত দুই জেলেকে উদ্ধার করেছে কোস্টগার্ড। শুক্রবার রাত ১০টার দিকে ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটে।
এদিকে, নিখোঁজদের সন্ধানে উদ্ধার অভিযান চলছে। এছাড়া বৃষ্টিতে দুই কোটি টাকার শুটকি নষ্ট হওয়ার দাবি করা হয়েছে।
নিখোঁজ জেলেরা হলেন, বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার শাহিন (৪০), মফিজুল (৩০) ও খুলনার কয়রা উপজেলার চাকলা গ্রামের মিজান (৩৪)।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় ট্রলার ডুবিতে নারী-শিশুসহ ৩ জনের মৃত্যু
সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের দুবলারচর ফরেস্ট ক্যাম্পের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রলাদ চন্দ্র রায় জানান, জেলেরা বঙ্গোপসাগর ও দুবলারচরের বিভিন্ন এলাকায মাছ আহরণ করছিলেন। শুক্রবার রাত ১০টার দিকে হঠাৎ প্রচণ্ড ঝড় ও বৃষ্টি ঝড়ে শুরু হয়। ঝড়ের কবলে পড়ে দুবলার চরের আট কিলোমিটারের মধ্যে ১০টি ও দুবলারচর থেকে ৪৫ কিলোমিটার দূরে বঙ্গোপসাগরের বিভিন্ন এলাকায় আটটি মাছ ধরার ট্রলার ডুবে যায়। এ সময় ট্রলারে থাকা শতাধিক জেলে সাঁতরিয়ে এবং অন্য ট্রলারের সাহায্যে তীরে উঠতে সক্ষম হলেও তিন জেলে নিখোঁজ হয়।
তিনি জানান, ঝড়ের সময় মুষলধারে বৃষ্টিতে ভিজে দুবলারচরে জেলেদের বিপুল পরিমাণ শুটকি মাছ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শুটকি মাছ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় জেলেরা আর্থিকভাবে দুই কোটি টাকার ওপরে ক্ষতির মুখে পড়েছে। প্রায় ১০ হাজার জেলে শুটকি মৌসুমে দুবলারচরে মাছ শুকানোর কাজে অবস্থান করছেন।
আরও পড়ুন: ব্রাক্ষণবাড়িয়ায় ট্রলার ডুবির ঘটনায় আটক ৩
সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মুহাম্মদ বেলায়েত হোসেন জানান, নিখোঁজ জেলেদের উদ্ধারে বন বিভাগ, কোস্টগার্ড ও স্থানীয় জেলেরা অভিযান চালাচ্ছে। বঙ্গোপসাগর ও দুবলারচরের প্রায় ৪০ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে উদ্ধার অভিযান চলছে। তবে শনিবার দুপুর পর্যন্ত নিখোঁজ ওই তিন জেলের সন্ধান মেলেনি।
ডাকাতিয়া নদীতে বাল্কহেড-ট্রলার সংঘর্ষ, নিহত ৫
চাঁদপুর সদরের ডাকাতিয়া নদীতে বালুবাহী বাল্কহেডের সাথে মাটিবোঝাই ট্রলারের সংঘর্ষে পাঁচ শ্রমিক নিহত হয়েছে। সোমবার সকাল ৭টার দিকে উপজেলার মমিনপুর এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন, কুমিল্লা জেলার মুরাদ নগর উপজেলার আউয়াল মাঝি (৫০), মোবারক হেসেন (৩৫), জেলার তিতাস উপজেলার নাছির হোসেন (৩২), আলামিন (৩৫) ও কালা মিয়া (৩৩)। তারা চাঁদপুরের মৈশাদী ও শাহতলী গ্রামের ব্রিকফিল্ডগুলোতে মাটি কাটার শ্রমিক ছিল।
আরও পড়ুন: ভোলায় কালবৈশাখী ঝড়ে মালবাহী ভলগেট ও ট্রলার ডুবি
এঘটনায় বাল্কহেডের চার শ্রমিককে আটক করেছে চাঁদপুর নৌ থানা পুলিশ। তারা হলেন, মো. জাবেদ, আবুল বাশার, মো. ইউনুস ও দিদার।
চাঁদপুর ফায়ার স্টেশন ও সিভিল ডিফেন্সের উপ সহকারী পরিচালক শাহিদুল ইসলাম জানান, বালুবাহী বাল্কহেড হাজীগঞ্জ থেকে চাঁদপুরে আসছিল। ঘন কুয়াশার কারণে চাঁদপুরের ডাকাতিয়া নদীর মমিনপুর এলাকায় মাটিবাহী ট্রলারের সঙ্গে ওই বাল্কহেডের সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনার পর বাল্কহেড ও ট্রলারটি ডুবে যায়। এতে নদীতে পড়ে যান ১১ শ্রমিক। পরে অন্যরা সাঁতরে তীরে উঠতে সক্ষম হন।
আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগরে ট্রলারডুবি: ৪ জনের মৃতদেহ উদ্ধার
তিনি জানান, ফায়ার সার্ভিস ডাকাতিয়া আসার আগে স্থানীয়রা এক জনের এবং ফায়ার সার্ভিস ডুবুরি দল বাকি চার জনের লাশ উদ্ধার করে।
এদিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ইকবাল হোসেন-১ নামক বালুবাহী বাল্কহেডের চার জনকে আটক করা হয়েছে। তারা সকলেই ইকবাল হোসেন-১ বালুবাহী বাল্কহেডের শ্রমিক। এছাড়া মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান ওসি।
কুমিল্লায় ট্রলার ডুবিতে নারী-শিশুসহ ৩ জনের মৃত্যু
কুমিল্লায় ট্রলার ডুবিতে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। ঘটনায় নিখোঁজ রয়েছেন আরও একজন। সোমবার মেঘনা উপজেলার কাঠালিয়া নদীতে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- তিতাস উপজেলার রায়পুর গ্রামের আব্দুল মতিন মিয়ার স্ত্রী জুলেখা আক্তার (৬০), তার নাতনি আয়েশা আক্তার (১৫) ও মরিয়ম আক্তার (৭)। নিখোঁজ রয়েছে আরেক নাতনি তামান্না আক্তার (৫)।
আরও পড়ুন: লঞ্চে আগুন: দুই চালক কারাগারে
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী আক্তার হোসেন বলেন, সোমবার দাউদকান্দি উপজেলার হাসনাবাদ এলাকা থেকে তিতাসের দুধঘাটা দরিয়াকান্দির উদ্দেশ্যে ১১ জন যাত্রী নিয়ে একটি ট্রলার যাত্রা করে। ট্রলারটি মেঘনা উপজেলার কাঁঠালিয়া নদীর পুরোনো বাটেরা এলাকায় পৌঁছালে কচুরিপানার কারণে গতি কমে যায়। এ সময় চালক এটির গতি বাড়িয়ে চালিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেন। তখন কিছুর সঙ্গে লেগে ট্রলারটির তলা ফুটো হয়ে যায়।
তিনি আরও জানান, নিখোঁজ ও নিহতরা সবাই ঢাকার ডেমরা এলাকায় বসবাস করে। স্বজনের বাড়ি বেড়াতে যাওয়ার পথে এ দুর্ঘটনার শিকার হন তারা।
বিষয়টি নিশ্চিত করে দাউদকান্দি ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার মাজহারুল ইসলাম জানান, নিহতদের মধ্যে দু’জন কন্যা শিশু এবং একজন নারী। এ ঘটনায় এক শিশু নিখোঁজ রয়েছেন। নিখোঁজ শিশুকে উদ্ধারে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। ট্রলারটিতে মোট ১১ জন ছিলেন, আহত হয়েছেন অন্তত ১০ জন। তাদেরকে দাউদকান্দির একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মেঘনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ছমিউদ্দিন বলেন, ট্রলার ডুবিতে তিনজন মারা গেছেন। আমরা ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করেছি।
আরও পড়ুন: লঞ্চে অগ্নিকাণ্ড: যমজ মেয়ের পর এবার ভেসে এলো মায়ের লাশ!
বঙ্গোপসাগরে ট্রলার ডুবির ঘটনায় ৩ জেলের লাশ উদ্ধার
বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরার একটি ট্রলার ডুবির ঘটনায় নিখোঁজ তিন জেলের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার সকাল আটটার দিকে বঙ্গোপসাগর সংলগ্ন লালদিয়ার চর এলাকা থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়। এর আগে মঙ্গলবার বঙ্গোপসাগরের দক্ষিণ আশার চর এলাকায় এই ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটে।
নিহত জেলেরা হলেন, পাথরঘাটা উপজেলার সদর ইউনিয়নের চরলাঠিমারা এলাকার হোছেন আলীর ছেলে ইব্রাহিম (২৮), তোতা মিয়ার ছেলে মনির (২২) ও বাদুরতলা এলাকার আব্দুল কুদ্দুস মুন্সির ছেলে সরোয়ার (২৫)।
আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগরে ২৪ জেলেসহ ট্রলারডুবি, নিহত ১
উল্লেখ্য সমুদ্র থেকে তীরে ফেরার সময় মঙ্গলবার দুপুর দুইটার দিকে বঙ্গোপসাগরের দক্ষিণ আশার চর এলাকায় ১১ জন জেলে নিয়ে এফবি আল্লাহর দান নামের একটি মাছ ধরার ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ওই ট্রলারে থাকা ১১ জেলের মধ্যে ৮ জেলেকে উদ্ধার করা হলেও তিন জেলে নিখোঁজ ছিলেন। পরে আজ ডুবে যাওয়া ট্রলারের ভেতর থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বরগুনা জেলার ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী বলেন, গতকাল ট্রলার ডুবির ঘটনার পর ওই তিন জেলে নিখোঁজ ছিলেন। টলার ডুবির খবর পেয়ে আমরা ডুবে যাওয়া ট্রলারটি উদ্ধারের জন্য গতকাল একটি উদ্ধারকারী ট্রলার পাঠিয়েছিলাম। দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর আজ সকালে ডুবে যাওয়া ট্রলারটি উদ্ধার করা সম্ভব হয় এবং নিখোঁজ তিন জেলেদের লাশ ওই ট্রলারের ভিতরেই পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন: ব্রাক্ষণবাড়িয়ায় ট্রলার ডুবির ঘটনায় আটক ৩
মধুমতি নদীতে ট্রলারডুবিতে যুবকের মৃত্যু
মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলায় মধুমতি নদীতে ট্রলারডুবির ঘটনায় তিতাশ মোল্লা (১৮) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।
শনিবার সকাল ৯টার দিকে উপজেলার বগুলিয়া এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: ভোলায় অবৈধভাবে যাত্রী পারাপার: ৪ ট্রলার জব্দ
মহম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাছির হোসেন জানান, সকাল আনুমানিক ৯টার দিকে তিতাশ অপর দুই বন্ধুর সাথে ট্রলারে চড়ে মধুমতি নদীতে ঘুরছিলেন। নদীতে প্রচণ্ড স্রোতের টানে তারা ট্রলার সামাল দিতে না পেরে মাঝ নদীতে ডুবে যায়। এসময় তার সাথে থাকা অপর দুজন সাতড়িয়ে তীরে ওঠে আসে। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে মহম্মদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নিয়ে গেলে কর্মরত চিকিৎসক তিতাশকে মৃত ঘোষণা করে।
এ ব্যাপারে মহম্মদপুর থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে বলে ওসি জানিয়েছেন।
ভোলায় কালবৈশাখী ঝড়ে মালবাহী ভলগেট ও ট্রলার ডুবি
ভোলায় ইলিশা ফেরিঘাটের পন্টুন ও গ্যাংওয়ে সরে গিয়ে ভোলা-লক্ষীপুর নৌ রুটের ফেরি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এছাড়াও ভোলার মেঘনায় পাথরবাহী একটি ভলগেট ও ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার ঢালচর ইউনিয়নে ঘাটে থাকা যাত্রী ও মালামাল পারপারের ট্রলারের একাংশ ডুবে যায়। তবে এতে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
শনিবার ভোরে কালবৈশাখী ঝড়ের তাণ্ডবে এই ঘটনা ঘটে।
বিআইডব্লিউটিএ-র ভোলা নদী বন্দরের সহকারী পরিচালক মো. কামরুলজ্জামান জানান, কালবৈশাখী ঝড়ে ফেরির পল্টুন ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ায় পুনরায় স্থাপনে বরিশাল থেকে একটি টিম রওয়ানা হয়েছে। বিকাল নাগাদ মেরামত কাজ সম্পন্ন করার কথা রয়েছে।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে বরযাত্রীসহ ট্রলারডুবি, শিশু নিখোঁজ
ভোলা ফেরি সার্ভিসের ব্যবস্থাপক মো. পারভেজ জানান, ঝড়ে ফেরিঘাটের পল্টুন ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ায় ভোলা-লক্ষীপুর রুটের ফেরিচলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে করে দুই প্রান্তে আটকা পড়েছে শতাধিক পণ্যবাহী গাড়ি। পল্টুন মেরামত হলে রাতে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হতে পারে।
অপর দিকে, ভোলার মেঘনা নদীতে ঝড়ের কবলে পড়ে পাথরবাহী ভলগেট ডুবে যায়। পাথরগুলো ভোলার মেঘনা নদী ভাঙন রোধে ব্লকের কাজে ব্যবহার করার জন্য আনা হচ্ছিল।
ইলিশা ফেরিঘাটের নৌ-পুলিশ ইনচার্জ সুজন চন্দ্র পাল সাংবাদিকদের জানান, কিশোরগঞ্জে থেকে এমভি জেআরবি নামের একটি ভলগেট পাথর নিয়ে ভোলার জোড়খাল এলাকায় কালবৈশাখী ঝড়ের কবলে পড়ে ডুবে নিখোঁজ হয়ে যায়। তবে এই ঘটনায় কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
এছাড়াও চরফ্যাশন উপজেলার দ্বীপ ইউনিয়ন ঢালচরে মো. আজিজের একটি ট্রলার ঘাটে বাঁধা ছিল। শনিবার সকালে হঠাৎ কালবৈশাখী ঝড়ে প্রচণ্ড বাতাসের কারণে পানির চাপে ট্রলারের নিচ তলা ডুবে যায়। পরে স্থানীয়রা ও ট্রলারের স্টাফরা দড়ি দিয়ে বেধে রাখেন। ট্রলারটি ডুবে যাওয়ায় ধারণা করা হচ্ছে প্রায় ২০ লাখ টাকার মালামালের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগরে ট্রলারডুবি: ৪ জনের মৃতদেহ উদ্ধার
ঢালচর ইউনিয়র আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য কাউছার ফরাজী বলেন, কালবৈশাখী ঝড়ের কারণে লঞ্চ ডুবে যাওয়ায় ঢালচর ইউনিয়নের সাথে মূল ভূখণ্ড চরফ্যাশন উপজেলার সাথে সকল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। এই ট্রলারটি ছিল ঢালচর বাসীর যোগাযোগের অনত্যম মাধ্যম।
স্থানীয়রা জানান, ঢালচরের মানুষের সুবিধার্থে দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে ঢালচর থেকে চরফ্যাশনের কচ্ছপিয়া ঘাটে যাত্রী ও মালামাল আনা নেয়ায় এই দুই তলা ট্রলারটি লঞ্চের মতো সার্ভিস দিয়ে আসছিল। মূলত, ঢালচরে কোনো শাখা খাল না থাকায় নদীর পাশে ঘাট করতে হয় লঞ্চ কিংবা মাছ ধরার নৌকাগুলোকে। এতে প্রায়ই ঝড়ের কবলে নৌকা ডুবির ঘটনা ঘটে বলে জানান স্থানীয়রা।
বঙ্গোপসাগরে ট্রলারডুবি: ৪ জনের মৃতদেহ উদ্ধার
বঙ্গপোসাগরে সেন্টমার্টিনের অদূরে মাছ ধরার ট্রলারডুবির ঘটনায় চারজনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
নড়াইলে ট্রলার ডুবিতে পুলিশসহ নিখোঁজ ২
নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার কালনা মধুমতি নদীতে ট্রলার ডুবিতে পুলিশ সদস্যসহ দুজন নিখোঁজ হয়েছেন।