ভোলায় ইলিশা ফেরিঘাটের পন্টুন ও গ্যাংওয়ে সরে গিয়ে ভোলা-লক্ষীপুর নৌ রুটের ফেরি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এছাড়াও ভোলার মেঘনায় পাথরবাহী একটি ভলগেট ও ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার ঢালচর ইউনিয়নে ঘাটে থাকা যাত্রী ও মালামাল পারপারের ট্রলারের একাংশ ডুবে যায়। তবে এতে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
শনিবার ভোরে কালবৈশাখী ঝড়ের তাণ্ডবে এই ঘটনা ঘটে।
বিআইডব্লিউটিএ-র ভোলা নদী বন্দরের সহকারী পরিচালক মো. কামরুলজ্জামান জানান, কালবৈশাখী ঝড়ে ফেরির পল্টুন ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ায় পুনরায় স্থাপনে বরিশাল থেকে একটি টিম রওয়ানা হয়েছে। বিকাল নাগাদ মেরামত কাজ সম্পন্ন করার কথা রয়েছে।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে বরযাত্রীসহ ট্রলারডুবি, শিশু নিখোঁজ
ভোলা ফেরি সার্ভিসের ব্যবস্থাপক মো. পারভেজ জানান, ঝড়ে ফেরিঘাটের পল্টুন ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ায় ভোলা-লক্ষীপুর রুটের ফেরিচলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে করে দুই প্রান্তে আটকা পড়েছে শতাধিক পণ্যবাহী গাড়ি। পল্টুন মেরামত হলে রাতে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হতে পারে।
অপর দিকে, ভোলার মেঘনা নদীতে ঝড়ের কবলে পড়ে পাথরবাহী ভলগেট ডুবে যায়। পাথরগুলো ভোলার মেঘনা নদী ভাঙন রোধে ব্লকের কাজে ব্যবহার করার জন্য আনা হচ্ছিল।
ইলিশা ফেরিঘাটের নৌ-পুলিশ ইনচার্জ সুজন চন্দ্র পাল সাংবাদিকদের জানান, কিশোরগঞ্জে থেকে এমভি জেআরবি নামের একটি ভলগেট পাথর নিয়ে ভোলার জোড়খাল এলাকায় কালবৈশাখী ঝড়ের কবলে পড়ে ডুবে নিখোঁজ হয়ে যায়। তবে এই ঘটনায় কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
এছাড়াও চরফ্যাশন উপজেলার দ্বীপ ইউনিয়ন ঢালচরে মো. আজিজের একটি ট্রলার ঘাটে বাঁধা ছিল। শনিবার সকালে হঠাৎ কালবৈশাখী ঝড়ে প্রচণ্ড বাতাসের কারণে পানির চাপে ট্রলারের নিচ তলা ডুবে যায়। পরে স্থানীয়রা ও ট্রলারের স্টাফরা দড়ি দিয়ে বেধে রাখেন। ট্রলারটি ডুবে যাওয়ায় ধারণা করা হচ্ছে প্রায় ২০ লাখ টাকার মালামালের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগরে ট্রলারডুবি: ৪ জনের মৃতদেহ উদ্ধার
ঢালচর ইউনিয়র আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য কাউছার ফরাজী বলেন, কালবৈশাখী ঝড়ের কারণে লঞ্চ ডুবে যাওয়ায় ঢালচর ইউনিয়নের সাথে মূল ভূখণ্ড চরফ্যাশন উপজেলার সাথে সকল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। এই ট্রলারটি ছিল ঢালচর বাসীর যোগাযোগের অনত্যম মাধ্যম।
স্থানীয়রা জানান, ঢালচরের মানুষের সুবিধার্থে দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে ঢালচর থেকে চরফ্যাশনের কচ্ছপিয়া ঘাটে যাত্রী ও মালামাল আনা নেয়ায় এই দুই তলা ট্রলারটি লঞ্চের মতো সার্ভিস দিয়ে আসছিল। মূলত, ঢালচরে কোনো শাখা খাল না থাকায় নদীর পাশে ঘাট করতে হয় লঞ্চ কিংবা মাছ ধরার নৌকাগুলোকে। এতে প্রায়ই ঝড়ের কবলে নৌকা ডুবির ঘটনা ঘটে বলে জানান স্থানীয়রা।