প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার
প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদ মোকাবিলার আহ্বান উপদেষ্টা আসিফের
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেছেন, ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা দূর করার জন্য প্রতিষ্ঠানগুলোর কাঠামোগত সংস্কার করতে আমাদের সকলের সম্মিলিত লড়াই চালিয়ে যেতে হবে।
তিনি বলেন, ‘জনগণের ট্যাক্সের টাকায় পরিচালিত বাহিনী যেনো অন্যায়ভাবে এমন গণহত্যা না করতে পারে, আর যেনো কাউকে জীবন দিতে না হয়। দেশব্যাপী মানুষের সামগ্রিক প্রচেষ্টায় এই লড়াই সফলতা পাবে।’
সোমবার (৭ জুলাই) গেন্ডারিয়ার ধূপখোলা মাঠ সংলগ্ন এলাকায় জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের শহীদ মেহেদী হাসান জুনায়েদের নামে ‘শহীদ জুনায়েদ চত্বর’ ও শহীদ শাহারিয়ার খান আনাসের নামে ‘শহীদ শাহারিয়ার খান আনাস সড়ক’র নামফলক উন্মোচনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে ৫ আগষ্ট সকালের দুর্বিষহ স্মৃতি স্মরণ করে উপদেষ্টা বলেন, চানখারপুলে যে স্থানে আনাস এবং জুনায়েদ শহীদ হয়, আমি তার পাশেই ছিলাম। আমরা সবাই পুলিশ, এপিবিএন’র ব্যারিকেড ভেঙ্গে শহীদ মিনারের উদ্দেশে যাবার জন্য প্রস্তুত হই। কিন্তু গুলিতে জুনায়েদ-আনাসসহ আরো অনেকে শহীদ হয়। আমরা এই শহীদদের রক্ত বৃথা যেতে দেবো না। যে অদম্য দেশপ্রেম এবং প্রেরণা থেকে তারা জীবন দিয়েছে, একটি নতুন বাংলাদেশ গড়ার জন্য, আমরা সকলে মিলে এমন বাংলাদেশই গড়ে তুলব।
অনুষ্ঠানে শহীদ আনাসের মা এবং শহীদ জুনায়েদ এর বাবা বক্তব্য দেন। তারা দ্রুত সময়ের মধ্যে জুলাই সনদ এবং ঘোষণাপত্র বাস্তবায়নের দাবি করেন। এছাড়াও সকল শহীদদের কবর সংরক্ষণ এবং স্মৃতি সংরক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি বিশেষভাবে অনুরোধ জানান।
উল্লেখ্য, শহীদ শাহারিয়ার খান আনাস ২০০৭ সালের১৪ অক্টোবর জন্মগ্রহণ করেন এবং ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট শাহাদাত বরণ
‘মা, আমি মিছিলে যাচ্ছি......’ দিয়ে শুরু করা চিঠি ছিলো আনাসের সর্বশেষ অভিব্যক্তি। অপরদিকে শহীদ মেহেদী হাসান জুনায়েদ ২০০৯ সালের ০৮ অক্টোবর জন্মগ্রহণ করেন এবং ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট চানখারপুলে মিছিলরত অবস্থায় শহীদ হন।
পড়ুন: দুই সিটি করপোরেশনের দুটি জোনে আগস্ট থেকে চলবে ই-রিকশা: উপদেষ্টা আসিফ
ডিএসসিসির প্রশাসক মো. শাহজাহান মিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম এবং স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মো. রেজাউল মাকছুদ জাহেদী। এছাড়াও স্থানীয় সরকার বিভাগ ও ডিএসসিসির কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
১৫০ দিন আগে
প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারের পাশাপাশি গণমুখী বিচার বিভাগের প্রতিশ্রুতি প্রধান বিচারপতির
বিচার বিভাগ জনগণের পাশে দাঁড়াবে বলে আশ্বাস দিয়ে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ বলেছেন, এই গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিক্ষণে প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারের জন্য এরই মধ্যে জোরালো পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
রাজধানীতে 'সুশাসনের জন্য জনকেন্দ্রিক সংস্কার: সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর আকাঙ্ক্ষা' শীর্ষক নাগরিক সম্মেলন ২০২৪-এর উদ্বোধনকালে এ কথা বলেন তিনি।
প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘এই মুহূর্তে আমরা একদম ধ্বংসস্তূপের উপর দাঁড়িয়ে আছি। বিগত বছরগুলোতে বিচার প্রক্রিয়ায় আমাদের বিচারবোধ ও ন্যায়বিচারের মূল্যবোধ বিনষ্ট করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘সততার বদলে অসততা, অধিকারের বদলে বঞ্চনা, বিচারের বদলে নিপীড়ন, আশ্রয়ের বদলে নির্যাতনকে স্বাভাবিক ব্যাপারে পরিণত করা হয়েছে। অথচ এরকম সমাজ ও রাষ্ট্র আমরা চাইনি। এই ধ্বংসস্তূপে দাঁড়িয়ে আমাদের নতুন করে যাত্রা শুরু করতে হবে। আমি যে মূল্যবোধের বিকৃতি ও দূষণের কথা বলেছি, সেগুলো আমাদের আবার পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে হবে। আজ থেকে প্রতিটি শ্রেয় শুভ হোক। কল্যাণ ও কর্মে সকলে গণমুখি ও জন কেন্দ্রিক বিচারবিভাগকে আপনাদের পাশে পাবেন।’
আরও পড়ুন: বিচারিক দক্ষতা নৈতিক বাধ্যবাধকতা, শুধু প্রশাসনিক লক্ষ্য নয়: প্রধান বিচারপতি
তিনি আরও বলেন, ‘দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে বিচার বিভাগও ভগ্নদশা থেকে মুক্ত নয়। তবে এ পর্যায়ে আমি দৃপ্তকণ্ঠে আপনাদের আশ্বস্ত করতে চাইছি- এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে কিছু প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারের বলিষ্ঠ পদক্ষেপ নিয়ে ইতোমধ্যে এক নতুন যাত্রা শুরু হয়েছে।’
প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘ছাত্র-জনতার বিজয়ের এই ঐতিহাসিক মুহূর্ত নির্যাতিত ও নিপীড়িত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর এক সুবর্ণ সুযোগ আমাদের সামনে এনে দিয়েছে। আমরা যেন এই সুযোগের পূর্ণ সদ্ব্যবহার করতে পারি সেদিকে আমাদের সর্বদা খেয়াল রাখতে হবে।’
উদ্বোধনী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন সিটিজেন্স প্ল্যাটফর্মের আহ্বায়ক এবং সিপিডির সম্মানিত ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। এতে বক্তব্য দেন-প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক প্রধান সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ, বাংলাদেশে সুইজারল্যান্ডের দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স কোরিন হেনচোজ পিগনানি এবং ইউএনডিপি বাংলাদেশের রেসিডেন্ট রিপ্রেজেন্টেটিভ স্টেফান লিলার।
আরও পড়ুন: প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে প্রধান বিচারপতির সৌজন্য সাক্ষাৎ
৩৬২ দিন আগে
প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করবে কানাডা: ড. ইউনূসকে জাস্টিন ট্রুডো
বাংলাদেশে প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারের ক্ষেত্রে সরকারকে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে কানাডা।
মঙ্গলবার জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনের ফাঁকে কানাডার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেছেন বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
বৈঠকে অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বের প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী ট্রুডো।
সংক্ষিপ্ত এ বৈঠকে বাংলাদেশ-কানাডা সম্পর্ক আরও দৃঢ় করার উপায়, জনসাধারণের স্বাধীনতা আরও বিস্তৃত করা, প্রতিষ্ঠানিক সংস্কার ও বাংলাদেশের তরুণ সমাজকে সহায়তার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
এসময় প্রধান উপদেষ্টা পূর্ববর্তী সরকার দেশের প্রতিষ্ঠানগুলোকে কীভাবে ধ্বংস করেছিল সে বিষয়টি তুলে ধরেন।
আরও পড়ুন: ঢাকা-ওয়াশিংটনের মধ্যে ঘনিষ্ঠ অংশীদারিত্বের কথা পুনর্ব্যক্ত করলেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন ও অধ্যাপক ইউনূস
৪৩৬ দিন আগে