প্রত্যর্পণ
মোদি-ইউনূস বৈঠক: হাসিনাকে প্রত্যর্পণসহ সীমান্ত হত্যা নিয়ে আলোচনা
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রত্যর্পণসহ দুই দেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়াদি নিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কথা হয়েছে।
থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককের সাংরিলা হোটেলে ষষ্ঠ বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলন শেষে স্থানীয় সময় শুক্রবার (৪ এপ্রিল) মধ্যাহ্নের পর তাদের দ্বিপক্ষীয় এই বৈঠক হয়েছে।
পরে প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলম সাংবাদিকদের এমন তথ্য দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আয়োজন করবো: প্রধান উপদেষ্টা
দুই নেতার বৈঠকে কী নিয়ে আলোচনা হয়েছে, তা উল্লেখ করতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘বৈঠকে দুদেশের পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট যতগুলো ইস্যু ছিল, সবগুলো নিয়ে কথা হয়েছে। আমাদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট যতগুলো বিষয় ছিল, সবগুলো বিষয়ই প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন। যেমন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রত্যর্পণের বিষয়ে কথা হয়েছে। শেখ হাসিনা যে ওখানে (ভারতে) বসে ইনসিন্ডিয়ারে (হিংসাত্মক) কথা বলছেন, সেগুলো নিয়ে কথা হয়েছে। সীমান্ত হত্যাকাণ্ড নিয়ে কথা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘গঙ্গা পানি চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছে, নতুন করে সেটা করা নিয়ে কথা হচ্ছে। তিস্তা পানি চুক্তি নিয়েও কথা হয়েছে।’
বৈঠকটি অনেক গঠনমূলক ও ফলপ্রসূ হয়েছে বলে মন্তব্য করেন শফিকুল আলম।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন, প্রধান উপদেষ্টার উচ্চপ্রতিনিধি খলিলুর রহমান, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের এসডিজি–বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সেক্রেটারি শফিকুল আলম ও পররাষ্ট্রসচিব মো. জসিম উদ্দিন বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের পর এই প্রথমবারের মতো অধ্যাপক ইউনূসের সঙ্গে নরেন্দ্র মোদির বৈঠক হয়েছে।
আরও পড়ুন: থাইল্যান্ডে প্রথমবারের মতো মোদি-ইউনূস বৈঠক
৩০ দিন আগে
শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ অনুরোধে নীরব ভারত, অপেক্ষায় বাংলাদেশ
ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণে বাংলাদেশের অনুরোধের বিষয়ে ভারত আর কোনো মন্তব্য করেনি। তবে বাংলাদেশ ভারতের কাছ থেকে জবাবের অপেক্ষায় রয়েছে।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেছেন, 'আপনারা জানেন, এক সপ্তাহ আগে আমি নিশ্চিত হয়েছি যে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যাপারে বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে আমরা একটি বার্তা পেয়েছি। এর বাইরে এই মুহূর্তে আমার আর কিছু বলার নেই।’
বৃহস্পতিবার(২ জানুয়ারি) নয়াদিল্লিতে সাপ্তাহিক সংবাদ সম্মেলনে এক সাংবাদিকের এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট প্রশ্নে তিনি এ মন্তব্য করেন।
সরকারের অন্তর্বর্তীকালীন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম গত রবিবার বলেছেন, তারা শুনেছেন ভারত তাকে ফেরত দেবে না।
উপদেষ্টা বলেন, 'আমাদের পর্যবেক্ষণ হলো তারা একটি রাজনৈতিকভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে, তারা তাকে ফেরত দেবেন না। আমরা এমনটিই শুনছি।’
নয়া দিল্লির কাছ থেকে জবাব না পেলে নির্দিষ্ট সময় পর স্মরণ করিয়ে দেবে বাংলাদেশ।
সম্প্রতি সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়র মুখপাত্র মো. রফিকুল আলম বলেন, ‘নিশ্চয়ই আমরা একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করব। সোমবারই কূটনৈতিক চিঠি (নোট ভারবাল) হস্তান্তর করা হয়েছে। '(ভারতের পক্ষ থেকে) কোনো জবাব না এলে আবারও স্মরণ করিয়ে দেওয়া হবে।’
তিনি বলেন, ভারতের পক্ষ থেকে জবাবের ভিত্তিতে সরকার পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে। ‘এই মুহুর্তে, আমরা কোনো মন্তব্য করব না, কারণ আমরা উত্তরের জন্য অপেক্ষা করব।’
জুলাই মাসের গণঅভ্যুত্থানের সময় হত্যা, গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধসহ ব্যাপক অভিযোগে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে শতাধিক মামলা রয়েছে। এর ফলে গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন।
আরও পড়ুন: মনমোহন সিংয়ের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ভারতীয় হাইকমিশনে প্রধান উপদেষ্টা
বাংলাদেশ ও ভারত ২০১৩ সালে একটি প্রত্যর্পণ চুক্তি সেই করেছে। পরে ২০১৬ সালে এটি সংশোধন করা হলে তা এক ধরনের অনুরোধের জন্য একটি আইনি কাঠামোতে পরিণত হয়।
২০১৬ সালের জুলাই মাসে বাংলাদেশ ও ভারত তাদের দ্বিপক্ষীয় প্রত্যর্পণ চুক্তির ১০(৩) অনুচ্ছেদ সংশোধন করে। যাতে পলাতক অপরাধীদের দ্রুত হস্তান্তর করা যায়।
এদিকে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতন জাগরণ জোটের মুখপাত্র ও ইসকনের সাবেক নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছেন চট্টগ্রামের একটি আদালত।
চিন্ময়ের জামিন নামঞ্জুর সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে জয়সওয়াল বৃহস্পতিবার পুনর্ব্যক্ত করেন, তাদের প্রত্যাশা, বাংলাদেশে চলমান কার্যক্রমে গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের সুষ্ঠু বিচার পাওয়া নিশ্চিত করা হবে। ‘এটাই আমাদের প্রত্যাশা।’
আরও পড়ুন: ‘ফেব্রুয়ারিতে ঢাকায় আসছেন’ পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
১২০ দিন আগে
শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ চায় ঢাকা, দিল্লিকে চিঠি
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে আনতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে কূটনৈতিক চিঠি পাঠিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে লেখা নোট ভারবালের কথা উল্লেখ করে সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা ভারতকে অবহিত করেছি।’
গত ১২ নভেম্বর শেখ হাসিনাসহ পলাতক আসামিদের দেশে ফিরিয়ে আনতে ইন্টারপোলের মাধ্যমে রেড নোটিশ জারির অনুরোধ জানিয়ে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ময়নুল ইসলামকে চিঠি দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম।
এর আগে গত ১৭ অক্টোবর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ পৃথক মামলায় শেখ হাসিনা ও সাবেক মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে নেপাল, ভুটান ও বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের প্রত্যর্পণ চুক্তি রয়েছে। পাশাপাশি শ্রীলঙ্কার সঙ্গেও একই ধরনের চুক্তি রয়েছে।
আরও পড়ুন: বিডিআর হত্যাকাণ্ড তদন্তে ৭ সদস্যের কমিশন গঠন
পলাতক অপরাধীদের দ্রুত হস্তান্তর করার সুবিধার্থে ২০১৬ সালের জুলাইতে বাংলাদেশ ও ভারত তাদের দ্বিপক্ষীয় প্রত্যর্পণ চুক্তির ১০(৩) অনুচ্ছেদ সংশোধন করে।
৫ আগস্ট পদত্যাগের পর ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হয়। এর পর শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে হত্যাসহ একাধিক অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
১৩২ দিন আগে
শেখ হাসিনাকে প্রত্যর্পণ করে বিচারের আওতায় আনা হবে: ইউনূস
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অপরাধ করে থাকলে তাকে প্রত্যর্পণ করে বিচারের আওতায় আনতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
'দ্য নিউইয়র্ক টাইমস ক্লাইমেট ফরোয়ার্ড ইভেন্ট'-এ এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘কেন হবে না? তিনি যদি অপরাধ করে থাকেন তাহলে তাকে প্রত্যর্পণ করে বিচারের আওতায় আনা উচিত। তাকেও বিচারের মুখোমুখি হতে হবে।’
শেখ হাসিনার প্রসঙ্গ টেনে আইনবিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল সম্প্রতি বলেছেন, ভারতের সঙ্গে অপরাধী প্রত্যর্পণ চুক্তির আওতায় কোনো দণ্ডিত ব্যক্তির বিচার শুরু হলে বাংলাদেশ অবশ্যই তার প্রত্যর্পণ চাইবে।
ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘ভারতের সঙ্গে আমাদের প্রত্যর্পণ চুক্তি রয়েছে। প্রত্যর্পণ চুক্তি অনুযায়ী, কোনো দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তি ভারতে থেকে গেলে আমরা তার প্রত্যর্পণ চাইতে পারি। আমরা শিগগিরই আইন মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে আপনাদের জানাব।’
গত ৫ আগস্ট দেশ ত্যাগ করা শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে।
সরকার কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে এবং তদন্ত ও প্রসিকিউশন টিম গঠনসহ কিছু দৃশ্যমান অগ্রগতি রয়েছে।
নির্বাচনে অংশ নেবেন কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে শান্তিতে নোবেল বিজয়ী ইউনূস বলেন, 'কোনোভাবেই নয়, এটা আমার জন্য নয়।’
তিনি বলেন, নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার কোনো পরিকল্পনা তার নেই। ‘যারা নির্বাচনে অংশ নেয়, আমাকে কি তাদের মতো মনে হচ্ছে?’
'গণপিটুনি' বিষয়ক এক প্রশ্নের জবাবে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, বিদেশের মানুষ অতিরঞ্জিত সংবাদ পাচ্ছে এবং তাদের নিজের চোখে দেখে রিপোর্ট করার জন্য সাংবাদিকদের আমন্ত্রণ জানান।
নির্বাচন প্রসঙ্গে ইউনূস বলেন, যেহেতু সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, তাই বেশি দেরি করা ঠিক হবে না।
সংস্কার অর্জনের জন্য গঠিত কমিশনগুলো হলো- বদিউল আলম মজুমদারের নেতৃত্বে নির্বাচনি ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন, সরফরাজ হোসেনের নেতৃত্বে পুলিশ প্রশাসন সংস্কার কমিশন, বিচারপতি শাহ আবু নাঈম মোমিনুর রহমানের নেতৃত্বে বিচার বিভাগীয় সংস্কার কমিশন, টিআইবির ড. ইফতেখারুজ্জামানের নেতৃত্বে দুর্নীতি দমন কমিশন, আবদুল মুয়ীদ চৌধুরীর নেতৃত্বে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন এবং ইলিনয় স্টেট ইউনিভার্সিটির বিশিষ্ট অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজের নেতৃত্বে সংবিধান সংস্কার কমিশন।
এই কমিশনগুলো ১ অক্টোবর থেকে কাজ শুরু করবে এবং তারা ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে তাদের প্রতিবেদন জমা দেবে।
'তুমিই কারণ, আমরা ভোগান্তির শিকার।’
ইউনূস আরও বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব সীমিত করার বৈশ্বিক প্যারিস চুক্তি ততদিন কাজ করবে না, যতদিন বিশ্ব বর্তমান অর্থনৈতিক ব্যবস্থার সঙ্গে টিকে থাকবে।
তিনি বলেন, এই ব্যবস্থা সর্বাধিক মুনাফা অর্জন, একটি ক্ষুদ্র গোষ্ঠীর জন্য সম্পদ তৈরি এবং ব্যাপক বর্জ্য সৃষ্টির উপর কেন্দ্রীভূত।
মানুষ 'আত্মবিধ্বংসী সভ্যতা' তৈরি করেছে উল্লেখ করে ইউনূস বলেন, 'আমরা যে অর্থনৈতিক ব্যবস্থা গড়ে তুলেছি তা এই গ্রহের ধ্বংসের চাবিকাঠি।’
নিউইয়র্ক টাইমস ক্লাইমেট ফরোয়ার্ড সামিটে ইউনূস বলেন, চুক্তিতে যত পরিবর্তনই আনা হোক না কেন, এটি কোনো পার্থক্য আনবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত বিশ্বের অন্তর্নিহিত ব্যবস্থাগুলো নতুন করে সাজানো হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ভারত বন্ধুত্ব চায় শুধু স্বৈরশাসক হাসিনার সঙ্গে, বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে নয়: রিজভী
তিনি বলেন, বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলোকে ধনী দেশের কারণে জলবায়ুর ক্ষতির বোঝা বহন করতে হবে না।
তিনি বলেন, ‘আপনি আমাদের উপর যে সমস্ত ধ্বংসযজ্ঞ চাপিয়ে দিয়েছেন, তার বোঝা আমরা কেন বহন করব? আপনারই কারণ, আমরা ভুক্তভোগী।’
তিনি আরও বলেন, কম বর্জ্য উৎপাদনের পাশাপাশি তাদের জীবাশ্ম জ্বালানি কমানোর দায়িত্বও পালন করা উচিত।
জলবায়ু পরিবর্তনের সবচেয়ে খারাপ প্রভাবের সম্মুখীন একটি দেশের নেতৃত্ব দেওয়ার চ্যালেঞ্জ নিয়ে কথা বলেন ইউনূস।
তার মতো দেশগুলোর কাছে ধনী দেশগুলোর কী পাওনা জানতে চাইলে ইউনূস বলেন, জলবায়ু মোকাবিলায় বৈশ্বিক কাঠামোতে আমূল পরিবর্তন প্রয়োজন, যার লক্ষ্য নেট-জিরো কার্বন নিঃসরণ এবং চরম সম্পদ বৈষম্য দূরীকরণ।
নিউইয়র্ক টাইমস বুধবার উদ্ভাবক, কর্মী, বিজ্ঞানী এবং নীতিনির্ধারকদের একত্রিত করে লাইভ জার্নালিজমের সারাদিনের ইভেন্টে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপগুলো পরীক্ষা করে।
ক্লাইমেট ফরোয়ার্ড নামে এই অনুষ্ঠানে জলবায়ু পরিবর্তনকে ঘিরে রাজনৈতিক ও নীতিগত চ্যালেঞ্জ নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করেন বক্তারা।
এতে জেন গুডাল, মুহাম্মদ ইউনূস ও আর জে স্কারিংসহ বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় নেতারা সমস্যার মধ্য দিয়ে কাজ করা এবং দ্রুত উষ্ণ হওয়া গ্রহের হুমকি সম্পর্কে কঠিন প্রশ্নের উত্তরের জন্য মত বিনিময় করেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ মানবাধিকার ও বাকস্বাধীনতা সমুন্নত রাখবে: অধ্যাপক ইউনূস
২২০ দিন আগে