ইসরায়েলি হামলা
ইসরায়েলি হামলায় লেবাননে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৪৪৮
ইসরায়েল-হিজবুল্লাহ সংঘাত শুরু হওয়ার পর থেকে লেবাননে ইসরায়েলি বিমান হামলায় এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ২ হাজার ৪৪৮ জন। আহতের সংখ্যা ১১ হাজার ৪৭১।
লেবাননের মন্ত্রী পরিষদের দুর্যোগ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা ইউনিটের এক প্রতিবেদনে জানা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় লেবাননে ইসরায়েলি বিমান হামলায় ৩০ জন নিহত ও ১৩৫ জন আহত হয়েছেন।
বিভিন্ন এলাকায় ৮২টি জায়গায় বিমান হামলা ও গোলাবর্ষণ চালিয়েছে ইসরায়েল।
বিশেষ করে দক্ষিণ লেবাননে হামলার মাত্রা বেড়েছে। লেবাননে ইসরায়েলের ‘আগ্রাসন’ শুরুর পর থেকে এই এলাকায় ১০ হাজার ৪১৫ বার হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাস্তুচ্যুত জন্য ১ হাজার ৯৪টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এর মধ্যে ৯০১টি এরই মধ্যে সর্বোচ্চ ধারণক্ষমতা অতিক্রম করেছে।
ইসরায়েলি হামলা শুরুর পর ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে ৩ লাখ ৩৭ হাজার ৯৭২ জন সিরীয় নাগরিক এবং ১ লাখ ৩৮ হাজার ৫ জন লেবাননের নাগরিক সীমান্ত অতিক্রম করে সিরিয়ায় প্রবেশ করেছে বলে জানিয়েছে লেবাননের জাতীয় নিরাপত্তা কর্তৃপক্ষ।
গত বছরের ৭ অক্টোবর গাজায় হামাস-ইসরায়েল সংঘাতের সমর্থনে ৮ অক্টোবর ইসরায়েলের বিপক্ষে প্রতিরোধ গড়তে থাকে হিজবুল্লাহ। লেবানন-ইসরায়েল সীমান্তে ক্রমাগত সংঘাত বাড়তে থাকায় ওই অঞ্চলে বৃহৎ পরিসরে সংঘাতের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
৩ দিন আগে
লেবাননে ইসরায়েলি বিমান হামলায় ১২ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত
লেবাননে ইসরায়েলের হামলার কারণে বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা ১২ লাখ ছাড়িয়েছে।
বুধবার লেবাননের মন্ত্রী পরিষদের দুর্যোগ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা ইউনিটের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বেশিরভাগ বাস্তুচ্যুত মানুষ পরিবারসহ নিজ বাড়ি ছেড়ে অন্য এলাকায় স্থানান্তরিত হয়েছে। অনেকে নতুন জায়গায় বাড়ি ভাড়া নিয়েছে। অনেকে সরকারি-বেসরকারি আশ্রয়কেন্দ্রে উঠেছে।
প্রতিবেদনে আরও জানানো হয়, লেবানন থেকে হাজার হাজার মানুষ বিমানে অন্যত্র চলে গিয়েছে বিশেষ করে সিরিয়াতে।
২৩ সেপ্টেম্বর থেকে ২৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত হিসাবে দেখা যায়, ২ লাখ ৩৪ হাজার ২৩ জন সিরীয় এবং ৭৬ হাজার ২৬৯ জন লেবাননের নাগরিক সিরিয়াতে প্রবেশ করেছে।
আরও পড়ুন: লেবাননে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জাতিসংঘ মহাসচিবের
বাস্তুচ্যুতদের জন্য লেবাননে ৮৬৭টি আশ্রয়কেন্দ্র তৈরি করা হয়েছে। এর মধ্যে ৬৪৩টি পূর্ণ হয়ে গিয়েছে।
এদিকে বৈরুত ও এর শহরতলিতে হিজবুল্লাহর কর্মকর্তাদের ও স্থাপনাগুলো লক্ষ্য করে বিমান হামলা বাড়িয়ে দিয়েছে ইসরায়েল। পাশাপাশি সীমিত আকারে স্থল অভিযানও শুরু করেছে।
এরই মধ্যে লেবাননের দক্ষিণ ও পূর্বাঞ্চলের পাশাপাশি বৈরুতের দক্ষিণ শহরতলির বাসিন্দারা নিরাপদ এলাকায় আশ্রয়ের সন্ধানে তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছে।
সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি সময় থেকে হিজবুল্লাহ ও ইসরায়েলের মধ্যে সংঘাত তীব্রভাবে বেড়েছে, যা নিয়ে ওই অঞ্চলে যুদ্ধের আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে।
আরও পড়ুন: ইসরায়েলে ইরানের হামলা ঠেকাতে মার্কিন বাহিনীকে বাইডেনের নির্দেশ
২ সপ্তাহ আগে