ইসরায়েলি হামলা
ইরানে ইসরায়েলি হামলার সমাপ্তি ও প্রতিশোধের বিষয়ে সতর্ক হওয়া উচিত: যুক্তরাষ্ট্র
হোয়াইট হাউস ইঙ্গিত দিয়ে বলেছে, ইরানের উপর ইসরায়েলের হামলা এবং দুই শত্রু দেশের মধ্যে সরাসরি গুলি বিনিময় বন্ধ করা উচিত। একই সঙ্গে তেহরানকে সতর্ক করে দিয়েছে যে, তারা প্রতিক্রিয়া জানালে ‘পরিণতি’ ভোগ করতে হবে।
হোয়াইট হাউসের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেছেন, প্রশাসন বিশ্বাস করে ইসরায়েলি হামলার মধ্য দিয়েই ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে সরাসরি সামরিক হামলা বন্ধ করা উচিত।
ওই কর্মকর্তা জানান, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন শুক্রবার সারাদিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভানের মাধ্যমে ইসরায়েলিদের পরিচালিত হামলার সর্বশেষ পরিস্থিতি জেনেছেন।
হোয়াইট হাউসের বেঁধে দেওয়া নিয়ম অনুযায়ী নাম প্রকাশ না করার শর্তে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে ওই কর্মকর্তা বলেন, ইসরায়েলি অভিযানে 'ব্যাপক, ও সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তু ছিল।’ এই হামলায় যুক্তরাষ্ট্রের কোনো সম্পৃক্ততা নেই বলেও জানান ওই কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন: ইরানে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল, মধ্যপ্রাচ্যে বাড়ল যুদ্ধের ঝুঁকি
১ মাস আগে
গাজায় শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি হামলা, যুদ্ধবিরতি আলোচনা পুনরায় শুরুর ইঙ্গিত ব্লিংকেনের
মধ্য গাজা উপত্যকায় বাস্তুচ্যুতদের আশ্রয় নেওয়া একটি স্কুলে ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে ১৭ জন নিহত হয়েছে, যাদের প্রায় সবাই নারী ও শিশু।
বৃহস্পতিবার নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে চালানো এই হামলায় আরও ৪২ জন আহত হয়েছেন।
আওদা হাসপাতালের রেকর্ড অনুযায়ী, নিহতদের মধ্যে ১৮ বছরের কম বয়সী ১৩ শিশু এবং তিনজন নারী রয়েছেন।
কোনো প্রমাণ ছাড়াই ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী দাবি করেছে, তারা স্কুলের ভেতরে হামাস সেনাদের লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে।
আরও পড়ুন: সিনওয়ারের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করল হামাস
সাম্প্রতিক সময়ে বেশ কয়েকটি স্কুলে তৈরি আশ্রয়কেন্দ্রে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। তাদের দাবি তারা বেসামরিক নাগরিকদের মধ্যে লুকিয়ে থাকা হামাস সেনাদের লক্ষ্য করে এসব হামলা চালানো হয়েছে। তবে এসব হামলায় প্রায়ই নারী ও শিশু নিহত হয়।
এদিকে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন বলেছেন, ইসরায়েল হামাসকে 'কার্যকরভাবে ধ্বংস' করার লক্ষ্য অর্জন করেছে এবং যুদ্ধবিরতি ও ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তির বিষয়ে আলোচনা শিগগিরই আবার শুরু হবে।
ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে প্রধান মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করা ব্লিংকেন কাতারে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, আলোচকরা এই আলোচনা আবারও শুরু করবেন।
ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ওই অঞ্চলে ১১ বারের মতো সফরে গিয়েছেন ব্লিংকেন।
তিনি বলেন, 'আমাদের দেখতে হবে হামাস এতে জড়িত হতে প্রস্তুত কি না।’
লেবাননের সম্প্রচারমাধ্যম আল মায়াদিনকে হামাসের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ওসামা হামদান জানান, তাদের অবস্থানের কোনো পরিবর্তন হয়নি। কায়রোর মধ্যস্থতাকারীদের কাছ থেকে যুদ্ধবিরতি আলোচনা আবারও শুরু হওয়ার বিষয়টি সম্পর্কে শুনেছেন হামাস প্রতিনিধিরা। তবে গাজায় আক্রমণ বন্ধের পাশাপাশি ওই অঞ্চল থেকে সামরিক বাহিনী প্রত্যাহার করবে ইসরায়েল- এমন শর্তেই জোর দিচ্ছে হামাস।
গত সপ্তাহে গাজায় ইসরায়েলি বাহিনী হামাসের শীর্ষ নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ারকে হত্যা করার পর যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা আবারও শুরু হবে এমন আশা করেছিল যুক্তরাষ্ট্র কিন্তু হামাস-ইসরায়েল দুই পক্ষই নিজেদের শর্তের অবস্থানে অনড়।
আরও পড়ুন: লেবাননে বাড়ছে বেসামরিক মানুষের মৃত্যু ও বাস্তুচ্যুতি
এদিকে অবরুদ্ধ উত্তর গাজায় দুই সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে ইসরায়েলের টানা বিমান ও স্থল আক্রমণে বিপর্যয়কর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্যকর্মীরা।
সাম্প্রতিক দিনগুলোতে গাজার উত্তরাঞ্চলে শত শত মানুষ নিহত হয়েছে এবং হাজার হাজার মানুষ তাদের বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়েছে। সামরিক বাহিনী বলছে, তারা উত্তরাঞ্চলে পুনরায় সংগঠিত হওয়া হামাস যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে লড়াই করছে।
বুধবার এক ভিডিও বার্তায় উত্তরের কামাল আদওয়ান হাসপাতালের পরিচালক ড. হোসাম আবু সাফিয়েহ বলেছেন, নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে বা নবজাতক বিভাগে থাকা ১৪ শিশুসহ প্রায় ১৫০ জন আহত ব্যক্তিকে সেখানে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, গাজার উত্তরাঞ্চলে এখন যা ঘটছে তার মূল্য দিতে হচ্ছে সবাইকে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, যুদ্ধের কারণে গাজায় স্বাস্থ্য ব্যবস্থা পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে। ৩৯টি হাসপাতালের মধ্যে মাত্র ১৬টি হাসপাতাল আংশিকভাবে কাজ করছে।
চিকিৎসা সরঞ্জামের ঘাটতির পাশাপাশি বিদ্যুৎ বিভ্রাট, খাবার ও পানির সংকট পরিস্থিতি আরও বিপর্যস্ত করে দিয়েছে বলে জানান হাসপাতালে চিকিৎসাধীনরা।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, হামাস-ইসরায়েল সংঘাতে এ পর্যন্ত ৪২ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে, যাদের মধ্যে অর্ধেকেরও বেশি নারী ও শিশু। বাস্তুচ্যুত হয়েছে গাজার ৯০ শতাংশ মানুষ।
আরও পড়ুন: গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে কাতারে আলোচনায় বসছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল
১ মাস আগে
ইসরায়েলি হামলায় লেবাননে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৪৪৮
ইসরায়েল-হিজবুল্লাহ সংঘাত শুরু হওয়ার পর থেকে লেবাননে ইসরায়েলি বিমান হামলায় এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ২ হাজার ৪৪৮ জন। আহতের সংখ্যা ১১ হাজার ৪৭১।
লেবাননের মন্ত্রী পরিষদের দুর্যোগ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা ইউনিটের এক প্রতিবেদনে জানা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় লেবাননে ইসরায়েলি বিমান হামলায় ৩০ জন নিহত ও ১৩৫ জন আহত হয়েছেন।
বিভিন্ন এলাকায় ৮২টি জায়গায় বিমান হামলা ও গোলাবর্ষণ চালিয়েছে ইসরায়েল।
বিশেষ করে দক্ষিণ লেবাননে হামলার মাত্রা বেড়েছে। লেবাননে ইসরায়েলের ‘আগ্রাসন’ শুরুর পর থেকে এই এলাকায় ১০ হাজার ৪১৫ বার হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাস্তুচ্যুত জন্য ১ হাজার ৯৪টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এর মধ্যে ৯০১টি এরই মধ্যে সর্বোচ্চ ধারণক্ষমতা অতিক্রম করেছে।
ইসরায়েলি হামলা শুরুর পর ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে ৩ লাখ ৩৭ হাজার ৯৭২ জন সিরীয় নাগরিক এবং ১ লাখ ৩৮ হাজার ৫ জন লেবাননের নাগরিক সীমান্ত অতিক্রম করে সিরিয়ায় প্রবেশ করেছে বলে জানিয়েছে লেবাননের জাতীয় নিরাপত্তা কর্তৃপক্ষ।
গত বছরের ৭ অক্টোবর গাজায় হামাস-ইসরায়েল সংঘাতের সমর্থনে ৮ অক্টোবর ইসরায়েলের বিপক্ষে প্রতিরোধ গড়তে থাকে হিজবুল্লাহ। লেবানন-ইসরায়েল সীমান্তে ক্রমাগত সংঘাত বাড়তে থাকায় ওই অঞ্চলে বৃহৎ পরিসরে সংঘাতের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
২ মাস আগে
লেবাননে ইসরায়েলি বিমান হামলায় ১২ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত
লেবাননে ইসরায়েলের হামলার কারণে বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা ১২ লাখ ছাড়িয়েছে।
বুধবার লেবাননের মন্ত্রী পরিষদের দুর্যোগ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা ইউনিটের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বেশিরভাগ বাস্তুচ্যুত মানুষ পরিবারসহ নিজ বাড়ি ছেড়ে অন্য এলাকায় স্থানান্তরিত হয়েছে। অনেকে নতুন জায়গায় বাড়ি ভাড়া নিয়েছে। অনেকে সরকারি-বেসরকারি আশ্রয়কেন্দ্রে উঠেছে।
প্রতিবেদনে আরও জানানো হয়, লেবানন থেকে হাজার হাজার মানুষ বিমানে অন্যত্র চলে গিয়েছে বিশেষ করে সিরিয়াতে।
২৩ সেপ্টেম্বর থেকে ২৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত হিসাবে দেখা যায়, ২ লাখ ৩৪ হাজার ২৩ জন সিরীয় এবং ৭৬ হাজার ২৬৯ জন লেবাননের নাগরিক সিরিয়াতে প্রবেশ করেছে।
আরও পড়ুন: লেবাননে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জাতিসংঘ মহাসচিবের
বাস্তুচ্যুতদের জন্য লেবাননে ৮৬৭টি আশ্রয়কেন্দ্র তৈরি করা হয়েছে। এর মধ্যে ৬৪৩টি পূর্ণ হয়ে গিয়েছে।
এদিকে বৈরুত ও এর শহরতলিতে হিজবুল্লাহর কর্মকর্তাদের ও স্থাপনাগুলো লক্ষ্য করে বিমান হামলা বাড়িয়ে দিয়েছে ইসরায়েল। পাশাপাশি সীমিত আকারে স্থল অভিযানও শুরু করেছে।
এরই মধ্যে লেবাননের দক্ষিণ ও পূর্বাঞ্চলের পাশাপাশি বৈরুতের দক্ষিণ শহরতলির বাসিন্দারা নিরাপদ এলাকায় আশ্রয়ের সন্ধানে তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছে।
সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি সময় থেকে হিজবুল্লাহ ও ইসরায়েলের মধ্যে সংঘাত তীব্রভাবে বেড়েছে, যা নিয়ে ওই অঞ্চলে যুদ্ধের আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে।
আরও পড়ুন: ইসরায়েলে ইরানের হামলা ঠেকাতে মার্কিন বাহিনীকে বাইডেনের নির্দেশ
২ মাস আগে