মারা গেছেন
ঢাবি সামাজিক বিজ্ঞানের ডিন অধ্যাপক জিয়া রহমান আর নেই
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ও অপরাধবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মারা গেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৫৮ বছর।
শুক্রবার দিবাগত ভোররাত (২৩ মার্চ) সোয়া ৪টার দিকে রাজধানীর ল্যাব এইড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনি মারা যান।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢাবি প্রক্টর অধ্যাপক মাকসুদুর রহমান বলেন, ‘আজ (২৩ মার্চ) ভোররাতে রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণজনিত কারণে তিনি মারা যান।’
জোহরের নামাজের পর ঢাবি কেন্দ্রীয় মসজিদে অধ্যাপক জিয়া রহমানের জানাজা অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল।
আরও পড়ুন: প্রবীণ সাংবাদিক আব্দুল ওয়াহেদ খান আর নেই
কবি আবু বকর সিদ্দিক আর নেই
বিজয়ের মাসের শেষ প্রান্তে এসে নীরবে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চলে গেলেন বিদিশা এরশাদের বাবা কবি আবু বকর সিদ্দিক।
বৃহস্পতিবার (২৮ডিসেম্বর) ভোর পৌনে ৬টার দিকে খুলনা মহানগরীর ৫নং মুন্সিপাড়ায় ছোট বোনের বাড়িতে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯১ বছর।
কবির ছোট বোনের ছেলে মো. শরিফুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, প্রয় একযুগ যাবৎ মামা আবু বকর সিদ্দিক আমাদের বাসায় থাকতেন। আজ বৃহস্পতিবার বাদ যোহর খুলনার শহীদ হাদিস পার্কে কবির জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হবে।
মৃত্যুকালে কবি ৫ মেয়ে ও এক ছেলেসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গিয়েছেন।
আরও পড়ুন: কুমিল্লা সিটি মেয়র রিফাত আর নেই
বরেণ্য শিক্ষক ও কবি আবু বকর সিদ্দিক দীর্ঘদিন ধরেই বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতায় ভুগছিলেন।
আবু বকর সিদ্দিক একাধারে ছিলেন কবি, কথাসাহিত্যিক, ছড়াকার, ঔপন্যাসিক, ছোটগল্পকার ও সমালোচক। তিনি ১৯৩৪ সালে ১৯ আগস্ট রবিবার বাগেরহাট জেলার গোটাপাড়া গ্রামে নানাবাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতৃনিবাস একই জেলার বৈটপুর গ্রামে। বাবা মতিয়র রহমান পাটোয়ারী ছিলেন একজন সরকারি চাকুরে।
বাবার চাকরিসূত্রে ১৯৩৫ সাল থেকে তিনি হুগলি শহরে এবং ১৯৪৩ সাল থেকে বর্ধমানে বসবাস করেন। বাল্যকাল থেকেই লেখাপড়ার প্রতি তার ছিল প্রবল ঝোঁক। ১৯৪৬ সালে পঞ্চম শ্রেণিতে থাকাকালীন তার প্রথম কবিতা আবদুস সাত্তার সম্পাদিত বর্ধমানের কথা পত্রিকায় ছাপা হয়।
তিনি বাগেরহাট মাধ্যমিক সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৯৫২ সালে মাধ্যমিক, ১৯৫৪ সালে বাগেরহাট সরকারি পিসি কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক এবং একই কলেজ থেকে ১৯৫৬ সালে স্নাতক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। এরপর তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা বিভাগে ভর্তি হন এবং ১৯৫৮ সালে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।
পেশাগত জীবনে শিক্ষকতাকেই পেশা হিসেবে বেছে নেন। তিনি পর্যায়ক্রমে চাখার ফজলুল হক কলেজ, দৌলতপুর বিএল কলেজ, কুষ্টিয়া কলেজ, বাগেরহাট পিসি কলেজ এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করেন।
আরও পড়ুন: প্রবীণ সাংবাদিক এম ওয়াহিদুল্লাহ আর নেই
১৯৯৪ সালের ৭ জুলাই রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে অবসর গ্রহণ করেন। এরপর কুইন্স ইউনিভার্সিটি ও ঢাকার নটর ডেম কলেজে অধ্যাপনা করেন।
তিনি কবিতা লিখতে বেশি পছন্দ করতেন। তার প্রকাশিত ধবল দুধের স্বরগ্রাম (১৯৬৯), বিনিদ্র কালের ভেলা (১৯৭৬), হে লোকসভ্যতা (১৯৮৪), মানুষ তোমার বিক্ষত দিনসহ (১৯৮৬) আঠারোটি কাব্যগ্রন্থ আছে। আছে হট্টমালা (২০০১) নামে একটি ছড়াগ্রন্থও।
তার লেখা গল্পগ্রন্থের সংখ্যা ১০টি। তিনি জলরাক্ষস (১৯৮৫), খরাদাহ, একাত্তরের হৃদয়ভস্ম, বারুদপোড়া প্রহর (১৯৯৬) নামে উপন্যাসও লিখেছেন।
সাহিত্যে অবদানের জন্য কবি আবুবকর সিদ্দিক ভূষিত হয়েছেন বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার (১৯৮৮), বাংলাদেশ কথাশিল্পী সংসদ পুরস্কার, বঙ্গভাষা সংস্কৃতি প্রচার সমিতি পুরস্কার (কলকাতা), খুলনা সাহিত্য পরিষদ পুরস্কার, বাগেরহাট ফাউন্ডেশন পুরস্কার, ঋষিজ পদকসহ দেশি-বিদেশি বহু পুরস্কার ও সম্মাননায়।
আরও পড়ুন: সাবেক কূটনীতিক ওয়ালিউর রহমান আর নেই
'প্যারাসাইট' অভিনেতা লি সান-কিউন মারা গেছেন
অস্কারজয়ী চলচ্চিত্র 'প্যারাসাইটের' অভিনেতা লি সান-কিউন মারা গেছেন বলে বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) জানিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার জরুরি বিভাগ।
জরুরি বিভাগ বলেছে, বুধবার সিউলের একটি পার্কে গাড়িতে লিকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়।
সিউলের একটি অজ্ঞাত স্থানে অচেতন অবস্থায় লিকে পাওয়া যায় বলে পুলিশ এর আগে জানায়।।
ইয়োনহাপ নিউজ এজেন্সিসহ দক্ষিণ কোরিয়ার গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, বুধবার সুইসাইড নোটের অনুরূপ একটি বার্তা লিখে লি বাড়ি ছেড়ে চলে গেছেন বলে তার পরিবারের পক্ষ থেকে জানানোর পর পুলিশ তাকে খুঁজছে।
অস্কারজয়ী চলচ্চিত্র 'প্যারাসাইটের' অভিনেতা লি সান-কিউনকে অচেতন অবস্থায় পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার পুলিশ।
আরও পড়ুন: বিনা কর্তনে চলছে ‘অ্যানিমেল’, আটকে আছে ‘কাঠগোলাপ’
পুলিশ কর্মকর্তারা বুধবার সিউলের একটি অজ্ঞাত স্থানে অচেতন লিকে খুঁজে পান এমনটা জানালেও বিস্তারিত কিছু জানায়নি।
লি ‘প্যারাসাইট’ সিনেমায় তার ভূমিকার জন্য সর্বাধিক পরিচিত, যেখানে তিনি একটি ধনী পরিবারের প্রধানের চরিত্রে অভিনয় করেন। ২০২১ সালে তিনি সিনেমটিতে তার ভূমিকার জন্য স্ক্রিন অ্যাক্টরস গিল্ড পুরষ্কার পান।
গত বছর সাই-ফাই থ্রিলার 'ডক্টর ব্রেইনে' অভিনয়ের জন্য তিনি আন্তর্জাতিক এমি অ্যাওয়ার্ডসে সেরা অভিনেতার জন্য মনোনীত হয়েছিলেন।
তিনি জনপ্রিয় ড্রামা সিরিজ ‘কফি প্রিন্স (২০০৭)’ এ তার ভূমিকার জন্য সুপরিচিত হন এবং মেডিকেল ড্রামা ‘বিহাইন্ড দ্য হোয়াইট টাওয়ার’ এর মাধ্যমে মূলধারার জনপ্রিয়তা অর্জন করেন এরপর অভিনয় করেন ‘পাস্তা (২০১০)’ ও ‘মাই মিস্টার (২০১৮)’ এ।
আরও পড়ুন: বিনা কর্তনে দেশের ৪৮ প্রেক্ষাগৃহে 'অ্যানিমেল'
ক্ষমা চাইতে হবে না, শুধু ইতিহাসটা জেনে নিন: এ আর রহমানের উদ্দেশে কবীর সুমন
সিটি গ্রুপের চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান মারা গেছেন
সিটি গ্রুপ ও সময় টিভির চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান মারা গেছেন।
সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) ভোর ৪টার দিকে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। দীর্ঘদিন ধরে তিনি শ্বাসকষ্টজনিত রোগে ভুগছিলেন।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, সোমবার বাদ আসর গেন্ডারিয়া ধুপখোলা মাঠে মরহুমের নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
রোববার (২৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা পর্যন্ত তিনি অফিস করেছেন। পরে রাতে অসুস্থবোধ করলে দ্রুত তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভোর ৪টার দিকে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
আরও পড়ুন: পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুকের স্ত্রী মারা গেছেন
মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, এক ছেলে ও তিন মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
১৯৭২ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি সরিষার তেল উৎপাদনের উদ্যোগ নেওয়ার মধ্যে দিয়ে সিটি গ্রুপের কার্যক্রম শুরু হয় ফজলুর রহমানের হাত ধরে। প্রথম উদ্যোগ সফল হওয়ার পর সিটি গ্রুপ নতুন নতুন ক্ষেত্রে বিনিয়োগ শুরু করে। এ সময় মূলত উৎপাদন, শিল্পোদ্যোগ ও ট্রেডিংয়ে বিনিয়োগ করা হয়।
আরও পড়ুন: ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন মারা গেছেন
আ. লীগ নেতা মুক্তিযোদ্ধা ডা. এখলাস মারা গেছেন
মারা গেছেন পরীমণির নানা
চিত্রনায়িকা পরীমণির নানা শামসুল হক গাজী ইন্তেকাল করেছেন। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ২টা ১১ মিনিটে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) ফেসবুক স্ট্যাটাসে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নির্মাতা চয়নিকা চৌধুরী।
ফেসবুকে তিনি লিখেছেন, 'আমাদের শ্রদ্ধেয় নানুভাই... পরীমণির প্রিয় নানুভাই রাত ২টা ১১ মিনিটে এভারকেয়ার হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন থেকে সবাইকে কাঁদিয়ে আমাদের ছেড়ে পরপারে চলে গেছেন। আজাদ মসজিদে গোসল করানোর পর ভোর ৪টায় পরীমণি নানুভাইকে নিয়ে এখন পিরোজপুরের ভান্ডারিয়ায় তার নিজ গ্রামের পথে। সেখানেই নানীর পাশে নানুভাইকে শায়িত করা হবে।'
আরও পড়ুন: এই সিনেমার জার্নিটা আমার সারা জীবনের স্মৃতি হয়ে থাকবে: পরীমণি
তিনি আরও লিখেছেন, ‘সবাই পরীর জন্যে, পরীর নানুভাইয়ের জন্যে দোয়া ও প্রার্থনা করবেন। যেন পরপারে তিনি শান্তিতে থাকেন। পরী যেন সহ্য শক্তি পায়। আহা! নানুভাই আপনাকে কোনোদিন ভুলব না। আমার দেখা আপনি অসাধারণ সুশিক্ষিত একজন মানবিক মানুষ। আপনার ভালোবাসা অমলিন। শ্রদ্ধা আর ভালবাসা রইল।’
উল্লেখ্য, ছোটবেলায় মা মারা যাওয়ার পর নানা বাড়িতেই বেড়ে ওঠেন পরীমণি। পরে ঢাকায় নানার সঙ্গেই থাকতেন এ নায়িকা।
আরও পড়ুন: বিরতির পর ফিরছেন পরীমণি
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের এমপি আব্দুস সাত্তার মারা গেছেন
সাবেক আইন প্রতিমন্ত্রী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) উকিল আব্দুস সাত্তার ভূঞা মারা গেছেন।
শুক্রবার দিবাগত মধ্যরাত ৩টায় রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃস্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৪ বছর।
মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তার ছেলে মাইনুল হাসান তুষার।
তিনি বলেন, আমার বাবা কিডনিজনিত রোগে দীর্ঘদিন ধরে ভুগছিলেন। উনার শারীরিক অবস্থা খারাপ হলে গত এক সপ্তাহ আগে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই চিকিৎসা চলছিল।
আরও পড়ুন: প্রবীণ সাংবাদিক হেলাল উদ্দিন চৌধুরীর মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
তুষার বলেন, ‘শুক্রবার দিবাগত মধ্যরাত ৩টা ২ মিনিটে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃস্বাস ত্যাগ করেন। শনিবার বেলা ১১টায় জাতীয় সংসদ ভবনে তার প্রথম জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হবে।’
পরে তার মরদেহ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আনা হবে। জানাযা শেষে গ্রামের বাড়িতে তার বাবার কবরের পাশে দাফন করা হবে বলে জানান তিনি।
তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতে আইনজীবী পেশায় নিয়োজিত ছিলেন। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির দীর্ঘদিন সভাপতি পদে ছিলেন।
উকিল আব্দুস সাত্তার ভূঞা ১৯৭৯ সালে প্রথম সদস্য নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে ১৯৯১ ও ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়ন নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
২০০১ সালের নির্বাচনে তৎকালীন ৪ দলীয় জোট সরকার থেকে টেকনোক্র্যাট মন্ত্রী হিসেবে আব্দুস সাত্তার আইন, মৎস্য ও ভূমি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বও পালন করেন।
২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি আবারও ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে বিএনপির মনোনীত সংসদ সদস্য হিসেবে জয়লাভ করেন।
২০২৩ সালের ২ জানুয়ারি তাকে বিএনপি থেকে বহিষ্কার করা হয়। পরে উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে জয়লাভ করেন।
আরও পড়ুন: প্রবীণ সাংবাদিক হেলাল উদ্দিন চৌধুরীর মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
মার্কিন সিনেটর ডায়ান ফাইনস্টাইনের মৃত্যুতে মোমেনের শোক
৭১ বছরে থামলেন একাত্তরের বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. শাহজাহান
দৈনিক সমকালের রিজিওনাল এডিটর সারোয়ার সুমনের বাবা ও প্রথম আলোর বিশেষ প্রতিনিধি মাসুদ মিলাদের শ্বশুর বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. শাহজাহান মারা গেছেন।
মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে ৯টায় যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে কনি আইল্যান্ড হাসপাতালে তিনি মারা যান। মৃত্যুকালে একাত্তরের রণাঙ্গনের এই যোদ্ধার বয়স হয়েছিল ৭১ বছর।
তিনি এক ছেলে ও চার মেয়ে, স্ত্রীসহ অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে গেছেন।
শাহজাহান চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলার রহমতপুরের বাসিন্দা। তিনি মৃত মুন্সী আব্দুল মান্নান সওদাগরের বড় সন্তান।
বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. শাহজাহানের মৃত্যুতে সমকাল পরিবারের পক্ষে শোক ও সমবেদনা জানিয়েছেন সম্পাদক আলমগীর হোসেন।
আরও পড়ুন: সাবেক ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এবাদুর মারা গেছেন
এ ছাড়া সমকালের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মোজাম্মেল হোসেন ও প্রতিদিনের বাংলাদেশের সম্পাদক মুস্তাফিজ শোক প্রকাশ করেছেন।
শোক প্রকাশ করে বার্তা দিয়েছেন- ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল করিম চৌধুরী, চট্টগ্রাম-১২ আসনের সংসদ সদস্য ও জাতীয় সংসদের হুইপ সামশুল হক চৌধুরী, চট্টগ্রাম-১১ আসনের সংসদ সদস্য এম এ লতিফ, চট্টগ্রাম-৩ আসনের সংসদ সদস্য মাহফুজুর রহমান মিতা, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মোহাম্মদ মনজুর আলম, সাবেক মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন, সিটি করপোরেশনের সাবেক প্রশাসক ও নগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন, এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চট্টগ্রাম জেলা কমান্ডার (ভারপ্রাপ্ত) বীর মুক্তিযোদ্ধা একেএম সরওয়ার কামাল দুলু ও চট্টগ্রাম চেম্বারের অব কমার্সের সভাপতি ওমর হাজ্জাজ।
আরও পড়ুন: যুগান্তরের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক হাবিবুর রহমান ৪২ বছর বয়সে মারা গেছেন
চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়ন ও চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের স্থায়ী সদস্য সারোয়ার সুমনের বাবার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি তপন চক্রবর্তী ও সাধারণ সম্পাদক ম. শামসুল ইসলাম।
এ ছাড়া পৃথক বার্তায় শোক প্রকাশ করেছেন চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সভাপতি সালাহ্উদ্দিন মো. রেজা ও সাধারণ সম্পাদক দেবদুলাল ভৌমিক।
চট্টগ্রাম ইউনিভার্সিটি এক্স জার্নালিস্ট নেটওয়ার্কের (সিইউজেএন) সিনিয়র সহ সভাপতি সারোয়ার সুমনের বাবার মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন সংগঠনটির সভাপতি হামিদ উল্লাহ ও সাধারণ সম্পাদক সবুর শুভ।
সাংবাদিক নেতারা মরহুমের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেছেন, পাশাপাশি শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।
এছাড়া বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. শাহজাহানের মৃত্যুতে বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন চট্টগ্রাম ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতিসহ বিভিন্ন সাংবাদিক, রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাস্কৃতিক সংগঠন পৃথক পৃথক বার্তায় শোক প্রকাশ করেছেন।
আরও পড়ুন: কবি মোহাম্মদ রফিক আর নেই
প্রবীণ সাংবাদিক এম শাহজাহান মিয়া মারা গেছেন
প্রবীণ সাংবাদিক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা এম শাহজাহান মিয়া বার্ধক্যজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮২ বছর।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, গতকাল (বুধবার) রাতে রামপুরার নিজ বাসভবনে তিনি মারা যান।
মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, দুই ছেলে, এক মেয়ে এবং আত্মীয়-স্বজন, বন্ধুবান্ধব ও শুভানুধ্যায়ী রেখে গেছেন।
সাংবাদিকতা জীবনে শাহজাহান বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) প্রধান বার্তা সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সাধারণ সম্পাদক, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সভাপতি এবং ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ মিশনে মিনিস্টার (প্রেস) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
আরও পড়ুন: কাজী সাজিদুল হকের মায়ের মৃত্যুতে বিপিজেএ'র শোক
ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব নাজিয়া সুলতানার মৃত্যু
কোর্ট মার্শালের ঝুঁকি নিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে যোগ দেওয়া প্রথম ভারতীয় কমান্ডার মারা গেছেন
কোর্ট মার্শালের ঝুঁকি নিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে যোগ দেওয়া প্রথম ভারতীয় কমান্ডার কিংবদন্তি ও খ্যাতিমান ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) কর্মকর্তা মেজর পরিমল কুমার ঘোষ মারা গেছেন।
বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) ৮৪ বছর বয়সে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে ভারতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
তার মেয়ে আগমনি ঘোষ বলেন, ‘আমার বাবা পরিমল কুমার ঘোষ একজন আনসাং হিরো। সেনাবাহিনী, বিএসএফ এবং ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা আরঅ্যান্ডএডাব্লিউ-এ তার কর্মজীবন নিখুঁত পেশাদারিত্বের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।’
তিনি আরও বলেন, ‘সংবেদনশীল প্রকৃতির কারণে তার চাকরি জীবনে এটা অজানা থেকে যায়। তিনি বাংলাদেশের জন্য একজন নিবেদিত প্রাণ ছিলেন। তিনিই প্রথম ভারতীয় যিনি ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশের হয়ে লড়াই করেছিলেন।’
আরও পড়ুন: ফুটবল কিংবদন্তি পেলে ৮২ বছর বয়সে মারা গেছেন
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর ক্র্যাকডাউন এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে গ্রেপ্তারের সময় মেজর পি কে ঘোষ ত্রিপুরার সাব্রুম অঞ্চলে ৯২তম বিএসএফ ব্যাটালিয়নের এফ কোম্পানির কমান্ডিং করছিলেন। তখন তিনি সমরেন্দ্রগঞ্জের আমলিঘাটের চারটি সীমান্ত ফাঁড়ির দায়িত্বে ছিলেন।
‘ফার্স্ট ক্রসিং ওভার অ্যান্ড ফরমেশন অব ফার্স্ট মুক্তিবাহিনী বাই বিএসএফ’- শিরোনামের অধীনে ‘বর্ডারম্যান ২০২১’- নিবন্ধে তার গল্পটি ইকোনমিক টাইমস বিশদভাবে প্রকাশ করেছেন।
সেখানে বলা হয়েছে, একদল বাঙালি তার কাছে এসে পাক সেনাদের বর্বরতার কথা বর্ণনা করে সাহায্য চাইলে তিনি সিনিয়রদের না জানিয়ে এমনকি কোর্ট মার্শালের ঝুঁকি নিয়ে সীমানা অতিক্রম করেছিলেন।
নিবন্ধে আরও তুলে ধরা হয়, ‘বাঙালিরা তার কাছে এসে বলেন যে পাক সেনারা গ্রামবাসীদের ওপর অমানবিক অত্যাচার করছে। বিশেষ করে নারীদের টার্গেট করে নির্যাতন করা হচ্ছে। এ বর্বরতা থেকে পরিত্রাণের জন্য তার কাছে সাহায্য চাইলে তিনি সহানুভূতি দেখিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে তাদের এ অভিযোগ জানানোর আশ্বাস দিয়েছিলেন।’
তাদের কথায় তিনি অত্যন্ত আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন। কিছুক্ষণ পর 'প্রফেসর আলী' ছদ্মনাম ধারণ করে তাদের সঙ্গে গিয়েছিলেন। এ সময় গ্রামবাসীরা তাদের নেতা অধ্যাপক মজুমদারের সঙ্গে দেখা করতে বেরিয়ে এসে ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ স্লোগান দিতে থাকে।
তখন নুরুদ্দিনের অধীনে ৬ ইপিআর সেনাদের নিয়ে মুক্তিবাহিনীর ১ম গ্রুপ গঠন করা হয়। ঘটনাস্থলেই তাদের অনুপ্রেরণামূলক কথা বলে শপথ অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়। সুভাপুর ব্রিজের উত্তর প্রান্তে তিনজনের দলে মোতায়েন করে পাক সৈন্যদের প্রবেশ ঠেকানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: প্রখ্যাত ভাস্কর শামীম শিকদার মারা গেছেন
পরিমল কুমার ঘোষ এ ঘটনা প্রসঙ্গে এক বর্ণনায় বলেন, ‘২৭ মার্চ ১৯৭১ সকালে সিও লেফটেন্যান্ট কর্নেল এ কে ঘোষ শ্রীনগরে আমার কাছে আসেন এবং আমার বিশেষ এসআইটিআরইপি এর জন্য আমাকে ধন্যবাদ জানান। আমি খুব দ্বিধাগ্রস্ত ছিলাম। কিন্তু একজন অনুগত সৈনিক হিসেবে ২৬ মার্চ সুভাপুরে আমার ক্রসিংয়ের খবর প্রকাশ হয়ে যায়। হঠাৎ করে সিওর দৃষ্টিভঙ্গি বদলে গেল।’
তিনি আরও বলেন, ‘তিনি কাউকে না বলে বর্ডার ক্রস করায় আমার ওপর রেগে গেলেন। চিৎকার করে বললেন, আপনি আন্তর্জাতিক সীমান্ত পার হওয়ার সাহস কিভাবে করলেন? এ জন্য আপনি হয়তো কোর্ট মার্শালের মুখোমুখি হতে পারেন। তিনি অনেক রাগারাগি করে চলে গেলেন। আমি ক্ষণিকের জন্য মন খারাপ করলেও মনের অজান্তে এক মোলায়েম সুখ অনুভব করতে শুরু করলাম। কারণ সীমান্তের ওপারে নিরস্ত্র, নিরপরাধ নাগরিকদের পাশে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমি।’
পরিমল কুমার ঘোষের মৃত্যুকে একজন ‘কিংবদন্তি প্রয়াণ’ হিসেবে অভিহিত করে সুরেশ দত্ত (প্রাক্তন আইজি বিএসএফ) বলেন, ‘ঘোষ দাদা আগরতলায় বিএসএফ জি শাখায় আমার পূর্বসূরি ছিলেন। তিনি পেশাদারিত্বের মান অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন যা অনুকরণ করা সহজ নয়।’
আরও পড়ুন: একুশে পদকপ্রাপ্ত নৃত্যশিল্পী গোলাম মোস্তফা মারা গেছেন
ইউএনবি’র যশোর প্রতিনিধি মারা গেছেন
ইউএনবি’র যশোর প্রতিনিধি প্রবীণ সাংবাদিক এমএ মান্নান মিয়া মঙ্গলবার ৮৪ বছর বয়সে মারা গেছেন।
এমএ মান্নান মিয়া পারকিনসন্স রোগে ভুগছিলেন। তার ছেলে এএসএম আব্দুল কাইয়ুম জানিয়েছেন, গত মাসে স্ট্রোকের পর তিনি চিকিৎসাধীন ছিলেন।
অবস্থার অবনতি হলে মঙ্গলবার বিকালে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে রাত ৮টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
তিনি এক ছেলে ও দুই মেয়ে রেখে গেছেন।
মান্নান মিয়া ইউএনবি’র যশোর প্রতিনিধি হিসেবে দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে কাজ করেছেন।
তিনি যশোরের পুলিশ লাইন এলাকায় পরিবার নিয়ে থাকতেন।
আরও পড়ুন: সাংবাদিক জালাল আহমেদ মারা গেছেন
সাংবাদিক রায়হান চৌধুরী মারা গেছেন