পুনর্বাসন
সব শহিদের পরিবারকে পুনর্বাসন করা হবে: ড. ইউনূস
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান চলাকালে প্রাণ হারানো সব শহিদের পরিবারকে পুনর্বাসন করা হবে জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, আন্দোলনে আহত শিক্ষার্থী-শ্রমিক-জনতার চিকিৎসার সম্পূর্ণ ব্যয় সরকার বহন করবে সরকার।
অন্তর্বর্তী সরকারের ১০০ দিন পূর্তি উপলক্ষে রবিবার (১৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে ড. ইউনূস একথা বলেন।
ভাষণের শুরুতেই এদিন মুক্তিযুদ্ধের লাখো শহিদ, গত জুলাই-আগস্ট মাসের অভ্যুত্থানে নিহত সকল শহিদ এবং অভ্যুত্থানে আহত ও ক্ষতিগ্রস্তদের স্মরণ করেন প্রধান উপদেষ্টা।
অভ্যুত্থানে হতাহতদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘সব শহিদের পরিবারকে পুনর্বাসন করা হবে। একজনও বাদ যাবে না। পাশাপাশি সব আহত শিক্ষার্থী-শ্রমিক-জনতার চিকিৎসার সম্পূর্ণ ব্যয় বহন করবে সরকার।’
আরও পড়ুন: সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন ২৭ দেশের রাষ্ট্রদূত
আহতদের দীর্ঘমেয়াদি ও ব্যয়বহুল চিকিৎসা এবং শহিদদের পরিবারের দেখাশোনার জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে একটি পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে জানিয়ে ড. ইউনূস বলেন, ‘প্রতিটি শহিদ পরিবারকে সরকারের পক্ষ থেকে ৩০ লাখ টাকা দেয়া হচ্ছে। যারা বুলেটের আঘাতে দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছেন, তাদের চিকিৎসার জন্য নেপাল থেকে কর্নিয়া আনার ব্যবস্থা করা হয়েছে। যাদের প্রয়োজন তাদের সরকারের পক্ষ থেকে চিকিৎসার জন্য বিদেশেও পাঠানো হচ্ছে।’
‘জুলাই অভ্যুত্থানের কোনো শহিদ এবং আহত ছাত্র ও শ্রমিক চিকিৎসা সেবা ও পুনর্বাসন পরিকল্পনা থেকে বাদ যাবে না। এটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অঙ্গীকার।’
তিনি জানান, অভ্যুত্থানে শহিদদের স্মৃতি ধরে রাখতে গঠিত ‘জুলাই শহিদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন’ বেশ পাকাপোক্তভাবে তাদের কাজ শুরু করেছে। এই ফাউন্ডেশনে সরকার ১০০ কোটি টাকা অনুদান দিয়েছে।
এছাড়া জুলাই-আগস্ট বিপ্লবে শহিদ পরিবারের পুনর্বাসন ও আহতদের সর্বোত্তম চিকিৎসা নিশ্চিত করতে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ৫০ লাখ মার্কিন ডলারের একটি বরাদ্দ প্রস্তাব অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের মাধ্যমে বিশ্বব্যাংকে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের মধ্যে অহেতুক আতঙ্ক ছড়ানোর চেষ্টা হয়েছে
১ মাস আগে
সমন্বিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন করা হবে: উপদেষ্টা
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ উপদেষ্টা ফারুক ই আজম বলেছেন, সাম্প্রতিক বন্যায় দেশে যে পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা যথাযথভাবে নিরূপণ করে সবার সমন্বিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদেরকে পুনর্বাসন করা হবে।
তিনি বলেন, বন্যায় ১৪ হাজার ২৬৯ কোটি ৬৮ লাখ ৩৩ হাজার ৫২২ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৯ লাখ ৪২ হাজার ৮১১ জন।
আরও পড়ুন: প্লাস্টিক ও নদী দূষণ নিয়ন্ত্রণে সরকার দৃঢ় প্রতিজ্ঞ: পরিবেশ উপদেষ্টা
মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বন্যা সংক্রান্ত পুনর্বাসন কমিটির সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
বিভিন্ন মন্ত্রণালয় থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করা হয়েছে জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, ইতোমধ্যে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন কর্মসূচি শুরু হয়েছে। এজন্য কেন্দ্রীয় কমিটি, জেলা ও উপজেলা কমিটিও গঠন করা হয়েছে। কমিটির সদস্যরা পুনর্বাসন কর্মসূচি তদারকি করবেন।
তিনি বলেন, সরকার বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ১৯টি জেলায় নগদ ৭ কোটি ৩৪ লাখ টাকা, ৩৮ হাজার ৯০০ মেট্রিক টন চাল, ৩৮ হাজার ৫০০ প্যাকেট শুকনো ও অন্যান্য খাবার, ২ হাজার ৩১৫ বান্ডিল ঢেউটিন, গৃহ নির্মাণের জন্য ৬৯ লাখ ৪৫ হাজার টাকা, শিশু খাদ্য বাবদ ১ কোটি ৮০ লাখ, গো-খাদ্য বাবদ ১ কোটি ৮০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
এছাড়াও দেশের ১৬৩টি ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠান বন্যা কবলিত মানুষের সাহায্য ও সহযোগিতায় ৮৫ কোটি ৩০ লাখ ২৪ হাজার ২০৮ টাকা বিতরণ করেছেন বলে জানান দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ উপদেষ্টা।
ফারুক ই আজম বলেন, দেশে এ বছর বন্যায় ব্যাপক জমির শস্য নষ্ট হওয়ায় নিত্যপণ্যের বাজারে এর প্রভাব পড়েছে।
তিনি আরও বলেন, কৃষক যাতে অল্প সময়ের মধ্যে সবজিসহ অন্যান্য ফসল উৎপাদন করতে পারে সে লক্ষ্যে কৃষকদের মাঝে বীজ বিতরণ করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং এনজিওর প্রতিনিধিরা।
আরও পড়ুন: কপ-২৯ সম্মেলনে যোগ দেবেন প্রধান উপদেষ্টা
১ মাস আগে
পতিত স্বৈরশাসকের পুনর্বাসন দেশকে বসবাসের অযোগ্য করে তুলবে: রিজভী
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, পতিত স্বৈরশাসককে পুনর্বাসন করা হলে জনগণ দেশে থাকতে পারবে না।
তিনি বলেন, ‘যারা গুম-খুনের সংস্কৃতি তৈরি করেছে, আয়না ঘরকে (গোপন কারাগার) পুনর্বাসন করা হয়, তাহলে এদেশে মানুষ থাকতে পারবে না।’
সোমবার (৭ অক্টোবর) রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোড এলাকায় ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতনতা বাড়াতে জনগণের মাঝে লিফলেট বিতরণকালে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে রিজভী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: শহীদদের রক্তে অর্জিত বাংলাদেশে স্বৈরাচারের দোসরদের স্থান হবে না: রিজভী
তিনি বলেন, পতিত স্বৈরশাসককে পুনর্বাসিত করা হলে এ দেশ হবে ঘাতকদের অভয়ারণ্য। স্বৈরশাসকের বিরুদ্ধে সবাইকে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, 'এখানে চিরকাল গণতন্ত্র, বাকস্বাধীনতা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতার কবরস্থান হবে।’
নতুন পররাষ্ট্র সচিব নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন তুলে বিএনপির এই নেতা বলেন, ওই ব্যক্তি যখন কাতারে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ছিলেন তখন তিনি বিএনপি সমর্থকদের হয়রানি করতেন এবং রাজনৈতিক পরিচয় বিবেচনা করে তাদের ভিসা নবায়ন করতেন না।
তিনি বলেন, 'শেখ হাসিনার মতো ফ্যাসিস্টদের সমর্থন দিয়ে যারা বিরোধী দল দমনে সক্রিয় ভূমিকা রেখেছেন, তাদের যদি আজ গুরুত্বপূর্ণ পদে বসানো হয়, তাদের যদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের সচিব পদে নিয়োগ দেওয়া হয়, তাহলে এই সরকার প্রশ্নের মুখে পড়বে।’
তিনি বলেন, তারা প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে সম্মান করেন, তবে তাকে এ বিষয়ে দেখতে হবে এবং তার প্রতি জনগণের আস্থা ধরে রাখতে হবে। রিজভী বলেন, 'কাতারের রাষ্ট্রদূতকে কে পররাষ্ট্র সচিব করছেন?’
এ সময় বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর শরাফত আলী সপু, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
গত রবিবার রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ডেঙ্গু প্রতিরোধে জনসচেতনতা বাড়াতে লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি শুরু করে বিএনপি।
আরও পড়ুন: তৈরি পোশাকশিল্পে অসন্তোষ পতিত স্বৈরশাসকের সুবিধাভোগীদের পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র: রিজভী
২ মাস আগে
গণ-অভ্যুথানে সব শহীদের পরিবারকে পুনর্বাসন করা হবে: অধ্যাপক ইউনূস
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, জুলাই আগস্টের গণ-অভ্যুথানে সব শহীদের পরিবারকে পুনর্বাসন করা হবে।
তিনি বলেন, সব আহত শিক্ষার্থী-শ্রমিক-জনতার চিকিৎসার সম্পূর্ণ ব্যয় সরকার বহন করবে।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের এক মাস পূর্তি উপলক্ষে বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া অনুসরণ করে এগোনো হবে: জাতিসংঘে ইউনূস-মোদির বৈঠকের সম্ভাবনা প্রসঙ্গে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, আহতদের দীর্ঘমেয়াদি, ব্যয়বহুল চিকিৎসা এবং শহিদদের পরিবারের দেখাশোনার জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে একটি পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। এখন নতুন তথ্য পাওয়ার ভিত্তিতে এই তালিকা হাল নাগাদ করা চলবে।
তিনি বলেন, এই গণ-অভ্যুত্থানের শহীদদের স্মৃতি ধরে রাখতে সরকার তার যাত্রালগ্নে ‘জুলাই গণহত্যা স্মৃতি ফাউন্ডেশন’ নামে একটি ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেয়। এখন সে ফাউন্ডেশন তৈরি হয়েছে। সব শহীদ পরিবার এবং আহতদের সর্বোত্তম চিকিৎসাসহ তাদের পরিবারের সম্পূর্ণ দায়িত্ব এই ফাউন্ডেশন গ্রহণ করছে।
গঠিত ফাউন্ডেশনে দান করার জন্য দেশের সব মানুষ এবং বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের আমরা আহ্বান জানান তিনি।
ড. ইউনূস আগস্টে কুমিল্লা-নোয়াখালী সিলেট অঞ্চলে আকস্মিক বন্যায় মানুষের দুর্ভোগের কথা বলেন। বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় দেশপ্রেমিক সশস্ত্রবাহিনী, সাধারণ মানুষ, এনজিওগুলোর ভূমিকার প্রশংসা করেন তিনি।
দেশের স্বাধীনতার ও সার্বভৌমত্বের পক্ষে অবস্থান নিয়ে বিগত জুলাই থেকে শুরু হওয়া গণ-অভ্যুত্থান, বন্যা, নিরাপত্তা প্রদান, অস্ত্র উদ্ধারসহ সব কার্যক্রমে সশস্ত্র বাহিনীর ভূমিকার জন্য ধন্যবাদ জানান তিনি।
তিনি বলেন, বন্যার্তদের সহযোগিতায় দেশের ব্যবসায়ী, অর্থবান ও স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা এগিয়ে আসায় জনজীবনে আরেকটি দিক উন্মোচন করেছে। সবার সহযেগিতায় আমরা পুনর্বাসনের কাজটি সফলভাবে সমাধান করতে চাই।
বক্তব্যের শুরুতে জুলাই-আগস্ট মাসে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে ছাত্র-শ্রমিক-জনতার অভ্যুত্থানে নিহত সব শহিদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান প্রধান উপদেষ্টা।
আরও পড়ুন: দেশের নিরাপত্তা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে: ভ্যাটিকানের রাষ্ট্রদূতকে অধ্যাপক ইউনূস
'মর্যাদাপূর্ণ ও অনন্য' বাংলাদেশ গড়তে শিক্ষার্থীদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার আহ্বান ইউনূসের
৩ মাস আগে
বন্যায় ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের পর দাতা সংস্থাগুলো পুনর্বাসনে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে: ত্রাণ উপদেষ্টা
বন্যায় ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের পর দাতা সংস্থাগুলো পুনর্বাসনে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম।
তিনি বলেন, ‘আমরা বন্যার ত্রাণ কার্যক্রমের পর্যায়টা শেষ করে পুনর্বাসনের দিকে যাচ্ছি। এক্ষেত্রে মাঠ পর্যায়ে ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের যে বিষয়টি, সেটির কাজ খুব দ্রুত চলছে।’
মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) মন্ত্রণালয়ে এ কথা জানান তিনি।
আরও পড়ুন: বন্যার্তদের ত্রাণ বিতরণ ও উদ্ধার কাজে ভলান্টিয়ারদের যা জানা জরুরি
উপদেষ্টা বলেন, আজ ইউএন (জাতিসংঘ) বডির ৮টি নানা রকমের প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সভা করেছি। তারা এই পুনর্বাসন কাজে যুক্ত হওয়ার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
উপদেষ্টা বলেন, তারা বাংলাদেশের মানুষের অপার স্বেচ্ছাসেবা, অভূতপূর্ব সহযোগিতার জন্য প্রশংসা করেছেন। ত্রাণ কার্যক্রমে সেনাবাহিনী ও জনগণের যে উদ্দীপনা তারা দেখেছেন। তারা যে ত্যাগ দেখেছেন- এটার প্রশংসা করেছেন। এছাড়া মাঠ পর্যায়ে থেকে ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের পর কোন কোন বিষয়ে তারা সহযোগিতা দিতে পারেন সেটা আমরা নির্ণয় করে দিলে তারা সর্বাত্মক সহযোগিতা দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, ব্যক্তিগতভাবে অত্যন্ত আশাবাদী, আমরা দুর্যোগ যেভাবে সাহসিকতার সঙ্গে সাধারণ মানুষ ও স্বেচ্ছাসেবীদের সহযোগিতায় অতিক্রম করতে পেরেছি, ভবিষ্যতে পুনর্বাসন কর্মসূচিও সম্পন্ন করতে পারব। এদিকে ডি-ফরমের মাধ্যমে ক্ষয়ক্ষতির তথ্য দেওয়ার একটি সময় রয়েছে। সেটি তিন সপ্তাহের মধ্যে দিতে হয়। আমরা সেটি এক সপ্তাহের মধ্যে করতে বলেছি, যত দ্রুত করা যায়।
আরও পড়ুন: প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ তহবিলে সহায়তা দেবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
তিনি বলেন, মাঠ প্রশাসনে আমি যখন কথা বলেছি, তাদের দৃঢ়তা দেখেছি। তারা কোনো ধরনের প্রতিবন্ধকতা ছাড়া পুনর্বাসন কর্মসূচি বাস্তবায়নে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। আমার সার্বিক পর্যবেক্ষণ হলো একটি পরিবর্তিত সময় যেন আমাদের সামনে আসছে, আমরা আশাবাদী।
ক্ষুদ্র চিন্তা থেকে বড় চিন্তার দিকে যাওয়ার মতো দুঃসাহস আমাদের জেগেছে। মানুষের মধ্যে প্রত্যয় এসেছে বলে জানান উপদেষ্টা।
বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শনের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে তিনি বলেন, অনেকে ত্রাণ দিতে বুড়িগঙ্গা থেকে নৌকা নিয়ে গেছে। কিন্তু যখন পানি নেমে গেছে তখন তো আর নৌকা চলছে না। তাদের প্রাথমিক যে উচ্ছ্বাস ছিল, সেটা যখন ক্রমে স্থিমিত হয়েছে। তাদের পক্ষে আর সেখানে থাকাও সম্ভব হচ্ছে না। আমাদের চট্টগ্রাম থেকে ক্রেইন এনে এগুলোয় (নৌকা) তুলে ট্রাকে করে ঢাকা পাঠাতে হচ্ছে।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ উপদেষ্টা বলেন, অব্যবস্থাপনা যে একেবারে হয়নি সেটা তো নয়, আমরাও শিখছি।
আরও পড়ুন: প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিলে সরাসরি সহায়তা দেওয়ার সুযোগ
তিনি বাংলাদেশে নিযুক্ত জাতিসংঘের সমন্বয়ক, আইএলওর কান্ট্রি ডিরেক্টর, আইওএম চিফ অব মিশন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধি, ডব্লিউএফপির ডেপুটি কান্ট্রি ডিরেক্টর, ইউনিসেফ’র ডেপুটি রিপ্রেজেন্টেটিভ, ইউএনআরসিও হিউম্যানেটিরিয়ান অ্যাফেয়ার্স অ্যাডভাইজারের সঙ্গে বৈঠক করেন।
৩ মাস আগে
বন্যার্তদের সহায়তা ও পুনর্বাসনে ১০ কোটি টাকা দিচ্ছে অস্ট্রেলিয়া-কানাডা
বন্যার্তদের সহায়তা ও পুনর্বাসনে ব্র্যাককে ১০ কোটি টাকা দিচ্ছে অস্ট্রেলিয়া ও কানাডা। অস্ট্রেলিয়া ৭ কোটি ও কানাডা দিচ্ছে ৩ কোটি টাকা।
বন্যাকবলিত ১১ হাজার পরিবার এই তহবিল থেকে সহায়তা পাবে।
এছাড়া জরুরি স্বাস্থ্যসেবা ও পুষ্টি, জীবিকা পুনরুদ্ধার, বাড়িঘর মেরামত, কৃষি উপকরণ ও পশুখাদ্যসহ কৃষি উপকরণ কেনায় সহায়তা করা হবে।
আরও পড়ুন: আর্থিক অপরাধ দমন অভিযানে সহায়তা করতে দুদকে বিশেষজ্ঞ প্যানেল গঠন
অস্ট্রেলিয়া ও কানাডার সঙ্গে ব্র্যাক বন্যার্তদের নগদ টাকা, ল্যাট্রিন, নিরাপদ পানি ও প্রয়োজনীয় অবকাঠামো মেরামতে সহায়তা করবে।
ব্র্যাকের সঙ্গে স্ট্র্যাটেজিক পার্টনারশিপ অ্যারেঞ্জমেন্ট (এসপিএ) বা কৌশলগত অংশীদারত্ব ব্যবস্থার আওতায় এই ১০ কোটি টাকা দেওয়া হচ্ছে।
ব্র্যাক ইতোমধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত ৫০ হাজার পরিবারকে খাদ্য, নিরাপদ পানি ও প্রয়োজনীয় ওষুধসহ জরুরি ত্রাণ পৌঁছে দিয়েছে। বন্যার্তদের সহায়তায় ব্র্যাকের প্রায় ৫ হাজার কর্মী মাঠপর্যায়ে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছেন।
এছাড়া মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত ও দুর্গম এলাকাগুলোতে নৌকা, ট্রাক্টর বা কখনো পায়ে হেঁটে ব্র্যাক কর্মীরা সহায়তা পৌঁছে দিচ্ছেন।
উল্লেখ্য, বন্যার্তদের স্বাস্থ্যসেবা ও পুনর্বাসনসহ জরুরি সহায়তায় ব্র্যাক নিজস্ব তহবিল থেকে ৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। এসপিএ তহবিলের এই ১০ কোটি টাকায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের দীর্ঘমেয়াদি চাহিদাগুলো পূরণের জন্য ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত সহায়তা ও পুনর্বাসন কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সম্প্রতি বৈঠক করেছেন বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা (এনজিও) ও কমিউনিটি অর্গানাইজেশনের প্রতিনিধিরা। বৈঠকে উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও দক্ষিণ–পূর্বাঞ্চলের ১১টি জেলায় বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সকল বেসরকারি সংস্থাকে সমন্বিতভাবে কাজ করার জন্য তাগিদ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।
সেই লক্ষ্য বাস্তবায়নে কাজ করে চলেছে ব্র্যাক।
বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর পুনর্বাসন ও পুনর্গঠনের কাজে বাংলাদেশ সরকার এবং উন্নয়ন সহযোগীদের সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে এই দুর্যোগের শুরু থেকেই মাঠে আছে ব্র্যাক। অস্ট্রেলিয়া ও কানাডার সঙ্গে এই যৌথ উদ্যোগটি দুর্যোগ মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক সহযোগিতার গুরুত্বকে তুলে ধরে ও বাংলাদেশের বন্যাদুর্গত মানুষের সহায়তায় ব্র্যাক এবং এর অংশীদারদের প্রতিশ্রুতিকে পুনর্ব্যাক্ত করে।
আরও পড়ুন: প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ তহবিলে সহায়তা দেবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিলে সরাসরি সহায়তা দেওয়ার সুযোগ
৩ মাস আগে
বিশ্বকাপকে সামনে রেখে পুনর্বাসন শুরু তামিম ইকবালের
বাংলাদেশের প্রাক্তন অধিনায়ক তামিম ইকবাল এই বছরের শেষের দিকে ভারতে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া আসন্ন বিশ্বকাপের আগে প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে ফিরে আসার লক্ষ্য নিয়ে তার পুনর্বাসন কার্যক্রম শুরু করেছেন।
বুধবার সকালে তামিম শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম পরিদর্শন করেন এবং ইনজুরি থেকে পুনরুদ্ধারে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী তার পুনর্বাসন শুরু করেন।
দীর্ঘ সময়ের জন্য পিঠের ইনজুরির সঙ্গে লড়াই করার কারণে এই মাসের শেষের দিকে এশিয়া কাপে অংশ নেওয়ার সম্ভাবনা শেষ হয়ে গেছে।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ক্রিকেটার হাসান মাহমুদ
এ ছাড়া বিশ্বকাপের ঠিক আগে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে হোম সিরিজেও তাকে বাদ দেওয়া হয়েছিল।
এদিকে ইনজুরি ও পরবর্তী অস্বস্তিকর পরিস্থিতি গত মাসে তামিমকে হঠাৎ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিতে বাধ্য করেছিল।
যাইহোক, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপের পর তামিম তার অবসরের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করেন। এ ছাড়া টাইগারদের জন্য তার প্রতিনিধিত্ব অব্যাহত রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হন।
দুর্ভাগ্যবশত চোট আগের মতোই আবার দেখা দিয়েছে এবং তাকে বাংলাদেশের ওডিআই অধিনায়কত্ব থেকে সরে যেতে বাধ্য করেছে।
অধিনায়কত্ব থেকে পদত্যাগের ঘোষণার পর বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান বিশ্বকাপের আগে তামিমের ফিরে আসার আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।
তামিম নিজেই বড় ধরনের ক্রিকেট ইভেন্টের আগে ফিরে আসার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন।
অধিনায়কত্ব ত্যাগের সিদ্ধান্ত ব্যাখ্যা করার সময় তামিম বলেন, আমি ইচ্ছা করলে এশিয়া কাপে অংশগ্রহণ করতে পারতাম। তবে সেটা দলের খরচে আত্মকেন্দ্রিক হতো।
তিনি আরও বলেন, দলের ভবিষ্যৎ বিবেচনা করে আমি অধিনায়কত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
আরও পড়ুন: শেখ কামাল জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার পেলেন তাসকিন
বাংলাদেশ একদিন বিশ্বকাপ জিতবে: ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী
১ বছর আগে
সুদানফেরতদের পুনর্বাসনে সহযোগিতার সিদ্ধান্ত প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের
সুদানে সাম্প্রতিক গৃহযুদ্ধের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ সরকার সুদান থেকে ৭ শতাধিক প্রবাসী বাংলাদেশিকে নিরাপদে ফেরত আনার ব্যবস্থা করেছে।
সোমবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমেদ রবিবার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে প্রত্যাবর্তনকারী বাংলাদেশি কর্মীদের আর্থ-সামাজিক পুনর্বাসনের বিষয়ে আলোচনার জন্য এক সভায় সভাপতিত্ব করেন।
এতে মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: সুদান থেকে জেদ্দা হয়ে দেশে ফিরেছেন ৫১ প্রবাসী বাংলাদেশি
সভায় নিম্নলিখিত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়:
ক) যেসকল কর্মী দেশে ব্যবসা-বাণিজ্য করতে আগ্রহী তাদেরকে বাংলাদেশ ব্যাংকের বিধান প্রতিপালন সাপেক্ষে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে বিনা জামানতে তিন লাখ টাকা, সহ-জামানতে পাঁচ লাখ টাকা এবং জামানতসহ ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগ ঋণ দেওয়া হবে।
খ) সুদানফেরত যেসব কর্মী পুনরায় বিদেশ যেতে চান, প্রয়োজনীয় যোগ্যতাসাপেক্ষে তাদেরকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে তাদের পছন্দের দেশে পাঠানোর ক্ষেত্রে সহযোগিতা করা হবে।
বিশেষ করে সরকারি রিক্রুটিং এজেন্সি বোয়েসেল জর্ডান, দক্ষিণ কোরিয়া এবং অন্য যেসব দেশে কর্মী পাঠায়, সেখানে অগ্রাধিকারভিত্তিতে তাদের নেওয়া হবে।
গ) আগ্রহী কর্মীদের বিনামূল্যে দক্ষতা উন্নয়ন/উদ্যোক্তা প্রশিক্ষণ/কাউন্সেলিং সেবা দেওয়া হবে।
মন্ত্রী বলেন, পুনর্বাসনের লক্ষ্যে গৃহীত উদ্যোগসমূহ কার্যকরভাবে বাস্তবায়নের জন্য সুদানফেরত কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ করে আগামী ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে একটি ডাটাবেস তৈরি করা হবে।
এ বিষয়ে ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড/সংশ্লিষ্ট জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিসের (ডিএমও) দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাগণ প্রত্যাগত কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন।
এ ব্যাপারে সুদানফেরত সকলকে প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন মন্ত্রী।
উল্লেখ্য, বিস্তারিত তথ্যের জন্য প্রত্যাগত কর্মীদের সংশ্লিষ্ট জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিসে (ডিএমও) যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।
ডিএমও-এর ঠিকানা www.bmet.gov.bd-তে পাওয়া যাবে।
বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন, মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. খায়রুল আলম, ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের মহাপরিচালক মো. হামিদুর রহমান, জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো’র মহাপরিচালক মো. শহিদুল আলম এনডিসি, বোয়েসেল-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মল্লিক আনোয়ার হোসেন, মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব মো. সাজ্জাদ হোসেন ভূঞা, প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মজিবর রহমান প্রমুখ।
আরও পড়ুন: সুদান থেকে ৫৭০ জনের বেশি বাংলাদেশি নাগরিককে প্রত্যাবাসন করা হয়েছে
সুদান থেকে দেশে ফিরলেন আরও ২৬২ বাংলাদেশি
১ বছর আগে
ঝুঁকিপূর্ণ রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসনে ইউএনএইচসিআরের সুপারিশ বিবেচনা করবে যুক্তরাষ্ট্র
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, ঝুঁকিপূর্ণ রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসনের জন্য তারা জাতিসংঘ শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনারের (ইউএনএইচসিআর) সুপারিশ বিবেচনা করবে।
যুক্তরাষ্ট্র, বাংলাদেশ সরকার ও ইউএনএইচসিআর-এর সহযোগিতায় ঝুঁকিপূর্ণ রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য একটি পুনর্বাসন কর্মসূচি প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার ঢাকায় মার্কিন দূতাবাস জানিয়েছে, এই প্রোগ্রামটি রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকটের বিস্তৃত প্রতিক্রিয়ার একটি উপাদান, যেখানে প্রধান ফোকাস রোহিঙ্গাদের স্বদেশে স্বেচ্ছায়, নিরাপদ, মর্যাদাপূর্ণ ও টেকসই প্রত্যাবর্তনের জন্য প্রস্তুত করা। যা বিশ্বব্যাপী মার্কিন রিফিউজি অ্যাডমিশন প্রোগ্রামের অংশ হবে।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে ইউএনএইচসিআর অফিসের সামনে রোহিঙ্গা যুবকের আত্মহত্যার চেষ্টা
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র বলেন, ‘বার্মার সামরিক বাহিনীর হাতে গণহত্যা ও মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের শিকার হওয়া বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের জন্য আমাদের দীর্ঘদিনের সমর্থনের জন্য যুক্তরাষ্ট্র গর্বিত এবং আমরা বাংলাদেশ ও ওই অঞ্চলে বার্মা থেকে আসা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য এক দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলারের বেশি মানবিক সহায়তা প্রদান করেছি।’
রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অপরাধীদের জবাবদিহির আওতায় আনা এবং এই নৃশংসতার শিকারদের জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার প্রচেষ্টাকেও সমর্থন করছে যুক্তরাষ্ট্র।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আরও সহায়তা চায় ইউএনএইচসিআর
আরও বলা হয়, বাংলাদেশ থেকে সবচেয়ে অরক্ষিত রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসন একটি অভূতপূর্ব বাস্তুচ্যুতি সংকটের মুখে উদ্বাস্তু পুনর্বাসনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘস্থায়ী নেতৃত্বকে প্রতিফলিত করে। কারণ বিশ্বজুড়ে রেকর্ড সংখ্যক মানুষ যুদ্ধ, নিপীড়ন ও অস্থিতিশীলতা থেকে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে।
বাংলাদেশ থেকে সবচেয়ে অরক্ষিত রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসন একটি অভূতপূর্ব বাস্তুচ্যুতি সংকটের মুখে উদ্বাস্তু পুনর্বাসনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘস্থায়ী নেতৃত্বকে প্রতিফলিত করে। কারণ বিশ্বজুড়ে রেকর্ড সংখ্যক মানুষ যুদ্ধ, নিপীড়ন ও অস্থিতিশীলতা থেকে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন প্রচেষ্টা ত্বরান্বিত করতে ইউএনএইচসিআরের প্রতি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আহ্বান
২ বছর আগে
বন্যার্তদের পুনর্বাসনে সরকারের কোনো পরিকল্পনা নেই: বিএনপি
বিএনপির সিনিয়র নেতা খন্দকার মোশাররফ হোসেন অভিযোগ করেছেন, দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বন্যা দুর্গতদের সাহায্য ও পুনর্বাসনে সরকারের কোনো পরিকল্পনা নেই।
তিনি বলেন, ‘আমরা বন্যার্তদের প্রতি দুঃখ প্রকাশ করছি। খবরের কাগজে দেখেছেন বন্যা কবলিত এলাকায় মানুষ কীভাবে অমানবিক জীবনযাপন করছে। আমরা লক্ষ্য করছি যে বিপর্যয়কর বন্যা মোকাবিলা এবং ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনের জন্য সরকারের কোনো পরিকল্পনা নেই।’
মঙ্গলবার এক গোলটেবিল আলোচনায় বিএনপি নেতা আরও বলেন, সরকার বন্যাদুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়াতে এগিয়ে আসেনি।
তিনি বলেন, ‘এটা দুর্ভাগ্যজনক যে তারা (সরকার) অন্যান্য কাজে ব্যস্ত ছিল। জনগণের ভোটের সরকার যদি না হয় তাহলে জনগণের কষ্ট, জনগণের দুঃখ প্রাধান্য পায় না, পায় ব্যক্তি ও গোষ্ঠী স্বার্থ।’
সাউথ এশিয়ান ইয়ুথ রিসার্চ সেন্টার জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘দ্য ইস্যু অব ওয়াটার শেয়ারিং বিটুইন বাংলাদেশ অ্যান্ড ইন্ডিয়া’ শিরোনামে এ অলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মোশাররফ বলেন, দেশে ভয়াবহ বন্যায় কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সরকার এখন পর্যন্ত হিসাব করতে পারেনি।
আরও পড়ুন: আ’ লীগ সরকার জনগণের শত্রু হয়ে উঠেছে: ফখরুল
ভারতের সঙ্গে সাম্প্রতিক জয়েন্ট কনসালটেটিভ কমিশনের (জেসিসি) বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেনের অংশগ্রহণের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটা লোক দেখানো ছাড়া কিছুই নয়।
তিনি বলেন, জয়েন্ট রিভার কমিশনের কোনো রিপোর্ট ছাড়াই বৈঠকে মন্ত্রী শুধু লিপ সার্ভিস দিলেন।
বিএনপির এই নেতা বলেন, বাংলাদেশের অনেক এলাকা যখন বন্যার পানিতে প্লাবিত হচ্ছিল, তখনও ভারত ফারাক্কা ব্যারেজের সব গেট খুলে দেয়।
তিনি বলেন, ‘আমরা উজান থেকে পানিতে ডুবে থাকি যখন আমাদের পানির প্রয়োজন হয় না। আমাদের জীবন ও জীবিকা বাঁচানোর জন্য যখন পানির প্রয়োজন হয়, তখন উজানের পানি অন্য অঞ্চলে (ভারতের) প্রবাহিত করে বাংলাদেশকে মরুভূমিতে পরিণত করা হচ্ছে।’
বিএনপি নেতা আরও বলেন, যমুনা নদীর ওপর একটি বড় সেতু নির্মাণ করা হলেও এখন শুষ্ক মৌসুমে সেতুর নিচে গরুর গাড়ি চলে। ‘ভারতে ব্যারেজ এবং বাঁধের জন্য এটি ঘটছে।’
তিনি আরও বলেন, শুষ্ক মৌসুমে ভারতের সাধারণ নদী থেকে একতরফাভাবে পানি প্রত্যাহারের কারণে বাংলাদেশের অধিকাংশ নদী তাদের গভীরতা ও প্রস্থ হারাচ্ছে, যার ফলে বর্ষাকালে বন্যা হয়।
মোশাররফ অভিযোগ করে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে বর্তমান সরকার তিস্তার পানি বন্টন চুক্তিতে স্বাক্ষর করতে এবং অন্যান্য অভিন্ন নদীর পানির ন্যায্য অংশ নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়েছে।
আরও পড়ুন: বন্যার্ত মানুষকে অভুক্ত রেখে উৎসব করছে সরকার: অভিযোগ ফখরুলের
সরকারের নিষ্ক্রিয়তায় বন্যার্তরা ত্রাণের জন্য হাহাকার করছে: বিএনপি
২ বছর আগে