মানবাধিকার
মানবাধিকার দিবসে দেশে পরিস্থিতি ঘোলাটে করার চক্রান্ত হচ্ছে: তথ্যমন্ত্রী
আগামী ১০ ডিসেম্বর বিশ্ব মানবাধিকার দিবসকে সামনে রেখে দেশে পরিস্থিতি ঘোলাটে করার চক্রান্ত হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
মন্ত্রী বলেন, ‘মানবাধিকার একটি ব্যবসায় পরিণত হয়েছে। মানবাধিকারের কথা বলে কোনো কোনো দেশকে দমনের চেষ্টা করা হয়। দেশে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে মানুষ হত্যা করা হচ্ছে, অথচ বিবৃতিজীবীরা হারিয়ে গেছে।’
শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের এস রহমান হলে চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের আয়োজনে বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বিএনপি চরম মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী: তথ্যমন্ত্রী
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘কোনো কোনো সন্ত্রাসীর পক্ষেও বিবৃতিজীবীরা কেউ কেউ সোচ্চার হয়। কিন্তু সেই সন্ত্রাসী যে এত মানুষ মারল, সেটি নিয়ে কোনো কথাবার্তা নেই। পৃথিবীতে কিছু মানবাধিকার সংগঠন আছে যেগুলো মূলত মানবাধিকারের ব্যবসা করে।’
তিনি আরও বলেন, ‘যে সমস্ত বিশ্ববেনিয়া মানবাধিকারের কথা বলে এবং বাংলাদেশেও যারা মানবাধিকার নিয়ে কথা বলে, ফিলিস্তিনে পাখি শিকার করার মতো মানুষ শিকার করা হচ্ছে, সাধারণ মানুষসহ হাজার হাজার নারী ও শিশুকে হত্যা করা হলো, কিন্তু এ নিয়ে তাদের বা বড় বড় সংগঠনগুলোর কোনো কথা বা বিবৃতি নেই।’
তিনি বলেন, ‘অথচ তারা বরিশালে কোথায় একজন আরেকজনকে ঘুষি মারল, কোথায় কিছু মানুষ একজনকে ধাওয়া করল সেজন্যও বিবৃতি দিয়েছে।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশে সবচেয়ে বড় মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছে ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা এবং এরপর জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি এবং সেটিকে আইনে পরিণত করে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের বিচার বন্ধ করা।’
মন্ত্রী বলেন, ‘দ্বিতীয় সবচেয়ে বড় মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে ১৯৭৭ সালে নির্বিচারে সেনা অফিসার ও বিমান বাহিনীর অফিসারদের বিনা বিচারে হত্যা করা, নামের মিল আছে সেজন্যই ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দেওয়া, এমন কি ফাঁসি কার্যকর হবার পর ফাঁসির রায় হয়েছে এমন ঘটনাও আছে।’
তিনি বলেন, ‘তারপর ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা, ২০১৩, ১৪ ও ১৫ সালে মানুষ পোড়ানোর মহোৎসব করা হয়েছে। এগুলো চরম মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা।’
তিনি বলেন, ‘কিছু বিবৃতিজীবী আছে, বিবৃতি দেওয়াই তাদের পেশা। বাংলাদেশেও কিছু আছেন। কিন্তু সবসময় যারা এ ধরনের বিবৃতি দেন, দেশে এখন যেভাবে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে মানুষ হত্যা করা হচ্ছে, তাদের বিবৃতি এখন দেখতে পাচ্ছি না।’
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘এই বিবৃতিজীবীরা কই? জনগণ এদের খুঁজছে, আমিও খুঁজছি। আমি একটু উদ্বিগ্ন তাদের জন্য। তারা জ্বর কিংবা ডেঙ্গুতে আক্রন্ত হলো কি না তা নিয়ে মানুষ চিন্তায় আছে।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ফিলিস্তিনে হামলা চালিয়ে একই হাসপাতালে একসঙ্গে ৫০০ মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। আরেকটি হাসপাতালে হামলা চালিয়ে হাসপাতালকে অকেজো করে দেওয়ার পর সেখানে আইসিইউতে থাকা সব মানুষ মৃত্যুবরণ করেছে। এই ধরনের চরম মানবাধিকার লঙ্ঘন বিশ্ববেনিয়ারা তাকিয়ে তাকিয়ে দেখেছে। আবার ইসরাইলি বাহিনী যাতে ভালোমতো বোমা বর্ষণ করতে পারে সেজন্য সহায়তাও করছে।’
আরও পড়ুন: বিএনপিই দেশের প্রথম কিংস পার্টি: তথ্যমন্ত্রী
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিশ্ব প্রেক্ষাপটে এই মানবাধিকার লঙ্ঘনে আমরা চুপ থাকতে পারি না। আমি প্রথম থেকেই এটার বিরুদ্ধে সোচ্চার আছি, থাকব। আমাদের সরকার ও প্রধানমন্ত্রীও সোচ্চার আছেন। আমাদের প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘে গিয়ে এটার বিরুদ্ধে বক্তব্য রেখেছেন। আরব রাষ্ট্রগুলোর সমস্ত রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বসে এই ব্যাপারে করণীয় নির্ধারণ করার জন্য তাদের অনুরোধ জানিয়েছেন।’
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, ‘কেউ হরতাল-অবরোধের ডাক দিতে পারে, সরকার পতনের ডাক দিতে পারে, সরকারের বিরুদ্ধে বক্তব্য রাখতে পারে, এটিই গণতান্ত্রিক ও বহুমাত্রিক সমাজের রীতি। কিন্তু ঘরে বসে সেই ডাক দিয়ে গাড়ির মধ্যে পেট্রোলবোমা নিক্ষেপ করা, মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করা, সেটি তো কোনো রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নয়। এগুলো একদিকে যেমন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড, অপরদিকে মানুষের অধিকার ও মানবাধিকার লঙ্ঘন করা। আমি আশা করব, সাংবাদিকরা এগুলোর বিরুদ্ধে কথা বলবেন, কলম ধরবেন।’
‘শ্রমিক অধিকারের নামে বড়লোক এজেন্টদের মুখোশ উন্মোচন করুন’
শ্রমিক অধিকারের নামে বছরে ১২ বার বিদেশ সফরকারী দুই-একজন শ্রমিক নেতা কারো এজেন্ট হিসেবে কাজ করছে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, দেখা গেল, আল্পনা-কল্পনা-জল্পনা আক্তাররা বছরে ১২ বার বিদেশ গেছে, ১৮ থেকে ২০ লাখ টাকা বিমান ভাড়া দিয়েছে। এদের কারো কারো আবার গাড়ি আছে, ঢাকা শহরে বড় বড় ফ্ল্যাট আছে।
তিনি বলেন, শ্রমিক সমাবেশে যাওয়ার সময় কিছু দূরে গাড়ি রেখে হেঁটে কিংবা রিকশায় যান, যদি শ্রমিকরা গাড়ি দেখে ফেলে। এরা কারো এজেন্ট হিসেবে যে কাজ করে সেটি আজ স্পষ্ট।
মন্ত্রী বলেন, এ সমস্ত এজেন্টের ব্যাপারেও আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। আমি সাংবাদিক সমাজের কাছে অনুরোধ জানাব তাদের মুখোশ উন্মোচন করার জন্য।
চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের (সিইউজে) সভাপতি তপন চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইদুল ইসলামের সঞ্চালনায় ও অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সহসভাপতি মোহাম্মদ শহীদুল আলম, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি আলী আব্বাস, সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের সদস্য কলিম সরওয়ার, সিইউজের সাধারণ সম্পাদক ম. শামসুল ইসলাম, সিনিয়র সহসভাপতি রুবেল খান, সহসভাপতি অনিন্দ্য টিটু, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক দেবদুলাল ভৌমিক প্রমুখ।
আরও পড়ুন: ‘আগুনসন্ত্রাসীদের’ বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে গণমাধ্যমকর্মীদের প্রতি তথ্যমন্ত্রীর আহ্বান
বিএনপি-জামায়াত মানবাধিকার দিবসে বিশৃঙ্খলার ষড়যন্ত্র করছে: কাদের
বিএনপি ও জামায়াত জোট মানবাধিকার দিবসে সারাদেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির ষড়যন্ত্র করছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
বুধবার (৬ ডিসেম্বর) আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘জনগণের অংশগ্রহণ না থাকায় তারা আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে নাশকতার পথ বেছে নিয়েছে।’
আরও পড়ুন: বিশ্বকাপের হতাশা ভুলে টাইগাররা ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে: জি এম কাদের
তিনি আরও বলেন, ‘বিএনপি এমন একটি দল যারা ভুল রাজনীতিতে লিপ্ত এবং জামায়াতের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার কারণে বিএনপি জনগণের কাছ থেকে বিচ্যুত হচ্ছে। এক পর্যায়ে দেখা যাবে জামায়াত বিএনপির প্রধান নেতৃত্বে থাকবে। বিএনপি জামায়াতের বি-টিম হয়ে যাবে।’
বিএনপির কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দেওয়ার বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবারও তার আগের বক্তব্যের পুনরাবৃত্তি করে বলেন, ‘তারা (বিএনপি) নিজেরাই বিএনপির কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়েছে। সাহস থাকলে তারা বেরিয়ে আসুক।’
তিনি বলেন, ‘নির্বাচনে বিরোধী দল থাকবে। তৃণমূল বিএনপি সবচেয়ে বড় জোট, সুপ্রিম পার্টিসহ আরও অনেকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।’
আরও পড়ুন: ১০ ডিসেম্বর আ. লীগের সমাবেশের অনুমতি দেয়নি ইসি: ওবায়দুল কাদের
জাতীয় নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি নিয়ে চিন্তিত নয় আওয়ামী লীগ: কাদের
বিএনপি চরম মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী: তথ্যমন্ত্রী
বিএনপি চরম মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, বিএনপি মানবাধিকারের কথা বলতে পারে না, কারণ তারা নিজেরাই চরমভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী। তাদের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান নির্বিচারে মানুষ হত্যা করেছেন, রক্তের উপর দাঁড়িয়ে দলকে প্রতিষ্ঠা করেছেন। এছাড়া ২০১৩, ১৪, ১৫ সালে তারা পেট্রোলবোমা নিক্ষেপ করে জীবন্ত মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করে অগ্নিসন্ত্রাস করেছিল, এখনও করছে।
মঙ্গলবার সচিবালয়ে তথ্য অধিদপ্তর সম্মেলন কক্ষে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর ৬০তম প্রয়াণবার্ষিকী উপলক্ষে আহমেদ ফিরোজ গ্রন্থিত ‘সোহরাওয়ার্দী’- গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: দগ্ধ মানুষের আর্তনাদ কি বিএনপি-জামাতের কানে পৌঁছায় না: তথ্যমন্ত্রী
গ্রন্থকার, তথ্য অধিদপ্তরের সিনিয়র উপপ্রধান তথ্য অফিসার খালেদা বেগম এবং মো. আবদুল জলিল মোড়ক উন্মোচনে অংশ নেন।
আগামী ১০ ডিসেম্বর বিএনপির সমাবেশ নিয়ে করা প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘১০ ডিসেম্বর বিশ্ব মানবাধিকার দিবস। বাংলাদেশে সবচেয়ে বড় মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা এবং এরপর বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার বন্ধ করা। ইনডেমনিটি অধ্যাদেশকে আইনে রূপান্তর করে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের বিচার বন্ধ করা হয়েছিল। সেটি জিয়াউর রহমানের হাত দিয়ে হয়েছিল। এরপর বাংলাদেশে বড় মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে ১৯৭৭ সালে নির্বিচারে সেনা ও বিমান বাহিনীর অফিসারদেরকে বিনা বিচারে হত্যা করা।’
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘শুধু নামের মিল থাকায় মানুষকে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে। ফাঁসির মঞ্চে নিয়ে যাওয়ার সময় সে চিৎকার করে বলেছে আমি সেই ব্যক্তি নই, আমি সেই ব্যক্তি নই; কিন্তু কে শোনে কার কথা। এমনও ঘটেছে, ফাঁসিতে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার পরে রায় হয়েছে। অল দিজ আর ডকুমেন্টেড।’
তিনি বলেন, ‘জিয়াউর রহমানের এডিসি ছিলেন যিনি, তিনি এখন কানাডায় থাকেন। তিনি নিজে বলেছেন, এই মৃত্যুদণ্ডের ফাইলগুলো জিয়াউর রহমান সকালবেলা নাস্তার সময় সই করতেন। বিদেশ যাত্রাকালে প্লেনে ওঠার আগে সিঁড়িতেও মৃত্যু পরোয়ানায় সই করেছেন। এভাবে মানবাধিকারকে ভূলুণ্ঠিত করা হয়েছে।’
সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘২০০৪ সালের ২১ আগস্ট তাদের গ্রেনেড হামলায় ২২ জন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীসহ দুইজন অজ্ঞাত পরিচয় নিহত এবং ৫০০ জন আহত হয়েছিল। সেই হামলার পর বিচার বিভাগীয় তদন্তের রিপোর্ট ছিল গাঁজাখুরী। আর এই হত্যাকাণ্ড নিয়ে পার্লামেন্টে দাঁড়িয়ে বেগম খালেদা জিয়াসহ তার সংসদ সদস্যদের হাস্যরস, চরম মানবাধিকার লঙ্ঘন।’
বিএনপি-জামায়াতের অবরোধ নিয়ে এক প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপির কর্মসূচি বলতে চোরাগোপ্তা হামলা করে গাড়ি-ঘোড়া পোড়ানো আর মানুষের উপর হামলা পরিচালনা করা। তারা তাদের সন্ত্রাসীদের নামিয়েছে, নেশাখোরদের টাকা দিয়ে এগুলো করাচ্ছে, অনেক ক্ষেত্রে দিনমজুরকে সারাদিনের ৮০০-১০০০ টাকা মজুরির জায়গায় ২০০০ টাকা ধরে দিয়ে বলে এটা মেরে দিয়ে আসো। এগুলো দুষ্কৃতিকারীদের কাজ। বিএনপি-জামায়াত এ দুটি সংগঠন এখন দুষ্কৃতিকারী সংগঠনে রূপান্তরিত হয়েছে। আমরা দুষ্কৃতিকারীদের দমন করতে বদ্ধপরিকর।’
আওয়ামী লীগের জোটবদ্ধভাবে নির্বাচন এবং জাতীয় পার্টি নিয়ে প্রশ্নের জবাবে দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান বলেন, ‘আমাদের সিদ্ধান্ত ১৪ দলীয় জোটগতভাবেই আমরা নির্বাচন করব। আমাদের কাছে শরিকদের সবসময় গুরুত্ব আছে, সেজন্য জোটগতভাবে আমরা নির্বাচন করছি। আমাদের এককভাবে নির্বাচন করার শক্তি, ক্ষমতা ও সমর্থন আছে। কিন্তু শরিকদেরকে গুরুত্ব দেওয়া হয় বিধায় আমরা জোটগতভাবে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আর জাতীয় পার্টি প্রায় ৩০০ আসনে মনোনয়ন দিয়েছে। তারা যেভাবে নির্বাচন যুদ্ধে নেমেছে সেজন্য তাদেরকে অভিনন্দন জানাই। জাতীয় পার্টির সঙ্গে ২০০৮ সালে আমরা জোটগতভাবে মহাজোট গঠন করেছিলাম, গতবারও তারা আমাদের সঙ্গে ছিল, এবারও সেটি হওয়ার সম্ভাবনা আছে।’
আরও পড়ুন: যারা ইসরায়েলের পক্ষ নিচ্ছে, তারা মানবাধিকার নিয়ে কথা বলার অধিকার হারিয়েছে: তথ্যমন্ত্রী
জলবায়ু অভিঘাত মোকাবিলায় সর্বজনীন আন্তর্জাতিক অর্থায়ন ব্যবস্থার আহ্বান তথ্যমন্ত্রীর
যারা ইসরায়েলের পক্ষ নিচ্ছে, তারা মানবাধিকার নিয়ে কথা বলার অধিকার হারিয়েছে: তথ্যমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, গাজায় নিরীহ নারী ও শিশুদের প্রতি যে নির্মম হত্যাযজ্ঞ চলছে, একবিংশ শতাব্দীতে এসেও তা বিশ্বের বেশিরভাগ দেশ তাকিয়ে তাকিয়ে দেখছে।
তিনি বলেন, গাজায় এমন মানবিক বিপর্যয়েও যারা ইসরায়েলের পক্ষ নিচ্ছে, তারা মানবাধিকার নিয়ে কথা বলার অধিকার হারিয়েছে।
আরও পড়ুন: বিএনপি নামক ‘কারাগারে’ বন্দি তাদের নেতারা: তথ্যমন্ত্রী
সোমবার (৪ ডিসেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত ইউসুফ এস ওয়াই রামাদানের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, আমি আশা করব ফিলিস্তিনিদের এ আর্তনাদ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপসহ সবখানে পৌঁছাবে এবং অবিলম্বে পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধবিরতি কার্যকর ও ফিলিস্তিনে শান্তি প্রতিষ্ঠা হবে। আমাদের সরকার ও প্রধানমন্ত্রী ফিলিস্তিনিদের পক্ষে ছিলেন, আছেন ও থাকবেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে আমার সৌজন্য সাক্ষাৎ হয়েছে। তিনি ফিলিস্তিনের প্রতি আমাদের অকুণ্ঠ সমর্থনের জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন। আমি তাকে জানিয়েছি, প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ফিলিস্তিনের পক্ষে বলেছেন।
মন্ত্রী বলেন, আমরা মনে করি স্বাধীন, সার্বভৌম রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার মধ্যে দিয়ে এ সমস্যা সমাধান হবে। আমরা ‘টু স্টেট’ পলিসিকে সমর্থন করি। ফিলিস্তিনে পৃথক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা ছাড়া এ সমস্যার সমাধান নেই।
ফিলিস্তিনে চলমান সংকট নিরসনে আরব বিশ্বের নেতাদের ভূমিকা নিয়ে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূত হতাশা ব্যক্ত করেছেন উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, চার হাজার কিলোমিটার দূরে থেকেও যেভাবে প্রধানমন্ত্রী ফিলিস্তিনের পাশে দাঁড়িয়েছেন, সেজন্য রাষ্ট্রদূত তার প্রশংসা করেছেন।
বাংলাদেশের পার্লামেন্টের সংসদ নেতা হিসেবে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিশেষ আলোচনার আয়োজন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী৷
একইসঙ্গে গাজায় যে হত্যাযজ্ঞ চলছে তার প্রতিবাদ করেছেন তিনি৷
আরও পড়ুন: দগ্ধ মানুষের আর্তনাদ কি বিএনপি-জামাতের কানে পৌঁছায় না: তথ্যমন্ত্রী
জলবায়ু অভিঘাত মোকাবিলায় সর্বজনীন আন্তর্জাতিক অর্থায়ন ব্যবস্থার আহ্বান তথ্যমন্ত্রীর
বাংলাদেশে মানবাধিকার নিয়ে জাতিসংঘের বিশেষ দূতের মন্তব্য 'মিথ্যা ও বানোয়াট': পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
জাতিসংঘের তিন বিশেষ দূতের (এসআর) উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বাংলাদেশ। মঙ্গলবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, মনে হচ্ছে দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে 'মিথ্যা ও বানোয়াট' তথ্য দিয়ে সরকারকে ‘কলঙ্কিত করার ইচ্ছায় তারা প্রভাবিত’ হয়েছেন।
ওএইচসিএইচআর-এর ১৪ নভেম্বরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তির প্রতিক্রিয়ায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, তাদের একতরফা পর্যবেক্ষণ বিশেষ করে তাদের সঙ্গে সরকারের সক্রিয় সম্পৃক্ততার প্রেক্ষাপটে অসৎ ও উদ্দেশ্যমূলক বলে মনে হচ্ছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, ‘ওই সংবাদ বিজ্ঞপ্তি জাতিসংঘের তিন বিশেষ দূতের (এসআর) পর্যবেক্ষণের উদ্দেশ্য ও বিষয়বস্তু নিয়ে প্রশ্ন তুলতে সরকারকে বাধ্য করেছে।’
বিশেষ দূত তিনজন হলেন- মতামত ও মত প্রকাশের স্বাধীনতার প্রচার ও সুরক্ষায় বিশেষ দূত আইরিন খান, শান্তিপূর্ণ সমাবেশ ও সংঘের স্বাধীনতার অধিকার সম্পর্কিত বিশেষ দূত ক্লিমেন্ট ন্যালেটসোসিভোল এবং মানবাধিকার রক্ষাকারীদের পরিস্থিতি সম্পর্কিত বিশেষ দূত মেরি ললর।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, দূতদের মন্তব্য এবং তাদের সম্ভাব্য উদ্দেশ্য সম্বলিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তির সময়টি কৌতূহলপূর্ণ।
বাংলাদেশের জবাবে বলা হয়, বাংলাদেশের ইউনিভার্সাল পিরিয়ডিক রিভিউয়ের (ইউপিআর) আগের দিন অর্থাৎ ২০২৩ সালের ১৩ নভেম্বর দেশের মানবাধিকার নিয়ে তারা তাদের মন্তব্য তুলে ধরেন। যখন সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ তাদের সুপারিশ করার সময় মানবাধিকার উপভোগের অগ্রগতির জন্য বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ আইনি, নীতিগত ও প্রাতিষ্ঠানিক উদ্যোগের প্রশংসা করেছে।
বিশেষ দূতদের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগে মূলত বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি, বিশেষ করে বর্তমান শ্রমিক অস্থিরতা, রাজনৈতিক সহিংসতা এবং অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস, আদিলুর রহমান খান ও রোজিনা ইসলামের মতো অন্যান্য ব্যক্তিগত মামলা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, ‘বাংলাদেশ একটি সার্বভৌম দেশ যেখানে আইনের শাসন বিদ্যমান। সে অনুযায়ী, তিনটি মামলা স্বাধীন বিচার বিভাগের আইন আদালতে নিষ্পত্তি করা হচ্ছে, সরকারের হস্তক্ষেপের কোনো সুযোগ নেই।’
আরও পড়ুন: কোয়াত্রার সঙ্গে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রসচিবের বৈঠকে কোনো রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে না: মোমেন
বিশেষ করে অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের ক্ষেত্রে উল্লেখ করা প্রয়োজন যে, তার বিরুদ্ধে মামলাটি তার মালিকানাধীন একটি কোম্পানির শ্রমিকদের তাদের মুনাফার ন্যায্য অংশ থেকে বঞ্চিত করার বিষয়ে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, ‘সুতরাং এটি বিস্ময়কর যে বিশেষ দূতরা সরকারের মানবাধিকার লঙ্ঘনের কথা বলছে যখন সরকার প্রকৃতপক্ষে শ্রম ও মানবাধিকার রক্ষা করছে।’
তা ছাড়া, ইউপিআর অধিবেশনে, দেশে মানবাধিকারের প্রচার ও সুরক্ষায় সরকারের দৃঢ় অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করার সময়, বিশেষ দূতদের উত্থাপিত বেশিরভাগ বিষয় বাংলাদেশ প্রতিনিধি দল স্পষ্ট করেছে।
মানবাধিকার এজেন্ডা বাস্তবায়নের কাজ চলমান রয়েছে উল্লেখ করে বাংলাদেশ মানবাধিকার কাউন্সিলকে আশ্বস্ত করে বলেছে, বিভিন্ন দেশের সুপারিশ বাস্তবায়নে তারা প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, ‘সরকার বুঝতে পারছে না ইউপিআরের সময় দেওয়া সুপারিশগুলো তুলে ধরতে সরকারকে কোনো সময় না দিয়ে এত তাড়াহুড়ো করে বিশেষ দূতদের এই জাতীয় মন্তব্য প্রকাশের প্রয়োজনীয়তা কী।’
সরকার বিশেষ দূতদের আচরণকে তাদের নিজ নিজ ম্যান্ডেটের সঙ্গে সম্পূর্ণ অসামঞ্জস্যপূর্ণ ও উপযুক্ত নয় বলে মনে করে। তারা মানবাধিকার কাউন্সিলের বিশেষ পদ্ধতির অংশ যা স্বাধীনভাবে কাজ করে।
এছাড়াও এতে আশা করা হয় তারা তাদের মানবাধিকার লক্ষ্যগুলো বাস্তবায়নে সরকারকে সমর্থন করার জন্য মানবাধিকার সম্পর্কে প্রতিবেদন ও পরামর্শ দেওয়ার জন্য তাদের স্বীকৃতি বা গ্রহণযোগ্যতাকে ব্যবহার করবে।
বাংলাদেশ সরকার আশা করে, বিশেষ দূতদের আচরণবিধি অনুযায়ী তাদের আদেশ পালনে নিরপেক্ষ ও বস্তুনিষ্ঠ থাকবেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, দুঃখজনকভাবে বিশেষ দূতদের ক্ষেত্রে এটি ঘটেনি, যারা এই ধরনের নেতিবাচক পর্যবেক্ষণ নিয়ে এসেছিল। মানবাধিকার পরিস্থিতির উন্নতিতে বাংলাদেশ সরকারের আন্তরিক ইচ্ছা ও প্রচেষ্টাকে পুরোপুরি অস্বীকার করেছে তারা।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সব দলকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান ওয়াশিংটনের
২০২৩ সালের নভেম্বরে ইউপিআর সম্পর্কিত ওয়ার্কিং গ্রুপের সদ্য সমাপ্ত অধিবেশনে ইউপিআর পরীক্ষার আওতায় ছিল মাত্র চৌদ্দটি দেশ।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, ‘মজার বিষয় হলো, বিশেষ দূতরা কেবল বাংলাদেশ সম্পর্কে একটি বিবৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এতে তারা অগণিত উন্নতির বিষয়ে নীরব ছিল কারণ এই পরীক্ষার রিভিউতে অংশগ্রহণকারী বেশিরভাগ দূতরা প্রশংসা করেছে।’
‘এটি করে তারা বিশেষ দূত হিসেবে তাদের জাতিসংঘের পরিচয়কে অসম্মান করেছে। তারা মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয়ের মিডিয়া সেন্টারের অপব্যবহার করে তাদের ব্যক্তিগত ও পক্ষপাতদুষ্ট মতামত প্রচার করে বৃহত্তর শ্রোতাদের কাছে পৌঁছেছে,’ বলে উল্লেখ করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
বাংলাদেশ সরকার ইউপিআরের সময় জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রগুলোর সুপারিশকে গঠনমূলক মনোভাব নিয়ে স্বাগত জানিয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, ইউপিআর-এর পরপরই একই বিষয়ে নেতিবাচক মূল্যায়ন করে বিশেষ দূতরা সদস্য দেশগুলোর সুপারিশ এবং পর্যবেক্ষণকে এক প্রকার অসম্মান করেছে।
আরও পড়ুন: শ্রম অধিকার রক্ষায় সরকার ও শ্রমিকদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র যেভাবে যুক্ত তা তুলে ধরেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী: মুখপাত্র মিলার
তারা ‘অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য একটি নিরাপদ, উন্মুক্ত ও অনুকূল পরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য বাংলাদেশের ওপর জরুরি এবং গুরুত্ব আরোপের জন্য মানবাধিকার কাউন্সিল ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের’ প্রতি আহ্বান জানান। সদস্য রাষ্ট্রগুলোর ওপর উচ্চতর নৈতিক অবস্থান নেওয়া এবং ওয়ার্কিং গ্রুপের প্রতিবেদন গ্রহণে প্রভাবিত করার চেষ্টাও করেন তারা।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, ‘আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি তাদের আহ্বান তাদের কর্তব্যের আহ্বানের চেয়ে অনেক বেশি। এই তিন বিশেষ দূতের মধ্যে একজন বাংলাদেশের এবং সম্প্রতি তিনি সমালোচনামূলক পর্যবেক্ষণে অভূতপূর্ব উৎসাহ দেখিয়েছেন। তিনি অন্যান্য দেশের বিষয়ে আপেক্ষিক নীরবতা বজায় রেখেছেন। এত আংশিক, পক্ষপাতদুষ্ট, বিষয়ভিত্তিক ও অসামঞ্জস্যপূর্ণভাবে মনোনিবেশ করার ফলে বিশেষ দূতরা তাদের বিশ্বাসযোগ্যতা ও গ্রহণযোগ্যতা হারানোর ঝুঁকিতে রয়েছে।’
বাংলাদেশ সরকার একটি সুষ্ঠু মানবাধিকার ব্যবস্থার জন্য বিশেষ পদ্ধতির স্বীকৃতিপ্রাপ্তদের ভূমিকার প্রতি গুরুত্বারোপ করেছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে,‘যদিও তারা আশা করে যে বিশেষ দূতরা তাদের স্বীকৃতির প্রতি বিশ্বস্ত থাকবেন, তবে এটি আশা করে যে মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয় তাদের আদেশগুলো নিরপেক্ষভাবে পূরণ করতে সহায়তা করবে এবং তাদের বিষয়ভিত্তিক ঘোষণার প্ল্যাটফর্ম হিসাবে ব্যবহৃত না হওয়ার বিষয়ে সতর্ক থাকবে।’
আরও পড়ুন: মানবাধিকার নিয়ে সোচ্চার দেশগুলো অভিবাসী শ্রমিকদের দুর্ভোগ নিয়ে প্রায়ই নীরব থাকে: শাহরিয়ার
মানবাধিকার নিয়ে সোচ্চার দেশগুলো অভিবাসী শ্রমিকদের দুর্ভোগ নিয়ে প্রায়ই নীরব থাকে: শাহরিয়ার
বর্তমান বিশ্বে অভিবাসন সমস্যা ক্রমেই জটিল হচ্ছে উল্লেখ করে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেছেন, আন্তর্জাতিকভাবে মানবাধিকার ইস্যুতে সোচ্চার বলে দাবি করা দেশগুলো প্রায়ই তাদের নিজেদের ভূখণ্ডে অভিবাসী শ্রমিকদের সঙ্গে হওয়া অন্যায়ের বিষয়ে 'নীরব থাকে বা অস্বীকার' করে যা, অত্যন্ত দুঃখজনক।
তিনি বলেন, 'বিশ্বজুড়ে আমরা সীমান্তে দেয়াল, জোরপূর্বক প্রত্যাবাসন, সমুদ্রতীর এলাকায় বন্দিশালা, সমুদ্রে ইচ্ছাকৃতভাবে পরিত্যাগ, নির্বিচারে অভিবাসন চর্চা, আন্তঃদেশীয় অপরাধমূলক নেটওয়ার্ক ইত্যাদির অবাস্তব ও অগ্রহণযোগ্য বাস্তবতা দেখেছি।’
মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) গ্লোবাল ফোরাম অন মাইগ্রেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (জিএফএমডি) জন্য জাতীয় প্রস্তুতিমূলক পরামর্শের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, আইওএম বাংলাদেশের চিফ অব মিশন আবদুস সাত্তার এসোয়েভ, বাংলাদেশে নিযুক্ত ফরাসি রাষ্ট্রদূত মেরি মাসদুপুয় এবং প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান সচিব আহমেদ মুনিরুস সালেহীন অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।
গ্লোবাল ফোরাম অন মাইগ্রেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (জিএফএমডি) ২০২২-২০২৩ সালের সভাপতি হিসেবে কাজ করা ফ্রান্স ২০২৪ সালের ২৩ থেকে ২৫ জানুয়ারি জেনেভায় জিএফএমডির ১৪তম শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজন করতে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্টের কাছে রাষ্ট্রদূত ইমরানের পরিচয়পত্র পেশ, পোশাক ও ওষুধ শিল্পে সহযোগিতায় দেশটির আগ্রহ প্রকাশ
জেনেভায় বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি পর্যালোচনা সোমবার
জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদের ইউনিভার্সাল পিরিউডিক রিভিউ (ইউপিআর) বা সর্বজনীন পুনর্বীক্ষণ পদ্ধতির আওতায় সোমবার (১৩ নভেম্বর) চতুর্থবারের মতো বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি পর্যালোচনা করা হবে।
বাংলাদেশ সময় বিকাল ৩টায় সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় এ পর্যালোচনা অনুষ্ঠিত হবে।
আরও পড়ুন: আগামী জাতীয় নির্বাচন যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হবে: জেনেভায় নাগরিক সংবর্ধনায় প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার ধারাবাহিকভাবে চতুর্থবার ইউপিআর প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে যাচ্ছে।
আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হকের নেতৃত্বে একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল ইউপিআর সভায় অংশ নিতে জেনেভায় রয়েছেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগ, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়/বিভাগের সচিবসহ সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা এ প্রতিনিধি দলে রয়েছেন।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলের সদস্যরা বিগত চার বছরে বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি উন্নয়নে সরকারের গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরাসহ এ সম্পর্কে বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেবেন।
প্রসঙ্গত, জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মানবাধিকার পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে প্রতি চার বছর পরপর ইউনিভার্সাল পিরিউডিক রিভিউ অনুষ্ঠিত হয়। এতে সদস্য রাষ্ট্রগুলোর বিগত চার বছরের মানবাধিকার পরিস্থিতি পর্যালোচনা করা হয়।পর্যালোচনায় বিভিন্ন সদস্য রাষ্ট্র পর্যালোচনাধীন রাষ্ট্রকে মানবাধিকার সংক্রান্ত নানা বিষয়ে প্রশ্ন ও সুপারিশ করে।
এর আগে বাংলাদেশ ২০০৯ সালে প্রথমবার, ২০১৩ সালে দ্বিতীয়বার এবং ২০১৮ সালে তৃতীয়বার ইউপিআর-এ অংশ নিয়েছিল।
মূলত তিনটি প্রতিবেদনের উপর ভিত্তি করে এ পর্যালোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
যথা-
(ক) সরকার দেওয়া জাতীয় প্রতিবেদন।
(খ) জাতীয় মানবাধিকার কমিশন এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন বা সংগঠনের জোটগুলোর দেওয়া প্রতিবেদন এবং
(গ) জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনের কার্যালয়ের প্রতিবেদন।
আরও পড়ুন: জেনেভা থেকে বিমান বাংলাদেশের নিয়মিত বাণিজ্যিক ফ্লাইটে দেশে ফেরেন প্রধানমন্ত্রী
৩ দিনের সরকারি সফর শেষে দেশের উদ্দেশে জেনেভা ত্যাগ করেছেন প্রধানমন্ত্রী
গণতন্ত্র ও মানবাধিকার চর্চা করে যুক্তরাষ্ট্র একটি সমৃদ্ধ অঞ্চলের পথ প্রশস্ত করেছে: হাস
রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বলেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে, ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে ‘প্রতিযোগিতা’ দেশগুলোকে কোনো কিছু বেছে নিতে বাধ্য করার জন্য নয়; বরং এটি সম্মান, সমৃদ্ধি ও অংশীদারিত্বের উপর ভিত্তি করে একটি বিকল্প দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণের প্রস্তাব করা।
তিনি বলেন, ‘আমার আশা এই অঞ্চলে আমাদের প্রতিযোগিতার অর্থ হলো আমরা যা করতে চাই স্পষ্টভাবে আমাদের সেসব লক্ষ্য ফুটিয়ে তুলতে এবং ইন্দো-প্যাসিফিকের জন্য দৃষ্টিভঙ্গি বিনিময়ের প্রতি আমাদের প্রতিশ্রুতিকে পুনরুজ্জীবিত করবে।’
সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজের নির্বাহী পরিচালক এবং বে অব বেঙ্গল কনভারসেশনের চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমান পরিচালিত ‘ডিফাইনিং কম্পিটিশন ইন দ্য ইন্দো-প্যাসিফিক’- শীর্ষক পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনে দেওয়া বক্তৃতায় মার্কিন রাষ্ট্রদূত এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশে অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনার জেরেমি ব্রুর; বাংলাদেশে কানাডিয়ান হাইকমিশনার লিলি নিকোলস এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুকও অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।
রাষ্ট্রদূত হাস বলেন, স্থিতিশীলতা, সমৃদ্ধি ও অন্তর্ভুক্তির তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে তারা ‘একসঙ্গে’ আছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে ‘অবাধ, সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ’ নির্বাচনে সহযোগিতা দিতে প্রস্তুত যুক্তরাষ্ট্র: পিটার হাস
গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও উন্মুক্ত সংলাপের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তিনি বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এমন একটি অঞ্চলের পথ প্রশস্ত করছে যেটি শুধু টিকে থাকে না, বরং উন্নতি লাভ করে।
মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘আমাদের সার্বভৌম বৈদেশিক নীতির বিশেষাধিকারের স্বীকৃতির মাধ্যমে, আমরা এমন অংশীদারিত্ব গড়ে তুলি যা পারস্পরিক শ্রদ্ধা, আকাঙ্ক্ষা এবং বিশেষ করে এই প্যানেলে থাকা আমাদের বন্ধুদের ক্ষেত্রে, অংশীদারিত্ব ও জোট যা সীমানা অতিক্রম করে এবং একটি স্থিতিশীল ও সমৃদ্ধ ইন্দো-প্যাসিফিকের সম্মিলিত প্রতিশ্রুতির ক্ষেত্রে আমাদের জন্য একটি দৃষ্টান্ত হিসেবে থাকবে।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্ধৃত করে রাষ্ট্রদূত হাস বলেন, ‘ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলকে অবশ্যই সবার জন্য শান্তি ও সমৃদ্ধির এলাকা হতে হবে। এই অঞ্চলের জন্য আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি হলো একটি মুক্ত, উন্মুক্ত, শান্তিপূর্ণ, নিরাপদ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক অঞ্চল।’
তিনি বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে আন্তরিকভাবে একমত।
ভবিষ্যতের বিষয়ে হাস বলেছেন, সেই স্বাধীনতা, সেই উন্মুক্ততা রক্ষা করা সবার স্বার্থে। ‘এবং আমি সেই বৈচিত্র্যের সঙ্গে যুক্ত করতে চাই, যা ইন্দো-প্যাসিফিককে শুধুমাত্র এই অঞ্চলের নাগরিকদের জন্য নয়, সমগ্র বিশ্বের জন্য উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির একটি গতিশীল ইঞ্জিনে পরিণত করবে।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে প্রাক-নির্বাচন মূল্যায়ন ও পর্যবেক্ষণ দল পাঠাবে যুক্তরাষ্ট্র: পিটার হাস
তিনি বলেন, তারা সম্মিলিতভাবে একটি নিয়মতান্ত্রিক আন্তর্জাতিক শৃঙ্খলা বজায় রাখার, শক্তিশালী অর্থনৈতিক একত্রীকরণ এবং মেরিটাইম কমন্সের পবিত্রতা রক্ষার জন্য দৃঢ় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
তিনি বলেন, ‘আমরা এই লক্ষ্যগুলো অর্জনের জন্য একে অপরের সঙ্গে এবং এই অঞ্চলের অন্যদের সঙ্গে আমাদের জোট ও অংশীদারিত্বের উপর নির্ভর করতে সম্মিলিতভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এটি আমাদের পদ্ধতির একেবারে মূল বিষয়।’
মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, তারা ‘মুক্ত, উন্মুক্ত, শান্তিপূর্ণ, নিরাপদ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক ইন্দো-প্যাসিফিক’ এর বাংলাদেশের দৃষ্টিভঙ্গিকে সাধুবাদ জানায়।
হাস বলেন, এ ছাড়াও আমরা জোর দিচ্ছি, আমরা যেমন একটি মুক্ত ও উন্মুক্ত অঞ্চল খুঁজছি, তেমনি বিশ্বাস করি আমরা এই নীতিগুলো নিজেদের মধ্যে প্রয়োগ করলেই আমরা সত্যিকার অর্থে এই দৃষ্টিভঙ্গিগুলো পূরণ করতে পারি।’
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ সম্পর্কের মূল চালিকাশক্তি অভিন্ন নীতি: পিটার হাস
কিছু দেশ মানবাধিকারকে অন্যের বিরুদ্ধে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে: তথ্যমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, অন্য দেশের বিরোধিতা করার জন্য বর্তমান বিশ্বের কিছু দেশ মানবাধিকারকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে।
তিনি বলেন, দেশে-বিদেশে ব্যবসা-বাণিজ্য ও মানবাধিকারকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার বন্ধ করতে হবে।
সোমবার (২ অক্টোবর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে জিয়াউর রহমানের শাসনামলে গুমের শিকার পরিবারের সদস্যদের সংগঠন 'মায়ের কান্না' আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার সর্বোচ্চ চিকিৎসা নিশ্চিত করতে সরকার আন্তরিক: তথ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, 'কিছু উন্নয়নশীল ও উন্নত দেশ আজ মানবাধিকারকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে। মানবাধিকার এখন মানুষকে নিপীড়নের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।’
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেন, যারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অগ্রগতির ধারাবাহিকতা অপছন্দ করে, তারা প্রথমে বিভিন্ন ছদ্মবেশে মানবাধিকার নিয়ে আসে, তারপর সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা বলে।
আসন্ন জাতীয় নির্বাচন সম্পর্কে সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, 'আমাদের দেশে জনগণের অংশগ্রহণে একটি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত নির্বাচন সুষ্ঠু, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠিত হবে।’
সরকার নির্বাচন কমিশনকে সব ধরনের সহযোগিতা করবে বলে আশ্বাস দেন তিনি।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ডেমোক্র্যাটদের পশ্চাদপসরণের দিকে ইঙ্গিত করে তিনি স্মরণ করিয়ে দেন যে ডোনাল্ড ট্রাম্প এখনও তার পরাজয় মেনে নেননি। কিন্তু বাংলাদেশে পরাজিত প্রার্থীদের অধিকাংশই স্বীকার করেছেন বলে জানান তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী।
ক্ষমতাসীন দলের জ্যেষ্ঠ মন্ত্রী বলেন, 'দয়া করে আমাদের গণতন্ত্র শেখাতে আসবেন না, আমাদের সংসদ ভবনে হামলা চালিয়ে কাউকে হত্যা করা হবে না।
তিনি বলেন, 'যারা মানবাধিকার ও গণতন্ত্রের নামে বিভিন্ন দেশে নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে, দয়া করে আমাদের গণতন্ত্র শেখাতে আসবেন না।
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার বিষয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপি রাজনৈতিক স্বার্থে খালেদা জিয়াকে গিনিপিগ হিসেবে ব্যবহার করছে।
তিনি বলেন, বিএনপি কয়েকদিন ধরেই বলে আসছে, তাদের চেয়ারপারসনের অধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে এবং তার জীবন বিপন্ন। বিদেশে না নিলে তিনি মারা যাবেন। তবে প্রতিবারই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন তিনি।
আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, সরকার আন্তরিকভাবে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছে এবং খালেদা জিয়াকে বিদেশে নিয়ে যাওয়া আদালতের এখতিয়ার।
তিনি বলেন, আদালতের আদেশ ছাড়া খালেদা জিয়া বিদেশে যেতে পারবেন না। তাই তার বিদেশে চিকিৎসা নিয়ে রাজনীতি করবেন না।
হাছান মাহমুদ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, দেশে ২০১৩, ২০১৪ ও ২০১৫ সালের মতো নৈরাজ্য সৃষ্টির যেকোনো প্রচেষ্টা কঠোরভাবে প্রতিহত করা হবে।
মায়ার কান্নার সভাপতি কামরুজ্জামানের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, সাবেক মন্ত্রী তারানা হালিমসহ নিহতদের স্বজনরা বক্তব্য রাখেন।
আরও পড়ুন: দেশটাকে আন্তর্জাতিক রাজনীতির ক্রীড়াক্ষেত্রে পরিণত করতে চায় বিএনপি: তথ্যমন্ত্রী
মার্কিন ভিসানীতি নিয়ে কারো পুলকিত হওয়ার কারণ নেই: তথ্যমন্ত্রী
গণতন্ত্র, আইনের শাসন, মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধা শান্তিপূর্ণ সমাজের ভিত্তি: গুতেরেস
জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, গণতন্ত্র, আইনের শাসন ও মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধা হলো স্থিতিশীল, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও শান্তিপূর্ণ সমাজের ভিত্তি।
তিনি বলেন, এগুলোই স্বাধীনতা, টেকসই উন্নয়ন অগ্রগতি এবং প্রত্যেক ব্যক্তির মর্যাদা ও অধিকার রক্ষা করে।
১৫ সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে এক বাণীতে জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, ‘এই গুরুত্বপূর্ণ দিনে আসুন আমরা এক প্রজন্মের সঙ্গে অন্য প্রজন্ম হাত মেলাই এবং সবার জন্য আরও ন্যায়সঙ্গত বিশ্ব গড়ে তুলতে এক হয়ে কাজ করি।’
আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবসে গুতেরেস বলেন, তারা সমাজের প্রতি তাদের প্রতিশ্রুতি পালন করে এবং উত্তেজনা ও অশান্তির এই সময় যেসব হুমকির সম্মুখীন হয় তা চিহ্নিত করে।
আরও পড়ুন: মানবপাচার মৌলিক মানবাধিকার ও স্বাধীনতার লঙ্ঘন: আন্তোনিও গুতেরেস
জাতিসংঘ প্রধান বলেন, ভুল তথ্য ও কুতথ্য জনসাধারণের আলোচনাকে বিষাক্ত করছে, সম্প্রদায়গুলোকে মেরুকরণ করছে এবং প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি আস্থা নষ্ট করছে।
দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য 'পরবর্তী প্রজন্মের ক্ষমতায়ন', যা বর্তমান ও ভবিষ্যতে গণতন্ত্র রক্ষায় শিশু ও তরুণদের অপরিহার্য ভূমিকার ওপর আলোকপাত করে।
গুতেরেস বলেন, ‘শিশু ও তরুণদের কথা শোনাই যথেষ্ট নয়। আমাদের অবশ্যই শিক্ষা, দক্ষতা নির্মাণ ও আজীবন শেখার ক্ষেত্রে ব্যাপক বিনিয়োগের মাধ্যমে তাদের সমর্থন করতে হবে।’
তিনি বলেন, তাদের অবশ্যই মানবাধিকার রক্ষা করতে হবে এবং লিঙ্গ সমতাকে এগিয়ে নিতে হবে।
জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, ‘আমাদের অবশ্যই প্রতিটি স্তরে সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় তরুণদের অর্থপূর্ণ অংশগ্রহণ প্রসারিত করতে হবে।’
আরও পড়ুন: আসুন গর্ব করে ঘোষণা করি, আমরা নারীবাদী: গুতেরেস
বাংলাদেশের প্রতি জাতিসংঘের অব্যাহত সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করলেন আন্তোনিও গুতেরেস