মানবাধিকার
ডয়েচে ভেলেকে ‘গাজা গণহত্যা’ প্রামাণ্যচিত্রের মাধ্যমে মানবাধিকারের প্রতি অঙ্গীকার প্রমাণের আহ্বান সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রীর
গাজায় গণহত্যা নিয়ে প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণ ও প্রচারের মাধ্যমে জার্মানির রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন আন্তর্জাতিক সম্প্রচার সংস্থা ডয়েচে ভেলেকে মানবাধিকারের প্রতি অঙ্গীকার এবং গণমাধ্যমের স্বাধীনতা প্রমাণের আহ্বান জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।
মঙ্গলবার (২৮ মে) সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে তথ্য কমিশন বাংলাদেশের সম্মেলন কক্ষে 'অনগ্রসর, প্রান্তিক ও সুবিধাবঞ্চিত নাগরিকের তথ্য অধিকার' বিষয়ক কর্মশালায় এ আহ্বান জানান তিনি।
তথ্য কমিশন বাংলাদেশ, ইউএস এইড, দি কার্টার সেন্টার যৌথভাবে এ কর্মশালার আয়োজন করে।
এ সময় তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘মানবাধিকার নিয়ে ডয়েচে ভেলের এক প্রতিবেদনে কিছুদিন আগে গৃহযুদ্ধ মোকাবিলা করা দেশ শ্রীলঙ্কার সঙ্গে বাংলাদেশের তুলনা করা হয়েছে। মানবাধিকার নিয়ে যে কোনো সংস্থার অঙ্গীকারের প্রশংসা করি আমি। ডয়েচে ভেলে যদি মানবাধিকারের প্রতি এত অঙ্গীকারবদ্ধ থাকে সেটির প্রমাণ দিক।’
তিনি আরও বলেন, ‘গাজাতে মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে, গণহত্যা হচ্ছে সেটার ওপর প্রামাণ্যচিত্র বানিয়ে মানবাধিকারের প্রতি তাদের অঙ্গীকার প্রমাণ করুক। একইসঙ্গে তাদের গণমাধ্যমের স্বাধীনতা কতটুকু আছে সেটাও তারা প্রমাণ করুক।’
সেটি করতে না পারলে বাংলাদেশকে নিয়ে ডয়েচে ভেলের প্রামাণ্যচিত্র একটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রামাণ্যচিত্র হয়েছে বলে ধরে নেওয়া হবে বলে মন্তব্য করেন এম এ আরাফাত।
তিনি বলেন, ‘একটা বিশেষ মহল বাংলাদেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে এটি করেছে। যারা প্রকৃত অর্থে আমাদের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনের সমস্যা এবং তাদের উন্নয়ন নিয়ে কথা বলে না। বাংলাদেশকে পৃথিবীর সামনে খাটো করে দেখানোর যে অপচেষ্টা করে, তারই অংশ হিসেবে এই প্রামাণ্যচিত্র বানানো হয়েছে।’
তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ২০০৯ সালের তথ্য অধিকার আইন সরকারের স্বচ্ছতা, জবাবদিহি, সুশাসন ও গণতন্ত্রের প্রতি অঙ্গীকার প্রমাণ করে। জনগণের তথ্য চাওয়ার অধিকার এ আইন নিশ্চিত করেছে। যারা তথ্য নেবেন তারা অনেক সময় এ তথ্যের যথাযথ ব্যবহার করেন না। তথ্য অধিকার আইন ব্যবহার করে অধিকার চর্চা করতে গিয়ে অনেক সময় অনধিকার চর্চা হয়ে যায়।
তথ্যকে শক্তি উল্লেখ করে এ সময় প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, অপতথ্য সাধারণ মানুষকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলে। আর সঠিক তথ্য মানুষকে ক্ষমতায়িত করে। এ কারণে সঠিক তথ্য পাওয়া নিশ্চিত করার সঙ্গে সঙ্গে অপতথ্য রোধে কাজ করতে হবে।
তিনি বলেন, তথ্য অধিকার হচ্ছে মানবাধিকার। স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি ছাড়া স্মার্ট সমাজ অসম্ভব, টেকসই উন্নয়ন অসম্ভব। পরিবেশ-প্রতিবেশ মাথায় রেখে সকল মানুষকে অন্তর্ভুক্ত করে একসঙ্গে এগিয়ে যাওয়ার মধ্য দিয়ে প্রকৃত অর্থে টেকসই উন্নয়ন ও স্মার্ট সমাজ তৈরি হবে। একটা অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের দিকে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি বলেই টেকসই উন্নয়নের অভীষ্ট অর্জনে আমরা এগোতে পারছি।
প্রধান তথ্য কমিশনার ডক্টর আবদুল মালেকের সভাপতিত্বে কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য দেন দি কার্টার সেন্টারের চিফ অব পার্টি সুমনা সুলতানা মাহমুদা।
বিষয়ভিত্তিক উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক জোবাইদা নাসরিন।
আরও ছিলেন- সংসদ সদস্য অ্যারোমা দত্ত, ইউএস এইডের অফিস পরিচালক অ্যালেনা তানসে, তথ্য কমিশনার শহীদুল আলম ঝিনুক, তথ্য কমিশনার মাসুদা ভাট্টি এবং তথ্য কমিশনের সচিব জুবাইদা নাসরীন।
পরে প্রতিমন্ত্রী তথ্য কমিশনের তথ্য অধিকার নিউজ লেটার-এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।
নাগরিকদের মানবাধিকার রক্ষায় যুক্তরাষ্ট্র-ইউরোপকে আরও কাজ করতে হবে: হাছান মাহমুদ
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপসহ সব দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির উন্নয়নে একযোগে কাজ করা প্রয়োজন।
তিনি বলেন, 'দেখুন, বিশ্বের অনেক দেশের তুলনায় বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি অনেক ভালো। মানবাধিকারের ক্ষেত্রে কোনো দেশই নিখুঁত নয়।’
শুক্রবার (১০ মে) ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
যুক্তরাষ্ট্রে যা ঘটছে তার উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশে বিক্ষোভকারীরা পুলিশি বর্বরতার শিকার হয় না, যেমনটা যুক্তরাষ্ট্রের কলেজ ক্যাম্পাসে ছাত্র বিক্ষোভে পুলিশের ভূমিকা দেখা যায়। সেখানে আড়াই হাজার শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ৫ দেশ সফর নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন
তিনি বলেন, ‘আমরা টেলিভিশনে নৃশংসতা দেখছি, এমনকি শিক্ষকরাও রেহাই পাননি।’বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে এ ধরনের চিত্র দেখা যায় না।
তিনি বলেন, সামরিক শাসন, আইয়ুব খান, ইয়াহিয়া খান, জিয়াউর রহমান ও এইচ এম এরশাদের শাসনামলে এমনটা দেখা গেছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তারা মানবাধিকার ফ্রন্টে উন্নয়ন অংশীদারদের সঙ্গে কাজ করতে চান এবং যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপে মানবাধিকার সুরক্ষিত দেখতে চান।
এর আগে বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাম্পাসে ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভকারীদের ওপর নৃশংসতার কথা উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, হিরো আলমকে বাংলাদেশে ঘুষি মারার পর যারা বিবৃতি দিয়েছিল তাদের নৃশংসতার প্রতিক্রিয়া তিনি জানতে ইচ্ছুক।
তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশে মেয়র প্রার্থীকে ঘুষি মারার জন্য বিবৃতি দেওয়া হয়। হিরো আলমকে ঘুষি মারলে বিবৃতি দেওয়া হয়, চরমোনাই পীরের ভাইকে ঘুষি মারলে বিবৃতিও দেওয়া হয়।’
হাছান মাহমুদ বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে যারা প্রতিবাদ করছেন তাদের কীভাবে নির্মমভাবে দমন করা হচ্ছে তা দেখে তিনি অবাক হয়েছেন।
সম্প্রতি গাম্বিয়ার বানজুলে অনুষ্ঠিত ওআইসি সম্মেলনে অংশগ্রহণকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান অবিলম্বে ফিলিস্তিনে সংঘাত বন্ধ, মানবিক প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করা এবং যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য ইসরায়েলকে জবাবদিহির আওতায় আনার আহ্বান জানান।
'টেকসই উন্নয়নের জন্য সংলাপের মাধ্যমে ঐক্য ও সংহতি জোরদার' শীর্ষক ১৫তম ইসলামিক শীর্ষ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘গাজা সংকট অবসানে আমাদের বহুমুখী আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মে যুক্ত হওয়া উচিত।’
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রে বিক্ষোভ দমনে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার সমালোচনা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
'ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের পরিস্থিতি' তদন্তের জন্য আরও কয়েকটি দেশের সঙ্গে বাংলাদেশও আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতকে (আইসিসি) অনুরোধ করেছে।
এর আগে শনিবার বিকালে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ছয়টি সুনির্দিষ্ট পরামর্শ তুলে ধরে হাছান মাহমুদ বলেন, 'গাজায় চলমান সংঘাতের স্থায়ী অবসান এবং মানুষ যাতে তাদের নিজ ভূমিতে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস শুরু করতে পারে সেজন্য ইসরায়েলের জবাবদিহি ও তাদের শাস্তি বাধ্যতামূলক।’
বাংলাদেশে নতুন মার্কিন রাষ্ট্রদূতের মনোনয়নের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তারা নামটি অনেক আগেই পেয়েছেন।
বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী রাষ্ট্রদূত হিসেবে বেইজিংয়ে ডেপুটি চিফ অব মিশন ডেভিড স্লেটন মিলকে মনোনয়ন দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য এই মনোনয়ন সিনেটে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউস।
ঢাকায় বর্তমান মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের মেয়াদ শিগগিরই শেষ হবে।
উপজেলা পরিষদ নির্বাচন প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিএনপি নির্বাচন বর্জনের ডাক দিলেও ৩৫ শতাংশ ভোট পড়েছে।
তিনি বলেন, ‘এটি ভালো উপস্থিতি। আমি বলব না যে খুব ভালো হয়েছে। কোনো সহিংসতা হয়নি। আশা করছি দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি বাড়বে।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী রাষ্ট্রদূত হতে যাচ্ছেন ডেভিড স্লেটন মিল
হাসিনা সরকারের অন্যায়-নৃশংসতা ফাঁস করে দিয়েছে মার্কিন মানবাধিকার প্রতিবেদন: রিজভী
যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার প্রতিবেদন-২০২৩ বাংলাদেশে শেখ হাসিনা সরকারের 'অবিচার ও নৃশংসতার' ফাঁস করে দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, ‘প্রতিবেদনে গুম, গুপ্তহত্যা ও নির্যাতনসহ বাংলাদেশে ভয়াবহ মানবাধিকার লঙ্ঘনে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তন করার নাগরিক অধিকার হরণ করা হয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।’
মঙ্গলবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে রিজভী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: ইলিয়াসসহ অন্যদের নিখোঁজের পেছনে রাষ্ট্রের হাত রয়েছে: রিজভী
তিনি আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবেদনে বিরোধী দলের নেতাদের গ্রেপ্তার ও তাদের শান্তিপূর্ণ সমাবেশে বাধাসহ বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির অবনতির বিষয়টি বস্তুনিষ্ঠভাবে তুলে ধরা হয়েছে।
অবিচার ও নিষ্ঠুরতার দৃশ্যমান ঘটনাগুলোর মাধ্যমে প্রতিবেদনে বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির আসল রূপ তুলে ধরা হয়েছে বলে দাবি করেন রিজভী।
বিএনপির এই নেতা বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের ব্যুরো অব ডেমোক্রেসি, হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড লেবারের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা রবার্ট এস গিলক্রিস্ট মানবাধিকার প্রতিবেদনটি নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতিকে উদ্বেগজনক বলে বর্ণনা করেছেন।
তিনি বলেন, গিলক্রিস্ট সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন কারসাজির মাধ্যমে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
রিজভী আরও বলেন, ১/১১-এর রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের সময় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ১৫টি মামলা দেওয়া হয়েছে আর খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দেওয়া হয়েছিল মাত্র ৪টি মামলা।
শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে বিচার বিভাগকে ব্যবহার করে খালেদা জিয়াকে 'মিথ্যা' মামলায় সাজা দিয়ে তড়িঘড়ি করে নিজের বিরুদ্ধে ১৫টি মামলা প্রত্যাহার করিয়েছেন বলে অভিযোগ করেন রিজভী।
তিনি আরও বলেন, 'আমরা অনেকবার এসব বিষয় নিয়ে কথা বলেছি। এবার তা মার্কিন রিপোর্টেই উঠে এসেছে। মানুষ বিশ্বাস করত সরকারের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার খালেদা জিয়া। এবার গণতান্ত্রিক বিশ্ব তাদের বস্তুনিষ্ঠ পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে তা তুলে ধরেছে।’
সোমবার ২০২৩ সালের মানবাধিকার প্রতিবেদন (এইচআরআর) প্রকাশ করেছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর। একে বিশ্বব্যাপী মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শনের একটি ‘বাস্তব ও বস্তুনিষ্ঠ’ রেকর্ড হিসেবে আখ্যায়িত করেছে মার্কিন দূতাবাস।
১৯৮টি দেশ ও অঞ্চল নিয়ে ২০২৩ সালের মানবাধিকার প্রতিবেদনটি (এইচআরআর) তৈরি করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বাংলাদেশের অংশে বলা হয়, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, গুম, নির্যাতন, নির্বিচারে আটক, মত প্রকাশের স্বাধীনতা ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতার ওপর বিধিনিষেধ এবং শান্তিপূর্ণ সমাবেশের মতো মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য অনেক খবর পাওয়া গেছে।
এতে দাবি করা হয়, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সরকার মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী ব্যক্তি বা নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের শনাক্ত করতে ও শাস্তি দিতে বিশ্বাসযোগ্য পদক্ষেপ নেয়নি।
রিজভী বলেন, বিএনপি দীর্ঘদিন ধরে সরকারের নিপীড়ন, নৃশংসতা, গুম, খুনসহ নানা অপকর্মের কথা বলে আসছে।
তিনি আরও বলেন, ‘এখন আর লুকানোর কিছু নেই। শেখ হাসিনার অবিচার, রক্তপাত ও নানা অপকর্মের ঘটনা ধীরে ধীরে গণতান্ত্রিক বিশ্বে বেরিয়ে আসছে। গোটা বিশ্ব এর নিন্দা করছে।’
আরও পড়ুন: হাসিনা সরকারের অন্যায়-নৃশংসতা ফাঁস করে দিয়েছে মার্কিন মানবাধিকার প্রতিবেদন: রিজভী
আওয়ামী লীগ সরকার বিএনপিকে ভয় পায়: রিজভী
অভিবাসী শ্রমিকদের অধিকার ও মানবাধিকার নিশ্চিতে রাষ্ট্রকে আরও দায়িত্বশীল হতে হবে: ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, অভিবাসী কর্মীরা আমাদের সোনার সন্তান। অভিবাসী শ্রমিকদের অধিকার ও মানবাধিকার নিশ্চিতে রাষ্ট্রকে আরও দায়িত্বশীল হতে হবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে বৈদেশিক আয়ের ক্ষেত্রে অভিবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স সরাসরি রিজার্ভে যোগ হচ্ছে। প্রবাসী আয়ে অন্যান্য রপ্তানি খাতের মতো ওভার ইনভয়েসিং ও আন্ডার ইনভয়েসিংয়ের সুযোগ নেই। প্রবাসীরা বঞ্চনা, হয়রানি, অপমান এমনকি অপমৃত্যুরও শিকার হচ্ছেন।
আরও পড়ুন: ইতালীয় উপকূলে অভিবাসী নৌকা বিধ্বস্তে নিহত ৬০
শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) ঢাকার এফডিসিতে রেমিট্যান্স বৃদ্ধিতে অভিবাসী কর্মীদের মানবাধিকার নিশ্চিতকরণ নিয়ে আয়োজিত ছায়া সংসদে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, এখনো পর্যন্ত অভিবাসী কর্মীদের ন্যায্য অধিকার সুপ্রতিষ্ঠা হয়নি। বিদেশে বাংলাদেশ দূতাবাসগুলো কাঙ্ক্ষিত সেবা দিতে পারছে না। নারী শ্রমিকদের প্রতি সহিংসতা ও হয়রানি প্রতিরোধে দূতাবাসগুলোকে আরও সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে।
আরও পড়ুন: অভিবাসী কর্মীদের শ্রমশক্তিতে পুনঃএকত্রীকরণে বাংলাদেশ ও আইএলও’র চুক্তি সই
তিনি আরও বলেন, প্রবাসে কারাগারে আটক বাংলাদেশিদের মুক্তির বিষয়ে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন কাজ করছেন। সৌদি আরবে দুইজন অভিবাসী নিহত হওয়ার ঘটনায় বাংলাদেশ দূতাবাস ও মানবাধিকার কমিশনের প্রচেষ্টায় রক্তপণ হিসেবে ৩০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ পাওয়া গেছে।
তিনি বলেন, কাজ হারিয়ে যেসব অভিবাসী শ্রমিক দেশে ফিরেছে তাদের সামাজিক সুরক্ষা ও রি—ইন্টিগ্রেশনের উপর আরও বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। কর্মীর প্রেরণকারী রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোকে স্বচ্ছতা, জবাবদিহির মাধ্যমে নিরাপদ অভিবাসন নিশ্চিত করতে হবে।
আরও পড়ুন: মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশনে আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস পালন
সভাপতির বক্তব্যে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, পরিবার পরিজন, আত্মীয়—স্বজন, বন্ধুবান্ধব ছেড়ে নানা প্রতিকূলতার মধ্যের আমাদের অভিবাসী কর্মীরা তাদের শ্রমে ঘামে উপার্জিত অর্থ দেশে পাঠিয়ে থাকেন।
তিনি আরও বলেন, যে রেমিট্যান্স যোদ্ধারা চলতি বছর ২৩ বিলিয়ন ডলার বৈদেশিক মুদ্রা দেশে পাঠিয়েছেন, তাদের সামাজিক মর্যাদা ও স্বীকৃতি এখনো আমরা নিশ্চিত করতে পারিনি। সরকারের নীতি কৌশল, প্রবাসী আয়ে প্রণোদনা বৃদ্ধি ও ব্যাংকিং চ্যানেলে অর্থ পাঠানো প্রক্রিয়া সহজ করা হলে প্রতি বছর প্রবাসী আয় থেকে রেমিট্যান্সের পরিমাণ ৩৫ থেকে ৪০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করা সম্ভব।
আরও পড়ুন: মানবাধিকার নিয়ে সোচ্চার দেশগুলো অভিবাসী শ্রমিকদের দুর্ভোগ নিয়ে প্রায়ই নীরব থাকে: শাহরিয়ার
হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, আমাদের জিডিপিতে প্রবাসী আয়ের অবদান ৫ দশমিক ২ শতাংশ অথচ নেপালের জিডিপিতে প্রবাসী আয় ২৭ শতাংশ কন্ট্রিবিউট করছে। শোভন কর্মপরিবেশের অভাব, ন্যায্য মজুরি না পাওয়া, অদক্ষতা, অতিরিক্ত অভিবাসন ব্যয় নিরাপদ অভিবাসনের বড় অন্তরায়। বিদেশ থেকে পাসপোর্ট বিহীন আউট পাস নিয়ে বিপুল সংখ্যক কর্মীরা দেশে আসার বিষয়টি উদ্বেগ তৈরি করেছে। কেন এসব কর্মীরা বিনা পাসপোর্টে আউট পাস নিয়ে দেশে ফিরে আসলো তা গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে খতিয়ে দেখা উচিৎ।
আরও পড়ুন: যুক্তরাজ্য থেকে অবৈধ অভিবাসীদের ফেরাতে এসওপি হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
মিনি ফিল্ম ফেস্টিভেলের মাধ্যমে মানবাধিকার সপ্তাহ পালন ডাচ দূতাবাসের
রাজধানীর শিল্পকলা ফাইন আর্টস অডিটোরিয়ামে 'হিউম্যান রাইটস ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল: মুভিজ দ্যাট ম্যাটার' শীর্ষক চলচ্চিত্র উৎসব শুরু হয়েছে।
সোমবার (১১ ডিসেম্বর) নেদারল্যান্ডস দূতাবাসের আয়োজনে স্লোভাকিয়ায় সাংবাদিক হত্যার তদন্তের ওপর ভিত্তি করে নির্মিত 'দ্য কিলিং অব এ জার্নালিস্ট' চলচ্চিত্রটি প্রদর্শনের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে এই মিনি ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল।
চলচ্চিত্রটির প্রদর্শনীতে অংশ নেন বাংলাদেশের জনপ্রিয় ব্যান্ড 'জলের গানের' একজন সংগীতশিল্পী।
উদ্বোধনী বক্তব্যে বাংলাদেশে নিযুক্ত নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূত ইরমা ভ্যান ডুয়েরেন বলেন, 'মানবাধিকার সম্পর্কিত বিষয়গুলোতে আমরা মনোযোগ দিতে চাই তার মধ্যে অন্যতম হলো প্রতি বছর 'মুভিজ দ্যাট ম্যাটার্স ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল' আয়োজন করা।
রাষ্ট্রদূত বলেন, নেদারল্যান্ডসের অন্যান্য স্থান ও বিদেশে আমাদের দূতাবাসের মাধ্যমে এই সপ্তাহ ডাচ সংস্থা মুভিজ দ্যাট ম্যাটারের মাধ্যমে আনা চলচ্চিত্র প্রদর্শনের মাধ্যমে স্মরণ করা হয়। সংস্থাটি এমন চলচ্চিত্র প্রদর্শন করে এবং প্রচার করে যা বিশ্বজুড়ে অধিকার ইস্যুগুলোতে আমাদের মনোযোগ আকর্ষণ করে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশসহ ১৪২ দেশে যুক্তরাজ্যের ভিসা সেবা দেবে ভিএফএস গ্লোবাল
এ বছর তিন দিনব্যাপী মিনি ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে মোট পাঁচটি চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হবে।
ধানমন্ডির আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ দ্য ঢাকায় আগামী ১৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলচ্চিত্রগুলো প্রদর্শন করা হবে।
আরও পড়ুন: ঢাকা বিমানবন্দরের আন্তর্জাতিক মান বজায় রাখতে প্রযুক্তি সহায়তা দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র
মানবাধিকার লঙ্ঘনকারীরাই মানবাধিকারের কথা বলে, প্রেসক্রিপশন দেয়: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, আমাদের দুর্ভাগ্য যে, চরম মানবাধিকার লঙ্ঘনকারীরাই বেশি বেশি মানবাধিকারের কথা বলে, নানা প্রেসক্রিপশন দেয়।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, আজ বিশ্ব মানবাধিকার দিবস। এখন দেখা যাচ্ছে, যারা মানবাধিকার লঙ্ঘন করে তারা মানবাধিকার নিয়ে বেশি কথা বলা শুরু করেছে। দেশে আগুনসন্ত্রাস চালিয়ে মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা এবং চোরাগোপ্তা হামলা চালিয়ে মানুষের অধিকার হরণ করে, তারা আবার প্রেস ক্লাবের সামনে দাঁড়িয়ে মানবাধিকারের কথা বলে। এটিই আমাদের জন্য দুর্ভাগ্য।
আরও পড়ুন: বিএনপিই দেশের প্রথম কিংস পার্টি: তথ্যমন্ত্রী
রবিবার (১০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় প্রেস ক্লাবে চিটাগাং জার্নালিস্ট ফোরাম ঢাকা (সিজেএফডি) আয়োজিত জাতীয় প্রেস ক্লাবের স্থায়ী সদস্য ও সিজেএফডি’র সাবেক দুই প্রয়াত সভাপতি এম ওয়াহিদ উল্লাহ এবং শীলব্রত বড়ুয়ার স্মরণসভায় তিনি এ কথা বলেন।
বিশ্ব প্রেক্ষাপটেও চরম মানবাধিকার অধিকার হরণকারীদের পক্ষে যারা অবস্থান নেয়, তারা এখন মানবাধিকারের প্রেসক্রিপশন দেয়, এটিই হচ্ছে পৃথিবী ও মানবসভ্যতার জন্য দুর্ভাগ্য বলেন তিনি।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমি মনে করি আমাদের দেশকে অপরাজনীতির হাত থেকে রক্ষা করতে হলে আমাদের সম্মিলিত দায়িত্ব রয়েছে। সাংবাদিক সমাজ সেই ক্ষেত্রে সবসময় অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে, আজকের প্রেক্ষাপটেও পালন করবে।
প্রয়াত সাংবাদিক এম ওয়াহিদ উল্লাহ ও শীলব্রত বড়ুয়া সাংবাদিক সমাজের উজ্জ্বল মুখ ছিলেন উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, তারা গণমাধ্যমের জন্য আজীবন কাজ করে গেছেন। সাংবাদিক হিসেবে লোভ-লালসার ঊর্ধ্বে থেকে পেশাগতভাবে তারা অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে তাদের কাজ করে গেছেন।
একটি রাষ্ট্রের বিকাশের জন্য ভালো সাংবাদিকতার প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, অনেক সময় রাষ্ট্র পথ হারিয়ে ফেলে। রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বে যারা থাকেন তারাও অনেক সময় পথ হারিয়ে ফেলে, রাষ্ট্র যাতে সঠিকখাতে প্রবাহিত হয় এবং যারা দায়িত্বে থাকেন তারা যাতে খেই হারিয়ে না ফেলে সেক্ষেত্রে একজন সাংবাদিক কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। আজকে যারা সাংবাদিক সমাজে নেতৃত্ব দিচ্ছেন তারা ভালো সাংবাদিক তৈরির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারবেন।
গত ১৫ বছরে গণমাধ্যমের ব্যাপক বিস্তৃতির সঙ্গে সঙ্গে এই পেশা ও গণমাধ্যমে অনেক চ্যালেঞ্জ যুক্ত হয়েছে উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমকে অনেকের গণমাধ্যমের সঙ্গে গুলিয়ে ফেলা, ভুঁইফোড় অনলাইনের সাংবাদিক, মোবাইল সাংবাদিক -এ ধরনের নানা বিষয় আজকে যুক্ত হয়েছে। এতে করে দেখা যাচ্ছে যে, আসলে কে সাংবাদিক আর কে সাংবাদিক নয় এই পার্থক্যের সীমারেখাটা জনগণ টানতে পারে না। এ জন্য এখানে শৃঙ্খলা আনা প্রয়োজন বলে আমি মনে করি। এ নিয়ে কাজ শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন: বিএনপি বিশৃঙ্খলা করলে দাঁতভাঙা জবাব দেবে মানুষ: তথ্যমন্ত্রী
মানবাধিকার দিবসে দেশে পরিস্থিতি ঘোলাটে করার চক্রান্ত হচ্ছে: তথ্যমন্ত্রী
মানবাধিকার সমুন্নত রাখতে প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব ও নেতাদের সম্পৃক্ত করুন: রাষ্ট্রপতি
মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব ও জননেতাদের অন্তর্ভুক্ত করার আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ইমাম, ধর্মীয় নেতা, শিক্ষক এবং বিভিন্ন পেশাজীবীদের মতো প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব ও জননেতাদের অন্তর্ভুক্ত করলে বাংলাদেশে মানবাধিকার পরিস্থিতি উন্নত হবে।
আরও পড়ুন: ডেনমার্কের বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান রাষ্ট্রপতির
রবিবার (১০ ডিসেম্বর) রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
'সবার জন্য স্বাধীনতা, সমতা ও ন্যায়বিচার' প্রতিপাদ্য সামনে রেখে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের কাজের পরিধি সারা দেশে বিস্তৃত উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই কমিশন মানবাধিকার সংরক্ষণ, উন্নয়ন ও নিশ্চিতকরণে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার অন্যতম প্রধান পদক্ষেপ হলো মানবাধিকার ইস্যু সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি করা।
তিনি বলেন, মানবাধিকার সচেতনতা বৃদ্ধি মানবাধিকার লঙ্ঘনের শিকার ব্যক্তিদের প্রতিকারের পথ প্রশস্ত করবে।
তিনি পারস্পরিক সংলাপ, সভা, সেমিনার, কর্মশালা, শিক্ষা ও মানবাধিকার রক্ষায় সহযোগিতা বৃদ্ধির সব কার্যক্রমে জনগণের সম্পৃক্ততা বাড়ানোর জন্য কমিশনকে নির্দেশ দেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে মানবাধিকার সংস্কৃতির বিকাশে কমিশনকে গবেষণা ও প্রকাশনা বৃদ্ধি, মানবাধিকার লঙ্ঘনের সার্বক্ষণিক মনিটরিং বৃদ্ধি, মানবাধিকার বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টি এবং অ্যাডভোকেসি কার্যক্রম পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।
দেশের যেখানেই মানবাধিকার লংঘনের ঘটনা ঘটছে সেখানে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের উপস্থিতি নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, কমিশনকে নিপীড়িতদের পাশে দাঁড়াতে হবে এবং নিপীড়কদের শাস্তি দেওয়ার জন্য সব প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে এবং শোষিত ও নিপীড়িতদের প্রতি আস্থা ও বিশ্বাসের প্রতীক হতে হবে।
আরও পড়ুন: উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে দুর্নীতিবিরোধী সক্রিয় প্রচেষ্টার আহ্বান রাষ্ট্রপতির
রাষ্ট্রপতি সব ধরনের সংঘাতের স্থায়ী সমাধান নিশ্চিত করতে এবং নির্যাতিত ও নিপীড়িত জনগণের পাশে দাঁড়ানোর জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি বিশেষভাবে অনুরোধ জানিয়ে বলেন, যুদ্ধ নয়, সংলাপের মাধ্যমেই সব সমস্যার সমাধান হতে পারে।
তিনি বলেন, ‘দুঃখজনক হলেও সত্য যে, বিদ্যমান বৈশ্বিক মানবাধিকার পরিস্থিতিতে যেকোনো বিবেকবান ব্যক্তি বিরক্ত বোধ করবে। যুদ্ধ, জাতিগত ও সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা, মহামারি ও প্রাকৃতিক দুর্যোগসহ বিভিন্নভাবে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ মারা যাচ্ছে, গাজায় হাজার হাজার মানুষ মারা যাচ্ছে, লাখ লাখ মানুষের মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে।’
এ বিষয়ে বিশ্বের নীরবতার সমালোচনা করে তিনি বলেন, অনেক শক্তিশালী দেশ নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে। তিনি বলেন, অনেক দেশ ও সংস্থা মানবাধিকারের নামে দ্বৈত নীতিতে লিপ্ত।
মানবাধিকার ইসলামকে সর্বজনীন ও সবার জন্য সমান হিসেবে বিবেচনা করতে হবে এবং কোনো বৈষম্য বা পক্ষপাতিত্ব করা উচিত নয় উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, 'আমি আশা করি, বিশ্বে যেখানেই মানবাধিকার লঙ্ঘিত হবে, সব দেশ, মানবাধিকার সংগঠন ও মানবাধিকার কর্মীরা জাতি, ধর্ম, দলমত নির্বিশেষে প্রতিবাদে সোচ্চার হবেন।’
আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের পূর্ণকালীন সদস্য সেলিম রেজা, আইন ও বিচার বিভাগের সচিব গোলাম সারওয়ার এবং লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগের সচিব মো. কামাল উদ্দিন আহমেদ অনুষ্ঠানে ছিলেন।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতির কাছে পরিচয়পত্র পেশ করলেন পাকিস্তান, মিশর, ভ্যাটিকান সিটি ও শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রদূত
বিএনপি নেতারা কারাগারে চরম মানবাধিকার লঙ্ঘনের শিকার: রিজভী
বিএনপির বন্দী নেতা-কর্মীদের ওপর নিপীড়ন এবং সব সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত করে চরম মানবাধিকার লঙ্ঘন করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন দলটির জেষ্ঠ নেতা রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সন্তুষ্ট করতে বিএনপির সকল বন্দীদের সব ধরনের সাধারণ সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত করার জন্য বর্তমান আইজি প্রিজন মৌখিকভাবে সব কারা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন।
শবিবার (৯ নভেম্বর) ভার্চুয়াল প্রেস ব্রিফিংয়ে এই অভিযোগ করেন তিনি।
বিএনপি নেতা বলেন, আইজি প্রিজন কারাবন্দি বিএনপি নেতা-কর্মীদের ওপর নির্যাতন ও অধিকার মারাত্মকভাবে লঙ্ঘিত করে সারা দেশের কারাগারগুলোকে হিটলারের গ্যাস চেম্বার ও কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্পে পরিণত করেছেন।
তিনি বলেন, 'নির্যাতনের কারণে কারাগারে থাকা বিএনপির নেতা-কর্মীরা এখন বিপাকে পড়েছেন।’
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতৃত্বাধীন বিরোধী দলগুলোর ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ শুরু হচ্ছে বুধবার
রিজভী দাবি করেন, কারাবন্দি বিএনপির নেতা-কর্মীদের কারাগারের ভেতরের কক্ষ থেকে বের হতে দেওয়া হচ্ছে না। এমনকি আত্মীয়-স্বজনদের বন্দীদের সঙ্গে দেখা করতে, তাদের জন্য জামাকাপড় দিতে এবং ফোনে কথা বলতেও বাধা দেওয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর কারাগারগুলো এখন বিএনপির নেতা-কর্মীদের দ্বারা পরিপূর্ণ হওয়ায় কারাগারগুলো এখন প্রকৃত সামাজিক অপরাধীদের জায়গা নয়। সুতরাং, তিনি সেখানে ফ্যাসিবাদের নিপীড়নের সমস্ত পদ্ধতি প্রয়োগ করছেন। জেলখানায় তিনি (শেখ হাসিনা) তার আদর্শে অনুপ্রাণিত কর্মকর্তা নিয়োগ করেছেন।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা চান বিএনপি নেতা-কর্মীরা গ্রেপ্তারের আগে বাইরে যেমন হয়রানি, নিপীড়ন ও নির্যাতনের শিকার হন, কারাগারেও তারা তেমনি নির্যাতিত হন।
আরও পড়ুন: ক্ষমতা ধরে রাখতেই তৈরি পোশাক খাতে বিপদ ডেকে আনছে সরকার: রিজভী
রিজভী বলেন,‘কারাগারের ভেতরে ভয়াবহ নিপীড়ন চলছে। এই নিপীড়ন নজিরবিহীন। এই নিপীড়ন ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। অতিমাত্রায় উৎসাহী কর্মকর্তারা আমাদের দলের বন্দীদের বিরুদ্ধে এক ধরনের যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন।’
তিনি বন্দীদের উপর এ ধরনের নির্যাতনের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। একই সঙ্গে বন্দীদের ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি জোরালো আহ্বান জানান বিএনপির এই নেতা।
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসের প্রাক্কালে শাহবাগ থেকে গুমের শিকার ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যদের তাড়িয়ে দেয়া এবং জাতীয় জাদুঘরের সামনে সমাবেশে বাধা দেয়ার জন্য সরকারের সমালোচনা করেন বিএনপির জেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব।
তিনি আরও বলেন, ‘জোরপূর্বক গুম ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের শিকার ব্যক্তিরা নিজেদের পক্ষে কথা বলতে পারেন না। গুম, ক্রসফায়ার ও মানবাধিকার লঙ্ঘন করে এই সরকার রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা এমনভাবে টিকিয়ে রাখতে চায়, যাতে তার অপরাধের বিরুদ্ধে কেউ কিছু বলতে না পারে।’
রিজভী দাবি করেন, শনিবার বিকাল ৫টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় পুলিশ বিএনপির ১৭৫ জন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে।
তিনি আরও বলেন, চলতি বছরের অক্টোবরের শেষ সপ্তাহ থেকে এ পর্যন্ত তাদের দলের ২০ হাজার ৬৬৫ জন নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: আগামী ১০ ডিসেম্বর মানববন্ধন করবে বিএনপি: রিজভী
মানবাধিকার দিবসে দেশে পরিস্থিতি ঘোলাটে করার চক্রান্ত হচ্ছে: তথ্যমন্ত্রী
আগামী ১০ ডিসেম্বর বিশ্ব মানবাধিকার দিবসকে সামনে রেখে দেশে পরিস্থিতি ঘোলাটে করার চক্রান্ত হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
মন্ত্রী বলেন, ‘মানবাধিকার একটি ব্যবসায় পরিণত হয়েছে। মানবাধিকারের কথা বলে কোনো কোনো দেশকে দমনের চেষ্টা করা হয়। দেশে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে মানুষ হত্যা করা হচ্ছে, অথচ বিবৃতিজীবীরা হারিয়ে গেছে।’
শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের এস রহমান হলে চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের আয়োজনে বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বিএনপি চরম মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী: তথ্যমন্ত্রী
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘কোনো কোনো সন্ত্রাসীর পক্ষেও বিবৃতিজীবীরা কেউ কেউ সোচ্চার হয়। কিন্তু সেই সন্ত্রাসী যে এত মানুষ মারল, সেটি নিয়ে কোনো কথাবার্তা নেই। পৃথিবীতে কিছু মানবাধিকার সংগঠন আছে যেগুলো মূলত মানবাধিকারের ব্যবসা করে।’
তিনি আরও বলেন, ‘যে সমস্ত বিশ্ববেনিয়া মানবাধিকারের কথা বলে এবং বাংলাদেশেও যারা মানবাধিকার নিয়ে কথা বলে, ফিলিস্তিনে পাখি শিকার করার মতো মানুষ শিকার করা হচ্ছে, সাধারণ মানুষসহ হাজার হাজার নারী ও শিশুকে হত্যা করা হলো, কিন্তু এ নিয়ে তাদের বা বড় বড় সংগঠনগুলোর কোনো কথা বা বিবৃতি নেই।’
তিনি বলেন, ‘অথচ তারা বরিশালে কোথায় একজন আরেকজনকে ঘুষি মারল, কোথায় কিছু মানুষ একজনকে ধাওয়া করল সেজন্যও বিবৃতি দিয়েছে।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশে সবচেয়ে বড় মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছে ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা এবং এরপর জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি এবং সেটিকে আইনে পরিণত করে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের বিচার বন্ধ করা।’
মন্ত্রী বলেন, ‘দ্বিতীয় সবচেয়ে বড় মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে ১৯৭৭ সালে নির্বিচারে সেনা অফিসার ও বিমান বাহিনীর অফিসারদের বিনা বিচারে হত্যা করা, নামের মিল আছে সেজন্যই ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দেওয়া, এমন কি ফাঁসি কার্যকর হবার পর ফাঁসির রায় হয়েছে এমন ঘটনাও আছে।’
তিনি বলেন, ‘তারপর ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা, ২০১৩, ১৪ ও ১৫ সালে মানুষ পোড়ানোর মহোৎসব করা হয়েছে। এগুলো চরম মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা।’
তিনি বলেন, ‘কিছু বিবৃতিজীবী আছে, বিবৃতি দেওয়াই তাদের পেশা। বাংলাদেশেও কিছু আছেন। কিন্তু সবসময় যারা এ ধরনের বিবৃতি দেন, দেশে এখন যেভাবে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে মানুষ হত্যা করা হচ্ছে, তাদের বিবৃতি এখন দেখতে পাচ্ছি না।’
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘এই বিবৃতিজীবীরা কই? জনগণ এদের খুঁজছে, আমিও খুঁজছি। আমি একটু উদ্বিগ্ন তাদের জন্য। তারা জ্বর কিংবা ডেঙ্গুতে আক্রন্ত হলো কি না তা নিয়ে মানুষ চিন্তায় আছে।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ফিলিস্তিনে হামলা চালিয়ে একই হাসপাতালে একসঙ্গে ৫০০ মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। আরেকটি হাসপাতালে হামলা চালিয়ে হাসপাতালকে অকেজো করে দেওয়ার পর সেখানে আইসিইউতে থাকা সব মানুষ মৃত্যুবরণ করেছে। এই ধরনের চরম মানবাধিকার লঙ্ঘন বিশ্ববেনিয়ারা তাকিয়ে তাকিয়ে দেখেছে। আবার ইসরাইলি বাহিনী যাতে ভালোমতো বোমা বর্ষণ করতে পারে সেজন্য সহায়তাও করছে।’
আরও পড়ুন: বিএনপিই দেশের প্রথম কিংস পার্টি: তথ্যমন্ত্রী
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিশ্ব প্রেক্ষাপটে এই মানবাধিকার লঙ্ঘনে আমরা চুপ থাকতে পারি না। আমি প্রথম থেকেই এটার বিরুদ্ধে সোচ্চার আছি, থাকব। আমাদের সরকার ও প্রধানমন্ত্রীও সোচ্চার আছেন। আমাদের প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘে গিয়ে এটার বিরুদ্ধে বক্তব্য রেখেছেন। আরব রাষ্ট্রগুলোর সমস্ত রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বসে এই ব্যাপারে করণীয় নির্ধারণ করার জন্য তাদের অনুরোধ জানিয়েছেন।’
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, ‘কেউ হরতাল-অবরোধের ডাক দিতে পারে, সরকার পতনের ডাক দিতে পারে, সরকারের বিরুদ্ধে বক্তব্য রাখতে পারে, এটিই গণতান্ত্রিক ও বহুমাত্রিক সমাজের রীতি। কিন্তু ঘরে বসে সেই ডাক দিয়ে গাড়ির মধ্যে পেট্রোলবোমা নিক্ষেপ করা, মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করা, সেটি তো কোনো রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নয়। এগুলো একদিকে যেমন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড, অপরদিকে মানুষের অধিকার ও মানবাধিকার লঙ্ঘন করা। আমি আশা করব, সাংবাদিকরা এগুলোর বিরুদ্ধে কথা বলবেন, কলম ধরবেন।’
‘শ্রমিক অধিকারের নামে বড়লোক এজেন্টদের মুখোশ উন্মোচন করুন’
শ্রমিক অধিকারের নামে বছরে ১২ বার বিদেশ সফরকারী দুই-একজন শ্রমিক নেতা কারো এজেন্ট হিসেবে কাজ করছে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, দেখা গেল, আল্পনা-কল্পনা-জল্পনা আক্তাররা বছরে ১২ বার বিদেশ গেছে, ১৮ থেকে ২০ লাখ টাকা বিমান ভাড়া দিয়েছে। এদের কারো কারো আবার গাড়ি আছে, ঢাকা শহরে বড় বড় ফ্ল্যাট আছে।
তিনি বলেন, শ্রমিক সমাবেশে যাওয়ার সময় কিছু দূরে গাড়ি রেখে হেঁটে কিংবা রিকশায় যান, যদি শ্রমিকরা গাড়ি দেখে ফেলে। এরা কারো এজেন্ট হিসেবে যে কাজ করে সেটি আজ স্পষ্ট।
মন্ত্রী বলেন, এ সমস্ত এজেন্টের ব্যাপারেও আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। আমি সাংবাদিক সমাজের কাছে অনুরোধ জানাব তাদের মুখোশ উন্মোচন করার জন্য।
চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের (সিইউজে) সভাপতি তপন চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইদুল ইসলামের সঞ্চালনায় ও অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সহসভাপতি মোহাম্মদ শহীদুল আলম, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি আলী আব্বাস, সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের সদস্য কলিম সরওয়ার, সিইউজের সাধারণ সম্পাদক ম. শামসুল ইসলাম, সিনিয়র সহসভাপতি রুবেল খান, সহসভাপতি অনিন্দ্য টিটু, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক দেবদুলাল ভৌমিক প্রমুখ।
আরও পড়ুন: ‘আগুনসন্ত্রাসীদের’ বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে গণমাধ্যমকর্মীদের প্রতি তথ্যমন্ত্রীর আহ্বান
বিএনপি-জামায়াত মানবাধিকার দিবসে বিশৃঙ্খলার ষড়যন্ত্র করছে: কাদের
বিএনপি ও জামায়াত জোট মানবাধিকার দিবসে সারাদেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির ষড়যন্ত্র করছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
বুধবার (৬ ডিসেম্বর) আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘জনগণের অংশগ্রহণ না থাকায় তারা আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে নাশকতার পথ বেছে নিয়েছে।’
আরও পড়ুন: বিশ্বকাপের হতাশা ভুলে টাইগাররা ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে: জি এম কাদের
তিনি আরও বলেন, ‘বিএনপি এমন একটি দল যারা ভুল রাজনীতিতে লিপ্ত এবং জামায়াতের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার কারণে বিএনপি জনগণের কাছ থেকে বিচ্যুত হচ্ছে। এক পর্যায়ে দেখা যাবে জামায়াত বিএনপির প্রধান নেতৃত্বে থাকবে। বিএনপি জামায়াতের বি-টিম হয়ে যাবে।’
বিএনপির কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দেওয়ার বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবারও তার আগের বক্তব্যের পুনরাবৃত্তি করে বলেন, ‘তারা (বিএনপি) নিজেরাই বিএনপির কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়েছে। সাহস থাকলে তারা বেরিয়ে আসুক।’
তিনি বলেন, ‘নির্বাচনে বিরোধী দল থাকবে। তৃণমূল বিএনপি সবচেয়ে বড় জোট, সুপ্রিম পার্টিসহ আরও অনেকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।’
আরও পড়ুন: ১০ ডিসেম্বর আ. লীগের সমাবেশের অনুমতি দেয়নি ইসি: ওবায়দুল কাদের
জাতীয় নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি নিয়ে চিন্তিত নয় আওয়ামী লীগ: কাদের