মানবাধিকার
প্রতিশোধের রাজনীতি নয়, বিএনপি সমাধানে বিশ্বাসী: তারেক রহমান
সমাধানের পথে বিশ্বাস রেখে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমান বলেছেন, বিএনপি আজ প্রতিশোধের রাজনীতি প্রত্যাখ্যান করছে। আমরা এই প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি যে, কোনো বাংলাদেশিকে রাষ্ট্রের ভয়ে বাঁচতে হবে না, তা সে সরকারের সমর্থক হোক বা বিরোধী।
জাতীয় মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে বুধবার (১০ ডিসেম্বর) নিজের ভ্যারিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ কথা বলেছেন।
তারেক রহমান লিখেছেন, ‘১০ ডিসেম্বর মানবাধিকার দিবস আমাদের মনে করিয়ে দেয়- মানবাধিকারই মানুষের দৈনন্দিন বেঁচে থাকার মৌলিক শর্ত। আমরা আবরার ফাহাদ, মুশতাক আহমেদ, ইলিয়াস আলী, সাজেদুল ইসলাম সুমন, সাগর-রুনি- আর অসংখ্য শহীদের গল্প মনে রাখি, যেন ভবিষ্যতে এমন নিপীড়ন আর দায়মুক্তি আর কখনো ফিরে না আসে।’
১৬টা বছর ধরে বাংলাদেশ যেন একটা কালো মেঘের নিচে চাপা পড়ে ছিল উল্লেখ করে তিনি লিখেছেন, ‘কেউ সেই অন্ধকারকে খুব তীব্রভাবে টের পেয়েছে, কেউ চুপচাপ বয়ে বেড়িয়েছে। কিন্তু যাদের রাজনৈতিক অবস্থান তখনকার পতিত সরকারের বিপরীতে ছিল, তাদের জন্য এই অন্ধকার ছিল নিত্যদিনের বাস্তবতা। রাতের বেলা দরজায় কড়া নাড়া, মিথ্যা মামলা, নির্যাতন, ভয়কে সংস্কৃতি বানিয়ে ফেলা। অসংখ্য পরিবার অপেক্ষা করেছে সেই প্রিয়জনদের জন্য, যারা আর কোনোদিন ঘরে ফিরে আসেনি।
‘এই বোঝা বিএনপির চেয়ে বেশি আর কেউ বহন করেনি। বিচারবহির্ভূত হত্যা, গুম, হেফাজতে মৃত্যু, মিথ্যা মামলা—সব জায়গায় বিএনপির নেতা-কর্মীরাই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত। ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানেও সবচেয়ে বেশি রক্ত ঝরেছে বিএনপির ঘরেই।’
‘কিন্তু অত্যাচারের শিকার শুধু বিএনপি ছিল না; ছাত্র, সাংবাদিক, লেখক, পথচারী, সাধারণ মানুষ—সবাই সেই ভয়ঙ্কর পরিবেশের ক্ষত বয়ে বেড়িয়েছে। নূন্যতম মানবাধিকার হিসেবে বিবেচিত মর্যাদা, নিরাপত্তা, মত প্রকাশের অধিকারের মতো মৌলিক সব বিষয়গুলো ছিল হুমকির মুখে।’
তিনি বলেন, ‘এই বছরগুলোতে আমাকেও কথা বলার মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছিল। ২০১৫ সাল থেকে আমার কথা বলার অধিকার সম্পূর্ণভাবে কেড়ে নেওয়া হয়। দেশের কোনো পত্রিকা, টিভি বা সোশ্যাল মিডিয়া যেন আমার কোনো বক্তব্য প্রকাশ না করা হয়, এমন নির্দেশনা জারি ছিল। তবুও এই চাপিয়ে দেওয়া নীরবতার মধ্যেও আমি অধিকার, গণতন্ত্র আর মানুষের ন্যায্য দাবির পক্ষে লড়াই চালিয়ে গেছি, কারণ সত্যের স্পিরিটকে আদেশ দিয়ে থামানো যায় না।’
‘এই পুরো অন্ধকার সময়টায় দেশনেত্রী খালেদা জিয়া ছিলেন আমাদের ধৈর্য ও প্রতিরোধের সবচেয়ে বড় প্রতীক। মিথ্যা মামলা, কারাবাস, তাকে রাজনৈতিকভাবে নিঃশেষ করে দেওয়ার চেষ্টা—এ সবই পুরো দেশের ওপর চাপিয়ে দেওয়া এক কর্তৃত্ববাদী শাসনের প্রতিফলন। তবুও তিনি তার গণতান্ত্রিক আদর্শ থেকে কখনো সরে যাননি। তার বিশ্বাস একটাই— অধিকার সবার; ভয় দেখিয়ে দেশকে এগোনো যায় না।’
দেশকে বদলাতে হলে ঘৃণার পথ নয়, ন্যায়, নৈতিকতা আর ক্ষমাশীলতার পথই ভবিষ্যত গড়ে বলে মনে করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন। তার মতে, ‘আজ বাংলাদেশের প্রয়োজন রাজনীতির চেয়েও বড় কিছু—একটি ঐক্যবদ্ধ দেশ, যেখানে সবার জন্য মানবাধিকারের নিশ্চয়তা থাকবে, যেখানে কথা বলার স্বাধীনতা থাকবে, বিরোধী মত যেখানে হুমকি না হয়ে বরং গণতন্ত্রের অংশ হবে। যেখানে ভিন্ন মতের কারণে কাউকে নিপীড়িত হতে হবে না বা গুম হয়ে যেতে হবে না।’
ক্ষমাশীলতার সূত্র ধরে তারেক রহমান বলেন, ‘বিএনপি আজ প্রতিশোধের রাজনীতি প্রত্যাখ্যান করছে, আমরা সমাধানের পথে বিশ্বাসী। আমরা এই প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি যে, কোনো বাংলাদেশিকে রাষ্ট্রের ভয়ে বাঁচতে হবে না, তা সে সরকারের সমর্থক হোক বা বিরোধী।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিএনপি মারাত্মক ক্ষতি সহ্য করেছে, কিন্তু ভেঙে যায়নি। বরং সত্য, ন্যায়, জবাবদিহি, পুনর্মিলন আর আইনের শাসনে বিশ্বাস রেখে আরও দৃঢ় হয়েছে। আমরা এমন একটি বাংলাদেশ গড়তে চাই, যেখানে প্রতিটি মানুষের কণ্ঠ, অধিকার ও জীবন মূল্যবান; যেখানে মানবাধিকার আমাদের ভবিষ্যতের ভিত্তি।’
৭ দিন আগে
৪ নারীর হাতে উঠল বেগম রোকেয়া পদক
নারীশিক্ষা, মানবাধিকার, শ্রম অধিকার ও ক্রীড়াঙ্গনে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ এ বছর চারজন বিশিষ্ট নারীকে মর্যাদাপূর্ণ ‘বেগম রোকেয়া পদক-২০২৫’ প্রদান করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত এক আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বিজয়ীদের হাতে এই পদক ও সম্মাননা তুলে দেন।
এবারের পদকপ্রাপ্তদের মধ্যে বিশেষ চমক হিসেবে ছিলেন সাফজয়ী নারী ফুটবলার ঋতুপর্ণা চাকমা। ক্রীড়াঙ্গনে নারীদের অগ্রযাত্রা ও অনুপ্রেরণা সৃষ্টিতে বিশেষ ভূমিকা রাখায় তাকে এই সম্মাননায় ভূষিত করা হয়।
এ বছর ভিন্ন ভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের জন্য যে চারজনকে নির্বাচিত করা হয়েছে, তারা হলেন— ক্রীড়াঙ্গনে নারীর বলিষ্ঠ অবস্থান তৈরি ও অনুপ্রেরণা সৃষ্টিতে ঋতুপর্ণা চাকমা, নারীশিক্ষায় গবেষণাধর্মী ও মৌলিক অবদানের জন্য রুভানা রাকিব, দীর্ঘ সময় ধরে পোশাকশ্রমিক ও নারীদের শ্রম অধিকার আদায়ে কাজ করার স্বীকৃতিস্বরূপ (নারী অধিকার শ্রেণি) কল্পনা আক্তার এবং মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় সাহসী ভূমিকার জন্য নাবিলা ইদ্রিস।
মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে এই অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস নারী সমাজের অগ্রগতির ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি পদকপ্রাপ্তদের অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, এই পদক নারীদের আগামীর পথচলায় নতুন দিশা ও শক্তি জোগাবে।
৯ ডিসেম্বর, বেগম রোকেয়া দিবস। নারীর ক্ষমতায়ন ও শিক্ষা, আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, অধিকার ও সমতাভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠায় বেগম রোকেয়ার অবদান ও নারী জাগরণের অগ্রযাত্রায় অন্তহীন প্রেরণার উৎস হিসেবে প্রতিবছর এ দিবস পালন করা হয়।
বেগম রোকেয়া দিবস উপলক্ষে মন্ত্রণালয় ও বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে দেশজুড়ে নেওয়া হয়েছে নানা কর্মসূচি। নারী জাগরণের অগ্রদূত বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের আদর্শ ছড়িয়ে দিতে এবং নারীর ক্ষমতায়ন তুলে ধরতে দিনব্যাপী আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
৮ দিন আগে
ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য সফর: আলোচনায় কূটনীতি, উপেক্ষিত মানবাধিকার
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে হোয়াইট হাউসে ফেরার পর গতানুগতিক বিষয়টিই যেন কোথায় হারিয়ে গিয়েছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প কখন কী বলবেন, কীভাবে বলবেন কিংবা তার পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে—সেসব অনুমান করা অনেক বিশ্লেষকের কাছে রীতিমত ‘অসম্ভব’।
নিজের মধ্যপ্রাচ্য সফরেও তিনি এ ধারা বজায় রেখেছেন। দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর এটিই তার সবচেয়ে বড় রাষ্ট্রীয় সফর। নিজের স্বভাব অনুযায়ী এ সফরকালেও তিনি আলোচনার বিষয়ে ভিন্ন পথেই হেঁটেছেন।
এর আগে পশ্চিমা নেতাদের মধ্যপ্রাচ্য সফরে মানবাধিকারের মতো বিষয় গুরুত্ব পেলেও কূটনৈতিক ও দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের নানান বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন ট্রাম্প; আর মধ্যপ্রাচ্যের বর্তমান পরিস্থিতিতেও মানবাধিকারের মতো বিষয় নিয়ে আলোচনা এড়িয়ে গেছেন তিনি।
মঙ্গলবার (১৩ মে) সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে বৈঠক করেন ট্রাম্প। সে সময় আরব উপসাগরীয় ধনী দেশগুলোতে অতীতে যুক্তরাষ্ট্রের হস্তক্ষেপের সমালোচনা করেন তিনি।
ট্রাম্প বলেন, ‘এখন আর সেই দিন নেই যে আমেরিকান কর্মকর্তারা মধ্যপ্রাচ্যে উড়ে এসে আপনাদের শেখাবে—কীভাবে জীবনযাপন করতে হবে, কীভাবে দেশ চালাতে হবে।’
অনেক বিশ্লেষকের মতে, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের সবচেয়ে ভালো সময় পার করছে রিয়াদ।
আরও পড়ুন: ট্রাম্প মধ্যপ্রাচ্যে: ইসরায়েলি হামলায় ২২ শিশুসহ ৬০ ফিলিস্তিনি নিহত
তবে সৌদির সাংবাদিক, মানবাধিকারকর্মী, ব্যবসায়ী, লেখকসহ দেশটি থেকে পালিয়ে যাওয়া আরও অনেকেই তার কথা শুনেছেন। তাদের মত অবশ্য ভিন্ন।
ট্রাম্পের এই ভূমিকাকে একপ্রকার অশনি সংকেত বলে মনে করছেন তারা। তাদের আশঙ্কা, ট্রাম্পের এই বক্তব্য মানবাধিকার রক্ষায় যুক্তরাষ্ট্রের অনিয়মিত বা অসম্পূর্ণ হলেও শক্তিশালী ভূমিকা থেকে সরে আসার ইঙ্গিত বহন করে।
এ বিষয়ে যুবরাজ সালমানের শাসনামলের প্রথম দিকে জেলে থাকা এক আলেমের ছেলে আবদুল্লাহ আলআউধ বলেন, ‘তার (ট্রাম্প) এই ভূমিকা দেখা সত্যি বেদনাদায়ক ছিল।’
বিশ্বের নানা দেশের সমালোচনা ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে একপ্রকার একঘরে হয়ে পড়ার পর দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি উন্নত করতে রাজপরিবারের শত শত সদস্য, নাগরিক সমাজের কর্মী, অধিকারকর্মীসহ অনেক বন্দিকে মুক্তি দেয় সৌদি প্রশাসন। তবে আবদুল্লাহর বাবা সালমান আলআউধ এখনও কারাবন্দি রয়েছেন।
হতাশ কণ্ঠে আবদুল্লাহ বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সেই যুবরাজের সঙ্গে সরাসরি বৈঠক করেছেন, যিনি কিনা আমার বাবাকে নির্যাতন করেছেন, আমাদের পরিবারকে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন।’
আবদুল্লাহ যুক্তরাষ্ট্রে থেকে সৌদি আরবে আটক ও বন্দি ব্যক্তিদের জন্য কাজ করে থাকেন। এসব বিষয়ে সৌদি প্রশাসনের বক্তব্য জানতে চাওয়া হলেও তারা সাড়া দেয়নি।
এদিকে, হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র আনা কেলি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদির ক্রমবর্ধমান অংশীদারত্ব এবং মধ্যপ্রাচ্যের শান্তির পথে অগ্রসর হওয়ার পদক্ষেপকে প্রশংসা করেছেন ট্রাম্প।’ তবে মধ্যপ্রাচ্যের নেতাদের সঙ্গে মানবাধিকার বিষয়ে ট্রাম্প কোনো আলোচনা করেছেন কিনা, এ বিষয়ে কিছু বলেননি তিনি।
তবে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র টমি পিগট বলেছেন, ‘মধ্যপ্রাচ্যের নেতাদের সঙ্গে ট্রাম্পের আলোচনা ছিল ব্যক্তিগত।’
মানবাধিকার ইস্যুতে কম গুরুত্ব
বিশ্লেষকরা বলছেন, মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের সফরে মানবাধিকার বিষয়ে যতটা গুরত্বের সঙ্গে আলোচনা হওয়া উচিৎ, ট্রাম্পের সফরকালে বিষয়টি সেভাবে মনোযোগ পায়নি।
আরেকটি বিষয় লক্ষণীয়, এসব দেশের পরিস্থিতি নিয়ে মানবাধিকার সংস্থাগুলোকে উদ্বেগ প্রকাশ করতে দেখা গেলেও জোরালো কণ্ঠে প্রতিবাদ করতে দেখা যায়নি।
এমনকি ট্রাম্পের এবারের বৈঠকের পর যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত নির্বাসিত সৌদি নাগরিকদেরও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আগের মতো সরব হতে দেখা যায়নি। তাছাড়া ট্রাম্প সৌদিতে বন্দি মার্কিন নাগরিক বা অধিকারকর্মীদের মুক্তির প্রসঙ্গ তুলেছেন কিনা, এ নিয়েও তেমন প্রশ্নের মুখোমুখি হয়নি তার প্রশাসন।
মানবাধিকার সংগঠনগুলোর ভাষ্যে, সাম্প্রতিক সময়ে সৌদিতে মানবাধিকার পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হওয়ার কারণে এমন নীরবতা দেখা যেতে পারে।
অনেকে আবার বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার পরিস্থিতি খারাপ হওয়ার কারণেই মধ্যপ্রাচ্যের মানবাধিকারের বিষয়ে ট্রাম্পের এই নীরবতা।
আরও পড়ুন: যুদ্ধবিরতিতে সম্মত ভারত-পাকিস্তান: ট্রাম্প
ইব্রাহিম আলমাদি নামে ফ্লোরিডার এক বাসিন্দা বলেন, ‘আমার বাবা সৌদি সরকারের বিরুদ্ধে সমালোচনামূলক টুইটের জন্য কারাবন্দি হয়েছিলেন। তার দেশত্যাগেও নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। বাবাকে ফেরানোর জন্য রিপাবলিকান আইনপ্রণেতা বা অন্য কোনো কর্মকর্তার কাছ থেকে প্রতিশ্রুতি নেওয়ার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছিলাম।’
তিনি আরও বলেন, ‘ট্রাম্প আর যুবরাজ ভালোবাসার সম্পর্কে রয়েছেন। কেউ যদি একবার ট্রাম্পের কানে বাবার বিষয়টা দিতেন আর তিনি যুবরাজকে বলতেন, আমি নিশ্চিতভাবে বাবাকে ফিরে পেতাম।’
২১৪ দিন আগে
সীমান্তে ভারতের ‘পুশ ইন‘ সুপরিকল্পিত ও ন্যাক্কারজনক: বিজিবি ডিজি
ভারত তাদের দেশের রোহিঙ্গা শরণার্থীদের বাংলাদেশে ঠেলে দেওয়াকে (পুশ ইন) মানবাধিকার লঙ্ঘনের শামিল বলে দাবি করেছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী।
সোমবার (১২ মে) সচিবালয়ে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির সভা শেষে বিজিবি মহাপরিচালক এ কথা বলেন।
সাম্প্রতিক সময়ে সীমান্তে ভারতের পুশ-ইনের ঘটনা সুপরিকল্পিত ও ন্যাক্কারজনক বলেও মন্তব্য করেন বিজিবি ডিজি।
তিনি বলেন, ‘গত ৭ ও ৮ মে দুই দিনে আমরা ২০২ জনকে পেয়েছি। তাদের বিএসএফ বিভিন্নভাবে জনবসতি নেই—এমন সব জায়গায় পুশ-ইন করেছে। আপনারা জানেন, সীমান্তের প্রতিটি জায়গা শারিরীকভাবে দখলে রাখা যায় না। যেসব জায়গায় কেউ ছিলো না, সেখানেই পুশ-ইন করেছে।’
আরও পড়ুন: খাগড়াছড়িতে ৮১ ভারতীয়কে পুশ-ইন করল বিএসএফ
তাদের নিয়ে কি সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে জানতে চাইলে ডিজি বলেন, ‘আমরা পুলিশ ভেরিফিকেশনে যাদের বাংলাদেশি পেয়েছি, তারা গত ২ থেকে ৩ বছর মধ্যে এমনকি অনেকে ২০ থেকে ২৫ বছর আগে নানান কাজে ভারতে গিয়েছিল। তাদের মধ্যে অনেকেরই সন্তান-সন্তানদি আছে। তাদের মধ্যে অনেকেই ভারতের আধারকার্ডসহ অন্যান্য ডকুমেন্টস ছিল। ভারতের পুলিশ বা বিএসএফ সেগুলো রেখে দিয়ে তাদের বাংলাদেশে পুশ-ইন করেছে বলে জানান বিজিবি মহাপরিচালক।
পুশ-ইনের পর বাংলাদেশি নাগরিকদের নিজ নিজ এলাকায় ফেরত পাঠানোর বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন আছে বলেও জানান তিনি।
তিনি বলেন, ‘সীমান্তে আটকদের মধ্যে ৩৯ জন রোহিঙ্গা পাওয়া গেছে। তারা আমাদের রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে পালিয়ে গিয়েছিল। তাদের আমরা ক্যাম্পে ফেরত পাঠিয়েছি।’
ডিজি বলেন, ‘এরমধ্যে একটি উদ্বেগজনক বিষয় হলো কিছু রোহিঙ্গা পাওয়া গেছে—যারা ভারতের ইউএনএইচসিআর (জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক কমিশন) এর তালিকাভুক্ত শরণার্থী। তাদের আইডি কার্ডও আমাদের কাছে আছে।’
এ সময় তিনি সাংবাদিকদের সামনে ইউএনএইচসিআর-এর পরিচয়পত্রগুলো তুলে ধরেন।
আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী বলেন, ‘পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে সকলকে জানাতে চাই, এটি মানবাধিকার লঙ্ঘনের শামিল। যে দেশের শরণার্থী সেখানেই তাদের রাখার দরকার ছিল। আমরা এমন পাঁচজন শরণার্থী পেয়েছি।’
বিএসএফ বরাবরের মতো এ অভিযোগ অস্বীকার করছে জানিয়ে ডিজি বলেন, ‘তারা (বিএসএফ) বলছেন, এ বিষয়ে তারা জানেন না। হয়তো তারা নিজেই চলে গিয়েছিল ভারতে, হয়তো তারা নিজেরাই ফেরত আসছে–এ ধরনের কথা বলছে। এটা আমরা মানছি না। আমরা পতাকা বৈঠক করে প্রতিবাদ লিপি দিয়েছি। একই সঙ্গে আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করার কথা বলেছি৷ তারা যদি বাংলাদেশি হয়—তাহলে আমরা তাদের গ্রহণ করব। তবে সেটি এমন লুকোচুরির মাধ্যমে না হয়ে আনুষ্ঠানিকভাবেই করা হবে বলে জানান বিজিবির ডিজি।
তিনি আরও বলেন, 'আমরা জানতে পেরেছি খাগড়াছড়ির দিকে আরও ২০০ থেকে ৩০০ জনের মতো শরণার্থী ওপারে আছে। যাদেরকে বিএসএফ পুশ-ইন করার চেষ্টা করেছিল। আমাদের টহল বাড়ানোয় ও সীমান্তে সজাগ দৃষ্টি থাকায় গত দুই দিন ধরে তারা চেষ্টা করেও পারছে না।’
ডিডি বলেন, স্থলপথ দিয়ে পুশ-ইন দিতে না পেরে বিএসএফ সুন্দরবনের দুর্গম মান্দারবাড়িয়া চরে ভারতীয় একটি জাহাজে করে ৭৮ জনকে ফেলে গেছে।
আরও পড়ুন: সীমান্তে ভারতের পুশ-ইন: সরকারের নীরবতায় ক্ষোভ ঝাড়লেন রিজভী
বাংলাদেশ কোস্টগার্ড তাদের উদ্ধার করেছে। তাদের নিজ নিজ এলাকায় পাঠানোর প্রক্রিয়ায় আছে। আমরা সজাগ দৃষ্টি রাখছি, একই সঙ্গে আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
বিজিবি ডিজি বলেন, ‘মূলত খাগড়াছড়ির বানছগি, জামিনি পাড়া, খেদাছড়া সীমান্ত ও কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারির চর অঞ্চল এবং সুন্দরবনের মান্দারবাড়িয়া দিয়ে পুশ-ইনের ঘটনা ঘটেছে। বিএসএফ যেসব এলাকায় জনবসতি নাই বা টহল যেতে সময় লাগে সেসব এলাকা টার্গেট করে পুশ-ইনের চেষ্টা করছে বলে জানান তিনি।
২১৯ দিন আগে
১ জুলাই থেকে ১৫ আগস্ট পর্যন্ত সংঘটিত মানবাধিকার লঙ্ঘনের তদন্ত করবে জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশন
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কাছ থেকে ১ জুলাই থেকে ১৫ আগস্ট পর্যন্ত সংঘটিত মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে নিরপেক্ষ ও স্বাধীন ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশন পরিচালনার আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণ পেয়েছেন জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক।
শুক্রবার (৩০ আগস্ট) জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের মুখপাত্র রাভিনা শামদাসানি এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, বিক্ষোভের সময় সংঘটিত সহিংসতা ও নির্যাতনের বিষয়ে প্রতিবেদন তৈরি, মূল কারণ বিশ্লেষণ এবং ন্যায়বিচার ও জবাবদিহির অগ্রগতি এবং দীর্ঘমেয়াদি সংস্কারের জন্য সুপারিশ করার লক্ষ্যে আগামী সপ্তাহগুলোতে বাংলাদেশে একটি ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম মোতায়েন করবে জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থা।
দলটি এই কাজে পূর্ণ সহযোগিতার জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এবং নিরাপত্তা বাহিনীর কাছ থেকে প্রতিশ্রুতি পেয়েছে।
এর আগে ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইমস স্ট্র্যাটেজি ফোরাম (আইসিএসএফ) জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থাকে ৫ আগস্টের আগে ও পরে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলো তদন্তের আহ্বান জানায়।
আরও পড়ুন: জর্জিয়ার 'বিদেশি প্রভাব' আইন নিয়ে ভলকার তুর্কের গভীর দুঃখ প্রকাশ
এ বিষয়ে উদ্যোগ চেয়ে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্ককে চিঠি দিয়েছে আইসিএসএফ।
এতে বলা হয়, ‘ক্ষমতা হস্তান্তরে বাংলাদেশকে সহায়তা করার জন্য জাতিসংঘের অভিপ্রায় বিবেচনায় আমরা মনে করি তদন্তে ৫ আগস্টের আগে এবং পরের ঘটনাগুলো খতিয়ে দেখা উচিত। গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর থেকে আমরা জানতে পেরেছি, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল চান জাতিসংঘ শুধু ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত ঘটনাবলী দেখুক।’
সাম্প্রতিক বিক্ষোভে আটক ও আহত হওয়া ছাত্র নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করতে গত সপ্তাহে (২২ থেকে ২৯ আগস্ট পর্যন্ত) একটি দল বাংলাদেশে এসেছে।
দলটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিভিন্ন উপদেষ্টা, প্রধান বিচারপতি, পুলিশ ও সশস্ত্র বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, আইনজীবী, সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মী, রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি এবং সংখ্যালঘু ও আদিবাসী সম্প্রদায়ের সঙ্গে বৈঠক করেছে।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অনুরোধে সাম্প্রতিক সহিংসতা ও অস্থিরতার প্রেক্ষাপটে মানবাধিকার লঙ্ঘন ও নির্যাতনের তদন্তের পদ্ধতি নিয়ে দলটি বৈঠকগুলোতে আলোচনা করেছে।
শামদাসানি বলেন, বিস্তৃত ক্ষেত্রগুলো নিয়েও আলোচনা হয়েছে- যার মধ্যে নাগরিক সুযোগ, সত্যের প্রয়োজনীয়তা, ন্যায়বিচার, মুক্তি, ক্ষতিপূরণ ও সমঝোতা এবং সংস্কার প্রক্রিয়ার অন্যান্য মানবাধিকারের পন্থাসহ বিস্তৃত ক্ষেত্রগুলো রয়েছে। এসব ক্ষেত্রে আমাদের সংস্থা টেকসই সহায়তা সরবরাহ করতে পারে।
আরও পড়ুন: অধ্যাপক ইউনূসকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর ফোন, অর্থনৈতিক সহযোগিতা বাড়ানোর আগ্রহ প্রকাশ
৪৭৪ দিন আগে
জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনকে যে কোনো ধরনের সাহায্য-সহযোগিতার আশ্বাস স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার
জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনকে যে কোনো ধরনের সাহায্য ও সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
তিনি বলেন, জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের প্রতিনিধি দল এসেছিলেন। এটি ছিল ওনাদের সৌজন্য সাক্ষাৎ। এছাড়া আমরা ওনাদের নিশ্চয়তা দিয়েছি, যেকোনো ধরনের সাহায্য ও সহযোগিতা আমরা করব।
আরও পড়ুন: ভারত ফারাক্কা খুলে দিলেও নতুন কোনো এলাকা প্লাবিত হয়নি: উপদেষ্টা
মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের প্রতিনিধি দলের দলের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান উপদেষ্টা।
উপদেষ্টা বলেন, জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনকে আমরা আরেকটি অনুরোধ করেছি। জাতিসংঘ মিশনে আমাদের পুলিশ, আর্মি এবং অন্যান্য বাহিনীর সদস্যরা যাতে আরও বেশি যেতে পারেন।
তিনি বলেন, তারা বলেছেন, বাংলাদেশের ইউএন মিশনে যারা আছেন তারা ভালো কাজ করছেন। এছাড়া ভবিষ্যতে বাংলাদেশ যাতে সব সময় এক নম্বরে থাকতে পারে সেই ব্যবস্থা তারা করবেন বলে জানিয়েছেন।
এর আগে বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত এসেছিলেন জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, উনি মূলত কৃষি মন্ত্রণালয়ে এসেছিলেন। এটি ছিল ওনার সঙ্গে আমাদের সৌজন্য সাক্ষাৎ। আমাদের এখানে বিভিন্ন জায়গায় ৯ হাজারের মতো চীনা নাগরিক কাজ করেন। তাদের নিরাপত্তার বিষযয়ে তিনি আমাদের সহযোগিতা চেয়েছেন। আমরা বলেছি, যত ধরনের সাহায্য ও সহযোগিতা করা দরকার আমরা তা করব।
উপদেষ্টা বলেন, আমরা আর একটা বিষয় উত্থাপন করেছি। আপনারা সবাই জানেন আমাদের অনেকগুলো জেলা বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় ওনারা আমাদেরকে কী ধরনের সাহায্য ও সহযোগিতা করতে পারে, এজন্য তাদেরকে আমরা অনুরোধ করেছি।
আরও পড়ুন: চীনের সঙ্গে সকল ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে: উপদেষ্টা
বন্যায় ২৭ জনের মৃত্যু, ক্ষতিগ্রস্ত ৫৬ লাখ ছাড়িয়েছে: উপদেষ্টা
৪৭৭ দিন আগে
সংখ্যালঘুসহ প্রতিটি নাগরিকের মানবাধিকার রক্ষার আশ্বাস প্রধান উপদেষ্টার
সারা দেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের ঘরবাড়ি ও উপাসনালয়ে হামলার ঘটনা তদন্তে একটি ‘সংখ্যালঘু কমিশন’ গঠনের দাবি জানিয়েছে সংখ্যালঘু অধিকার আন্দোলন।
এছাড়াও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে আট দফা দাবি পেশ করেন ছয় সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল।
আরও পড়ুন: আবু সাঈদ হত্যা: সাবেক আইজিপিসহ ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা, অজ্ঞাত আসামি ৩০-৩৫ জন
রবিবার (১৮ আগস্ট) তাদের দাবির প্রেক্ষিতে আশ্বাস জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, তার সরকার সংখ্যালঘুদের সদস্যসহ প্রতিটি নাগরিকের মানবাধিকার রক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
তিনি আরও বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সংখ্যালঘুদের ওপর যেকোনো আক্রমণ এবং সহিংসতা থেকে সুরক্ষা দিতে ইতোমধ্যে কয়েকটি ব্যবস্থা নিয়েছে। প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে পুলিশ বাহিনী কাজ শুরু করায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে।
বৈঠকে আরও ছিলেন- ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম এবং যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
সংখ্যালঘু অধিকার আন্দোলনকে আশ্বস্ত করে এই দুই উপদেষ্টাও জানান সব দাবি পূরণের সর্বোচ্চ চেষ্টা করবেন।
আরও পড়ুন: রংপুরে শিক্ষার্থী হত্যা: শেখ হাসিনা ও ওবায়দুল কাদেরের বিরুদ্ধে মামলা
৪৮৬ দিন আগে
মানবাধিকার ও ন্যায়বিচার নিশ্চিতে রাষ্ট্রকাঠামো ঢেলে সাজাতে হবে: টিআইবি
মানবাধিকার, ন্যায়বিচার ও সুশাসন নিশ্চিত করতে রাষ্ট্রকাঠামো ঢেলে সাজাতে হবে বলে মন্তব্য করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।
রবিবার ঢাকাসহ সারাদেশে ৪৫টি স্থানে একযোগে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন থেকে ১১ দফা দাবি তুলে ধরে টিআইবি।
এতে বলা হয়, মানবাধিকারের গুরুতর ও ব্যাপক লঙ্ঘনের শিকার হয়েছে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন। গুরুতর নিষ্ঠুরতার শিকার হয়েছেন বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারীরা।
আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর নির্বিচারে ক্ষমতার অপব্যবহার, সার্বিকভাবে সুশাসনের অভাব এবং ক্ষমতার দম্ভে অন্ধ, জনস্বার্থ থেকে বিচ্ছিন্ন, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিবর্জিত এবং সীমাহীন দুর্নীতিতে জর্জরিত শাসন ব্যবস্থা এই বিশৃঙ্খলার মূল কারণ।
এ প্রেক্ষাপটে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারী ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যরা ১১ দফা দাবি তুলে ধরেন।
অনতিবিলম্বে এসব দাবি মেনে নিতে হবে এবং কোনো বিলম্ব না করে সুনির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে রোডম্যাপ প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করতে হবে।
দাবিগুলো হলো-
১. বহুমাত্রিক ও বহুপর্যায়ের নজিরবিহীন ও নির্মম মানবাধিকার লঙ্ঘনের দৃষ্টান্তমূলক জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে। এক্ষেত্রে জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য তদন্ত নিশ্চিতে জাতিসংঘের উদ্যোগে সম্পূর্ণ স্বাধীন কমিশন গঠন করার মাধ্যমে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
২. ভবিষ্যতে এ ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘন প্রতিরোধ করার লক্ষ্যে আইন-প্রয়োগকারী ও গোয়েন্দা সংস্থাসহ আইনের শাসনের সঙ্গে জড়িত সব প্রতিষ্ঠান তথা সার্বিক রাষ্ট্রকাঠামো ঢেলে সাজাবার জন্য জাতীয় ঐক্যমত্যের ভিত্তিতে উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।
৩. আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দ্বারা শিক্ষার্থী ও সাধারণ নাগরিককে হয়রানি ও নির্মম নিপীড়ন এখনই বন্ধ করতে হবে। আটক সব সমন্বয়ক, শিক্ষার্থী ও সাধারণ নাগরিককে অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে ও সব মামলা প্রত্যাহার করতে হবে।
৪. বেআইনি, নির্বিচার ও উদ্দেশ্যমূলকভাবে ক্ষমতার অপব্যবহার এবং অতিরিক্ত, অসামাঞ্জস্যপূর্ণ প্রাণঘাতী অস্ত্রের ব্যবহারসহ বিভিন্নভাবে যারা নির্মম হতাহতের জন্য দায়ী এবং যাদের নির্দেশে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও স্বপ্নকে পদদলিত করে নজিরবিহীন এই নির্মমতা সংগঠিত হয়েছে তাদের সবাইকে চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে।
৫. জাতির ইতিহাসের নজিরবিহীন এই অধ্যায়ে নিহত-আহত সবার বয়স ও পেশা অনুযায়ী পূর্ণাঙ্গ তালিকা অবিলম্বে প্রকাশ করতে হবে।
৬. আহত সবার পূর্ণাঙ্গ চিকিৎসা, পূর্ণ নিরাপত্তা নিশ্চিতের পাশাপাশি তাদের স্বাভাবিক জীবনযাপন নিশ্চিত করতে হবে।
৭. হতাহত সবার পরিবারের জন্য সম্মানজনক ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসন নিশ্চিত করার পাশাপাশি পুনর্র্বাসন প্রক্রিয়া প্রকাশ করতে হবে।
৮. অবাধ তথ্যপ্রবাহের অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। প্রিন্ট, ইলেক্ট্রনিক ও ডিজিটালসহ সব গণমাধ্যমের প্রতি প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সব ধরনের হুমকি, নিষেধাজ্ঞা ও নিয়ন্ত্রণ প্রত্যাহার এবং বন্ধ করতে হবে। ইন্টারনেট ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারের ওপর সব নিয়ন্ত্রণ বন্ধ করতে হবে।
৯. সহিংসতা দমন বা অন্য কোনো অজুহাতে, ভিন্নমত দমনের হঠকারি-প্রক্রিয়া থেকে এখনই সরে আসতে হবে। ভিন্নমত, বাক্স্বাধীনতা ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা পরিপন্থী নজরদারিভিত্তিক ভীতিকর পরিবেশ, তথা জনগণের জন্য নিরাপত্তাহীনতার বোধ সৃষ্টির সংস্কৃতি পরিত্যাগ করতে হবে।
১০. এই মুহূর্ত থেকে সব অসত্য বয়ান ও মিথ্যাচার বন্ধ করে, দেশবাসীর মানবাধিকার, ন্যয়বিচার ও সুশাসন নিশ্চিত করতে হবে।
১১. দুর্নীতির বিরুদ্ধে শূন্য সহনশীলতার ফাঁকাবুলির সংস্কৃতি পরিহার করে উচ্চ পর্যায়ের দুর্নীতির বিচারহীনতা বন্ধে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।
৫০০ দিন আগে
ডয়েচে ভেলেকে ‘গাজা গণহত্যা’ প্রামাণ্যচিত্রের মাধ্যমে মানবাধিকারের প্রতি অঙ্গীকার প্রমাণের আহ্বান সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রীর
গাজায় গণহত্যা নিয়ে প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণ ও প্রচারের মাধ্যমে জার্মানির রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন আন্তর্জাতিক সম্প্রচার সংস্থা ডয়েচে ভেলেকে মানবাধিকারের প্রতি অঙ্গীকার এবং গণমাধ্যমের স্বাধীনতা প্রমাণের আহ্বান জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।
মঙ্গলবার (২৮ মে) সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে তথ্য কমিশন বাংলাদেশের সম্মেলন কক্ষে 'অনগ্রসর, প্রান্তিক ও সুবিধাবঞ্চিত নাগরিকের তথ্য অধিকার' বিষয়ক কর্মশালায় এ আহ্বান জানান তিনি।
তথ্য কমিশন বাংলাদেশ, ইউএস এইড, দি কার্টার সেন্টার যৌথভাবে এ কর্মশালার আয়োজন করে।
এ সময় তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘মানবাধিকার নিয়ে ডয়েচে ভেলের এক প্রতিবেদনে কিছুদিন আগে গৃহযুদ্ধ মোকাবিলা করা দেশ শ্রীলঙ্কার সঙ্গে বাংলাদেশের তুলনা করা হয়েছে। মানবাধিকার নিয়ে যে কোনো সংস্থার অঙ্গীকারের প্রশংসা করি আমি। ডয়েচে ভেলে যদি মানবাধিকারের প্রতি এত অঙ্গীকারবদ্ধ থাকে সেটির প্রমাণ দিক।’
তিনি আরও বলেন, ‘গাজাতে মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে, গণহত্যা হচ্ছে সেটার ওপর প্রামাণ্যচিত্র বানিয়ে মানবাধিকারের প্রতি তাদের অঙ্গীকার প্রমাণ করুক। একইসঙ্গে তাদের গণমাধ্যমের স্বাধীনতা কতটুকু আছে সেটাও তারা প্রমাণ করুক।’
সেটি করতে না পারলে বাংলাদেশকে নিয়ে ডয়েচে ভেলের প্রামাণ্যচিত্র একটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রামাণ্যচিত্র হয়েছে বলে ধরে নেওয়া হবে বলে মন্তব্য করেন এম এ আরাফাত।
তিনি বলেন, ‘একটা বিশেষ মহল বাংলাদেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে এটি করেছে। যারা প্রকৃত অর্থে আমাদের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনের সমস্যা এবং তাদের উন্নয়ন নিয়ে কথা বলে না। বাংলাদেশকে পৃথিবীর সামনে খাটো করে দেখানোর যে অপচেষ্টা করে, তারই অংশ হিসেবে এই প্রামাণ্যচিত্র বানানো হয়েছে।’
তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ২০০৯ সালের তথ্য অধিকার আইন সরকারের স্বচ্ছতা, জবাবদিহি, সুশাসন ও গণতন্ত্রের প্রতি অঙ্গীকার প্রমাণ করে। জনগণের তথ্য চাওয়ার অধিকার এ আইন নিশ্চিত করেছে। যারা তথ্য নেবেন তারা অনেক সময় এ তথ্যের যথাযথ ব্যবহার করেন না। তথ্য অধিকার আইন ব্যবহার করে অধিকার চর্চা করতে গিয়ে অনেক সময় অনধিকার চর্চা হয়ে যায়।
তথ্যকে শক্তি উল্লেখ করে এ সময় প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, অপতথ্য সাধারণ মানুষকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলে। আর সঠিক তথ্য মানুষকে ক্ষমতায়িত করে। এ কারণে সঠিক তথ্য পাওয়া নিশ্চিত করার সঙ্গে সঙ্গে অপতথ্য রোধে কাজ করতে হবে।
তিনি বলেন, তথ্য অধিকার হচ্ছে মানবাধিকার। স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি ছাড়া স্মার্ট সমাজ অসম্ভব, টেকসই উন্নয়ন অসম্ভব। পরিবেশ-প্রতিবেশ মাথায় রেখে সকল মানুষকে অন্তর্ভুক্ত করে একসঙ্গে এগিয়ে যাওয়ার মধ্য দিয়ে প্রকৃত অর্থে টেকসই উন্নয়ন ও স্মার্ট সমাজ তৈরি হবে। একটা অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের দিকে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি বলেই টেকসই উন্নয়নের অভীষ্ট অর্জনে আমরা এগোতে পারছি।
প্রধান তথ্য কমিশনার ডক্টর আবদুল মালেকের সভাপতিত্বে কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য দেন দি কার্টার সেন্টারের চিফ অব পার্টি সুমনা সুলতানা মাহমুদা।
বিষয়ভিত্তিক উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক জোবাইদা নাসরিন।
আরও ছিলেন- সংসদ সদস্য অ্যারোমা দত্ত, ইউএস এইডের অফিস পরিচালক অ্যালেনা তানসে, তথ্য কমিশনার শহীদুল আলম ঝিনুক, তথ্য কমিশনার মাসুদা ভাট্টি এবং তথ্য কমিশনের সচিব জুবাইদা নাসরীন।
পরে প্রতিমন্ত্রী তথ্য কমিশনের তথ্য অধিকার নিউজ লেটার-এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।
৫৬৮ দিন আগে
নাগরিকদের মানবাধিকার রক্ষায় যুক্তরাষ্ট্র-ইউরোপকে আরও কাজ করতে হবে: হাছান মাহমুদ
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপসহ সব দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির উন্নয়নে একযোগে কাজ করা প্রয়োজন।
তিনি বলেন, 'দেখুন, বিশ্বের অনেক দেশের তুলনায় বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি অনেক ভালো। মানবাধিকারের ক্ষেত্রে কোনো দেশই নিখুঁত নয়।’
শুক্রবার (১০ মে) ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
যুক্তরাষ্ট্রে যা ঘটছে তার উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশে বিক্ষোভকারীরা পুলিশি বর্বরতার শিকার হয় না, যেমনটা যুক্তরাষ্ট্রের কলেজ ক্যাম্পাসে ছাত্র বিক্ষোভে পুলিশের ভূমিকা দেখা যায়। সেখানে আড়াই হাজার শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ৫ দেশ সফর নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন
তিনি বলেন, ‘আমরা টেলিভিশনে নৃশংসতা দেখছি, এমনকি শিক্ষকরাও রেহাই পাননি।’বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে এ ধরনের চিত্র দেখা যায় না।
তিনি বলেন, সামরিক শাসন, আইয়ুব খান, ইয়াহিয়া খান, জিয়াউর রহমান ও এইচ এম এরশাদের শাসনামলে এমনটা দেখা গেছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তারা মানবাধিকার ফ্রন্টে উন্নয়ন অংশীদারদের সঙ্গে কাজ করতে চান এবং যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপে মানবাধিকার সুরক্ষিত দেখতে চান।
এর আগে বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাম্পাসে ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভকারীদের ওপর নৃশংসতার কথা উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, হিরো আলমকে বাংলাদেশে ঘুষি মারার পর যারা বিবৃতি দিয়েছিল তাদের নৃশংসতার প্রতিক্রিয়া তিনি জানতে ইচ্ছুক।
তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশে মেয়র প্রার্থীকে ঘুষি মারার জন্য বিবৃতি দেওয়া হয়। হিরো আলমকে ঘুষি মারলে বিবৃতি দেওয়া হয়, চরমোনাই পীরের ভাইকে ঘুষি মারলে বিবৃতিও দেওয়া হয়।’
হাছান মাহমুদ বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে যারা প্রতিবাদ করছেন তাদের কীভাবে নির্মমভাবে দমন করা হচ্ছে তা দেখে তিনি অবাক হয়েছেন।
সম্প্রতি গাম্বিয়ার বানজুলে অনুষ্ঠিত ওআইসি সম্মেলনে অংশগ্রহণকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান অবিলম্বে ফিলিস্তিনে সংঘাত বন্ধ, মানবিক প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করা এবং যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য ইসরায়েলকে জবাবদিহির আওতায় আনার আহ্বান জানান।
'টেকসই উন্নয়নের জন্য সংলাপের মাধ্যমে ঐক্য ও সংহতি জোরদার' শীর্ষক ১৫তম ইসলামিক শীর্ষ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘গাজা সংকট অবসানে আমাদের বহুমুখী আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মে যুক্ত হওয়া উচিত।’
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রে বিক্ষোভ দমনে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার সমালোচনা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
'ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের পরিস্থিতি' তদন্তের জন্য আরও কয়েকটি দেশের সঙ্গে বাংলাদেশও আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতকে (আইসিসি) অনুরোধ করেছে।
এর আগে শনিবার বিকালে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ছয়টি সুনির্দিষ্ট পরামর্শ তুলে ধরে হাছান মাহমুদ বলেন, 'গাজায় চলমান সংঘাতের স্থায়ী অবসান এবং মানুষ যাতে তাদের নিজ ভূমিতে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস শুরু করতে পারে সেজন্য ইসরায়েলের জবাবদিহি ও তাদের শাস্তি বাধ্যতামূলক।’
বাংলাদেশে নতুন মার্কিন রাষ্ট্রদূতের মনোনয়নের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তারা নামটি অনেক আগেই পেয়েছেন।
বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী রাষ্ট্রদূত হিসেবে বেইজিংয়ে ডেপুটি চিফ অব মিশন ডেভিড স্লেটন মিলকে মনোনয়ন দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য এই মনোনয়ন সিনেটে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউস।
ঢাকায় বর্তমান মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের মেয়াদ শিগগিরই শেষ হবে।
উপজেলা পরিষদ নির্বাচন প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিএনপি নির্বাচন বর্জনের ডাক দিলেও ৩৫ শতাংশ ভোট পড়েছে।
তিনি বলেন, ‘এটি ভালো উপস্থিতি। আমি বলব না যে খুব ভালো হয়েছে। কোনো সহিংসতা হয়নি। আশা করছি দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি বাড়বে।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী রাষ্ট্রদূত হতে যাচ্ছেন ডেভিড স্লেটন মিল
৫৮৬ দিন আগে