দক্ষিণ কোরিয়া
বাংলাদেশের সঙ্গে অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তিতে গুরুত্ব দিচ্ছে দক্ষিণ কোরিয়া
বাংলাদেশের সঙ্গে অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তি (ইপিএ) বিষয়ক আলোচনা ত্বরান্বিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়াং-সিক।
তিনি বলেন, এলডিসি থেকে উত্তরণের আগে বাংলাদেশের হাতে খুব বেশি সময় নেই।
তিনি বলেন, ‘২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) মর্যাদা থেকে বাংলাদেশের আসন্ন উত্তরণ এবং পরে জেনারেলাইজড সিস্টেম অব প্রেফারেন্স (জিএসপি) সুবিধা হারানো কোরিয়া-বাংলাদেশ বাণিজ্য ব্যবস্থার জন্য একটি চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করেছে।’
রবিবার সন্ধ্যায় নিজ বাসভবনে কূটনৈতিক সংবাদ প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ কথা বলেন তিনি।
রাষ্ট্রদূত বলেন, এশিয়া প্যাসিফিক ট্রেড এগ্রিমেন্টের (আপটা) কিছু অংশ জিএসপির সঙ্গে যুক্ত এবং বাংলাদেশ যদি এলডিসি স্ট্যাটাস থেকে উত্তরণ করে, তবে আপটার আওতায় কোনো ট্যারিফ সুবিধা না পাওয়ায় কিছু পণ্য শুল্ক পরিশোধ করতে হবে।
কোরিয়ান রাষ্ট্রদূত বলেন, শুধু জিএসপি সুবিধা বাড়ানো দিয়ে সব সমস্যার সমাধান হতে পারে না। উভয় পক্ষকে ইপিএর মাধ্যমে এসব সমস্যার সমাধান করতে হবে।
রাষ্ট্রদূত বলেন, মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির (এফটিএ) বিভিন্ন নাম রয়েছে যেমন ইপিএ বা কম্প্রিহেনসিভ ইকোনমিক পার্টনারশিপ এগ্রিমেন্ট (সিইপিএ)। ‘আমার দৃষ্টিতে, এই ধরনের এফটিএ একই।’
কোরিয়ায় এফটিএ চালুর জন্য জাতীয় সংসদের অনুমোদনসহ অভ্যন্তরীণ প্রক্রিয়া প্রয়োজন উল্লেখ করে তিনি বলেন, অদূর ভবিষ্যতে বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় ইপিএ শুরু হবে বলে আশা করছেন তারা।
রাষ্ট্রদূত পার্ক বলেন, বাংলাদেশ ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে ইপিএ নিয়ে ২০২৩ সালের শুরু থেকেই আলোচনা চলছে তবে বাস্তব কোনো অগ্রগতি হয়নি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ জাপানের সঙ্গে যৌথ গবেষণা শেষ করেছে এবং চীনের সঙ্গে এটি শেষ করার কাছাকাছি পৌঁছেছে এবং ভারতের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা করছে।
এর আগে রাষ্ট্রদূত ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশের (ডিক্যাব) সদস্যদের সঙ্গে এক ইফতার-কাম-নৈশভোজের আয়োজন করেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-ভুটানের মধ্যে তিনটি সমঝোতা স্মারক সই
ডিক্যাব সভাপতি নুরুল ইসলাম হাসিব আন্তঃকোরীয় সম্পর্ক, আঞ্চলিক নিরাপত্তা, অর্থনৈতিক কূটনীতি, সফট পাওয়ার অ্যান্ড কালচার, বৈশ্বিক স্বাস্থ্য ও প্রযুক্তি এবং বহুপাক্ষিক যোগাযোগের মতো আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে দক্ষিণ কোরিয়ার ভূমিকা সম্পর্কে কূটনৈতিক সাংবাদিকদের জানাতে দূতাবাসের সহযোগিতা কামনা করেন।
১৯৭২ সালের ১২ মে কোরিয়া বাংলাদেশকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। ১৯৭৩ সালের ১৮ ডিসেম্বর দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপিত হয়। ২০২৩ সালে তাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি হয়েছে।
ইন্ডাস্ট্রিয়াল রোবোটের হাতে কারখানা শ্রমিকের মৃত্যু
দক্ষিণ কোরিয়ায় একটি সবজি প্যাকেজিং কারখানায় একটি রোবোটের হাতে এক কারখানা শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দেশটির পুলিশ জানিয়েছে, মেশিনটি ঝুঁকিপূর্ণ বা ত্রুটিপূর্ণ ছিল কি না- এ বিষয়ে তারা অনুসন্ধান চালাচ্ছে।
গোসেওং এর দক্ষিণ কাউন্টির পুলিশ জানায়, সোমবার ওই কারখানার একটি মেশিনের রোবোটিক হাত ওই কর্মীকে একটি কনভেয়ের বেল্টের সঙ্গে চেপে ধরে। এতে ওই ব্যক্তির মাথা ও বুকে গুরুতর ক্ষত হয়ে তিনি মারা যান।
পুলিশ নিহতের নাম প্রকাশ করেনি।
তবে পুলিশ জানিয়েছে, ওই কোম্পানিতে কাজের সুবিধার্থে শিল্প রোবট ব্যবহার করে এবং মেশিনটি সঠিকভাবে কাজ করছে কি না তা পরীক্ষা করার জন্য প্ল্যান্টে পাঠানো হয়েছিল।
আরও পড়ুন: দক্ষিণ কোরিয়ায় বারান্দা ধসে নিহত ২, আহত ৮ খেলোয়াড়
মেশিনটি ছিল দুটি পিক-অ্যান্ড-প্লেস রোবটের মধ্যে একটি। এশিয়ার অন্যান্য দেশে রপ্তানি করা বেল মরিচ ও অন্যান্য শাকসবজি প্যাকেজ করে এটি। দক্ষিণ কোরিয়ায় কৃষিখাতে এই জাতীয় মেশিনের ব্যবহার খুবই সাধারণ।
গোসেওং থানার তদন্ত বিভাগের প্রধান কাং জিন-গি বলেছেন, ‘এটি কোনো উন্নত ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন রোবট নয়। এটি শুধু বাক্সগুলো তুলে প্যালেটগুলোতে রাখে।’
তিনি বলেন, মেশিনে প্রযুক্তিগত ত্রুটি বা নিরাপত্তাজনিত সমস্যা আছে কি না- তা নির্ণয় করতে পুলিশ তদন্ত করছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, রোবটের সেন্সরগুলো বাক্স শনাক্ত করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। পুলিশ মানবিক ত্রুটির সম্ভাবনাও খতিয়ে দেখছে।
তিনি বলেন, নিরাপত্তা ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায় লোকটি তার হাতে একটি বাক্স নিয়ে রোবটের কাছাকাছি চলে গিয়েছিল। সম্ভবত তাই মেশিন প্রতিক্রিয়া শুরু করেছিল।
দক্ষিণ কোরিয়ায় সাম্প্রতিক বছরগুলোতে শিল্প রোবটের হাতে বেশ কয়েকটি দুর্ঘটনা ঘটেছে।
গত মার্চ মাসে একটি উৎপাদনকারী রোবট গুনসানের একটি অটো পার্টস কারখানায় মেশিন পরীক্ষা করছিলেন এমন একজন শ্রমিককে পিষ্ট করে গুরুতর আহত করেছিল।
গত বছর একটি পরিবাহক বেল্টের কাছে ইনস্টল করা একটি রোবট পিয়ংটেকের একটি দুধের কারখানায় একজন শ্রমিককে মারাত্মকভাবে পিষ্ট করেছিল।
আরও পড়ুন: দক্ষিণ কোরিয়ার উপকূলীয় বনে আগুন, নিহত ২
দেশীয় ব্র্যান্ডের গাড়ি তৈরিতে দ. কোরিয়ার সহযোগিতা চাইলেন শিল্পমন্ত্রী
দেশের নিজস্ব ব্র্যান্ডের গাড়ি তৈরির বিষয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার সহযোগিতা চেয়েছেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন।
তিনি বলেন, আমরা অবকাঠামোখাতে ব্যাপক উন্নতি করেছি। এখানে বিনিয়োগ করার অনেক ক্ষেত্র রয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ার বিনিয়োগকারীরা এ সুযোগ নিতে পারে। আমরা নিজস্ব ব্র্যান্ডের গাড়ি তৈরির চেষ্টা করছি। এ বিষয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার কাছ থেকে আমরা সহযোগিতা প্রত্যাশা করি।
বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর শিল্প মন্ত্রণালয়ে মন্ত্রীর কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে যান বাংলাদেশে নিযুক্ত দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়ং সিক। এ সময় শিল্পমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত এ ব্যাপারে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে বলেন, বঙ্গবন্ধু হাইটেক পার্কে হুন্দাই গাড়ি উৎপাদন শুরু হয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ার আরেক বিখ্যাত কোম্পানি কিয়া বাংলাদেশে কার্যক্রম শুরু করতে আগ্রহী।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা ইস্যুতে ৪০ লাখ ডলার সহায়তা দেবে দক্ষিণ কোরিয়া
বাংলাদেশের ২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের বিষয় উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত বলেন, স্থানীয়ভাবে বড় বড় শিল্প কারখানা স্থাপনে জোর দেওয়া প্রয়োজন। এ ব্যাপারে দক্ষিণ কোরিয়া সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।
তিনি আরও বলেন, শ্রমশক্তি হিসেবে যারা দক্ষিণ কোরিয়ায় যায়, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তারা ভাষা দক্ষতায় দুর্বল। কাজেই জনবল পাঠানোর সময় তাদের কারিগরি দক্ষতার পাশাপাশি ভাষাগত দক্ষতা অর্জন করাও জরুরি।
রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশে কর্মরত কোরিয়ান ব্যবসায়ী, উদ্যোক্তা ও টেকনিশিয়ান বা কর্মীদের ভিসা জটিলতার কারণে বিভিন্ন সমস্যা মোকাবিলা করতে হয়। তারা যদি তিন মাসের পরিবর্তে দীর্ঘমেয়াদি ভিসা পায়, তাহলে তাদের কার্যক্রম চালানো আরও সহজ হবে। এ ব্যাপারে রাষ্ট্রদূত শিল্পমন্ত্রীর সহযোগিতা কামনা করেন।
শিল্পমন্ত্রী এ ব্যাপারে স্বরাষ্টমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলা এবং প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করার বিষয়ে রাষ্ট্রদূতকে আশ্বস্ত করেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম বন্দরে নামল দ. কোরিয়া থেকে আসা রেলকোচের মিটারগেজ চালান
মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন একমাত্র সমাধান: দ. কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত
ফের ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়ে বিরোধীদের উদ্দেশে হুঁশিয়ারি উ. কোরিয়ার
পূর্বদিকের জলসীমা অভিমুখে ফের একটি দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়েছে উত্তর কোরিয়া। বুধবার দেশটির প্রতিবেশি দক্ষিণ কোরিয়া এ তথ্য জানায়।
এর আগে গত দুদিন আগে উত্তর কোরিয়া এক হুঁশিয়ারি দিয়ে জানায়, তার দেশের সীমান্তের কাছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উসকানিমূলক গোয়েন্দা কর্মকাণ্ডের জন্য ‘চরম’ মূল্য দিতে হবে।
দ.কোরিয়ার জয়েন্ট চিফ অব স্টাফ এক বিবৃতিতে বলেছে, আজ সকাল ১০টায় সামরিক বাহিনী উত্তরের রাজধানী অঞ্চল থেকে একটি দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ শনাক্ত করেছে।
তিনি আরও বলেন, মার্কিন বাহিনীর সঙ্গে মিলে দ. কোরিয়ার সামরিক বাহিনী নজরদারি বাড়িয়েছে এবং যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় তারা তৎপর রয়েছে।
জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইয়াসুকাজু হামাদা সাংবাদিকদের বলেছেন, উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্রটি অনেক উঁচু দিয়ে কোণ বরাবর জাপান সাগরে ছোঁড়া হয়েছে। দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের সময় প্রতিবেশী দেশগুলোকে এড়াতে উ. কোরিয়া এই কৌশল ব্যবহার করে।
হামাদা বলেন, ক্ষেপণাস্ত্রটি জাপানের একচ্ছত্র অর্থনৈতিক অঞ্চলের বাইরে কোরিয়ান উপদ্বীপের উপকূলের প্রায় ৫৫০ কিলোমিটার পূর্বে সমুদ্রে পড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
২০১৭ সাল থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মূল ভূখণ্ডকে লক্ষ্য করে উ. কোরিয়া দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি চালাচ্ছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শহরগুলোতে আঘাত হানতে সক্ষম পারমাণবিক অস্ত্র উদ্ভাবনের অংশ হিসেবে বেশ কয়েকটি আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করেছে উত্তর কোরিয়া।
আরও পড়ুন: আবারও ব্যালিস্টিক মিসাইল নিক্ষেপ করল উত্তর কোরিয়া
বুধবারের উৎক্ষেপণের আগে, গত এপ্রিল মাসে উত্তর কোরিয়া তার সর্বশেষ দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করেছিল।
চলতি সপ্তাহের শুরুতে তাদের ব্যাপারে গুপ্তচরবৃত্তি করতে একটি মার্কিন সামরিক বিমান উড়ানোর অভিযোগে একাধিক বিবৃতি দেয় উ. কোরিয়া।
এর প্রায় একমাস পর বুধবার দুরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রটি নিক্ষেপ করে উ. কোরিয়া।
যদিও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়া বরাবরই উত্তরের এসব অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে এবং সংঘাত সৃষ্টি করে এমন কোনো কাজ বা বাগাড়ম্বর থেকে উ. কোরিয়াকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছে।
গত সোমবার রাতে এক বিবৃতিতে উ. কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং উনের বোন কিম ইয়ো জং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করেছিলেন।
এসময় তিনি দাবি করেছিলেন, মার্কিন গুপ্তচর বিমানটি উত্তর কোরিয়ার পূর্বাঞ্চলে আটবার প্রদক্ষিণ করেছে।
মঙ্গলবার আরেক বিবৃতিতে কিম ইয়ো জং বলেছেন, মার্কিন সামরিক বাহিনী যদি তার দেশের আকাশপথে অবৈধ গুপ্তচরবৃত্তি কার্যক্রম চালিয়ে যায়, তবে তারা ‘চরম ফল’ ভোগ করবে।
এছাড়াও উ. কোরিয়ার সামরিক বাহিনীও মার্কিন গুপ্তচর বিমানগুলোকে গুলি করে ভূপাতিত করার হুমকি দিয়েছে।
আরও পড়ুন: উত্তর কোরিয়ার দূরপাল্লার মিসাইল পরীক্ষা
করোনাভাইরাস: উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ, সমালোচনায় দ. কোরিয়া
উ. কোরিয়ার ড্রোন সীমান্ত অতিক্রমের পর দ. কোরিয়ার সতর্কীকরণ গুলি
উত্তর কোরিয়ার ড্রোন সীমান্ত অতিক্রম করে দক্ষিণ কোরিয়ার আকাশসীমায় প্রবেশ করায় সেগুলোকে তাড়াতে সতর্কীকরণ গুলি চালিয়েছে দেশটির সামরিক বাহিনী।
সোমবার এই ঘটনা ঘটেছে বলে জানায় দক্ষিণ কোরিয়ার কর্মকর্তারা।
দক্ষিণ কোরিয়ার কর্মকর্তারা বলেছেন, উত্তর তার সর্বশেষ পরীক্ষার কার্যক্রমে দুটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র চালু করার কয়েকদিন পরে এই ঘটনা ঘটলো।
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সোমবার সকালে উত্তর কোরিয়ার বেশ কয়েকটি ড্রোন আন্ত-কোরিয়ান সীমান্ত অতিক্রম করলে দক্ষিণের ভূখণ্ডে তা সনাক্ত করা হয়।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, উত্তর কোরিয়ার ড্রোনগুলোকে গুলি করতে ফাইটার জেট এবং অ্যাটাক হেলিকপ্টার চালু করার আগে দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী সতর্কবার্তা সম্প্রচার করেছে এবং সতর্কীকরণ গুলি করেছে।
তবে গুলি করে ড্রোনগুলো ভূপাতিত করা হয়েছে কিনা তা তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।
প্রথমবারের মতো ২০১৭ সালে উত্তর কোরিয়ার ড্রোন দক্ষিণ কোরিয়ার আকাশসীমায় প্রবেশ করেছিল, যখন একটি সন্দেহভাজন উত্তর কোরিয়ার ড্রোন দক্ষিণ কোরিয়ায় বিধ্বস্ত হয়। দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক কর্মকর্তারা তখন বলেছিলেন যে ড্রোনটি দক্ষিণ কোরিয়ায় মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার ছবি তুলেছে।
এর আগে উত্তর কোরিয়া তাদের ড্রোন কর্মসূচির কথা বলেছে এবং দক্ষিণ কোরিয়ার কর্মকর্তারা বলেছেন উত্তরের কাছে প্রায় ৩০০টি ড্রোন রয়েছে। ২০১৪ সালে সীমান্তের দক্ষিণে বেশ কয়েকটি সন্দেহভাজন উত্তর কোরিয়ার ড্রোন পাওয়া গেছে।
বিশেষজ্ঞরা বলেছিলেন যে ড্রোনগুলো কম প্রযুক্তির কিন্তু একটি সম্ভাব্য নিরাপত্তা হুমকি হিসাবে বিবেচিত হতে পারে।
আরও পড়ুন:তাইওয়ানের পর দ. কোরিয়া গেলেন পেলোসি
দক্ষিণ কোরিয়ার জয়েন্ট চিফস অফ স্টাফের মতে, গত শুক্রবার উত্তর কোরিয়া তার পূর্ব জলসীমার দিকে দুটি স্বল্প-পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। উৎক্ষেপণটিকে দক্ষিণ কোরিয়া-মার্কিন যৌথ বিমান মহড়ার প্রতিবাদ হিসেবে দেখা হয়েছিল যেটিকে উত্তর কোরিয়া আক্রমণের মহড়া হিসেবে দেখে।
অনেক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ বছর উত্তর কোরিয়া একটি অভূতপূর্ব সংখ্যক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা পরিচালনা করেছে যা তাদের অস্ত্র উন্নত করার প্রচেষ্টা এবং ভবিষ্যতে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার প্রতিদ্বন্দ্বীদের জন্য চাপ দেয়ার প্রচেষ্টা বলে অভিহিত করছে।
সম্প্রতি, উত্তর তার প্রথম গুপ্তচর উপগ্রহ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মূল ভূখণ্ডে পৌঁছাতে সক্ষম আরও মোবাইল আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র সক্ষমতা অর্জনের জন্য প্রয়োজনীয় বড় পরীক্ষাগুলো চালিয়েছে বলে দাবি করেছে।
আরও পড়ুন: মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন একমাত্র সমাধান: দ. কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত
ব্রাজিল বনাম দক্ষিণ কোরিয়া লাইভ স্ট্রিমিং: কোথায় দেখবেন ফিফা ফুটবল বিশ্বকাপ কাতার ২০২২, সম্ভাব্য একাদশ
ফিফা ফুটবল বিশ্বকাপে (FIFA World Cup 2022) আজ রাতে মুখোমুখি হতে চলেছে ব্রাজিল বনাম দক্ষিণ কোরিয়া (Brazil vs South Korea)।
কাতার বিশ্বকাপে চলছে নকআউট পর্ব। এখান থেকে ভুলের কোনও সুযোগ নেই। পা হড়কালেই টুর্নামেন্ট থেকে বিদায়। ইতোমধ্যে শেষ আটে পৌঁছে গিয়েছে নেদারল্যান্ডস, আর্জেন্টিনা ও ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স। বাকি দলগুলোর মধ্যে কোন পাঁচটি দল কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছাবে তা নির্ধারণ হয়ে যাবে ৭ ডিসেম্বরের মধ্যে। সোমবার ফের মাঠে নামছে ব্রাজিল। কোচ তিতে জানিয়ে দিয়েছেন, গোড়ালির চোট সারিয়ে সুস্থ হয়ে উঠেছেন নেইমার জুনিয়র। নকআউট ম্যাচে প্রতিপক্ষ দক্ষিণ কোরিয়ার বিরুদ্ধে খেলবেন তিনি। সন হিউং মিনরাও তৈরি সেলেকাওদের হেক্সার স্বপ্ন ভাসিয়ে দিতে। কোথায়, কবে, কীভাবে দেখবেন এই ম্যাচ।
বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে মুখোমুখি হচ্ছে ব্রাজিল ও দক্ষিণ কোরিয়া। সেলেসাওদের ফেবারিট মানলেও চমকের অপেক্ষায় থেগোক যোদ্ধারা। নাইন সেভেন ফোর স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় সোমবার (৫ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ১টায় মাঠে গড়াবে শেষ আটে উঠার এ লড়াই।
ফিফা ফুটবল বিশ্বকাপ লাইভ: কিভাবে দেখবেন ব্রাজিল বনাম দক্ষিণ কোরিয়া ম্যাচ সরাসরি
বাংলাদেশ থেকে ফিফা ফুটবল বিশ্বকাপ ২০২২ দেখা যাবে টিভিতে, অনলাইনে ও ধারাভাষ্য শোনা যাবে রেডিওতে ও ইউটিউব চ্যানেলেও। চলুন জেনে নেয়া যাক উল্লেখিত মাধ্যমগুলো থেকে কিভাবে খেলার খবর রাখবেন।
কোথায় দেখা যাবে কাতার বিশ্বকাপে ব্রাজিল বনাম দক্ষিণ কোরিয়া ম্যাচটির লাইভ স্ট্রিমিং?
কাতার বিশ্বকাপে ব্রাজিল বনাম দক্ষিণ কোরিয়া লাইভ ম্যাচটির লাইভ স্ট্রিমিং (Live streaming) দেখা যাবে টিভিতে স্পোর্টস ১৮ এবং স্পোর্টস ১৮ এইচডি চ্যানেলে। এ ছাড়া কাতার বিশ্বকাপের ম্যাচগুলোর লাইভ স্ট্রিমিং দেখা যাবে জিও সিনেমা অ্যাপ্লিকেশনে।
ফিফা ফুটবল বিশ্বকাপ কাতার: ব্রাজিল বনাম দক্ষিণ কোরিয়া ম্যাচ কোন চ্যানেলে দেখা যাবে?
টফি অ্যাপে লাইভ ব্রাজিল বনাম দক্ষিণ কোরিয়া বিশ্বকাপ
ফিফা ওয়ার্ল্ড কাপ কাতার ২০২২ এর লাইসেন্সড মোবাইল ব্রডকাস্টার হিসেবে স্বত্ব পেয়েছে বাংলালিংকের টফি অ্যাপ। কে স্পোর্টস এর সঙ্গে সাব-লাইসেন্সিং অ্যাগ্রিমেন্ট এর মাধ্যমে এই সুবিধা নিজেদের করে নিয়েছে বাংলালিংক।
সুতরাং, টফি অ্যাপ এবং টফি ওয়েবসাইটে বিশ্বকাপ ফুটবল লাইভ দেখতে পারবেন। সবচেয়ে মজার ব্যাপার হচ্ছে টফিতে ফুটবল বিশ্বকাপ লাইভ বিনামূল্যে দেখতে পারবেন।
Toffee App লিখে গুগুল প্লে স্টোরের সার্চ করুন।
তারপর Toffee App Install করুন।
তারপর Open করুন।
তারপর Fifa live নামে অনেকগুলো বাটন দেখবেন।
আপনি প্রথমটিতে ক্লিক করলে ব্রাজিল বনাম দক্ষিণ কোরিয়া লাইভ খেলা দেখতে পারবেন।
আরও পড়ুন: ফিফা বিশ্বকাপ কাতার ২০২২: ভিনসেন্টের শেষ মুহূর্তের গোলে ব্রাজিলের পরাজয়
Sportzfy অ্যাপে নকআউট পর্বে ব্রাজিল বনাম দক্ষিণ কোরিয়া লাইভ খেলা।
Sportzfy app এ ব্রাজিল বনাম দক্ষিণ কোরিয়া রাউন্ড অব সিক্সটিন লাইভ দেখা যাবে। চিন্তার কারণ নেই। Sportzfy app গুগুল প্লেতে পাওয়া যায়। আপনি অ্যাপটি ডাউনলোড করে ওপেন করলে রাউন্ড অফ সিক্সটিন এর দক্ষিণ কোরিয়া ও ব্রাজিলের লাইভ খেলা দেখতে পারবেন।
বাংলাদেশ থেকে ফিফা ফুটবল বিশ্বকাপ ব্রাজিল বনাম দক্ষিণ কোরিয়া ম্যাচ দেখা যাবে টি স্পোর্টস চ্যানেল থেকে। গাজী টিভিও (জিটিভি) ফুটবল বিশ্বকাপ সরাসরি সম্প্রচার করবে। এছাড়া রাষ্ট্রয়াত্ত টেলিভিশন চ্যানেল বিটিভি ফুটবল বিশ্বকাপ সরাসরি সম্প্রচার করছে।
এছাড়া বিভিন্ন ফেইসবুক পেইজ ও ইউটিউব চ্যানেলেও দেখা যাবে লাইভ ফিফা ওয়ার্ল্ড কাপ ব্রাজিল বনাম দক্ষিণ কোরিয়া ম্যাচ।
টিভিতে ব্রাজিল বনাম দক্ষিণ কোরিয়া লাইভ খেলা (Brazil vs South Korea Live on TV)
বাংলাদেশ: BTV, Gazi TV, T-Sports
ভারত: Sports18, Sports18 HD, Sony TV Networks
পাকিস্তান: ARY Digital Network
নেপাল: Media Hub Private Limited
ব্রাজিল বনাম দক্ষিণ কোরিয়া ম্যাচ কোথায় খেলা হবে?
কাতার বিশ্বকাপ ২০২২, ব্রাজিল বনাম দক্ষিণ কোরিয়া স্টেডিয়াম ৯৭৪ এ বাংলাদেশ সময় রাত ১টায় একে অপরের মুখোমুখি হবে ব্রাজিল-দক্ষিণ কোরিয়া। এই ম্যাচ জিতলেই টানা ৭ আসরে গ্রুপ পর্বে কোনো ম্যাচ না হারার কীর্তি গড়বে ব্রাজিল।
ব্রাজিল বনাম দক্ষিণ কোরিয়া খেলা কখন?
ফুটবল বিশ্বকাপের নকআউটে ব্রাজিল বনাম দক্ষিণ কোরিয়া ম্যাচটি রয়েছে সোমবার মধ্যরাত (৬ ডিসেম্বর)।
আরও পড়ুন: ভ্যান গালের নেতৃত্বে নেদারল্যান্ডস বিশ্বকাপে এগিয়ে যাওয়ার উপক্রম
কাতার বিশ্বকাপে ব্রাজিল বনাম দক্ষিণ কোরিয়া ম্যাচটি কোথায় হবে?
কাতার বিশ্বকাপে ব্রাজিল বনাম দক্ষিণ কোরিয়া ম্যাচটি স্টেডিয়াম ৯৭৪-এ হবে।
কাতার বিশ্বকাপে ব্রাজিল বনাম দক্ষিণ কোরিয়া ম্যাচটি কখন শুরু হবে?
কাতার বিশ্বকাপে ব্রাজিল বনাম দক্ষিণ কোরিয়া ম্যাচটি শুরু হবে রাত ১২.৩০ মিনিটে।
বিশ্বকাপের জন্য ব্রাজিল বনাম দক্ষিণ কোরিয়া সম্ভাব্য একাদশ–
ব্রাজিল: ব্রাজিল: (৪-২-৩-১): এডারসন (গোলরক্ষক), তেলেস, ব্রেমার, আলভেস, মিলিতাও, গুইমারেস, ফ্যাবিনহো/নেইমার, মার্তিনেল্লি, রদ্রিগো, অ্যান্তোনি, জেসুস
দক্ষিণ কোরিয়া: (৪-৩-৩) কিম (গোলরক্ষক), মুন-হোয়ান, মিন জায়ে, ইয়ং-গুওন, জিন-সু, হোয়াং, জুং, না, লি, সন, হোয়াং
আরও পড়ুন: লিওনেল মেসি: দুনিয়া কাঁপানো ফুটবলার হয়ে উঠার সচিত্র গল্প
ব্রাজিল বনাম দক্ষিণ কোরিয়া মুখোমুখি পরিসংখ্যান
ব্রাজিল ও দক্ষিণ কোরিয়া এখন পর্যন্ত মুখোমুখি হয়েছে ৭ ম্যাচে। যেখানে আধিপত্য পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ব্রাজিলের। সাত ম্যাচের মধ্যে ৬টিতেই জিতেছে হলুদ শিবির। দক্ষিণ কোরিয়ার জয় এক ম্যাচে।
বিশ্বকাপে এখনও ব্রাজিল-দক্ষিণ কোরিয়ার কোনো ম্যাচ হয়নি, ৬টিই ছিল প্রীতি ম্যাচ। এর মধ্যে শেষ চার দেখায়ই ব্রাজিলের কাছে একাধিক গোলে হেরেছে কোরিয়া। শেষ চার ম্যাচে সন হিয়ং মিনের দলকে তারা দিয়েছে ১৩ গোল। সব মিলিয়ে ৭ ম্যাচে দক্ষিণ কোরিয়ার ৫ গোলের বিপরীতে ব্রাজিল দিয়েছে ১৬ গোল।
ঢাকায় দক্ষিণ কোরিয়ার ড্রোন রোড শো বুধবার
ঢাকায় বাংলাদেশ-কোরিয়া ড্রোন রোড শো আয়োজন করছে কোরিয়ান দূতাবাস। বুধবার দেশটির বাংলাদেশের দূতাবাসের আয়োজিত হোটেল শেরাটনে ইউএভি এবং সফ্টওয়্যার সম্পর্কিত সমাধানের ওপর অর্ধ-দিনের এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন আইসিটি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশে দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত লি জ্যাং-কিউন।
এই ইভেন্টটি কোরিয়া ও বাংলাদেশের মধ্যে বিশেষ করে উদ্ভাবনী প্রযুক্তির ক্ষেত্রে সহযোগিতার নতুন সুযোগ সৃষ্টিতে কোরিয়াকে চালিত করবে।
ভূমি, অবকাঠামো ও পরিবহন মন্ত্রণালয় (এমওএলআইটি) এবং কোরিয়ান নেতৃস্থানীয় ইউএভি প্রযুক্তি কোম্পানি কোরিয়া ইন্সটিটিউট অফ এভিয়েশন সেফটি টেকনোলজি (কেআইএএসটি) এবং স্থানীয় বেসরকারি ও সরকারি সংস্থার প্রতিনিধিরা এই ইভেন্টে অংশগ্রহন করবে।
আরও পড়ুন: শিশু ধর্ষণকারীকে মুক্তি দেয়ায় দক্ষিণ কোরিয়ায় বিক্ষোভ, ডিম নিক্ষেপ
দূতাবাস বাংলাদেশে এই সুযোগের ব্যাখ্যা করে রাষ্ট্রদূত লি জোর দিয়ে বলেন, ‘ড্রোনগুলো বিভিন্ন উন্নত প্রযুক্তি যেমন এভিয়েশন, আইসিটি, সফ্টওয়্যার এবং সেন্সরগুলোর সঙ্গে একত্রিত হয়, যা বাংলাদেশের উদ্ভাবনী বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।’
তিনি ব্যাখ্যা করেন যে এই ড্রোন শো-এর প্রধান উদ্দেশ্য হলো ড্রোন প্রযুক্তির গুরুত্ব ও বৈচিত্র্যময় ব্যবহারের প্রতি বাংলাদেশ সরকার এবং ব্যবসায়িক খাতের দৃষ্টি আকর্ষণ করা।
রোডশোর হাইলাইটগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের সরকারি কর্তৃপক্ষের উপস্থাপনা এবং কোরিয়ান কোম্পানিগুলোর পণ্য-নির্দিষ্ট উপস্থাপনাগুলোর একটি সিরিজ অন্তর্ভুক্ত থাকবে। যাতে তারা এই ক্ষেত্রে কীভাবে নেতৃত্ব দিচ্ছে এবং কোরিয়া যে সমাধানগুলো অফার করতে পারে তার কিছু ব্যাখ্যা করে।
অনুষ্ঠানটি প্রদর্শনী এবং ব্যবসায়িক পরামর্শের মাধ্যমে দুই দেশের ব্যবসায়িক খাতের নেটওয়ার্ক এবং যোগাযোগ স্থাপনের জন্য উপলক্ষও অফার করবে।
আরও পড়ুন:ফের দক্ষিণ কোরিয়ার ভিসার জন্য আবেদন চালু
সিউলে ‘জাতীয় সংবিধান দিবস’ উদযাপিত
দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলে যথাযোগ্য মর্যাদায় ‘জাতীয় সংবিধান দিবস’ উদযাপিত হয়েছে। সিউলের স্থানীয় সময় শুক্রবার সিউলের বাংলাদেশ দূতাবাস দিবসটি উদযাপন করে।
অনুষ্ঠানে দূতাবাসের কর্মকর্তা ও কোরিয়া প্রজাতন্ত্রে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা অংশগ্রহণ করেন।
এ উপলক্ষে দূতাবাসের কর্মকর্তারা রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন।
আরও পড়ুন: বর্তমান ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতি ঢাকা-সিউলের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরির সুযোগ বাড়িয়েছে: রাষ্ট্রদূত
এরপর ‘জাতীয় সংবিধান দিবস’-এর তাৎপর্য নিয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনায় অংশ নেন দক্ষিণ কোরিয়ায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত দেলোয়ার হোসেন ও দূতাবাসের কর্মকর্তারা।
বক্তারা ‘জাতীয় সংবিধান দিবস’-এর তাৎপর্য তুলে ধরেন এবং গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় জাতীয় সংবিধানের মর্যাদা সমুন্নত রাখার দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
আরও পড়ুন: সিউলে হ্যালোইন উৎসবে প্রাণহানিতে বিশ্ব নেতাদের শোক
সিউলে হ্যালোইন উৎসবে পদদলিত হয়ে নিহত অন্তত ১৫১
সিউলে হ্যালোইন উৎসবে পদদলিত হয়ে নিহত অন্তত ১৫১
দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানীতে হ্যালোইন উৎসবে পদদলিত হয়ে অন্তত ১৫১ জন নিহত হয়েছেন। আরও ৮২ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। ঘটনাটিকে দেশটির এ বছরের সবচেয়ে খারাপ বিপর্যয় হিসেবে উল্লেখ কড়া হয়েছে।
রাজধানী সিউলে উৎসব উদযাপনকারীদের বেশিরভাগ তরুণ-তরুণী। যারা এক সরু গলিতে ভিড়ের মধ্যে আটকা পড়ে এবং পদদলিত হয়।
জরুরি কর্মী ও পথচারীরা শনিবার রাতে রাজধানীর নাইটলাইফ জেলার ইটাওয়ানে পদদলিত হওয়ার পরে সড়কে পড়ে থাকা মানুষদের মরিয়া হয়ে সিপিআর (হৃদযন্ত্র ও শ্বাসযন্ত্র চালু রাখার প্রাথমিক চিকিৎসা) দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ইন্দোনেশিয়ায় ফুটবল খেলা নিয়ে সংঘর্ষ: পদদলিত হয়ে নিহত বেড়ে ১৭৪
সিউলের ইয়ংসান দমকল বিভাগের প্রধান চোই সিওং-বিওম অনুসারে, নিহত বা আহতদের বেশিরভাগই তরুণ, যাদের বয়স ২০ বছরের কাছাকাছি। তিনি বলেন, নিহতদের মধ্যে ১৯ জন বিদেশী, যাদের জাতীয়তা তাৎক্ষনিকভাবে প্রকাশ করা হয়নি। আহতদের মধ্যে ১৯ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
মহামারিতে সমাবেশে কঠোর নিয়ম জারি করার পর এই প্রথম আনুমানিক এক লাখ মানুষ দেশের সবচেয়ে বড় হ্যালোইন উৎসবে খোলা আকাশের নিচে ইতায়্যুনে জড়ো হয়। দক্ষিণ কোরিয়ার সরকার সাম্প্রতিক মাসগুলোতে কোভিড-১৯ বিধিনিষেধ শিথিল করেছে এবং এটিই ছিল তরুণদের জন্য ঘরের বাইরে উৎসব উদযাপনের প্রথম বড় সুযোগ।
আরও পড়ুন: নাইজেরিয়ায় পদদলিত হয়ে শিশুসহ নিহত ৩১
ভারতে মন্দিরে পদদলিত হয়ে নিহত ৩
তাইওয়ানের পর দ. কোরিয়া গেলেন পেলোসি
দক্ষিণ কোরিয়ায় সফররত মার্কিন হাউসের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি বৃহস্পতিবার দেশটির শীর্ষস্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের সাথে সাক্ষাত করবেন।
এর আগে চীনের অব্যাহত হুঁশিয়ারি সত্ত্বেও তাইওয়ান সফর শেষ করে পেলোসি এবং কংগ্রেসের অন্যান্য সদস্যরা বুধবার সন্ধ্যায় দক্ষিণ কোরিয়ায় পৌঁছান। সেখান থেকে তারা জাপান সফরে যাবেন। এশিয়া সফরের অংশ হিসেবে এর আগে পেলোসি সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়া যান।
বৃহস্পতিবার পেলোসি দক্ষিণ কোরিয়ার জাতীয় পরিষদের স্পিকার কিম জিন পিয়ো এবং পার্লামেন্টের অন্যান্য সিনিয়র সদস্যদের সাথে দেখা করবেন। এসময় তাদের মধ্যে আঞ্চলিক নিরাপত্তা, অর্থনৈতিক সহযোগিতা এবং জলবায়ু বিষয়ক আলোচনা প্রধান্য পাবে বলে জানা গেছে।
একজন দক্ষিণ কোরিয়ার কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, একই দিন পেলোসির একটি আন্তঃকোরিয়ান সীমান্ত এলাকা পরিদর্শন করার কথা রয়েছে যা যৌথভাবে আমেরিকান নেতৃত্বাধীন জাতিসংঘ কমান্ড এবং উত্তর কোরিয়া দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়।
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কার্যালায় জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার বিকালে দেশটির প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলের সাথে ফোনে কথা বলবেন পেলোসি। তাদের মধ্যে সরাসরি কোনো বৈঠকের আয়োজন করা হয়নি।
বুধবার উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পেলোসির তাইওয়ান সফর নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিন্দা করে জানিয়েছে, ‘বর্তমান পরিস্থিতি স্পষ্টভাবে প্রমাণ করে যে অন্যান্য দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নির্লজ্জ হস্তক্ষেপ।’
এর আগে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট ও অন্যান্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পর বুধবার মার্কিন হাউস স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি দেশটি ত্যাগ করেছেন। পেলোসির এই সফর নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে উত্তেজনা চরমে উঠেছে।
তাইওয়ানে পেলোসির আগমনের পর সামরিক মহড়া দিয়েছে চীন এবং তার এই সফর তাদের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘনে উসকানি বলে অভিহিত করেছে চীন।
পড়ুন: তাইওয়ান ছাড়লেন ন্যান্সি পেলোসি
তাইওয়ানকে কখনো ছুড়ে ফেলবে না যুক্তরাষ্ট্র: পেলোসি