দক্ষিণ কোরিয়া
পাট মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার সঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিনিধিদলের সাক্ষাৎ
বস্ত্র ও পাট এবং নৌপরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) ড. এম সাখাওয়াত হোসেনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন দক্ষিণ কোরিয়ার বিনিয়োগকারী প্রতিনিধিদল।
সোমবার (২৮ অক্টোবর) বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ে উপদেষ্টার কার্যালয়ে এ সাক্ষাৎ করেন তারা।
আরও পড়ুন: ৩২ উপজেলায় ফায়ার সার্ভিস স্টেশন নেই: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
এসময় বস্ত্র ও পাট এবং জাহাজ শিল্পে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশ-দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। কোরিয়া এদেশের অন্যতম উন্নয়ন অংশীদার। কোরিয়ার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একাধিক প্রকল্প মন্ত্রণালয়ে চলমান আছে। এছাড়া দেশে বিভিন্ন খাতে কোরিয়ার অনেক মানুষ কাজ করছেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে বিনিয়োগের জন্য এখন নিরাপদ। আমরা পিপিপি ও দীর্ঘমেয়াদি লিজের মাধ্যমে বন্ধ হয়ে থাকা মিলগুলোকে উৎপাদনে নিতে চাচ্ছি। প্রাণ গ্রুপকে লিজের মাধ্যমে দুটি মিল হস্তান্তর করেছি।
উপদেষ্টা বলেন, প্রাথমিকভাবে ৩০ বছরের জন্য দিলেও পরে সময়সীমা বৃদ্ধি করার সুযোগ থাকে। প্রতিটা মিলের যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো। বিনিয়োগকারীর জন্য লিজ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণের প্রক্রিয়া উন্মুক্ত।
তিনি বলেন, নৌখাতে বিশেষ করে ডকইয়ার্ড ও জাহাজ নির্মাণ শিল্পে অপার সম্ভাবনা আছে। পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) বা যৌথ উদ্যোগ নেওয়ার মাধ্যমে এখানে বিনিয়োগ করার সুযোগ রয়েছে।
কোরিয়ার বিনিয়োগকারী প্রতিনিধিদল বাংলাদেশের উন্নয়নের প্রশংসা করে জানায়, কোরিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্যিক সুসম্পর্ক রয়েছে। কোরিয়া বাংলাদেশের অন্যতম পাট আমদানিকারক দেশ।
প্রতিনিধিদল খুলনাতে অবস্থিত মিল সরাসরি পরিদর্শনের আগ্রহ জানায় এবং এ ব্যাপারে মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতার কথা বলেন।
এসময় বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আব্দুর রউফ, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব দেলোয়ারা বেগম উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: গণভবনে দ্রুত জাদুঘর নির্মাণ করতে উপদেষ্টাদের নির্দেশ দিলেন অধ্যাপক ইউনূস
৩ সপ্তাহ আগে
উত্তর কোরিয়ার হাইপারসনিক মিসাইল বিস্ফোরণের সন্দেহ দক্ষিণ কোরিয়ার
দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের ত্রিদেশীয় সামরিক মহড়া প্রস্তুতির আগে উত্তর কোরিয়ায় একটি হাইপারসনিক মিসাইল বিস্ফোরিত হয়েছে বলে সন্দেহ প্রকাশ করেছে দক্ষিণ কোরিয়া।
বুধবার (২৬ জুন) মিসাইলটি উৎক্ষেপণের সময় বিস্ফোরিত হয় বলে জানিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী।
দক্ষিণ কোরিয়ার জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ এক বিজ্ঞপ্তিতে বলেছেন, বুধবার স্থানীয় সময় ভোর সাড়ে ৫টার দিকে উত্তর কোরিয়ার রাজধানী এলাকা থেকে একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করা হয়। মিসাইলটি উত্তর-পূর্ব জলসীমার দিকে নিক্ষেপ করা হয়েছিল, তবে উৎক্ষেপণের পরপরই তা বিস্ফোরিত হয়।
তিনি বলেন, ক্ষেপণাস্ত্রটি উত্তর-পূর্ব উপকূলীয় ওনসান শহরের পানির ওপর দিয়ে উড়ে যাওয়ার সময় বিস্ফোরিত হয়। উৎক্ষেপণের স্থান থেকে ২৫০ কিলোমিটার দূরে সমুদ্রের পানিতে ক্ষেপণাস্ত্রের টুকরোগুলো ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল।
তবে তাৎক্ষণিকভাবে এ ঘটনায় কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর দিতে পারেননি তিনি।
আরও পড়ুন: ফের ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়ে বিরোধীদের উদ্দেশে হুঁশিয়ারি উ. কোরিয়ার
তার সন্দেহ, ক্ষেপণাস্ত্রটি একটি পূর্ণ-জ্বালানির হাইপারসনিক মিসাইল। ইঞ্জিনের ত্রুটির কারণেই সেটি সাধারণ উৎক্ষেপণের চেয়ে বেশি পরিমাণে ধোঁয়া ছড়ায়।
এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ইন্দো-প্যাসিফিক কমান্ড বলেছে, মার্কিন অঞ্চল বা তার মিত্রদের জন্য তাৎক্ষণিকভাবে হুমকি সৃষ্টি না করলেও উত্তর কোরিয়ার এমন কর্মকাণ্ডের নিন্দা জানায় যুক্তরাষ্ট্র।
দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানের প্রতিরক্ষায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতি অটল বলেও এসময় জানানো হয়।
বুধবার উত্তর কোরিয়ার এই ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ও শনাক্ত করেছে বলে জানিয়েছে।
৪ মাস আগে
দক্ষিণ কোরিয়ায় একটি ৪.৮ মাত্রার ভূমিকম্প
দক্ষিণ কোরিয়ায় ৪.৮ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। ভূমিকম্পে দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের বেশকিছু বাড়িঘরে ফাটল দেখা দিলেও কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
স্থানীয় সময় বুধবার (১২ জুন) দেশটির দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের একটি জেলে পাড়ার ওপর ভুমিকম্পের প্রভাব পড়ে।
উত্তর জিওলা প্রদেশের ফায়ার ডিপার্টমেন্টের কর্মকর্তা জো ইউ-জিন বলেন, (ভূমিকম্পের পর) স্থানীয়দের কাছ থেকে প্রায় ৮০টি কল পেয়েছে কর্তৃপক্ষ। অন্যান্য অঞ্চলের বাসিন্দারা ২০০টিরও বেশি কল করেছে, যার মধ্যে কেন্দ্রীয় চুংচিওং প্রদেশে ৩৮টি এবং রাজধানী সিউলে ৭টি কল রেকর্ড হয়েছে।
আরও পড়ুন: সন্দেহজনক মৃত্যু সত্ত্বেও ফ্লু’র টিকা দেয়া চালিয়ে যাবে দক্ষিণ কোরিয়া
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রধানমন্ত্রী হান ডাক-সু ভূমিকম্প-পরবর্তী কম্পনের আশঙ্কার কথা জানিয়ে সতর্ক থাকতে এবং বাসিন্দাদের নিরাপদে সরিয়ে নিতে কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন। পাশাপাশি বিদ্যুৎকেন্দ্র ও পরিবহন নেটওয়ার্কের মতো গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো রক্ষার জন্য প্রস্তুত থাকার কথাও বলেছেন তিনি।
তবে এ ভূমিকম্পে কোনো পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রভাবিত হয়নি বলে জানিয়েছে দেশটির পারমাণবিক নিরাপত্তা ও সুরক্ষা কমিশন। ভূমিকম্পের পর বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো পরিদর্শন করেও কোনো অসঙ্গতি লক্ষ্য করা যায়নি বলে জানানো হয়েছে।
এ বছর দক্ষিণ কোরিয়ায় সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্প রেকর্ড করা হয় বুয়ানে। সেটির গভীরতা ছিল অন্তত ৮ কিলোমিটার।
দেশটির ফায়ার এজেন্সি জানিয়েছে, ওই ভূমিকম্পে বুয়ান ও এর পাশের শহর ইকসানে ক্ষয়ক্ষতির ৮টি ছোটবড় ঘটনা ঘটে, যার মধ্যে বাড়ি ও একটি গুদামের দেওয়ালে ফাটল দেখা যায়।
৫ মাস আগে
বস্ত্র ও পাটমন্ত্রীর সঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
দক্ষিণ কোরিয়া আমাদের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন অংশীদার বলে জানিয়েছেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক।
তিনি বলেন, বিশেষকরে বস্ত্র ও পোশাক খাতে কোরিয়ান কোম্পানিগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
তাই বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে এবং বাংলাদেশে কোরিয়ান বিনিয়োগ বৃদ্ধির আহ্বান জানাই।
রবিবার (১২ মে) সচিবালয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়ং-সিকের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী এসব কথা জানান।
আরও পড়ুন: ঈদের পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শনিবার বন্ধ রাখার আশা মন্ত্রীর
মন্ত্রী বস্ত্র ও পোশাক খাতে বাংলাদেশিদের প্রশিক্ষণের সুযোগ প্রদান এবং উৎপাদন সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য কোরিয়ার আধুনিক যন্ত্রপাতি প্রদানের অনুরোধ করেন।
এসময় মন্ত্রী বলেন, সামনের দিনগুলোতে আমরা বাজারের বৈচিত্র্য বাড়ানো, পণ্য উন্নয়ন, প্রযুক্তিগত অগ্রগতি ইত্যাদিতে জোর দিচ্ছি।
রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে সাক্ষাত শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে নানক বলেন, মন্ত্রী, এমপির স্বজনরা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না বিষয়ে কিছুটা ভুল ধারণা কাজ করছে। পরে প্রধানমন্ত্রী বিষয়টি পরিষ্কার করেছেন। নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী কোনো নেতার সন্তান বা কোনো স্বজন, তার যদি রাজনীতির মধ্য দিয়ে উত্থান হয় এবং তার যোগ্যতা ও অবস্থান সৃষ্টি করতে পারে তাহলে সে অবশ্যই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে। কিন্তু রাজনৈতিক অঙ্গনে কোনো অবদান নেই বা অবস্থান ছিল না, উপস্থিতি ছিল না, হঠাৎ করে উড়ে এসে জুড়ে বসানো এই সম্পর্কে সতর্কবার্তা ছিল। এভাবে যেনো উড়ে এসে জুড়ে বসানো না হয়।
এদিকে দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়ং-সিক ব্যবসা-বাণিজ্য ক্ষেত্রে সহযোগিতা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি করা হবে বলে জানান।
তিনি বলেন, দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য আরও বৃদ্ধির জন্য আমরা কোরিয়ান কোম্পানিগুলোকে বাংলাদেশে বিনিয়োগে উদ্বুদ্ধ করছি।
দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত তিনটি বিষয়ে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন এবং এ ব্যাপারে সহযোগিতা কামনা করেন।
এগুলো হলো-
প্রথমত- কাঁচামাল আমদানি করতে প্রচুর ট্যারিফ দিতে হয়। তার মধ্যে ৫টি পণ্য বস্ত্র ও পোশাক খাতের সঙ্গে সম্পর্কিত। এগুলোর ট্যারিফ কমাতে মন্ত্রীর সহযোগিতা কামনা করেন।
দ্বিতীয়ত- ভিসাজনিত সমস্যা। বাংলাদেশে যারা কাজ করছে তাদের খুব স্বল্প সময়ের জন্য ভিসা দেওয়া হয়। তিন মাস পরপর মেয়াদ বৃদ্ধির আবেদন করতে হয়। এ সমস্যা উত্তরণে মন্ত্রীর সহযোগিতা দরকার।
তৃতীয়ত- কাস্টমস ক্লিয়ারিং এ দীর্ঘসূত্রিতা এড়াতে রাষ্ট্রদূত মন্ত্রীর সহযোগিতা কামনা করেন।
বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী এসব সমস্যা সমাধানে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও দপ্তরের সঙ্গে আলোচনা করে সমাধানের চেষ্টা করবেন বলে রাষ্ট্রদূতকে আশ্বস্ত করেন।
এ সময় বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আব্দুর রউফ, অতিরিক্ত সচিব তসলিমা কানিজ নাহিদা, বস্ত্র অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. নুরুজ্জামান জেডিপিসির নির্বাহী পরিচালক সৈয়দা ফারহানা কাউনাইন, ঢাকাস্থ দক্ষিণ কোরিয়ান দূতাবাসের কনসাল জেয়ং কি কিম উপস্থিত ছিলেন। সাক্ষাৎকারে উভয়পক্ষ দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সহযোগিতা বাড়ানোর ব্যাপারে গুরুত্বারোপ করেন।
আরও পড়ুন: প্রতিশ্রুত সেবা না দিলে অপারেটরগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থার নির্দেশ প্রতিমন্ত্রীর
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগে ইতালির প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান
৬ মাস আগে
বাংলাদেশের সঙ্গে অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তিতে গুরুত্ব দিচ্ছে দক্ষিণ কোরিয়া
বাংলাদেশের সঙ্গে অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তি (ইপিএ) বিষয়ক আলোচনা ত্বরান্বিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়াং-সিক।
তিনি বলেন, এলডিসি থেকে উত্তরণের আগে বাংলাদেশের হাতে খুব বেশি সময় নেই।
তিনি বলেন, ‘২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) মর্যাদা থেকে বাংলাদেশের আসন্ন উত্তরণ এবং পরে জেনারেলাইজড সিস্টেম অব প্রেফারেন্স (জিএসপি) সুবিধা হারানো কোরিয়া-বাংলাদেশ বাণিজ্য ব্যবস্থার জন্য একটি চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করেছে।’
রবিবার সন্ধ্যায় নিজ বাসভবনে কূটনৈতিক সংবাদ প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ কথা বলেন তিনি।
রাষ্ট্রদূত বলেন, এশিয়া প্যাসিফিক ট্রেড এগ্রিমেন্টের (আপটা) কিছু অংশ জিএসপির সঙ্গে যুক্ত এবং বাংলাদেশ যদি এলডিসি স্ট্যাটাস থেকে উত্তরণ করে, তবে আপটার আওতায় কোনো ট্যারিফ সুবিধা না পাওয়ায় কিছু পণ্য শুল্ক পরিশোধ করতে হবে।
কোরিয়ান রাষ্ট্রদূত বলেন, শুধু জিএসপি সুবিধা বাড়ানো দিয়ে সব সমস্যার সমাধান হতে পারে না। উভয় পক্ষকে ইপিএর মাধ্যমে এসব সমস্যার সমাধান করতে হবে।
রাষ্ট্রদূত বলেন, মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির (এফটিএ) বিভিন্ন নাম রয়েছে যেমন ইপিএ বা কম্প্রিহেনসিভ ইকোনমিক পার্টনারশিপ এগ্রিমেন্ট (সিইপিএ)। ‘আমার দৃষ্টিতে, এই ধরনের এফটিএ একই।’
কোরিয়ায় এফটিএ চালুর জন্য জাতীয় সংসদের অনুমোদনসহ অভ্যন্তরীণ প্রক্রিয়া প্রয়োজন উল্লেখ করে তিনি বলেন, অদূর ভবিষ্যতে বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় ইপিএ শুরু হবে বলে আশা করছেন তারা।
রাষ্ট্রদূত পার্ক বলেন, বাংলাদেশ ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে ইপিএ নিয়ে ২০২৩ সালের শুরু থেকেই আলোচনা চলছে তবে বাস্তব কোনো অগ্রগতি হয়নি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ জাপানের সঙ্গে যৌথ গবেষণা শেষ করেছে এবং চীনের সঙ্গে এটি শেষ করার কাছাকাছি পৌঁছেছে এবং ভারতের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা করছে।
এর আগে রাষ্ট্রদূত ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশের (ডিক্যাব) সদস্যদের সঙ্গে এক ইফতার-কাম-নৈশভোজের আয়োজন করেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-ভুটানের মধ্যে তিনটি সমঝোতা স্মারক সই
ডিক্যাব সভাপতি নুরুল ইসলাম হাসিব আন্তঃকোরীয় সম্পর্ক, আঞ্চলিক নিরাপত্তা, অর্থনৈতিক কূটনীতি, সফট পাওয়ার অ্যান্ড কালচার, বৈশ্বিক স্বাস্থ্য ও প্রযুক্তি এবং বহুপাক্ষিক যোগাযোগের মতো আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে দক্ষিণ কোরিয়ার ভূমিকা সম্পর্কে কূটনৈতিক সাংবাদিকদের জানাতে দূতাবাসের সহযোগিতা কামনা করেন।
১৯৭২ সালের ১২ মে কোরিয়া বাংলাদেশকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। ১৯৭৩ সালের ১৮ ডিসেম্বর দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপিত হয়। ২০২৩ সালে তাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি হয়েছে।
৭ মাস আগে
ইন্ডাস্ট্রিয়াল রোবোটের হাতে কারখানা শ্রমিকের মৃত্যু
দক্ষিণ কোরিয়ায় একটি সবজি প্যাকেজিং কারখানায় একটি রোবোটের হাতে এক কারখানা শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দেশটির পুলিশ জানিয়েছে, মেশিনটি ঝুঁকিপূর্ণ বা ত্রুটিপূর্ণ ছিল কি না- এ বিষয়ে তারা অনুসন্ধান চালাচ্ছে।
গোসেওং এর দক্ষিণ কাউন্টির পুলিশ জানায়, সোমবার ওই কারখানার একটি মেশিনের রোবোটিক হাত ওই কর্মীকে একটি কনভেয়ের বেল্টের সঙ্গে চেপে ধরে। এতে ওই ব্যক্তির মাথা ও বুকে গুরুতর ক্ষত হয়ে তিনি মারা যান।
পুলিশ নিহতের নাম প্রকাশ করেনি।
তবে পুলিশ জানিয়েছে, ওই কোম্পানিতে কাজের সুবিধার্থে শিল্প রোবট ব্যবহার করে এবং মেশিনটি সঠিকভাবে কাজ করছে কি না তা পরীক্ষা করার জন্য প্ল্যান্টে পাঠানো হয়েছিল।
আরও পড়ুন: দক্ষিণ কোরিয়ায় বারান্দা ধসে নিহত ২, আহত ৮ খেলোয়াড়
মেশিনটি ছিল দুটি পিক-অ্যান্ড-প্লেস রোবটের মধ্যে একটি। এশিয়ার অন্যান্য দেশে রপ্তানি করা বেল মরিচ ও অন্যান্য শাকসবজি প্যাকেজ করে এটি। দক্ষিণ কোরিয়ায় কৃষিখাতে এই জাতীয় মেশিনের ব্যবহার খুবই সাধারণ।
গোসেওং থানার তদন্ত বিভাগের প্রধান কাং জিন-গি বলেছেন, ‘এটি কোনো উন্নত ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন রোবট নয়। এটি শুধু বাক্সগুলো তুলে প্যালেটগুলোতে রাখে।’
তিনি বলেন, মেশিনে প্রযুক্তিগত ত্রুটি বা নিরাপত্তাজনিত সমস্যা আছে কি না- তা নির্ণয় করতে পুলিশ তদন্ত করছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, রোবটের সেন্সরগুলো বাক্স শনাক্ত করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। পুলিশ মানবিক ত্রুটির সম্ভাবনাও খতিয়ে দেখছে।
তিনি বলেন, নিরাপত্তা ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায় লোকটি তার হাতে একটি বাক্স নিয়ে রোবটের কাছাকাছি চলে গিয়েছিল। সম্ভবত তাই মেশিন প্রতিক্রিয়া শুরু করেছিল।
দক্ষিণ কোরিয়ায় সাম্প্রতিক বছরগুলোতে শিল্প রোবটের হাতে বেশ কয়েকটি দুর্ঘটনা ঘটেছে।
গত মার্চ মাসে একটি উৎপাদনকারী রোবট গুনসানের একটি অটো পার্টস কারখানায় মেশিন পরীক্ষা করছিলেন এমন একজন শ্রমিককে পিষ্ট করে গুরুতর আহত করেছিল।
গত বছর একটি পরিবাহক বেল্টের কাছে ইনস্টল করা একটি রোবট পিয়ংটেকের একটি দুধের কারখানায় একজন শ্রমিককে মারাত্মকভাবে পিষ্ট করেছিল।
আরও পড়ুন: দক্ষিণ কোরিয়ার উপকূলীয় বনে আগুন, নিহত ২
১ বছর আগে
দেশীয় ব্র্যান্ডের গাড়ি তৈরিতে দ. কোরিয়ার সহযোগিতা চাইলেন শিল্পমন্ত্রী
দেশের নিজস্ব ব্র্যান্ডের গাড়ি তৈরির বিষয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার সহযোগিতা চেয়েছেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন।
তিনি বলেন, আমরা অবকাঠামোখাতে ব্যাপক উন্নতি করেছি। এখানে বিনিয়োগ করার অনেক ক্ষেত্র রয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ার বিনিয়োগকারীরা এ সুযোগ নিতে পারে। আমরা নিজস্ব ব্র্যান্ডের গাড়ি তৈরির চেষ্টা করছি। এ বিষয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার কাছ থেকে আমরা সহযোগিতা প্রত্যাশা করি।
বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর শিল্প মন্ত্রণালয়ে মন্ত্রীর কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে যান বাংলাদেশে নিযুক্ত দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়ং সিক। এ সময় শিল্পমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত এ ব্যাপারে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে বলেন, বঙ্গবন্ধু হাইটেক পার্কে হুন্দাই গাড়ি উৎপাদন শুরু হয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ার আরেক বিখ্যাত কোম্পানি কিয়া বাংলাদেশে কার্যক্রম শুরু করতে আগ্রহী।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা ইস্যুতে ৪০ লাখ ডলার সহায়তা দেবে দক্ষিণ কোরিয়া
বাংলাদেশের ২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের বিষয় উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত বলেন, স্থানীয়ভাবে বড় বড় শিল্প কারখানা স্থাপনে জোর দেওয়া প্রয়োজন। এ ব্যাপারে দক্ষিণ কোরিয়া সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।
তিনি আরও বলেন, শ্রমশক্তি হিসেবে যারা দক্ষিণ কোরিয়ায় যায়, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তারা ভাষা দক্ষতায় দুর্বল। কাজেই জনবল পাঠানোর সময় তাদের কারিগরি দক্ষতার পাশাপাশি ভাষাগত দক্ষতা অর্জন করাও জরুরি।
রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশে কর্মরত কোরিয়ান ব্যবসায়ী, উদ্যোক্তা ও টেকনিশিয়ান বা কর্মীদের ভিসা জটিলতার কারণে বিভিন্ন সমস্যা মোকাবিলা করতে হয়। তারা যদি তিন মাসের পরিবর্তে দীর্ঘমেয়াদি ভিসা পায়, তাহলে তাদের কার্যক্রম চালানো আরও সহজ হবে। এ ব্যাপারে রাষ্ট্রদূত শিল্পমন্ত্রীর সহযোগিতা কামনা করেন।
শিল্পমন্ত্রী এ ব্যাপারে স্বরাষ্টমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলা এবং প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করার বিষয়ে রাষ্ট্রদূতকে আশ্বস্ত করেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম বন্দরে নামল দ. কোরিয়া থেকে আসা রেলকোচের মিটারগেজ চালান
মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন একমাত্র সমাধান: দ. কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত
১ বছর আগে
ফের ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়ে বিরোধীদের উদ্দেশে হুঁশিয়ারি উ. কোরিয়ার
পূর্বদিকের জলসীমা অভিমুখে ফের একটি দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়েছে উত্তর কোরিয়া। বুধবার দেশটির প্রতিবেশি দক্ষিণ কোরিয়া এ তথ্য জানায়।
এর আগে গত দুদিন আগে উত্তর কোরিয়া এক হুঁশিয়ারি দিয়ে জানায়, তার দেশের সীমান্তের কাছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উসকানিমূলক গোয়েন্দা কর্মকাণ্ডের জন্য ‘চরম’ মূল্য দিতে হবে।
দ.কোরিয়ার জয়েন্ট চিফ অব স্টাফ এক বিবৃতিতে বলেছে, আজ সকাল ১০টায় সামরিক বাহিনী উত্তরের রাজধানী অঞ্চল থেকে একটি দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ শনাক্ত করেছে।
তিনি আরও বলেন, মার্কিন বাহিনীর সঙ্গে মিলে দ. কোরিয়ার সামরিক বাহিনী নজরদারি বাড়িয়েছে এবং যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় তারা তৎপর রয়েছে।
জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইয়াসুকাজু হামাদা সাংবাদিকদের বলেছেন, উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্রটি অনেক উঁচু দিয়ে কোণ বরাবর জাপান সাগরে ছোঁড়া হয়েছে। দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের সময় প্রতিবেশী দেশগুলোকে এড়াতে উ. কোরিয়া এই কৌশল ব্যবহার করে।
হামাদা বলেন, ক্ষেপণাস্ত্রটি জাপানের একচ্ছত্র অর্থনৈতিক অঞ্চলের বাইরে কোরিয়ান উপদ্বীপের উপকূলের প্রায় ৫৫০ কিলোমিটার পূর্বে সমুদ্রে পড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
২০১৭ সাল থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মূল ভূখণ্ডকে লক্ষ্য করে উ. কোরিয়া দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি চালাচ্ছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শহরগুলোতে আঘাত হানতে সক্ষম পারমাণবিক অস্ত্র উদ্ভাবনের অংশ হিসেবে বেশ কয়েকটি আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করেছে উত্তর কোরিয়া।
আরও পড়ুন: আবারও ব্যালিস্টিক মিসাইল নিক্ষেপ করল উত্তর কোরিয়া
বুধবারের উৎক্ষেপণের আগে, গত এপ্রিল মাসে উত্তর কোরিয়া তার সর্বশেষ দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করেছিল।
চলতি সপ্তাহের শুরুতে তাদের ব্যাপারে গুপ্তচরবৃত্তি করতে একটি মার্কিন সামরিক বিমান উড়ানোর অভিযোগে একাধিক বিবৃতি দেয় উ. কোরিয়া।
এর প্রায় একমাস পর বুধবার দুরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রটি নিক্ষেপ করে উ. কোরিয়া।
যদিও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়া বরাবরই উত্তরের এসব অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে এবং সংঘাত সৃষ্টি করে এমন কোনো কাজ বা বাগাড়ম্বর থেকে উ. কোরিয়াকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছে।
গত সোমবার রাতে এক বিবৃতিতে উ. কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং উনের বোন কিম ইয়ো জং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করেছিলেন।
এসময় তিনি দাবি করেছিলেন, মার্কিন গুপ্তচর বিমানটি উত্তর কোরিয়ার পূর্বাঞ্চলে আটবার প্রদক্ষিণ করেছে।
মঙ্গলবার আরেক বিবৃতিতে কিম ইয়ো জং বলেছেন, মার্কিন সামরিক বাহিনী যদি তার দেশের আকাশপথে অবৈধ গুপ্তচরবৃত্তি কার্যক্রম চালিয়ে যায়, তবে তারা ‘চরম ফল’ ভোগ করবে।
এছাড়াও উ. কোরিয়ার সামরিক বাহিনীও মার্কিন গুপ্তচর বিমানগুলোকে গুলি করে ভূপাতিত করার হুমকি দিয়েছে।
আরও পড়ুন: উত্তর কোরিয়ার দূরপাল্লার মিসাইল পরীক্ষা
করোনাভাইরাস: উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ, সমালোচনায় দ. কোরিয়া
১ বছর আগে
উ. কোরিয়ার ড্রোন সীমান্ত অতিক্রমের পর দ. কোরিয়ার সতর্কীকরণ গুলি
উত্তর কোরিয়ার ড্রোন সীমান্ত অতিক্রম করে দক্ষিণ কোরিয়ার আকাশসীমায় প্রবেশ করায় সেগুলোকে তাড়াতে সতর্কীকরণ গুলি চালিয়েছে দেশটির সামরিক বাহিনী।
সোমবার এই ঘটনা ঘটেছে বলে জানায় দক্ষিণ কোরিয়ার কর্মকর্তারা।
দক্ষিণ কোরিয়ার কর্মকর্তারা বলেছেন, উত্তর তার সর্বশেষ পরীক্ষার কার্যক্রমে দুটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র চালু করার কয়েকদিন পরে এই ঘটনা ঘটলো।
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সোমবার সকালে উত্তর কোরিয়ার বেশ কয়েকটি ড্রোন আন্ত-কোরিয়ান সীমান্ত অতিক্রম করলে দক্ষিণের ভূখণ্ডে তা সনাক্ত করা হয়।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, উত্তর কোরিয়ার ড্রোনগুলোকে গুলি করতে ফাইটার জেট এবং অ্যাটাক হেলিকপ্টার চালু করার আগে দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী সতর্কবার্তা সম্প্রচার করেছে এবং সতর্কীকরণ গুলি করেছে।
তবে গুলি করে ড্রোনগুলো ভূপাতিত করা হয়েছে কিনা তা তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।
প্রথমবারের মতো ২০১৭ সালে উত্তর কোরিয়ার ড্রোন দক্ষিণ কোরিয়ার আকাশসীমায় প্রবেশ করেছিল, যখন একটি সন্দেহভাজন উত্তর কোরিয়ার ড্রোন দক্ষিণ কোরিয়ায় বিধ্বস্ত হয়। দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক কর্মকর্তারা তখন বলেছিলেন যে ড্রোনটি দক্ষিণ কোরিয়ায় মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার ছবি তুলেছে।
এর আগে উত্তর কোরিয়া তাদের ড্রোন কর্মসূচির কথা বলেছে এবং দক্ষিণ কোরিয়ার কর্মকর্তারা বলেছেন উত্তরের কাছে প্রায় ৩০০টি ড্রোন রয়েছে। ২০১৪ সালে সীমান্তের দক্ষিণে বেশ কয়েকটি সন্দেহভাজন উত্তর কোরিয়ার ড্রোন পাওয়া গেছে।
বিশেষজ্ঞরা বলেছিলেন যে ড্রোনগুলো কম প্রযুক্তির কিন্তু একটি সম্ভাব্য নিরাপত্তা হুমকি হিসাবে বিবেচিত হতে পারে।
আরও পড়ুন:তাইওয়ানের পর দ. কোরিয়া গেলেন পেলোসি
দক্ষিণ কোরিয়ার জয়েন্ট চিফস অফ স্টাফের মতে, গত শুক্রবার উত্তর কোরিয়া তার পূর্ব জলসীমার দিকে দুটি স্বল্প-পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। উৎক্ষেপণটিকে দক্ষিণ কোরিয়া-মার্কিন যৌথ বিমান মহড়ার প্রতিবাদ হিসেবে দেখা হয়েছিল যেটিকে উত্তর কোরিয়া আক্রমণের মহড়া হিসেবে দেখে।
অনেক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ বছর উত্তর কোরিয়া একটি অভূতপূর্ব সংখ্যক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা পরিচালনা করেছে যা তাদের অস্ত্র উন্নত করার প্রচেষ্টা এবং ভবিষ্যতে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার প্রতিদ্বন্দ্বীদের জন্য চাপ দেয়ার প্রচেষ্টা বলে অভিহিত করছে।
সম্প্রতি, উত্তর তার প্রথম গুপ্তচর উপগ্রহ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মূল ভূখণ্ডে পৌঁছাতে সক্ষম আরও মোবাইল আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র সক্ষমতা অর্জনের জন্য প্রয়োজনীয় বড় পরীক্ষাগুলো চালিয়েছে বলে দাবি করেছে।
আরও পড়ুন: মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন একমাত্র সমাধান: দ. কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত
১ বছর আগে
ব্রাজিল বনাম দক্ষিণ কোরিয়া লাইভ স্ট্রিমিং: কোথায় দেখবেন ফিফা ফুটবল বিশ্বকাপ কাতার ২০২২, সম্ভাব্য একাদশ
ফিফা ফুটবল বিশ্বকাপে (FIFA World Cup 2022) আজ রাতে মুখোমুখি হতে চলেছে ব্রাজিল বনাম দক্ষিণ কোরিয়া (Brazil vs South Korea)।
কাতার বিশ্বকাপে চলছে নকআউট পর্ব। এখান থেকে ভুলের কোনও সুযোগ নেই। পা হড়কালেই টুর্নামেন্ট থেকে বিদায়। ইতোমধ্যে শেষ আটে পৌঁছে গিয়েছে নেদারল্যান্ডস, আর্জেন্টিনা ও ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স। বাকি দলগুলোর মধ্যে কোন পাঁচটি দল কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছাবে তা নির্ধারণ হয়ে যাবে ৭ ডিসেম্বরের মধ্যে। সোমবার ফের মাঠে নামছে ব্রাজিল। কোচ তিতে জানিয়ে দিয়েছেন, গোড়ালির চোট সারিয়ে সুস্থ হয়ে উঠেছেন নেইমার জুনিয়র। নকআউট ম্যাচে প্রতিপক্ষ দক্ষিণ কোরিয়ার বিরুদ্ধে খেলবেন তিনি। সন হিউং মিনরাও তৈরি সেলেকাওদের হেক্সার স্বপ্ন ভাসিয়ে দিতে। কোথায়, কবে, কীভাবে দেখবেন এই ম্যাচ।
বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে মুখোমুখি হচ্ছে ব্রাজিল ও দক্ষিণ কোরিয়া। সেলেসাওদের ফেবারিট মানলেও চমকের অপেক্ষায় থেগোক যোদ্ধারা। নাইন সেভেন ফোর স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় সোমবার (৫ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ১টায় মাঠে গড়াবে শেষ আটে উঠার এ লড়াই।
ফিফা ফুটবল বিশ্বকাপ লাইভ: কিভাবে দেখবেন ব্রাজিল বনাম দক্ষিণ কোরিয়া ম্যাচ সরাসরি
বাংলাদেশ থেকে ফিফা ফুটবল বিশ্বকাপ ২০২২ দেখা যাবে টিভিতে, অনলাইনে ও ধারাভাষ্য শোনা যাবে রেডিওতে ও ইউটিউব চ্যানেলেও। চলুন জেনে নেয়া যাক উল্লেখিত মাধ্যমগুলো থেকে কিভাবে খেলার খবর রাখবেন।
কোথায় দেখা যাবে কাতার বিশ্বকাপে ব্রাজিল বনাম দক্ষিণ কোরিয়া ম্যাচটির লাইভ স্ট্রিমিং?
কাতার বিশ্বকাপে ব্রাজিল বনাম দক্ষিণ কোরিয়া লাইভ ম্যাচটির লাইভ স্ট্রিমিং (Live streaming) দেখা যাবে টিভিতে স্পোর্টস ১৮ এবং স্পোর্টস ১৮ এইচডি চ্যানেলে। এ ছাড়া কাতার বিশ্বকাপের ম্যাচগুলোর লাইভ স্ট্রিমিং দেখা যাবে জিও সিনেমা অ্যাপ্লিকেশনে।
ফিফা ফুটবল বিশ্বকাপ কাতার: ব্রাজিল বনাম দক্ষিণ কোরিয়া ম্যাচ কোন চ্যানেলে দেখা যাবে?
টফি অ্যাপে লাইভ ব্রাজিল বনাম দক্ষিণ কোরিয়া বিশ্বকাপ
ফিফা ওয়ার্ল্ড কাপ কাতার ২০২২ এর লাইসেন্সড মোবাইল ব্রডকাস্টার হিসেবে স্বত্ব পেয়েছে বাংলালিংকের টফি অ্যাপ। কে স্পোর্টস এর সঙ্গে সাব-লাইসেন্সিং অ্যাগ্রিমেন্ট এর মাধ্যমে এই সুবিধা নিজেদের করে নিয়েছে বাংলালিংক।
সুতরাং, টফি অ্যাপ এবং টফি ওয়েবসাইটে বিশ্বকাপ ফুটবল লাইভ দেখতে পারবেন। সবচেয়ে মজার ব্যাপার হচ্ছে টফিতে ফুটবল বিশ্বকাপ লাইভ বিনামূল্যে দেখতে পারবেন।
Toffee App লিখে গুগুল প্লে স্টোরের সার্চ করুন।
তারপর Toffee App Install করুন।
তারপর Open করুন।
তারপর Fifa live নামে অনেকগুলো বাটন দেখবেন।
আপনি প্রথমটিতে ক্লিক করলে ব্রাজিল বনাম দক্ষিণ কোরিয়া লাইভ খেলা দেখতে পারবেন।
আরও পড়ুন: ফিফা বিশ্বকাপ কাতার ২০২২: ভিনসেন্টের শেষ মুহূর্তের গোলে ব্রাজিলের পরাজয়
Sportzfy অ্যাপে নকআউট পর্বে ব্রাজিল বনাম দক্ষিণ কোরিয়া লাইভ খেলা।
Sportzfy app এ ব্রাজিল বনাম দক্ষিণ কোরিয়া রাউন্ড অব সিক্সটিন লাইভ দেখা যাবে। চিন্তার কারণ নেই। Sportzfy app গুগুল প্লেতে পাওয়া যায়। আপনি অ্যাপটি ডাউনলোড করে ওপেন করলে রাউন্ড অফ সিক্সটিন এর দক্ষিণ কোরিয়া ও ব্রাজিলের লাইভ খেলা দেখতে পারবেন।
বাংলাদেশ থেকে ফিফা ফুটবল বিশ্বকাপ ব্রাজিল বনাম দক্ষিণ কোরিয়া ম্যাচ দেখা যাবে টি স্পোর্টস চ্যানেল থেকে। গাজী টিভিও (জিটিভি) ফুটবল বিশ্বকাপ সরাসরি সম্প্রচার করবে। এছাড়া রাষ্ট্রয়াত্ত টেলিভিশন চ্যানেল বিটিভি ফুটবল বিশ্বকাপ সরাসরি সম্প্রচার করছে।
এছাড়া বিভিন্ন ফেইসবুক পেইজ ও ইউটিউব চ্যানেলেও দেখা যাবে লাইভ ফিফা ওয়ার্ল্ড কাপ ব্রাজিল বনাম দক্ষিণ কোরিয়া ম্যাচ।
টিভিতে ব্রাজিল বনাম দক্ষিণ কোরিয়া লাইভ খেলা (Brazil vs South Korea Live on TV)
বাংলাদেশ: BTV, Gazi TV, T-Sports
ভারত: Sports18, Sports18 HD, Sony TV Networks
পাকিস্তান: ARY Digital Network
নেপাল: Media Hub Private Limited
ব্রাজিল বনাম দক্ষিণ কোরিয়া ম্যাচ কোথায় খেলা হবে?
কাতার বিশ্বকাপ ২০২২, ব্রাজিল বনাম দক্ষিণ কোরিয়া স্টেডিয়াম ৯৭৪ এ বাংলাদেশ সময় রাত ১টায় একে অপরের মুখোমুখি হবে ব্রাজিল-দক্ষিণ কোরিয়া। এই ম্যাচ জিতলেই টানা ৭ আসরে গ্রুপ পর্বে কোনো ম্যাচ না হারার কীর্তি গড়বে ব্রাজিল।
ব্রাজিল বনাম দক্ষিণ কোরিয়া খেলা কখন?
ফুটবল বিশ্বকাপের নকআউটে ব্রাজিল বনাম দক্ষিণ কোরিয়া ম্যাচটি রয়েছে সোমবার মধ্যরাত (৬ ডিসেম্বর)।
আরও পড়ুন: ভ্যান গালের নেতৃত্বে নেদারল্যান্ডস বিশ্বকাপে এগিয়ে যাওয়ার উপক্রম
কাতার বিশ্বকাপে ব্রাজিল বনাম দক্ষিণ কোরিয়া ম্যাচটি কোথায় হবে?
কাতার বিশ্বকাপে ব্রাজিল বনাম দক্ষিণ কোরিয়া ম্যাচটি স্টেডিয়াম ৯৭৪-এ হবে।
কাতার বিশ্বকাপে ব্রাজিল বনাম দক্ষিণ কোরিয়া ম্যাচটি কখন শুরু হবে?
কাতার বিশ্বকাপে ব্রাজিল বনাম দক্ষিণ কোরিয়া ম্যাচটি শুরু হবে রাত ১২.৩০ মিনিটে।
বিশ্বকাপের জন্য ব্রাজিল বনাম দক্ষিণ কোরিয়া সম্ভাব্য একাদশ–
ব্রাজিল: ব্রাজিল: (৪-২-৩-১): এডারসন (গোলরক্ষক), তেলেস, ব্রেমার, আলভেস, মিলিতাও, গুইমারেস, ফ্যাবিনহো/নেইমার, মার্তিনেল্লি, রদ্রিগো, অ্যান্তোনি, জেসুস
দক্ষিণ কোরিয়া: (৪-৩-৩) কিম (গোলরক্ষক), মুন-হোয়ান, মিন জায়ে, ইয়ং-গুওন, জিন-সু, হোয়াং, জুং, না, লি, সন, হোয়াং
আরও পড়ুন: লিওনেল মেসি: দুনিয়া কাঁপানো ফুটবলার হয়ে উঠার সচিত্র গল্প
ব্রাজিল বনাম দক্ষিণ কোরিয়া মুখোমুখি পরিসংখ্যান
ব্রাজিল ও দক্ষিণ কোরিয়া এখন পর্যন্ত মুখোমুখি হয়েছে ৭ ম্যাচে। যেখানে আধিপত্য পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ব্রাজিলের। সাত ম্যাচের মধ্যে ৬টিতেই জিতেছে হলুদ শিবির। দক্ষিণ কোরিয়ার জয় এক ম্যাচে।
বিশ্বকাপে এখনও ব্রাজিল-দক্ষিণ কোরিয়ার কোনো ম্যাচ হয়নি, ৬টিই ছিল প্রীতি ম্যাচ। এর মধ্যে শেষ চার দেখায়ই ব্রাজিলের কাছে একাধিক গোলে হেরেছে কোরিয়া। শেষ চার ম্যাচে সন হিয়ং মিনের দলকে তারা দিয়েছে ১৩ গোল। সব মিলিয়ে ৭ ম্যাচে দক্ষিণ কোরিয়ার ৫ গোলের বিপরীতে ব্রাজিল দিয়েছে ১৬ গোল।
১ বছর আগে