এসি
দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর এসি চালুর পূর্বে যে সতর্কতা জরুরি
বছর জুড়ে গরমের তুলনায় শীতের আধিক্য যারপরনাই কম। এরপরেও ঠান্ডা মৌসুমে একটানা বেশ কিছু দিন যাবত এয়ার কন্ডিশনার (এসি) বন্ধ থাকে। এই স্বল্প বিরতির পর গ্রীষ্মের শুরুতে এসি চালু করার আগে কিছু সতর্কতা অবলম্বন জরুরি। অন্যান্য বৈদ্যুতিক ও গৃহস্থালির যান্ত্রিক আসবাবপত্রের মতো এসিরও নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ প্রয়োজন। সেখানে দীর্ঘদিন অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে থাকার কারণে খুটিনাটি ত্রুটির অবকাশ থাকে। বন্ধ থাকা এসির ভেতরে জমে যাওয়া ধুলোবালির স্তর ও ছত্রাকের কারণে হতে পারে শাসকষ্ট। এমনকি রয়েছে এয়ার কন্ডিশনার বিস্ফোরণের ঝুঁকি। চলুন, উষ্ণ মৌসুমের শুরুতে স্বাস্থহানী ও দুর্ঘটনার ঝুঁকি এড়িয়ে এসি ব্যবহার নিশ্চিত করতে জরুরি বিষয়গুলো বিস্তারিত জেনে নেই।
দীর্ঘদিন বন্ধ থাকা এয়ার কন্ডিশনার নিরাপদে চালানোর জন্য ১০টি করণীয়
.
ইভাপোরেটর কয়েল ও ব্লোয়ার মোটর নিরীক্ষণ
এই সরঞ্জাম দুটি থাকে এসি সিস্টেমের অভ্যন্তরীণ ইউনিটে। অনেক দিন বন্ধ থাকার ফলে ইভাপোরেটর কয়েলে ময়লা জমে থাকলে তাপ স্থানান্তর প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হয়।
ব্লোয়ার মোটরে ময়লা জমলে এটি সঠিকভাবে ঘুরতে পারে না। ফলে সিস্টেমের উপর এটি অতিরিক্ত চাপ ফেলে।
সামগ্রিক ভাবে এমন পরিস্থিতি এসির কার্যকারিতায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। এছাড়া কার্যক্ষমতা কমে যাওয়ায় পরবর্তীতে বিদ্যুৎ খরচ বৃদ্ধি পেতে পারে। তাই এসি ছাড়ার পূর্বে এই সরঞ্জামগুলো যথাযথ ভাবে পরিষ্কার করে নেওয়া আবশ্যক।
আরো পড়ুন: মোবাইল ফোন বিস্ফোরণ: কারণ ও বাঁচার উপায়
ডাক্ট, ভেন্ট এবং এয়ার ফিল্টার পরীক্ষা
শীতল বায়ু ডাক্ট ও ভেন্টের মাধ্যমে ঘরের বিভিন্ন স্থানে পৌঁছায়। দিনের পর দিন অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে থাকলে এগুলোতে ধুলো, ময়লা বা ছাঁচ জমে যায়। এগুলো এসির বাতাসকে বিষাক্ত করে, যা অ্যালার্জি বা শ্বাসকষ্টের সমস্যা সৃষ্টির কারণ হতে পারে।
এয়ার ফিল্টার এসির বায়ু থেকে ধুলো, ময়লা এবং অন্যান্য কণাকে ফিল্টার করে। আর এই ফিল্টারেই ময়লা জমে যাওয়া মানে বাতাসের গুণমান কমে যাওয়া। এমনকি অনেক ক্ষেত্রে ময়লার আস্তর জমে ফিল্টার বন্ধ হয়ে বায়ুপ্রবাহেও বাধা সৃষ্টি হয়। এছাড়া ময়লা ফিল্টার ব্যাকটেরিয়া ও ছাঁচের বৃদ্ধি বাড়ায়, যা স্বাস্থ্যঝুঁকি সৃষ্টি করতে পারে। তাই এগুলো অপরিষ্কার রেখে এসি ব্যবহার করা একদমি উচিত নয়।
কন্ডেন্সার কয়েল পরিষ্কার করা
এসির বাইরের ইউনিটে থাকা এই সরঞ্চামটি তাপ স্থানান্তরে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এসির দীর্ঘ সময়ের নিষ্ক্রিয়তায় এই কয়েলেও ধুলো, ময়লা বা আবর্জনা জমা হতে পারে। এর ফলে গোটা কন্ডেন্সারসহ কম্প্রেসরের উপরও অতিরিক্ত চাপ পড়ে। ক্রমান্বয়ে এটি সিস্টেমের আয়ু কমিয়ে দেয় এবং পরবর্তীতে ব্যয়বহুল মেরামতের প্রয়োজন পড়ে।
কন্ডেন্সার কয়েল পরিষ্কার করার জন্য নরম ব্রাশ বা কম প্রেশারের পানি ব্যবহার করা যেতে পারে।
আরো পড়ুন: টপ লোড বনাম ফ্রন্ট লোড ওয়াশিং মেশিন: জেনে নিন সুবিধা ও অসুবিধা সমূহ
রেফ্রিজারেন্টের মাত্রা নিরীক্ষণ
এসির শীতলকরণ প্রক্রিয়ায় ব্যবহৃত যে তরল বা গ্যাসীয় পদার্থটি এসির মধ্যে তাপ স্থানান্তরিত করে তার নাম রেফ্রিজারেন্ট। সঠিক সময়ে পরিষ্কারের দীর্ঘসূত্রিতায় রেফ্রিজারেন্টের মাত্রা কমে যেতে পারে। এ অবস্থায় এসি ঘন্টার পর ঘন্টা ধরে চললেও ঠান্ডা বাতাস তৈরি করতে পারে না।
এমন পরিস্থিতিতে কন্ডেন্সার ও কম্প্রেসর উভয়েই অতিরিক্ত চাপের সম্মুখীন হয়। এমনকি এতে অন্যান্য যন্ত্রাংশও দ্রুত ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়ার আশঙ্কা থাকে।
রেফ্রিজারেন্ট লিকের ফলে অনেক সময় এসির অদ্ভূত শব্দ করে। তাই এসি চালানোর সময় যে কোনও অস্বাভাবিক শব্দকে গুরুত্বের সাথে দেখা উচিত।
এর বাইরে রেফ্রিজারেন্ট লেভেল যাচাইয়ের কাজটি নিজে করা কঠিন। তাই এক্ষেত্রে সরাসরি পেশাদার ইলেক্ট্রিশিয়ানের সরণাপন্ন হওয়া উচিত। উপরন্তু, মাত্রা কম থাকলে তা বাড়ানোর জন্যও তাদেরকেই ডাকতে হবে।
আরো পড়ুন: এয়ার পিউরিফায়ার: প্রয়োজনীয়তা, দাম, জনপ্রিয় ব্র্যান্ড ও নতুন মডেল
কম্প্রেসর পরীক্ষা করা
এসির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এই উপাদানটির কাজ হচ্ছে রেফ্রিজারেন্টকে সংকুচিত করে শীতলকরণ প্রক্রিয়ায় সহায়তা করা। তাই এই কার্যটি সঠিক ভাবে সম্পাদিত হচ্ছে কিনা তা যাচাই করা নিতান্তই জরুরি।
কম্প্রেসর অতিরিক্ত গরম হয়ে গেলে বা এর মধ্যে অস্বাভাবিক শব্দ হলে বুঝতে হবে এতে সমস্যা আছে। এই সমস্যা এড়াতে কম্প্রেসরের নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ জরুরি, আর এর জন্য একজন পেশাদারের প্রয়োজন পড়বে।
থার্মোস্ট্যাট সেটিংস যাচাই করা
এসির শীতলকরণ প্রক্রিয়ার আরও একটি প্রয়োজনীয় যন্ত্র থার্মোস্ট্যাট, যেটি মূলত তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। সঠিক পদ্ধতিতে কাজ করার জন্য এসির একটি নির্দিষ্ট তাপমাত্রা প্রয়োজন হয়। এর কমবেশি হলে নিয়মিত ঠান্ডা বাতাস পাওয়া যায় না। তাই থার্মোস্ট্যাট সেটিংস যথাযথ হওয়া জরুরি।
ভুল সেটিংস দীর্ঘ মেয়াদে এসির কার্যকারিতায় বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে। এর দরূণ ভবিষ্যতে ঘন ঘন মেরামতেরও প্রয়োজনীয়তা দেখা দিতে পারে। আর বারবার মেরামত মানেই অতিরিক্ত খরচের ধকল।
আরো পড়ুন: কীভাবে জানবেন ঢাকার যানজটের সর্বশেষ অবস্থা?
বৈদ্যুতিক সংযোগ ও পারিপার্শ্বিক অবস্থা পরীক্ষা
এসি সিস্টেমের সাথে সংশ্লিষ্ট পাওয়ার লাইন ও সার্কিট ব্রেকার ঠিক মত কাজ করছে কিনা তা পরীক্ষা করা জরুরি। ভোল্টেজে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে তারতম্য ঘটা সিস্টেমে সঠিক বিদ্যুৎ প্রবাহে বাধা আরোপ করতে পারে। সার্কিট ব্রেকার পাওয়ার লাইনকে ব্যাকআপ দিতে না পারলে পুরো যন্ত্রের ভয়াবহ ক্ষতি সাধনের আশঙ্কা থাকে।
প্রায় সময় ঘরের ভেতরে যন্ত্রকে পরিপাটি করে রাখা হলেও বাইরে অংশে একদমি ভ্রূক্ষেপ করা হয় না। চোখের আড়ালে থাকায় এই যন্ত্রাংশটির কথা অনেকেই এড়িয়ে যান। অথচ এর আশেপাশে অনুপযুক্ত পরিবেশের সৃষ্টি হয়ে অনাকাঙ্ক্ষিত বিড়ম্বনার দিকে ধাবিত করতে পারে।
তাই বছরের কিছু নির্দিষ্ট সময়ে রুটিন মেনে এই আভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক উভয় যন্ত্র সংলগ্ন জায়গাগুলো পরিষ্কার করা উচিত।
প্রথমবার ফ্যান মুডে চালানো
অনেক দিন বন্ধ থাকা এসি প্রথম চালোনার সময় সরাসরি কুলিং মুডে দেওয়া উচিত নয়। কেননা এতে সিস্টেমের ভেতর অনাকাঙ্ক্ষিত ত্রুটির কারণে যান্ত্রিক গোলযোগের দেখা দিতে পারে।
আরো পড়ুন: শিশুদের টিকটক আসক্তি: ঝুঁকি থেকে যেভাবে বাঁচবেন
আগে ফ্যান মুডে চালিয়ে সিস্টেমের ভেতরে জমে থাকা আর্দ্রতা শুকিয়ে নিতে হবে। ফ্যান মুডে এসি শুধু সিস্টেমের আভ্যন্তরীণ ফ্যানটি চালায়। এতে ময়লা বা ছাঁচের বৃদ্ধি বাধাপ্রাপ্ত হয় এবং বাতাসের গুণমান উন্নত করে। কয়েক ঘন্টা ফ্যান মুডে রাখার পর কুলিং মুডে সুইচ করা যেতে পারে।
টেস্ট রান
গরমের শুরুতে প্রথম এসি চালুর উদ্দেশ্য হতে হবে টেস্ট রান। শীতল হওয়ার উদ্দেশ্যে এসি ছেড়ে দিয়ে অন্য কাজ করা যাবে না। বরং এই টেস্ট রানের পুরোটা সময় মনোন্নিবেশ এসির দিকে রাখতে হবে।
সূক্ষভাবে খেয়াল করতে হবে কোনও অস্বাভাবিক শব্দ আসছে কিনা, বায়ুপ্রবাহ কিভাবে হচ্ছে, এবং সারা ঘর ঠান্ডা হতে কেমন সময় লাগছে। কোনও অসংলগ্নতা দেখা দিলে উপরোক্ত পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করা যেতে পারে। কোনও কিছু নিয়ে সন্দেহ থাকলে সরাসরি বিশেষজ্ঞ ইলেক্ট্রিশিয়ানের সরণাপন্ন হতে হবে।
পেশাদার টেকনিশিয়ানের সাহায্য নেওয়া
উপরোক্ত পদক্ষেপগুলো ব্যাপারে যথাযথ নিশ্চিত হয়ে তবেই নিজে নিজে এসি যাচাইয়ের দিকে যাওয়া উচিত। কারিগরি বিষয়গুলোর বোঝাপড়া নিয়ে কোনও সমস্যা থাকলে সর্বোত্তম পন্থা হলো পেশাদারদের দ্বারস্থ হওয়া। নতুবা না বোঝার কারণে অসাবধানে যে কোনও ভুলে হিতে বিপরীত হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।
আরো পড়ুন: নতুন স্মার্টফোন কিনছেন, জেনে নিন সেটি আসলেই নতুন কিনা!
রক্ষণাবেক্ষণের পুরো সময়টাতে টেকনিশিয়ানের সাথে থেকে সব বুঝে নেওয়া বুদ্ধিমানের কাজ। কি সমস্যা হয়েছিলো, কেন হয়েছিলো, এবং ভবিষ্যতে এ ধরণের সমস্যা এড়াতে করণীয়সমূহ তাকে জিজ্ঞেস করে জেনে নিতে হবে।
এক্ষেত্রে প্রথমে যে কোম্পানির নিকট থেকে এসিটি কেনা হয়েছিলো তাদেরকে কল করা উত্তম। তারা তাদের নিজস্ব পণ্যের ব্যাপারে জানে এবং একই ধরণের ত্রুটির সমাধান অন্যান্য গ্রাহকদেরও দিয়ে থাকে। তাই তাদের কাছ থেকে এক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ ও অভিজ্ঞ পরিষেবাটি পাওয়া যাবে। গ্যারান্টি ও পার্ট্স ওয়ারেন্টি থাকলে বিনামূল্যে সেবার ও পার্ট্স বদলে দেওয়া হবে। আর গ্যারান্টি-ওয়ারেন্টি না থাকলে সেবার জন্য নির্দিষ্ট ফি দিতে হবে।
তাছাড়া অধিকাংশ ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠান থেকে প্রদত্ত টেকনিশিয়ানরা পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত হয়ে থাকে। যন্ত্রের যে কোনও সমস্যার ব্যাপারে তারা স্বপ্রণোদিত হয়েই গ্রাহকদের যাবতীয় জিজ্ঞাসার জবাব দিয়ে থাকে।
শেষাংশ
গরমের শুরুতে এয়ার কন্ডিশনার চালনার আগে এই সতর্কতাগুলো অনুসরণ করা মানে নানা বিড়ম্বনা থেকে রেহাই পাওয়া। এসির বাইরের ও ভেতরের প্রতিটি সরঞ্জাম সূক্ষ্মভাবে পরিদর্শন করা অপরিহার্য। ডাক্ট ও ভেন্ট থেকে শুরু করে কম্প্রেসার পর্যন্ত যে কোনওটিতে কিঞ্চিত ত্রুটি পরবর্তীতে সমূহ ঝামেলার সৃষ্টি করতে পারে। সরঞ্জামগুলো পরিষ্কারের পর উৎকৃষ্ট উপায় হচ্ছে ফ্যান মুডে চালিয়ে একবার টেস্ট রান করে দেখা। উপরুন্তু, যান্ত্রিক বিষয়াদি নিয়ে সন্দেহের অবকাশ থাকলে পেশাদার টেকনিশিয়ানের সাহায্য নেওয়া উত্তম।
আরো পড়ুন: রাতে বাসে বা গণপরিবহনে নিরাপদে ভ্রমণে কিছু সতর্কতা
৩৫ দিন আগে
এসি ২৫ ডিগ্রির নিচে চালালে বিদ্যুৎ-সংযোগ বিচ্ছিন্ন: বিদ্যুৎ উপদেষ্টা
বাসাবাড়ি, মার্কেট, মসজিদসহ সরকারি-বেসরকারি যেকোনো প্রতিষ্ঠানে ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে এসি চালানো হলে বিদ্যুৎ-সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।
সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর ওসমানি স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়, রেলপথ মন্ত্রণালয়, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত অধিবেশন শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, ‘জেলা প্রশাসকদের কাছে আমরা আমাদের সম্পদের সীমাবদ্ধতার কথা তুলে ধরেছি। আমরা অন্তর্বর্তী সরকার একটা খাদের ভেতরে অর্থনীতি পেয়েছি।’
তিনি বলেন, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২০২১ সালে ছিল ৪২ বিলিয়ন ডলার, সেখান থেকে ২০ বিলিয়ন ডলারে চলে এসেছে। অর্থ পাচার হয়ে গেছে। এসব কারণে জ্বালানি বা বিদ্যুতের মূল্য পরিশোধে সমস্যা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা রমজান মাসে বিদ্যুতের সরবরাহ সম্পূর্ণ আয়োজন করেছি। আমরা আশা করি রমজান মাসে ও গ্রীষ্মে বিদ্যুতের যে চাহিদা তা মেটাতে সক্ষম হব।’
তিনি আরও বলেন, শীত মৌসুমের তুলনায় দেশে গ্রীষ্মে বিদ্যুতের চাহিদা দ্বিগুনের বেশি থাকে। এর একটি কারণ হলো সেচ। সেচের জন্য প্রায় ২ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ অতিরিক্ত লাগে। সেচ না হলে খাদ্য উৎপাদন হবে না। সেজন্য সেচের বিষয়টি সরকারের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারে থাকবে।
আরও পড়ুন: এসি, মোটরসাইকেল ও ফ্রিজ শিল্পে দ্বিগুণ করের বোঝা
উপদেষ্টা বলেন, ঢাকা শহর বা জেলা শহরের নয়, দেশের সব জায়গায় এসি পৌঁছে গেছে। এতে অতিরিক্ত ৫-৬ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ খরচ হচ্ছে। ২৫ বা তার ওপরে চালালে ২-৩ হাজার মেগাওয়াট সাশ্রয় করা যাবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, বাণিজ্য উপদেষ্টার মাধ্যমে ব্যবসায়ীদের অনুরোধ জানানো হবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমে সমস্ত ব্যাংকগুলোকে অনুরোধ জানানো হবে।
উপদেষ্টা নিশ্চিত করেন, শীতাতাপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র ব্যবহারে কোনো বিধি নিষেধ নেই। কিন্তু এটাকে ২৫ বা তার বেশি ডিগ্রিতে রাখতে হবে। সচিবালয়ের আধা সরকারি চিঠি দেওয়া হবে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের জন্য।
রমজান মাসে বিদ্যুতের চাহিদা এবং সরবরাহের মধ্যে ভালো একটা অবস্থা দেখতে তিনি সকলের প্রতি অনুরোধ জানান।
এছাড়াও উপদেষ্টা বলেন, পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ড, পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড এবং ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি প্রত্যেকের একাধিক মনিটরিং টিম রাখা হবে বিষয়টি দেখাশোনা করার জন্য। নিয়ম মানা না হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেন তিনি।
কোনো কারণে লোডশেডিং দেওয়ার প্রয়োজন হলেও তা সবাইকে জানিয়ে দেওয়া হবে বলে নিশ্চিত করেন তিনি।
৫৮ দিন আগে
এসির বাতাসে শিশুকে নিরাপদ রাখবেন যেভাবে
উষ্ণ মৌসুমের ভয়াবহ উত্তাপ থেকে স্বস্তির জন্য এখন একটি অপরিহার্য গৃহস্থালি যন্ত্র এসি (এয়ার কন্ডিশনার) বা এয়ার কুলার। এটি শিশু-বৃদ্ধ নির্বিশেষে সবার জন্য প্রযোজ্য হলেও শিশুদের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন প্রয়োজন। শিশুদের প্রাথমিক শারীরতাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্য পরিবেশের যে কোনো প্রতিক্রিয়ার জন্য পূর্ণাঙ্গভাবে প্রস্তুত নয়। যার ফলশ্রুতিতে দীর্ঘক্ষণ যাবত ঠান্ডা ও শুষ্ক আবহাওয়ায় শিশুদের স্বাস্থ্যঝুঁকি দেখা দিতে পারে। তাই এসি ব্যবহারের সময় সার্বিক দিক থেকে তাদের আরামপ্রদ পরিবেশ ও নিরাপত্তা বজায় রাখা জরুরি। চলুন, এসিতে শিশুর স্বাস্থ্যঝুঁকির কারণ ও তা থেকে বাঁচতে করণীয়গুলো সম্বন্ধে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
এসির বাতাসে শিশুদের ঠান্ডা লেগে যায় কেন?
এসি থেকে নির্গত জীবাণু (ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাস)
শিশুর স্বাস্থ্যের জন্য এসির সবচেয়ে গুরুতর বিষয়টি হচ্ছে এর বাতাসের সঙ্গে নির্গত জীবাণু। বিশেষত সময়মতো পরিষ্কার করা না হলে এসির বাতাস রীতিমতো বিষাক্ত হয়ে যায়। কারণ দীর্ঘদিন নোংরা থাকা এসিতে ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস ও ফাঙ্গাস জন্ম নেয়। এই জীবাণুগুলো বাতাসে সঞ্চালিত হয়ে শিশুদের দেহে প্রবেশ করে। এর ফলে শিশুদের নানা ধরনের বায়ুবাহিত রোগে সংক্রামিত হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে।
শিশুর দুর্বল শারীরিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা
এসি থেকে ক্রমাগত ঠান্ডা বাতাসে প্রাপ্তবয়স্কদের মতো শিশুরা অভ্যস্ত হতে পারে না। এ মূল কারণ হচ্ছে এমন পরিবেশের জন্য শিশুদের শারীরিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এখনও পরিপক্ক নয়। ভয়ের বিষয় হচ্ছে- এসির শীতলতার সঙ্গে অভ্যস্ত হওয়ার পরিবর্তে তাদের শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা উল্টো বরং কমে যেতে পারে। এটি ক্রমশ তাদের স্বাভাবিক প্রতিরক্ষাকে দুর্বল করে বিধায় তারা সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত হয়।
আরো পড়ুন: এয়ার কন্ডিশনার ছাড়াই গরমে ঘর ঠান্ডা রাখার কার্যকরী উপায়
তাপমাত্রার আকস্মিক ওঠানামা
অনেকটা সময় এসি রুমে থাকার পর হঠাৎ সেখান থেকে বের হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বাইরের গরম বাতাস রীতিমত হামলে পড়ে। এরকম দ্বৈত আবহাওয়া শিশুদের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলে। বিষয়টি বাইরের প্রাকৃতিক পরিবেশ থেকে এসি রুমে প্রবেশের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। তাপমাত্রার এই আকস্মিক ওঠা-নামা শিশুর শরীরকে সর্দি-কাশিসহ অন্যান্য অসুস্থতার জন্য আরও সংবেদনশীল করে তোলে।
এসির বাতাসের ফলে সৃষ্ট শুষ্কতা
এয়ার কুলার ও এসির শুষ্ক বাতাস ঘরের আর্দ্রতাকে আশঙ্কাজনক হারে কমিয়ে দেয়। এই শুষ্কতা সরাসরি শিশুর নাসারন্ধ্র ও গলাকে ক্ষতিগ্রস্ত করে।
বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণের বিরুদ্ধে প্রতিরক্ষা বেষ্টনী হিসেবে কাজ করে শ্লেষ্মা ঝিল্লি। শুষ্ক বাতাস এই বেষ্টনীকে দুর্বল করে দিতে পারে। ফলে শিশুদের শ্বাসকষ্ট হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়।
আরো পড়ুন: শিশুকে ডেঙ্গু থেকে রক্ষার উপায়
১৯০ দিন আগে
সিএমপির ৪ থানার ওসি ও ৭ এসি পদে রদবদল
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) চার থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ (ওসি) ১১ পুলিশ পরিদর্শক পদে রদবদল হয়েছে। নগরীর ডবলমুরিং, পাহাড়তলী, হালিশহর ও ইপিজেড থানার ওসিকে বদলি করা হয়।
সোমবার (২৮ আগস্ট) রাতে সিএমপি কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায় এই বদলি আদেশে সই করেন।
রদবদলের বিষয়টি নিশ্চিত করেন সিএমপি মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) স্পিনা রানী প্রামাণিক।
তিনি বলেন, নিয়মিত বদলীর অংশ হিসেবে চার থানায় ওসি পদসহ ১১ জন পুলিশ পরিদর্শক পদে রদবদল হয়েছে। এ ছাড়াও সিএমপির সহকারী কমিশনার (এসি) সাতটি পদে রদবদল করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: থার্টি-ফার্স্ট নাইটে পতেঙ্গা ও পারকি বিচে নিষেধাজ্ঞা, সিএমপির ১৬ নির্দেশনা
বদলি আদেশে দেখা গেছে, ডবলমুরিং থানার ওসি সাখাওয়াৎ হোসেনকে নগর গোয়েন্দা পুলিশের পশ্চিম বিভাগে, তার স্থলে পদায়ন করা হয়েছে সিটিএসবির পরিদর্শক ফজলুল কাদের পাটোয়ারীকে। পাহাড়তলীর ওসি মোস্তাফিজুর রহমানকে সিটিএসবিতে বদলি করে পাহাড়তলী থানায় আনা হয়েছে হালিশহরের ওসি মোহাম্মদ জহির উদ্দীনকে, হালিশহরে পদায়ন করা হয়েছে বাকলিয়ার ওসি তদন্ত মো. কায়সার হামিদকে।
এ ছাড়া ইপিজেড থানার ওসি আবদুল করিমকে সিটিএসবিতে, তাঁর স্থলে বাকলিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ হোসাইনকে ওই থানার ওসি, কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক (অভিযান) আরমান হোসেনকে ওই থানার পরিদর্শক (তদন্ত), তার স্থলে সিটিএসবির পরিদর্শক নুরুল বাশারকে, অপরাধ শাখার পরিদর্শক আল মামুনকে বায়েজিদ বোস্তামী থানার পরিদর্শক (তদন্ত), গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক শহিদুর রহমানেক বাকলিয়া থানার পরিদর্শক তদন্ত পদে রদবদল করা হয়।
একই আদেশে কোতোয়ালির ওসি (অপারেশন্স) মো. আরমান হোসেনকে একই থানার ওসি (তদন্ত) হিসেবে পদায়ন করা হয়েছে, সিটিএসবির মো. নুরুল বাশারকে বদলি করে কোতোয়ালীর ওসি (অপারেশন্স), অপরাধ শাখার পরিদর্শক মো. আল মামুনকে বায়েজিদের ওসি (তদন্ত) এবং নগর গোয়েন্দা পুলিশের পশ্চিম বিভাগের পরিদর্শক মো. শহিদুর রহমানকে বাকলিয়া থানার ওসি (তদন্ত) হিসেবে বদলি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর জনসভাকে ঘিরে চট্টগ্রামে ৩ স্তরের নিরাপত্তা বলয়: সিএমপি কমিশনার
৫৯৭ দিন আগে
চাঁদপুরে এসির কাজ করার সময় ছাদ থেকে পড়ে যুবকের মৃত্যু
চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে এয়ার কন্ডিশনারের (এসি) কাজ করতে গিয়ে তিন তলার ছাদ থেকে পড়ে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার বিকালে উপজেলার ২নং বাকিলা ইউনিয়নের স্বর্ণা গ্রামের সালামত উল্ল্যাহর বাড়িতে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত বোরহান শেখ (২৫) একই উপজেলার ৯নং গন্ধর্ব্যপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা আব্দুল মান্নান শেখের ছেলে।
এ ঘটনায় হাজীগঞ্জ পৌর এলাকার টোড়াগড়ের বাসিন্দা রুবেল হোসেন(২২) আহত হয়েছেন। তাকে চাঁদপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: মাগুরায় গবাদিপশু বাঁচাতে গিয়ে আগুনে পুড়ে স্কুলছাত্রের মৃত্যু
হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. গোলাম মাওলা জানান, হাসপাতালে আনার পর বোরহানকে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। অন্যজনকে চিকিৎসা দিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। রাতে তার অবস্থা খারাপ দেখলে তাকে চাঁদপুর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয় বলে ইউএনবি কে জানান তিনি।
নিহতের মামা ফরিদ বলেন, ‘পরিবারের একমাত্র ছেলে বোরহান শেখ। তাকে নিয়ে পরিবারের অনেক স্বপ্ন ছিল। তার মৃত্যুতে সবকিছু এলোমেলো হয়ে গেল। এসি’র কাজ করতে গিয়ে তিন তলার ছাদ থেকে পড়ে গুরুতর আহত হন বোরহান। পরে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করায় তাকে হাসপাতাল থেকে নিয়ে আসা হয়েছে।
আরও পড়ুন: পঞ্চগড়ে ৬ মাসের মেয়েকে হত্যার দায়ে বাবার মৃত্যুদণ্ড
৭৬৪ দিন আগে
রাজধানীর নিকেতনে এসি বিস্ফোরণে দগ্ধ ২
রাজধানীর নিকেতনে একটি বাসায় এসি বিস্ফোরণে দুই যুবক দগ্ধ হয়েছেন। শনিবার সকাল সোয়া ৬টার দিকে গুলশানের নিকেতন সোসাইটির ৬ নম্বর রোডে ছয়তলা বাড়ির পঞ্চম তলার একটি ফ্লাটে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
আগুনের দগ্ধ আহতরা হলেন- গোপাল মল্লিক (২৮) ও মিজানুর রহমান (২০)।
তাদেরকে উদ্ধার করে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: খুলনায় চায়ের দোকানে বোমা বিস্ফোরণে আহত ৩
ফায়ার সার্ভিসের সদর দপ্তরের ডিউটি অফিসার রাশেদ বিন খালিদ জানান, খবর পেয়ে তিনটি ইউনিট গিয়ে আগুন নেভানোর কাজ করেন। বাসা থেকে দুই যুবককে উদ্ধার করে বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। ৬টা ৫৩ মিনিটে আগুন নেভানো হয়।
তিনি আরও জানান, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে এসি বিস্ফোরণ হয় বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তবে দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে কাজ চলছে।
আরও পড়ুন: রাজধানীর মগবাজারে বিস্ফোরণে আহত ৪
৭৭৫ দিন আগে
ঝালকাঠিতে এসির বিষাক্ত গ্যাসে স্বামী-স্ত্রীর মৃত্যু
ঝালকাঠির রাজাপুরে এসি থেকে নির্গত বিষাক্ত গ্যাসে এক দম্পতির মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় তাদের ছেলেসহ আহত হয়েছেন আরও তিনজন। শনিবার সকালে উপজেলার সাতুরিয়া ইউনিয়নের চান্দের বাড়ি এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- মো. ফোরকান হাওলাদার (৫৫) ও তার স্ত্রী মাহিনুর বেগম (৪৫)।
দুর্ঘটনায় আহত ফোরকানের ছেলে মাঈনুল, নিহতের ভাইয়ের বউ মাহফুজা আক্তার ও ভাইজি সারা মনিকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, সাতুরিয়ার আমতলা বাজারের ব্যবসায়ী ফোরকান হাওলাদার জেনারেটর চালিয়ে বাড়ির একটি কক্ষে এসি চালু করেন। এরপর স্ত্রী মাহিনুর বেগম, ছেলে মাইনুল ইসলাম, ছোট ভাইয়ের স্ত্রী মাহফুজা বেগম ও ভাইয়ের মেয়ে সারামণি ঘুমিয়ে পড়েন। সকালে এসিতে বিকট শব্দ হয়। এরপরই ওই কক্ষে বিষাক্ত গ্যাস ছড়িয়ে পড়ে। এতে ওই কক্ষে ঘুমিয়ে থাকা পাঁচজনই অসুস্থ হয়ে পড়েন। সকালে তাদের কোন সাড়া শব্দ না পেয়ে বড়ভাই সেলিম হাওলাদার বেলা ১১টার দিকে অন্য লোকজনের সহযোগিতায় গেটের তালা ভেঙে বিষাক্ত কক্ষ থেকে তাদের উদ্ধার করেন। এর মধ্যে ব্যবসায়ী ফোরকান হাওলাদার ও তাঁর স্ত্রী মাহিনুর বেগমকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। আহতদের অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার করে রাজাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
ঝালকাঠি জেলা প্রশাসক মো. জোহর আলী বলেন, জেনারেটর দিয়ে এসি চালানোর কারণেই তাদের মৃত্যু হয়েছে কিনা তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তবে প্রাথমিকভাবে একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করা হবে। আহতদের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঝালকাঠিতে লঞ্চে অগ্নিকাণ্ড: নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৫০
অভিনেত্রী শাওনের বাসায় এসি বিস্ফোরণ থেকে আগুন
গাজীপুরে এসি বিস্ফোরণে আহত ৪
৯৭০ দিন আগে
এসি, বাতি বন্ধ রেখে সংসদীয় কমিটির বৈঠক
বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের জন্য শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র (এসি), এমনকি বৈদ্যুতিক বাতি ব্যবহার না করেই বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় কমিটি বৈঠক করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
মঙ্গলবার সংসদ ভবনের মন্ত্রিপরিষদ কক্ষে সভা পরিচালনার জন্য বাইরে থেকে দিনের আলো যথেষ্ট ছিল বলে জানিয়েছেন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির চেয়ারপার্সন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ওয়াসেকা আয়শা খান।
ওয়াসেকা দাবি করেছেন যে সভায় আইন প্রণেতারা এবং অন্যান্য অংশগ্রহণকারীরা এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন।
সংসদ সচিবালয় সূত্র বলেছে, কোনও লোডশেডিং না থাকা সত্ত্বেও গরমের মধ্যে এসি ও বাতি ছাড়া কোন কমিটির এটিই প্রথম বৈঠক।
তিনি বলেন, সভা পরিচালনার জন্য বাইরের দিনের আলোই যথেষ্ট ছিল।
কমিটি বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়কে বিভিন্ন সরকারি ভবনে এনার্জি অডিট করতে বলেছে।
আরও পড়ুন: বিদ্যুৎ সাশ্রয়: মঙ্গলবার থেকে দেশে দৈনিক এক ঘণ্টা লোডশেডিং
সভায় প্রধান বৈদ্যুতিক পরিদর্শন (সিইআই) দপ্তরের কার্যক্রম এবং দেশের সার্বিক বিদ্যুৎ ব্যবস্থাপনায় এর ভূমিকা নিয়ে আলোচনা হয়।
সংরক্ষিত মহিলা আসনের আওয়ামী লীগের সাংসদ ওয়াসেকা বলেন, প্রাথমিকভাবে সংসদীয় কমিটি একটি সরকারি ভবনে এনার্জি অডিট করতে বলেছে যেখানে এসি ব্যবহারের কারণে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বিদ্যুৎ খরচ হয়।
‘টেকসই এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সহায়তায় বিদ্যুৎ বিভাগকে অডিট পরিচালনা করতে বলা হয়েছে’, তিনি বলেন।
অডিট রিপোর্ট পাওয়ার পর এ বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নির্ধারণ করা হবে বলেও ওয়াসেকা উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, সংসদীয় কমিটি চায় বিদ্যুৎ সাশ্রয় ও পরিবেশ রক্ষার জন্য সব সরকারি ভবনগুলোকে জ্বালানি সাশ্রয়ী কাঠামোতে পরিণত করা হোক।
বৈঠকে দেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রকল্পের বিপরীতে গৃহীত বৈদেশিক ঋণ পরিশোধের পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা হয়। ক্যাপাসিটি চার্জ পরিশোধ সংক্রান্ত প্রতিবেদন কমিটিতে উপস্থাপন করা হয়।
কমিটি বিদ্যুৎকেন্দ্রের ঋণ ও ঋণের সুদ পরিশোধের জন্য প্রবিধান প্রণয়নের সুপারিশ করেছে।
আরও পড়ুন: বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের লক্ষ্যে আলোকসজ্জা না করার নির্দেশনা
গ্যাস ও বিদ্যুৎ ব্যবহারে মিতব্যয়ী হওয়ার আহ্বান নসরুল হামিদের
১০০২ দিন আগে
গাজীপুরে এসি বিস্ফোরণে আহত ৪
গাজীপুরের কালিয়াকৈরে ইউনিয়ন ব্যাংক লিমিটেডের সার্ভার রুমের এসি বিস্ফোরণে চারজন গুরুতর আহত হয়েছেন। বুধবার উপজেলার মৌচাক বাজার এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
আহতেরা হলেন-ব্যাংকের দুই কর্মকর্তা গিয়াস উদ্দিন (৩২)ও শরিফ উদ্দিন তাহসিন (২৪) এবং এসির ইলেকট্রিসিয়ান জাকারিয়া চৌধুরী (২৬) ও আমিনুল ইসলাম (৩২)।
ব্যাংক কর্মকর্তা ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বুধবার ঢাকা থেকে তিনজন ইলেকট্রিসিয়ান ইউনিয়ন ব্যাংকের সার্ভার রুমের এসি সার্ভিসিং এর জন্য আসেন। সার্ভিসিং এর কাজ শুরু করলে এক পর্যায়ে হঠাৎ করে এসির বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণের পর আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে মৌচাক পপুলার হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মেডিকেলে পাঠানো হয়।
কালিয়াকৈর ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম জানান, এসি বিস্ফোরণের খবর শুনে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে ছুটে যান। তারা গিয়ে দরজা-জানলা ও রুমের কাঁচ ভাঙ্গা অবস্থা দেখতে পান।
ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনও জানা যায়নি বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: মসজিদে এসি বিস্ফোরণের ঘটনা তদন্তে তিতাসের ৫ সদস্যের কমিটি
রাজধানীতে এসি বিস্ফোরণে সাংবাদিকের ছেলের মৃত্যু
১০৪৩ দিন আগে
বাংলাদেশের বাজারে ৯ মডেলের এসি নিয়ে এলো ডাইকিন
জাপানের বৈশ্বিক এয়ার স্পেসালিস্ট ডাইকিন বাংলাদেশের বাজারে ৯টি মডেলের এয়ার কন্ডিশনার (এসি) উন্মোচন করেছে। এর মধ্যে ইনভার্টার ও নন-ইনভার্টার উভয় ধরনের মডেলই রয়েছে।
১৫৩২ দিন আগে