যাত্রীদের দুর্ভোগ
বরিশালের নৌযান শ্রমিকদের অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটে যাত্রীদের দুর্ভোগ
বরিশালে নৌযান শ্রমিকদের ধর্মঘটে শনিবার দিবাগত মধ্যরাত থেকে ১৮টি রুটে নৌযান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে যাত্রীদের পড়তে হয় ভোগান্তিতে।
শ্রমিকরা তাদের ন্যূনতম মজুরি ২০ হাজার টাকা নির্ধারণসহ ১০ দফা দাবি আদায়ে শনিবার রাতে ধর্মঘটের ঘোষণা দেন।মালিক সমিতি সূত্রে জানা গেছে, দূরপাল্লা ও অভ্যন্তরীণ মিলিয়ে ১৮টি রুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ রয়েছে। শনিবার দিবাগত রাত ১২টায় শ্রমিকরা বরিশাল টার্মিনাল থেকে লঞ্চগুলো সরিয়ে নেয় ও দূরপাল্লার নৌযান চলাচল বন্ধ আছে। ধর্মঘটের কারণে বরিশাল থেকে মালবাহী যানও চলাচল বন্ধ আছে।
নৌযান শ্রমিক সংগ্রাম পরিষদের বরিশাল জেলা সভাপতি মাস্টার একিন আলি বলেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।শ্রমিকদের অন্যান্য দাবিগুলো হলো- কর্মীদের নিয়োগপত্র, পরিচয়পত্র এবং সার্ভিস বই প্রদান; খাদ্য ও সমুদ্র ভাতা প্রদানের জন্য অবদানকারী ভবিষ্যত তহবিল ও নাবিক কল্যাণ তহবিল গঠন; কর্তব্যরত অবস্থায় দুর্ঘটনা ও মৃত্যুর জন্য ১০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ প্রদান।
আরও পড়ুন: হবিগঞ্জে পরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহার
হবিগঞ্জের পরিবহন ধর্মঘট চলছেই, বাড়ছে যাত্রীদের দুর্ভোগ
সারাদেশে ২৬ নভেম্বর থেকে নৌ-যান ধর্মঘট
১ বছর আগে
ভোলা-বরিশাল রুটে স্পিডবোট চলাচল বন্ধ
বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশের পূর্বে ৫ নভেম্বর পর্যন্ত তিন দিনের জন্য ভোলা-বরিশাল রুটে স্পিডবোট চলাচল বন্ধ রেখেছে স্পিডবোট মালিক সমিতি। বুধবার সন্ধ্যায় স্পিডবোট চলাচল বন্ধ থাকায় যাত্রীদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
ভোলা জেলার এক স্পিডবোট মালিক মঞ্জুরুল আলম জানান, তারা তিনদিনের ধর্মঘট পালন করেছেন তবে ধর্মঘটের কারণ বলেননি।
ইউএনবি প্রতিনিধি ভোলার ভেদুরিয়া ঘাটে স্পিডবোটের জন্য অপেক্ষারত অনেক যাত্রীকে দেখতে পান।বরিশাল স্পিডবোট ঘাটের ইনচার্জ তারেক শাহ জানান, বরিশাল থেকে নয়, ভোলা থেকে স্পিডবোট চলাচল বন্ধ করা হয়েছে।
এর আগে মহাসড়কে থ্রি-হুইলার চলাচলের অনুমতি দিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দাবিতে ৪ ও ৫ নভেম্বর ধর্মঘট ডেকেছেন বরিশালে তিন চাকার গাড়ি চালকরা।
ধর্মঘটটি বিএনপির আসন্ন সমাবেশের তারিখের সঙ্গে মিলে গেছে এবং একই তারিখে জেলার বাস মালিকরা একইভাবে ধর্মঘটের ঘোষণা দিয়েছে।
চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, খুলনা ও রংপুরের পর বিভাগীয় পর্যায়ে বরিশালে হচ্ছে বিএনপির পঞ্চম সমাবেশ।
আরও পড়ুন: আকস্মিক বাস ধর্মঘটে কুষ্টিয়া-মেহেরপুর রুটের যাত্রীদের দুর্ভোগ
রাজধানীর উত্তরা থেকে মহাখালী পর্যন্ত যানজট, যাত্রী দুর্ভোগ চরমে
চাঁপাইনবাবগঞ্জে করোনায় বন্ধ হওয়া ৬ ট্রেন চালু হয়নি, দুর্ভোগে যাত্রীরা
২ বছর আগে
রাজধানীতে বাস মালিকদের অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ে যাত্রীদের দুর্ভোগ
নজিরবিহীন মূল্যস্ফীতির মধ্যে আবার বাস মালিকদের অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের ফলে সাধারণ যাত্রীদের ভয়াবহ দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
জান্নাতুল ফেরদৌস নামের একজন সরকারি কর্মকর্তা জানান, বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে পল্টন পর্যন্ত ‘গ্রিন ঢাকা’ নামের একটি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বাসে ভাড়া হিসেবে তাকে বর্তমানে ১০০ টাকা দিতে হচ্ছে। আগে এর ভাড়া ছিলো ৬০ টাকা।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) গত ৬ আগস্ট রাজধানীর বাস মালিকদের দাবির প্রেক্ষিতে আগের প্রতি কিলোমিটারে ২ টাকা ১৫ পয়সা থেকে ৩৫ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ২টাকা ৫০ পয়সা আদায়ের অনুমতি দেয়।
এ হিসেবে ‘গ্রিন ঢাকা’ নামের বাসটির ভাড়া বৃদ্ধির হার অস্বাভাবিকরকম বেশি।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ
২ বছর আগে
গণপরিবহন চালু হওয়ায় ঢাকার রাস্তায় যানজট, কোভিড-১৯ পরিস্থিতির অবনতি
দেশব্যাপী সাত দিনের লকডাউনের তৃতীয় দিন বুধবার গণপরিবহন পুনরায় চালু হওয়ায় ঢাকার রাস্তায় যানজট দেখা গেছে।
যাত্রীদের দুর্ভোগের কারণে সরকার প্রতিদিন সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ঢাকা, চট্টগ্রাম, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, কুমিল্লা, রাজশাহী, খুলনা, সিলেট, বরিশাল, রংপুর ও ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন এলাকায় গণপরিবহন চলাচলের অনুমতি দেয়।
আরও পড়ুন: লকডাউনের তৃতীয় দিন: আন্তনগর বাস চলছে
এই শিথিলতা গণপরিবহনের অভাবে গত দু'দিন ধরে ভোগান্তিতে থাকা যাত্রী, বিক্রেতা, ব্যবসায়ী ও খুচরা বিক্রেতাদের জন্য এক ধরণের স্বস্তি এনেছে।
একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী শফিকুল ইসলাম বলেন, 'এটিই ভালো! এর ফলে আমরা সহজেই চলাচল করতে পারছি। তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা এখনও একটি সমস্যা হিসেবে রয়ে গেছে। লোকজন এখনও তা মানছে না।'
তবে, তিনি বলেন, গণপরিবহন আবার চালু হওয়ার সাথে সাথে ঢাকায় যানবাহনের পরিমাণ তুলনামূলকভাবে কম হলেও আগের ট্র্যাফিক বিশৃঙ্খলা ও শব্দদূষণ ফিরে এসেছে।
রাস্তায় গণপরিবহন তুলনামূলকভাবে কম হলেও মগবাজার, বনানী ও গুলিস্তান এলাকায় যানজট দেখা যায়।
আরও পড়ুন: লকডাউনে সিটি এলাকায় সকাল সন্ধ্যা গণপরিবহন চলবে
যুগ্ম কমিশনার (ট্রাফিক উত্তর) আবু সালেহ শেখ রাসেল বলেন, 'আন্তঃনগর বাস বুধবার সকালে পুনরায় কার্যক্রম শুরু করে তবে বাসের সংখ্যা কম। যাত্রী কম থাকায় মালিকরা খুব সীমিত সংখ্যক বাস বের করেছেন।'
ট্রাফিক ইন্সপেক্টর (মহাখালী) আসাদুজ্জামান বলেন, 'নগরীতে সীমিত সংখ্যক যাত্রী নিয়ে সকাল থেকেই বাস চলাচল করছে। সরকার রাইড শেয়ারিং সার্ভিস বন্ধ করায় এখনও যারা এই সার্ভিস দিচ্ছেন তাদের বিরুদ্ধে মামলা করছি।'
তিনি বলেন, 'লোকজন স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করছে কিনা তাও আমরা পর্যবেক্ষণ করছি।'
ইউএনবির সাথে আলাপকালে আলিফ পরিবহনের ব্যবস্থাপক আশরাফুজ্জামান বলেন, 'আমরা স্বাস্থ্যবিধি বজায় রেখে ৬০ শতাংশ বাস চালাচ্ছি। অন্যসময়, চারটি রুটে ২০০টি বাস চলাচল করে। যাত্রী সংখ্যা কম থাকায় এবং দূরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধ থাকায় আমরা এখন ৬০ শতাংশ বাস রাস্তায় নামিয়েছি।'
আরও পড়ুন: জনগণের উদাসীনতার মাঝেই দেশে লকডাউনের ২য় দিন শুরু
তবে বাস সার্ভিস পুনরায় চালু করায় রাজধানীর অফিসগামী যাত্রী ও অন্যান্য যাত্রীদের দুর্ভোগ স্পষ্টতই হ্রাস পেয়েছে।
বুধবার কোভিড-১৯ এ আক্রান্তের সংখ্যা নতুন করে বাড়লেও স্বাস্থ্যবিধি ও লকডাউন মেনে চলার ক্ষেত্রে জনগণের অনীহা দেখা গেছে।
ইউএনবি সংবাদদাতা মালিবাগ এলাকায় রেললাইনের পাশে কাঁচাবাজারে সাধারণ মানুষের ভিড় দেখেন যেন ব্যবসায়িক কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
এই কাঁচাবাজারে সবজি বিক্রেতা সজল বলেন, 'আজ অনেক ক্রেতা আসায় ব্যবসা আবার আগের অবস্থায় ফিরে এসেছে।'
তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পরিস্থিতি দিন দিন আরও খারাপ হওয়ায় কঠোরভাবে লকডাউন কার্যকর না করা হলে করোনভাইরাসের সংক্রমণ এবং মৃত্যুর হার নিয়ন্ত্রণ কঠিন হবে।
বেশিরভাগ হাসপাতাল রোগীতে পরিপূর্ণ থাকায় অনেক রোগী ভর্তি হতে বা অক্সিজেনের জন্য এক হাসপাতাল থেকে অন্য হাসপাতালে যেতে থাকেন।
আরও পড়ুন: দেশব্যাপী চলমান লকডাউনকে 'অবৈজ্ঞানিক ও আংশিক' মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা
প্রাইভেটকার, রিকশা ও অটোরিকশা, মাইক্রোবাস এবং সিএনজিচালিত অটোরিকশা এবং অনেক রাইড শেয়ারিং সার্ভিস আগের দু'দিনের মতো রাস্তায় চলাচল করতে দেখা গেছে।
সরকারি নির্দেশনা অনুসারে শহর জুড়ে শপিংমল বন্ধ থাকলেও বিভিন্ন এলাকায় ছোট ছোট দোকান খোলা দেখা গেছে।
দেশের করোনা পরিস্থিতি
বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় রেকর্ড ৭ হাজার ৬২৬ জনের শরীরে নতুন করে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।
এ নিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ছয় লাখ ৫৯ হাজার ২৭৮ জনে পৌঁছেছে।
এছাড়া সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় এই ভাইরাসে আরও ৬৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৯ হাজার ৪৪৭ জনে দাঁড়িয়েছে।
আরও পড়ুন: কোভিড-১৯: দেশে শনাক্তে নতুন রেকর্ড, মৃত্যু আরও ৬৩
২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ২২.০২ শতাংশ। মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৫০ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৩ শতাংশ।
এদিকে, ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ৩ হাজার ২৫৬ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৬১ হাজার ৬৩৯ জনে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৫ দশমিক ১৯ শতাংশ।
৩ বছর আগে
বেনাপোল চেকপোস্টে ভ্রমণকর রসিদ বই নেই, যাত্রীদের দুর্ভোগ
বেনাপোল চেকপোস্ট সোনালী ব্যাংকে ভ্রমণকর বই না থাকায় ভারতগামী বাংলাদেশি যাত্রীরা ব্যাপক হয়রানির শিকার হচ্ছেন।
৪ বছর আগে