শিক্ষিকা
চট্টগ্রামে স্কুল শিক্ষিকার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
চট্টগ্রাম মহানগরীতে পতেঙ্গা এলাকায় নিজ বাসায় গলায় ওড়না প্যাঁচানো ঝুলন্ত অবস্থায় জয়া মজুমদার (২২) নামে এক স্কুল শিক্ষিকার লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) রাতে নগরীর পতেঙ্গা থানার কাঠগড় এলাকার ২ নম্বর গলিত থেকে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে।
আরও পড়ুন: সিলেটে স্কুল শিক্ষিকা, গৃহকর্মীর লাশ উদ্ধার নিয়ে রহস্য!
জয়া মজুমদার পতেঙ্গার স্থানীয় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করতেন। তার স্বামীর নাম সুজিত মজুমদার।
পতেঙ্গা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সাইদুর রহমান বলেন, এক নারীর আত্মহত্যার খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে যাই। সেখানে ওই নারীকে গলায় ওড়না প্যাচানো ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পাই। তবে কী কারণ তিনি আত্মহত্যা করলেন তা এখনো বলতে পারছি না।
তিনি আরও বলেন, আমরা সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করেছি। আর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠিয়ে দিয়েছি।
আরও পড়ুন: তুরস্কে আরও ৪ জনের লাশ উদ্ধার করল বাংলাদেশ সম্মিলিত দল
তুরস্কে ভূমিকম্পের ৮ দিন পর আরও জীবিত মানুষ উদ্ধার
১ বছর আগে
যশোরে শিক্ষিকার নাক ফাটানো সেই ট্রেনপরিচালক বরখাস্ত
যশোরে লাথি মেরে শিক্ষিকার নাক ফাটানো সেই ট্রেনপরিচালক আবদুল্লাহ আল মামুনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নওয়াপাড়া রেলওয়ে স্টেশনমাস্টার মো. মাসুদ রানা।
তিনি জানান, একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত সংবাদের পর রেলওয়ে পাকশী কর্তৃপক্ষ ভুক্তভোগী শিক্ষিকার অভিযোগ পেয়ে ট্রেনের পরিচালক আবদুল্লাহ আল মামুনকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেছে। তাছাড়া তাকে ট্রেনের সব প্রকার দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। শিক্ষিকার অভিযোগ আমলে নিয়ে অচিরেই বিষয়টি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণেরও সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: খুলনায় বগী লাইনচ্যুত, ২ ঘণ্টা পর ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক
উল্লেখ্য, শুক্রবার সকালে নওয়াপাড়া রেলস্টেশনে বেনাপোলগামী ট্রেনপরিচালকের লাথিতে নাক ফেটে আহত হন স্কাউটে অংশ নিতে যাওয়া এক স্কুলশিক্ষিকা। তাছাড়া ওই পরিচালকের লাঠির আঘাতে ইরিন জাহান লিজা নামে এক স্কুলছাত্রীও আহত হয়।
এ দৃশ্য দেখে ট্রেনযাত্রীরা হতভম্ব ও আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েন।
জানা যায়, ঝিকরগাছায় অনুষ্ঠেয় স্কাউটের পুষ্প ক্যাম্পে অংশ নিতে যাওয়া এক স্কুলশিক্ষিকা তার স্কুলের দুই শিক্ষার্থীকে নিয়ে বেনাপোলগামী ট্রেনে যেতে চান। প্রচণ্ড ভিড়ে ট্রেনে উঠতে না পেরে ওই স্কুলশিক্ষিকা শিক্ষার্থী দুজনকে ট্রেনের মাঝ বরাবর থাকা ট্রেনপরিচালকের (গার্ড) রুমের সামনে গিয়ে তাদের উঠাতে অনুরোধ করেন। ট্রেন ছাড়ার মুহূর্তে বারবার অনুরোধের একপর্যায়ে ট্রেনের পরিচালক আবদুল্লাহ আল মামুন ক্ষিপ্ত হয়ে ওই স্কুলশিক্ষিকার মুখে লাথি মারেন এবং লাঠি দিয়ে এক ছাত্রীকে বেধড়ক পেটান। ট্রেনপরিচালকের লাথিতে শিক্ষিকার নাক দিয়ে রক্ত বের হয়। তা ছাড়া লাঠির আঘাতে স্কুলছাত্রী ইরিন জামান লিজাও আহত হয়।
বিষয়টি সম্পর্কে নওয়াপাড়া রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশনমাস্টার মো. মাসুদ রানা জানান, ঘটনার দিনে তিনি স্টেশনে ছিলেন না। শনিবার তিনি ভুক্তভোগী শিক্ষিকাকে ফোন করে দুঃখ প্রকাশ করেন।
রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ অচিরেই বিষয়টির সুষ্ঠু সমাধান করবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে যমুনা এক্সপ্রেসের ইঞ্জিন বিকল, ঢাকার সঙ্গে উত্তরাঞ্চলের ট্রেন চলাচল বন্ধ
ফেনীতে ট্রেনে কাটা পড়ে রিকশাচালকের মৃত্যু
১ বছর আগে
জুয়া খেলার জন্য বকাঝকা করায় খালা রোকশানাকে হত্যা করেছে নিশাত: পুলিশ
অনলাইনে জুয়া খেলার জন্য বকাঝকা করায় কুষ্টিয়া জিলা স্কুলের শিক্ষিকা রোকশানা খানমকে তার ভাগ্নে নওরোজ কবির নিশাত হত্যা করেছে। নিশাত এই হত্যার দায় স্বীকার করেছে বলে মঙ্গলবার কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার খায়রুল আলম জানিয়েছেন।
নিশাত (২০) মৃত একেএম নুর-ই-আসলামের ছেলে।
জানা যায়, নিহত রোকসানার স্বামী মোস্তাফিজুর রহমান বাদী হয়ে কুষ্টিয়া থানায় অজ্ঞাতনামা কয়েকজনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করে। সোমবার রাতে রোকশানার ভাগ্নেকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দারা।
পুলিশ সুপার জানান, অভিযুক্ত নওরোজ পুলিশকে জানান রোকসানার মালিকানাধীন ছয়তলা ভবনের চতুর্থ তলায় তিনি তার ভাই ও মায়ের সঙ্গে থাকেন। সন্তান না থাকায় রোকসানা তার ফ্ল্যাটে তাদের আশ্রয় দেন।
তিনি আরও বলেন, তার খালা তাকে অনলাইনে জুয়া খেলার জন্য বকাঝকা করতেন এবং একই বিষয়ে রবিবার রাতেও তাকে বকাঝকা করেন।
আরও পড়ুন: দরজা ভেঙে শিক্ষিকার রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার!
ওই পুলিশ কর্মকর্তা জানান, নওরোজ কৌশলে রোকসানার বেডরুমে অবস্থান নেয় এবং ঘুমন্ত অবস্থায় একটি ভারী পাথর দিয়ে তার মাথায় আঘাত করে।
পরে বারান্দার গ্রিল ভেঙে সে পালিয়ে যায় বলেও জানান তিনি।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কুষ্টিয়া মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জহুরুল ইসলাম জানান, নওরোজকে মঙ্গলবার কুষ্টিয়ার আদালতে হাজির করা হবে।
প্রসঙ্গত, গতকাল সোমবার সকালে কুষ্টিয়ার হাউজিং ডি-ব্লক এলাকায় নিজের অ্যাপার্টমেন্ট থেকে কুষ্টিয়া জিলা স্কুলের সিনিয়র ইংরেজি শিক্ষিকার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
আরও পড়ুন: নাটোরে স্কুল শিক্ষিকাকে ধর্ষণ ও হত্যা মামলার পলাতক আসামি গ্রেপ্তার
শিক্ষিকাকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার ৩
২ বছর আগে
দরজা ভেঙে শিক্ষিকার রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার!
কুষ্টিয়ায় নিজ বাড়িতেই এক স্কুল শিক্ষিকাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
রবিবার (৬নভেম্বর) কুষ্টিয়া শহরের হাউজিং ডি ব্লকের ২৮৫ নম্বর বাসার শয়ন কক্ষে বিছানার ওপর থেকে রোকশানা খানম (৫২) রুনা নামের ওই স্কুল শিক্ষিকার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
রোকশানা খানম কুষ্টিয়া জিলা স্কুলের ইংরেজী বিষয়ের একজন সিনিয়র শিক্ষিকা ছিলেন। তার স্বামী খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান এলজিইডি’র যশোর চৌগাছার হিসাব রক্ষক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।
আরও পড়ুন: কাপ্তাই হ্রদে স্পিডবোট ও নৌকার সংঘর্ষ: নিখোঁজ ২ শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার
পুলিশ জানায়,ছয় তলা বিশিষ্ট বাড়িটি ওই শিক্ষিকার নিজের। নিঃসন্তান ওই শিক্ষিকা দ্বিতীয় তলায় একাই বসবাস করতেন। বাসাটির চতুর্থ তলায় থাকতেন ওই শিক্ষিকার মৃত ভাই এ কে এম নূরে আসলামের পরিবার।
ভাতিজা নওরোজ কবির নিশাত জানান,সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ফুপু রোকশানা খানমকে তারা ডাকতে গিয়ে দেখেন দরজা ভেতর থেকে লক করা। অনেক ডাকাডাকি করার পরও দরজা না খোলায় তারা জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ ফোন করে বিষয়টি জানালে পুলিশ তাদেরকে দরজা ভেঙ্গে ফেলার জন্য বলে। কয়েকজন মিলে দরজা ভেঙ্গে ঘরের ভিতরে প্রবেশ করে তারা দেখতে পান দোতালার দক্ষিণ পাশের শয়ন কক্ষের বিছানার ওপর কাত হয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় ফুপুর দেহ পড়ে রয়েছে। মাথায় জখমের চিহ্ন। ওই ঘরের আসবাব-পত্র, কাপড়-চোপড়, ড্রয়ার সব কিছু ছড়ানো-ছিটানো অবস্থায় মেঝেতে পড়ে রয়েছে।
এরপর বেলা ১১ টার দিকে কুষ্টিয়া মডেল থানা পুলিশ, র্যাব,পিআইবি,ডিবি পুলিশসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে পৌছায়।
কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেলোয়ার হোসেন খাঁন জানান,প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে এটি একটি হত্যাকাণ্ড। তবে কারা কী উদ্দেশ্যে ওই শিক্ষিকাকে হত্যা করেছে এ বিষয়টি এখনও স্পষ্ট নয়।
দুর্বৃত্তরা দোতালার বারান্দার দরজা ভেঙ্গে ওই বাড়িতে প্রবেশ করে এবং হত্যাকাণ্ড শেষে আবার ওই দরজা দিয়েই পালিয়ে যায়।
পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। সার্বিক বিষয় তদন্ত করে দেখছে পুলিশ।
এ ব্যাপারে কুষ্টিয়া জিলা স্কুলের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) মো. এফতে খাইরুল ইসলাম বলেন, রোকশানা খানম তার স্কুলের একজন সিনিয়র ইংরেজীর শিক্ষিকা ছিলেন।
একজন ভালো শিক্ষিকা হবার পাশাপাশি তিনি একজন ভালো মানুষ ছিলেন। তিনি স্কুলের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে অবিলম্বে শিক্ষকা রোকশানা খানমের হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
আরও পড়ুন: যশোরে গৃহবধূর লাশ উদ্ধার, স্বামী পলাতক
সিলেটে শয়ন কক্ষ থেকে স্বামী-স্ত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
২ বছর আগে
পঞ্চগড়ে সড়কে স্বামীর সামনে মাদরাসা শিক্ষিকার মৃত্যু
পঞ্চগড়ে মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়ে এক মাদরাসা শিক্ষিকার মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার (২১ অক্টোবর) জেলার তেঁতুলিয়া উপজেলার তেঁতুলিয়া-পঞ্চগড় মহাসড়কের ভজনপুর ডিগ্রি কলেজের সামনে এ দুর্ঘটনাটি ঘটে।
নিহত শিক্ষিকা আনোয়ারা খানম আনু (৪০) একই উপজেলার শালবাহান বাজার এলাকার বাসিন্দা।
আরও পড়ুন: সেপ্টেম্বরে ৪০৭ সড়ক দুর্ঘটনায় ৪৭৬ জনের প্রাণহানি: আরএসএফ
তিনি ওই এলাকার জহির রায়হানের স্ত্রী এবং শালবাহান দাখিল মাদরাসার সহকারী শিক্ষিকা।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, আনু জহির রায়হানের মোটরসাইকেলযোগে দিনাজপুর যাচ্ছিলেন। তেঁতুলিয়া-পঞ্চগড় মহাসড়কের ভজনপুর ডিগ্রি কলেজের সামনে একটি কুকুরের সঙ্গে মোটরসাইকেলটির সংঘর্ষ হলে পিছনে বসে থাকা আনু সড়কে ছিটকে পড়েন।
স্থানীয়রা গুরুতর আহতাবস্থায় তাকে উদ্ধার করে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে হাসপাতালের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তেঁতুলিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু সাঈদ ও তেঁতুলিয়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাকির হোসেন মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়ে এক মাদরাসা শিক্ষিকা নিহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: অস্ট্রেলিয়া সড়ক দুর্ঘটনায় ৩ বাংলাদেশি পর্যটক নিহত
বেনাপোলে সড়ক দুর্ঘটনায় ভারতীয় ট্রাকচালক নিহত
২ বছর আগে
শিক্ষিকাকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার ৩
কক্সবাজারে স্কুল শিক্ষিকাকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামিসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে র্যাব-১৫ এর সহকারী পুলিশ সুপার নিত্যানন্দ দাশ।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- সদর উপজেলার পিএমখালী ইউনিয়নের ছনখোলা এলাকার হাবিবুর রহমানের ছেলে বেদার মিয়া (২৮), উত্তর তারানিয়াপাড়ার দিল মোহাম্মদের ছেলে মোস্তাক মিয়া (২৪) ও খরুলিয়া এলাকার মৃত রশিদ আহমেদের পুত্র মো. বেলাল উদ্দিন (২২)।
পুলিশ সুপার নিত্যানন্দ দাশ জানান, মঙ্গলবার রাতে পিএমখালী এলাকার একটি নির্মাণাধীন ভবনে অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আরও পড়ুন:চট্টগ্রামে শিশু ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে গ্রেপ্তার ১
তিনি জানান, গত ১৯ আগস্ট রাতে মামলার প্রধান অভিযুক্ত বেদার মিয়া আরও তিন সহযোগীসহ ভুক্তভোগীকে অস্ত্রের মুখে ভয় দেখিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে। ২৩ আগস্ট ভুক্তভোগী নিজে বাদি হয়ে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় একটি সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলা করেন।
তিনি আরও জানান, বিভিন্ন গণমাধ্যমে বিষয়টি প্রকাশ হলে র্যাব বিষয়টি জেনে ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িত অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের জন্য ছায়াতদন্ত শুরু করে। এর প্রেক্ষিতে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়।
এছাড়া প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার আসামিরা সকলেই সংঘবদ্ধ ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে বলেও জানান ওই পুলিশ সুপার।
তিনি আরও জানান, গ্রেপ্তার আসামিদের কক্সবাজার সদর থানায় হস্তান্তর কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
আরও পড়ুন:ঠাকুরগাঁওয়ে গৃহবধূকে ‘সংঘবদ্ধ ধর্ষণ’, গ্রেপ্তার ৩
চাচাতো বোনকে ধর্ষণের পর গলা টিপে হত্যা!
২ বছর আগে
কলেজছাত্রকে বিয়ে করা সেই শিক্ষিকার মরদেহ উদ্ধার, স্বামী আটক
নাটোরের গুরুদাসপুরে কলেজছাত্রকে বিয়ে করা শিক্ষিকা খায়রুন নাহারের (৪২) মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার সকালে নাটোর শহরের বলাড়িপাড়া এলাকার ভাড়া বাসা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় স্বামী মামুনকে আটক করা হয়েছে।
নিহত খায়রুন নাহার গুরুদাসপুর উপজেলার খুবজীপুর ডিগ্রী কলেজের দর্শন বিভাগের সহকারি অধ্যাপক এবং আটক মামুন উপজেলার ধারাবারিষা ইউনিয়নের পাটপাড়া গ্রামের বাসিন্দা।
নাটোর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি, তদন্ত) আবুল কালাম জানিয়েছেন, স্বামী মামুনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নেয়া হয়েছে। মামুনের দাবি রাতে ঘরের সিলিং ফ্যানের সাথে নিজের ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে তার স্ত্রী খায়রুন নাহার। ময়নাতদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে।
নাটোর থানা পুলিশ ও পিবিআই সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আলামত সংগ্রহ করছে বলে তিনি জানান।
জানা গেছে, এক বছর আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে শিক্ষিকা নাহারের সঙ্গে কলেজছাত্র মামুনের পরিচয় হয়। এরপর থেকে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। একপর্যায়ে ২০২১ সালের ১২ ডিসেম্বরে বিবাহবন্ধনে আবন্ধ হন তারা। তবে বিষয়টি চলতি বছরের ৩১ জুলাই এলাকায় জানাজানি হয়। এর আগে ওই শিক্ষিকা রাজশাহী বাঘা উপজেলার এক ছেলেকে বিয়ে করেছিলেন, তবে সেই সংসার বেশি দিন টিকেনি।
পড়ুন: বিয়ের কথা বলে ডেকে নিয়ে কিশোরিকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ!
বিয়ের আশ্বাসে তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, সিলেটে গ্রেপ্তার ৩
২ বছর আগে
পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীর সঙ্গে ছেলের বিয়ে, সেই শিক্ষিকা সাময়িক বরখাস্ত
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বেগমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা শামসুন্নাহারকে অবশেষে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৯ মার্চ) তাকে সাময়িক বরখাস্তের আদেশে সই করেন নিয়োগকারী কর্মকর্তা চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোস্তাফিজুর রহমান।
বিষয়টি নিশ্চিত করে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, নিজ ছেলের সঙ্গে পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীর বিয়ের বিষয়টি গণমাধ্যম থেকে আমার নজরে আসে। এরপর সোমবার সকালে সরজমিনে একজন সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে সরজমিনে পাঠানো হয়। তদন্তকারী কর্মকর্তা ঘটনার সত্যতা পেয়েছেন। মঙ্গলবার সকালে শিক্ষিকা বেগম শামসুন্নাহারকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
এর আগে ২৮ মার্চ বার্তা সংস্থা ইউএনবিসহ গণমাধ্যমে এ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ হলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নড়েচড়ে বসে।
উপজেলা শিক্ষা অফিসার উত্তম কুমার কুণ্ডু বলেন, ‘গণমাধ্যমে বিষয়টি জানতে পেরে সোমবার সকালে সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মাসুমা আক্তার সরজমিনে গিয়ে ঘটনার সত্যতার জন্য ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়। পরে ওই শিক্ষিকা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে লিখিত বক্তব্য দিয়েছেন। এরপর আমি তাৎক্ষণিক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং নিয়োগকারী কর্মকর্তা জেলা শিক্ষা অফিসার বরাবর ওই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ও আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করার অনুরোধ জানিয়ে পত্র দিয়েছিলাম। মঙ্গলবার তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে।’
উল্লেখ্য, গত ২০ মার্চ চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তিতুদহ ইউনিয়নের ছোটশলুয়া গ্রামের বিলপাড়ার দিনমুজুর অসোক আলীর মেয়ে (১১) বেগমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী একই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা শামসুন্নাহার তার ছেলে যদুপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র আব্দুর রহমানের বিয়ে দেন । প্রথম কয়েকদিন বিষয়টি গোপন থাকলেও নব বিবাহিতা স্ত্রীকে নিয়ে ঘটা করে শশুর বাড়ী ছোটশলুয়া গ্রামে বেড়াতে আসলে তা জানাজানি হয়ে যায়। এ নিয়ে বিভিন্ন মহলে নানা সমালোচনা শুরু হয়।
পড়ুন: পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীর সঙ্গে ছেলের বিয়ে দিলেন স্কুলশিক্ষিকা
পাঠ্যক্রমে বাল্যবিয়ের কুফল অন্তর্ভূক্ত করা হবে
২ বছর আগে
সাতক্ষীরায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় স্কুল শিক্ষিকাসহ নিহত ২, আহত ৯
সাতক্ষীরায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় এক স্কুল শিক্ষিকাসহ দুই জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় আহত হয়েছে কমপক্ষে ৯ জন। শনিবার সকালে শ্যামনগর উপজেলার আটুলিয়ায় ও দুপুরে সাতক্ষীরা-যশোর মহাসড়কের তুজুলপুরে এই দুর্ঘটনা দুটি ঘটে।
নিহতরা হলেন- সাতক্ষীরা সদর উপজেলার রইচপুর গ্রামের মৃত মাজেদ মোড়লের ছেলে ফারুক হোসেন বাবু (৪৫) এবং শ্যামনগর উপজেলার আটুলিয়া ইউনিয়নের বড়কুপট গ্রামের দেবনাথ রপ্তানের স্ত্রী ও সোয়ালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা রিতা রানী (৪৫)।
এসময় রইচপুর গ্রামের মোকলেছুর রহমান (৩২), ইঞ্জিনভ্যান চালক ছলেমান (৩৫), সুপারিঘাটা গ্রামের কার্ত্তিক দাস (৩৩), বাঙালের মোড়ের ইসলামসহ (৫৫) মোট ৯ জন আহত হয়েছেন।
স্থানীয়রা জানান, সাতক্ষীরা-যশোর মহাসড়কের তুজুলপুর এলাকায় সাতক্ষীরা থেকে রাজশাহীগামী স্বপ্নীল পরিবহনের সঙ্গে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ইঞ্জিনভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এসময় বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা লাগে এবং ইঞ্জিনভ্যানটি রাস্তার ধারে ছিটকে পড়ে। এতে ইঞ্জিনভ্যানের যাত্রী ফারুক হোসেনসহ পরিবহন ও ইঞ্জিনভ্যানের মোট ১০ যাত্রী গুরুতর আহত হন। এর মধ্যে গুরুতর আহত ফারুক হোসেনকে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত ৯ জনের মধ্যে তিন যাত্রীর পা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। আহতদের জেলা সদর হাসাপাতাল ও মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: পিরোজপুরে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানসহ নিহত ২
এদিকে, এর আগে শনিবার সকালে বাড়ি থেকে স্কুলে যাওয়ার পথে মোটরসাইকেল থেকে পড়ে মাথায় আঘাত পান রিতা রানী। স্থানীয়রা আহত অবস্থায় রিতা রানীকে শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম কবীর ও শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওয়াহিদ মোর্শেদ এ দুটি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, লাশ দুটি উদ্ধার করে সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া আহতদের সদর হাসাপাতাল ও মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সড়ক দুর্ঘটনার পর ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ২০ কিলোমিটার যানজট
কুষ্টিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় দুজনের মৃত্যু
২ বছর আগে
রাজবাড়ীতে শিক্ষিকাকে একসঙ্গে করোনার ২ ডোজ টিকা দেয়ার অভিযোগ
রাজবাড়ীতে করোনা ভ্যাকসিন কর্মসূচিতে এক কলেজ শিক্ষিকাকে একসঙ্গে দুই ডোজ টিকা দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। শনিবার দুপুর ১২টার দিকে সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কার্যালয় কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযোগকারী রাবেয়া আক্তার মিতু (৩৪) মানিকগঞ্জ আ. রাশেদ খান টেকনিক্যাল স্কুল এ্যান্ড কলেজের প্রভাষক।
তিনি অভিযোগ করে বলেন,শনিবার সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কার্যালয় কেন্দ্রে করোনা ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ নিতে যান তিনি। স্বাস্থ্যকর্মী প্রথমে এক ডোজ টিকা দিয়ে আবার আরেকটি ডোজ টিকা একসঙ্গে দেয়। বাধা দিলেও স্বাস্থ্যকর্মী কথা শোনেননি। পরে তিনি বিষয়টি সিভিল সার্জন ও সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আব্দুর রহমানকে অভিহিত করেন। পরে তাকে বাড়িতে গিয়ে বিশ্রাম নিতে বলা হয়।
আরও পড়ুন: সাভারে টিকাকেন্দ্রে পদদলিত হয়ে আহত ৩০
সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আব্দুর রহমান জানান, স্বাস্থ্যকর্মীরা সতর্কতার সঙ্গে কাজ করছে। হয়তো ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। শিক্ষিকার নাম পরিচয় রাখা হয়েছে। চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে ফোন নম্বর দেয়া হয়েছে।
রাজবাড়ীর সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইব্রাহিম টিটন জানান, ‘রাজবাড়ী জেলার পাঁচটি উপজেলাতে শনিবার করোনা ভ্যাকসিন প্রদান কর্মসূচি চলছে। কলেজ শিক্ষিকার সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি সম্পূর্ণ সুস্থ আছেন।’
আরও পড়ুন: করোনা টিকা উৎপাদনের প্রযুক্তি ও জ্ঞান ভাগ করে নেয়ার আহ্বান ঢাকার
২ বছর আগে