জাতীয় শিশু দিবস
বিমানে বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন
নানা কর্মসূচির মাধ্যমে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন করেছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স।
রবিবার (১৭ মার্চ) দিবসটি উপলক্ষে বিমানের প্রধান কার্যালয় বলাকায় এবং ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে গভীর শ্রদ্ধা জানানো হয়।
আরও পড়ুন: ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বিমানের অতিরিক্ত ফ্লাইট
এসময় বঙ্গবন্ধুর আত্মার মাগফিরাত কামনায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
১৭ মার্চ উপলক্ষে বিমানের প্রধান কার্যালয় বলাকায় প্রাক-প্রাথমিক থেকে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে চিত্রাঙ্কন ও ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে রচনা প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।
দিবসটি উপলক্ষ্যে বিমানের সব অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক ফ্লাইটে বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবসের ঘোষণা দেওয়া হয় এবং ইন ফ্লাইট এন্টারটেইনমেন্টে (আইএফই) প্রচার করা হয়।
বিমানের প্রধান কার্যালয় বলাকায় বঙ্গবন্ধুর গৌরবময় কর্মজীবন নিয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয় এবং প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বিমান পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান ও সাবেক সিনিয়র সচিব মোস্তাফা কামাল উদ্দীন এবং সভাপতিত্ব করেন বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও জনাব শফিউল আজিম।
আলোচনা সভা শেষে চিত্রাঙ্কন ও রচনা প্রতিযোগিতায় বিজয়ী ও অংশগ্রহণকারী সকল শিশুর মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
আরও পড়ুন: ফেসবুকে বিমানের লন্ডন-ঢাকা ফ্লাইটের আসন ফাঁকা পোস্টের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ
বিমানের নতুন গ্রাউন্ড সাপোর্ট ইক্যুইপমেন্ট কমিশনিং ও যানবাহন প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত
৯ মাস আগে
বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষ্যে জাতিসংঘে শিশু-কিশোর আনন্দমেলা
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস-২০২৩ পালনের অংশ হিসেবে শনিবার (১৮ মার্চ) যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বাংলাদেশি শিশু-কিশোরদের অংশগ্রহণে জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে দিনব্যপী শিশু-কিশোর আনন্দমেলা অনুষ্ঠিত হয়।
জাতীয় সংগীত পরিবেশনা ও জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্যে দিয়ে এই আনন্দমেলা শুরু হয়।
পরবর্তীতে জাতির পিতা ও তার পরিবারের সদস্যদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয় এবং জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
এছাড়া অনুষ্ঠানে জাতির পিতার জীবন ও কর্মের উপর একটি প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন করা হয় এবং জাতির পিতার ১০৩তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে কেক কাটা হয়।
শিশু-কিশোর আনন্দমেলায় আয়োজিত চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় শিশু-কিশোরেরা বঙ্গবন্ধু এবং বাংলাদেশের গ্রামীণ দৃশ্য ক্যানভাসে ফুটিয়ে তোলে।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে ‘বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা ও স্মার্ট বাংলাদেশ’- বিষয়ে শিশু কিশোরদের জন্য বয়সভিত্তিক রচনা প্রতিযোগিতা এবং বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ পাঠ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। এসকল প্রতিযোগিতায় অর্ধ শতাধিকেরও বেশি শিশু-কিশোর অংশগ্রহণ করে।
আরও পড়ুন: লন্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশনে ব্রিটিশ-বাংলাদেশি শিশু-কিশোরদের বঙ্গবন্ধুর অসাম্প্রদায়িক ও মানবিকতার আদর্শে গড়ে তোলার আহ্বান
অনুষ্ঠানে জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আব্দুল মুহিত বক্তব্য দেন এবং চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, রচনা প্রতিযোগিতা ও বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ উপস্থাপনে বিজয়ীদের পুরস্কার তুলে দেন। রাষ্ট্রদূত মুহিত তার বক্তব্যে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্ম এবং নিপীড়িত-বঞ্চিত শোষিত মানুষের অধিকার আদায় এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনে বঙ্গবন্ধুর সংগ্রাম ও নেতৃত্বের বিষয়সমূহ বিস্তারিত বর্ননা করেন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু বিশ্বাস করতেন যে ‘শিশুরাই আমাদের ভবিষ্যৎ। একদিন শিশুরাই দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।’ সে ভালোবাসা থেকেই জাতিসংঘে শিশু সনদ গৃহীত হওয়ার প্রায় ১৫ বছর আগে ১৯৭৪ সালে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশে জাতীয় শিশু আইন প্রণয়ন করেন এবং প্রাথমিক শিক্ষাকে সবার জন্য বাধ্যতামূলক করেন। শিশুদের প্রতি বঙ্গবন্ধুর অপরিসীম স্নেহ ও ভালোবাসাকে স্মরণীয় করে রাখতে ১৯৯৭ সাল হতে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ১৭ মার্চে জাতীয় শিশু দিবস পালন করা হচ্ছে।
রাষ্ট্রদূত মুহিত এ বছরের জাতীয় শিশু দিবসের প্রতিপাদ্য– ‘স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্নে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন, শিশুদের চোখ সমৃদ্ধির স্বপ্নে রঙিন’ -এর ওপর আলোকপাত করে বলেন, বঙ্গবন্ধুর পথ ধরে পরবর্তীতে তার মেয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদশের শিশুদের উন্নয়ন ও সমান অধিকার রক্ষায় যুগান্তকারী সব পদক্ষেপ নিয়েছেন এবং বর্তমান প্রজন্মকে স্মার্ট, ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের হাতিয়ার হিসেবে গড়ে তুলছেন। এসময় তিনি ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি আধুনিক ও উন্নত রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলতে এবং স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় প্রধানমন্ত্রীর বিভিন্ন উদ্যোগ ও সাফল্য তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা একটি চলমান দর্শন এবং এই সোনার বাংলা দর্শনের ধারাবাহিকতার একটি অংশ হলো আজকের স্মার্ট বাংলাদেশ উদ্যোগ।
আরও পড়ুন: লস এঞ্জেলেসে বঙ্গবন্ধুর ১০৩তম জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন
বক্তব্যের শেষে রাষ্ট্রদূত মুহিত নতুন প্রজন্মকে, প্রবাসে থেকেও বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে জানা ও ধারণ করার মাধ্যমে ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশের গড়ে তোলায় অবদান রাখার আহ্বান জানান।
রাষ্ট্রদূত মুহিতের বক্তব্যের আগে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ ও স্থানীয় বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।
উল্লেখ্য, এই অনুষ্ঠানের প্রথম পর্ব ১৭ মার্চ অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় আয়োজনের পাশাপাশি রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর দেয়া বাণীসমূহ পাঠ করা হয়।
দিনব্যাপী এই অনুষ্ঠানে নিউইয়র্কে বসবাসরত শিশু-কিশোরগণ ও তাদের অভিভাবকেরা, স্থানীয় বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের নেতারা, বাংলাদেশি কমিউনিটির সদস্যরা, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্বরা এবং স্থায়ী মিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সন্তান ও পরিবারের সদস্যরা অংশগ্রহণ করেন।
প্রবাসী বাংলাদেশিরা ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনার মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি উপভোগ করেন এবং সার্বিক আয়োজনের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
আরও পড়ুন: ডেনমার্কে বাংলাদেশ দূতাবাসে বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী ও শিশু দিবস উদযাপন
১ বছর আগে
লস এঞ্জেলেসে বঙ্গবন্ধুর ১০৩তম জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন
যুক্তরাষ্টের লস এঞ্জেলেসের বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল যথাযোগ্য মর্যাদা ও উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস-২০২৩ উদযাপন করেছে।
দিবসের কর্মসূচি অনুযায়ী লস এঞ্জেলেসে নিযুক্ত বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল সামিয়া আনজুম কনস্যুলেট জেনারেলের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও কমিউনিটির নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন।
আরও পড়ুন: শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস-২০২৩ উপলক্ষ্যে ব্যাংককে শিশু-কিশোরদের চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা
এরপর তিনি কনস্যুলেট জেনারেলের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও কমিউনিটির নেতৃবৃন্দ এবং শিশুদের সঙ্গে নিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
জাতির পিতার জন্মদিন এবং জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে কনস্যুলেট জেনারেল আয়োজিত অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র ধর্মগ্রন্থসমুহ থেকে পাঠ শেষে দিবসটি উপলক্ষ্যে প্রেরিত রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়।
এরপর বঙ্গবন্ধুর ছেলেবেলার ওপর নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন এবং দিবসটি উপলক্ষ্যে আয়োজিত চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
অনুষ্ঠানে কনসাল জেনারেল সামিয়া আঞ্জুম তার বক্তব্যে জাতির পিতার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান এবং স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ গঠনে তার অবিস্মরণীয় অবদানের কথা স্মরণ করেন।
তিনি জাতির পিতার জীবন, কর্ম ও অবদান সম্পর্কে আলোচনা করেন এবং শিশু-কিশোরদেরকে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্ম দ্বারা উজ্জীবিত হয়ে দেশে ও বিদেশে সুনাগরিক হিসেবে নিজেদের গড়ে তোলার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ সরকারের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে এবং জাতির পিতার স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ গঠনে সবাইকে নিজনিজ অবস্থান থেকে ভূমিকা রাখারও আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তার পরিবারের শহিদ সকল সদস্য ও মুক্তিযুদ্ধের সকল শহিদদের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা এবং দেশের উত্তরোত্তর উন্নয়ন, সমৃদ্ধি ও শান্তি কামনা করে বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে জাতির পিতার জন্মদিন উপলক্ষে উপস্থিত শিশুদের সঙ্গে নিয়ে কেক কাটেন কনসাল জেনারেল সামিয়া আনজুম।
আরও পড়ুন: সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে মৈত্রী বিদ্যুৎ প্রকল্পের উদ্বোধন করতে পারেন হাসিনা-মোদি
বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী পাইপলাইন ডিজেল পরিবহনের ব্যাপক উন্নতি ঘটাবে: নয়া দিল্লি
১ বছর আগে
রিয়াদে জাতির পিতার জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপিত
সৌদি আরবের রিয়াদস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে আনন্দ উৎসবে নানা আয়োজনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩ তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন করা হয়েছে।
দিবসটি উপলক্ষ্যে দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু চত্বরে রিয়াদস্থ বাংলাদেশ ইন্টারন্যশনাল স্কুল জাতীয় কারিকুলাম ও ইংরেজি সেকশনের শিক্ষার্থীদের নিয়ে আলোচনা অনুষ্ঠান ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
আয়োজনে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করে স্কুলের শিক্ষার্থী সুবহা আজাদ, মুনতাহা আলমগীর, মাহাদিয়া মানহা ও ইসরাত জাহান।
এ সময় দূতাবাসের চার্জ দ্যা অ্যাফেয়ার্স মো. আবুল হাসান মৃধা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন শোষিত মানুষের নেতা, বাংলার মুক্তিসংগ্রামের মহানায়ক। বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে বাংলাদেশ হত না, বঙ্গবন্ধু মানেই বাংলাদেশ। ইতিহাসের মহানায়ক, বাঙালি জাতির মহান মুক্তিদাতা মহান পুরুষ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন আজ।
তিনি আরও বলেন, পাকিস্তান রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর থেকেই বাঙালি জাতি বৈষম্য, প্রতারণা আর নির্যাতনের জাঁতাকল পিষ্ঠ হয়ে আসছিল। বঙ্গবন্ধু পাকিস্তান রাষ্ট্রের শাসন ও শোষণের বিরুদ্ধে বরাবরই রুখে দাঁড়িয়েছেন। ভাষা আন্দোলন, যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, ৬৬-এর ছয় দফা, ৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান ও ১৯৭০ সালের নির্বাচনের ধারাবাহিকতায় বঙ্গবন্ধু ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ তার বজ্রকন্ঠে ঘোষণা করেন, ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’।
মৃধা বলেন, জাতির পিতার স্বাধীনতা ঘোষণার ডাকে সাড়া দিয়ে দেশের মানুষ মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর অর্জিত হয় আমাদের চূড়ান্ত বিজয়। হাজার বছরের পরাধীনতার নাগপাশ ছিন্ন করে বিশ্বের মানচিত্রে স্থান করে নেয় বাংলাদেশ নামক নতুন এক রাষ্ট্র।
চার্জ দ্যা অ্যাফেয়ার্স বলেন, দিবসটি পালন উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী-এর নির্দেশে রিয়াদস্থ বাংলাদেশি শিশু-কিশোরদের নিয়ে অনুষ্ঠানটি আয়োজন করা হয়েছে। যাতে প্রবাসে বেড়ে ওঠা এ সকল শিশু-কিশোররা বাংলাদেশের ইতিহাস, জাতির পিতার সংগ্রামী জীবন, দেশের প্রতি তার ত্যাগ ও অপরিসীম ভালোবাসা সম্পর্কে জানতে পারে। তিনি এ সময় সকল শিশু কিশোরদের শুভেচ্ছা জানান।
আরও পড়ুন: ডেনমার্কে বাংলাদেশ দূতাবাসে বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী ও শিশু দিবস উদযাপন
১ বছর আগে
ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে বঙ্গবন্ধুর ১০৩তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস-২০২৩ উদযাপন
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস-২০২৩ উদযাপন করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। শুক্রবার সকালে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, ফরেন সার্ভিস একাডেমি এবং ফরেন অফিস স্পাউসেস এসোসিয়েশন (ফোসা) এর যৌথ আয়োজনে এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্র সচিব (সিনিয়র সচিব) মাসুদ বিন মোমেন।
‘স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্নে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন শিশুদের চোখ সমৃদ্ধির স্বপ্নে রঙিন’- প্রতিপাদ্য নিয়ে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ফরেন সার্ভিস একাডেমির রেক্টর রাষ্ট্রদূত মাশফি বিনতে শামস।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেন, ‘যারা বাংলাদেশকে বিশ্বাস করে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ধারণ করে তাদের মাঝেই বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকবেন জন্ম থেকে জন্মান্তরে।’
জাতির পিতার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী মানসিকতা, গরীব-দুঃখী মানুষের প্রতি ভালবাসা ও তাদের দুঃখ দূর করার প্রতিজ্ঞা বঙ্গবন্ধুকে রাজনীতিতে নিয়ে আসে। ধীরে ধীরে তিনি হয়ে ওঠেন বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি।’
আরও পড়ুন: ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের শ্রদ্ধা
অনুষ্ঠানে শিশুদের উদ্দেশ্যে পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ‘জাতির পিতা ছিলেন শিশুমনের অধিকারী একজন মানুষ। শিশুদের সঙ্গে তিনি গল্প করতেন, খেলা করতেন। তিনি নিজের জন্মদিনে শিশুদের সঙ্গে সময় কাটাতে ভালবাসতেন। বঙ্গবন্ধু বিশ্বাস করতেন আজকের শিশুরাই আগামী দিনে দেশ গড়ার নেতৃত্ব দিবে। তোমরা জীবনে অনেক বড় হও, ভাল মানুষ হয়ে গড়ে ওঠো, সৃজনশীলতা ও নতুনের আহ্বানে এগিয়ে যাও সামনে।’
মাসুদ বিন মোমেন নতুন প্রজন্মের উদ্দেশ্যে আরও বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর ত্যাগ, অধ্যবসায় আর সংগ্রামের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্ম দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে বহুদূর। আজকের শিশুরাই হাল ধরবে আগামীর বাংলাদেশের, শিশুরাই হবে ভবিষ্যতে সোনার বাংলার কাণ্ডারি।’
পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ‘জাতির পিতা যে সোনার বাংলার স্বপ্ন দেখেছিলেন, সেই সোনার বাংলা বিনির্মাণে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার সুযোগ্য নেতৃত্বে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও বিদেশস্থ বাংলাদেশ মিশনসমূহ।’
অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন পররাষ্ট্র সচিব (সিনিয়র সচিব) মাসুদ বিন মোমেন। একইসাথে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্স ইউনিটের সচিব রিয়ার এডমিরাল (অব:) মো. খুরশেদ আলম, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (পশ্চিম) শাব্বির আহমদ চৌধুরী, ফরেন সার্ভিস একাডেমির রেক্টর মাশফি বিনতে শামস এবং ফরেন অফিস স্পাউসেস এসোসিয়েশন (ফোসা) এর সভাপতি মিজ ফাহমিদা জেরিন এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।
অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর বর্ণাঢ্য জীবনের ওপর নির্মিত একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। অনুষ্ঠানের সাংস্কৃতিক পর্বে ফরেন অফিস স্পাউসেস এসোসিয়েশন (ফোসা) পরিবারের শিশু ও সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য পিএসডি (প্রোগ্রাম ফর সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট) পরিচালিত স্কুলের শিক্ষার্থীরা এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও ফরেন সার্ভিস একাডেমির কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন।
জাতির পিতার জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে ফরেন অফিস স্পাউসেস এসোসিয়েশন (ফোসা) এর পক্ষ হতে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য পিএসডি পরিচালিত স্কুলের সহায়তার জন্য প্রোগ্রাম ফর সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট (পিএসডি) এর সাধারণ সম্পাদক শিরিন রহমানের কাছে ৫০ হাজার টাকার অনুদানের চেক হস্তান্তর করেন ফরেন অফিস স্পাউসেস এসোসিয়েশনের সভাপতি মিজ ফাহমিদা জেরিন।
অনুষ্ঠানের শেষাংশে জাতির পিতার জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে উপস্থিত সকল শিশুকে সাথে নিয়ে কেক কাটেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন। এসময় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ হতে উপস্থিত সকল শিশুকে বঙ্গবন্ধুর বই উপহার দেয়া হয়।
অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও ফরেন সার্ভিস একাডেমির কর্মকর্তারা, ফোসা পরিবারের সদস্য ও আমন্ত্রিত অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: জাতির পিতার জন্মবার্ষিকী: টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর প্রতি রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
বঙ্গবন্ধুর ১০৩তম জন্মবার্ষিকী শুক্রবার
১ বছর আগে
জাতিসংঘে জাতির পিতার জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন
জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০২তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের স্থানীয় সময় ১৭ মার্চ এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
জাতীয় পতাকা উত্তোলন, জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন ও জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে দুই পর্বে বিভক্ত অনুষ্ঠানটির প্রথম পর্ব শুরু হয়। এতে জাতির পিতা ও তার পরিবারের শাহাদাত বরণকারী সদস্যদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত; রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্র মন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ এবং জন্মদিনের কেক কাটা হয়।
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বের উল্লেখযোগ্য আকর্ষণ ছিল নিউইয়র্কে বসবাসরত বাংলাদেশি শিশুদের অংশগ্রহণে ভার্চুয়ালি আয়োজিত শিশু আনন্দমেলা। এতে মিশন আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ উপস্থাপ‘ এবং ‘নিজের অনুভূতি ব্যক্ত করে বঙ্গবন্ধুর উদ্দেশ্যে পত্রলিখন‘ -প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের নাম ঘোষণা এবং তাদের ভাষণের ভিডিও প্রদর্শন করা হয়। এছাড়া শিশুদের অংশগ্রহণে আরও অনুষ্ঠিত হয় ‘শতবর্ষের নতুন প্রভাত’ শীর্ষক আলেখ্য অনুষ্ঠান, সমবেত সঙ্গীত ‘বঙ্গবন্ধু ফিরে এলে’ ও নৃত্যানুষ্ঠান ও র্যাফেল ড্র। ভার্চুয়াল এই আয়োজনে জাতির পিতার জীবন ও কর্মের ওপর একটি প্রামাণ্য ভিডিও প্রদর্শন করা হয়।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ জাতিসংঘ শান্তিবিনির্মাণ কমিশনের সভাপতি নির্বাচিত
অনুষ্ঠানে জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাবাব ফাতিমা বলেন, আমাদের দেশের শিশুদের সমান অধিকার রক্ষা, সাবলিল বিকাশ ও সুন্দর ভবিষ্যতের জন্য জাতির পিতা তার সাড়ে চার বছরের সরকারে অনেক কাজ করে গেছেন। তিনি ১৯৭৪ সালে জাতীয় শিশু আইন প্রণয়ন ও প্রাথমিক শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করেন। এর ফলে শিশু বিকাশের পথ সুগম হয়। জাতির পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ সরকার শিশু বিকাশ ও শিশু উন্নয়নে যেসকল যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করেছে তা তুলে ধরেন স্থায়ী প্রতিনিধি।=
তিনি আরও বলেন, বর্তমান সরকার জাতীয় শিশু নীতি ২০১১ এবং জাতিসংঘ শিশু সনদের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে শিশু আইন ২০১৩ প্রণয়ন করেছে। চালু রয়েছে বিনামূল্যে প্রাথমিক শিক্ষা। বছরের শুরুতেই শিশুদের হাতে তুলে দেয়া হচ্ছে বিনামূল্যে রঙ্গিন পাঠ্যপুস্তক। আজ দেশের প্রায় শতভাগ শিশু স্কুলে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: জাতিসংঘের ‘চ্যাম্পিয়ন অব গ্লোবাল চেঞ্জ’ পুরস্কার পেলেন ড.ইউনূস
শিশুদের উদ্দেশ্যে জাতির পিতার জীবন ও কর্মের নানা দিক তুলে ধরেন রাষ্ট্রদূত ফাতিমা বলেন, আমাদের সুদীর্ঘ স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রতিটি অধ্যায়ের সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর নাম জড়িয়ে আছে। তার আহ্বানে সাড়া দিয়ে বাঙালি জাতি ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙে ছিনিয়ে আনে স্বাধীনতার লাল সূর্য। তাই বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ একইসূত্রে গাঁথা। এছাড়া উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণসহ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রার নানাদিক শিশুদের সামনে তুলে ধরেন বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি।
প্রবাসে বেড়ে ওঠা নতুন প্রজন্মকে জাতির পিতার সংগ্রামী জীবন সমন্ধে অবহিত করা এবং শিশুকাল থেকেই দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধু করার জন্য অভিভাবকসহ সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান রাষ্ট্রদূত ফাতিমা।
২ বছর আগে
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মারামারি
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (ববি) পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি পালনকালে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনায় দু’জন আহত হয়েছে। প্রশাসনের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি কিছুক্ষণের মধ্যেই নিয়ন্ত্রণে আসে। সেইসঙ্গে আহতদের উদ্ধার করে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ক্যাম্পাস সূত্রে জানা গেছে, প্রতিষ্ঠার পর থেকে এ পর্যন্ত বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের কোনো কমিটি গঠন হয়নি। যে যার মতো করে বিভিন্ন গ্রুপে বিভক্ত হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের নেতৃত্ব দিচ্ছে। আর গ্রুপগুলো দীর্ঘদিন ধরে আলাদা আলাদা কর্মসূচিও পালন করে আসছে। এ নিয়ে ক্যাম্পাসে প্রায়ই বিবাদে জড়ায় পক্ষগুলো। এর ধারাবাহিকতায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবসেও আলাদা কর্মসূচি পালনের ডাক দেয় তারা। এই নিয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন-১ এর নীচতলায় রক্তিম-ইভান এবং সিফাত-রিদম ছাত্রলীগের আলাদা দুটি গ্রুপ বিবাদে জড়ায়। যা কথা থেকে হাতাহাতি ও মারামারি পর্যন্ত গিয়ে গড়ায়।
আরও পড়ুন: বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের হল খুলছে ৪ অক্টোবর
প্রত্যক্ষদর্শী এক শিক্ষার্থী জানান, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবসে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহর সমর্থক সিফাত ও স্থানীয় সাংসদ পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুখের অনুসারী রক্তিম দুটি গ্রুপে পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি পালনকালে তাদের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে।
এই বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড.মো. খোরশেদ আলম বলেন, কর্মসূচি পালন নিয়ে মারামারি নয়, তবে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে কিছুটা উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিলো। তখন আমাদের এবং পুলিশ প্রশাসনের হস্তক্ষেপে দুইগ্রুপকে দু’দিকে বিভক্ত করে দেয়া হয়।
বরিশাল বন্দর থানার ওসি মো. আসাদুজ্জামান বলেন, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ৬ মাস পর ভিসি পেল বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়
২ বছর আগে
আধুনিক বাংলাদেশের ভিত বঙ্গবন্ধুর হাতেই রচিত হয়েছে: অর্থমন্ত্রী
আধুনিক বাংলাদেশের ভিত জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতেই রচিত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
৩ বছর আগে
জন্মবার্ষিকী: বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০১তম জন্মবার্ষিকী এবং জাতীয় শিশু দিবস ২০২১ উপলক্ষে বুধবার বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
৩ বছর আগে
লন্ডন মিশনে জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকীতে ‘বঙ্গবন্ধু লাউঞ্জ’ উদ্বোধন
লন্ডনের বাংলাদেশ হাইকমিশন ‘বঙ্গবন্ধু লাউঞ্জ’ উদ্বোধনের মাধ্যমে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন করেছে।
৪ বছর আগে