যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনীম দূতাবাসের কর্মকর্তা, কর্মচারী এবং বাংলাদেশি-ব্রিটিশ কমিউনিটির আমন্ত্রিত অতিথি ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বদের নিয়ে বর্ণীল ফিতা কেটে ও করতালির মাধ্যমে লন্ডন মিশনে এ বিশেষ লাউঞ্জের শুভ উদ্বোধন করেন বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
লন্ডন ও আশপাশের শহরগুলোয় করোনাভাইরাসের দ্রুত বিস্তারের কারণে ছোট পরিসরে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হলেও মুজিব জন্মশতবার্ষিকীর দিনটি দূতাবাসে যথাযথ মর্যাদা ও উৎসাহ-আনন্দের সাথে উদযাপন করা হয়।
‘বঙ্গবন্ধু লাউঞ্জ’ উদ্বোধনের পর হাইকমিশনার বলেন, ‘এ লাউঞ্জে বাংলাদেশি-ব্রিটিশ শিল্পীদের আঁকা বঙ্গবন্ধুর পোট্রেটসহ যুক্তরাজ্যে তার বিভিন্ন সময়ের সফরের ঐতিহাসিক তৈলচিত্র, কমনওয়েলথের ছবি এবং বিভিন্ন স্মরণিকা রাখা হয়েছে, যা মুজিব বর্ষে ও পরেও প্রদর্শন করা হবে। এর মাধ্যমে কূটনৈতিক মহল, বাংলাদেশি-ব্রিটিশ কমিউনিটি, বিশেষ করে বাংলাদেশি-ব্রিটিশ তরুণ প্রজন্ম বঙ্গবন্ধুকে আরও ভালো করে জানতে ও বুঝতে পারবে।’
তিনি বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর শুভক্ষণে যুক্তরাজ্য এবং আয়ারল্যান্ড প্রবাসী বাংলাদেশিদের শুভেচ্ছা জানান। একই সাথে জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে এ দুদেশের প্রবাসী বাংলাদেশি শিশু-কিশোর ও তরুণ সমাজকে অমিত সম্ভাবনাময় নতুন প্রজন্ম হিসেবে উল্লেখ করে তাদের জাতির পিতার মানবিক মূল্যবোধ, দেশপ্রেম, অকুতোভয় সাহস এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে যুক্তরাজ্য ও আয়ারল্যান্ড এবং তাদের শেকড়ের দেশ বাংলাদেশের মানুষের কল্যাণে যথাসাধ্য কাজ করে যাওয়ার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু জন্ম নিয়েছিলেন বলেই বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। আমরা আজ দেশে-বিদেশে গর্বিত জাতি হিসেবে নিজেদের পরিচয় দিতে পারছি। কিংবদন্তীর মহাপুরুষ বঙ্গবন্ধুর চেতনা ও মূল্যবোধ আজ হতে শতবর্ষ পরেও প্রতিটি বাঙালির হৃদয়ে থাকবে চির ভাস্বর ও অবিনশ্বর। আর তিনি হয়ে থাকবেন আমাদের সব কাজের অনুপ্রেরণা।’
অনুষ্ঠানের শুরুতে হাইকমিশনার দূতাবাসের কর্মকর্তা, কর্মচারী ও বাংলাদেশি-ব্রিটিশ কমিউনিটির আমন্ত্রিত অতিথিদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে গভীর শ্রদ্ধা জানান। এরপর বঙ্গবন্ধুর জীবনের ওপর একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয় এবং বাংলাদেশি-ব্রিটিশ শিল্পীরা জাতির পিতাকে নিবেদন করে নতুন করে লেখা গান ও কবিতার সমন্বয়ে একটি বিশেষ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করেন। শেষে হাইকমিশনার অথিতিদের নিয়ে জন্মশতবার্ষিকীর কেক কাটেন।
এর আগে সকালে দিবসের শুরুতে হাইকমিশনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করার পর রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়। সেই সাথে বঙ্গবন্ধু ও তার শহীদ পরিবারের সদস্যদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে করা হয় বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত।