বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র
জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় একসঙ্গে কাজ করবে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র: পরিবেশমন্ত্রী
জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র কসঙ্গে কাজ করবে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী।
বুধবার (১৫ মে) দুপুরে সচিবালয়ের নিজ দপ্তরে যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক অ্যাসিসট্যান্ট সেক্রেটারি ডোনাল্ড লুয়ের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের একথা জানিয়েছেন পরিবেশমন্ত্রী।
বৈঠকে আলোচনার বিষয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের যে সম্পর্ক আছে, এটাকে কীভাবে আগামীতে আরও এগিয়ে নিতে পারি মূলত আমরা সেটা নিয়ে আলাপ করেছি। সেখানে স্বাভাবিকভাবে যে বিষয়গুলোতে আমাদের অবস্থান অভিন্ন যেমন জলবায়ু পরিবর্তন এবং সেটার অভিঘাত মোকাবিলা করার ক্ষেত্রে দুই দেশ আরও কীভাবে কাজ করতে পারে, আমরা সেটা নিয়ে আলাপ করেছি।
আরও পড়ুন: ধান উৎপাদনে পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানো হবে: পরিবেশমন্ত্রী
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, যখনই আমরা জলবায়ু নিয়ে কথা বলি পরিবেশের বিষয়টা চলে আসে। পরিবেশ, বন এবং জীববৈচিত্র্য। আমরা চাচ্ছি আমাদের আগামী দিনের যে সহযোগিতা সেটাকে হয়তো আমরা একটা কাঠামোর মধ্যে আনার চেষ্টা করব। আমাদের ওয়ার্কিং গ্রুপের মতো কিছু একটা থাকতে পারে। আমরা ৩ থেকে ৪ অথবা ৫ বছরের একটা কর্মসূচি নেব। প্রতিবছরের সেই কর্মসূচির অধীনে আমরা কি কি কাজ করব সেটা থাকবে।
তিনি বলেন, আমরা যেটা বলেছি জলবায়ু অর্থায়নের যে বিষয়টা আছে, সেখানে বিশেষ করে বিশ্ব ব্যাংক ও এডিবি আছে। আগামী দিনে তারা কীভাবে জলবায়ুতে অর্থায়ন করবে, সেটা একটা বড় বিষয়। কেননা আমরা যদি প্যারিস চুক্তির আলোকে দেখি সেখানে চাহিদাটা ছিল বিলিয়ন ডলারের। এখন চাহিদা চলে যাচ্ছে ট্রিলিয়ন ডলারে। এখন ট্রিলিয়ন ডলার তো আর কোনো সরকারের কাছ থেকে আসবে না। মূলত আসবে এই ধরনের ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং বেসরকারি খাত থেকে।
মন্ত্রী বলেন, দু’দেশের মধ্যে সম্পর্কের কিছু বিষয় আছে যার একটা স্থায়িত্ব থাকে। আবার কিছু কিছু বিষয় তৈরি হতে পারে, যেটা বিশেষ একটা প্রেক্ষাপটে তাদের কিছু অবস্থান থাকতে পারে। আমরা আজ সেটা আলাপ করেছি। আমাদের যে মৌলিক বিষয়গুলো আছে, যেগুলো আমরা মনে করি অভিন্ন- সেগুলো নিয়ে আলোচনা করেছি।
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, নির্বাচনের আগে তাদের একটা দৃষ্টিভঙ্গি ছিল। তাদের হয়তো কিছু অস্বস্তি ছিল। কিন্তু সেটা তো আমাদের মধ্যে ছিল না। আমরা আমাদের নির্বাচন করেছি। সেটা ওই সময়ের জন্য তাদের একটা অবস্থান ছিল, আমি এটাকে এভাবে দেখি। এখন তো ওই পর্বটা আর নেই। আবার ইলেকশন হবে চার বা সাড়ে চার বছর পরে। তো এখন তো ইলেকশনের বিষয়টি এই আলোচনায় প্রাসঙ্গিক না।
আর আমি প্রথমেই বলেছি, আমরা সামনের দিকে কীভাবে আমাদের সম্পর্কটাকে আরও সুদৃঢ় করব, সেটা নিয়েই মূলত আলোচনা হয়েছে।
এদিকে জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যুতে একসঙ্গে কাজ করার প্রত্যাশা ব্যক্ত করে যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক অ্যাসিসট্যান্ট সেক্রেটারি ডোনাল্ড লু বলেন, পরিবেশমন্ত্রীর সঙ্গে আমাদের চমৎকার আলোচনা হয়েছে। পরিবেশ সুরক্ষায় আমরা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছি। জলবায়ু পরিবর্তনে কীভাবে একসঙ্গে কাজ করা যায়, সেটি নিয়ে আলোচনা করেছি।
ভবিষ্যতে জলবায়ু পরিবর্তন একসঙ্গে কাজ করার কথা জানান অ্যাসিসট্যান্ট সেক্রেটারি ডোনাল্ড লু।
এ সময় মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পরিবেশমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন ডোনাল্ড লু
জলবায়ু ঝুঁকি মোকাবিলায় বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন মানুষের সুরক্ষায় অগ্রাধিকার দিচ্ছে: পরিবেশমন্ত্রী
৬ মাস আগে
পরিবেশ ও জলবায়ু মোকাবিলার ভিত্তিতে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে: পরিবেশমন্ত্রী
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেছেন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলার ওপর ভিত্তি করে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আগামী দিনগুলোতে আরও জোরদার হবে।
তিনি বলেন, ‘এগুলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য অগ্রাধিকারের ক্ষেত্র। তাই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলবিষয়ক কর্মসূচিতে আমাদের সহযোগিতা করতে চায়।’
রবিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক উপসহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী আফরিন আখতারের নেতৃত্বাধীন প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘রাজনৈতিক কোনো আলাপ হয়নি। টেকসই উন্নয়ন, জলবায়ু পরিবর্তনসহ বিশ্বজুড়ে যেসব বিষয় নিয়ে তাদের উদ্বেগ আছে, সেগুলো নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি।’
সুনির্দিষ্টভাবে কী কী বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘নতুন সরকার দায়িত্ব নিয়েছে। পাঁচ বছর ধরে এই সরকার থাকবে। কাজেই আগামী দিনে তাদের যেসব কর্মসূচি আছে, যেসব জায়গায় তারা আমাদের সহযোগিতা করতে চান, আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি কী, জলবায়ু আমরা কীভাবে দেখছি, এ সম্পর্কে তারা একটা ধারণা চেয়েছেন।’
আরও পড়ুন: অস্তিত্ব রক্ষায় বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সীমাবদ্ধ রাখতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, তারা যখন তাদের পরিকল্পনা চূড়ান্ত করবেন, আমাদের চাহিদাগুলো তারা মাথায় রাখবেন।
সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য মার্কিন প্রতিনিধিদের বাংলাদেশ সফর কি না- ‘প্রশ্নে তিনি বলেন, অবশ্যই। আমি মনে করি আমাদের সম্পর্ক উন্নত আছেই। আগামীতে সেটা আরও কীভাবে জোরালো করা যায়, সে বিষয়ে আমরা আলোচনা করেছি। তার আমাদের সঙ্গে কাজ করবেন, সে জন্যই তারা এখানে এসেছে।’
সাবের হোসেন বলেন, ‘যখন দুটি দেশের মধ্যে সম্পর্কের কথা বলব, সেখানে অনেকগুলো দিক থাকবে। কিছু কিছু দিক থাকে, যেখানে তারা একটু বেশি জোর দেবে। আমি মনে করি, পরিবেশ, জলবায়ু পরিবর্তন, এটা তাদের একটা অগ্রাধিকারমূলক বিষয়। তারা এ বিষয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পৃক্ত হবে। এটার ওপর ভর করে আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আগামী দিনে আরও জোরালো হবে।’
জলবায়ু সংকট নিয়ে তারা কোনো ধরনের চ্যালেঞ্জের কথা উল্লেখ করেছেন কি না- জানতে চাইলে তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন তো প্রতিদিনই চ্যালেঞ্জ। আমরা বাংলাদেশেও এটার প্রভাব দেখছি। এটা যে একটা জরুরি বিষয়, তা তারা উপলব্ধি করেন। বাংলাদেশ যেভাবে বিগত বছরগুলোতে এগিয়ে গেছে, সেটা ধরে রাখতে গেলে এই উন্নয়নের একটা স্থায়িত্ব থাকা প্রয়োজন। এটা টেকসই হতে হবে।
‘টেকসই হতে হলে পরিবেশবান্ধব হতে হবে, জলবায়ু পরিবর্তনের যে বিষয়গুলো আছে, সেগুলোকে গুরুত্ব দিতে হবে। যেটা আমরা দিচ্ছি। তারা মনে করেন, বাংলাদেশ শুধু জলবায়ু পরিবর্তনের শিকার কিংবা ক্ষতিগ্রস্তই নয়, জলবায়ু পরবর্তনের অনেক সমাধানও বাংলাদেশে আছে। তারা একটা রোল মডেল হিসেবে বাংলাদেশকে দেখে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা যখন অ্যাডাপটেশনের (অভিযোজন) কথা বলি, তারা আমাদের কাছ থেকেও অনেক কিছু জানতে পারবে। অনেক কিছু তাদের দেশেও কাজে লাগাতে হবে।’
আরও পড়ুন: দ্বিতীয় জাতীয় বন জরিপের উদ্বোধন করলেন পরিবেশমন্ত্রী
অর্থায়ন নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘এগুলো নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি। আমরা এখন কথা বলেছি তাদের নতুন কর্মসূচি ও বাংলাদেশ নিয়ে তাদের পরিকল্পনা নিয়ে। তাতে পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তনের আলোকে সেই চাহিদা পূরণে কীভাবে তারা সহযোগিতা করবে, সেটা নিয়ে আমরা কথা বলেছি।’
তবে রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে কোনো কথা হয়নি বলে জানান মন্ত্রী। এছাড়া সোলার ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি নিয়ে দুপক্ষের আলাপ হয়েছে। সেখানে মার্কিন প্রযুক্তি নিয়ে কথা হয়েছে বলে জানান মন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘আমরা যে বিদ্যুৎ উৎপাদন করি, সেটা চাহিদার চেয়ে বেশি। কাজেই আমরা যখন নবায়নযোগ্য জ্বালানির কথা বলব, সেখানে আমরা যে প্রযুক্তি ব্যবহার করব, সেটা যাতে আধুনিক প্রযুক্তি হয়। আমরা লিপ ফ্রগ (উল্লম্ফন) করতে চাই। আমরা ধাপে ধাপে না, একবার যদি কয়েকটা ধাপ উপরে চলে যেতে পারি প্রযুক্তির ক্ষেত্রে, সেই কাজটা আমরা করছি।’
পোশাক খাতের পরিবেশ নিয়ে কোনো কথা হয়নি। তবে ১৫ মিলিয়ন ডলারের ফান্ড গঠন নিয়ে এক প্রশ্নে তিনি বলেন, আমরা যেটা বলেছি, ‘আমরা নতুন একটা প্ল্যাটফর্ম দাঁড় করাচ্ছি। সেখানে আমাদের সব উন্নয়ন সহযোগীরা সহায়তা করতে পারবেন। আমি আশাবাদী, আমেরিকাও থাকবে।’
পরিবশেমন্ত্রী বলেন, ‘দেশ থেকে আমরা টাকার বিষয়ে কোনো চাচ্ছি না, আমাদের পরিকল্পনা একটা প্ল্যাটফর্ম তৈরি করব, যেখানে সবাই থাকবেন। আমাদের মধ্যে সমন্বয় না থাকলে দেখা যাবে, একাধিক উন্নয়ন সহযোগী একই বিষয়ে সহযোগতিা করছেন। আমরা সেটা চাই না।’
আরও পড়ুন: পরিবেশবান্ধব ব্লক ইট তৈরিতে প্রণোদনা দিতে বিভিন্ন প্যাকেজ ঘোষণা করবে সরকার: পরিবেশমন্ত্রী
৮ মাস আগে
সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ করতে বাণিজ্য বিস্তৃতিতে একসঙ্গে কাজ করবে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ককে আরও ঘনিষ্ঠ করার লক্ষ্যে বাণিজ্য বিস্তৃতি, জঙ্গিদমন, ‘ফ্যানাটিজম’ মোকাবিলাসহ সকল ক্ষেত্রে একসঙ্গে কাজ করার বিষয়ে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে ফলপ্রসূ আলোচনার কথা জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
বুধবার (১৭ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নবনিযুক্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে আসেন ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস।
আরও পড়ুন: যারা মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করে তাদের সঙ্গে সংলাপ হবে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ
বৈঠক শেষে মন্ত্রী রাষ্ট্রদূতের হাতে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রতীক নৌকাসহ ঐতিহ্যবাহী উপহার সামগ্রী তুলে দেন এবং সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, আমরা উভয় দেশ আমাদের সম্পর্ককে আরও ঘনিষ্ঠ করার লক্ষ্যে ফলপ্রসূ আলোচনা করেছি। আমাদের স্বাধীন দেশের ৫২ বছরের পথচলায় যুক্তরাষ্ট্রের বড় উন্নয়ন সহযোগীর ভূমিকার জন্য রাষ্ট্রদূতকে ধন্যবাদ জানিয়েছি।
আরও পড়ুন: আজ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন পিটার হাস ও চার্লস হোয়াইটলি
তিনি আরও বলেন, বাণিজ্য খাতেও তারা আমাদের বড় অংশীদার। আমাদের ‘বিজনেস বাস্কেট’ আরও সমৃদ্ধ করা ও যুক্তরাষ্ট্রের সরাসরি বিনিয়োগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে আলোচনা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রও আমাদের নতুন সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছে।
নানা বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, জঙ্গিদমনে এবং বিশ্বব্যাপী ‘ফ্যানাটিজম’ মোকাবিলায় আমরা দীর্ঘদিন একসঙ্গে কাজ করছি, ভবিষ্যতেও কাজ করবো সেই আশাবাদ ব্যক্ত করেছি।
আরও পড়ুন: ঢাকা-বেইজিং সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিতে আসুন একসঙ্গে কাজ করি: চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
তিনি বলেন, রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়েও আলোচনা হয়েছে, রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর জন্য আমরা সবসময় তাদের সহযোগিতা চেয়ে এসেছি। আজ আবারও তা পুণর্ব্যক্ত করেছি। তারা আগে থেকেই এ বিষয়ে আমাদের সহযোগিতা করে আসছে, আমরা একযোগে কাজ করার বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও জানান, গত নির্বাচনে মার্কিন পর্যবেক্ষকদের পাঠানোর জন্য ধন্যবাদ দিয়ে আমি তাকে সুষ্ঠু, সুন্দর, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের কথা জানিয়েছি যেখানে শীত ও কুয়াশা সত্ত্বেও প্রায় ৪২ শতাংশ ভোট পড়েছে, যেটি একটি ভালো ভোটার টার্ন-আউট।
আরও পড়ুন: বিএনপির চাওয়ায় দেশের অমঙ্গল হবে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
১০ মাস আগে
ভুল উদ্বৃতি দিয়ে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বিরূপ পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা করা হয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, আমার মনে হয় আমাদের দেশে যারা সাংবাদিকতা করেন তাদের মধ্যে দুর্বলতা আছে, এদের পরিপক্ক হওয়া দরকার।
শনিবার টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
সম্প্রতি মিডিয়া তাকে ‘ভুল উদ্ধৃতি’ দেয়ার বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে মোমেন বলেন,দেশের ১৭টি গণমাধ্যমে ব্যবহৃত শিরোনামগুলো ‘মিথ্যা এবং কাল্পনিক’।
মোমেন বলেন, ‘সেদিন একটি অনুষ্ঠানে আমি যে বক্তব্য দিয়েছি সেই বক্তব্যের সাথে বিভিন্ন মিডিয়ার সংবাদের কোন রকম সম্পর্ক নাই। ঐ মিডিয়াগুলো বলেছে ‘আমেরিকা যুদ্ধবাজ’। এ কথা আমার মুখেও আসে নাই। কিন্তু ১৭টা গণমাধ্যম এধরণের মিথ্যা সংবাদ প্রচার করেছে। আমি মনে করি আমাদের সাংবাদিকদের দুর্বলতা আছে এবং তারা পরিপক্কতা পেলে আমি খুশি হব।’
আরও পড়ুন: ঢাকা-ওয়াশিংটন শ্রম অধিকার সুরক্ষায় বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতির বিষয়ে আলোচনা
মোমেন আরও বলেন, প্রতিবেদনে ‘তার ভুল উদ্ধৃতি’ দেয়ায় যুক্তরাষ্ট্র সরকার মনে করবে আমরা মনে হয় তাদের শত্রু। এমনভাবে প্রচারণা চালানো হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র সরকারকে শত্রু বানানোর প্রচেষ্টা করা হয়েছে। এটি খুবই দুঃখজনক ও লজ্জাজনক।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘সত্যকে ভুলভাবে উপস্থাপনের মাধ্যমে আমাদের সাংবাদিকরা যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের মধ্যে বিরূপ পরিস্থিতি তৈরির চেষ্টা করেছে। হয় এই সাংবাদিকরা ঠিকমতো বাংলা বুঝেন না কিংবা ইচ্ছা করে তারা এটা করেছেন। কেন দেশে এত নিম্নমানের সাংবাদিকতা বিরাজ করছে তা নিয়ে সাংবাদিকদের গবেষণা করা দরকার।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশের সাংবাদিকতায় অতীতে যে মান, নৈতিক ও নৈতিক মূল্যবোধ ছিল তা নেই।
মোমেন বলেন, ‘এটা সেইসব সাংবাদিকদের জন্য লজ্জার, যারা এই মিথ্যা গল্পগুলো লিখেছেন।
মোমেন বলেন, গত ২৬ অক্টোবর জাতীয় প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশের প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরাম আয়োজিত ‘জাতিসংঘের আঙিনায় শেখ হাসিনা’ বিষয়ক সেমিনারে বক্তব্য দেয়ার পর কিছু গণমাধ্যম তাকে ভুলভাবে উদ্ধৃত করেছিল।
পরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় (এমওএফএ) এক বিবৃতিতে জানায়, পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেনের বরাত দিয়ে বিভ্রান্তিকর ও ভিত্তিহীন খবর যুক্তরাষ্ট্রের জনগণ ও সরকারের কাছে ভুল বার্তা দিয়েছে।
আরও পড়ুন: মোমেনকে ভুলভাবে উদ্ধৃত করা হয়েছে: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
২ বছর আগে
বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক আরও জোরদার হবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে যে চমৎকার দ্বিপাক্ষীয় ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে আগামীতে তা আরও জোরদার হবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর উদযাপন উপলক্ষে ওয়াশিংটনে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিনকেনের সঙ্গে অত্যন্ত সৌহার্দপূর্ণ ও আশাব্যঞ্জক আলোচনা হয়েছে।
বুধবার সন্ধ্যায় যুক্তরাষ্ট্রের মায়ামিতে বাংলাদেশের কনস্যুলেট জেনারেল উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে ড. মোমেন দু'দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর উদযাপন উপলক্ষে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পাঠানো শুভেচ্ছা বার্তা পড়ে শোনান।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দেশের উষ্ণ সম্পর্কের ভিত্তি করে দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
২ বছর আগে
করোনাভাইরাস মোকাবিলায় বাংলাদেশকে ২৫ লাখ ডলার সহায়তা দেবে যুক্তরাষ্ট্র
করোনাভাইরাসের প্রস্তুতি এবং এর বিস্তার রোধের কার্যক্রমে সহায়তার জন্য ইউএসএইডের মাধ্যমে বাংলাদেশকে ২৫ লাখ ডলার আর্থিক সহায়তা দেবে যুক্তরাষ্ট্র।
৪ বছর আগে