পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, আমার মনে হয় আমাদের দেশে যারা সাংবাদিকতা করেন তাদের মধ্যে দুর্বলতা আছে, এদের পরিপক্ক হওয়া দরকার।
শনিবার টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
সম্প্রতি মিডিয়া তাকে ‘ভুল উদ্ধৃতি’ দেয়ার বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে মোমেন বলেন,দেশের ১৭টি গণমাধ্যমে ব্যবহৃত শিরোনামগুলো ‘মিথ্যা এবং কাল্পনিক’।
মোমেন বলেন, ‘সেদিন একটি অনুষ্ঠানে আমি যে বক্তব্য দিয়েছি সেই বক্তব্যের সাথে বিভিন্ন মিডিয়ার সংবাদের কোন রকম সম্পর্ক নাই। ঐ মিডিয়াগুলো বলেছে ‘আমেরিকা যুদ্ধবাজ’। এ কথা আমার মুখেও আসে নাই। কিন্তু ১৭টা গণমাধ্যম এধরণের মিথ্যা সংবাদ প্রচার করেছে। আমি মনে করি আমাদের সাংবাদিকদের দুর্বলতা আছে এবং তারা পরিপক্কতা পেলে আমি খুশি হব।’
আরও পড়ুন: ঢাকা-ওয়াশিংটন শ্রম অধিকার সুরক্ষায় বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতির বিষয়ে আলোচনা
মোমেন আরও বলেন, প্রতিবেদনে ‘তার ভুল উদ্ধৃতি’ দেয়ায় যুক্তরাষ্ট্র সরকার মনে করবে আমরা মনে হয় তাদের শত্রু। এমনভাবে প্রচারণা চালানো হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র সরকারকে শত্রু বানানোর প্রচেষ্টা করা হয়েছে। এটি খুবই দুঃখজনক ও লজ্জাজনক।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘সত্যকে ভুলভাবে উপস্থাপনের মাধ্যমে আমাদের সাংবাদিকরা যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের মধ্যে বিরূপ পরিস্থিতি তৈরির চেষ্টা করেছে। হয় এই সাংবাদিকরা ঠিকমতো বাংলা বুঝেন না কিংবা ইচ্ছা করে তারা এটা করেছেন। কেন দেশে এত নিম্নমানের সাংবাদিকতা বিরাজ করছে তা নিয়ে সাংবাদিকদের গবেষণা করা দরকার।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশের সাংবাদিকতায় অতীতে যে মান, নৈতিক ও নৈতিক মূল্যবোধ ছিল তা নেই।
মোমেন বলেন, ‘এটা সেইসব সাংবাদিকদের জন্য লজ্জার, যারা এই মিথ্যা গল্পগুলো লিখেছেন।
মোমেন বলেন, গত ২৬ অক্টোবর জাতীয় প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশের প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরাম আয়োজিত ‘জাতিসংঘের আঙিনায় শেখ হাসিনা’ বিষয়ক সেমিনারে বক্তব্য দেয়ার পর কিছু গণমাধ্যম তাকে ভুলভাবে উদ্ধৃত করেছিল।
পরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় (এমওএফএ) এক বিবৃতিতে জানায়, পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেনের বরাত দিয়ে বিভ্রান্তিকর ও ভিত্তিহীন খবর যুক্তরাষ্ট্রের জনগণ ও সরকারের কাছে ভুল বার্তা দিয়েছে।
আরও পড়ুন: মোমেনকে ভুলভাবে উদ্ধৃত করা হয়েছে: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়