স্বাস্থ্যসেবাগুলোতে সংক্রমণ রোধ ও নিয়ন্ত্রণ (আইপিসি) ব্যবস্থা জোরদার করা, নমুনা পরিবহন ও রেফারাল সিস্টেমের উন্নতি করা এবং মানুষকে সচেতন করতে যোগাযোগ বৃদ্ধি, এই তিনটি ক্ষেত্রকে অগ্রাধিকার দিয়ে অর্থায়ন করবে ইউএসএইড।
দ্রুত রোগ নির্ণয়, কেস ম্যানেজমেন্ট, আইপিসি এবং কোভিড-১৯ সম্পর্কিত বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য ইউএসএইড বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে বাংলাদেশ সরকারের সাথে কাজ করার জন্য ৭ লাখ মার্কিন ডলার দেবে।
এছাড়া অলাভজনক এফএইচআই৩৬০ দ্বারা বাস্তবায়িত সংক্রামক রোগ শনাক্তকরণ এবং নজরদারি (আইডিডিএস) প্রোগ্রামের জন্য সাড়ে ৬ লাখ ডলার এবং অলাভজনক ম্যানেজমেন্ট সায়েন্সেস অব হেলথ (এমএসএইচ) দ্বারা বাস্তবায়িত মেডিসিন, টেকনোলজিস এবং ফার্মাসিউটিক্যাল সার্ভিসেস (এমটিএপিএস) প্রোগ্রামের জন্য অতিরিক্ত আরও সাড়ে ৬ লাখ ডলার দেবে ইউএসএইড।
এছাড়া বাংলাদেশে কোভিড-১৯ সম্পর্কে বিস্তৃত জনসচেতনতা বাড়ানোর জন্য উপকরণ বিকাশ ও এর প্রসারণের জন্য জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়কে ৫০ হাজার ডলার দেবে ইউএসএইড।
বুধবার রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সাব্রিনা ফ্লোরার সাথে সাক্ষাত করে আর্থিক সহায়তার প্রতিশ্রুতি দেন বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল মিলার। তহবিল নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কর্মপরিকল্পনা সম্পর্কেও আইইডিসিআর পরিচালককে অবহিত করেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত।
এসময় তারা বাংলাদেশে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে দুই সরকারের পদক্ষেপ সমন্বয় করার উপায় এবং ভবিষ্যতে অর্থায়ন কীভাবে কার্যকরভাবে করা যেতে পারে সে বিষয়ে আলোচনা করেন।
আরও পড়ুন: করোনাভাইরাস সংকটকে ‘মহামারি’ ঘোষণা করেছে ডব্লিউএইচও
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে বা আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে এমন ২৫টি দেশকে সম্প্রতি নিজেদের জরুরি তহবিল থেকে ইউএসএইডের মাধ্যমে ৩৭ মিলিয়ন ডলার আর্থিক সহায়তার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাব প্রতিরোধের জন্য যুক্তরাষ্ট্র গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে বৃহস্পতিবার জানিয়েছে বাংলাদেশে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস।