ইউএসএইড
‘নিষেধাজ্ঞা’ সত্ত্বেও রোহিঙ্গাদের প্রতি সহায়তা অব্যাহত রাখায় ট্রাম্পকে ড. ইউনূসের ধন্যবাদ
দ্বিতীয় মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতা গ্রহণের পর নির্বাহী আদেশে ৯০ দিনের জন্য বিশ্বের সব দেশে মার্কিন সহায়তা স্থগিত করলেও ইউএসএইডের মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখায় ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
রবিবার (২৬ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব অপূর্ব জাহাঙ্গীর।
তিনি বলেন, রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় প্রধান উপদেষ্টার উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি ড. খলিলুর রহমান আজ (রবিবার) মার্কিন দূতাবাস কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য ইউএসএইডের পুষ্টি সহায়তা কার্যক্রম অব্যাহত থাকার বিষয়টি সেখানে উঠে আসে।
সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ও উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শরণার্থী ও স্থানীয়দের জন্য পুষ্টি সহায়তা কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা—ইউএসএইড। খাদ্য ও পুষ্টি সহায়তা প্রদানে জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির (ডব্লিউএফপি) সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করে থাকে এই সংস্থটি।
রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় ২০১৭ সালের আগস্ট থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ২৪০ কোটি ডলার দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র সরকার, যার মধ্যে বাংলাদেশই পেয়েছে প্রায় ২০০ কোটি ডলার।
আরও পড়ুন: পরিবেশগত সহযোগিতা জোরদারে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র বৈঠক
এর আগে, সব দেশকে দেওয়া মার্কিন সহায়তা স্থগিত করে একটি নির্বাহী আদেশ জারি করেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বিষয়টি পর্যালোচনার জন্য ৯০ দিন সময় দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন, তবে ঠিক কোন কোন দেশ এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়ছে না—সে বিষয়ে কিছু স্পষ্ট করা হয়নি।
এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে সাংবাদিকদের বলেন, ‘সেখানে কোনো দেশ নির্দিষ্ট করা হয়নি।’
তবে মার্কিন প্রশাসনের ওই আদেশ জারির পর বাংলাদেশের কিছু গণমাধ্যম শুধু ‘বাংলাদেশ’ শব্দটি ব্যবহার করে সংবাদ প্রকাশ করেছে, যা পাঠককে বিভ্রান্ত করতে পারে বলে জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।
বিভ্রান্তি এড়াতে এ ধরনের সংবাদ প্রকাশে গণমাধ্যমের কাছ থেকে সরকার আরও স্পষ্টতা প্রত্যাশা করে বলে জানানো হয়েছে।
গত ২০ জানুয়ারি হোয়াইট হাউস থেকে প্রকাশিত ওই আদেশে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের বৈদেশিক উন্নয়ন সহায়তা কর্মসূচির দায়িত্বে থাকা সমস্ত বিভাগ ও সংস্থার প্রধানরা এই আদেশ প্রাপ্তির ৯০ দিনের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের বৈদেশিক নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ কর্মসূচিগুলো পর্যালোচনার জন্য অন্যান্য দেশ ও বাস্তবায়নকারী বেসরকারি ও আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং ঠিকাদারদের নতুন করে উন্নয়ন সহায়তা তহবিল বিতরণ স্থগিত রাখবে।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে অভিনন্দন জানাল বাংলাদেশ
প্রেসিডেন্টের নির্বাহী আদেশের পর বিশ্বব্যাপী সব বাস্তবায়নকারী অংশীদারদের ‘তাৎক্ষণিক সহায়তা কার্যক্রম বন্ধের আদেশ’ জারি করে ইউএসএইড।
বাংলাদেশেও ওই আদেশ পৌঁছেছে বলে ইউএনবিকে জানিয়েছেন ইউএসএইডের কার্যক্রম বাস্তবায়নকারী সংস্থা কেয়ার বাংলাদেশের প্রধান যোগাযোগ কর্মকর্তা।
এ বিষয়ে সংস্থাটির কমিউনিকেশনস ডিরেক্টর টনি মাইকেল গোমেজ বলেন, ‘গত ২০ জানুয়ারি ট্রাম্প শপথ নেওয়ার পরপরই আমরা এ ধরনের একটি চিঠি পাই।’
যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবস্থাপনা ও বাজেট অফিস (ওএমবি) বণ্টন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে এই স্থগিতাদেশ কার্যকর করবে। ওএমবি পরিচালকের সঙ্গে পরামর্শক্রমে ও মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সম্মতিতে প্রাপ্ত সুপারিশের ভিত্তিতে প্রতিটি বৈদেশিক সহায়তা কর্মসূচি অব্যাহত, সংশোধন কিংবা বন্ধ করা হবে কিনা—সে বিষয়ে আদেশের ৯০ দিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেবেন মার্কিন সরকারের দায়িত্বশীল বিভাগ ও সংস্থার প্রধানরা।
তবে পর্যালোচনা শেষ হওয়া সাপেক্ষে ৯০ দিনের সময়কাল শেষ হওয়ার আগেও বৈদেশিক উন্নয়ন সহায়তা তহবিলের নতুন বাধ্যবাধকতা ও বিতরণ কার্যক্রম শুরু হতে পারে। সেক্ষেত্রে এই কার্যক্রম একইভাবে চলবে, নাকি সংশোধিত আকারে চালিয়ে যাওয়া হবে—মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মনোনীত ব্যক্তি ও ওএমবি পরিচালকের সঙ্গে পরামর্শক্রমে তা নির্ধারণ করা হবে। পরবর্তীতে নতুন কোনো সহায়তা তহবিলের ক্ষেত্রেও এই পদ্ধতি অনুসরণ করা হবে।
অবশ্য নির্দিষ্ট কিছু ক্ষেত্রে এই স্থগিতাদেশ রদও করার ক্ষমতা রাখে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এই ক্ষমতাবলে সহায়তা কর্মকাণ্ড স্থগিতের আদেশ থেকে অব্যাহতি পেয়েছে ইসরায়েল ও মিসর।
৪৯ দিন আগে
ইউএসএইড ট্রেড অ্যাক্টিভিটির সঙ্গে ৭ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমঝোতা স্মারক সই
ইন্টিগ্রেটেড সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্ট (আইএসসিএম) কোর্স বাস্তবায়নের জন্য ঢাকা ও চট্টগ্রামের ৭টি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক সই করেছে ফিড দ্য ফিউচার বাংলাদেশ ট্রেড অ্যাক্টিভিটি।
রবিবার (৯ জুন) ঢাকার হোটেল রেনেসাঁতে ইউএসএইড বাংলাদেশের মিশন ডিরেক্টরের উপস্থিতিতে এই সমঝোতা স্মারক সই হয়।
যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে ইউএসএইড ট্রেড অ্যাক্টিভিটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে সেগুলো হলো- ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি, এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেন, চট্টগ্রাম ইন্টারন্যশনাল ইউনিভার্সিটি, ইউনিভার্সিটি অব ক্রিয়েটিভ টেকনোলজি, প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটি, ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি চট্টগ্রাম এবং খুলনার নর্দার্ন ইনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজি।
এই সমঝোতা স্মারক উন্নত শিক্ষার মাধ্যমে বাংলাদেশের বাণিজ্য লজিস্টিক্স সেক্টরের সক্ষমতা বাড়ানোর ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
আইএসসিএম কোর্সটি প্রয়োজনীয় সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্ট সম্পর্কিত সব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় অন্তর্ভুক্ত করেছে। লজিস্টিক্স সেক্টর সম্পর্কে সম্পূর্ণভাবে ধারণা পেতে শিক্ষার্থী ও পেশাদাররা এই কোর্সে ভর্তি হতে পারবেন। বাংলাদেশে লজিস্টিক্স অপারেশনের দক্ষতা ও কার্যকারিতা বাড়ানোর জন্য এই ধারণা অর্জন করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
ইউএসএইড বাংলাদেশের মিশন ডিরেক্টর বলেছেন, ‘বাংলাদেশিদের ট্রেড লজিস্টিক্স সেক্টরে অন্তর্ভুক্ত করে বাংলাদেশের উন্নয়নের এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং অংশগ্রহণমূলক দৃষ্টিভঙ্গি গড়ে তোলায় শক্তিশালী ভূমিকা পালন করবে, যা ইউএসএইডের যুব উন্নয়নের অগ্রাধিকারের সঙ্গে পুরোপুরি সামঞ্জস্যপূর্ণ।’
বাংলাদেশ ফ্রেইট ফরওয়ার্ডার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি কবির আহমেদ বলেন, ‘সাপ্লাই চেইন ও লজিস্টিক্স সেক্টর বাংলাদেশের অর্থনীতির মেরুদণ্ড। বিশ্বের অন্যান্য দেশের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে বাংলাদেশের অবকাঠামোগত ও ডিজিটাল সম্প্রসারণ চলছে। এই সম্প্রসারণের প্রয়োজন মেটানোর জন্য তরুণদের ট্রেড সেক্টরে ক্যারিয়ার গড়তে এবং বাংলাদেশকে উন্নতির দিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য আমাদের প্রয়োজনীয় শিক্ষার ব্যবস্থা করে তাদের প্রস্তুত করতে হবে।’
স্মারক সইয়ের পর বাংলাদেশ শিপিং এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ ফ্রেইট ফরওয়ার্ডার্স অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ ইনল্যান্ড কন্টেইনার ডিপো অ্যাসোসিয়েশন এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে সাপ্লাই চেইন ও লজিস্টিক্স বিষয়কে শিক্ষাব্যবস্থার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে একটি আলোচনা সেশন করা হয়।
ইউএসএইড বাংলাদেশের প্রাইভেট এন্টারপ্রাইজ অফিসার ক্রিস মেজারভি বলেন, ‘আইএসসিএম কোর্সটি বাংলাদেশের লজিস্টিক্স সেক্টরের ভবিষ্যতে একটি কৌশলগত বিনিয়োগের প্রতিনিধিত্ব করে। প্রোগ্রামটির লক্ষ্য টেকসই প্রবৃদ্ধি চালনা করা, একটি গতিশীল, অন্তর্ভুক্তিমূলক কর্মশক্তি গড়ে তোলা এবং বাংলাদেশের লজিস্টিকস সেক্টরের সম্ভাবনাকে আরও বাড়িয়ে তোলা।’
২৮০ দিন আগে
ময়মনসিংহের ৭০ জন হোটেল মালিক ও কর্মচারীকে নিয়ে কর্মশালা আয়োজন ইউএসএইড’র
ময়মনসিংহের প্রায় ৭০ জন হোটেল মালিক ও কর্মচারীকে নিয়ে নিরাপদ খাদ্য প্রস্তুত, রান্না এবং পরিবেশন বিষয়ক কর্মশালার আয়োজন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের ইউনাইটেড স্টেটস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট (ইউএসএইড)।
শনিবার (২৫ মে) দুপুর ২টার দিকে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) কৃষি অর্থনীতি ও গ্রামীণ সমাজবিজ্ঞান অনুষদের সভাকক্ষে ওই কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: পরিবর্তনশীল জলবায়ুর জন্য কাসাভা উপযুক্ত, হেক্টরপ্রতি ফলন ৩৫-৫০ টন: বাকৃবি অধ্যাপক
হোটেল মালিক ও কর্মচারীদের মধ্যে স্বাস্থ্য সচেনতা তৈরির লক্ষ্যে ইউএসএইডের ফিড দ্যা ফিউচার এর ‘বাংলাদেশে মাছ ও মুরগির খাদ্য ভ্যালুর নিরাপত্তা বৃদ্ধিকরণ’ প্রকল্পের আওতায় ‘নিরাপদ খাদ্য প্রস্তুত, রান্না এবং পরিবেশন’ বিষয়ক কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়।
কর্মশালায় ময়মনসিংহের বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) অবস্থিত ফুসকা, ফাস্টফুড ও খাবার হোটেল মালিক, বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন ব্রহ্মপুত্র নদের পাড়, চূড়খাই, সুতিয়াখালী এবং মুক্তাগাছা থেকে প্রায় ৭০ জন উপস্থিত ছিলেন।
প্রকল্পটির বাংলাদেশের প্রিন্সিপাল ইনভেস্টিগেটর ও কৃষি অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. সাইদুর রহমান বলেন, যে খাবার আপনি নিজের পরিবারকে খাওয়াতে চান না সেই খাবারটা বিশ্ববিদ্যালয়ের বা কাউকে খাওয়াবেন না। খাবার তৈরি ও পরিবেশনকারীদের অবশ্যই গ্লাভস ব্যবহার করতে হবে।
আরও পড়ুন: সুস্থ-সবল জাতি গঠনে ওয়ান হেলথ গুরুত্বপূর্ণ: বাকৃবি উপাচার্য
২৯৫ দিন আগে
বাংলাদেশে রোহিঙ্গা ও আশ্রয়দাতা সম্প্রদায়ের প্রয়োজনকে অবহেলা করতে পারি না: ইউএসএইড
জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্টের (ইউএসএইড) মানবিক সহায়তা ব্যুরো (বিএইচএ) থেকে ৮৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের সহায়তাকে স্বাগত জানিয়েছে।
'সময়োপযোগী' এই সহায়তা কক্সবাজার ও ভাসানচরে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জীবন রক্ষায় ডব্লিউএফপির প্রচেষ্টাকে উল্লেখযোগ্যভাবে জোরদার করবে। যেখানে মিয়ানমারে তাৎক্ষণিক প্রত্যাবাসনের সম্ভাবনা ছাড়াই ১০ লাখ রোহিঙ্গা নিয়মিত দুর্ভোগের সম্মুখীন হচ্ছেন।
বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) বাংলাদেশে ইউএসএইডের মিশন ডিরেক্টর রিড এশলিম্যান কক্সবাজার ক্যাম্প পরিদর্শনকালে বলেন, ‘আমরা ক্যাম্পগুলোতে দেখেছি, একের পর এক সংকটের মধ্যে দিয়ে যাওয়া রোহিঙ্গাদের জন্য পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। যুক্তরাষ্ট্র সম্পূর্ণ সহযোগিতায় নেতৃত্ব দিলেও আমরা স্বীকার করছি- বছরটি শরণার্থীদের জন্য বিশেষভাবে চ্যালেঞ্জিং ছিল।’
তিনি বলেন, ‘আমরা রোহিঙ্গা বা তাদের জায়গা দেওয়া বাংলাদেশের উদার সম্প্রদায়গুলোর প্রয়োজনকে অবহেলা করতে পারি না। এর জন্য প্রয়োজন সরকার, দাতা ও উন্নয়ন অংশীদারদের অব্যাহত সমর্থন।’
সংকটের সপ্তম বছরে বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শরণার্থীরা চলাচলের সীমিত স্বাধীনতা, চাকরির সুযোগের অভাব এবং ক্রমবর্ধমান নিরাপত্তা হুমকির মধ্যে অত্যন্ত অনিশ্চিত পরিস্থিতিতে রয়েছে।
ক্যাম্পগুলো ঘূর্ণিঝড়, বন্যার মতো জলবায়ু সম্পর্কিত দুর্যোগসহ নানা ঝুঁকিতে রয়েছে।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের সহায়তায় আরও ৮৭ মিলিয়ন ডলার দেবে যুক্তরাষ্ট্র
বাংলাদেশে ডব্লিউএফপির কান্ট্রি ডিরেক্টর ডম স্কালপেলি বলেন, ‘এমন এক সময় যখন একাধিক সংকট দেখা দিয়েছে, তখন যুক্তরাষ্ট্র ও অনেক দাতাগোষ্ঠী রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য উদার সহযোগিতা নিয়ে এগিয়ে এসেছে।’
তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত যে সহযোগিতা পাওয়া গেছে তাতে ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে খাবারের জন্য বরাদ্দ ৮ ডলার থেকে ১০ ডলারে উন্নীত করা যাবে। আমরা এই ইতিবাচক উন্নয়নে অত্যন্ত আনন্দিত এবং আশা করি রোহিঙ্গাদের মৌলিক চাহিদা পূরণে দাতারা অর্থায়ন অব্যাহত রাখবে।
২০২৩ সালে তীব্র তহবিল ঘাটতির কারণে ডব্লিউএফপি খাদ্যের জন্য বরাদ্দ অর্থ কমাতে বাধ্য হয়। ফলে, মার্চে প্রতি মাসে মাথাপিছু ১২ ডলার থেকে কমিয়ে ১০ ডলার করা হয় এবং জুনে তা ৮ ডলারে দাঁড়ায়। এরপর থেকেই রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে খাদ্য নিরাপত্তার পরিস্থিতি খারাপ অবস্থায় দাঁড়ায়।
আরও পড়ুন: মানবিক সহায়তায় শরণার্থীদের স্বস্তির ব্যবস্থা করতে বিদেশি সরকারগুলোর সমর্থন বাড়াতে হবে: আন্তর্জাতিক ক্রাইসিস গ্রুপ
নভেম্বরের ডব্লিউএফপির সর্বশেষ পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, কক্সবাজারের শরণার্থী জনগোষ্ঠীর ৯০ শতাংশের পর্যাপ্ত খাদ্য নেই, যা জুনে ছিল ৭৯ শতাংশ। তখন পরিবারগুলোকে কম পুষ্টিকর খাবারের ওপর নির্ভর করতে হয়েছে। তাছাড়া শিশুদের খাবার দিতে মা-বাবাদের কম খাওয়ার পথ বেছে নিতে হয়। মাঝেমধ্যে কোনো বেলার খাবার না খেয়েই থাকতে হয়েছে।
শিশুদের মধ্যে পুষ্টি ঘাটতি বাড়ছে।বিশ্লেষণে দেখা গেছে, এক বছর আগের তুলনায় সেপ্টেম্বরে, বিশ্লেষণে দেখা গেছে যে আরও বেশি শিশু, যাদের মধ্যে প্রায় এক হাজার শিশু গুরুতর ও মাঝারি মাপের অপুষ্টির জন্য চিকিৎসা প্রোগ্রামে ভর্তি হয়েছে।
বিএইচএ তহবিল রোহিঙ্গাদের খাদ্য সহায়তা প্রদানের পাশাপাশি কক্সবাজার ও ভাসানচরে পুষ্টি, স্থিতিস্থাপকতা বৃদ্ধি এবং দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসে ডব্লিউএফপির কাজে ব্যবহার করা হবে।
ডব্লিউএফপির পুষ্টি কর্মসূচির মাধ্যমে কক্সবাজারের আশ্রয়দাতা সম্প্রদায়ের প্রায় ৮ হাজার শিশু এবং ৪ হাজার গর্ভবতী ও বুকের দুধ খাওয়ানো নারীকে সহায়তা করা হবে।
ডব্লিউএফপি নতুন বছরে কক্সবাজারে তাদের খাদ্যে ফর্টিফাইড চাল চালুর পরিকল্পনা করেছে এবং পুরো রেশন পুনরুদ্ধারের জন্য আরও ৭৯ মিলিয়ন ডলার প্রয়োজন।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা গণহত্যা মামলায় সহায়তা দিন: ওআইসি সদস্য দেশগুলোর প্রতি পররাষ্ট্রমন্ত্রী
৪৫৮ দিন আগে
বেসরকারি খাতে বৈচিত্র্য আনতে বাংলাদেশকে সাহায্য করতে আগ্রহী যুক্তরাষ্ট্র
তৈরি পোশাক (আরএমজি) শিল্পসহ অন্যান্য বেসরকারি খাতে বৈচিত্র্য আনতে বাংলাদেশকে সহায়তায় নিজেদের আগ্রহের কথা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
১৫৯৬ দিন আগে
কোভিড-১৯: যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি ১০০ ভেন্টিলেটর ঢাকায় পৌঁছেছে
যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি ১০০ ভেন্টিলেটর শুক্রবার বাংলাদেশে এসে পৌঁছেছে।
১৬০৫ দিন আগে
করোনাভাইরাস মোকাবিলায় বাংলাদেশকে ২৫ লাখ ডলার সহায়তা দেবে যুক্তরাষ্ট্র
করোনাভাইরাসের প্রস্তুতি এবং এর বিস্তার রোধের কার্যক্রমে সহায়তার জন্য ইউএসএইডের মাধ্যমে বাংলাদেশকে ২৫ লাখ ডলার আর্থিক সহায়তা দেবে যুক্তরাষ্ট্র।
১৮৩০ দিন আগে