খাদ্য
খাদ্যের অপচয় বন্ধে সচেতন হওয়ার আহ্বান খাদ্যমন্ত্রীর
খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন ও খাদ্যের অপচয় বন্ধে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বিকালে তেজগাঁও সেন্ট্রাল স্টোরেজ ডিপো (সিএসডি) প্রাঙ্গণে নবনির্মিত ভবনের উদ্বোধন শেষে এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: গুজব ছড়িয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা হচ্ছে: খাদ্যমন্ত্রী
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে বছরে ৪ কোটি মেট্রিক টন ধান ক্রাসিং হয়। ৪ থেকে ৫ বার ক্রাসিং করে চাল চকচকে করা হয়। মিলারদের তথ্য মতে ৪ শতাংশ হাওয়া (অপচয়) হয়ে যায়। এই অপচয় বন্ধ করতে আইন পাস করা হয়েছে। অপচয় বন্ধ হলে বিদেশ থেকে চাল আমদানি প্রয়োজন হবে না।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, জাতিসংঘসহ বিভিন্ন সংস্থা আভাস দিয়েছিল সারা বিশ্বে দুর্ভিক্ষ হবে। বাংলাদেশে অনেক মানুষ না খেয়ে মারা যাবে। দেশে একটি দলও তাতে সুর মিলিয়ে ছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সময়োপযোগী সিদ্ধান্তে বাংলাদেশে করোনাকালে কেউ না খেয়ে মারা যায়নি।
তিনি বলেন, যারা অবৈধ মজুত করে তারা দেশের শত্রু। তাদের শক্তভাবে দমন করতে হবে। এ সময় তিনি অবৈধ মজুতদারদের চিহ্নিত করতে সবার সহায়তা চান।
তিনি বলেন, সর্বকালের সর্বোচ্চ মজুত এখন গুদামে আছে। খাদ্যের কোনো সংকট নেই। এছাড়া নির্বাচনের আগে চাল ও গম নিয়ে কেউ যেন খেলতে না পারে তার প্রস্তুতি নিয়ে রাখা হয়েছে।
সাধন চন্দ্র মজুমদার আরও বলেন, শ্রমিকদের কল্যাণে শেখ হাসিনার সরকার অনেক পদক্ষেপ নিয়েছে। আগামী নির্বাচনে শেখ হাসিনার সরকারের ধারাবাহিকতা রাখতে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তাহলে শ্রমিকদের কল্যাণও ধারাবাহিকতা থাকবে।
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতারাই ভিসানীতিতে ফেঁসে গেছেন: খাদ্যমন্ত্রী
অসাম্প্রদায়িক চেতনার বিরল উদাহরণ বাংলাদেশ: খাদ্যমন্ত্রী
দেশে বর্তমানে কোনো খাদ্য ঘাটতি নেই: মন্ত্রী
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, দেশে বর্তমানে কোনো খাদ্য ঘাটতি নেই।
তিনি বলেন, মোট ধান উৎপাদনের মধ্যে বোরো উৎপাদন হয়েছে ২০১ দশমিক ৮৬ টন, আউশ ৩০ দশমিক ০১ টন এবং আমন ১৪৯ দশমিক ৫৮ টন।
সোমবার আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আলী আজমের এক উত্থাপিত প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী সংসদে বলেন, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) গত ২০২১-২২ অর্থবছরে দেওয়া তথ্যানুযায়ী মোট ৩৯২ দশমিক ৩১ টন চাল ও গম দেশে উৎপাদিত হয়েছে। এরমধ্যে চাল ৩৮১ দশমিক ৪৫ টন এবং গম ১০ দশমিক ৮৬ টন।
মন্ত্রী বলেন, বিবিএস কর্তৃক পরিচালিত গৃহস্থালি আয় ও ব্যয় জরিপ (এইচআইইএস ২০২২) অনুযায়ী মানুষের দৈনিক খাদ্য গ্রহণের পরিমাণ ৩৫১ দশমিক ৮ গ্রাম। যার মধ্যে চাল ৩২৮ দশমিক ৯ গ্রাম এবং গম ২২ দশমিক ৯ গ্রাম।
আরও পড়ুন: বোরো মৌসুমে সংগ্রহ করা চালের মান নিয়ে কোনো আপস হবে না: খাদ্যমন্ত্রী
সে অনুযায়ী ২০২১-২২ অর্থবছরে দেশের মোট জনসংখ্যা ১৬৯ দশমিক ৮২ মিলিয়ন হলে মোট খাদ্যশস্যের প্রয়োজন ২১৭ দশমিক ৫৮ লাখ টন (চাল ২০৩ দশমিক ৯৪ লাখ টন এবং গম ১৩ দশমিক ৬৪ লাখ টন); যা মোট খাদ্য উৎপাদনের তুলনায় কম।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ১ দশমিক ২২ শতাংশ বিবেচনায়, ২০২৩ সালের ১ জানুয়ারি দেশের মোট জনসংখ্যা ছিল ১৭১ দশমিক ৯০ মিলিয়ন (আনুমানিক)। এ বিবেচনায় দেশে খাদ্যশস্যের মোট চাহিদা হবে ২২০ দশমিক ৭৩ লাখ টন।
মন্ত্রী আরও বলেন, ২০২২-২৩ অর্থবছরে খাদ্যশস্য উৎপাদনের আগের প্যাটার্ন বজায় থাকলে দেশে খাদ্য ঘাটতির আশঙ্কা নেই। [সূত্র: ২০২২ সালের আদমশুমারি বিবিএস]।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ২২-২৩ অর্থবছরে ২০২৩ সালের ৪ জুন পর্যন্ত সরকার ৬ দশমিক ৩৪ লাখ টন চাল এবং ৬ দশমিক ৮০ লাখ টন গম আমদানি করেছে; অর্থাৎ ১৩ দশমিক ১৪ লাখ টন খাদ্যশস্য আমদানি করা হয়েছে।
এর মধ্যে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৪ দশমিক ২২ লাখ টন চাল এবং ২৭ দশমিক ২৪ লাখ টন গম; অর্থাৎ মোট ৩১ দশমিক ৪৬ লাখ টন খাদ্যশস্য আমদানি করা হয়েছে।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, খাদ্য অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী, বর্তমানে (৪ জুন ২০২৩ পর্যন্ত) সরকারি খাদ্যশস্যের মজুদ রয়েছে ১৭ দশমিক ৪৪ লাখ টন (১৩ দশমিক ৮৩ লাখ টন চাল ও ৩ দশমিক ৬১ লাখ টন গম)।
আরও পড়ুন: সরকার কৃষকদের পাশে দাঁড়াতে চায়: খাদ্যমন্ত্রী
টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে সরকারের ধারাবাহিকতা প্রয়োজন: খাদ্যমন্ত্রী
কাতার চ্যারিটির খাদ্য সহায়তা পেল ৫৭,৯৭০ জন
আন্তর্জাতিক এনজিও কাতার চ্যারিটি বাংলাদেশের অভাবী সম্প্রদায়ের জন্য খাদ্য প্যাকেজ প্রদান করেছে। এর দু’টি কর্মসূচির অধীনে ৫৭ হাজার ৯৭০ জন ব্যক্তি উপকৃত হয়েছেন।
শনিবার গণমাধ্যমে পাঠানো একটি বিবৃতিতে জানিয়েছে, এতিম এবং বিধবাদের অগ্রাধিকার দিয়ে, কাতার চ্যারিটি সারা দেশে ৩৩টি জায়গায় ‘ফিড দ্য ফাস্টিং’ এবং ‘যাকাত আল-ফিতর’ বাস্তবায়ন করেছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে কাতার চ্যারিটির নানাবিধ প্রকল্পে উপকার পেয়েছে ৩ লাখ মানুষ
খাদ্য মজুদ ও কালোবাজারির বিরুদ্ধে সতর্ক থাকুন: প্রধানমন্ত্রী
আসন্ন রোজার মাসে খাদ্য মজুদ ও কালোবাজারির বিরুদ্ধে সবাইকে সতর্ক থাকতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘আমাদের সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে যাতে কেউ কখনই খাদ্য মজুদ করতে না পারে এবং এসব জিনিসের কালোবাজারি করতে না পারে।’
রবিবার রাজধানীতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস-২০২৩ উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে ।
আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, রমজান মাসে জনগণ যাতে ভোগান্তিতে না পড়ে সেজন্য তার সরকার প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নিয়েছে।
দরিদ্রদের জন্য খাদ্য সহায়তা কর্মসূচির কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, সরকার পারিবারিক কার্ডের মাধ্যমে এক কোটি মানুষকে ৩০ টাকা/কেজি দরে ভর্তুকি দিয়ে চাল দেয় এবং আরও ৫০ লাখ মানুষকে ১৫ টাকা/কেজি দরে চাল দেয়।
আরও পড়ুন: জঙ্গিবাদ, মাদক ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সতর্কতা বাড়াতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জনগণ যাতে ভোগান্তিতে না পড়ে সেজন্য প্রয়োজনে সরকার আরও ৫০ লাখ মানুষকে (১৫ টাকা/কেজিতে) চাল দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
তিনি বলেন, চালের পাশাপাশি সরকার দরিদ্রদের জন্য ভর্তুকি মূল্যে রমজানে ডাল, ভোজ্যতেল, চিনি ও ছোলাসহ আরও কিছু প্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহ করছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের উদ্বোধনী বক্তব্য দেন। এছাড়া আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, যুগ্ম সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমেদ হোসেন ও আফজাল হোসেন, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য নুরুল ইসলাম ঠান্ডু ও অধ্যাপক ডা. মেরিনা জাহান কবিতা, আওয়ামী লীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি আবু আহমেদ মান্নাফি, ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান বক্তব্য দেন।
যৌথভাবে এটি পরিচালনা করেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ এবং উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সৈয়দ আবদুল আউয়াল শামীম।
১৯২০ সালের ১৭ মার্চ গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
আরও পড়ুন: তথাকথিত বিরোধীরা মিথ্যা প্রচার করে সাফল্য নষ্ট করতে চায়: প্রধানমন্ত্রী
ইউটিউব দেখে মাশরুম চাষে সফল সবজি বিক্রেতা
খাদ্য হিসেবে মাশরুম অত্যন্ত জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। এটি পুষ্টিসমৃদ্ধ ও সহজে হজম হয়। হয়তো সেজন্যই নওগাঁর সবজি বিক্রেতা সাগর আলীর মাশরুম চাষে আগ্রহ জাগে। আগ্রহ থেকেই কাজে নেমে পড়েন। বর্তমানে ইউটিউবে ভিডিও দেখে মাশরুম চাষ করে এলাকায় ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছেন তিনি।
ভালো ফলন হওয়ায় অল্প দিনে তিনি লাভের মুখ দেখেছেন। এছাড়া সরকারি-বেসরকারি সহযোগিতা পেলে ভবিষ্যতে পরিসর বাড়িয়ে মাশরুম চাষ করার স্বপ্ন দেখছেন তিনি।
সবজি বিক্রেতা সাগর আলী নওগাঁ সদর উপজেলার কির্ত্তিপুর ইউনিয়নের বেনী-ফতেপুর এলাকার বাসিন্দা। তিনি প্রশিক্ষণ নিয়ে স্বল্প পুঁজিতে প্রথমে ছোট পরিসরে শুরু করেন মাশরুম চাষ। এই চাষ লাভজনক হওয়ায় আস্তে আস্তে তিনি বড় পরিসরে মাশরুমের খামার গড়ে তোলেন। এতে তিনি বেশ সফলও হয়েছেন। খুব কম সময়ের মধ্যে লাভের মুখ দেখছেন সাগর আলী। মাশরুম বিক্রি করে সংসারেও ফিরিয়েছেন আর্থিক স্বচ্ছলতা।
সাগর আলীর মাশরুম খামারে গিয়ে দেখা যায়, দুই কাঠা জমির ওপরে টিন দিয়ে ঘর তৈরি করেছেন। ওই ঘরে সুতা দিয়ে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে পলিথিন দিয়ে মোড়ানো ৩০০টি মাশরুম বীজ প্যাকেট (স্পন প্যাকেট)।
সেই পলিথিনের গায়ের ছিদ্র দিয়ে সাদা আস্তরণে দেখা যাচ্ছে মাশরুম। সেখান থেকেই কেটে বাজারজাত বা বিক্রি করছেন তিনি।
আরও পড়ুন: মাশরুমের সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে: কৃষিমন্ত্রী
উন্নত দেশগুলোর প্রতি খাদ্যকে যুদ্ধ ও অবরোধের বাইরে রাখার আহ্বান কৃষিমন্ত্রীর
বিশ্বব্যাপী খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে উন্নত দেশগুলোকে দায়িত্বশীল ও আরও তৎপর হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।
তিনি বলেন, খাদ্য ও কৃষি উপকরণকে যুদ্ধ ও অবরোধের বাইরে রাখার প্রস্তাব দিয়েছেন তিনি।
শনিবার (২১ জানুয়ারি) জার্মানির বার্লিনে ‘১৫তম বার্লিন কৃষিমন্ত্রীদের সম্মেলনে’- মন্ত্রী এ আহ্বান জানান।
জার্মান ফেডারেল মিনিস্ট্রি অব ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচারের (বিএমইএল) আয়োজনে চার দিনব্যাপী (১৮-২১ জানুয়ারি) ১৫তম গ্লোবাল ফোরাম ফর ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচারের (জিএফএফএ) শেষ দিনে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এ সম্মেলনে বিশ্বের ৭০টিরও বেশি দেশের কৃষিমন্ত্রী ও ১০টি আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেছেন।
মন্ত্রী বলেন, চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের নির্দোষ ভুক্তভোগী বাংলাদেশ। এ যুদ্ধের ফলে সারের দাম চার গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে, খাদ্যশস্যের দাম অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে এবং খাদ্য নিরাপত্তায় প্রভাব ফেলেছে। এ নেতিবাচক প্রভাব নিরসনের জন্য আমি উন্নত বিশ্বকে নমনীয়, সহজ ও দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানাচ্ছি।
আরও পড়ুন: নির্বাচন পর্যন্ত বিএনপি’র ‘আন্দোলন-আন্দোলন খেলা’ চলতে থাকবে: কৃষিমন্ত্রী
আগামীতে খাদ্য নিরাপত্তায় বাংলাদেশ সরকারের প্রস্তুতি তুলে ধরে ড. রাজ্জাক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার একটি উন্নত, টেকসই ও জলবায়ুসহনশীল কৃষি ব্যবস্থা গড়ে তুলতে কাজ করছেন। যার মাধ্যমে মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা টেকসই হবে, পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার নিশ্চিত হবে এবং কৃষকেরা উন্নত জীবন পাবেন। কিন্তু জমি হ্রাস, জনসংখ্যা বৃদ্ধি, জলবায়ু পরিবর্তন, কোভিড-১৯ ও চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ পরিস্থিতিতে কপ২৬, কপ২৭ ও অন্যান্য বৈশ্বিক ফোরামে দেয়া প্রতিশ্রুতি দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য উন্নত দেশগুলোকে আমি অনুরোধ করছি।
সম্মেলনে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলে কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. রুহুল আমিন তালুকদার ও বার্লিনস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের মিনিস্টার মো. সাইফুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
১৫তম গ্লোবাল ফোরাম ফর ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচার ও কৃষিমন্ত্রীদের সম্মেলনে জানানো হয়, ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (এসডিজি) অনুযায়ী বৈশ্বিক ক্ষুধা নিরসন (জিরো হাঙ্গার) করার কথা রয়েছে। কিন্তু বাস্তবতা হলো ক্ষুধায় আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। ২০২১ সালে ৭০ কোটি ২০ লাখ থেকে ৮২ কোটি ৮০ লাখ মানুষ ক্ষুধায় আক্রান্ত হয়েছে, যা ২০২০ সালের তুলনায় চার কোটি ৬০ লাখ এবং ২০১৯ সালের তুলনায় ১৫ কোটি বেশি। বর্তমানে বিশ্ব দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সবচেয়ে খারাপ খাদ্য সংকট পরিস্থিতি মোকাবিলা করছে। প্রজাতি বিলুপ্তি, কোভিড ১৯, আর যুদ্ধ; খাদ্যসংকটে নতুন মাত্রা যোগ করেছে।
এই পরিস্থিতিকে সামনে রেখে কীভাবে ক্রাইসিস-প্রুফ খাদ্য ব্যবস্থা, জলবায়ুসহনশীল খাদ্য ব্যবস্থা, জীববৈচিত্র্য রক্ষা এবং টেকসই বৈশ্বিক খাদ্য ব্যবস্থা গড়ে তুলতে সহযোগিতা বাড়ান যায়- এই চারটি বিষয়কে সম্মেলনে গুরুত্ব প্রদান করা হয়। 'ফুড সিস্টেম ট্রান্সফর্মেশন: এ ওয়ার্ল্ডওয়াইড রেসপন্স টু মাল্টিপল ক্রাইসেস' শিরোনামে এ সম্মেলনে বিগত চার দিনে অংশগ্রহণকারী দেশের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি ও কৃষিমন্ত্রীরা আলোচনা করে একটি ‘যৌথ ইশতেহার’ (কমিউনিক) ঘোষণা করেছেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের কৃষি উন্নত ও আধুনিক হচ্ছে: বার্লিনে কৃষিমন্ত্রী
বার্লিনে জার্মান ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের সঙ্গে কৃষিমন্ত্রীর বৈঠক
ভয়েস অব গ্লোবাল সাউথ সামিট: খাদ্য, জ্বালানি, সারের ঘাটতির চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার আহ্বান
সদ্য অনুষ্ঠিত ভয়েস অব গ্লোবাল সাউথ সামিটে খাদ্য, জ্বালানি এবং সারের ঘাটতির ত্রিমুখী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা।
তারা সমসাময়িক বাস্তবতাকে তুলে ধরে এমন পুনর্বক্ত এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক বহুপাক্ষিকতারও আহ্বান জানিয়েছে।
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মতে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে তাদের সম্মিলিত জবাব দেয়ার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেয়া হয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের অধিবেশনে, মন্ত্রীরা আন্তর্জাতিক ভৌগলিক পরিবেশের ক্রমবর্ধমান বিভক্তির বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং গ্লোবাল সাউথের উন্নয়ন অগ্রাধিকারের জন্য কীভাবে একটি অনুকূল পরিবেশ তৈরি করা যায় সে বিষয়ে দৃষ্টিভঙ্গি বিনিময় করেন।
ভারত ১২ থেকে ১৩ জানুয়ারি এই দুই দিনের শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজক। সামিটটি ভার্চুয়াল ফর্ম্যাটে অনুষ্ঠিত হয়েছিল, এতে মোট ১০টি সেশন ছিল।
এতে বাংলাদেশসহ গ্লোবাল সাউথের ১২৫টি দেশের নেতা ও মন্ত্রীরা অংশগ্রহণ করেন।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্র গঠনমূলক পরামর্শ দিলে তা গ্রহণ করবে বাংলাদেশ: মোমেন
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নেতাদের নিয়ে ১২ জানুয়ারির উদ্বোধনী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।
এর পরে আটটি মন্ত্রী পর্যায়ের বিষয়ভিত্তিক বিভাগগুলো উন্নয়নশীল বিশ্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উদ্বেগগুলোকে সমাধান করার জন্য নিবেদিত হয়েছিল।
১৩ জানুয়ারি ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর আয়োজিত নেতাদের একটি সমাপনী অধিবেশনের মাধ্যমে শীর্ষ সম্মেলনটি সমাপ্ত হয়।
জ্বালানি মন্ত্রীদের অধিবেশনে বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধি এবং মানব উন্নয়নের জন্য জ্বালানি নিরাপত্তার গুরুত্বের ওপর জোর দেয়া হয়েছে।
ক্রমবর্ধমান অস্থিতিশীলতার মধ্যে জ্বালানিতে অ্যাক্সেস, শক্তির উৎসের বৈচিত্র্যের মাধ্যমে জ্বালানির সাশ্রয়ীতা নিশ্চিত করা, নবায়নযোগ্য এবং বিকল্প জ্বালানি উদ্ভাবনের জন্য সর্বোত্তম অনুশীলনগুলো ভাগাভাগি করা এবং জৈব জ্বালানির সম্ভাবনাকে কাজে লাগানো ছিল মিথস্ক্রিয়াটির মূল বিষয়।
বাণিজ্য/বাণিজ্য মন্ত্রীদের অধিবেশনে, মন্ত্রীরা উন্নয়নশীল দেশগুলোতে ব্যবসা এবং বিনিয়োগের পরিবেশ উন্নত করার কৌশলগুলো তুলে ধরেন; যোগাযোগ এবং বাণিজ্য সময়োপযোগী করা; জটিল প্রযুক্তি এবং সংস্থানগুলোতে ব্যবহার নিশ্চিত করা; তৃণমূল উদ্ভাবনকে উৎসাহিত করা এবং সর্বোত্তম অনুশীলনের সুযোগ করে দেয়া; এবং সরবরাহ চেইনের বৈচিত্র্য আনা।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ সফরে ভারতীয় কোস্ট গার্ড জাহাজ চট্টগ্রাম পৌঁছেছে
মন্ত্রীরা একমত হয়েছেন যে মহামারি পরবর্তী একটি টেকসই পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়া সহজীকরণ, প্রযুক্তি ভিত্তিক সমাধান বাস্তবায়ন, অবকাঠামোতে বিনিয়োগ এবং বৈশ্বিক বাজারে ন্যায়সঙ্গত ব্যবহার নিশ্চিত করার ওপর নির্ভরশীল হবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রীদের অধিবেশনে, অংশগ্রহণকারীরা বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক পদ্ধতি গ্রহণের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছিলেন।
স্বাস্থ্যসেবায় ডিজিটাল পাবলিক পণ্যের বিকাশ, ঐতিহ্যগত ওষুধের প্রচার, জনসাধারণের সক্ষমতা তৈরি এবং আঞ্চলিক নেটওয়ার্ক বিকাশের উপায় ও উপায় এবং জ্ঞান ভাগাভাগি নিয়ে আলোচনা করা হয়েছিল।
দক্ষিণ-দক্ষিণ সহযোগিতার একটি উল্লেখযোগ্য প্রতিফলন হিসাবে মন্ত্রীরা কোভিড মহামারি চলাকালীন ভারতের ভ্যাকসিন মৈত্রী উদ্যোগের বিশেষভাবে প্রশংসা করেছিলেন।
শিক্ষামন্ত্রীদের অধিবেশনে, উন্নয়নশীল দেশগুলোকে জ্ঞানভিত্তিক সমাজে রূপান্তরিত করার ধারণাগুলো তুলে ধরেন, যা ভবিষ্যতে দক্ষ কর্মশক্তি তৈরি করতে পারে।
মন্ত্রীরা বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ, সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং শিক্ষায় সমতা ও গুণমান প্রদানের জন্য প্রযুক্তির ব্যবহারে সর্বোত্তম অনুশীলনগুলো বিনিময় করার প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে কথা বলেছেন।
ভারত তার ন্যাশনাল এডুকেশন পলিসি ভাগ করে নিয়েছে যা এক্সেস, ইক্যুইটি, কোয়ালিটি, ক্রয়ক্ষমতা এবং জবাবদিহিতার মূল স্তম্ভের ওপর তৈরি করা হয়েছে।
ভারতের জি২০ প্রেসিডেন্সির জন্য ধারনা ভাগ করে নেয়ার সেশনে, ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস. জয়শঙ্কর তার জি২০ প্রেসিডেন্সির জন্য ভারতের মূল অগ্রাধিকারগুলো ভাগ করেছেন এবং আশ্বাস দিয়েছেন যে ভারত ভয়েস অব-এ অংশীদার দেশগুলো থেকে উৎপন্ন মূল্যবান ইনপুটগুলো নিশ্চিত করতে কাজ করবে। গ্লোবাল সাউথ সামিট জি২০ আলোচনা সহ বিশ্বব্যাপী যথাযথ স্বীকৃতি পায়।
আরও পড়ুন: র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা পুনর্বিবেচনার জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে অনুরোধ করবে বাংলাদেশ: মোমেন
অংশগ্রহণকারী দেশগুলো প্রশংসার সঙ্গে স্বীকৃত যে শীর্ষ সম্মেলন ফলপ্রসূ কথোপকথন তৈরি করেছে এবং তাদের অগ্রাধিকার এবং চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করতে একটি কর্মমুখী সূচির মাধ্যমে একটি নতুন পথ নির্ধারণ করেছে। তারা সূচির এবং বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জের সমাধানের জন্য অনুসন্ধানের মধ্যে তার বৃহত্তম স্টেকহোল্ডার, গ্লোবাল সাউথের কণ্ঠস্বরকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
অর্থমন্ত্রীদের অধিবেশনে, মন্ত্রীরা গ্লোবাল সাউথের উন্নয়ন চাহিদার অর্থায়ন, আর্থিক অন্তর্ভুক্তি অর্জন, আর্থিকখাতে ডিজিটাল পাবলিক পণ্যের বাস্তবায়ন এবং ফলাফল-ভিত্তিক এবং আর্থিকভাবে টেকসই উন্নয়ন অংশীদারিত্বের বিষয়ে মতবিনিময় করেন।
পরিবেশ মন্ত্রীদের অধিবেশনে স্থায়িত্বের সঙ্গে বৃদ্ধির ভারসাম্য রক্ষা, পরিবেশ সংরক্ষণে সর্বোত্তম অনুশীলনের ভাগাভাগি করা এবং ২০২২ সালের অক্টোবরে প্রধানমন্ত্রীর চালু করা পরিবেশের জন্য লাইফ বা জীবনধারার গুরুত্বের ওপর মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করা হয়েছিল।
মন্ত্রীরা ইক্যুইটি অ্যান্ড কমন বাট ডিফারেনসিয়েটেড রেসপনসিবিলিটিস অ্যান্ড রিস্পেক্টিভ ক্যাপাবিলিটিস (সিবিডিআর-আরসি) নীতি অনুসারে ক্রমবর্ধমান জলবায়ু প্রভাব মোকাবিলায় জলবায়ু অর্থায়ন এবং ক্ষতি ও ক্ষতির তহবিল সরবরাহের জন্য দ্রুত জলবায়ু ব্যবস্থা এবং সরবরাহের আহ্বান জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ঢাকা-টোকিও ‘কৌশলগত অংশীদারিত্বে’ ঘনিষ্ঠ ও গভীর সম্পর্ক উন্নীত করার সুযোগ দেখছে
এখনও ৫ মাসের খাদ্য আমদানি করার জন্য বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ যথেষ্ট: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশের এখনও পর্যাপ্ত বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ রয়েছে, যা পাঁচ মাসের আমদানি ব্যয় মেটানোর জন্য যথেষ্ট।
তিনি বলেন, ‘২০২২ সালের ৩ নভেম্বর পর্যন্ত বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ৩৫ দশমিক ৭২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। তারপরও আমাদের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দিয়ে পাঁচ মাসের জন্য পণ্য আমদানি করা সম্ভব। আন্তর্জাতিক মানদন্ডে যদি ৩ মাসের আমদানী পরিমান রিজার্ভ থাকে তাহলে সেটাই যথেষ্ট।’
রবিবার একাদশ জাতীয় সংসদের ২০তম অধিবেশনে সমাপনী ভাষণ দেয়ার সময় সংসদ নেত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, সবাই এখন রিজার্ভের কথা বলে এবং সবাই এটা নিয়ে বিশেষজ্ঞ হয়ে উঠেছে। ১৯৯৬ সালে রিজার্ভ ছিল মাত্র ২ দশমিক ১২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, কিন্তু তার প্রথম সরকার ২০০১ সালের মধ্যে এটি প্রায় ৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত করে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ২০০৯ সালে আবার ক্ষমতায় এসে ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি ক্ষমতায় এসে ৫ দশমিক ৩৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ পায়- যা ২০১৪ সালের ৮ জানুয়ারি তা ১৭ দশমিক ৪৭ বিলিয়ন, ২০১৯ সালের ৭ জানুয়ারি ৩২ দশমিক ০৯ বিলিয়ন, ২০২০ সালের ৩০ জুন ৩৬ দশমিক ০৪ বিলিয়ন এবং ২০২১ সালের ৩০ জুন ৪৬ দশমিক ৩৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়।
আরও পড়ুন: কৃষি উৎপাদন ও জীবিকা নির্বাহের জন্য সমবায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ: যুবকদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, কোভিড-১৯ এর সময় আমদানি-রপ্তানিসহ অন্যান্য ব্যয় প্রায় বন্ধ থাকায় তা প্রায় ৪৮ বিলিয়নে উঠে গিয়েছিল।
পরবর্তী আমদানী বৃদ্ধি এবং সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প বস্তবায়ন এবং ক্যাপিটাল মেনিারিজ আমদানীর ফলে রিজার্ভ কিছুটা কমে বর্তমান ৩ নভেম্বর ৩৫ দশমিক ৭২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে এসে দঁড়িয়েছে।
তিনি আরও বলেন, যখন কোভিড বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করা হয়, তখন পণ্য আমদানি স্বাভাবিকভাবে বেড়েছে। তাই, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ হ্রাস পেয়েছে।
তবে তিনি বিলাসবহুল পণ্যের আমদানি হ্রাস এবং কম প্রয়োজনীয় পণ্য আমদানিতে উচ্চ কর আরোপের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।
এছাড়া শেখ হাসিনা তার ভাষণে খাদ্যের পর্যাপ্ত মজুদ নিশ্চিত করতে, ডলার সংকট নিরসনে, আমদানি ব্যয় কমাতে এবং ওএমএসসহ খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি সম্প্রসারণে সরকারের গৃহীত পদক্ষেপের ওপর আলোকপাত করেন।
তিনি বিভিন্ন খাতে ভর্তুকি, সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর সম্প্রসারণ, রপ্তানি বৃদ্ধি, ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব, সরকারের ঋণের পরিমাণ এবং বৈদেশিক ঋণের কথাও তুলে ধরেন।
পরবর্তীতে ৬টি অধিবেশন স্থায়ী সংসদের ২০তম অধিবেশন স্থগিত করা হয়।
গত ৩০ অক্টোবর শুরু হওয়া অধিবেশনে রাষ্ট্রপতির স্থগিতাদেশ পাঠ করেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
আরও পড়ুন: মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে সরকারি কর্মকর্তাদের নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এখন রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে সৃষ্ট বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সঙ্কট এবং এর পরিপ্রেক্ষিতে কোভিড-১৯ মহামারি পরবর্তী নিষেধাজ্ঞা ও পাল্টা নিষেধাজ্ঞার পরিণতির মুখোমুখি হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশও এর থেকে আলাদা নয়। বাংলাদেশও এর ফল ভোগ করছে।’
তিনি বলেন, বিশ্বের প্রায় সব দেশেই মুদ্রাস্ফীতি রেকর্ড করেছে।
তিনি আরও বলেন, বিভিন্ন মুদ্রার বিপরীতে ডলারের মূল্য ক্রমাগত বৃদ্ধি সংকটকে আরও গভীর করেছে।
ভর্তুকি সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সংকটের কারণে সরকারকে বিদ্যুৎ, জ্বালানি, খাদ্য আমদানি এবং খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিসহ বিভিন্ন খাতে অতিরিক্ত ভর্তুকি দিতে হবে।
তিনি বলেন, ভর্তুকির মোট চাহিদা ১ লাখ ৫ হাজার কোটি টাকা বেড়েছে।
খাদ্যের বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, দেশের কোষাগারে বর্তমানে ১৫ লাখ ৭৩ হাজার ৪৮৫ টন খাদ্যশস্য মজুদ থাকায় উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। এছাড়া সরকার আরও খাদ্য আমদানির পদক্ষেপ নিয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, দেশের ২৯ শতাংশ পরিবারকে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় আনা হয়েছে এবং বিভিন্ন খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি জোরদার করা হয়েছে এবং ওএমএস (ওপেন মার্কেট সেল) স্কিম উপজেলায় নামিয়ে আনা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা ওএমএসের মাধ্যমে দরিদ্রদের আরও বেশি পরিমাণে প্রয়োজনীয় জিনিস সরবরাহ করার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘আমরা দেশের মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। আমরা আমাদের যথাসাধ্য চেষ্টা করছি যাতে দেশের মানুষ ভালো থাকে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, চলতি অর্থবছরের জুলাই-অক্টোবর সময়কালে রপ্তানি আয় ও রেমিট্যান্স প্রবাহ যথাক্রমে ৭ শতাংশ এবং ২ শতাংশ ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি পেয়েছে, যেখানে আমদানির জন্য খোলা এলসি ১১ দশমিক ৭ শতাংশ কমেছে।
তিনি বলেন, ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে দেশে যাতে কোনো ডলার সংকট না হয় সেদিকে সরকার নজর রাখছে।
বৈদেশিক ঋণ সম্পর্কে শেখ হাসিনা বলেন, সরকারের মোট ঋণ জিডিপির মাত্র ৩৬ শতাংশ এবং বৈদেশিক ঋণ জিডিপির মাত্র ১৩ দশমিক ৫ শতাংশ।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর আমরা (বাংলাদেশ) ঋণ বা ঋণ খেলাপিদের ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হইনি এবং ভবিষ্যতেও ব্যর্থ হব না।
প্রধানমন্ত্রী সংসদে বলেন, ‘আমরা আমাদের অর্থনীতিকে প্রাণবন্ত রাখার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করছি।’
এ প্রেক্ষাপটে তিনি সকল মানুষকে মিতব্যয়ীতা অবলম্বন, সম্পদের অপচয় বন্ধ, খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি এবং আমদানি পণ্যের ওপর নির্ভরতা কমানোর আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: দাম নিয়ন্ত্রণে কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়
বিশ্বে খাদ্য শস্যের দাম প্রায় তিনগুণ বেড়ে গেছে: খাদ্যমন্ত্রী
বিশ্বে খাদ্য শস্যের দাম প্রায় তিনগুণ বেড়ে গেছে বলে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
তিনি বলেছেন, রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্ব টালমাটাল। বিশ্বে খাদ্য শস্যের দাম প্রায় তিনগুণ বেড়ে গেছে। তারপরও সরকার চালের দাম যাতে না বাড়ে তার জন্য কাজ করছে।
আরও পড়ুন: সংকট মোকাবিলায় পারস্পরিক সহযোগিতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ: খাদ্যমন্ত্রী
শুক্রবার বিকালে নওগাঁর সাপাহার উপজেলার মিরাপাড়া দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ২নং গোয়ালা ইউনিয়ন মহিলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
করোনাকালে সরকারের খাদ্য কর্মসূচির সফলতা তুলে ধরে তিনি বলেন, অনেকে আশঙ্কা করেছিলেন করোনাকালে এদেশে না খেয়ে লাখ লাখ মানুষ মারা যাবে। কিন্তু করোনায় মৃত্যু হলেও খাদ্যের অভাবে কেউ মারা যায়নি।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙ্গালিকে স্বাধীনতা এনে দিয়েছিলেন। শেখ হাসিনা স্বাধীনতার স্বপ্নপূরণে কাজ করে যাচ্ছেন। নিজের জীবনবাজি রেখে তিনি জনগণের অর্থনৈতিক মুক্তি তথা সমৃদ্ধ বাংলা গড়তে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
আরও পড়ুন: যা মজুদ আছে তাতে খাদ্যসংকটের কোনো সম্ভাবনা নেই: খাদ্যমন্ত্রী
শেখ হাসিনা সকলের জন্য বাড়ি করে দিচ্ছেন উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, এদেশে গৃহহীণ কোন মানুষ থাকবেনা। গরীব মানুষকে সরকার ১৫ টাকায় চাল দিচ্ছে।
গোয়ালা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরজাহান বেগম এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন সাপাহার উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. শামসুল আলম শাহ চৌধুরী, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. কামরুজ্জামান।
সম্মেলন উদ্বোধন করেন সাপাহার উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফাহিমা বেগম। প্রধান বক্তা ছিলেন সাপাহার উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইস্ফাত জেরিন মিনা।
আরও পড়ুন: জনগণকে পলিশ চাল না খাওয়ার পরামর্শ খাদ্যমন্ত্রীর
বন্যা দুর্গত এলাকায় কি ধরনের খাদ্য ও ত্রাণ সামগ্রী পাঠাবেন
প্রতি বছর ঝড়ের সম্মুখীন হওয়ায় বাংলাদেশিদের জন্য বন্যা মোকাবিলা করা বেশ স্বাভাবিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। এরপরেও ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ কমছে না; বরং বেড়েই চলেছে। প্রতি বছর ঝড়-প্লাবনে প্রাণহানি যেন অগত্যা সাধারণ সংবাদে রূপ নিয়েছে। এ অবস্থার উন্নতির জন্য সমাজের প্রতিটি স্তর থেকে প্রয়োজন তাদের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়া। তাই চলুন জেনে নেয়া যাক বন্যা দুর্গত এলাকায় কি ধরনের খাদ্য ও ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছানো যায়।
বন্যা দুর্গত এলাকায় বিতরণের জন্য খাদ্য সামগ্রী
বিশুদ্ধ খাবার পানি
ঝড় ও বন্যার সময় নদী, পুকুর এবং ঘরের ভেতরের পানি দূষিত হতে পারে। তাই আশ্রয়কেন্দ্রে সরবরাহকৃত পানি সঞ্চয় করা উত্তম। সাধারণত একজন ব্যক্তির পানীয় এবং খাদ্যের চাহিদা পূরণের জন্য প্রতিদিন গড়ে ন্যূনতম ১ গ্যালন এবং গোসল, দাঁত ব্রাশ ও থালা-বাসন ধোয়ার জন্য দেড় থেকে আড়াই গ্যালন পানি প্রয়োজন হয়৷ অবশ্য টিনজাত ফলের রস, কোমল পানীয় এবং শাকসবজির রস খাবার পানীয়’র কিছু অংশ পূরণ করতে পারে।
এই পানি সরবরাহের সময় টাইট-ফিটিং বা স্ক্রু টপ ঢাকনা সহ পরিষ্কার পাত্র ব্যবহার করা উচিত। হালকা ওজনের প্লাস্টিকের পাত্র এক্ষেত্রে ভালো কাজ দিতে পারে। যদি কাচের জগ বা বোতল ব্যবহার করা হয়, তাদের মধ্যে খবরের কাগজ বা অন্যান্য প্যাকিং সামগ্রী রেখে সেগুলোকে ভেঙ্গে যাওয়া থেকে রক্ষা করা যেতে পারে। ধাতব পাত্রগুলোতে পানি রাখলে পানির স্বাদ বদলে যায়; আর মরিচা ধরতে পারে।
খুব জরুরি অবস্থায় বাড়ির গরম পানির ট্যাঙ্ক থেকে নিষ্কাশন করা পানি সংগ্রহ করা যেতে পারে। তবে এগুলোতে দূষণের সম্ভাবনা থাকে। তাই এই পানি সরবরাহের আগে বিশুদ্ধ করা উচিত।
প্রায় সময় অনেক বেশি পানি বহন করা কঠিন হয়ে পড়ে। সেক্ষেত্রে ক্লোরিন ডাই অক্সাইড বা পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট, ফিটকিরি ইত্যাদি নিয়ে যাওয়া যেতে পারে। এতে করে প্লাবিত লোকজন নিজেরাই পানি বিশুদ্ধ করে নিতে পারবেন।
আরো পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং: ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কমিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্প
যথাসম্ভব সংরক্ষণ করে রাখার মত বিশুদ্ধ খাবার
যে কোন দুর্যোগপ্রবণ এলাকায় দুর্যোগ পরবর্তী খাবারের চাহিদা পূরণের জন্য মুড়ি, চিড়া, সবজি খিচুড়ি ইত্যাদি খাদ্য ত্রাণ হিসেবে দেয়া যেতে পারে। জরুরি অবস্থায় ত্রাণ হিসেবে সরবরাহের জন্য আগে প্রয়োজনীয় খাদ্যগুলো সংরক্ষণ করা যেতে পারে। এখানে খাবারের পরিমাণ এবং ধরণ বিভিন্ন কারণের ওপর নির্ভর করে। যেমন- দুর্গত এলাকার পরিবারের সদস্যদের বয়স এবং বিশেষ খাদ্য চাহিদা সম্পন্ন ব্যক্তি যেমন- শিশু, গর্ভবতী মহিলা, বয়স্ক। এছাড়াও তাদের স্বাস্থ্যের অবস্থা এবং খাদ্য প্রস্তুত করার ক্ষমতার দিকে বিশেষ দৃষ্টি দিতে হবে।
স্বল্পমেয়াদী খাদ্য সরবরাহের জন্য সাধারণত পানীয় এবং বিশেষ খাদ্যের চাহিদা মেটাতে হয়। কাচের পাত্র ভেঙ্গে যেতে পারে। তাই জরুরি খাদ্য সরবরাহের জন্য টিনজাত পণ্যই সেরা। টিনজাত খাবারের মধ্যে রয়েছে-
শাকসবজি, মটরশুটি, ফল ও ফলের রস, স্যুপ, দুধ এবং বোতলজাত পানি। এছাড়াও তালিকাভুক্ত করা যেতে পারে চিনি, লবণের মতো প্রধান খাবার, বিস্কুট, চকলেট, উচ্চ শক্তির খাবার যেমন পিনাট বাটার, জেলি, বাদাম, শুকনো ফল, চাল এবং আলু। বাচ্চাদের জন্য সুজি, সেরেলাক নেয়া যেতে পারে।
টিনজাত খাবার প্রায় অনির্দিষ্টকালের জন্য রাখা যেতে পারে, যতক্ষণ না টিন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তবে এগুলো সরবরাহের পাশাপাশি আশ্রয়কেন্দ্রে তা সংরক্ষণেরও ব্যবস্থা করতে হবে। নতুবা যে কোনও সময় সেগুলো পোকামাকড় এবং ইঁদুরের মতো কীটপতঙ্গের পাশাপাশি বন্যার পানি দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
আরো পড়ুন ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং: ভোলায় ২০ হাজারের বেশি মানুষ বিপর্যস্ত
বন্যা দুর্গত এলাকায় বিতরণের জন্য অন্যান্য ত্রাণ সামগ্রী
খাবার ছাড়াও বন্যার্তদের টিকে থাকার জন্য আরও কিছু জিনিসের প্রয়োজন হয়। অতিবৃষ্টি অথবা বন্যার কারণে অনেক সময় অসহায় লোকদের এক কাপড়েই কাটিয়ে দিতে হয় দীর্ঘ দিন। তাই নারী-পুরুষ ও ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের জন্য আলাদাভাবে কাপড় নেয়া যেতে পারে। বন্যার পানি থেকে পা বাঁচানোর জন্য দেয়া যেতে পারে গামবুট। এ ব্যাপারে শিশু ও বয়স্কদের ওপর বিশেষ নজর দেয়া যেতে পারে।
স্বাস্থ্যবিধি সামগ্রীর মধ্যে সাবান, টুথব্রাশ ও টুথপেস্ট, মশা ও পোকা-মাকড় নিরোধক, মশা স্প্রেয়ার ত্রাণ হিসেবে সঙ্গে নেয়া যেতে পারে।
ওষুধপত্রের মধ্যে খাবার স্যালাইন, জ্বর ও মাথা ব্যথার ওষুধ, কাশির সিরাপ নেয়া যেতে পারে।
বিভিন্ন মাত্রার বর্ষণ থেকে বাঁচার জন্য ছাতা ও রেইন কোট উত্তম। কাপড়ের বিকল্প হিসেবে নয়; বরং আলাদা কাপড়ের তালিকায় এই সামগ্রী রাখা উচিত।
ঝড়ের মধ্যে বিদ্যুৎ বিভ্রাট খুব সাধারণ বিষয়। এই লোডশেডিং-এর কথা মাথায় রেখে মোমবাতি, টর্চ লাইট, ম্যাচ দেয়া যেতে পারে।
দুর্যোগ যখন বন্যা তখন এ থেকে বাঁচার জন্য নৌকাই একমাত্র ভরসা। তাই ত্রাণ হিসেবে নৌকার কথাও ভাবা যেতে পারে। স্থানীয় নৌকার দাম সাধারণত সাধ্যের বাইরে থাকে। তাই ত্রাণ হিসেবে কয়েকটি ইনফ্ল্যাটেবল বোট পেলে অসহায় মানুষ হাফ ছেড়ে বাঁচতে পারে। গ্যাসে ভরা এসব নৌকা ওজনে বেশ হালকা হয়; আর দামেও সাশ্রয়ী। ৩ জন মানুষের জায়গা সংকুলান হয় এই নৌকায়। ফলে সহজেই তারা এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যাতায়াত করতে পারেন।
আরো পড়ুন পাকিস্তানে স্মরণকালের সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যার কারণ
শেষাংশ
বন্যা দুর্গত এলাকায় খাদ্য ও ত্রাণ সরবরাহ বির্পযস্ত জনজীবনকে কেবল টিকিয়েই রাখে না, এটি ভবিষ্যতের জন্য আর্থিক দিক থেকে পুনরুদ্ধারের সম্ভাবনা বজায় রাখে। প্রতিবারের মত এবারো সিত্রাং ঘূর্ণিঝড়ে হাজার হাজার পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ সময় অপরিচ্ছন্ন পরিবেশের কারণে বিভিন্ন রোগ-জীবাণুর সংক্রমণ ঘটে। এ সবকিছুর সঙ্গে লড়াই করে অসহায় মানুষ তীর্থের কাকের মত ত্রাণের জন্য অপেক্ষা করে। তাই পর্যাপ্ত খাবার ও ওষুধসহ প্রয়োজনীয় ত্রাণ সামগ্রী তাদের এই ক্ষতিগুলো অনেকাংশে পুষিয়ে দিতে পারে। প্রত্যেকের সামর্থ্য অনুযায়ী এগিয়ে আসা উচিত এই দুর্গত মানুষদের সাহায্যার্থে।