খাদ্য
‘মেইড ইন জিনজিরা’ ট্যাং-জুস-গ্লুকোজে সয়লাব রমজানের বাজার
জিনজিরা; ঢাকার উপকণ্ঠে কেরানীগঞ্জের এই স্থানটির খ্যাতি এক বিশেষ কারণে—নকল পণ্য উৎপাদনে এই জায়গার জুড়ি মেলা ভার। মেশিনারি, গাড়ির যন্ত্রাংশ থেকে শুরু করে প্রসাধনী, নকল খাদ্যসামগ্রী—কী উৎপাদন হয় না সেখানে! স্থানটির এতই খ্যাতি যে, দেশে নকল কোনো পণ্য বোঝাতে ‘মেইড ইন জিনজিরা’ ট্যাগ লাগিয়ে দেন অনেকে।
ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে পবিত্রে রমজান মাসে জিনজিরায় তৈরি নকল ট্যাং, জুস ও গ্লুকোজে ইতোমধ্যে সয়লাব হয়ে গেছে বাজার। অসাধু ব্যবসায়ীরা বেশি মুনাফার আশায় নকল ও ভেজাল খাদ্যসামগ্রী তৈরি করে দেশের বিভিন্ন জেলায় সেসব সরবরাহ করছে। মফস্বল পর্যায়ের গ্রাহকরা এসব নকল খাদ্যসামগ্রী কিনে প্রতারিত হচ্ছেন, পড়ছেন মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকিতে।
চিকিৎসকদের মতে, এসব ভেজাল পণ্য পাকস্থলি ও ফুসফুসে ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়। তবে স্বাস্থ্যঝুঁকির বিষয়টি জেনেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে তেমন কোনো তৎপরতা লক্ষ করা যাচ্ছে না।
ঢাকার কেরানীগঞ্জ উপজেলার জিনজিরা, মান্দাইল, আমিরাবাগ, বোরহানিবাগ, শুভঢ্যা, আগানগর, কালীগঞ্জ ও কাজিরগাঁও এলাকায় রমজান মাসে সৃষ্ট চাহিদার কথা মাথায় রেখে নকল ও ভেজাল অরেঞ্জ ও ম্যাংগো ড্রিঙ্কস পাউডার (ট্যাং) এবং বিভিন্ন নামীদামী কোম্পানির মোড়ক নকল করে কিটক্যাট, মিমিসহ বিভিন্ন ধরনের চকলেট তৈরি ও বিক্রি চলছে দেদারসে।
বিগত সময়ে র্যাবের পক্ষ থেকে বারবার ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করায় এই সমস্ত ভেজাল খাদ্য উৎপাদন কারখানা প্রায় একেবারেই বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। তবে গত ৫ আগস্ট দেশের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর র্যাবের পক্ষ থেকে ভেজালবিরোধী তৎপরতা একেবারেই নেই। এই সুযোগে আসাধু ব্যবসায়ীরা আবার জেগে উঠেছে নতুন রূপে।
সরজমিনে উপজেলার গদাবাগ, মুক্তির বাগ, আমিরাবাগ, নেকরোজ বাগ, খোলামোড়া, জিয়ানগর ও তেঘরিয়া, শুভঢ্যা, আগানগর কালীগঞ্জ, কাজিরগাঁও ও আব্দুল্লাহপুর এলাকা ঘুরে দেখা যায়, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ভেজাল ও নকল শিশুখাদ্য তৈরি করে অতি চতুরতার সঙ্গে সেসব বাজারজাতকরণের প্রক্রিয়া চলছে।
মুক্তিরবাগ এলাকায় একটি কারখানায় গিয়ে দেখা যায়, বেশ কয়েকজন নারী শ্রমিক হাত দিয়েই বোতলে ভরছেন ভেজাল জুস। এই কাজে হাতে গ্লাভস পরার প্রয়োজনীয়তাও মনে আসেনি তাদের। মাথায় চুলের জাল (হেয়ারনেট) না পরেই অরেঞ্জ ড্রিংকস বোতলজাত করছেন তারা। আবার অরেঞ্জ ড্রিংকস পাউডার মোড়কজাত করার সময় বাতাসে তা যাতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে না যায়, সেজন্য ফ্যান বন্ধ করে কাজ করছেন শ্রমিকরা। এতে করে তারা ঘেমে একেবারে কর্দমাক্ত হয়ে যাচ্ছেন।।
সেখানে কথা হয় কারখানাটির ম্যানেজার শাকিল আহমেদের সঙ্গে। তিনি জানান, তাদের বিএসটিআই ও পরিবেশ ছাড়পত্র আছে। তবে দেখতে চাইলে সেগুলো দেখাতে পারেননি তিনি।
ল্যাব আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি অকপটে ল্যাব না থাকার কথা স্বীকার করে বলেন, ‘আমাদের কাছে রেসিপি আছে। সেই অনুযায়ী আমরা ড্রিংকস পাউডার প্রস্তুত করে দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে পাঠাই। পরে আমাদের বিক্রয়-প্রতিনিধি পণ্যগুলো বিভিন্ন দোকানে দোকানে বিক্রি করেন।’
এ সমস্ত ভেজাল ও কৃত্রিম রং মিশ্রিত অরেঞ্জ ড্রিংকস স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের আবহাওয়া খুবই ভালো। এখানে সবকিছুই হজম হয়ে যায়। কয়েক বছর যাবত তো এই প্রোডাক্ট মার্কেটে বিক্রি করছি; কোথাও থেকে কখনও কোনো দুঃসংবাদ এখনও পাইনি।’
তবে এসব ভেজাল খাদ্যসামগ্রী স্বাস্থ্যের পক্ষে অত্যন্ত ক্ষতিকর বলে জানিয়েছেন স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ (মিটফোর্ড) হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক ডা. রোজিনা আমিন।
আরও পড়ুন: দুর্নীতি-অব্যবস্থাপনায় মুখ থুবড়ে পড়েছে নরসিংদীর বিসিক শিল্পনগরী
তিনি বলেন, ‘কৃত্রিম রং মিশ্রিত ভেজাল ড্রিংকস স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। এসব ড্রিংকস সবচাইতে বেশি লিভার ও কিডনিকে আক্রান্ত করে এবং শরীরে ইনসুলিনের পরিমাণ কমিয়ে দেয়।’
এই চিকিৎসকের মতে, ‘ছোট শিশুদের জন্য এগুলো আরও বেশি ভয়াবহ, কারণ এতে চিনির পরিমাণ অনেক বেশি থাকে।’
২০ দিন আগে
টেকসই-নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনে বাংলাদেশ ও ডেনমার্কের চুক্তি সই
টেকসই খাদ্য উৎপাদনকে আরও সুসংহত করার লক্ষ্যে ‘স্ট্রাটেজিক সেক্টর কোঅপারেশন (এসএসসি)’ নামে একটি বিশেষ প্রকল্প চুক্তি সই করেছে ডেনমার্ক ও বাংলাদেশ।
প্রকল্পটি খাদ্য উৎপাদনের বিভিন্ন সমস্যা যেমন অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহার এবং অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল প্রতিরোধ ক্ষমতা নিয়ে কাজ করবে।
সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) ঢাকায় এই চুক্তি সই হয়।
আরও পড়ুন: ত্রাণ নয় টেকসই বেড়িবাঁধ চান খুলনার ১৪ গ্রামের মানুষ
চুক্তিতে ডেনমার্কের পক্ষে সই করেন ঢাকাস্থ রাষ্ট্রদূত ক্রিশ্চিয়ান ব্রিক্স মোলার এবং বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের (বিএফএসএ) পক্ষে সই করেন চেয়ারম্যান জাকারিয়া।
রাষ্ট্রদূত ক্রিশ্চিয়ান ব্রিক্স মোলার বলেন, ‘ডেনমার্ক ও বাংলাদেশ পাঁচ দশকেরও বেশি সময় ধরে বিশ্বস্ত অংশীদার হিসেবে কাজ করছে। এই নতুন চুক্তি আমাদের সম্পর্ককে আরও গভীর করবে এবং নিরাপদ ও টেকসই খাদ্য উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে, যা উভয় দেশের মানুষের স্বাস্থ্য উন্নয়নের জন্য সহায়ক হবে।’
বিএফএসএ’র চেয়ারম্যান জাকারিয়া বলেন, ‘সবার জন্য নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করা জীবন ও স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য অপরিহার্য। এই প্রকল্পের মাধ্যমে বাংলাদেশের খাদ্য নিরাপদ বিষয়ক কার্যক্রম আরও জোরদার হবে এবং আন্তর্জাতিক বাজারে বাংলাদেশি খাদ্যপণ্যের প্রবেশাধিকারে সহায়তা করবে।’
চুক্তির সঠিক বাস্তবায়নের মাধ্যমে দুই দেশ একসঙ্গে খাদ্য এবং কৃষিক্ষেত্রে আরও নিরাপদ এবং টেকসই উৎপাদনের লক্ষ্যে কাজ করবে।
ডেনিশ ভেটেরিনারি অ্যান্ড ফুড অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (ডিভিএফএ) ডেনমার্কের পক্ষে এই প্রকল্প বাস্তবায়নের সঙ্গে যুক্ত থাকবে। আর বাংলাদেশের পক্ষে থাকবে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ (বিএফএসএ), বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউট (বিএসটিআই), ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর (ডিজিডিএ) এবং প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর (ডিএলএস)।
এই প্রকল্পের তিনটি প্রধান লক্ষ্য হলো- প্রথমত, ডেইরি শিল্পে খাদ্য নিরাপদতা বাড়ানো। দ্বিতীয়ত, প্রাণিসম্পদ খাতে অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধ ক্ষমতা উন্নত করা এবং তৃতীয়ত ডেইরি খামারিদের দক্ষতা বৃদ্ধি করে আরও টেকসই উৎপাদন নিশ্চিত করা।
আরও পড়ুন: হাতুড়িপেটা করে পদত্যাগপত্রে সই নেওয়ার ঘটনায় অধ্যক্ষের মামলা
বলপূর্বক গুম নিয়ে আন্তর্জাতিক কনভেনশনে সই করলো বাংলাদেশ
১৯৮ দিন আগে
বাংলাদেশে জুন মাসে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ১০.৪২ শতাংশ
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের জুনে বাংলাদেশের খাদ্য মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমে ১০ দশমিক ৪২ শতাংশে নেমে এসেছে, যা মে মাসে ছিল ১০ দশমিক ৭৬ শতাংশ।
বিবিএসের প্রতিবেদনে খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতিও সামান্য কমার কথা বলা হয়েছে। মে মাসের ৯ দশমিক ১৯ শতাংশ থেকে কমে জুনে ৯ দশমিক ১৫ শতাংশে নেমে এসেছে।
আরও পড়ুন: কর কাঠামো সংস্কারকে স্বাগত জানিয়েছে আইসিএবি, ব্যাংক ঋণের কারণে মূল্যস্ফীতির ঝুঁকির বিষয়ে সতর্কতা
দেশের মুদ্রাস্ফীতির হার মে মাসের ৯ দশমিক ৮৯ শতাংশ থেকে জুনে ৯ দশমিক ৭২ শতাংশে নেমেছে।
রবিবার (৭ জুলাই) মূল্যস্ফীতির হালনাগাদ তথ্য প্রকাশ করেছে বিবিএস।
তবে মূল্যস্ফীতির হার ৯ দশমিক ৭২ শতাংশ হওয়ায় এখন পণ্য ও সেবায় ভোক্তাদের ব্যয় হচ্ছে ১০৯ টাকা ৭২ পয়সা, যা আগের বছরের জুনে ছিল ১০০ টাকা।
এর প্রভাব পড়ছে নিম্ন ও নির্দিষ্ট আয়ের ব্যক্তিদের ওপর। তাদের ক্রমবর্ধমান মূল্যবৃদ্ধির মধ্যে পরিবারের ব্যয় পরিচালনা করতে সবচেয়ে বেশি লড়াই করতে হচ্ছে।
বাংলাদেশ গত দুই বছর ধরে ধারাবাহিকভাবে উচ্চ মূল্যস্ফীতির মুখোমুখি হচ্ছে যা ধারাবাহিকভাবে ৯ শতাংশের ওপরেই রয়েছে। মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নিলেও এখনও উল্লেখযোগ্য কোনো ফলাফল দেখা যায়নি।
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, উচ্চ মূল্যস্ফীতি দেশের অর্থনীতির জন্য অন্যতম চ্যালেঞ্জ।
অর্থনীতিবিদ ও পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, 'মূল্যস্ফীতি করের মতো কাজ করে, যা ধনী-গরিব নির্বিশেষে সবাইকে সমানভাবে প্রভাবিত করে। উচ্চ মুদ্রাস্ফীতিতে দরিদ্র ও মধ্যবিত্তরা পরিবারকে সমর্থন করতে পর্যাপ্ত পরিমাণে আয় বাড়ানোর জন্য লড়াই করে। গত দুই বছরের উচ্চ মুদ্রাস্ফীতিতে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গিয়েছে, যার প্রভাব পড়ছে তাদের জীবনের সব ক্ষেত্রে।’
আরও পড়ুন: মূল্যস্ফীতি রোধে সংকোচনমূলক নীতি নিয়ে অসন্তোষের ইঙ্গিত অর্থমন্ত্রীর
মূল্যস্ফীতি কমাতে অপ্রক্রিয়াজাত খাদ্যের ওপর শুল্ককর সবসময় কম থাকে: ড. মশিউর রহমান
২৬২ দিন আগে
খাদ্যে ভেজাল বন্ধে সামাজিক আন্দোলন প্রয়োজন: খাদ্যমন্ত্রী
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, খাদ্যে ভেজাল রোধে সামাজিক আন্দোলন প্রয়োজন। এ আন্দোলনে সমাজের নেতৃস্থানীয়দের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি বলেন, মসজিদের ইমাম কিংবা স্কুলের শিক্ষকরাও সমাজকে সচেতন করতে পারেন। এছাড়া আমরা পারিবারিক পর্যায়ে নিরাপদ খাদ্য গ্রহণের অভ্যাস তৈরি ও চর্চা বাড়াতে বিশেষজ্ঞদের নিয়ে নিরাপদ খাদ্য নির্দেশিকা তৈরি করেছি।
আরও পড়ুন: চতুর্থবারের মতো বিজয়ী খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার
বুধবার (১২ জুন) দুপুরে কক্সবাজারে খাদ্য ব্যবস্থাপনাবিষয়ক সেমিনারে অংশ নিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, বিভিন্নভাবে প্রচারের মাধ্যমে জনসচেতনতা বাড়াতে কাজ চলছে। সেকারণে নিজ অবস্থান থেকে দেশের জন্য নিজের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে নিরাপদ খাবার প্রস্তুত করা ও গ্রহণ করা খুবই জরুরি।
খাদ্যমন্ত্রী আরও বলেন, পলিশ চাল না খেয়ে পুষ্টিকর লাল চাল খাওয়ার অভ্যাস তৈরি করতে হবে। চাল পলিশ করতে গিয়ে চালের পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়ে যায়। আমরা নতুন আইন করেছি। সে আইনের প্রয়োগ শুরু হলে পলিশ বন্ধ হয়ে যাবে।
তিনি বলেন, এছাড়া ভেজাল খাদ্য প্রতিরোধে অন দ্য স্পট স্ক্রিনিং, ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে এবং যারা খাদ্যে ভেজাল দিচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক শাস্তির ব্যবস্থা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, খাদ্যের উৎপাদন থেকে ভোক্তা পর্যন্ত প্রতিটি ধাপে খাদ্যের নিরাপত্তা ও পুষ্টিমান বজায় রাখা জরুরি। যিনি উৎপাদন প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত, তার যেমন সচেতনতা প্রয়োজন, তেমনি যিনি ভোগ করবেন, তার ক্ষেত্রেও নিরাপত্তা প্রত্যয়টি অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত।
তাই সরকারি-বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠানকে একযোগে কাজ করতে হবে বলে জানান খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
আরও পড়ুন: বিএনপি দেশে-বিদেশে সন্ত্রাসী দল হিসেবে পরিচিত: খাদ্যমন্ত্রী
আগামীতে বয়স্ক ভাতা শতভাগে উন্নীত করা হবে: খাদ্যমন্ত্রী
২৮৭ দিন আগে
বাংলাদেশে খাদ্য মজুত পরিস্থিতি সন্তোষজনক: খাদ্যমন্ত্রী
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, বাংলাদেশে খাদ্য মজুত পরিস্থিতি সন্তোষজনক। এছাড়া এবছর বোরো ধানের ফলন ভালো হয়েছে।
তিনি বলেন, অভ্যন্তরীণ সংগ্রহ থেকে চাহিদা পূরণ হওয়ায় বাংলাদেশ বিদেশ হতে চাল আমদানি করছে না। তবে রাশিয়া থেকে গম আমদানি করছে।
সোমবার (২৭ মে) সচিবালয়ে খাদ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা বৈঠক শেষে খাদ্যমন্ত্রী এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: কৃষকদের হয়রানি করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে: খাদ্যমন্ত্রী
বৈঠকে দুই দেশের খাদ্য ব্যবস্থাপনার উন্নয়নে পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়ানোর বিষয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে।
খাদ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ভারত থেকে গম আমদানি সম্ভব হলে সেটা আমাদের জন্য ব্যয় সাশ্রয়ী হবে।
সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, বাংলাদেশ সরকার পরিচালিত খাদ্য বিতরণ কর্মসূচির সুফল পাচ্ছে দরিদ্র মানুষ। টিসিবির আওতায় ১ কোটি পরিবার ন্যায্যমূল্যে ৫ ধরনের খাদ্যসামগ্রী পাচ্ছে। ৫০ লাখ পরিবার খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় বছরে ৫ মাস ১৫ টাকা মূল্যে ৩০ কেজি করে চাল পাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, সরকার ওএমএস এর আওতায় চাল-আটা ভর্তূকি মূল্যে বিক্রি করছে। এছাড়া বছরে দুইবার প্রতি ইউনিয়নে সাত থেকে আট হাজার জন হতদরিদ্রকে ১০ কেজি করে চাল দিচ্ছে সরকার।
প্রণয় ভার্মা বাংলাদেশের দরিদ্র মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে সরকারের গৃহীত কার্যক্রমের ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার জন্য এটা অনূকরণীয় দৃষ্টান্ত হতে পারে।
তিনি আরও বলেন, ভারত সরকার নিজস্ব নীতি বাস্তবায়নের জন্য বিভিন্ন পণ্যে বাণিজ্যে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে থাকে। তবে সেটা বাংলাদেশের জন্য প্রযোজ্য নয়।
তিনি বলেন, এবছর আবহাওয়া অনূকূল থাকায় ভারতে ফসল উৎপাদন ভালো হবে বলে আশা করা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশের প্রয়োজন মোতাবেক ভারত পণ্য রপ্তানি করতে পারবে। এসময় তিনি বাংলাদেশে গম রপ্তানিতে ভারত সরকারের আগ্রহের কথা জানান।
এসময় বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ইসমাইল হোসেন ও খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. সাখাওয়াত হোসেন।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগ গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে বিশ্বাস করে: খাদ্যমন্ত্রী
চকচকে চাল খাওয়া বন্ধ করলে চালের দাম কমবে: খাদ্যমন্ত্রী
৩০৩ দিন আগে
পশুর জন্য নিরাপদ উপায়ে প্রাকৃতিক খাদ্যের উৎপাদন বাড়ানোর তাগিদ প্রাণিসম্পদমন্ত্রীর
পশুর জন্য নিরাপদ উপায়ে প্রাকৃতিক খাদ্যের উৎপাদন বাড়ানোর তাগাদা দিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান।
তিনি বলেন, জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরণে আমাদের প্রাণিজ খাদ্যের উৎপাদন বাড়াতে হবে। তবে এ উৎপাদন বৃদ্ধি হতে হবে পরিবেশসম্মতভাবে। পশু খাদ্যের প্রকৃতিতে পরিবর্তন আনতে হবে। আধুনিক পদ্ধতিতে পশু খাদ্যের উৎপাদন বাড়াতে হবে।
আরও পড়ুন: কাপ্তাই লেকের যৌবন ফেরাতে পদক্ষেপ নেওয়া হবে: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
শনিবার (১৮ মে) রাজধানীর হোটেল লা মেরিডিয়ানে ইউএসডিএ (ইউনাইটেড স্টেটস ডিপার্টমেন্ট অব এগ্রিকালচার) এবং এসিডিআই/ভোকার (এগ্রিকালচারাল কোঅপারেটিভ ডেভেলপমেন্ট ইন্টারন্যাশনাল/ভলেন্টিয়ারস ইন ওভারসিজ কোঅপারেটিভ অ্যাসিস্ট্যান্স) যৌথ উদ্যোগে গৃহীত বাংলাদেশ ক্লাইমেট স্মার্ট লাইভস্টক প্রকল্প আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ তাগাদা দেন।
মন্ত্রী বলেন, প্রাকৃতিকভাবে গো খাদ্যের উৎপাদন বাড়ানো গেলে গ্রিন হাউজ গ্যাস নিঃসরণের পরিমাণ কমে আসবে।
তিনি যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি বিভাগের সঙ্গে এসব বিষয় নিয়ে কাজ করার আগ্রহ ব্যক্ত করেন এবং যুক্তরাষ্ট্রকে বাংলাদেশের অন্যতম উন্নয়ন অংশীদার হিসেবে এসময় উল্লেখ করেন।
একসঙ্গে কাজ করার মাধ্যমে সব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব হবে বলে তিনি এসময় মন্তব্য করেন।
পশুর খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তন আনার জন্য খামারিদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আমাদের গবাদিপশুর শুধু উৎপাদন বাড়ালেই হবে না। বরং পরিবেশসম্মতভাবে তা বাড়াতে হবে।
এক্ষেত্রে গো খাদ্য হিসেবে ব্যবহারযোগ্য ঘাসের উৎপাদন বাড়ানোর উপর তিনি গুরুত্বারোপ করেন এবং ঘাস চাষের উপর জোর দেওয়ার জন্য খামারিদের প্রতি তিনি আহ্বান জানান।
মন্ত্রী আরও বলেন, পশু থেকে যে বর্জ্য বের হয় তা কীভাবে বিজ্ঞানসম্মতভাবে কাজে লাগানো যায় তা নিয়ে আমাদের গবেষণা করতে হবে। গোবর থেকে যে গ্যাস উৎপন্ন হয় তা সঠিকভাবে কাজে লাগানোর উপায় বের করার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি তিনি এসময় আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: নিষিদ্ধ সব জালের ব্যবহার বন্ধ করা হবে: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
কোরবানির পশুর কোনো সংকট হবে না: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
৩১২ দিন আগে
কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনে খাদ্য ব্যবসায়ীদের ব্রান্ডিং করবে: খাদ্যসচিব
কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনে খাদ্য ব্যবসায়ীদের ব্রান্ডিং করবে বলে মন্তব্য করেছেন খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ইসমাইল হোসেন এনডিসি।
তিনি বলেন, ‘নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি খাদ্য ব্যবসায়ীদেরও এগিয়ে আসতে হবে। কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনে নিরাপদ খাদ্য প্রস্তুত ও বিক্রয়ের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের ব্রান্ডিং করবে। এজন্য খাদ্য ব্যবসায়ীদেরও বিভিন্ন সেমিনার ও কর্মশালা আয়োজন করতে হবে।’
মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ ও গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ইমপ্রুভড নিউট্রেশনসের (গেইন) উদ্যোগে আয়োজিত ‘অ্যাডভোকেসি ওয়ার্কশপ অন কোঅর্ডিনেশন ইন এনফোর্সমেন্ট অ্যান্ড মনিটরিং অব দ্য মার্কেট অ্যঅন্ড ফুড এস্টাব্লিশমেন্ট’- শীর্ষক কর্মশালায় তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় কর্তৃপক্ষের বিভিন্ন সীমাবদ্ধতার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘উন্নত দেশের তুলনায় নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সক্ষমতা ও জনবল প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল।’
সীমাবদ্ধতার মধ্যেও তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, আগামীদিনের বাংলাদেশ হবে নিরাপদ খাদ্যের অন্যতম গন্তব্য।
আরও পড়ুন: রমজান উপলক্ষ্যে চালের দাম বাড়বে না: খাদ্যসচিব
সকাল ১০টায় কর্তৃপক্ষের সদস্য নাজমা বেগমের স্বাগত বক্তব্যে শুরু হওয়া এ কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিএফএসএ'র সাবেক চেয়ারম্যান মোস্তাক হাসান মো. ইফতেখার।
তিনি তার আলোচনায় অফিসিয়াল ফুড কন্ট্রোল প্ল্যান, খাদ্যনিয়ন্ত্রক সংস্থাসমূহের মধ্যে সেবাদান চুক্তি, খাদ্য ব্যবসায়ীদের নিয়ে কেন্দ্রীয় ডাটাবেস নির্মাণ, মোবাইল কোর্ট পরিচালনার তথ্য সংরক্ষণ, আইন প্রয়োগকারী সংস্থাসমূহের মাঝে সমন্বয় ইত্যাদি বিষয়ে এবং প্রতিষ্ঠানসমূহ ভূমিকা কী হতে পারে তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।
প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এ কর্মশালায় আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কর্তৃপক্ষের সাবেক সদস্য জনাব মো. রেজাউল করিম।
তিনি কলেন, বিজ্ঞানভিত্তিক ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে সংস্থাসমূহের মধ্যে সমন্বয় করতে হবে।
ঢাবির রসায়ন বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. ইকবাল রউফ মামুন বলেন, ‘পরিদর্শন কার্যক্রম রি-অ্যাকটিভ না হয়ে প্রো-অ্যাকটিভ হতে হবে।’
তিনি ইউনিফর্ম কাঠামোর মাধ্যমে পরিদর্শন কাজ পরিচালনার কথা বলেন।
বাংলাদেশ কৃষি বিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মো. গোলজারুল আজিজ তার আলোচনায় সক্ষমতা বৃদ্ধিকরণে সরকার ও দাতা সংস্থাকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো. আব্দুল কাইউম সরকার।
বিএফএসএ'র সঙ্গে কাজ করার জন্য তিনি গেইন-এর কর্মকর্তাবৃন্দকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।
কর্মশালায় বিভিন্ন খাদ্য প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা, সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তারা, গেইন ও বিএফএসএ'র কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: চালের বাজার অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না: খাদ্যমন্ত্রী
অসহায় মানুষের বেঁচে থাকার অবলম্বন দিয়েছেন শেখ হাসিনা: খাদ্যমন্ত্রী
৪৫৭ দিন আগে
খাদ্য নিরাপত্তা টেকসই করতে কম সময়ে অধিক ফলনে গুরুত্ব দিচ্ছি: কৃষিমন্ত্রী
খাদ্য নিরাপত্তা টেকসই করতে কম সময়ে অধিক ফসল উৎপাদনের দিকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।
তিনি বলেন, দেশে ক্রমশ কৃষি জমি কমছে, মানুষ বাড়ছে। এ অবস্থায়, ১৭ কোটি মানুষের খাদ্যের যোগান দেওয়া খুবই কঠিন। তাই আমরা কম সময়ে অধিক ফলন ও একই জমি থেকে বার বার ফসল ফলানোর উপর গুরুত্বারোপ করছি।
বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) ফরিদপুরে সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে বৃহত্তর ফরিদপুর ও যশোর অঞ্চলে তেলবীজ ও ধানের উৎপাদন বৃদ্ধিতে করণীয় শীর্ষক কর্মশালায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা) ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
তিনি বলেন, স্বল্পজীবনকালীন উন্নত জাতের ধান ও অন্যান্য অনেক ফসলের জাত উদ্ভাবন করেছে আমাদের বিজ্ঞানীরা। এটি চাষের মাধ্যমে বছরে একটি অতিরিক্ত ফসল ফলানো সম্ভব হচ্ছে। একইসঙ্গে, ফলনও অনেক বেশি। এই জাতগুলোকে কৃষকের কাছে দ্রুত জনপ্রিয় করতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, দেশে ভোজ্যতেলের আমদানি নির্ভরতা কমাতে আমরা তিন বছর মেয়াদি কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছি। পরিকল্পনার প্রথম বছরেই আমরা ৩ হাজার কোটি টাকার অতিরিক্ত সরিষা উৎপাদন করতে পেরেছি।
আরও পড়ুন: কৃষি বিজ্ঞানীদের জন্য আজ বাংলাদেশে খাদ্য উদ্বৃত্ত রয়েছে: রাজ্জাক
ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য বলেন, আশা করছি, পরিকল্পনা অনুযায়ী, ধানের উৎপাদন না কমিয়েই আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের মধ্যে স্থানীয়ভাবে উৎপাদনের মাধ্যমে তেল আমদানি অর্ধেকে কমিয়ে আনতে সক্ষম হব। এতে বছরে ১০ হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় করা সম্ভব হবে।
তিনি বলেন, পেঁয়াজ সংরক্ষণের জন্য আমরা গত বছর পরীক্ষামূলক কিছু দেশীয় মডেল ঘর নির্মাণ করেছি, যেখানে ৪-৫ মাস ধরে পেঁয়াজ ভালো অবস্থায় আছে। এটি একটি কার্যকর সংরক্ষণ পদ্ধতি হবে। এবছর সারাদেশে এই সংরক্ষণ মডেল ঘর নির্মাণ করা হবে।
তিনি আরও বলেন, ইতোমধ্যে মাঠে পেঁয়াজের উচ্চফলনশীল (উফশী) জাত দেওয়া হয়েছে, গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষে প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে। আর মডেল ঘরে সংরক্ষণ করতে পারলে পেঁয়াজের জন্য বিদেশের উপর নির্ভরশীল থাকতে হবে না, বরং আমরা বিদেশে রপ্তানি করতে পারব।
কৃষিসচিব ওয়াহিদা আক্তারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিএআরসির নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ মো বখতিয়ার, বিএডিসির চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ সাজ্জাদ, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বাদল চন্দ্র বিশ্বাস, পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক মির্জা মোফাজ্জল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
আরও পড়ুন: মঙ্গাপীড়িত এলাকার মানুষও এখন তিন বেলা পেট ভরে খায়: কৃষিমন্ত্রী
দেশে ১৫ লাখ বেল তুলা উৎপাদন সম্ভব: কৃষিমন্ত্রী
৫৩৮ দিন আগে
কৃষি বিজ্ঞানীদের জন্য আজ বাংলাদেশে খাদ্য উদ্বৃত্ত রয়েছে: রাজ্জাক
কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক উচ্চ ফলনশীল ধানের জাত উদ্ভাবনে অবদান রাখা কৃষি বিজ্ঞানীদের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন।
তিনি বলেন, ভারত চাল রপ্তানি নিষিদ্ধ করেছে। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ দীর্ঘায়িত হয়েছে। বিশ্বব্যাপী মানুষ তাদের খাদ্য নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন। এমন এক সময়ে বাংলাদেশ উদ্বৃত্ত খাদ্য উৎপাদন করছে, যা জাতির জন্য সুসংবাদ।
সোমবার (২ অক্টোবর) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ‘বাংলাদেশের কৃষির রূপান্তর: কাজী এম বদরুদ্দোজার ভূমিকা’- শীর্ষক দুই দিনব্যাপী বিএজেএফ জাতীয় সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ কৃষি সাংবাদিক ফোরাম (বিএজেএফ) এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
আরও পড়ুন: স্বাধীনতাবিরোধী শক্তিকে প্রতিষ্ঠিত করেছিল বিএনপি: ড. রাজ্জাক
ড. রাজ্জাক বলেন, সরকার কৃষি গবেষণা ও উদ্ভাবনকে উৎসাহিত করছে, যার ফলে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি) ১১৩টি উচ্চ ফলনশীল ধানের জাত উদ্ভাবন করেছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি) এ পর্যন্ত ৯৭টি ফসলের জাত এবং ৩৮টি ফলের প্রজাতি উদ্ভাবন করেছে।
তিনি দূরদর্শী কৃষি বিজ্ঞানী ড. কাজী এম বদরুদ্দোজার অবদানের কথাও স্মরণ করেন, যিনি দেশের ফসল উন্নয়নে উদ্ভাবন ও গবেষণায় তার জীবন উৎসর্গ করেছিলেন।
বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কৃষি বিজ্ঞানী ড. কাজী এম বদরুদ্দোজা ২০২৩ সালের ৩০ আগস্ট শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক শাহানাওয়ার শহীদ শাহীনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি গোলাম ইফতেখার মাহমুদ।
ব্রি-এর মহাপরিচালক ড. শাজাহান কবির, বিআরআই-এর মহাপরিচালক ড. দেবাশীষ সরকার, এনআরবিসি ব্যাংকের চেয়ারম্যান এসএম পারভেজ তোমাল, এসিআই এগ্রিবিজনেসের সভাপতি ড. এফএইচ আনসারী, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক মো. হামিদুর রহমান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে ‘বাংলাদেশ কৃষির রূপান্তর’- শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের এগ্রিবিজনেস অ্যান্ড মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম।
সম্মেলনে বিএজেএফ- এর প্রকাশনা কভার উন্মোচন করা হয় ও মঙ্গলবার শেষ হতে যাওয়া দুই দিনব্যাপী এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে সারাদেশ থেকে ৬০ জন কৃষি সাংবাদিক অংশ নিচ্ছেন।
আরও পড়ুন: খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে ভর্তুকি অব্যাহত রাখবে সরকার: ড. রাজ্জাক
দেশের নির্বাচনে বিদেশিরা ভূমিকা রাখতে পারবে না: রাজ্জাক
৫৪১ দিন আগে
খাদ্যের অপচয় বন্ধে সচেতন হওয়ার আহ্বান খাদ্যমন্ত্রীর
খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন ও খাদ্যের অপচয় বন্ধে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বিকালে তেজগাঁও সেন্ট্রাল স্টোরেজ ডিপো (সিএসডি) প্রাঙ্গণে নবনির্মিত ভবনের উদ্বোধন শেষে এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: গুজব ছড়িয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা হচ্ছে: খাদ্যমন্ত্রী
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে বছরে ৪ কোটি মেট্রিক টন ধান ক্রাসিং হয়। ৪ থেকে ৫ বার ক্রাসিং করে চাল চকচকে করা হয়। মিলারদের তথ্য মতে ৪ শতাংশ হাওয়া (অপচয়) হয়ে যায়। এই অপচয় বন্ধ করতে আইন পাস করা হয়েছে। অপচয় বন্ধ হলে বিদেশ থেকে চাল আমদানি প্রয়োজন হবে না।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, জাতিসংঘসহ বিভিন্ন সংস্থা আভাস দিয়েছিল সারা বিশ্বে দুর্ভিক্ষ হবে। বাংলাদেশে অনেক মানুষ না খেয়ে মারা যাবে। দেশে একটি দলও তাতে সুর মিলিয়ে ছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সময়োপযোগী সিদ্ধান্তে বাংলাদেশে করোনাকালে কেউ না খেয়ে মারা যায়নি।
তিনি বলেন, যারা অবৈধ মজুত করে তারা দেশের শত্রু। তাদের শক্তভাবে দমন করতে হবে। এ সময় তিনি অবৈধ মজুতদারদের চিহ্নিত করতে সবার সহায়তা চান।
তিনি বলেন, সর্বকালের সর্বোচ্চ মজুত এখন গুদামে আছে। খাদ্যের কোনো সংকট নেই। এছাড়া নির্বাচনের আগে চাল ও গম নিয়ে কেউ যেন খেলতে না পারে তার প্রস্তুতি নিয়ে রাখা হয়েছে।
সাধন চন্দ্র মজুমদার আরও বলেন, শ্রমিকদের কল্যাণে শেখ হাসিনার সরকার অনেক পদক্ষেপ নিয়েছে। আগামী নির্বাচনে শেখ হাসিনার সরকারের ধারাবাহিকতা রাখতে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তাহলে শ্রমিকদের কল্যাণও ধারাবাহিকতা থাকবে।
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতারাই ভিসানীতিতে ফেঁসে গেছেন: খাদ্যমন্ত্রী
অসাম্প্রদায়িক চেতনার বিরল উদাহরণ বাংলাদেশ: খাদ্যমন্ত্রী
৫৫৮ দিন আগে