খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, বাংলাদেশে খাদ্য মজুত পরিস্থিতি সন্তোষজনক। এছাড়া এবছর বোরো ধানের ফলন ভালো হয়েছে।
তিনি বলেন, অভ্যন্তরীণ সংগ্রহ থেকে চাহিদা পূরণ হওয়ায় বাংলাদেশ বিদেশ হতে চাল আমদানি করছে না। তবে রাশিয়া থেকে গম আমদানি করছে।
সোমবার (২৭ মে) সচিবালয়ে খাদ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা বৈঠক শেষে খাদ্যমন্ত্রী এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: কৃষকদের হয়রানি করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে: খাদ্যমন্ত্রী
বৈঠকে দুই দেশের খাদ্য ব্যবস্থাপনার উন্নয়নে পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়ানোর বিষয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে।
খাদ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ভারত থেকে গম আমদানি সম্ভব হলে সেটা আমাদের জন্য ব্যয় সাশ্রয়ী হবে।
সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, বাংলাদেশ সরকার পরিচালিত খাদ্য বিতরণ কর্মসূচির সুফল পাচ্ছে দরিদ্র মানুষ। টিসিবির আওতায় ১ কোটি পরিবার ন্যায্যমূল্যে ৫ ধরনের খাদ্যসামগ্রী পাচ্ছে। ৫০ লাখ পরিবার খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় বছরে ৫ মাস ১৫ টাকা মূল্যে ৩০ কেজি করে চাল পাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, সরকার ওএমএস এর আওতায় চাল-আটা ভর্তূকি মূল্যে বিক্রি করছে। এছাড়া বছরে দুইবার প্রতি ইউনিয়নে সাত থেকে আট হাজার জন হতদরিদ্রকে ১০ কেজি করে চাল দিচ্ছে সরকার।
প্রণয় ভার্মা বাংলাদেশের দরিদ্র মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে সরকারের গৃহীত কার্যক্রমের ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার জন্য এটা অনূকরণীয় দৃষ্টান্ত হতে পারে।
তিনি আরও বলেন, ভারত সরকার নিজস্ব নীতি বাস্তবায়নের জন্য বিভিন্ন পণ্যে বাণিজ্যে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে থাকে। তবে সেটা বাংলাদেশের জন্য প্রযোজ্য নয়।
তিনি বলেন, এবছর আবহাওয়া অনূকূল থাকায় ভারতে ফসল উৎপাদন ভালো হবে বলে আশা করা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশের প্রয়োজন মোতাবেক ভারত পণ্য রপ্তানি করতে পারবে। এসময় তিনি বাংলাদেশে গম রপ্তানিতে ভারত সরকারের আগ্রহের কথা জানান।
এসময় বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ইসমাইল হোসেন ও খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. সাখাওয়াত হোসেন।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগ গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে বিশ্বাস করে: খাদ্যমন্ত্রী