অনুসন্ধান ফলাফল - অগ্নিকাণ্ড
মোট - 407
ময়মনসিংহে ফিলিং স্টেশনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আরও ১ জনের মৃত্যু
ময়মনসিংহর রহমতপুর বাইপাসে আজাহার ফিলিং স্টেশনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দগ্ধ তোফাজ্জল হোসেন (৪৫) নামে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে।
এ নিয়ে এই ঘটনায় তিনজনের মৃত্যু হলো। অন্য দুইজন হলেন- উপজেলার কিসমত গ্রামের হিমেল আহমেদ (২৭) ও রহমতপুরের আব্দুল কুদ্দুস (৮৫)।
সোমবার (৪ নভেম্বর) ময়মনসিংহ মেডিকেল থেকে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে নেওয়ার পথে মারা যান তিনি।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহে সিএনজি পাম্পে আগুন: দগ্ধ ২ জনের মৃত্যু
তোফাজ্জল রহমতপুর এলাকার আব্দুস সালামের ছেলে।
এছাড়া সোমবার রাতে অন্য দগ্ধদের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারির জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়।
দগ্ধরা হলেন- স্থানীয় খাবার হোটেল ব্যবসায়ী কামরুল হাসান (৩৫) ও তার স্ত্রী সুমি আক্তার (৩০), ফিলিং স্টেশনের ইলেক্ট্রিক ইঞ্জিনিয়ার তোফাজ্জল হোসেন (৪২) ও চায়ের দোকানদার আব্দুল মালেক (৫০)।
এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম খান।
ওসি শফিকুল ইসলাম খান ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারির এক চিকিৎসকের বরাত দিয়ে জানান, গতরাতে ময়মনসিংহ থেকে গুরুতর দগ্ধ অবস্থায় নারীসহ পাঁচজনকে আনা হয়েছিল। আনার পরে তোফাজ্জল হোসেন নামে একজনের মৃত্যু হয়। চারজনের মধ্যে কামরুল হাসান ১০০ শতাংশ, সুমি আক্তার ৩২ শতাংশ, তোফাজ্জল হোসেন ১০০ শতাংশ এবং আব্দুল মালেককে ৫০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছেন। দগ্ধের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদের সবাইকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) স্থানান্তর করা হয়েছে। সবার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানান তিনি।
উল্লেখ্য, সোমবার আজাহার ফিলিং স্টেশনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটে। এসময় ঘটনাস্থলে হিমেল আহমেদ ও সন্ধ্যার পর ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আব্দুল কুদ্দুসের মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহে সড়ক দুর্ঘটনায় অন্তঃসত্ত্বা নারীর মৃত্যু, শিশুসহ আহত ৪
২ সপ্তাহ আগে
ইন্দোনেশিয়ায় ভোজ্যতেল কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে নিহত ৯
ইন্দোনেশিয়ার বৃহত্তম শহর জাকার্তার কাছে একটি ভোজ্যতেল কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৯ জন নিহত ও চারজন আহত হয়েছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বেকাসির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও প্রশমন সংস্থার পুনর্গঠন ও পুনর্বাসন ইউনিটের প্রধান ইধম খোলিদ জানিয়েছেন, শুক্রবার বেকাসি শহরের একটি শিল্প কমপ্লেক্সে আগুন লাগে।
‘আগুনে নয়জন নিহত এবং চারজন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে তিনজনসহ বেশিরভাগ হতাহত কারখানার শ্রমিক ছিলেন। আর চতুর্থ আহত ব্যক্তি হলেন একজন দমকলকর্মী যিনি ঘটনাস্থলে উদ্ধার অভিযানে অংশ নিয়েছিলেন।’
তিনি বলেন, ‘আগুন পুরোপুরি নিভিয়ে ফেলা হয়েছে। তবে নতুন করে আবারও আগুন লাগার সম্ভাবনা রয়েছে।’
জাকার্তা সার্চ অ্যান্ড রেসকিউ অফিসের প্রধান আগুং প্রিয়াম্বোদো বলেন, আহতদের দগ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
২ সপ্তাহ আগে
অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকিতে নারায়ণগঞ্জের বাণিজ্যিক কেন্দ্র নয়ামাটি
নারায়ণগঞ্জ শহরের অন্যতম বাণিজ্যিক এলাকা নয়ামাটির অলি-গলি দিয়ে কখনো চার চাকার গাড়ি প্রবেশ করতে পারে না। অথচ এখানে বছরে শতশত কোটি টাকার হোসিয়ারি পণ্য বেচাকেনা হয়। এখানকার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো রয়েছে অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকিতেও।
সরেজমিনে দেখা যায়, পুরো এলাকা বৈদ্যুতিক তারের জঞ্জালে মোড়ানো। কিছুকিছু জায়গায় তারের জঞ্জালের কারণে আকাশও দেখা যায় না। বিশাল এলাকাজুড়ে থাকা এই বাণিজ্যিক এলাকার প্রায় প্রতিটি ভবন কাপড়, কেমিক্যাল আর সুতায় ঠাসা। অন্যদিকে ফায়ার সার্ভিসের গাড়িও প্রবেশ করতে পারে না। সেখানে বড় ধরনের আগুন লাগলে কীভাবে নেভানো হবে সেই প্রশ্নের উত্তর নেই কারো কাছে।
গত ৭ অক্টোবর রাত ১১টায় নারায়ণগঞ্জ শহরের কালীরবাজারে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগ্নিকাণ্ডে ৪০ দোকান পুড়ে যায়। এরপর থেকে নয়ামাটির হোসিয়ারি ব্যবসায়ী ও শ্রমিকদের মাঝে বিরাজ করছে ভয় আর আতঙ্ক।
আরও পড়ুন: জাহাজে অগ্নিকাণ্ডের বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে: নৌপরিবহন উপদেষ্টা
বাংলাদেশ হোসিয়ারি অ্যাসোসিয়েশনের তথ্য অনুযায়ী, নারায়ণগঞ্জে ৮ হাজারের মতো হোসিয়ারি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। যার অধিকাংশ এই নয়ামাটি ও এর আশাপাশের এলাকায় অবস্থিত। অথচ নয়ামাটি অগ্নিকাণ্ডের ভয়াবহ ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।
নয়ামাটির হোসিয়ারি ব্যবসায়ী আব্দুস সেলিম বলেন, ‘এখানে যত মার্কেট আর বাড়ি দেখেন সব জায়গায় কোটি কোটি টাকার খেলা। কিন্তু জীবনের নিরাপত্তা নেই। আপনি ঠিকমতো খুঁজে দেখেন কোথাও আগুন নেভানোর যন্ত্র নেই। পানির রিজার্ভ নেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘এখানে যেহেতু আগুন লাগলে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি ঢুকতে পারবে না, সেই কথা মাথায় রেখেই ব্যবসা করা উচিৎ। তবে সেটা নিয়ে কারো চিন্তা ভাবনা নেই। এর পেছনে সিটি করপোরেশন, ফায়ার সার্ভিসসহ অন্যান্য সরকারি প্রতিষ্ঠানও দায়ী বলে আমি মনে করি।’
রহমান হোসিয়ারির নারী শ্রমিক আবেদা পারভীন বলেন, ‘যেই রাস্তা দিয়ে ঢুকেছেন সেখানে তারের মধ্যে প্রায়ই আগুন লাগে। তখন বিল্ডিং থেকে পানি বালু দিয়া আগুন নেভানো হয়। আমরা এমন এক জায়গায় কাজ করি তা আর কী বলব। ৫-৬ তলার উপরে কারখানায় শ্রমিকেরা থাকে। নিচে আগুন লাগলে আমরাদের সবার মরা ছাড়া উপায় নেই। গার্মেন্ট আর হোসিয়ারিতে অনেক তফাত। গার্মেন্টে দুইটা সিঁড়ি থাকে আগুন নেভানোর মেশিন থাকে। নয়ামাটির হোসিয়ারিতে এগুলো নেই।’
তিনি ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, ‘আমাদের মালিকেরা টাকা কম কামায় নাকি? তাদেরটা ধরা পড়ে না। সরকারের উচিত এখানে নজর দেওয়া, না হলে আমাদের আগুনে জ্বলে মরতে হবে।’ নয়ামাটির কয়েকজন ব্যবসায়ীর অভিযোগ, এলাকাটি ভয়াবহ অগ্নিঝুঁকির মধ্যে থাকলেও ফায়ার সার্ভিসের নজর খুব কম এখানে। নয়ামাটির নিরাপদ বাণিজ্যিক পরিবেশ তৈরিতে এই সরকারি প্রতিষ্ঠান তেমন কোনো উদ্যোগ নেয় না।
তবে এ বিষয়ে কথা বলতে নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক ফখরউদ্দীন আহমেদকে ফোন করা হলে তিনি বলেন, ‘আমাকে অফিস টাইমে ফোন দেবেন। আমি এখন অসুস্থ।’
আরও পড়ুন: ধানমন্ডিতে আবাসিক ভবনে অগ্নিকাণ্ডে আহত ৩
১ মাস আগে
জাহাজে অগ্নিকাণ্ডের বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে: নৌপরিবহন উপদেষ্টা
নৌপরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, এম টি বাংলার জ্যোতি জাহাজে অগ্নিকাণ্ডের কারণ অনুসন্ধান করে সুপারিশসহ প্রতিবেদন জমা দিতে তদন্ত কমিটি গঠন করতে বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: দক্ষ নাবিক তৈরিতে অন্যতম শীর্ষ দেশ হতে পারে বাংলাদেশ: নৌপরিবহন উপদেষ্টা
মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।
চট্টগ্রাম কর্ণফুলী নদীর ডলফিন জেটিতে বাংলার জ্যোতি নামে বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের (বিএসসি) একটি তেলবাহী জাহাজে বিস্ফোরণের পর আগুন লাগে। এই দুর্ঘটনায় তিনজনের প্রাণহানির হয়েছে।
মর্মান্তিক এ অগ্নিকাণ্ডে জাহাজের ক্যাডেট সৌরভ সাহা, ফোরম্যান নুরুল ইসলাম, ডেক ক্যাজুয়াল সদস্য হারুনের মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: পুলিশের পোশাক পরে হামলা করেছে দুর্বৃত্তরা: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
১ মাস আগে
কেনিয়ায় স্কুলে অগ্নিকাণ্ডে ১৭ শিক্ষার্থীর মৃত্যু, আহত ১৩
কেনিয়া, ৬ সেপ্টেম্বর (ইউএনবি)- কেনিয়ার একটি স্কুলের ছাত্রাবাসে আগুন লেগে অন্তত ১৭ শিক্ষার্থী নিহত ও ১৩ জন গুরুতর আহত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাতে (৫ সেপ্টেম্বর) নাইয়েরি কাউন্টির হিলসাইড এন্দারাশা প্রাইমারি একাডেমিতে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
ন্যাশনাল পুলিশ সার্ভিসের মুখপাত্র রেসিলা ওনিয়াঙ্গো বলেন, ১৪ শিক্ষার্থীকে গুরুতর দগ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। হাসপাতালে ভর্তির পর একজনের মৃত্যু হয়।
ওনিয়াঙ্গো টেলিফোনে বলেন, এখন পর্যন্ত ১৭ জন শিক্ষার্থী নিহত হয়েছে। অগ্নিকাণ্ডের কারণ তদন্ত এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ছাত্রাবাসের একটি অংশ ধ্বংস হয়ে যাওয়ায় নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে কাজ করছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় পুলিশ।
২ মাস আগে
সার্বিয়ায় বসতবাড়িতে অগ্নিকাণ্ডে নিহত ৬
সার্বিয়ার উত্তরাঞ্চলের একটি শহরের একটি বাড়িতে আগুন লেগে চার শিশুসহ ছয়জন নিহত হয়েছেন।
রাজধানী বেলগ্রেদ থেকে প্রায় ৯০ কিলোমিটার উত্তরে নোভি সাদে স্থানীয় সময় শুক্রবার ভোর ৩টার দিকে এ অগ্নিকাণ্ড ঘটে।
দেশটির জরুরি বিভাগের এক চিকিৎসক রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন চ্যানেল আরটিএসকে বলেছেন, মেডিকেল টিম যখন ঘটনাস্থলে পৌঁছায় ততক্ষণে সবাই মারা গেছেন।
এদিকে সার্বিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আইভিকা দাচিচ এক বিবৃতিতে বলেছেন, প্রাথমিক অনুসন্ধানে ধারণা করা হচ্ছে, বৈদ্যুতিক স্কুটারে চার্জ দেওয়ার মাধ্যমে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হতে পারে।
নিহত শিশুদের বয়স দুই থেকে সাত বছরের মধ্যে বলে জানিয়েছেন দাচিচ। নিহতদের পরিচয় শনাক্তে পুলিশ কাজ করছে। তবে ধারণা করা হচ্ছে, তারা সবাই একই পরিবারের সদস্য।
এক বিবৃতিতে দাচিচ বলেন, ‘এটি একটি ভয়াবহ ট্র্যাজেডি এবং পুরো সার্বিয়া এই পরিবারের মর্মান্তিক মৃত্যুতে শোকাহত।’
‘দমকল কর্মীরা পেশাদারত্বের সঙ্গে সাড়া দিয়েছেন এবং জরুরি কল পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছে কাজ করছেন।’
নোভি সাদ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, নিহত পরিবারটির জন্য একদিনের শোক পালন করা হবে। তবে এর জন্য তাৎক্ষণিক কোনো তারিখ নির্ধারণ করা হয়নি।
২ মাস আগে
ধানমন্ডিতে আবাসিক ভবনে অগ্নিকাণ্ডে আহত ৩
রাজধানীর ধানমন্ডির ৫ নম্বর সড়কের একটি ১২ তলা আবাসিক ভবনের অষ্টম তলায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মিডিয়া সেলের উপসহকারী পরিচালক শাহজাহান সিকদার জানান, বুধবার সকাল ১০টা ২৫ মিনিটে আগুনের সূত্রপাত হয়।
বেলা সোয়া ১১টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে ফায়ার সার্ভিসের ৬টি ইউনিট।
এ ঘটনায় তিনজন আহত হয়েছে।
৩ মাস আগে
যশোরে জাবির ইন্টারন্যাশনাল হোটেলে অগ্নিকাণ্ডে নিহত ১৮
যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সংসদ সদস্য শাহীন চাকলাদারের মালিকানাধীন পাঁচ তারকা জাবির ইন্টারন্যাশনাল হোটেলে অগ্নিকাণ্ডে ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।
যশোর ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক এ এম মামুন জানান, সোমবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে আগুনের সূত্রপাত হয়।
প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর হাজার হাজার ছাত্রজনতা রাস্তায় নেমে বিজয় উল্লাস ও মিছিল করে। শহরের প্রধান প্রধান সড়কগুলো লোকে লোকারণ্য হয়ে ওঠে। জনতার কিছু অংশ শহরের বিভিন্ন স্থানে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল, শেখ রাসেলের ভাস্কর্য, জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ভাঙচুর করে।
এসময় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদারের মালিকানাধীন পাঁচতারকা হোটেল জাবির ইন্টারন্যাশনাল, বাড়ি, অফিস ও প্রেসে আগুন ধরিয়ে দেয় জনতা।
প্রায় ঘণ্টাখানেক পর হোটেল জাবির ইন্টারন্যাশনালে উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করা সম্ভব হয়। বিমানবাহিনীর একটি হেলিকপ্টার আটকে পড়া বেশ কয়েকজনকে উদ্ধার করা হয়।
পরে আগুন কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এলে ১৪ তলা হোটেলটির বিভিন্ন তলা থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় আহত হয়েছে অর্ধশতাধিক মানুষ।
বিকাল পৌনে ৩টার দিকে শিক্ষার্থী ও নাগরিকরা যশোরে একটি বিজয় মিছিল বের করলে উত্তেজিত জনতা চিত্রা মোড়ের জাবির ইন্টারন্যাশনাল হোটেলে ভাঙচুর শুরু করে। সোয়া ৪টার দিকে তারা হোটেলে আগুন ধরিয়ে দেয়।
ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নেভাতে এলে আটকে পড়া কয়েকজন ১৪ তলা থেকে সাহায্য চাইলে উদ্ধারকারী হেলিকপ্টার ছাদে নামার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়। তবে ছাদে থাকা এক ব্যক্তিকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয় হেলিকপ্টারটি।
চাকলাদারের হোটেল ছাড়াও কাজীপাড়ার কাঁঠালতলায় তার বাসভবন, যশোর-৩ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদের বাসভবন, জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়, শেখ রাসেলের ভাস্কর্যসহ বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা-ভাঙচুর চালানো হয়।
সন্ধ্যায় যশোরের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক রাশেদ খান এক সংবাদ সম্মেলনে জাবির ইন্টারন্যাশনাল হোটেলে অগ্নিসংযোগের নিন্দা জানান।
তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের মিছিল হোটেলে পৌঁছানোর আগেই দুর্বৃত্তরা হামলা ও ভাঙচুর চালায়। সহিংসতা ও অগ্নিসংযোগের জন্য দায়ীদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনতে প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান রাশেদ খান।
৩ মাস আগে
ফরিদগঞ্জে অগ্নিকাণ্ডে ৫ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পুড়ে ছাই, দগ্ধ ১০
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে অগ্নিকাণ্ডে পাঁচটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এ ঘটনায় অন্তত ৮ থেকে ১০ দগ্ধ হয়েছেন।
শুক্রবার (২ আগস্ট) সকালে ফরিদগঞ্জ উপজেলা সদরের কাছিয়াড়া গ্রামের আল মদিনা হাসপাতালের সামনে একটি টিনশেড মার্কেটে আগুন লাগে।
ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো হলো, হারুন পাঠানের অটোরিকশার গ্যারেজ, সাহাবুদ্দিনের ফার্নিচারের দোকান, আবুল কালাম আজাদের ভ্যারাইটিজ স্টোর, স্বপনের সেলুন ও মাইনুদ্দিন পাটওয়ারীর ভ্যারাইটিজ স্টোর।
আরও পড়ুন: উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুন, দোকানসহ ৫ শতাধিক ঘর পুড়ে ছাই
অগ্নিকাণ্ডে প্রায় ২০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি ব্যবসায়ীদের।
ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘সকালে দোকান খুলতে এসে দেখি হারুন পাঠানের অটোরিকশার গ্যারেজে আগুনের ধোঁয়া উড়ছে। মুহূর্তের মধ্যে আমার দোকানসহ আগুন দ্রুত আশপাশের দোকানে ছড়িয়ে পড়ে। ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিলে তারা এসে স্থানীয়দের সহযোগিতায় প্রায় এক ঘণ্টার প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।’
ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী হারুন পাঠান ও সাহাবুদ্দিন বলেন, কয়েক মিনিটের ব্যবধানে আগুন আমাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ছড়িয়ে পড়ে। আগুনে পাঁচটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের প্রায় ২০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।’
ফরিদগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস স্টেশন ম্যানেজার কামরুল ইসলাম ইউএনবিকে বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছি। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত।’
ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইদুল ইসলাম বলেন, ‘ক্ষতিগ্রস্তদের অভিযোগ থাকলে তাহলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে আগুনে পুড়ে ছাই ১৮টি বাড়ি-ঘর, ৭০ লাখ টাকার ক্ষতি
গাজীপুরে আগুনে পুড়ে ছাই অর্ধশতাধিক ঘর
৩ মাস আগে
মেঘনা টোল প্লাজায় মাইক্রোবাসে অগ্নিকাণ্ডে ৫ যাত্রী দগ্ধ
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে একটি যাত্রীবাহী মাইক্রোবাসে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় পাঁচ যাত্রী দগ্ধ হয়েছেন।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সোনারগাঁওয়ে মেঘনা টোলপ্লাজা এলাকার বুধবার (১০ জুলাই) চট্টগ্রামমুখী লেনে এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: কর্ণফুলীতে মাছ ধরার নৌকায় আগুনে দগ্ধ ৫
তবে তাৎক্ষণিক দগ্ধদের নাম পরিচয় জানা যায়নি। কাঁচপুর হাইওয়ে থানার পরিদর্শক (টিআই) আবু নাইম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী জানায়, সকাল ১০টার দিকে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামমুখী একটি মাইক্রোবাস (ঢাকা মেট্রো-চ -১৩২২১৩) নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মেঘনা টোল প্লাজার সামনে সড়ক বিভাজনের সঙ্গে ধাক্কা লাগে।
এতে করে সঙ্গে সঙ্গে মাইক্রোবাসটিতে আগুন ধরে যায়। পরে যাত্রীদের চিৎকারে টোল প্লাজার কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয়রা মাইক্রোবাসটির জানালা ভেঙে তাদের উদ্ধার করে শেখ হাসিনা বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নিয়ে যায়।
কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল হক বলেন, ‘খবর শুনেই ঘটনাস্থলে যাই। এর মধ্যে ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তাদের পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে।’
আরও পড়ুন: রূপগঞ্জে গ্যাসের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে দম্পতি দগ্ধ
ভাষানটেকে আগুনে একই পরিবারের ৬ জন দগ্ধ
৪ মাস আগে