অনুসন্ধান ফলাফল - বন্দুকধারী
মোট - 74
ভারতের কাশ্মীরে পর্যটকদের ওপর বন্দুকধারীদের হামলা, নিহত ২৬
ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে পর্যটকদের ওপর বন্দুকধারীদের হামলায় অন্তত ২৬ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও অনেকে। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) এই কাশ্মীরের পহেলগামে এই হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। খবর ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম এনডিটিভির।
এমন এক সময়ে ভারতে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে, যখন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রাষ্ট্রীয় সফরে সৌদি আরব গেছেন। পাশাপাশি ভারত সফরে রয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স।
হিমালয়ের কোলে অবস্থিত মনোরম শহর পেহেলগামকে ‘ভারতের সুইজারল্যান্ড’ হিসেবে বর্ণনা করা হয়। জনপ্রিয় এই পর্যটন নগরীর এই হামলা ২০১৯ সালে পুলওয়ামা হামলার পর কাশ্মীরে সবচেয়ে প্রাণঘাতী হামলা। হামলার পর আহতদের উদ্ধারে সেখানে সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টার পাঠানো হয়েছে। কারণ, এই এলাকায় কেবল হেঁটে বা ঘোড়ায় চড়ে পৌঁছানো সম্ভব।
আরও পড়ুন: নাইজেরিয়ায় সন্দেহভাজন রাখালদের হামলায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৭২
এনডিটিভি জানিয়েছে, পহেলগামের বৈসারণ উপত্যকার ওপরে গোলাগুলির শব্দ শোনা গেছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, জঙ্গিরা জঙ্গল থেকে হঠাৎ বের হয়ে নির্বিচারে গুলি শুরু করে। নিহতদের মধ্যে নৌবাহিনীর এক কর্মকর্তা ও এক গোয়েন্দা কর্মকর্তাও রয়েছেন।
এ ঘটনায় কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বেসামরিক লোকজনকে লক্ষ্য করে যতগুলো হামলা হয়েছে, সেগুলোর তুলনায় এটা অনেক বড় হামলা।’
হামলার পর নরেন্দ্র মোদি সৌদি আরব সফর সংক্ষিপ্ত করে মঙ্গলবার রাতেই দেশে ফিরেছেন বলে এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে।
হামলায় জড়িতদের বিচারের আওতায় আনার ঘোষণা দিয়েছেন মোদি। গতকাল (মঙ্গলবার) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) দেওয়া এক পোস্টে তিনি বলেছেন, ‘সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য আমাদের সংকল্প অটুট রয়েছে এবং এটা আরও শক্তিশালী হবে।’
হামলার পর কাশ্মীরে গেছেন ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। কাশ্মীরের শ্রীনগরে গিয়ে নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যালোচনায় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন তিনি।
ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দিল্লিতে অমিত শাহর বাসভবনে জরুরি বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ইন্টেলিজেন্স ব্যুরোর প্রধান তপন দেকা, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব গোবিন্দ মোহন, সিআরপিএফ প্রধান জ্ঞানেন্দ্র প্রতাপ সিং, জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের মহাপরিচালক নলিন প্রভাতসহ সেনাবাহিনীর কয়েকজন কর্মকর্তা। ওমর আবদুল্লাহ এবং কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহার সঙ্গেও কথা বলেন তিনি।
হামলার পর ঘটনাস্থল পেহেলগাম এলাকায় সেনাবাহিনী ও পুলিশ সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহা।
আরও পড়ুন: গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ৪৫ ফিলিস্তিনি নিহত
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের এক খবরে বলা হয়, এই হামলার দায় স্বীকার করেছে ‘কাশ্মীর রেজিস্ট্যান্স’ নামের একটি সশস্ত্র গোষ্ঠী। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তারা এই ঘোষণা দিয়েছে। তবে বিষয়টি যাচাই করা সম্ভব হয়নি। তবে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়েছে, এ পর্যন্ত কোনো গোষ্ঠীই হামলায় দায় স্বীকার করেনি।
এই হামলার তীব্র নিন্দা ও ভারতের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন, ইউরোপীয় ইউনিয়েনের প্রধান উরসুলা ভন দার লিয়েনসহ অনেকে।
২২৬ দিন আগে
হাইতিতে হাসপাতালে বন্দুকধারীদের হামলায় পুলিশ-সাংবাদিকসহ নিহত ৩
হাইতির সবচেয়ে বড় সরকারি হাসপাতালে বন্দুকধারীর হামলায় তিনজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অনেকে। নিহতদের মধ্যে সাংবাদিক, পুলিশ রয়েছেন।
ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) দেশটির সবচেয়ে বড় হাসপাতালটি পুনরায় চালু করার ঘোষণা দিতে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে সশস্ত্র ব্যক্তিরা গুলি চালালে সাংবাদিক, পুলিশ ও চিকিৎসাকর্মীদের অন্তত তিনজন নিহত হয়েছেন।
রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্সের জেনারেল হাসপাতালে মঙ্গলবারের ওই হামলায় আরও অনেকে আহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: গ্যাসবাহী ট্যাঙ্কারে ট্রাকের ধাক্কায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, রাজস্থানে নিহত ৯
বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস এই ঘটনার এক প্রতিবেদনে বেশ কয়েকটি ছবি প্রকাশ করেছে। এতে দেখা যায় ভবনের ভেতরে বেশ কয়েকজনকে আহত বা মৃত অবস্থায় পড়ে আছে।
শহরের বেশিরভাগ অংশ নিয়ন্ত্রণকারী সশস্ত্র গ্যাং দলের দখল ও ধ্বংস হওয়ার পরে জুলাইতে হাইতির সরকার অঞ্চলটি পুনরুদ্ধার করেছিল।
অস্ত্রধারীরা এমন সময় গুলি চালিয়েছিল যখন সাংবাদিকরা স্বাস্থ্যমন্ত্রী লর্থ ব্লেমার আগমনের জন্য অপেক্ষা করছিলেন।
খবরে বলা হয়, দুই সাংবাদিক ও এক পুলিশ কর্মকর্তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।
সহিংসতার প্রত্যক্ষদর্শী ফটো সাংবাদিক দিউগো আন্দ্রে হাইতিয়ান টাইমসকে বলেন, ‘এটি একটি ভয়ানক সিনেমার মতো দৃশ্য ছিল এটি।’
তিনি বলেন, ‘বেশ কয়েকজন আহত সাংবাদিকের রক্ত আমার পোশাকে লেগে আছে।’
জানা গেছে, ভিভ আনসানাম গ্যাংয়ের সদস্যরাই এই হামলা চালিয়েছে।
এক ভিডিও বিবৃতিতে হাইতির প্রেসিডেন্সিয়াল ট্রানজিশনাল কাউন্সিলের প্রধান লেসলি ভলতেয়ার বলেন, 'আমরা নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি, বিশেষ করে হাইতি ন্যাশনাল পুলিশ এবং সকল সাংবাদিক সংগঠনের প্রতি।’
তিনি বলেন, ‘আমরা তাদের গ্যারান্টি দিচ্ছি যে এই কাজটির জন্য আমরা শাস্তির ব্যবস্থা না নিয়ে বসে থাকব না।’
এপ্রিলে একটি নতুন অন্তর্বর্তী সরকার প্রতিষ্ঠা এবং ছয় মাস আগে কেনিয়ার পুলিশ কর্মকর্তাদের নেতৃত্বে একটি আন্তর্জাতিক বাহিনী মোতায়েন করা সত্ত্বেও হাইতির জনগণ অসহনীয় মাত্রার দলবদ্ধ অস্ত্রধারীদের দ্বার হামলার শিকার হচ্ছেন।
২০২১ সালে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জোভেনেল মোয়েসকে হত্যার পর থেকে হাইতিতে গ্যাং সহিংসতা চলছে।
পোর্ট-অ-প্রিন্সের আনুমানিক ৮৫ শতাংশ এখনও গ্যাংদের নিয়ন্ত্রণে।
জাতিসংঘ বলছে, শুধু এ বছরই হাইতিতে সহিংসতায় প্রায় পাঁচ হাজার মানুষ নিহত হয়েছে এবং দেশটি এখন ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে।
আরও পড়ুন: নাইজেরিয়ায় উৎসবে পদদলিত হয়ে নিহত বেড়ে ৩৫
৩৪৫ দিন আগে
নাইজেরিয়ায় বন্দুকধারীরা ৫০ জনকে অপহরণ করেছে
নাইজেরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় জামফারা রাজ্যে বন্দুকধারীরা নারী ও শিশুসহ অন্তত ৫০ জনকে অপহরণ করেছে।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) দেশটির পুলিশ ও বাসিন্দারা বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
সর্বশেষ গণ অপহরণের ঘটনাটি এই অঞ্চলে চলমান নিরাপত্তাহীনতার বিষয়টিকে তুলে ধরেছে। ওই এলাকায় সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো সামান্য প্রতিরোধের মধ্যে এসব কাজ করছে।
কমিউনিটি নেতা হালিরু আত্তাহিরু জানান, দুই ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে এই অভিযান চালানো হয়। এসময় ‘বেশ কয়েকজন নারী ও ছোট শিশুকে অপহরণ করা হয়েছে।’
আত্তাহিরু বলেন, কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে এখনও পদক্ষেপ নেয়নি।
আরও পড়ুন: নাইজেরিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১২
তাসিউ হামিদু নামে আরেক বাসিন্দা জানিয়েছেন, বন্দুকধারীরা বিনা প্রতিরোধের মধ্যে একটি বাড়িতে হামলা চালিয়ে ২০ জনকে অপহরণ করেছে।
জামফারা পুলিশের মুখপাত্র ইয়াজিদ আবুবকর ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করলেও বিস্তারিত জানাননি। এখন পর্যন্ত কোনো গোষ্ঠী হামলার দায় স্বীকার না করলেও স্থানীয়রা সন্দেহ করছে যে, গণহারে অপহরণ ও মুক্তিপণ দাবির সঙ্গে পরিচিত ডাকাত দলগুলো জড়িত। এই গোষ্ঠীগুলো, প্রায়শই বসতি স্থাপনকারী প্রাক্তন পশুপালক সম্প্রদায়ের সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়াচ্ছে। এর ফলে সংঘাত-প্রবণ উত্তরাঞ্চলে একটি স্থায়ী হুমকি হয়ে উঠেছে তারা।
নাইজেরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে মুক্তিপণের জন্য অপহরণ বেড়ে গেছে। সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো দুর্বল নিরাপত্তার সুযোগ নিয়ে গ্রাম ও পর্যটকদের লক্ষ্যবস্তু করছে। বেশিরভাগ ভুক্তভোগীকে মোটা অঙ্কের মুক্তিপণ দেওয়ার পরে ছেড়ে দেওয়া হয়।
চলতি বছরের শুরুর দিকে প্রতিবেশী কাদুনা রাজ্যে দুই সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে বন্দি থাকার পর ১৩০ জনেরও বেশি স্কুলশিক্ষার্থীকে মুক্তি দেওয়া হয়।
নাইজেরিয়ার উত্তরাঞ্চলে নিরাপত্তাহীনতা মোকাবিলায় সামরিক বাহিনী প্রচেষ্টা জোরদার করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। সেনাপ্রধান ওলুফেমি ওলুয়েদে সংকট মোকাবিলায় নতুন করে অভিযানের ওপর জোর দিয়েছেন। তবে, ২০১৪ সালের কুখ্যাত চিবোক স্কুলছাত্রী অপহরণসহ অপহরণের ধারাবাহিকতা এই চ্যালেঞ্জের মাত্রাকে তুলে ধরে। চিবোক থেকে অপহৃত ২৭৬ জন মেয়ের মধ্যে প্রায় ১০০ জন এক দশক পরেও বন্দী অবস্থায় রয়েছে।
তারপর থেকে দেড় হাজারের বেশি শিক্ষার্থীকে অপহরণ করা হয়েছে। সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো অন্যান্য অপরাধের জন্য মুক্তিপণ ব্যবহার করে। দুর্বল নিরাপত্তার ব্যবস্থার কারণে নাইজেরিয়া সম্পদ-সমৃদ্ধ উত্তরাঞ্চলে তাদের প্রভাব বিস্তার করে।
আরও পড়ুন: নাইজেরিয়ায় নৌকাডুবিতে ২৭ জন নিহত, নিখোঁজ শতাধিক
৩৫৯ দিন আগে
মেক্সিকোর মধ্যাঞ্চলে বন্দুকধারীর গুলিতে নিহত ৮
মেক্সিকোর উত্তর-মধ্যাঞ্চলে রাস্তার পাশে একটি খাবারের দোকানের সামনে বন্দুকধারীর গুলিতে আটজন নিহত হয়েছেন। এ সময় আরও দুজন আহত হয়েছেন।
স্থানীয় সময় রবিবার দেশটির কর্তৃপক্ষ এসব তথ্য জানায়।
কার্টেল (মাদকের সঙ্গে জড়িত অপরাধী) অধ্যুষিত গুয়ানাজুয়াতো রাজ্যের প্রসিকিউটররা জানান, শনিবার রাতে আপাসিও এল গ্রান্দে শহরে গুলি করে হত্যার এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: মেক্সিকোয় পরিত্যক্ত পিকআপ থেকে ১১ লাশ উদ্ধার
দোকানটির বাইরে আটজন মানুষ নিহত হন। সেখানে একটি ঐতিহ্যবাহী দুধের তৈরি ফাজ বিক্রি করা হচ্ছিল। আক্রমণে আরও একজন পুরুষ এবং একজন নারী আহত হয়েছেন। তবে তাদের অবস্থা সম্পর্কে তাত্ক্ষণিকভাবে কিছু যায়নি।
স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, বন্দুকধারীর গুলিতে নিহতদের মধ্যে একজন প্যারামেডিকও রয়েছেন।
রাষ্ট্রীয় অ্যাম্বুলেন্স ও প্যারামেডিক এজেন্সি জানায়, শনিবার রাতে একজন জরুরি মেডিকেল টেকনিশিয়ান মারা গেছেন। তবে তিনি হামলায় নিহতদের একজন কি না তা নিশ্চিত করতে পারেননি।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করা ভিডিওতে দেখা গেছে, স্টলের বাইরে পার্ক করা মোটরসাইকেল এবং মাথার ক্ষত নিয়ে কয়েকজনের দেহ ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে।
আপাসিও এল গ্রান্দে শহর এবং এর সিস্টার কমিউনিটি আপাসিও এল আল্টোতে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সংঘাতপূর্ণ মাদক কার্টেলগুলোর সঙ্গে এসব ঘটনা সম্পর্কিত। অন্তত ২০১৮ সাল থেকে ওই এলাকার বার, ক্লাব ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ধারাবাহিক বন্দুক হামলা হয়েছে।
শিল্প ও কৃষি কেন্দ্র গুয়ানাজুয়াতোয় কয়েক বছর ধরে মেক্সিকোর ৩২টি রাজ্যের মধ্যে সবচেয়ে বেশি হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। জালিসকো কার্টেল এবং স্থানীয় সান্তা রোসা ডি লিমা গ্যাং রাজ্যে কয়েক বছর ধরে লড়াই করছে।
আরও পড়ুন: মেক্সিকোতে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২৪, আহত ৫
৩৬৮ দিন আগে
পাকিস্তানে যাত্রীবাহী গাড়িতে বন্দুকধারীদের গুলিতে নিহত অন্তত ৩৮
পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে শিয়া মুসল্লিদের বহনকারী একটি গাড়িতে বন্দুকধারীদের গুলিতে ছয় নারীসহ অন্তত ৩৮ জন নিহত ও ২০ জন আহত হয়েছেন।
প্রাণঘাতী সংঘর্ষের পর কয়েক সপ্তাহ ধরে বন্ধ থাকা অঞ্চলটির একটি গুরুত্বপূর্ণ মহাসড়ক পুনরায় খুলে দেওয়ার এক সপ্তাহ পর এ ঘটনা ঘটল।
প্রদেশের কুররাম জেলায় সম্প্রতি সংখ্যাগরিষ্ঠ সুন্নি মুসলিম ও সংখ্যালঘু শিয়াদের মধ্যে সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষে অনেক প্রাণহানি হয়েছে।
সর্বশেষ এই হামলার দায় তাৎক্ষণিকভাবে কেউ স্বীকার করেনি।
স্থানীয় পুলিশ কর্মকর্তা আজমত আলী জানান, একটি গাড়িবহরে করে পারাচিনার শহর থেকে খাইবার পাখতুনখোয়ার রাজধানী পেশোয়ারে যাওয়ার পথে বন্দুকধারীরা গুলি চালায়। এ ঘটনায় আহতদের মধ্যে অন্তত ১০ যাত্রীর অবস্থা আশঙ্কাজনক।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানে আত্মঘাতী গাড়িবোমা হামলায় ১২ সেনাসদস্য নিহত
ঘটনাটিকে ‘সন্ত্রাসী হামলা’ হিসেবে অভিহিত করে পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহসিন নাকভি বলেছেন, হামলায় অন্তত ৩৮ জন নিহত হয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ এবং রাষ্ট্রপতি আসিফ আলী জারদারি এই হামলার নিন্দা জানিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী নিরপরাধ বেসামরিক নাগরিকদের হত্যার পেছনে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
মীর হুসেইন (৩৫) নামের এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, চারজন বন্দুকধারী একটি গাড়ি থেকে বের হয়ে এসে যাত্রীবাহী বাস ও গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি চালান।
তিনি বলেন, ‘প্রায় ৪০ মিনিট ধরে গোলাগুলি চলে। হামলাকারীরা চলে যাওয়ার আগ পর্যন্ত আমি লুকিয়ে ছিলাম।’
এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে স্থানীয় শিয়া নেতা বাকির হায়দারি বলেন, কুররামে সম্প্রতি শিয়াদের লক্ষ্যবস্তু করার হুমকি দিয়েছে জঙ্গিরা। অথচ, স্থানীয় কর্তৃপক্ষ পর্যাপ্ত নিরাপত্তা সরবরাহ করছে না।
হামলার প্রতিবাদে শুক্রবার ধর্মঘটের ঘোষণা দিয়েছেন পারাচিনারের দোকান মালিকরা।
৩৭৮ দিন আগে
পাকিস্তানে বন্দুকধারীর হামলায় ২০ খনিশ্রমিক নিহত
পাকিস্তানের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে বন্দুকধারীদের হামলায় ২০ জন খনিশ্রমিক নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন অন্তত আরও ৭ জন।
শুক্রবার (১১ অক্টোবর) দেশটির পুলিশ এসব হতাহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
গোলযোগপূর্ণ বেলুচিস্তান প্রদেশে এটি সর্বশেষ হামলার ঘটনা। রাজধানীতে আয়োজিত একটি বড় নিরাপত্তা শীর্ষ সম্মেলনের কয়েকদিন আগে ভয়াবহ হামলার ঘটনাটি ঘটলো।
পুলিশ কর্মকর্তা হুমায়ুন খান নাসির বলেন, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে বন্দুকধারীরা দুকি জেলার কয়লা খনির আবাসনে ঢুকে পড়ে। পরে তাদের ঘিরে ফেলে এবং গুলি চালায়।
নিহতদের অধিকাংশই বেলুচিস্তানের পশতুন ভাষী এলাকার। এছাড়া নিহতদের ৩ জন এবং আহতদের মধ্যে ৪ জন আফগান নাগরিক।
তবে তাৎক্ষণিকভাবে কেউ এ হামলার দায় স্বীকার করেনি।
প্রদেশটি বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীগুলোর শক্ত ঘাঁটি যারা স্বাধীনতা চায়। তাদের অভিযোগ হলো- ইসলামাবাদের ফেডারেল সরকার স্থানীয়দের ক্ষতিগ্রস্ত করে তেল ও খনিজ সমৃদ্ধ বেলুচিস্তানকে অন্যায়ভাবে শোষণ করছে।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানে ৭ শ্রমিককে গুলি করে হত্যা
সোমবার বেলুচ লিবারেশন আর্মি (বিএলএ) নামে একটি গোষ্ঠী জানায়, তারা পাকিস্তানের সবচেয়ে বড় বিমানবন্দরের বাইরে চীনা নাগরিকদের ওপর হামলা চালিয়েছে। দেশটিতে হাজার হাজার চীনা নাগরিক কাজ করছে। যাদের বেশিরভাগই বেইজিংয়ের মাল্টিবিলিয়ন ডলারের প্রকল্প বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের সঙ্গে জড়িত।
বিএলএ বলেছে, এই বিস্ফোরণটি আত্মঘাতী বোমা হামলাকারী ঘটিয়েছে। যার ফলে উচ্চ পদস্থব্যক্তিদের নিয়ে অনুষ্ঠান বা দেশি বিদেশিদের নিরাপত্তা দেওয়ার বিষয়ে পাকিস্তানি বাহিনীর সক্ষমতা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
আগামী সপ্তাহে পশ্চিমা জোটকে মোকাবিলায় চীন ও রাশিয়ার প্রতিষ্ঠিত জোট সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের (এসসিও) শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজন করছে ইসলামাবাদ।
আরও পড়ুন: বৈরুতে বিমান হামলায় নিহত ২২, জাতিসংঘের শান্তিরক্ষীদের ওপরও ইসরায়েলের গুলি
৪২০ দিন আগে
দক্ষিণ আফ্রিকায় বন্দুকধারীর গুলিতে নিহত ১৭
দক্ষিণ আফ্রিকার ইস্টার্ন কেপ প্রদেশে বন্দুকধারীর গুলিতে ১৭ জন নিহত হয়েছে। এ ঘটনার পর জরুরি ভিত্তিতে তল্লাশি শুরু করেছে স্থানীয় পুলিশ।
শনিবার ভোরে লুসিকিসিকি শহরে এ ‘বিপর্যয়কর’ ঘটনা ঘটে বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে ইস্টার্ন কেপ প্রাদেশিক সরকার।
পৃথক এক বিবৃতিতে দক্ষিণ আফ্রিকার পুলিশ সার্ভিসের (এসএপিএস) জাতীয় মুখপাত্র অ্যাথলেন্ডা ম্যাথে বলেছেন, একটি বাড়িতে ১৩ জন নিহত হয়েছেন, যার মধ্যে ১২ জন নারী ও একজন পুরুষ। অপর একটি বাড়ি থেকে চারজন নিহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: সুদানে সেনাবাহিনী ও আধাসামরিক বাহিনীর সংঘর্ষে নিহত ১১
তিনি বলেন, ‘এ ঘটনায় মোট ১৫ জন নারী এবং দুজন পুরুষ নিহত হয়েছেন। এছাড়া আরও একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।’
‘দক্ষিণ আফ্রিকার পুলিশ সার্ভিস এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের জন্য দায়ীদের বিচারের আওতায় আনতে ব্যাপক অনুসন্ধান শুরু করেছে। আমরা আমাদের সম্প্রদায়ের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
মুখপাত্র বলেন, ‘পুলিশ ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ ও গোয়েন্দাদের একটি দলকে প্রমাণ সংগ্রহের জন্য মোতায়েন করেছে, যারা মামলাটির সমাধানে সহায়তা করবে।’
প্রাদেশিক সরকারের বিবৃতিতে ইস্টার্ন কেপের প্রিমিয়ার অস্কার মাবুয়েনে এ ঘটনায় ‘কঠোরতম ভাষায় অর্থহীন সহিংসতার’ নিন্দা জানিয়েছেন।
‘এই মাত্রায় প্রাণহানি আমাদের প্রদেশের জন্য একটি বিধ্বংসী আঘাত। আমরা এই নির্দোষ প্রাণহানিতে শোক প্রকাশ করছি। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার ও সম্প্রদায়ের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করছি। নিরীহ মানুষের নৃশংস ও কাণ্ডজ্ঞানহীন হত্যাকাণ্ড একটি জঘন্য কাজ, আমাদের সমাজে যার কোনো স্থান নেই।’
৪৩২ দিন আগে
আফগানিস্তানে বন্দুকধারীদের গুলিতে ১৪ জন নিহত
আফগানিস্তানের মধ্যাঞ্চলীয় দাইকুন্দি প্রদেশে বন্দুকধারীদের গুলিতে ১৪ জন নিহত ও চারজন আহত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার স্থানীয় সংবাদমাধ্যম টোলো নিউজ এ তথ্য জানিয়েছে।
হতাহতরা দাইকুন্দি প্রদেশের বাসিন্দা ছিলেন। তারা হজযাত্রীদের স্বাগত জানাতে গিয়েছিলেন।
রাতে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মুফতি আবদুল মতিন কানি। তবে তিনি এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানাননি।
এদিকে বিদ্রোহী গোষ্ঠী দায়েশ বা ইসলামিক স্টেট (আইএস) এ হামলার দায় স্বীকার করেছে।
৪৪৮ দিন আগে
যুক্তরাষ্ট্রে স্কুলে বন্দুকধারীর গুলিতে নিহত ৪, আহত ৯
যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়ায় একটি হাইস্কুলে বন্দুকধারীর গুলিতে চারজন নিহত ও নয়জন আহত হয়েছে।
নিহত চারজন জর্জিয়ার ব্যারো কাউন্টির আপালাচি হাই স্কুলের দুই শিক্ষার্থী ও দুজন শিক্ষক।
বুধবার বিকালে জর্জিয়া ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (জিবিআই) পরিচালক ক্রিস হোসে এক ব্রিফিংয়ে বলেন, বন্দুকধারী ওই স্কুলটির ছাত্র কোল্ট গ্রে (১৪)।
সকাল সাড়ে ১০টার কিছু আগে স্কুলে এই গোলাগুলি চালায় গ্রে। তারপর স্কুলের রিসোর্স অফিসার তাকে আটকে ফেললে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেন তিনি।
এই ঘটনার পর একাধিক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও জরুরি সেবাদানকারীদের ওই স্কুলে পাঠানো হয়েছে।
জিবিআই পরিচালক ক্রিস হোসে বলেন, বন্দুকধারীর বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ এনে প্রাপ্তবয়স্ক হিসেবে তার বিচার করা হবে।
ব্যারো কাউন্টি শেরিফ জুড স্মিথ বলেছেন, সন্দেহভাজন বন্দুকধারীর সঙ্গে নিহতদের কোনো যোগসূত্র আছে বলে তিনি জানেন না।
এদিকে হোসে বলেন, বন্দুকধারী সম্পর্কে সবকিছু তদন্তে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। স্কুলটির সঙ্গে তার কোনো যোগাযোগ আছে কি না সেটিও যাচাই করা হচ্ছে।
গুলিবিদ্ধ আরও নয়জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন হোসে। হাসপাতালের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, গুলিবিদ্ধ রোগী ছাড়াও প্যানিক অ্যাটাকের উপসর্গ নিয়ে পাঁচজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
গোলাগুলির ঘটনার পর স্কুলটি বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
কাউন্টির সুপারিনটেনডেন্ট ডালাস লেডাফ জানিয়েছেন, সপ্তাহের বাকি দিনগুলোতে ব্যারো কাউন্টির স্কুলগুলো বন্ধ থাকবে।
স্কুলে বন্দুক হামলার ঘটনায় আটলান্টার ক্যাম্পাসগুলোতেও টহল জোরদার করা হয়েছে।
এ হামলাকে 'অর্থহীন বন্দুক সহিংসতা'আখ্যা দিয়ে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন মৃতদের জন্য শোক প্রকাশ করেন।
প্রেসিডেন্ট আইনপ্রণেতাদের অ্যাসল্ট অস্ত্র এবং উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ম্যাগাজিন নিষিদ্ধ করা, আগ্নেয়াস্ত্রের নিরাপদ সংরক্ষণের প্রয়োজন, সর্বজনীন ব্যাকগ্রাউন্ড চেক আইন প্রণয়ন এবং বন্দুক প্রস্তুতকারকদের জন্য দায়মুক্তি শেষ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
২০২৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রে এ পর্যন্ত ৩৮০টিরও বেশি গণশুটিংয়ের ঘটনা ঘটেছে, যেখানে চারজন বা তারও বেশি মারা গেছে।
৪৫৬ দিন আগে
পাকিস্তানে যাত্রীবাহী বাসে বন্দুকধারীর হামলায় নিহত ২৩
পাকিস্তানের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে বাস, ট্রাক ও অন্যান্য যানবাহন থেকে যাত্রীদের নামিয়ে ২৩ জনকে গুলি করে হত্যা করেছে বন্দুকধারীরা।
বেলুচিস্তান প্রদেশের কুসাখাইল জেলায় রাতভর এ হত্যাকাণ্ড চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা আইয়ুব আচাকজাই।
হামলাকারীরা পালিয়ে যাওয়ার আগে অন্তত ১০টি গাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহসিন নাকভি এই হামলাকে 'বর্বরোচিত' আখ্যা দিয়ে বলেছেন, যারা এর পেছনে রয়েছে তাদের বিচারের আওতায় আনা হবে। কেউ রেহাই পাবে না।
তাৎক্ষণিকভাবে কেউ এ হামলার দায় স্বীকার করেনি। তবে বেলুচিস্তানের বিচ্ছিন্নতাবাদীরা প্রায়ই দেশটির পূর্বাঞ্চলীয় পাঞ্জাবের শ্রমিক ও অন্যদের হত্যা করে। এটি তাদের প্রদেশ ছাড়তে বাধ্য করার প্রচারের একটি অংশ। বছরের পর বছর ধরে এই বিদ্রোহ চলছে।
এর আগে এ ধরনের বেশিরভাগ হত্যাকাণ্ডের জন্য নিষিদ্ধ ঘোষিত বেলুচিস্তান লিবারেশন আর্মি ও ইসলামাবাদের কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে স্বাধীনতার দাবিতে লড়াই করা অন্যান্য গোষ্ঠীকে দায়ী করা হয়েছে। প্রদেশটিতে ইসলামি জঙ্গিদেরও উপস্থিতি রয়েছে।
৪৬৬ দিন আগে