ব্যবসা-বাণিজ্য
সাপ্তাহিক পুঁজিবাজার: বেহাল সূচক, ব্যাংক খাতে বিপর্যয়
পুঁজিবাজারে এক সপ্তাহের লেনদেনে কমেছে সবকটি সূচক, লেনদেন নেমে এসেছে তলানিতে। বিশেষ করে ব্যাংক খাতে শেয়ারের দাম কমেছে উল্লেখযোগ্য হারে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) এক সপ্তাহের লেনদেনে প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১২১ পয়েন্ট। ৪৯০২ পয়েন্টে লেনদেন শুরু করে সূচক দাঁড়িয়েছে ৪৭৮১ পয়েন্টে, যা আগের সপ্তাহের তুলনায় ২.৪৭ শতাংশ কম এবং গত পাঁচ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন।
ঢাকার বাকি দুই সূচকেরও বেহাল দশা। শরীয়া ভিত্তিক ডিএসইএসের সূচক কমেছে ৩৫ পয়েন্ট। গত ক'দিনের লেনদেনে শরীয়া খাতে সূচকের পতন ৩.২৯ শতাংশ, যা অন্য যেকোনো সূচকের তুলনায় সর্বোচ্চ।
বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ শেয়ারের হয়েছে ভরাডুবি। ২.৭৬ শতাংশ সূচক কমেছে ডিএস-৩০ এ। এক সপ্তাহের লেনদেনে মোট সূচক কমেছে ৫০ শতাংশ।
ঢাকার বাজারে সপ্তাহজুড়ে লেনদেন হওয়া তালিকাভুক্ত ৩২২ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে, বিপরীতে বেড়েছে মাত্র ৫০ কোম্পানির শেয়ারের দাম। দাম অপরিবর্তিত ছিল ২৪ কোম্পানির।
টানা পতনে বাজার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন বিনিয়োগকারীরা, যার সরাসরি প্রভাব পড়েছে সামগ্রিক লেনদেনে। এক সপ্তাহে ঢাকার বাজারে লেনদেন কমেছে ৩২.৭৮ শতাংশ।
আরও পড়ুন: পুঁজিবাজারে পতন দিয়ে সপ্তাহ শেষ
গড় লেনদেন ৪৮০ কোটি টাকা থেকে কমে হয়েছে ৩২৪ কোটি টাকা। লেনদেন হওয়া শেয়ারের সংখ্যা কমেছে ১৯.৫২ শতাংশ।
খাতোয়ারি ধস
বিনিয়োগকারীদের আস্থার শেয়ার ব্যাংক খাতে বড় ধস নেমেছে। সপ্তাহজুড়ে লেনদেন এ খাতে তালিকাভুক্ত ৩৬ ব্যাংকের সামগ্রিকভাবে শেয়ারের দাম কমেছে ৪৭.৮২ শতাংশ।
ব্যাংক খাতের শেয়ারেও বিনিয়োগকারীরা ভরসা রাখতে পারছেন না তার বড় প্রমাণ লেনদেন হওয়া শেয়ারের পরিমাণ কমে আসা। এ খাতে লেনদেন কমেছে ৩১.২৪ শতাংশ।
পৃথকভাবে ১০ ব্যাংকের শেয়ারের দাম বাড়লেও দাম কমেছে ১৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ৭ ব্যাংকের শেয়ারের দাম।
ব্যাংক খাতের পাশাপাশি সুবিধা করতে পারেনি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের শেয়ারও। তালিকাভুক্ত ২৩ আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সামগ্রিক শেয়ারের দাম কমেছে ২৬.৫৫ শতাংশ, মোট শেয়ার লেনদেন কমেছে ১৯.৫৩ শতাংশ।
খাতভিত্তিক শেয়ারে সবচেয়ে করুণ দশা আবাসন খাতে। এ খাতে দাম কমেছে ৬০ শতাংশ ওপরে আর লেনদেন কমেছে ৫৩ শতাংশ।
পুরো সপ্তাহ শুধু সাধারণ বীমা আর মিউচুয়াল ফান্ড ভিত্তিক শেয়ারের দাম বেড়েছে, বাকি সবকটি খাতের অবস্থা ছিল শোচনীয়।
চট্টগ্রামেও বড় পতন
ঢাকার মতো চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) বড় পতন হয়েছে, সার্বিক সূচক কমেছে ২২৬ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেন অংশ নেয়া ৩০০ কোম্পানির মধ্যে ২০৩ কোম্পানির দাম কমেছে। বিপরীতে দাম বেড়েছে ৭৪ এবং অপরিবর্তিত আছে ২৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামেও অপেক্ষাকৃত ভালো অবস্থানে আছে বীমা এবং মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ার। সারা সপ্তাহের লেনদেন সিএসই'র শীর্ষ শেয়ার সিটি জেনারেল ইনস্যুরেন্স। অন্যদিকে ২২ শতাংশ দাম হারিয়ে চট্টগ্রামে তলানিতে শাইনপুকুর সিরামিকস লিমিটেড।
২২৫ দিন আগে
পুঁজিবাজারে পতন দিয়ে সপ্তাহ শেষ
টানা তিন দিন পতনের মুখে পুঁজিবাজার; সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসেও সবকটি সূচক কমেছে ঢাকা-চট্টগ্রামের বাজারে। দর হারিয়েছে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানি।
বৃহস্পতিবার (১৫ মে) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৫৪ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ১৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ২০ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৫টি কোম্পানির মধ্যে বেশিরভাগের দাম ছিল নিম্নমুখী। আজ ৪২টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৩১৭টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৬টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসেবে ‘এ’, ‘বি’ ও ‘জেড’—তিন ক্যাটাগরিতেই কমেছে শেয়ারের দাম। লভ্যাংশ দেওয়া ভালো শেয়ারের ‘এ’ ক্যাটাগরিতে তালিকাভুক্ত ২১৬টি কোম্পানির মধ্যে ১৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধি হয়েছে, দর কমেছে ১৮২টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৫টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
আরও পড়ুন: ১০ মাসে ৪০২০ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি
এ ছাড়া লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬টি মিউচুয়াল ফান্ডের বেশিরভাগেরই দাম কমেছে। ৩১টি কোম্পানির দর পতনের বিপরীতে আজ দর বেড়েছে দুটির এবং অপরিবর্তিত আছে তিনটি কোম্পানির।
এদিন ডিএসই ব্লক মার্কেটে ৩১টি কোম্পানির ২৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে। এর মধ্যে স্কয়ার ফার্মা সর্বোচ্চ ২১ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ঢাকার বাজারে সারা দিনে মোট ২৯৬ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, গত কার্যদিবসে যা ছিল ২৯৪ কোটি টাকা।
৭.৩৮ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে আজ শীর্ষ শেয়ার ছিল সিটি ইনস্যুরেন্স। অন্যদিকে, ৯.৩৮ শতাংশের বেশি দর হারিয়ে তলানিতে ছিল প্রিমিয়ার লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স।
পতন চট্টগ্রামেও
ঢাকার মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারা দিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ১৩৭ পয়েন্ট।
সেখানে লেনদেনে অংশ নেওয়া ২০৫টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৩৭টির, কমেছে ১৫১টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৭টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ১০ কোটি ২৯ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ১১ কোটি ২২ লাখ টাকা।
আজ ১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার সামাতা লেদার কমপ্লেক্স এবং প্রায় ১৪ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ছিল যমুনা ব্যাংক।
২২৭ দিন আগে
ফের পুঁজিবাজারে পতন, কমেছে ঢাকা-চট্টগ্রামের সবকটি সূচক
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে পতনের পর তৃতীয় দিনেও ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজার। দুই পুঁজিবাজারে সবকটি সূচক কমেছে ও লেনদেনে অংশ নেয়া তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম নিম্নমুখী অবস্থায় রয়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৩৮ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়া ভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ১০ পয়েন্ট ও বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৭ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেয়া ৩৯৯ কোম্পানির মধ্যে বেশিরভাগের দামই নিম্নমুখী। ৬১ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২৯২টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৪৬টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে ‘এ’, ‘বি’ ও ‘জেড’– তিন ক্যাটাগরিতেই কমেছে শেয়ারের দাম। লভ্যাংশ দেয়া ভালো শেয়ারের এ ক্যাটাগরিতে তালিকাভুক্ত ২১৮ কোম্পানির মধ্যে ৩৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধি হয়েছে। দর কমেছে ১৫৩টি ও অপরিবর্তিত আছে ২৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডের বেশিরভাগের। ২১ কোম্পানির দর পতনের বিপরীতে দর বেড়েছে ৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১২ কোম্পানির।২২ কোম্পানির ১৬ টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। রেনেটা সর্বোচ্চ ৪ কোটি ৯৬ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
আরও পড়ুন: অর্থবছর শেষ হওয়ার আগেই সর্বোচ্চ রেমিট্যান্সের রেকর্ড
সূচকের পাশাপাশি লেনদেনও কমেছে ঢাকার বাজারে। সারাদিনে মোট ২৯৪ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৩৪৩ কোটি টাকা। ৯.৯১ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার সিটি ইনস্যুরেন্স। অন্যদিকে ৬.৭৭ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এনআরবি ব্যাংক।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ৭১ পয়েন্ট। লেনদেনে অংশ নেয়া ১৯৬ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৪৪, কমেছে ১২৭টির ও অপরিবর্তিত আছে ২৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ১১ কোটি ১২ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৭ কোটি ৬৭ লাখ টাকা। ১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষে সোনালি লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানির শেয়ার এবং ৯.৮২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে কেডিএস এক্সেসোরিস লিমিটেড।
২২৮ দিন আগে
সূচকের উত্থানে চলছে ঢাকা-চট্টগ্রামের লেনদেন
সূচকের উত্থান দিয়ে সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে শুরু হয়েছে ঢাকা ও চট্টগ্রাম পুঁজিবাজারের লেনদেন। দিনের শুরুতেই আজ (মঙ্গলবার) সবকটি সূচক বেড়েছে।
দেখা গেছে, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১২ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ ও বাছাইকৃত ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ১ পয়েন্ট।
লেনদেন শুরুর প্রথম ঘণ্টায় ঢাকায় ১৫৭টি কোম্পানির শেয়ারের দর বেড়েছে, কমেছে ১৩২টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯০টি কোম্পানির শেয়ারদর।
সামগ্রিকভাবে ডিএসইতে প্রথম ঘণ্টায় মোট শেয়ার ও ইউনিটের লেনদেন ৯০ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
আরও পড়ুন: পুঁজিবাজার: সপ্তাহজুড়ে চলল সূচক, লেনদেন ও শেয়ারের মূল্যপতন
ঢাকার মতো চট্টগ্রামেও হয়েছে সূচকের উত্থান। বন্দরনগরীর পুঁজিবাজারে সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৬ পয়েন্ট।
সেখানে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৫টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৩৯টির, কমেছে ২৩টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথম ঘণ্টায় চট্টগ্রামের বাজারে ২ কোটি টাকার ওপরে শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
২৩০ দিন আগে
পুঁজিবাজার: লেনদেন শেষে সূচকের উত্থান, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির দর
পতন দিয়ে সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসের লেনদেন শুরু হলেও শেষ হয়েছে সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে। দাম বেড়েছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ঢাকা-চট্টগ্রামের তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১৯ পয়েন্ট। তবে প্রধান সূচক বাড়লেও বাকি দুই সূচকের সুবিধা করতে পারেনি ঢাকার বাজার।
শরিয়াভিত্তিক ডিএসইএস বেড়েছে ১ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৪ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৫ কোম্পানির মধ্যে বেশিরভাগের দাম ছিল ঊর্ধ্বমুখী। ১৮৯ কোম্পানির দর বাড়লেও কমেছে ১৬০টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৪৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড- তিন ক্যাটাগরিতেই বেড়েছে শেয়ারের দাম। লভ্যাংশ দেওয়া ভালো শেয়ারের এ ক্যাটাগরিতে তালিকাভুক্ত ২১৬ কোম্পানির মধ্যে ১২২ কোম্পানির দর বেড়েছে। দর কমেছে ৮০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৪ কোম্পানির শেয়ারমূল্য।
দাম বেড়েছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচ্যুয়াল ফান্ডের বেশিরভাগের। ৩০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দরে পতন হয়েছে ৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩ কোম্পানির।
২১ কোম্পানির ৬ কোটি ৮৩ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। বেকন ফার্মা সর্বোচ্চ ২ কোটি ২৪ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
সূচক এবং কোম্পানির শেয়ারের দাম সন্তোষজনক হলেও লেনদেনে সুবিধা করতে পারেনি ডিএসই। সারাদিনে মোট ৩৬৪ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৩৬৬ কোটি টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার নর্দান ইসলামি ইনস্যুরেন্স। অন্যদিকে সাড়ে ৩ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে নেমেছে বে-লিজিং অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড।
চট্টগ্রামেও উত্থান
ঢাকার মতো সূচক বেড়েছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক বেড়েছে ১৯ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮২ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৯১, কমেছে ৭১ এবং অপরিবর্তিত আছে ২০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৭ কোটি ২৯ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২১ কোটি টাকার ওপরে।
৯ দশমিক ৮৭ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার ফিনিক্স ইনস্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড এবং ১০ শতাংশ দর হারিয়ে তলানিতে রয়েছে গ্রিন ডেলটা ইনস্যুরেন্স পিএলসি।
২৩০ দিন আগে
অর্থবছর শেষ হওয়ার আগেই সর্বোচ্চ রেমিট্যান্সের রেকর্ড
২০২৪-২৫ অর্থবছর শেষ হতে এখনো বাকি এক মাস। এর আগেই দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্সের রেকর্ড গড়লো এই অর্থবছর।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, সব মিলিয়ে চলতি অর্থবছরে এখন পর্যন্ত ২৫ দশমিক ২৭ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে, যা গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ২৮ দশমিক ২ শতাংশ বেশি এবং দেশের ইতিহাসে অন্য যেকোনো সময়ের তুলনায় সর্বোচ্চ।
আরও পড়ুন: এপ্রিলে ২৭৫ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পেয়েছে দেশ
২০২০-২১ অর্থবছরে সর্বোচ্চ ২৪ দশমিক ৭৭ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। গত অর্থবছরে মোট রেমিট্যান্স এসেছে ২৩ দশমিক ৯১ বিলিয়ন ডলার। সে হিসাবে এক মাসে হাতে থাকতে ২০২৪-২৫ অর্থবছর রেমিট্যান্সে এই রেকর্ড গড়ল।
এর আগে, চলতি বছরের মার্চে ৩২৮ কোটি ৯৯ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে, যা মাসিক হিসাবে এ যাবৎকালে সর্বোচ্চ। এপ্রিলে মোট ২৭৫ কোটি ১৯ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছে দেশে, যা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ।
এদিকে, মে মাসের প্রথম ৭ দিনে দেশের ব্যাংকিং চ্যানেলে ৭৩ কোটি ৫০ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছে, যা গত বছর একই সময়ের তুলনায় ২২ দশমিক ৩ শতাংশ বেশি। গত বছর মে মাসের প্রথম সাত দিনে ৬০ কোটি ১০ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল।
২৩১ দিন আগে
ধস কাটিয়ে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে বড় উত্থান
ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার আতঙ্কে বড় ধসের পর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ঘুরে দাঁড়িয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজার, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৯৯ পয়েন্ট, যা গতদিনের তুলনায় ২ শতাংশ বেশি। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস বেড়েছে ২৬ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ শেয়ার ডিএস-৩০ বেড়েছে ২৭ পয়েন্ট।
একদিনের লেনদেনে ডিএসইএসের উত্থান হয়েছে ২.৫০ শতাংশ এবং ডিএস-৩০ এর উত্থান ১.৫০ শতাংশ।
ঢাকার বাজারে লেনদেন হওয়া ৩৯৪ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৩৭৭ কোম্পানির এবং দাম কমেছে ১০ কোম্পানির। ৭ কোম্পানির শেয়ারের দামে আসেনি কোনো পরিবর্তন।
ক্যাটাগরির হিসাবে ‘এ’, ‘বি’ এবং ‘জেড’— তিন ক্যাটাগরিতেই শেয়ারের দাম ছিল ঊর্ধ্বমুখী। এছাড়া লেনদেন হওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দাম বেড়েছে সবকটির।
ডিএসই ব্লক মার্কেটে ২৮ কোম্পানির ১২ কোটি ৮২ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে। মিডল্যান্ড ব্যাংক এবং লাভেলো সর্বোচ্চ ১ কোটি ৯০ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
আরও পড়ুন: বড় পতনের পর উত্থান দিয়ে শুরু শেষ কার্যদিবসের লেনদেন
সারাদিনে ৩৬৬ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গতদিন ছিল ৫১৬ কোটি টাকা। মূলত শেয়ার বিক্রির চাপ কমায় লেনদেন কমেছে বলে জানিয়েছে ব্রোকারেজ হাউজ সংশ্লিষ্টরা।
ঢাকার বাজারে ৯.৮৬ শতাংশ দাম বেড়ে শীর্ষে আছে এনআরবিসি ব্যাংকের শেয়ার এবং ৫.৯১ শতাংশ দাম কমে তলানিতে মেঘনা কনডেন্স মিল্ক লিমিটেড।
চট্টগ্রামেও বড় উত্থান
ঢাকার মতোই ভালো উত্থান হয়েছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই), সার্বিক সূচক বেড়েছে ১১৩ পয়েন্ট। লেনদেন হওয়া ১৮৯ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১২৯, কমেছে ৪৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ২১ কোটি টাকার ওপরে শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে চট্টগ্রামের বাজারে শেষ কার্যদিবসের শীর্ষ শেয়ার দেশবন্ধু পলিমার, ক্রাউন সিমেন্ট এবং এনআরবিসি ব্যাংক। অন্যদিকে ১০ শতাংশ দর হারিয়ে তলানিতে ইস্টার্ন ইনস্যুরেন্স কোম্পানি।
২৩৪ দিন আগে
পুঁজিবাজারে সূচক কমলো দেড়শ' পয়েন্ট, দায়ী পাক-ভারত উত্তেজনা নাকি অন্যকিছু?
বড় পতনের মুখে পড়েছে দেশের পুঁজিবাজার। একদিনের লেনদেনে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক কমেছে দেড়শ পয়েন্ট। সূচক হ্রাসের কারণ হিসেবে পাক-ভারত উত্তেজনাকে দায়ী করছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা। অনেকে আবার বলছেন গুজব ছড়িয়ে বাজারকে অস্থিতিশীল করা হয়েছে।
বুধবার (৭ মে) লেনদেন শুরু হওয়ার প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসই'র প্রধান সূচক কমে ১২০ পয়েন্ট। এরপর লাগাতার পতনে লেনদেন শেষে সূচকের পতন ঠেকেছে ১৪৯ পয়েন্টে।
পুঁজিবাজারে অর্থ যোগানদাতা প্রতিষ্ঠান ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশের (আইসিবি) চেয়ারম্যান আবু আহমেদ বাজার পতন প্রসঙ্গে বলেন, ‘স্পষ্টত পাক-ভারত উত্তেজনার প্রভাব পড়েছে বাজারে। এতে করে একদিনে বাজারের এই হাল। যদি দুই দেশের মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে দীর্ঘ যুদ্ধ শুরু হয় তাহলে এর প্রভাব বাংলাদেশের বাজারে পড়বে।’
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রসঙ্গ টেনে আবু আহমেদ বলেন, ‘রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধের সময় বাংলাদেশের পুঁজিবাজার বড় ধাক্কা খেয়েছে। তখন বাজার স্বাভাবিক করতে ফ্লোর প্রাইস চালু করা হয়েছিল। প্রতিবেশী দুই রাষ্ট্রের মধ্যে যুদ্ধ হলে বাজার আবারও বড় অস্থিরতার সম্মুখীন হবে।’
ঢাকার বাজার বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ৪৯৫১ পয়েন্ট নিয়ে লেনদেন শুরু করে দিন শেষে প্রধান সূচক কমে দাঁড়িয়েছে ৪৮০২ পয়েন্টে। একদিনের লেনদেনে বাজার সূচক হারিয়েছে ৩ শতাংশ।
শুধু প্রধান সূচক না, শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস কমেছে ৪১ এবং ব্লু-চিপ শেয়ারের সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৪০ পয়েন্ট। লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৯ কোম্পানির মধ্যে ৩৮৫ কোম্পানি দর হারিয়েছে, বেড়েছে মাত্র ৯ কোম্পানির শেয়ারের দাম। ৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম ছিল অপরিবর্তিত।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ,বি এবং জেড- তিন ক্যাটাগরিতেই বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম তলানিতে। বিশেষ করে লভ্যাংশ দেওয়া এ ক্যাটাগরির ২১৯ ভালো কোম্পানির শেয়ারের মধ্যে দর কমেছে ২১৫ কোম্পানির।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) একই দশা; সিএসইতে সারাদিনের লেনদেন শেষে সার্বিক সূচক কমেছে ২৭০ পয়েন্ট। লেনদেন হওয়া ২৭০ কোম্পানির দর বৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৮৭ কোম্পানির। ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত ছিল।
তবে পাক-ভারত উত্তেজনাকে বাজার পতনের একমাত্র কারণ হিসেবে মানছে না ডিএসই। প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক মিনহাজ মান্নান ইমন বলেন, ‘যদি পাক-ভারত যুদ্ধের কারণেই বাজারে পতন হয় তাহলে বাংলাদেশের বাজারের থেকে খারাপ অবস্থা হওয়ার কথা পাকিস্তান এবং ভারতের বাজারের। কিন্তু তেমনটা হয়নি। এতে করে বোঝা যায় পাক-ভারত উত্তেজনা বাজার পতনের অনুঘটক হলেও প্রধান কারণ না।’
আরও পড়ুন: ঢাকার পুঁজিবাজারে এ বছরের সর্বনিম্ন লেনদেন
ভারতের শেয়ারবাজার বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, দেশটির সেনসেক্স সূচক প্রায় ৮০০ পয়েন্ট এবং নিফটি ১৫০ পয়েন্ট হ্রাস পেয়েছিল, তবে বাজার খোলার কয়েক মিনিটের মধ্যে ক্ষতি অনেকটাই কাটিয়ে উঠেছে এবং লেনদেনেও ফিরেছে স্থিতিশীলতা। খাতভিত্তিক সূচকে মধ্যে মিডিয়া, ভোগ্যপণ্য এবং ওষুধ খাতের শেয়ারের দাম কমেছে। তবে অটো স্টক এবং ব্যাংক খাত তুলনামূলক ভালো করেছে যা বাজারের মন্দাভাব অনেকটাই কাটিয়ে উঠেছে।
যেখানে ভারত বাজার সামাল দিলো সেখানে বাংলাদেশ কেন ব্যর্থ- এমন প্রশ্নের জবাবে পুঁজিবাজারের সদস্যভুক্ত ব্রোকারেজ হাউসগুলোর সংগঠন ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ডিবিএ) সভাপতি সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘পাক-ভারত উত্তেজনার পুরোটাই কৃত্রিম প্যানিক। বাজারে প্যানিক সৃষ্টি করায় দরপতন হয়েছে। আগে থেকেই বাজারের অবস্থা বেহাল ছিল। এখন পাক-ভারত উত্তেজনার আতঙ্ক ছড়িয়ে বাজারকে একদম তলানিতে নামিয়ে আনা হয়েছে।’
নাম প্রকাশ না করার শর্তে শীর্ষ একটি ব্রোকারেজ হাউজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, ‘অযোগ্য মানুষ দিয়ে কমিশন চালানো হচ্ছে। যতদিন না কমিশনে পরিবর্তন আনা হবে ততদিনে বাজার ভালো হবে না। বাজার থেকে বিনিয়োগকারীদের ভরসা পুরোপুরি উঠে গেছে। বাজারের অংশীজনরা আর অর্থলগ্নি করতে চাচ্ছেন না। পাক-ভারত উত্তেজনা একটি ইস্যুমাত্র। মূল সমস্যা বাজার কাঠামো এবং প্রশাসনিক দুর্বলতায়।’
সূচকের পতনের মধ্যেই ডিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ৫০০ কোটি টাকা। ব্রোকারেজ হাউজের কর্তাব্যক্তিরা জানান, বুধবার লেনদেনের শুরু থেকেই বাজারে প্যানিক ছড়ানো হয়। এতে করে বিনিয়োগকারীরা দেদারসে শেয়ার বিক্রি করেছেন। ফলশ্রুতিতে বাজারের এ বেহাল দশা।
২৩৫ দিন আগে
১০ মাসে ৪০২০ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি
বাংলাদেশ চলতি অর্থবছর ২০২৪-২৫ সময়ে (জুলাই-এপ্রিল) দশ মাসে ৪ হাজার ২০ কোটি ডলার মূল্যের পণ্য রপ্তানি করেছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি)। এতে দেখা যায়, গত বছরের এই সময়ের তুলনায় রপ্তানি প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৯ দশমিক ৮৩ শতাংশ।
বিগত অর্থবছরের একই সময়ে ৩ হাজার ৬৬১ কোটি ডলার মূল্যের পণ্য রপ্তানি করতে সক্ষম হয়েছিল দেশের রপ্তানি খাতগুলো।
আরও পড়ুন: বৈচিত্র্যময় পণ্য রপ্তানিতে প্লাস্টিকের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ: বাণিজ্য উপদেষ্টা
চলতি বছরের শুধু এপ্রিলেই রপ্তানির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩০১ কোটি ডলারে, যা আগের অর্থবছরের এপ্রিলের ২৯৯ কোটি ডলারের তুলনায় শূন্য দশমিক ৮৬ শতাংশ বেশি।
বরাবরের মতো, তৈরি পোশাক (আরএমজি) খাত রপ্তানির ক্ষেত্রে তার শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে। খাতটি থেকে ৩ হাজার ২৬৪ কোটি ডলার মূল্যের পণ্য রপ্তানি করা হয়েছে। যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১০ শতাংশ বেশি। ২০২৫ সালের এপ্রিলে তৈরি পোশাক পণ্যের রপ্তানির পরিমাণ ছিল ২৪০ কোটি ডলার, যা ২০২৪ সালের এপ্রিলে ছিল ২৩৮ কোটি ডলার। এতে দেখা যায় মাসিক প্রবৃদ্ধি হয়েছে শূন্য দশমিক ৪৪ শতাংশ।
২৩৭ দিন আগে
ভরিপ্রতি ৩৫৭০ টাকা কমে আজ থেকে নতুন দরে বিক্রি হবে স্বর্ণ
দেশের বাজারে আরেক দফা স্বর্ণের দাম কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) স্বর্ণে ৩ হাজার ৫৭০ টাকা কমিয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করেছে বাজুস।
শনিবার (৩ মে) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে বাজুসের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়। আজ (রবিবার) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য কমেছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে করে ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৬৮ হাজার ৯৭৬ টাকা।
আরও পড়ুন: টানা দুইদিন বাড়ার পর কমল স্বর্ণের দাম
নতুন দর অনুযায়ী, সনাতন পদ্ধতি অনুযায়ী ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণ ১ লাখ ৬১ হাজার ৩০১ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণ ১ লাখ ৩৮ হাজার ২৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণ ১ লাখ ১৪ হাজার ২৯৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এর আগে গত ২৩ এপ্রিল স্বর্ণের দাম ভরিতে ৫ হাজার ৩৪২ টাকা কমিয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৭২ হাজার ৫৪৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল।
এ নিয়ে চলতি বছর দেশের বাজারে ২৭ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হলো। এই সময়ে দাম বাড়ানো হয়েছে ১৯ বার, কমানো হয়েছে ৮ বার।
২৩৯ দিন আগে