ফুটবল
এবার এমবাপ্পেকেই ছাড়াই ফ্রান্সের দল ঘোষণা
চোটের কারণ দেখিয়ে অক্টোবরের আন্তর্জাতিক বিরতির সময়ে ফ্রান্স দলে ছিলেন না রিয়াল মাদ্রিদের তারকা স্ট্রাইকার কিলিয়ান এমবাপ্পে। এবার নভেম্বরে নেশন্স লিগের দুই ম্যাচের জন্য তাকে ছাড়াই দল ঘোষণা করেছে ফ্রান্স।
নেশন্স লিগের ‘এ’ লিগের ২ নম্বর গ্রুপের পঞ্চম ম্যাচে আগামী ১৪ নভেম্বর ইসরায়েলকে আতিথ্য দেবে দিদিয়ের দেশমের দল। এর তিন দিন পরে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে টেবিলের শীর্ষে থাকা ইতালির বিপক্ষে মাঠে নামবে ২০২১ সালের শিরোপাজয়ীরা।
এই দুই ম্যাচের জন্য ঘোষিত ২৩ সদস্যের ফ্রান্স স্কোয়াডে প্রথমবার ডাক পেয়েছেন চলতি মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে দারুণ পারফর্ম করা লিলের তরুণ গোলরক্ষক লুকা শেভালিয়েঁ। তবে ঘোষিত স্কোয়াডে জায়াগা হয়নি এমবাপ্পের।
অক্টোবরে চোটের কারণ দেখিয়ে রিয়াল মাদ্রিদে থেকে যান এমবাপ্পে। এরপর ইউরোপীয় সংবাদধ্যমের খবরে জানা যায়, ফ্রান্স যখন নেশন্স লিগের ম্যাচ খেলছে, তখন তিনি সুইডেনের একটি ক্লাবে আড্ডা দিচ্ছেন।
ওই ঘটনায় ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েন ২৫ বছর বয়সী ফরাসি অধিনায়ক।
স্টকহোমের যে হোটেলে তখন তিনি ছিলেন, সে সময় সেখানে একটি যৌন নিপীড়নের অভিযোগ ওঠে। এ খবর চাউর হওয়ার পর রিয়াল মাদ্রিদ তাকে পোশাকের একটি বিজ্ঞাপন থেকেও সরিয়ে দেয়। এবার রিয়ালের জার্সিতে মাঠে বেশ কিছুদিন ধরে বিবর্ণ থাকার পর ফ্রান্স দলেও ব্রাত্য হলেন এই ফরোয়ার্ড।
আরও পড়ুন: ‘ধর্ষণ অভিযোগের’ তদন্তের মধ্যে এমবাপ্পেকে বিজ্ঞাপন থেকে সরাল রিয়াল
স্কোয়াড ঘোষণার সময় এমবাপ্পের অনুপস্থিতি নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে দেশম বলেন, ‘অনেক ভেবেচিন্তে আমি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমার কাছে মনে হয়েছে, এই মুহূর্তে এটিই সবচেয়ে ভালো সিদ্ধান্ত।’
এমবাপ্পেকে দলের বাইরে রাখার সিদ্ধান্তের পেছনে ফুটবলের বাইরের কোনো কারণ নেই জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি কিলিয়ানের সঙ্গে কথা বলেছি। সে দলে ফিরতে চায়। তবে আগামী দুই ম্যাচের জন্য এটি একটি বিশেষ সিদ্ধান্ত।’
ফ্রান্স স্কোয়াড
গোলরক্ষক: লুকা শেভালিয়েঁ (লিল), মাইক মাইনিয়ঁ (এসি মিলান) ও ব্রাইস সাম্বা (লঁস)।
ডিফেন্ডার: জনাথন ক্লুস (নিস), লুকা দিনিয়ে (অ্যাস্টন ভিলা), ওয়েসলে ফোফানা (চেলসি), থেও এরনান্দেস (এসি মিলান), ইব্রাহিমা কোনাতে (লিভারপুল), জুল কুন্দে (বার্সেলোনা), উইলিয়াম সালিবা (আর্সেনাল) ও দায়োত উপামেকানো (বায়ার্ন মিউনিখ)।
মিডফিল্ডার: এদুয়ার্দো কামাভিঙ্গা (রিয়াল মাদ্রিদ), মাতেও গেন্দুসি (লাৎসিও), এনগলো কান্তে (আল ইত্তিহাদ), মানু কোনে (রোমা), আদ্রিয়েন রাবিও (অলিম্পিক মার্শেই) ও ওয়ারেন জাইরে-এমেরি (পিএসজি)।
ফরোয়ার্ড: ব্রাদলে বারকোলা (পিএসজি), উসমান দেম্বেলে (পিএসজি), রান্দাল কোলো মুয়ানি (পিএসজি), ক্রিস্তোফার এনকুঙ্কু (চেলসি), মিকেল অলিস (বায়ার্ন মিউনিখ) ও মার্কাস থুরাম (ইন্টার মিলান)।
৪১৭ দিন আগে
মুসিয়ালার নৈপুণ্যে জয়ে ফিরল বায়ার্ন
ঘরের মাঠে দিনামো জাগরেবকে ৯-২ গোলে গুঁড়িয়ে দিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের চলতি আসরে দুর্দান্ত শুরু করলেও দ্বিতীয় ম্যাচে অ্যাস্টন ভিলার মাঠে হারের পর বার্সেলোনার কাছে বিধ্বস্ত হয়ে আত্মবিশ্বাসের বেলুন চুপসে গিয়েছিল বায়ার্ন মিউনিখের। তবে চতুর্থ ম্যাচে এসে ফের জিতে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন হ্যারি কেইন-থমাস মুলাররা।
আলিয়ান্স আরেনায় চ্যাম্পিয়ন্স লিগের চতুর্থ রাউন্ডের ম্যাচে বেনফিকাকে ১-০ গোল হারিয়েছে ভিনসেন্ট কোম্পানির বায়ার্ন।
হ্যারি কেইনের পাঠানো ক্রসে বুলেট হেডারে ৬৭তম মিনিটে একমাত্র গোলটি করে ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দেন বায়ার্নের প্রতিভাবান তরুণ জামাল মুসিয়ালা।
আরও পড়ুন: রেড স্টারের মাঠে বার্সেলোনার গোল উৎসব
এদিন বায়ার্নের ডেরায় ঢুকে ম্যাচজুড়ে একেবারে কোণঠাসা হয়ে ছিল পর্তুগিজ ক্লাবটি। মাত্র ২৬ শতাংশ সময় বলের ওপর দখল রাখতে পারলেও একবারও গোলে শট নিতে পারেনি বেনফিকার খেলোয়াড়রা। ম্যাচে মাত্র একবার শট নেওয়ার সুযোগ তৈরি করে তারা, সেটিও লক্ষ্যে রাখতে ব্যর্থ হয়।
অন্যদিকে, ৭৪ শতাংশ সময় বল নিজেদের দখলে রেখে মোট ২৪টি শট নেয় বায়ার্ন, যার ১০টিই ছিল লক্ষ্যে। তবে কোনোভাবেই ওই একবার ছাড়া আর বেনফিকার জমাট রক্ষণ ভেঙে জাল খুঁজে পায়নি তারা।
ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলেনে বায়ার্ন বস কোম্পানি বলেন, ‘(আজকে) যা করেছি, তা একেবারে মন্দ নয়। তবে আমাদের আরও ভালো করার জায়গা রয়েছে। সর্বোপরি, খেলোয়াড়দের ওপর আমার যথেষ্ট আস্থা রয়েছে।’
আরও পড়ুন: শেষ মুহূর্তের গোলে পিএসজির নাটকীয় হার
তবে বলের ওপর আরেকটু দখল রাখতে পারলে ফল ভিন্ন হতে পারত বলে মনে করেন বেনফিকা কোচ ব্রুনো লাগে।
তার ভাষ্যে, ‘আমাদের আরও একটু পজেশন দরকার ছিল। বলের নিয়ন্ত্রণ, সঠিক সময়ে সঠিক জায়গায় থাকার মতো খেলোয়াড় আমাদের দলে আছে। এ ধরনের চাপ সামলানোর সামর্থ্যও ছেলেদের আছে। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত প্রথমার্ধে আমরা এগুলোর কোনোটিই কাজে লাগাতে পারিনি।’
‘আমি জানতাম, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে চাপও কমে যাবে আর আমরা আরও বেশি পজেশন পাব। কিন্তু ভাগ্যের ফেরে তা আর হয়ে ওঠেনি।’
দুই জয়ে ৬ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের ১৭তম স্থানে উঠেছে বায়ার্ন। সমান পয়েন্ট নিয়ে ১৯তম স্থানে বেনফিকা।
আরও পড়ুন: দাপট দেখিয়েও ইন্টারের মাঠে হারল আর্সেনাল
৪১৭ দিন আগে
শেষ মুহূর্তের গোলে পিএসজির নাটকীয় হার
পজেশনাল ফুটবল, ক্ষিপ্র গতি আর আক্রমণের পর আক্রমণ করেও আতলেতিকো মাদ্রিদকে কাবু করতে পারল না লুইস এনরিকের পিএসজি। শুরুতে গোল পেলেও চার মিনিটের ব্যবধানে তা পরিশোধ করার পর শেষ সময়ের নাটকীয়তায় জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে দিয়েগো সিমিওনের শিষ্যরা।
পার্ক দে প্রান্সে বুধবার রাতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের চতুর্থ রাউন্ডের ম্যাচে আতলেতিকো মাদ্রিদের বিপক্ষে ২-১ গোলে হেরেছে পিএসজি।
ম্যাচের চতুর্দশ মিনিটেই ফরাসি মিডফিল্ডার ওয়ারেন জাইরে-এমেরির গোলে এগিয়ে যায় ফরাসি ক্লাবটি। তবে চার মিনিট পরই নাহুয়েল মলিনার গোলে সমতায় ফেরে আতলেতিকো।
আরও পড়ুন: রেড স্টারের মাঠে বার্সেলোনার গোল উৎসব
এরপর গোলের চেষ্টায় মরিয়া হয়ে নির্ধারিত নব্বই মিনিট পার করে ফেললেও গোলের দেখা পায় না পিএসজি। দুই দলের পয়েন্ট ভাগাভাগি যখন প্রায় নিশ্চিত, তখনই যোগ করা সময়ের তৃতীয় মিনিটে ম্যাচের শেষ কিক থেকে আতলেতিকোকে গোল এনে দেন আনহেল কোরেয়া। ফলে ২-১ গোলের অসাধারণ এক জয়ের উল্লাসে মাতে স্প্যানিশ ক্লাবটি।
এর ফলে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের চলতি আসরে টানা দুই হারের পর জয়ের স্বাদ পেল রোহিব্লাঙ্কোসরা। দুই জয়ে ৬ পয়েন্ট নিয়ে তারা উঠে এসেছে পয়েন্ট টেবিলের ২৩ নম্বরে। আর একটি করে জয় ও ড্রয়ে ৪ পয়েন্ট নিয়ে ২৫ নম্বরে, অর্থাৎ সরাসরি বাদ পড়ার তালিকায় রয়েছে পিএসজি।
চতুর্থ রাউন্ডের খেলা শেষে সবগুলো ম্যাচ জিতে পূর্ণ ১২ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের চূড়ায় রয়েছে লিভারপুল। এছাড়া তিনটি জয় ও একটি ড্রয়ে ১০ পয়েন্ট করে নিয়ে দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম স্থানে রয়েছে যথাক্রমে স্পোর্তিং, মোনাকো, ব্রেস্ত ও ইন্টার মিলান।
আরও পড়ুন: দাপট দেখিয়েও ইন্টারের মাঠে হারল আর্সেনাল
দিনের অপর ম্যাচে রেড স্টার বেলগ্রেদের বিপক্ষে ৫-২ গোলের বড় জয় পেয়েছে বার্সেলোনা। ৯ পয়েন্ট নিয়ে তাদের অবস্থান ষষ্ঠ। এছাড়া নিজেদের মাঠে আর্সেনালের বিপক্ষে ১-০ গোলে জিতেছে ইন্টার মিলান এবং বেনফিকাকে ১-০ গোলে হারিয়েছে বায়ার্ন মিউনিখ, আর চলতি মৌসুমে প্রথম হারের স্বাদ পেয়েছে উনাই এমেরির অ্যাস্টন ভিলা।
৪১৭ দিন আগে
দাপট দেখিয়েও ইন্টারের মাঠে হারল আর্সেনাল
পুরো ম্যাচজুড়ে স্বাগতিকদের ওপর ছড়িয়ে ঘোরাল আর্সেনাল, কিন্তু কাক্ষিত গোল দেখা দিল না একবারও। অপরদিকে, একটি পেনাল্টি পেয়ে তা থেকে নির্ভুল শটে গোল করে ম্যাচ জিতেই মাঠ ছাড়ল ইন্টার মিলান। ইন্টার-আর্সেনাল ম্যাচটির সারাংশ এটুকুই।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের চতুর্থ রাউন্ডে ঘরের মাঠ থেকে মিকেল আর্তেতার দলকে ১-০ গোলে হারিয়েছে সিমোনে ইনজাগির শিষ্যরা।
বিরতির আগে যোগ করা সময়ে নিজেদের বক্সের ভেতর থেকে হাতে বল লাগে আর্সেনাল মিডফিল্ডার মিকেল মেরিনোর। এরপর নিখুঁত স্পট কিক থেকে ম্যাচের একমাত্র গোলটি করে দলকে জয় এনে দেন ইন্টার মিলানের তুর্কি মিডফিল্ডার হাকান চালানোলু।
এদিন ৬৩ শতাংশ সময় নিজেদের পায়ে বল রেখে গোলের উদ্দেশ্যে মোট ২০টি শট নেয় আর্সেনাল, যার চারটি লক্ষ্যে রাখতে পারে তারা। কিন্তু ইন্টারের রক্ষণ দেওয়াল, ভালো শট ও ফিনিশিংয়ের অভাবে বারবার হতাশ হতে হয়েছে তাদের।
অপরদিকে, ৭টি শটের মাত্র একটি লক্ষ্যে রাখতে পারে ইন্টার, যা থেকে গোল আদায় করে নেয় সিমোনের দল।
আরও পড়ুন: নিউক্যাসলের বিপক্ষে হেরে পিছিয়ে পড়ল আর্সেনাল
এই ম্যাচের আগে প্রিমিয়ার লিগে সবশেষ নিউক্যাসল ইউনাইটেডের কাছে ১-০ গোলে হেরে বসে আর্সেনাল। এবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগেও একই ব্যবধানে হেরে গেল তারা।
ইউরোপের শীর্ষ এ প্রতিযোগিতায় ড্রয়ের মাধ্যমে চলতি আসর শুরু করলেও পরের দুটি ম্যাচ জিতে ভালোই এগোচ্ছিল মিকেল আর্তেতার শিষ্যরা। তবে প্রিমিয়ার লিগের মতো এবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগেও পিছিয়ে পড়ল তারা।
চার ম্যাচে দুই জয় ও একটি ড্রয়ে ৭ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দ্বাদশ স্থানে রইল আর্সেনাল।
অন্যদিকে, আর্সেনালের মতোই শুরুতে ড্র এবং পরের দুটি ম্যাচ জিতে আজ মাঠে নেমে তৃতীয় জয় তুলে নিল ইন্টার। ফলে এখনও অপরাজিত থেকে ১০ পয়েন্ট নিয় টেবিলের পঞ্চম স্থানে উঠেছে ইতালিয়ান ক্লাবটি।
আরও পড়ুন: রেড স্টারের মাঠে বার্সেলোনার গোল উৎসব
দিনের অপর ম্যাচে রেড স্টার বেলগ্রেদের বিপক্ষে ৫-২ গোলের বড় জয় পেয়েছে বার্সেলোনা। ৯ পয়েন্ট নিয়ে তাদের অবস্থান ষষ্ঠ। এছাড়া, স্পার্তা প্রাহাকে ২-১ গোলে হারিয়ে ইন্টারের সমান ১০ পয়েন্ট থাকলেও গোল ব্যবধানে এগিয়ে থাকায় চতুর্থ স্থানে ব্রেস্ত, বোলোনিয়াকে ১-০ গোলে হারিয়ে সমান পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় মোনাকো এবং ম্যানচেস্টার সিটিকে ৪-১ গোলে উড়িয়ে ১০ পয়েন্ট নিয়েই দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে স্পোর্তিং। আর চার ম্যাচের সবগুলো ম্যাচ জিতে পূর্ণ ১২ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে লিভারপুল।
দিনের অপর ম্যাচে নিজেদের মাঠে বেনফিকাকে ১-০ গোলে হারিয়েছে বায়ার্ন মিউনিখ। তবে ঘরের মাঠে আতলেতিকো মাদ্রিদের কাছে ২-১ গোলে হেরে গেছে পিএসজি। এছাড়া চলতি মৌসুমে প্রথম হারের স্বাদ পেয়েছে উনাই এমেরির অ্যাস্টন ভিলাও।
৪১৭ দিন আগে
রেড স্টারের মাঠে বার্সেলোনার গোল উৎসব
হান্সি ফ্লিকের বার্সেলোনার সামনে যে দলই আসছে একেবারে পিষে যাচ্ছে। আজও তার ব্যতিক্রম হলো না। ঘরের মাঠে বার্সাকে আতিথ্য দিয়ে গোলবন্যায় ভাসল রেড স্টার বেলগ্রেদ।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের চতুর্থ রাউন্ডের ম্যাচে রেড স্টার বেলগ্রেদের বিপক্ষে ৫-২ গোলের বড় জয় পেয়েছে বার্সেলোনা।
কাতালান ক্লাবটির হয়ে এদিন জোড়া গোল করেন রবের্ট লেভানডোভস্কি। অন্য তিনটি গোল আসে ইনিগো মার্তিনেস, রাফিনিয়া ও ফেরমিন লোপেসের পা থেকে।
অন্যদিকে, দুই অর্ধে স্বাগতিকদের গোল দুটি করেন বেলগ্রেদের কঙ্গো ফরোয়ার্ড সিলাস ও অ্যাঙ্গোলান মিডিফিল্ডার ফেলিসিও মিলসন।
জোড়া গোলে চলতি মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে চার ম্যাচে লেভানডোভস্কির গোলসংখ্যা হলো ৫টি। আর সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে বার্সার জার্সিতে ১৬ ম্যাচে ১৯ গোল করলেন ৩৬ বছর বয়সী স্ট্রাইকার।
আরও পড়ুন: এস্পানিওলকে উড়িয়ে কাতালুনিয়া ডার্বিও বার্সেলোনার
এর ফলে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ক্যারিয়ারে লেভানডোভস্কির গোলসংখ্যা পৌঁছেছে ৯৯-তে। আর এক গোল পেলেই তৃতীয় খেলোয়াড় হিসেবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ইতিহাসের একশ বা তার বেশি গোলদাতাদের তালিকায় নাম লেখাবেন তিনি। এখন পর্যন্ত ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো ও লিওনেল মেসি ছাড়া গোলের শতক পার করতে পারেননি কেউ।
এছাড়া একটি গোলের পাশাপাশি জোড়া অ্যাসিস্ট করেন রাফিনিয়া। এতে করে চলতি মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে চার ম্যাচে ৫ গোল ও দুটি অ্যাসিস্টসহ মোট ৭ গোলে অবদান রাখলেন এই ব্রাজিলীয়। আর সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ক্লাবের হয়ে ১৬ ম্যাচে ২০ গোলে (১২ গোল ও ৮ অ্যাসিস্ট) অবদান রাখলেন তিনি, জাতীয় দলের হিসাব ধরলে সংখ্যাটি দাঁড়ায় ১৮ ম্যাচে ২২ গোলে অবদান (১৪ গোল ও ৮ অ্যাসিস্ট)।
২০২৪ সালে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে রাফিনিয়ার মোট গোলসংখ্যা দাঁড়াল ৮টি। ২০১৯ সালে লিওনেল মেসির পর প্রথম বার্সা খেলোয়াড় হিসেবে এক পঞ্জিকাবর্ষে ৮টি বা তার বেশি গোলে অবদান রাখলেন রাফিনিয়া। অথচ চ্যাম্পিয়ন্স লিগে প্রথম দশ ম্যাচে তার গোলসংখ্যা ছিল শূন্য।
এছাড়াও, বার্সেলোনার পক্ষে এদিন অ্যাসিস্টের হ্যাটট্রিক করেছেন ফরাসি ফুলব্যাক জুল কুন্দে।
আরও পড়ুন: রাফিনিয়ার হ্যাটট্রিকে ৯ বছর পর বায়ার্নকে হারাল বার্সেলোনা
আর মোনাকোর কাছে হেরে আসর শুরুর পর টানা তিন ম্যাচে চার বা তার বেশি গোল করে জিতল বার্সেলোনা। ১৯৫৯-৬০ মৌসুমের পর এই প্রথম ইউরোপীয় প্রতিযোগিতায় টানা তিন ম্যাচে চার বা এর বেশি গোল করল কাতালান জায়ান্টরা।
লা লিগা ও চ্যাম্পিয়ন্স লিগ মিলিয়ে সবশেষ টানা সাত ম্যাচ জয়ের পথে প্রতিপক্ষের জালে মোট ২৯ বার বল পাঠাল ফ্লিকের শিষ্যরা।
অন্যদিকে, এই মৌসুমে সার্বিয়ার শীর্ষ লিগে এখনও পর্যন্ত একমাত্র দল হিসেবে অপরাজিত থাকা বেলগ্রেদ চ্যাম্পিয়ন্স লিগে চার ম্যাচের সবগুলোতেই পেল হারের স্বাদ। সবশেষ তিন ম্যাচে মোট ১৪ গোল হজম করল তারা।
চতুর্থ রাউন্ডের খেলা শেষে টানা তিন জয়ে ৯ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের ষষ্ঠ স্থানে উঠে গিয়েছে বার্সেলোনা। তাদের উপরে থাকা পাঁচ দলই চলতি আসরে এখনও অপরাজিত। সমান দশ পয়েন্ট নিয়ে গোল ব্যবধানের কারণে পঞ্চম, চতুর্থ, তৃতীয় ও দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে যথাক্রমে ইন্টার মিলান, ব্রেস্ত, মোনাকো ও স্পোর্তিং। আর সবগুলো ম্যাচ জিতে পূর্ণ ১২ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের চূড়ায় লিভারপুল।
আরও পড়ুন: ইয়াং বয়েজের বিপক্ষে বার্সেলোনার দাপুটে জয়
দিনের অপর ম্যাচে নিজেদের মাঠে আর্সেনালের বিপক্ষে ১-০ গোলে জিতেছে ইন্টার মিলান। একই ব্যবধানে বেনফিকাকে হারিয়েছে বায়ার্ন মিউনিখ। তবে ঘরের মাঠে আতলেতিকো মাদ্রিদের কাছে ২-১ গোলে হেরে গেছে পিএসজি। এছাড়া চলতি মৌসুমে প্রথম হারের স্বাদ পেয়েছে উনাই এমেরির অ্যাস্টন ভিলাও।
৪১৭ দিন আগে
হারের পর রিয়াল শিবিরে জোড়া ইনজুরির দুঃসংবাদ
অসাধারণ পারফরম্যান্সের মাধ্যমে গত মৌসুমে লা লিগা ও চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ের পর কিলিয়ান এমবাপে স্কোয়াডে যুক্ত হওয়ায় চলতি মৌসুমে আরও ভালো করার কথা ছিল রিয়াল মাদ্রিদের। অন্তত এমন কিছুরই আশা করেছিল ক্লাবটির ভক্তরা। তবে ভক্তদের সে আশার গুড়ে বালি দিয়ে মাঠের পারফরম্যান্সে বিবর্ণ রিয়াল মাদ্রিদ। তার ওপর আবার পড়ছে একের পর এক চোটের ঘা।
গত সপ্তাহে লা লিগায় চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বার্সেলোনার কাছে ৪-০ গোলে বিধ্বস্ত হওয়ার পর গতরাতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচে রিয়ালের ডেরায় এসে তাদের হারিয়ে দিয়ে গেছে এসি মিলান। ওই ম্যাচে চোটে পড়েছেন মাদ্রিদ জায়ান্টদের দুই মিডফিল্ডার অরেলিয়েঁ চুয়ামেনি ও ফেদেরিকো ভালভের্দে।
গোড়ালি মচকে যাওয়ায় প্রথমার্ধের খেলা শেষে চুয়ামেনি ও ভালভের্দেকে আর মাঠে নামাতে পারেননি কার্লো আনচেলত্তি। তাদের পরিবর্তে দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নামেন যথাক্রমে এদুয়ার্দো কামাভিঙ্গা ও ব্রাহিম দিয়াস।
এ বিষয়ে স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম কোপের রিয়াল মাদ্রিদ বিভাগের সাংবাদিক আরাঞ্চা রদ্রিগেস জানিয়েছেন, অন্তত এক মাসের জন্য ছিটকে গেছেন চুয়ামেনি।
আরও পড়ুন: বের্নাবেউতে এবার রিয়ালকে গুঁড়িয়ে দিল মিলান
এই সময়ের মধ্যে তিনি লা লিগায় ওসাসুনা, লেগানেস, গেতাফে ও আথলেতিক বিলবাওয়ের বিপক্ষে এবং চ্যাম্পিয়ন্স লিগে রিয়ালের পরবর্তী ম্যাচে লিভারপুলের বিপক্ষে মাঠে নামতে পারবেন না। এমনকি ৮ ডিসেম্বর লা লিগায় জিরোনার বিপক্ষে অ্যাওয়ে ম্যাচে এবং ১০ ডিসেম্বর চ্যাম্পিয়ন্স লিগের অ্যাওয়ে ম্যাচে আতালান্তার বিপক্ষে তিনি খেলতে পারবেন কিনা, তা নিয়েও রয়েছে সংশয়।
চুয়ামেনিকে এক মাসের জন্য হারালেও ভালভের্দের চোট অতটা গুরুতর নয় বলে জানিয়েছেন আরাঞ্চা রদ্রিগেস।
মূলত আগের চোট থেকে পুরোপুরি সুস্থ না হয়েই এসি মিলানের বিপক্ষে খেলতে নেমেছিলেন তিনি। ফলে প্রতিপক্ষের চ্যালেঞ্জ সামলাতে গিয়ে পুরনো ব্যাথা আবার বেড়েছে তার। ফলে চোট গুরুতর না হলেও ওসাসুনার বিপক্ষে তার খেলা নিয়ে রয়েছে যথেষ্ট অনিশ্চয়তা।
প্রসঙ্গত, ডেভিড আলাবা ও দানি কারভাহাল ছাড়া বাকি সবাই একে একে রিয়ালের স্কোয়াডে ফেরা শুরু করেছেন। আন্তর্জাতিক বিরতির পর নিয়মিত গোলরক্ষক থিবো কোর্তোয়াও ফিরবেন বলে আশা করা হচ্ছে। ফলে দলটি এখন পুরোপুরি ফিট হওয়ার পথে রয়েছে। তবে চুয়ামেনির চোট এই প্রক্রিয়াকে আরও দীর্ঘায়িত করে দিল।
আরও পড়ুন: হেরে বার্সেলোনার রেকর্ড ভাঙার স্বপ্ন ধূলিসাৎ রিয়ালের
চলতি মৌসুমে নড়বড়ে শুরু হয়েছে রিয়াল মাদ্রিদের। লা লিগায় প্রথম তিন ম্যাচের দুটি ড্র করে তারা। এরপর থেকে জিতলেও প্রতিপক্ষের আক্রমণে যথেষ্ট ভুগতে দেখা গেছে দলটিকে। সর্বশেষ এল ক্লাসিকোতে বার্সার কাছে বিধ্বস্ত হয়ে টানা অপরাজিত থাকার রেকর্ড গড়া হয়নি তাদের। ১২ ম্যাচ শেষে লা লিগায় চির প্রতিদ্বন্দ্বীদের চেয়ে পিছিয়ে পড়েছে ৯ পয়েন্টে।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগেও তাদের শুরুটা ভালো হয়নি। চার ম্যাচের দুটিই হেরে ৬ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের ১৭তম অবস্থানে রয়েছে কার্লো আনচেলত্তির দল।
টানা দুই হারের পর লা লিগার ম্যাচে আগামী শনিবার ঘরের মাঠে ওসাসুনাকে আতিথ্য দেবে বর্তমান লিগ চ্যাম্পিয়নরা।
৪১৭ দিন আগে
দিয়াসের হ্যাটট্রিকে লিভারপুলের স্বপ্নযাত্রা অব্যাহত
ইয়ুর্গেন ক্লপ যেখানে ছেড়ে গিয়েছিলেন, সেখান থেকে লিভারপুলের আরও উন্নতি কোনো কোচ করতে পারবেন কিনা তা নিয়ে ছিল যথেষ্ট সংশয়। তবে আর্নে স্লটের অধীনে আরও উচ্চতায় উঠে স্বপ্নীল এক যাত্রা শুরু হয়েছে ক্লাবটির। সেই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার রাতে গত মৌসুমের ‘নেভারলুজেন’ বায়ের লেভারকুজেনকে বিধ্বস্ত করেছে অল রেডরা।
অ্যানফিল্ডে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের চতুর্থ রাউন্ডের ম্যাচে শাবি আলোনসোর লেভারকুজেনকে ৪-০ গোলে হারিয়েছে লিভারপুল।
ম্যাচের চারটি গোলই হয়েছে দ্বিতীয়ার্ধে। ৬১তম মিনিটে লিভারপুলের গোলের খাতার খোলার পর ম্যাচের শেষ মুহূর্তে গিয়ে নিজের হ্যাটট্রিক সম্পন্ন করেন লুইস দিয়াস। মাঝে একটি গোল করেন কোডি গাকপো।
আরও পড়ুন: জিওকেরেসের হ্যাটট্রিক, সিটিকে বিধ্বস্ত করে আমোরিমকে বিদায় দিল স্পোর্তিং
এই জয়ের ফলে চলতি মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে অপরাজেয় যাত্রা অব্যহত রইল লিভারপুলের। চার ম্যাচের প্রত্যেকটি জিতে পূর্ণ ১২ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষস্থান সংহত করল স্লটের শিষ্যরা। অন্যদিকে, সমান সংখ্যক ম্যাচে ৭ পয়েন্ট নিয়ে একাদশ স্থানে লেভারকুজেন।
দিনের অপর ম্যাচে সান্তিয়াগো বের্নাবেউতে এসি মিলানের কাছে ৩-১ গোলে হেরেছে রিয়াল মাদ্রিদ। এছাড়া স্পোর্তিংয়ের কাছে ৪-১ গোলে বিধ্বস্ত হয়েছে ম্যানচেস্টার সিটি, শেষ মুহূর্তের গোলে স্ট্রাম গ্রাৎসকে ১-০ গোলে হারিয়েছে বরুশিয়া ডর্টমুন্ড, লাইপসিগকে ৩-১ গোলে হারিয়েছে সেল্টিক, আর দুই মাদ্রিদকে হারানোর পর এবার ইউভেন্তুসকে ১-১ গোলে রুখে দিয়েছে লিল।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগে লিভারপুলের পরবর্তী ম্যাচ ২৭ নভেম্বর রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে। সেদিন চলতি মৌসুমে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় পরীক্ষা দিতে হবে আর্নে স্লটের দলের। একইভাবে রিয়াল মাদ্রিদের জন্যও এটি অগ্নিপরীক্ষাই বটে। টানা লিল ও এসি মিলানের বিপক্ষে হেরে নতুন ফরমেটের চ্যাম্পিয়ন্স লিগের প্রথম পর্বে শুরুতেই পেছনে পড়ে গেছে কার্লো আনচেলত্তির দল।
আরও পড়ুন: বের্নাবেউতে এবার রিয়ালকে গুঁড়িয়ে দিল মিলান
অপরদিকে, লেভারকুজেনের পরবর্তী প্রতিপক্ষ তুলনামূলক সহজ। একই রাতে ঘরের মাঠে রেডবুল জালৎসবুর্গকে আতিথ্য দেবে শাবির শিষ্যরা।
৪১৮ দিন আগে
জিওকেরেসের হ্যাটট্রিক, সিটিকে বিধ্বস্ত করে আমোরিমকে বিদায় দিল স্পোর্তিং
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে যোগ দেওয়ার আগে ঘরের মাঠে এটিই ছিল কোচ হিসেবে রুবেন আমোরিমের শেষ ম্যাচ। তবে বিদায়ী ম্যাচে শিষ্যদের কাছ থেকে দারুণ এক সংবর্ধনা পেলেন এই কোচ। বড় জয়ে ঘরের সমর্থকদের সামনে থেকে হাসিমুখে বিদায় নিলেন তিনি।
লিসবনে মঙ্গলবার রাতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচে নিজেদের আঙিনা থেকে ম্যানচস্টার সিটিকে ৪-১ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে স্পোর্তিং লিসবন। এর ফলে সিটির চির-প্রতিদ্বন্দ্বী ইউনাইটেডের ডাগ-আউটে বসার আগেই বৈরিতার আভাস দিয়ে রাখলেন আমোরিম।
আমোরিমের কোচিংকে চলতি মৌসুমে উড়তে থাকা ভিক্তর জিওকেরেস এদিন হ্যাটট্রিকের দেখা পেয়েছেন। এতে করে জ্লাতান ইব্রাহিমোভিচের পর দ্বিতীয় সুইডিশ ফুটবলার হিসেবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে হ্যাটট্রিক করেছেন এই স্ট্রাইকার। এছাড়া সিটির বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করা মাত্র তৃতীয় ফুটবলার তিনি। এর আগে শুধু বার্সেলোনার লিওনেল মেসি এবং চেলসির ক্রিস্তোফার এনকুঙ্কু সিটিজেনদের জালে এক ম্যাচে তিনবার বল পাঠাতে পেরেছেন।
স্পোর্তিংয়ের অপর গোলটি করেন মাক্সিমিলিয়ানো আরাউহো। অপরদিকে সিটির একমাত্র গোলটি করেন ফিল ফোডেন। এছাড়া একটি পেনাল্টি পেলেও তা নষ্ট করেন আর্লিং হালান্ড।
আরও পড়ুন: বের্নাবেউতে এবার রিয়ালকে গুঁড়িয়ে দিল মিলান
এই হারের ফলে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসনের ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের গড়া টানা ২৫ ম্যাচ জয়ের রেকর্ড ভেঙে ২৬ ম্যাচে নিয়ে যাওয়ার পরই থামল পেপ গার্দিওলার সিটি। আর তাদের থামালেন ইউনাইটেডের দায়িত্ব নিতে চলা আমোরিম।
৪১৮ দিন আগে
বের্নাবেউতে এবার রিয়ালকে গুঁড়িয়ে দিল মিলান
গত সপ্তাহে এল ক্লাসিকোতে ঘরের মাঠে বার্সেলোনার কাছে ৪-০ গোলে হেরে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচে ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যয়ে মাঠে নেমেছিল রিয়াল মাদ্রিদ। কিন্তু চলতি মৌসুমে ধুঁকতে থাকা এসি মিলানকে তারা হারাতে তো পারলই না, বরং মিলানের কাছেই বিধ্বস্ত হলো কার্লো আনচেলত্তির দল।
মঙ্গলবার রাতে সান্তিয়াগো বের্নাবেউতে এসি মিলানের কাছে ৩-১ গোলে হেরেছে রিয়াল মাদ্রিদ।
এর ফলে পাঁচ বছরের বেশি সময় পর ঘরের মাঠে টানা দুই ম্যাচ হারল লা লিগা ও ইউরোপ চ্যাম্পিয়নরা। সবশেষ ২০১৯ সালে এমনভাবে হারে মাদ্রিদ জায়ান্টরা। ২০১৮-১৯ মৌসুমে ফেব্রুয়ারি ও মার্চ মাসে বের্নাবেউতে টানা চার ম্যাচ হেরে ক্লাবের ইতিহাসের সবচেয়ে বাজে টানা হারের রেকর্ডটি গড়ে।
১৭ ফেব্রুয়ারি লা লিগায় জিরোনার বিপক্ষে ২-১ ব্যবধানে হারের পর কোপা দেল রের ম্যাচে ২৭ ফ্রেব্রুয়ারি বার্সেলোনার কাছে ৩-০ গোলে হারের মুখ দেখে রিয়াল মাদ্রিদ। এরপর ২ মার্চ লা লিগায় আবারও বার্সার কাছে ১-০ গোলে হারের পর চ্যাম্পিয়ন্স লিগে তাদের ৪-০ গোলে উড়িয়ে দেয় আয়াক্স। ফলে চরম বিপর্যয়ের পর সেবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে বিদায় নিতে হয় ইউরোপের ইতিহাসের সফলতম ক্লাবটিকে।
আজকের ম্যাচের শুরুতেই দলকে এগিয়ে নেন মালিক থিয়া। এরপর ২৩ মিনিটে পেনাল্টি থেকে ভিনিসিউস দলকে সমতায় ফেরানোর পর ৩৯তম মিনিটে মিলানকে আবারও এগিয়ে নিয়ে বিরতিতে যান আলভারো মোরাতা। বিরতির পর রিয়ালের কফিনে শেষ পেরেকটি ঠুকে দেন তিজানি রেইন্ডার্স।
আরও পড়ুন: হেরে বার্সেলোনার রেকর্ড ভাঙার স্বপ্ন ধূলিসাৎ রিয়ালের
এদিন শুরু থেকেই ভয়ডরহীন ফুটবল খেলতে থাকে দুদল। এর ফলস্বরূপ শুরুতেই দারুণ সুযোগ পেয়ে যান এমবাপ্পে, কিন্তু কোনাকুনি শট লক্ষ্যে রাখতে ব্যর্থ হন তিনি। দুই মিনিট পর ছয় গজ বক্সের বাইরে সতীর্থের বাড়ানো বল পেয়েও শট নিতে ব্যর্থ হন এই ফরাসি ফরোয়ার্ড।
এরপরই দুর্দান্ত এক গোলে বের্নাবেউয়ের সমর্থকদের স্তব্ধ করে দেন থিয়া। দ্বাদশ মিনিটে ক্রিশ্চিয়ান পুলিসিকের কর্নার থেকে পাঠানো ক্রসে মাথা লাগিয়ে বল জালে পাঠিয়ে দেন এই জার্মান ডিফেন্ডার।
২৩তম মিনিটে পেনাল্টি আদায় করে তা থেকে গোল করে দলকে সমতায় ফেরান ভিনিসিউস।
জুড বেলিংহ্যামের বাড়ানো পাস ধরে এগিয়ে গিয়ে বক্সে ঢুকে পড়েন ভিনিসিউস, এরপর মিলানের ব্রাজিলীয় ফুলব্যাক এমেরসন রয়াল তাকে স্লাইড করে ফেলে দিলে সঙ্গে সঙ্গে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। দারুণ একটি পানেনকা স্পট কিকে গোলরক্ষককে পরাস্ত করে সমতা টানেন ভিনি।
৪১৮ দিন আগে
বিশ্বকাপ বাছাই: আর্জেন্টিনা দলে নতুন মুখ
বিশ্বকাপ জয়ের পর থেকেই দুর্দান্ত ছন্দে রয়েছে আর্জেন্টিনা। টানা দ্বিতীয়বার কোপা আমেরিকা জয়ের পর অক্টোবরের বিশ্বকাপ বাছাইয়ের সবশেষ ম্যাচে বলিভিয়াকে ৬-০ গোলে উড়িয়ে নভেম্বরের বাছাইপর্বে মাঠে নামতে চলেছে বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। তার আগে মঙ্গলবার ২৮ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে আলবিসেলেস্তেরা।
বিশ্বকাপ বাছাইয়ের একাদশ ও দ্বাদশ রাউন্ডের ম্যাচে আগামী ১৫ ও ২০ নভেম্বর যথাক্রমে প্যারাগুয়ে ও পেরুর বিপক্ষে মাঠে নামছে লিওনেল স্কালোনির শিষ্যরা। ওই দুই ম্যাচের জন্য ঘোষিত স্কোয়াডে ডাক পেয়েছেন এক নতুন মুখ।
চলতি মৌসুমে ধারে ভালেন্সিয়ায় খেলা অ্যাস্টন ভিলার ২৩ বছর বয়সী মিডফিল্ডার এনসো বারেনেচিয়াকে প্রথমবার স্কোয়াডে রেখেছেন স্কালোনি। তিনি ছাড়াও নিকো পাস, ফাকুন্দো বুনানোত্তে, আলেহান্দ্রো গারনাচোর মতো তরুণ ফুটবলার রয়েছেন স্কোয়াডে।
আরও পড়ুন: হ্যাটট্রিক করে রোনালদোকে ছুঁলেন মেসি
এছাড়া নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে দলে ফিরেছেন গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্তিনেস। পাশাপাশি ইনজুরি থেকে ফেরায় নিকোলাস গন্সালেসকেও দলে রেখেছেন কোচ।
লাতিন আমেরিকার বিশ্বকাপ বাছাইয়ে এ পর্যন্ত ১০ ম্যাচে ৭ জয় ও ১ ড্রয়ে ২২ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে রয়েছে আর্জেন্টিনা। ৩ পয়েন্ট কম নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে কলম্বিয়া। সমান সংখ্যক ম্যাচে ৫টি জয় ও একটি ড্রয়ে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে উরুগুয়ে। আর সমান পয়েন্ট নিয়েও গোল ব্যবধানে পিছিয়ে থেকে চতুর্থ স্থানে ব্রাজিল।
আর্জেন্টিনা স্কোয়াড
গোলরক্ষক: এমিলিয়ানো মার্তিনেস, ওয়াল্টার বেনিতেস, জেরোনিমো রুলি।
ডিফেন্ডার: নাহুয়েল মলিনা, গনসালো মন্তিয়েল, ক্রিস্তিয়ান রোমেরো, জার্মান পেস্সেলা, লিওনার্দো বালেরদি, নিকোলাস ওতামেন্দি, নেহুয়েন পেরেস, লিসান্দ্রো মার্তিনেস, নিকোলাস তাগলিয়াফিকো।
মিডফিল্ডার: এনসো ফেরনান্দেস, লিয়ান্দ্রো পারেদেস, এসেকিয়েল পালাসিওস, রদ্রিগো দে পল, আলেক্সিস মাক অ্যালিস্তের, জিওভানি লো সেলসো, এনসো বারেনেচিয়া, থিয়াগো আলমাদা, ফাকুন্দো বুনানোত্তে, নিকোলাস (নিকো) পাস।
ফরোয়ার্ড: লিওনেল মেসি, আলেহান্দ্রো গারনাচো, নিকোলাস গনসালেস, হুলিয়ান আলভারেস, লাউতারো মার্তিনেস, ভালেন্তিন কাস্তেয়ানোস।
আরও পড়ুন: চোটটি গুরুতর নয়, আশা নেইমারের
৪১৮ দিন আগে