এশিয়া
ভারতে হোটেল থেকে একই পরিবারের ৫ জনের লাশ উদ্ধার
ভারতের উত্তরাঞ্চলীয় প্রদেশ উত্তর প্রদেশের একটি হোটেল থেকে চার শিশু ও তাদের মাসহ একই পরিবারের পাঁচজনের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) রাজ্যের রাজধানী লখনউতে ঘটনাটি ঘটেছে। নিহতদের মধ্যে ৯ ও ১৬ বছর বয়সী দুই নাবালকও রয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত শিশুদের এক ভাইকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পারিবারিক কলহের জেরে খুনের দায়ে নিহতের হাতের কব্জি কেটে ফেলা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
লখনউ থেকে ৩৫০ কিলোমিটার দূরে আগ্রা শহরের বাসিন্দা ওই পরিবার।
৩৬২ দিন আগে
আফগান নারীদের কাজে নিলে এনজিও বন্ধ করবে তালেবান
২০২১ সালে আফগানিস্তনের ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে দেশের নারীদের ওপর বেশকিছু সীমাবদ্ধতা আরোপ করেছে শাসকগোষ্ঠী তালেবান। তাদের সর্বশেষ নির্দেশনায় এবার চাকরি করার সুযোগও হারাচ্ছেন আফগান নারীরা।
নারীদের নিয়োগ দিলে আফগানিস্তানে পরিচালিত সব দেশি-বিদেশি সংস্থা বন্ধ করে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে তালেবান।
ইসলামী অনুশাসন মেনে হিজাব না পরার অভিযোগে আফগান নারীদের কাজে না নিতে দেশটিতে পরিচালিত এনজিওগুলোকে অনুরোধ করার দুই বছর পর এই ঘোষণা দিল গোষ্ঠীটি।
রবিবার (২৯ ডিসেম্বর) রাতে এক্স-এ প্রকাশিত এক চিঠিতে দেশটির অর্থ মন্ত্রণালয় সতর্ক করে বলেছে, (তালেবান সরকারের) সর্বশেষ আদেশ না মানলে এনজিওগুলো আফগানিস্তানে কার্যক্রম পরিচালনা করার লাইসেন্স হারাবে।
এদিকে, গত দুই বছরে আফগানিস্তানে নারীদের কর্মপরিসর উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গেছে মন্তব্য করে তালেবানকে এই বিধিনিষেধ প্রত্যাহারের আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেছে জাতিসংঘ।
এ বিষয়ে জাতিসংঘের সহযোগী মুখপাত্র ফ্লোরেন্সিয়া সোতো নিনো-মার্তিনেস বলেছেন, ‘(তালেবানের) এ ধরনের সিদ্ধান্ত আফগান নাগরিকদের মানবিক সহায়তা প্রদানে প্রভাব ফেলবে।’
‘আমরা এমন একটি দেশের বিষয়ে কথা বলছি, যেখানকার বেশিরভাগ মানুষ দারিদ্র্যের মধ্যে বসবাস করছে এবং তাদের অনেকেই মানবিক সংকটের মুখোমুখি। এখন দেশটির জনসংখ্যার অর্ধেকেরই অধিকারকে অস্বীকার করা হচ্ছে- বিষয়টি নিয়ে আমরা স্পষ্টতই খুব উদ্বিগ্ন।’
আফগানিস্তানে দেশি-বিদেশি সংস্থাগুলোর সব কার্যক্রমের নিবন্ধন, সমন্বয়, নেতৃত্ব ও তত্ত্বাবধায়নের দায়িত্ব পালন করে থাকে দেশটির অর্থ মন্ত্রণালয়।
চিঠিতে বলা হয়েছে, সরকার আবারও তালেবান নিয়ন্ত্রিত নয়- এমন (বেসরকারি) প্রতিষ্ঠানে নারীদের সব ধরনের কাজ থেকে প্রত্যাহারের নির্দেশ দিচ্ছে। কোনো প্রতিষ্ঠান এই নির্দেশের ব্যত্যয় ঘটালে তার সব কার্যক্রম স্থগিতের পাশাপাশি লাইসেন্সও বাতিল করা হবে।
চলতি মাসের শুরুতে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ জানায়, আফগানিস্তানে ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা অপরিহার্য হয়ে পড়লেও দেশটিতে নারী সহায়তাকর্মীদের একটি বড় অংশকে কাজ করতে বাধা দেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: সব দেশের সঙ্গে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করতে চায় আফগানিস্তান: তালেবান
জাতিসংঘের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা টম ফ্লেচার বলেছেন, তালেবানের নৈতিক পুলিশ নারী, এমনকি পুরুষ কর্মীদেরও কাজে বাধা দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে দেশটিতে কর্মরত মানবাধিকার সংস্থাগুলো।
তবে সংস্থাগুলোর এই অভিযোগ বরাবরই প্রত্যাখ্যান করে আসছে তালেবান।
অন্য এক আদেশে তালেবান নেতা হিবাতুল্লাহ আখুন্দজাদা বলেছেন, নারীদের কর্মকাণ্ড বা চলাফেরা দেখা যায়- ভবনের এমন স্থানগুলোতে জানালা রাখা যাবে না। এমনকি জানালা থাকলেও সেগুলো বন্ধ করে দিতে হবে।
এক্স-এ পোস্ট করা চার দফার ওই নির্দেশনা অনুসারে, এই আদেশটি নতুন ভবনের পাশাপাশি বিদ্যমান ভবনগুলোর ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে।
জাতিসংঘ এই নিষেধাজ্ঞাও প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছে বলে জানিয়েছেন সোতো নিনো-মার্তিনেস।
ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে চাকরিসহ সব ধরনের উন্মুক্ত স্থানে আফগান নারীদের আনাগোনা ও কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করেছে তালেবান। এমনকি নারীদের ষষ্ঠ শ্রেণির বেশি শিক্ষা অর্জনের অধিকার থেকেও বঞ্চিত করা হয়েছে।
৩৬২ দিন আগে
দ. কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি
দক্ষিণ কোরিয়ার অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট ইয়ুন সুক-ইওলকে গ্রেপ্তার করে তার বাসভবনে তল্লাশির জন্য পরোয়ানা জারি করেছে দেশটির একটি আদালত।
মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) সকালে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে বলে এক বিবৃতিতে নিশ্চিত করেছে দক্ষিণ কোরিয়ার উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের দুর্নীতি তদন্ত অফিস (সিআইও), জাতীয় তদন্ত অফিস (এনওআই) ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের তদন্ত বিভাগের সমন্বয়ে গঠিত তদন্ত ইউনিট।
পরোয়ানা জারি হলেও গ্রেপ্তার কার্যকর করার কোনো সময়সূচি নির্ধারণ করে দেয়নি আদালত। তবে দেশটিতে আদালতের এ ধরনের রায় কার্যকর করতে সাধারণত এক সপ্তাহ সময় থাকে।
এই রায়ের ফলে দক্ষিণ কোরিয়ার সাম্প্রতিক ইতিহাসে এই প্রথম কোনো ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হলো।
আরও পড়ুন: গ্রেপ্তারের পর আত্মহত্যার চেষ্টা দ. কোরিয়ার সাবেক প্রতিরক্ষা প্রধানের
যৌথ তদন্ত ইউনিট ইয়ুনকে ১৮, ২৫ ও ২৯ ডিসেম্বর তিনবার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হাজির হতে বলে, তবে অভিশংসিত এই প্রেসিডেন্ট ওই সমন গ্রহণ করতে এবং নিজের জন্য প্রতিরক্ষা আইনজীবী নিয়োগের নথি জমা দিতে অস্বীকার করেন। এরপর বিদ্রোহ ও অন্যান্য অভিযোগে সিউলের পশ্চিম জেলা আদালতে ইয়ুনের বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারির আবেদন করে ইউনিট।
পরোয়ানা জারির অনুরোধের কয়েক ঘণ্টা পরই অবশ্য ইয়ুনের পক্ষ থেকে লিখিত মতামত জমা এবং সিউল আদালতে প্রতিরক্ষা আইনজীবী নিয়োগ করা হয়েছে।
৩৬২ দিন আগে
দক্ষিণ কোরিয়ায় বিমান বিধ্বস্ত হয়ে নিহত ১৭৯
দক্ষিণ কোরিয়ার দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের একটি বিমানবন্দরে অবতরণের সময় উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হয়ে ১৭৯ জন নিহত হয়েছেন।
রবিবার মুয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের সময় দুর্ঘটনা ঘটে বলে ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে।
স্থানীয় সময় রবিবার সকাল ৯টা ৩ মিনিটে ১৭৫ জন যাত্রী নিয়ে থাইল্যান্ডের ব্যাংকক থেকে ছেড়ে আসে জেজু এয়ারের ফ্লাইট ৭সি২২১৬। এর মধ্যে ১৭৩ জন দক্ষিণ কোরিয়ান এবং দুইজন থাই নাগরিক ছিলেন। এ ছাড়া ছয়জন ফ্লাইট ক্রু ছিলেন।
বিমানটি চাকা না খুলেই অবতরণ করে এবং রানওয়ে থেকে ছিটকে পড়ে। ফলে রানওয়ের বাইরের দেয়ালে আঘাত করে। এই সংঘর্ষে বিমানটির মাঝের অংশ ভেঙে যায় এবং এতে আগুন ধরে যায়।
বিমানের পেছনের অংশ থেকে দুইজন ক্রুকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। তবে বিমানটির বেশিরভাগ অংশ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং বাকি ১৭৯ জন যাত্রী ও ক্রুর মৃত্যু হয়েছে।
দেশটির ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষ ধারণা করছে, পাখির সঙ্গে সংঘর্ষের ফলে ল্যান্ডিং গিয়ারের ত্রুটি দেখা দেয়। সেকারণেই এ দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
প্রথমবার অবতরণের চেষ্টা করার পর, ল্যান্ডিং গিয়ারের ত্রুটির কারণে বিমানটি পুনরায় আকাশে উঠে যায় এবং দ্বিতীয়বার পেটের অংশ দিয়ে অবতরণের চেষ্টা করে। এর পরই ভয়াবহ এ দুর্ঘটনা।
টেলিভিশনের ফুটেজে দেখা যায়, বোয়িং ৭৩৭-৮০০ মডেলের বিমানটিতে আগুন ধরে যায়া। এরপর কালো ধোঁয়ার বড় কুণ্ডলি উঠতে শুরু করে। আরেকটি ফুটেজে দেখা যায়, অবতরণের চেষ্টা করার আগে বিমানের ডান দিকের একটি ইঞ্জিন থেকে ধোঁয়া ও আগুন বের হচ্ছে।
পরিবহন, ভূমি ও অবকাঠামো মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা একটি টেলিভিশন ব্রিফিংয়ে জানান, বিমান দুর্ঘটনার তদন্তের জন্য ফ্লাইট ডেটা ও ভয়েস রেকর্ডার উভয়ই উদ্ধার করা হয়েছে।
পরিবহন মন্ত্রণালয় আরও জানায়, দুর্ঘটনার সঠিক কারণ নির্ধারণ করতে কয়েক মাস থেকে কয়েক বছর সময় লাগতে পারে।
৩৬৪ দিন আগে
দক্ষিণ কোরিয়ায় বিমান বিধ্বস্ত: দুজন বাদে নিহত ১৭৯
দক্ষিণ কোরিয়ার মুয়ান বিমানবন্দরের রানওয়েতে একটি বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৭৯ জনে দাঁড়িয়েছে।
দুর্ঘটনার পর ৯ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও অগ্নিবিধ্বস্ত বিমানটি থেকে এ পর্যন্ত মাত্র দুজনকে উদ্ধার করতে পেরেছে উদ্ধারকর্মীরা; বাকিরা এখনও নিখোঁজ রয়েছেন। ফলে হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
স্থানীয় সময় রবিবার (২৯ ডিসেম্বর) সকাল ৯টা ৩ মিনিটে এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে দেশটির পরিবহন মন্ত্রণালয়।
রাজধানী সিউল থেকে প্রায় ২৯০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত মুয়ান শহরের বিমানবন্দরে ১৮১ জন আরোহী নিয়ে অবতরণ করছিল জেজু এয়ারের ওই ফ্লাইটটি। এ সময় রানওয়ে থেকে পিছলে ছিটকে গিয়ে কংক্রিটের দেওয়ালে ধাক্কা মারলে বিমানটিতে আগুন ধরে যায়।
দেশটির জাতীয় অগ্নিনির্বাপন সংস্থা জানিয়েছে, আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ৩২টি ফায়ার ট্রাক ও বেশ কয়েকটি হেলিকপ্টার মোতায়েন করা হয়েছে। প্রায় ১ হাজার ৫৬০ জন দমকলকর্মী, পুলিশ ও সেনাসদস্য উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনা করছেন।
নিহতদের মধ্যে ৮৩ জন নারী, ৮০ জন পুরুষ এবং বাকি আগুনে পুড়ে যাওয়ায় ১১ জনের পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। এমনকি, এখন পর্যন্ত বিমানটির আরোহীদের ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে পারেনি বলে জানিয়েছে অগ্নিনির্বাপন সংস্থা।
আরও পড়ুন: দ. কোরিয়ায় ১৮১ আরোহী নিয়ে বিমান বিধ্বস্ত, নিহত অন্তত ৮৫
মুয়ান অগ্নিনির্বাপন সংস্থা প্রধান লি জিয়ং-হিয়ন টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক ব্রিফিংয়ে বলেন, উদ্ধারকর্মীরা হতাহতদের খোঁজে তল্লাশি অব্যাহত রেখেছে। অগ্নিকাণ্ডে বিমানটি পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে। ধ্বংসাবশেষের মধ্যে কেবল বিমানের লেজের অংশটি শনাক্তযোগ্য ছিল।
লি বলেন, যান্ত্রিক ত্রুটি, বিমানটি পাখির দ্বারা আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে কিনা- দুর্ঘটনার সম্ভাব্য কারণ হিসেবে এসব বিষয় খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে সরকারি তদন্তকারীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন।
দক্ষিণ কোরিয়ার বিমান চলাচলের ইতিহাসে এটি অন্যতম ভয়াবহ দুর্ঘটনা। সর্বশেষ ১৯৯৭ সালে গুয়ামে কোরিয়ান এয়ারলাইন্সের একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়ে ২২৮ আরোহী নিহত হওয়ার পর ২০২৪ সালের শেষ মুহূর্তে এমন বিমান দুর্ঘটনা দেখল দেশটি।
৩৬৫ দিন আগে
দ. কোরিয়ায় ১৮১ আরোহী নিয়ে বিমান বিধ্বস্ত, নিহত অন্তত ৮৫
দক্ষিণ কোরিয়ার একটি বিমানবন্দরের রানওয়েতে একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। রানওয়ে থেকে ছিটকে কংক্রিটের দেওয়ালে ধাক্কা মারার পর বিমানটিতে আগুন ধরে যায়। এতে অন্তত ৮৫ যাত্রী নিহত হয়েছেন।
দেশটির জাতীয় অগ্নিনির্বাপন সংস্থা জানিয়েছে, রাজধানী সিউল থেকে প্রায় ২৯০ কিলোমিটার দক্ষিণে মুয়ান শহরের বিমানবন্দরে ১৮১ জন আরোহী নিয়ে অবতরণের সময় জেজু এয়ারের একটি ফ্লাইটে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সময় রবিবার (২৯ ডিসেম্বর) সকাল ৯টা ৩ মিনিটে এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে দেশটির পরিবহন মন্ত্রণালয়।
অগ্নিনির্বাপন সংস্থা জানিয়েছে, দুর্ঘটনায় নিহতদের মধ্যে ৪৬ জন নারী ও ৩৯ জন পুরুষ রয়েছেন। এছাড়া দুইজন ক্রুকে বিমান থেকে বের করে আনতে সক্ষম হয়েছেন জরুরি বিভাগের কর্মীরা।
আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ৩২টি ফায়ার ট্রাক ও বেশ কয়েকটি হেলিকপ্টার মোতায়েন করেছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
মুয়ান অগ্নিনির্বাপন সংস্থা প্রধান লি জিয়ং-হিয়ন টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক ব্রিফিংয়ে বলেন, উদ্ধারকর্মীরা হতাহতদের খোঁজে তল্লাশি অব্যাহত রেখেছে। অগ্নিকাণ্ডে বিমানটি পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে। ধ্বংসাবশেষের মধ্যে কেবল বিমানের লেজের অংশটি শনাক্তযোগ্য ছিল।
লি বলেন, যান্ত্রিক ত্রুটি, বিমানটি পাখির দ্বারা আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে কিনা- দুর্ঘটনার সম্ভাব্য কারণ হিসেবে এসব বিষয় খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে সরকারি তদন্তকারীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন।
বিমানটি ব্যাংকক থেকে ফিরছিল এবং আরোহীদের মধ্যে দুজন থাই নাগরিক ছিলেন বলে জানিয়েছে পরিবহন মন্ত্রণালয়।
থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী পাইতংতার্ন সিনাওয়াত্রা সামাজিক প্ল্যাটফর্ম এক্সে একটি পোস্টের মাধ্যমে দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।
দক্ষিণ কোরিয়ার বিমান চলাচলের ইতিহাসে এটি অন্যতম ভয়াবহ দুর্ঘটনা। সর্বশেষ ১৯৯৭ সালে গুয়ামে কোরিয়ান এয়ারলাইন্সের একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়ে ২২৮ আরোহী নিহত হওয়ার পর ২০২৪ সালের শেষ মুহূর্তে এমন বিমান দুর্ঘটনা দেখল দেশটি।
৩৬৫ দিন আগে
আফগান সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে ১৯ পাকিস্তানি সেনাসহ নিহত ২২
আফগানিস্তান-পাকিস্তান সীমান্তে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। এ ঘটনায় অন্তত ১৯ পাকিস্তানি সেনা এবং তিন বেসামরিক আফগান নাগরিক নিহত হয়েছেন।
পাকিস্তানের জাতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্রের বরাত দিয়ে তোলো নিউজ জানিয়েছে, আফগানিস্তানের পূর্বাঞ্চলীয় খোস্ত ও পাকিস্তান সীমান্তবর্তী পাকতিয়া প্রদেশে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষ চলছে।
আফগান সীমান্তরক্ষী বাহিনী খোস্ত প্রদেশের আলি শির জেলায় বেশ কয়েকটি পাকিস্তানি সামরিক পোস্টে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। এছাড়া পাকতিয়া প্রদেশের দান্দ-ই-পাতান জেলায় দুটি পাকিস্তানি পোস্ট দখল করেছে তারা।
আরও পড়ুন: আফগানিস্তানে বন্দুকধারীদের গুলিতে ১৪ জন নিহত
সূত্রটি জানিয়েছে, দান্দ-ই-পাতান জেলায় পাকিস্তানি সেনাদের ছোড়া মর্টার শেলে তিন আফগান নাগরিক প্রাণ হারিয়েছেন।
গত মঙ্গলবার রাতে পাকতিকা প্রদেশে পাকিস্তানি সেনাদের বিমান হামলায় নারী ও শিশুসহ ৫১ জন নিহত হওয়ার পর এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
৩৬৬ দিন আগে
মনমোহন সিংয়ের শেষকৃত্য সম্পন্ন
রাষ্ট্রীয় সম্মানে ভারতের অর্থনৈতিক সংস্কার কর্মসূচির স্থপতি হিসেবে খ্যাত সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হয়।
বৃহস্পতিবার ৯২ বছর বয়সে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগের পর শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) তার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া অনুষ্ঠিত হয়।
এদিন সকালে প্রয়াত এই প্রধানমন্ত্রীর লাশ নয়াদিল্লিতে কংগ্রেসের সদর দপ্তরে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে দলের নেতাকর্মীরা তার প্রতি শেষ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
দেশটির সরকারি কর্মকর্তা, রাজনীতিবিদ ও পরিবারের সদস্যরা তাকে শেষ শ্রদ্ধা জানান। এ সময় তার কফিন ফুল দিয়ে সজ্জিত এবং ভারতীয় পতাকায় মোড়ানো ছিল। নিরাপত্তা কর্মীরা তাকে আনুষ্ঠানিক গান স্যালুট দিয়ে সম্মানিত করেন।
পরে সেনাবাহিনীর ঢাকঢোল পিটিয়ে শেষকৃত্যের জন্য তার দেহ শ্মশানে নিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং মারা গেছেন
কংগ্রেস নেতা অভিষেক বিষ্ণোই বলেন, ‘মনমোহন সিংয়ের মৃত্যু দেশের জন্য বড় ক্ষতি। তিনি খুব কম কথা বলতেন, কিন্তু তার প্রতিভা ও কাজ তার কথার চেয়ে জোরে কথা বলত।’
ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীসহ বেশ কয়েকজন ক্যাবিনেট মন্ত্রীকে শেষকৃত্যে অংশ নিতে দেখা যায়।
শ্মশানে মনমোহন সিংয়ের দেহ একটি চিতায় তোলা হয়। সে সময় পাশ থেকে ধর্মীয় স্তোত্র বাজানো হয় এবং লাশের দাহ সম্পন্ন করা হয়।
আরও পড়ুন: মনমোহন সিংয়ের মৃত্যু, ভারতে ৭ দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা
৩৬৬ দিন আগে
মনমোহন সিংয়ের মৃত্যু, ভারতে ৭ দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা
ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের মৃত্যুতে দেশটিতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকার পর ৯২ বছর বয়সে বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) দিল্লির একটি হাসপাতালে মারা যান তিনি।
ভারতের অর্থনৈতিক উদারীকরণের স্থপতি হিসেবে পরিচিত মনমোহন সিং রূপান্তরমূলক অর্থনৈতিক সংস্কারের পথপ্রদর্শক। তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দুই মেয়াদে দায়িত্ব পালন করেছেন।
সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে সাত দিনের জাতীয় শোক ঘোষণা করেছে দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার। ঘোষণা অনুযায়ী শুক্রবারের নির্ধারিত সমস্ত সরকারি কর্মসূচি বাতিল করা হয়েছে। একইভাবে কংগ্রেস পার্টির সাধারণ সম্পাদক কেসি বেণুগোপাল দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপনসহ সকল অনুষ্ঠান আগামী সাত দিনের জন্য স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: রবিবার সিলেটে মুক্তিযোদ্ধা হারিছ চৌধুরীকে দাফন করা হবে: মেয়ে সামিরা
রাষ্ট্রীয় অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার ব্যবস্থা
শনিবার সকাল ১১টায় দিল্লির শক্তি স্থলের কাছে সিং-এর শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তাকে আনুষ্ঠানিক ২১ বার বন্দুকের স্যালুটসহ সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মাননা দেওয়া হবে। তার লাশ জাতীয় পতাকায় মুড়ে দেওয়া হবে এবং তার শেষ যাত্রায় সামরিক ব্যান্ড ও সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা একটি ঐতিহ্যবাহী পদযাত্রার সঙ্গী হবেন।
জাতির প্রতি তার অবদানকে শ্রদ্ধা জানাতে একটি বিশেষ প্রোটোকল পালন করা হচ্ছে, যা রাজনৈতিক সীমারেখার ঊর্ধ্বে উঠে তার প্রতি শ্রদ্ধাকে চিহ্নিত করে।
একজন দূরদর্শী নেতার মৃত্যু
হাসপাতালের অফিসিয়াল একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গত ২৬ ডিসেম্বর বাড়িতে অসুস্থ হয়ে পড়ার পর তাকে অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সে (এইমস) ভর্তি করা হয়।
এতে বলা হয়, ‘বার্ধক্যজনিত শারীরিক অসুস্থতার জন্য তার চিকিৎসা চলছিল এবং বাড়িতে হঠাৎ জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন তিনি। তৎক্ষণাৎ চিকিৎসা শুরু করা হয়েছিল। পরে রাত ৮টা ৬ মিনিটে তাকে দিল্লির এইমসের জরুরি বিভাগে আনা হয়েছিল। সমস্ত প্রচেষ্টা সত্ত্বেও রাত ৯টা ৫১ মিনিটে মারা যান তিনি।
কর্ণাটকের বেলাগাভিতে কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকের সময় সিং-এর মৃত্যু হয়। এই খবর পেয়েই দলের শীর্ষ নেতারা দিল্লি ছুটে যান।
অর্থনীতির সংস্কারক
১৯৯১ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী পিভি নরসিমা রাওয়ের অধীনে অর্থমন্ত্রী থাকাকালীন মনমোহন সিং ভারতের ঐতিহাসিক অর্থনৈতিক সংস্কারের স্থপতি হিসাবে আবির্ভূত হন। তার নীতিগুলো ভারতকে অর্থনৈতিক দেউলিয়াত্বের পর্যায় থেকে উদ্ধার করে উদারীকরণ ও প্রবৃদ্ধির যুগের ভিত্তি গড়ে তোলে,যা দেশের অর্থনৈতিক গতিপথকে রূপান্তরিত করেছিল।
২০০৪ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করে সিং দ্রুত উন্নয়নের সঙ্গে ভারতকে পরিচালনা করেছিলেন। সেসময় তিনি তার শান্ত আচরণ এবং বিচক্ষণ নেতৃত্বের জন্য প্রশংসিত হন।
তার মৃ্ত্যুতে ভারতীয় রাজনীতি ও অর্থনীতির একটি যুগের অবসান হলো। তার প্রতি সারা দেশের শ্রদ্ধা ভারতের ইতিহাস এবং এর ভবিষ্যতের উপর তার কাজের গভীর প্রভাবকে প্রতিফলিত করে।
সূত্র: ভারতীয় গণমাধ্যম ও অন্যান্য
আরও পড়ুন: ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং মারা গেছেন
৩৬৭ দিন আগে
ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং মারা গেছেন
ভারতের অর্থনৈতিক সংস্কার কর্মসূচি এবং যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সই করা ঐতিহাসিক পরমাণু চুক্তির স্থপতি হিসেবে পরিচিত ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং মারা গেছেন। তার বয়স হয়েছিল ৯২।
হাসপাতালের এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ‘বাড়িতে হঠাৎ জ্ঞান হারিয়ে যাওয়ায় শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায়’ বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) রাতে তাকে নয়া দিল্লির অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সেসে ভর্তি করা হয়।
এতে আরও বলা হয়, 'বাড়িতে তাৎক্ষণিকভাবে চিকিৎসার ব্যবস্থা শুরু করা হয়েছিল। রাত ৮টা ৬ মিনিটে তাকে মেডিক্যাল ইমার্জেন্সিতে নিয়ে আসা হয়, কিন্তু ‘সমস্ত প্রচেষ্টা সত্ত্বেও তাকে বাঁচানো যায়নি এবং রাত ৯টা ৫১ মিনিটে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।’
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, 'বয়সজনিত অসুস্থতা' নিয়ে সিংয়ের চিকিৎসা চলছিল।
একজন মৃদুভাষী টেকনোক্র্যাট, মনমোহন সিং ১০ বছরের জন্য ভারতের সবচেয়ে দীর্ঘমেয়াদী প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন এবং দুর্দান্ত ব্যক্তিগত সততার মানুষ হিসাবে খ্যাতি অর্জন করেছিলেন। ২০০৪ সালে নিহত প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর বিধবা স্ত্রী সোনিয়া গান্ধী তাকে এই দায়িত্ব পালন করার জন্য বেছে নিয়েছিলেন।
কিন্তু মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে তার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে।
২০১০ সালের কমনওয়েলথ গেমস আয়োজন নিয়ে আর্থিক কেলেঙ্কারি ও দুর্নীতির অভিযোগে জর্জরিত সিং ২০০৯ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত দ্বিতীয় মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। এর ফলে ২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচনে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে হিন্দু জাতীয়তাবাদী ভারতীয় জনতা পার্টির কাছে কংগ্রেস পার্টির শোচনীয় পরাজয় হয়।
প্রধানমন্ত্রীর পদ ছাড়ার পর সিং সাধারণ জীবনযাপন শুরু করেন।
২০১৪ সালে মনমোহনের স্থলাভিষিক্ত হওয়া প্রধানমন্ত্রী মোদী তাকে ভারতের অন্যতম 'বিশিষ্ট নেতা' বলে অভিহিত করেন, যিনি নম্র উৎস থেকে উঠে এসেছেন এবং 'বছরের পর বছর ধরে আমাদের অর্থনৈতিক নীতিতে একটি শক্তিশালী ছাপ রেখে গেছেন'।
সোশ্যাল প্ল্যাটফর্ম এক্স-এ একটি পোস্টে মোদী বলেন, ‘আমাদের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে তিনি(মনমোহন সিং) মানুষের জীবনযাত্রার উন্নতির জন্য ব্যাপক প্রচেষ্টা চালিয়েছেন।’ তিনি একজন আইনপ্রণেতা হিসাবে সংসদে মনমোহনের হস্তক্ষেপকে ‘অন্তর্দৃষ্টিপূর্ণ’ বলে অভিহিত করেন এবং বলেছিলেন যে ‘তার প্রজ্ঞা এবং নম্রতা সর্বদা দৃশ্যমান ছিল।’
৩৬৭ দিন আগে