এশিয়া
বিহারে বিষাক্ত মদ্যপানে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩৫
ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় বিহার রাজ্যে বিষাক্ত মদ্যপানের কারণে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩৫ জনে দাঁড়িয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে স্থানীয় প্রশাসনের এক কর্মকর্তা বলেছেন, হাসপাতালে ভর্তি ২৫ জনের মধ্যে অনেকের অবস্থাই গুরুতর ছিল। ফলে নিহতের সংখ্যা বাড়বে বলেই আশা করা হচ্ছিল।
এখনও আরও বেশ কয়েকজন এখনও হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন ওই কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন: বিহারে বিষাক্ত মদ্যপানে ২০ জনের মৃত্যু
এদিকে, বিহার পুলিশের মহাপরিচালক অলোক রাজ জানিয়েছেন, বেআইনি মদ সরবরাহের অভিযোগে এখন পর্যন্ত মোট ১২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
২০১৬ সালের এপ্রিল মাসে বিহারকে ‘ড্রাই স্টেট’ ঘোষণার পর থেকে বিহারে মদ বিক্রি ও সেবন সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ। তবে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে এখনও বেআইনি উপায়ে মদ বিক্রি অব্যাহত রয়েছে। এর আগেও রাজ্যটি থেকে একই ধরনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছিল।
২০২৩ সালের এপ্রিলে বিহারের মোতিহারি জেলায় ভেজাল মদ্যপানে ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছিল। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে ছাপরা জেলায় ৭১ জন প্রাণ হারান। ওই বছরের মার্চে বাঁকা জেলায় আরও ১২ জন এবং ২০২১ সালের নভেম্বরে গোপালগঞ্জ, বেত্তিয়া ও মুজাফফরপুর জেলায় ৪৩ জনের মৃত্যু হয়।
৪৩৬ দিন আগে
বিহারে বিষাক্ত মদ্যপানে ২০ জনের মৃত্যু
ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় বিহার রাজ্যে বিষাক্ত মদ্যপানের কারণে গত তিন দিনে অন্তত ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া আরও বেশ কয়েকজন এখনও হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
রাজ্যের সিওয়ান জেলাতেই শুধু ১৫ জন এবং সারন জেলায় ৫ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
বেআইনি মদ খেয়ে মৃত্যু ও নিহতের সংখ্যা নিশ্চিত করে বিহার পুলিশের মহাপরিচালক অলোক রাজ সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, বেআইনি মদ সরবরাহের অভিযোগে এখন পর্যন্ত মোট ১২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এদিকে, স্থানীয় কয়েকটি অনলাইন সংবাদমাধ্যমের খবরে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩৬ জনে দাঁড়িয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে।
২০১৬ সালের এপ্রিল মাসে বিহারকে ‘ড্রাই স্টেট’ ঘোষণার পর থেকে বিহারে মদ বিক্রি ও সেবন সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ। তবে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে এখনও বেআইনি উপায়ে মদ বিক্রি অব্যাহত রয়েছে। এর আগেও রাজ্যটি থেকে একই ধরনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছিল।
২০২৩ সালের এপ্রিলে বিহারের মোতিহারি জেলায় ভেজাল মদ্যপানে ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছিল। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে ছাপরা জেলায় ৭১ জন প্রাণ হারান। ওই বছরের মার্চে বাঁকা জেলায় আরও ১২ জন এবং ২০২১ সালের নভেম্বরে গোপালগঞ্জ, বেত্তিয়া ও মুজাফফরপুর জেলায় ৪৩ জনের মৃত্যু হয়।
৪৩৭ দিন আগে
বোমা আতঙ্কে নিউইয়র্কগামী বিমানের জরুরি অবতরণ
নিরাপত্তাজনিত কারণে মুম্বই থেকে নিউ ইয়র্কগামী এয়ার ইন্ডিয়ার একটি ফ্লাইটকে দিল্লির দিকে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে। সোমবার সকালে ২৩৯ জন যাত্রী ও ক্রু নিয়ে উড়োজাহাজটি ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে (আইজিআই) জরুরি অবতরণ করে। এরপরই সব আরোহীকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়।
এআই১১৯ নামের উড়োজাহাজটি মুম্বাই ও জন এফ কেনেডি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের (জেএফকে) মধ্যে চলাচলের সময় নিরাপত্তাজনিত সতর্ক বার্তা পায়।
এয়ার ইন্ডিয়ার এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সতর্কবার্তা পাওয়ার পর সরকারের নিরাপত্তা নিয়ন্ত্রক কমিটি বিমানটিকে দিল্লির দিকে ঘুরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেয়।
এয়ার ইন্ডিয়ার এক মুখপাত্র জানান, ‘সব যাত্রীকে নিরাপদে নামিয়ে দেওয়া হয়েছে এবং বর্তমানে তারা দিল্লি বিমানবন্দরের টার্মিনালে অবস্থান করছেন। সংশ্লিষ্ট সবার সুস্থতা নিশ্চিত করতে স্ট্যান্ডার্ড সেফটি প্রোটোকল অনুসরণ করা হচ্ছে।’
আরও পড়ুন: বিমানবন্দরের হর্নমুক্ত ঘোষিত এলাকায় বেজেই চলেছে হর্ন
অবতরণের পরে, বিমানটিকে আইজিআই বিমানবন্দরের একটি বিচ্ছিন্ন রানওয়েতে রাখা হয়েছে। বম্ব স্কোয়াডের একটি দলসহ নিরাপত্তা সংস্থাগুলো পরিস্থিতি মূল্যায়নের জন্য তৎক্ষণাৎ পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত শুরু করে।
যাত্রী, ক্রু ও বিমানবন্দরের কর্মীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় সব প্রক্রিয়া সাবধানতার সঙ্গে অনুসরণ করা হচ্ছে বলে আশ্বস্ত করেছেন পুলিশের ঊর্ধ্বতন একজন কর্মকর্তা।
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত, নিরাপত্তা হুমকির বিষয়ে বিস্তারিত কোনো বিবরণ পাওয়া যায়নি, তবে কর্মকর্তারা পরীক্ষা-নিরীক্ষা অব্যাহত রেখেছেন।
আরও পড়ুন: শাহজালাল বিমানবন্দরে যাত্রী সেবার মান বাড়ানোর জন্য কাজ করে যাচ্ছে বেবিচক: বেবিচক চেয়ারম্যান
৪৪১ দিন আগে
মুম্বাইয়ে ভারতীয় রাজনীতিবিদ বাবা সিদ্দিককে গুলি করে হত্যা
ভারতের রাজনীতিবিদ বাবা সিদ্দিককে (৬৬) মুম্বাইয়ে তার ছেলের অফিসের কাছে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। রবিবার (১৩ অক্টোবর) ভারতীয় গণমাধ্যমের বরাতে এক প্রতিবেদনে বিবিসি এই তথ্য জানিয়েছে।
এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে দুইজনকে আটক করা হয়েছে।
সাবেক মন্ত্রী এবং মহারাষ্ট্র রাজ্যের রাজনীতির গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব সিদ্দিক সম্প্রতি কংগ্রেস পার্টি থেকে ক্ষমতাসীন বিজেপি জোটের অংশ আঞ্চলিক জাতীয় কংগ্রেস পার্টিতে (এনসিপি) যোগ দিয়েছেন।
মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী ও সিদ্দিকির দলের সদস্য অজিত পাওয়ার এই 'কাপুরুষোচিত হামলার নিন্দা জানিয়েছেন।’
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় ইউপি চেয়ারম্যানকে গুলি করে হত্যা
জমকালো পার্টি এবং বলিউডের সঙ্গে সংযোগের জন্য পরিচিত সিদ্দিক একটি বড় হিন্দু উৎসব চলাকালে শহরে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যেই গুলিবিদ্ধ হন।
হত্যাকাণ্ডের ঘটনার পূর্ণ তদন্তের প্রতিশ্রুতি রাজ্য দিলেও বিরোধী দলগুলো গুরুতর নিরাপত্তা ব্যবস্থার ত্রুটির জন্য সরকারকে দোষারোপ করেছে।
হত্যার উদ্দেশ্য স্পষ্ট না হলেও এরই মধ্যে পুলিশ সন্দেহভাজন দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে এবং তৃতীয় সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছে।
কিছু প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বন্দুকধারীরা কুখ্যাত অপরাধী লরেন্স বিষ্ণোইয়ের নেতৃত্বাধীন একটি গ্যাংয়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকতে পারে। ২০২২ সালে র্যাপার সিধু মুসে ওয়ালাসহ বেশ কয়েকটি হত্যাকাণ্ডের জড়িত থাকার অপরাধে বর্তমানে কারাগারে বন্দী আছেন লরেঞ্চ বিষ্ণোই।
এক সপ্তাহ আগে সিদ্দিককে হত্যার হুমকির প্রেক্ষিতে নিরাপত্তা বাড়ানোর পর তাকে হত্যা করল বন্দুকধারীরা।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানে ৭ শ্রমিককে গুলি করে হত্যা
৪৪২ দিন আগে
তামিলনাড়ুতে দুই ট্রেনের সংঘর্ষ: ১২টি বগি লাইনচ্যুত, আহত ৭
ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য তামিলনাড়ুতে একটি যাত্রীবাহী ট্রেন ও একটি দাঁড়িয়ে থাকা মালবাহী ট্রেনের মধ্যে সংঘর্ষে ১২টি বগি লাইনচ্যুত হয়ে অন্তত সাতজন আহত হয়েছে।
শনিবার স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানায়, শুক্রবার সন্ধ্যায় তামিলনাড়ুর রাজধানী চেন্নাইয়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: তামিলনাড়ুতে আতশবাজি কারখানায় বিস্ফোরণ, নিহত ৩
একজন কর্মকর্তা জানান, যাত্রীবাহী ট্রেনটি ঘণ্টায় ৭৫ কিলোমিটার বেগে যাওয়ার সময় মালবাহী ট্রেনটিকে ধাক্কা মারে। এসময় একটি বগিতে আগুন ধরে যায়।
দুর্ঘটনার সময় যাত্রীবাহী ট্রেনটিতে ১ হাজার ৩৬০ জন যাত্রী ছিলেন।
রেল কর্তৃপক্ষ জানায়, ট্রেনটি মেইন লাইন দিয়ে যাওয়ার কথা থাকলেও সেটি লুপ লাইনে ঢুকে পড়ে।
সিনিয়র রেলওয়ে কর্মকর্তা আর এন সিং জানান, ট্রেনটি মেইন লাইনে যাওয়ার জন্য সব সিগন্যাল সেট করা ছিল। ট্রেনটিকে মেইন লাইনে যেতে দেওয়ার জন্য লুপ লাইনে মালবাহী ট্রেনটিকে থামিয়ে রাখা হয়েছিল। তবুও সিগনাল আর রুটের অসামঞ্জস্যতার কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
এর কারণ তদন্ত করা হচ্ছে বলে জানান এই কর্মকর্তা।
আর এন সিং আরও বলেন, ৭-৮ জনের মতো যাত্রী আহত হলেও এ ঘটনায় কোনো প্রাণহানি হয়নি। আহতদের হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
দুর্ঘটনার পর ওই পথে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। রেলপথ স্বাভাবিক হতে অন্তত ২৪ ঘণ্টা লাগবে বলে জানান আর এন সিং।র্তী ২৪ ঘণ্টা সময় লাগবে।
এদিকে স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, এ দুর্ঘটনায় অন্তত ১৯ জন আহত হয়েছে।
এর আগে গত জুনে পশ্চিমবঙ্গে দাঁড়িয়ে থাকা একটি যাত্রীবাহী ট্রেনের পেছনে মালবাহী ট্রেনের সংঘর্ষে অন্তত ১৫ জনের মৃত্যু হয়। আহত হন প্রায় ৬০ জন।
আরও পড়ুন: বিষাক্ত মদ খেয়ে তামিলনাড়ুতে অন্তত ২৯ জন নিহত
৪৪২ দিন আগে
পাকিস্তানে বন্দুকধারীর হামলায় ২০ খনিশ্রমিক নিহত
পাকিস্তানের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে বন্দুকধারীদের হামলায় ২০ জন খনিশ্রমিক নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন অন্তত আরও ৭ জন।
শুক্রবার (১১ অক্টোবর) দেশটির পুলিশ এসব হতাহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
গোলযোগপূর্ণ বেলুচিস্তান প্রদেশে এটি সর্বশেষ হামলার ঘটনা। রাজধানীতে আয়োজিত একটি বড় নিরাপত্তা শীর্ষ সম্মেলনের কয়েকদিন আগে ভয়াবহ হামলার ঘটনাটি ঘটলো।
পুলিশ কর্মকর্তা হুমায়ুন খান নাসির বলেন, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে বন্দুকধারীরা দুকি জেলার কয়লা খনির আবাসনে ঢুকে পড়ে। পরে তাদের ঘিরে ফেলে এবং গুলি চালায়।
নিহতদের অধিকাংশই বেলুচিস্তানের পশতুন ভাষী এলাকার। এছাড়া নিহতদের ৩ জন এবং আহতদের মধ্যে ৪ জন আফগান নাগরিক।
তবে তাৎক্ষণিকভাবে কেউ এ হামলার দায় স্বীকার করেনি।
প্রদেশটি বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীগুলোর শক্ত ঘাঁটি যারা স্বাধীনতা চায়। তাদের অভিযোগ হলো- ইসলামাবাদের ফেডারেল সরকার স্থানীয়দের ক্ষতিগ্রস্ত করে তেল ও খনিজ সমৃদ্ধ বেলুচিস্তানকে অন্যায়ভাবে শোষণ করছে।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানে ৭ শ্রমিককে গুলি করে হত্যা
সোমবার বেলুচ লিবারেশন আর্মি (বিএলএ) নামে একটি গোষ্ঠী জানায়, তারা পাকিস্তানের সবচেয়ে বড় বিমানবন্দরের বাইরে চীনা নাগরিকদের ওপর হামলা চালিয়েছে। দেশটিতে হাজার হাজার চীনা নাগরিক কাজ করছে। যাদের বেশিরভাগই বেইজিংয়ের মাল্টিবিলিয়ন ডলারের প্রকল্প বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের সঙ্গে জড়িত।
বিএলএ বলেছে, এই বিস্ফোরণটি আত্মঘাতী বোমা হামলাকারী ঘটিয়েছে। যার ফলে উচ্চ পদস্থব্যক্তিদের নিয়ে অনুষ্ঠান বা দেশি বিদেশিদের নিরাপত্তা দেওয়ার বিষয়ে পাকিস্তানি বাহিনীর সক্ষমতা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
আগামী সপ্তাহে পশ্চিমা জোটকে মোকাবিলায় চীন ও রাশিয়ার প্রতিষ্ঠিত জোট সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের (এসসিও) শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজন করছে ইসলামাবাদ।
আরও পড়ুন: বৈরুতে বিমান হামলায় নিহত ২২, জাতিসংঘের শান্তিরক্ষীদের ওপরও ইসরায়েলের গুলি
৪৪৪ দিন আগে
রাহুল গান্ধির বাড়িতে ১ কেজি জিলাপি পাঠাল বিজেপি
হরিয়ানা বিধানসভা নির্বাচনে টানা তিনবার জিতে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসকে সুক্ষ্ম কটাক্ষ করতে ছাড়েনি ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)।
নির্বাচনে বিজয় উপলক্ষে বিজেপির হরিয়ানা শাখা অনলাইনে এক কেজি জিলাপির অর্ডার করে তা কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধির উদ্দেশে দিল্লিতে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পাঠিয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে রাহুল গান্ধি বরবার জিলাপি পাঠানোর বিষয়টি ফলাও করে প্রচারও করেছে হরিয়ানা বিজেপি।
এক্সে শেয়ার করা একটি স্ক্রিনশট থেকে দেখা গেছে, দিল্লির কনট প্লেসের বিকানেরভালা স্টোর থেকে ভ্যাটসহ প্রায় ৬০৯ রুপি মূল্যের এই জিলাপির অর্ডার দেওয়া হয়েছে।
স্ক্রিনশটে প্রাপকের নাম ‘রাহুল গান্ধির জন্য জিলাপি’ এবং ঠিকানা ‘২৪, আকবর রোড, নয়াদিল্লি, কংগ্রেস কার্যালয়’ লেখা ছিল।
মজার ব্যাপার হলো, শুধু এটুকু করেই থামেনি হরিয়ানা বিজেপি। অর্ডারটি ক্যাশ-অন-ডেলিভারিতে করা হয়েছে, যা বিষয়টিকে আরও বিদ্রুপাত্মক করে তুলেছে।
আরও পড়ুন: চিকিৎসক ধর্ষণ ও হত্যা: মমতার পদত্যাগ দাবি বিজেপির
তবে উপহার হিসেবে জিলাপি পাঠানোর বিষয়টি মোটেই কাকতালীয় নয়।
হরিয়ানার গোহানা এলাকায় নির্বাচনি প্রচার চালানোর সময় জিলাপি নিয়ে মন্তব্য করেন রাহুল। ওই রাজ্য থেকে প্রস্তুতকৃত জিলাপি ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে পাঠানো হয়। এমনকি, দেশের বাইরেও রপ্তানি করা হয়ে থাকে।
নির্বাচনি প্রচারকালে রাহুল বলেছিলেন, বিজেপি সরকার প্রবর্তিত জিএসটি বা গুডস অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্যাক্সের কারণে জিলাপি উৎপাদকরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
এরপর রাহুলের মন্তব্যের বিদ্রুপাত্মক সমালোচনা করে সে সময় বিজেপির পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘জিলাপি (শিল্প) কারখানার অস্তিত্ব নেই।’
এরপর থেকে জিলাপি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শুরু হয় নতুন রসাত্মক ট্রেন্ড।
আরও পড়ুন: লোকসভার সদস্যপদ ফিরে পেলেন রাহুল গান্ধী
হরিয়ানা বিধানসভা নির্বাচনে ভোট গ্রহণের পর বুথফেরত জরিপ বলেছিল- কংগ্রেসই জিতবে; কিন্তু বাস্তবে হয়েছে উল্টো। রাজ্যটিতে বিজেপি জিতেছে, আর বিরোধী দলেই থাকতে হচ্ছে কংগ্রেসকে।
এরপরই কংগ্রেসকে নিয়ে ঠাট্টা করতে জিলাপির প্রসঙ্গটি টেনে আনেন বেশ কয়েকজন বিজেপি নেতা।
হরিয়ানা বিজেপির পক্ষ থেকে রাহুল গান্ধি বরাবর এই জিলাপি পাঠানো তাই কোনো বন্ধুত্বের নিদর্শন নয়, বরং তা রাজনৈতিক চির প্রতিদ্বন্দ্বিতার বহিঃপ্রকাশ।
৪৪৫ দিন আগে
ভারতের পশ্চিমবঙ্গে কয়লা খনিতে বিস্ফোরণে ৭ শ্রমিক নিহত
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের একটি কয়লা খনিতে বিস্ফোরণে অন্তত ৭ শ্রমিক নিহত হয়েছেন। সোমবার (৭ অক্টোবর) সকালে এই দুর্ঘটনায় হতাহতের ঘটনা ঘটে।
আনন্দবাজার পত্রিকার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বীরভূমের ভাদুলিয়া গ্রামের গঙ্গারামচক মাইনিং প্রাইভেট লিমিটেডের (জিএমপিএল) কোলিয়ারিতে এই বিস্ফোরণ ঘটেছে। নিহতের পাশাপাশি আরও অনেকে আহত হওয়ায় এলাকায় অস্থিরতা তৈরি হয়েছে।
এতে বলা হয়, খনির ভেতরে শ্রমিকরা কয়লা ভাঙার সময় এই বিস্ফোরণ ঘটে। স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, বিস্ফোরণের তীব্রতার কারণে নিহতদের দেহ মারাত্মকভাবে ছিন্নভিন্ন হয়ে গেছে। আটকে পড়া বাকি শ্রমিকদের উদ্ধারে উদ্ধার অভিযান চলছে এবং আহতদের নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তারা।
প্রাথমিক তদন্তে ধারণা করা হচ্ছে, কয়লা উত্তোলনের জন্য ব্যবহৃত বিস্ফোরণ প্রক্রিয়া চলাকালীন অবহেলার কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। ঘটনার বিষয়ে মনে করা হয় বিস্ফোরকগুলো একটি একক ট্রাকে ওভারলোড করা হয়েছিল, যা পরিবহনের জন্য দুটি ট্রাক ব্যবহারের স্বাভাবিক অনুশীলনের ব্যত্যয়। এর ফলে খনির নিরাপত্তায় গাফিলতি নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
দুর্ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়লে জিএমপিএলের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও কর্মীরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান বলে জানা গেছে। কিছুক্ষণের মধ্যেই পুলিশ এসে তদন্ত শুরু করে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, এই মর্মান্তিক ঘটনায় ক্ষুব্ধ স্থানীয় বাসিন্দারা ঘটনাস্থলে জড়ো হয়ে কর্তৃপক্ষকে লাশগুলো সরাতে বাধা দিয়েছে। কয়লা খনি এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে এবং এই ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিপুল জনতা।
৪৪৮ দিন আগে
উত্তরপ্রদেশে ট্রাক্টর ট্রলির পেছনে ট্রাকের ধাক্কা, নিহত ১০
ভারতের উত্তরপ্রদেশে একটি মালবাহী ট্রাক একটি ট্রাক্টর ট্রলিকে পেছন থেকে ধাক্কা দিলে অন্তত ১০ জন নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরও অন্তত তিনজন।
শুক্রবার ভোরে রাজ্যটির রাজধানী লখনউ থেকে ৩৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে মির্জাপুর জেলার জিটি রোডে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা অভিনন্দন বলেন, ‘ভাদোহি জেলায় নির্মাণ কাজ থেকে ফেরার পথে ১৩ জন শ্রমিককে বহনকারী একটি ট্রাক্টর ট্রলিকে পেছন থেকে ধাক্কা দেয় একটি মালবাহী ট্রাক। এতে ট্রলিতে থাকা ১৩ জনের মধ্যে ১০ জন ঘটনাস্থলেই নিহত হন এবং বাকি তিনজনকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
নিহতরা মিরজামুরাদ এলাকার বাসিন্দা বলে জানিয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় একটি মামলা করে দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানের জন্য তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: ভারতের মধ্যপ্রদেশে বাস-ট্রাক সংঘর্ষে নিহত ১০, আহত ২৪
৪৫০ দিন আগে
ডাকাতের কবলে পড়ে করাচিতে ৯ মাসে নিহত শতাধিক
২০২৪ সালের প্রথম ৯ মাসে পাকিস্তানের দক্ষিণাঞ্চলীয় বন্দর নগরী করাচিতে ডাকাতি প্রতিরোধ করতে গিয়ে কমপক্ষে ১০০ জন নিহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার সিটিজেন পুলিশ লিয়াজোঁ কমিটি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত শহরটি থেকে মোট দেড় হাজার গাড়ি ও ৩৫ হাজার মোটরসাইকেল ছিনতাই বা চুরি হয়েছে।
এছাড়া বাসিন্দাদের কাছ থেকে প্রায় ১৫ হাজার মোবাইল ফোন ছিনতাই করা হয়েছে জানিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বেশিরভাগ হতাহতের ঘটনা ঘটেছে ছিনতাইকারীদের প্রতিরোধ করার সময়।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানে ৭ শ্রমিককে গুলি করে হত্যা
দেশটিতে সড়কে অপরাধমূলক সহিংসতা উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধির পাশাপাশি, ডাকাতির সঙ্গে জড়িত গ্যাংয়ের সংখ্যাও ব্যাপক আকারে বেড়েছে।
কয়েক বছর আগেও প্রায় ২৫-৩০টি অপরাধী গোষ্ঠী সড়কে অপরাধের সঙ্গে জড়িত ছিল, গত দুই বছরে যা বেড়েছে দ্বিগুণ।
৪৫০ দিন আগে