এশিয়া
ভিয়েতনামে বার্ড ফ্লুতে আক্রান্ত হয়ে মরছে চিড়িয়াখানার বাঘ
ভিয়েতনামের দক্ষিণাঞ্চলের একটি চিড়িয়াখানায় বার্ড ফ্লুতে আক্রান্ত হয়ে ১২টির বেশি বাঘের মৃত্যু হয়েছে।
দেশটির বিয়েন হোয়া শহরের ভুন জোয়াই চিড়িয়াখানার তত্ত্বাবধায়কের বরাত দিয়ে রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম ভিএনএক্সপ্রেস জানিয়েছে, প্রাণীগুলোকে নিকটবর্তী খামার থেকে কেনা মুরগি খাওয়ানোর পর তারা (বার্ড ফ্লুতে) অসুস্থ হয়ে পড়ে। এরপর চিতা ও বেশ কয়েকটি শাবকসহ এ পর্যন্ত মোট ২০টি বাঘের মৃত্যুর হয়েছে। মরদেহগুলো পুড়িয়ে চিড়িয়াখানা প্রাঙ্গণে পুঁতে ফেলা হয়েছে।
চিড়িয়াখানার ব্যবস্থাপক নগুয়েন বা ফুক বলেন, ‘বাঘগুলো খুব তাড়াতাড়ি মারা গেল। তাদের দুর্বল দেখাচ্ছিল, খেতে চাচ্ছিল না এবং দুদিন অসুস্থ থাকার পর একে একে মারা যায়।’
বাঘের শরীর থেকে নেওয়া নমুনায় বার্ড ফ্লু সৃষ্টিকারী ভাইরাস এইচ৫এন১ পজিটিভ পাওয়া গেছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: টাইফুন ইয়াগি: ভিয়েতনামে ভূমিধস ও বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৩৩
এ ঘটনার পর চিড়িয়াখানার আরও ২০টির বেশি বাঘকে পর্যবেক্ষণের জন্য আলাদা করা হয়েছে। ওই চিড়িয়াখানায় সিংহ, ভাল্লুক, গণ্ডার, জলহস্তী ও জিরাফসহ প্রায় তিন হাজার প্রাণী রয়েছে।
ভিএনএক্সপ্রেস জানিয়েছে, যে ৩০ জন কর্মী বাঘের যত্ন নিচ্ছিলেন তাদের বার্ড ফ্লু পরীক্ষার ফল অবশ্য নেগেটিভ এসেছে। তাদের শারীরিক অবস্থাও স্বাভাবিক রয়েছে।
এর আগে, সেপ্টম্বর মাসে নিকটবর্তী লং আন প্রদেশের একটি চিড়িয়াখানাতেও এই রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। এক সপ্তাহের মধ্যে সেখানবার ২৭টি বাঘ ও ৩টি সিংহ মারা যায়।
প্রাণী থেকে আসা অস্বাভাবিক ফ্লু স্ট্রেনগুলি মাঝে মাঝে মানুষের মধ্যেও পাওয়া যায়।
যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন, ক্যালিফোর্নিয়ায় দুজন দুগ্ধ কর্মী বার্ড ফ্লুতে সংক্রমিত হয়েছেন। এর ফলে চলতি বছর দেশটিতে মোট ১৬ জনের শরীরে বার্ড ফ্লু শনাক্ত হয়েছে।
আরও পড়ুন: ভিয়েতনাম ভ্রমণ: যাওয়ার উপায় ও আনুষঙ্গিক খরচ
৪৫০ দিন আগে
আফগানিস্তানে আকস্মিক বন্যায় নিহত ১৩
সম্প্রতি ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে নতুন করে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যায় আফগানিস্তানে অন্তত ১৩ জন নিহত হয়েছে। এ দুর্যোগে আরও অন্তত ১৬ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
আফগানিস্তানের জাতীয় দুর্যোগ কর্তৃপক্ষের এক কর্মকর্তা মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) রাতে এ তথ্য জানান।
কর্তৃপক্ষের মুখপাত্র মোল্লা জানান সায়েক জানিয়েছেন, গত ১০ দিন ধরে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে দেশটির গজনি, লাঘমান, নানগারহার, ফারাহ, পাকতিয়া, বাদঘিস, হেরাত ও দায়কুন্দি প্রদেশে আকস্মিক বন্যা দেখা দিয়েছে।
আরও পড়ুন: আফগানিস্তানে সোনার খনিতে ভূমিধসে ৩ শ্রমিক নিহত
দুর্যোগের কারণে ওইসব প্রদেশে প্রচুর সম্পত্তির ক্ষতি হয়েছে। ১০৯টি আবাসিক বাড়ি সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে ধ্বংস হয়েছে এবং প্রায় ৬৫০ একর কৃষিজমি প্লাবিত হয়েছে।
বৃষ্টিপাতজনিত সৃষ্ট দুর্ঘটনায় চলতি বছরের মে মাস থেকে এ পর্যন্ত দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এ দেশটিতে ৪ শতাধিক লোক নিহত হয়েছে, আহত হয়েছে আরও শত শত মানুষ। এর পাশাপাশি যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটির বিভিন্ন অংশে গবাদিপশুর ব্যাপক প্রাণহানি ও সম্পদের ক্ষতি হয়েছে।
৪৫২ দিন আগে
ভারতের তামিলনাড়ুতে বিক্ষোভ, স্যামসাংয়ের ৬০০ কর্মী আটক
ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য তামিলনাড়ু থেকে স্যামসাং ইলেকট্রনিক্সের ইউনিয়ন সদস্যদের প্রায় ৬০০ কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ।
তামিলনাড়ুর রাজধানী চেন্নাইয়ে নিজেদের দাবিতে বিক্ষোভ করার সময় মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) তাদের আটক করে পুলিশ।
এ বিষয়ে স্থানীয় পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘জনসাধারণের অসুবিধার জন্য ধর্মঘটে অংশ নেওয়া শ্রমিকদের আটক করা হয়েছে। এ কর্মসূচি শুরুর আগে তারা এ ধরনের বিক্ষোভের অনুমতি চায়নি।’
পুলিশ সূত্রে খবর, চারটি কমিউনিটি হলে ওইসব শ্রমিকদের আটকে রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ভারতের বিহারে ধর্মীয় উৎসবের সময় পানিতে ডুবে ৪৬ জনের মৃত্যু
এর আগে, ১৬ সেপ্টেম্বর রাজ্যের কাঞ্চিপুরম জেলায় একই কারণে প্রতিষ্ঠানটির দেড় শতাধিক কর্মীকে একদিনের জন্য আটক করে পুলিশ।
বেতন বৃদ্ধি ও কারখানায় নিজেদের ইউনিয়নের স্বীকৃতির দাবিতে গত ৯ সেপ্টেম্বর থেকে বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছেন দক্ষিণ কোরিয়ার এই কোম্পানিটির স্থানীয় কর্মীরা।
এসব দাবিতে শ্রমিকরা কাজ বয়কট করেছেন এবং সুঙ্গুভারচাট্রামে প্ল্যান্টের কাছে একটি অস্থায়ী তাঁবুতে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন।
স্যামসাং কর্তৃপক্ষ, বিক্ষোভকারী কর্মীদের পাশাপাশি স্থানীয় সরকারের কর্মকর্তাদের মধ্যে আলোচনা হলেও এখন পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেনি তারা।
খবরে বলা হয়েছে, তামিলনাড়ুতে স্যামসাংয়ের কারখানায় ১ হাজার ৭০০ কর্মী কাজ করেন। তাদের মধ্যে এক হাজারের বেশি কর্মী ধর্মঘটে অংশ নিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ভারতে পুলিশের গুলিতে দুই পুলিশ সদস্য নিহত
৪৫৩ দিন আগে
জাপানের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হলেন ইশিবা
জাপানের পার্লামেন্টের উভয় কক্ষে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে জয়ী হয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন ক্ষমতাসীন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) সদ্য নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট শিগেরু ইশিবা।
দেশটির নতুন প্রধানমন্ত্রী বেছে নিতে মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) বিকেলে ব্যতিক্রমী অধিবেশন ডাকা হয়। এই অধিবেশনে ভোটাভুটির মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন তিনি।
এলডিপির নেতৃত্বাধীন ক্ষমতাসীন জোট জাপানের পার্লামেন্টের উভয় কক্ষ নিয়ন্ত্রণ করায় প্রতিনিধি পরিষদে ৪৬১ ভোটের মধ্যে ২৯১ ভোট এবং হাউস অব কাউন্সিলরসে ২৪২ ভোটের মধ্যে ১৪৩ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন ইশিবা।
পার্লামেন্টের বিশেষ ‘ডায়েট’ সেশনের পর ৬৭ বছর বয়সী এই প্রবীণ রাজনীতিবিদ তার নতুন মন্ত্রিসভার নাম ঘোষণা করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। পরে ইম্পেরিয়াল প্যালেসে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তার ওপর দেশের প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা অর্পণ করা করা হবে এবং সন্ধ্যায় তিনি জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন।
আরও পড়ুন: জাপানের ক্ষমতাসীন দলের নেতা নির্বাচিত হলেন ‘পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী’ ইশিবা
ইশিবা যেহেতু ফুমিও কিশিদার স্থলাভিষিক্ত হতে যাচ্ছেন, তাই বিভিন্ন জটিল ইস্যু নিয়ে দেশকে নেতৃত্ব দিতে তাকে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হবে।
অপ্রকাশিত আয় ও রাজনৈতিক তহবিলের অপব্যবহারের সঙ্গে জড়িত কেলেঙ্কারির দ্বারা ব্যাপকভাবে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হওয়ায় এলডিপির প্রতি জনসাধারণের আস্থা পুনরুদ্ধার করাই ইশিবার কার্য তালিকার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ।
গত সপ্তাহে এলডিপির প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর তিনিই যে পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হতে চলেছেন, সে বিষয়ে ইঙ্গিত পাওয়া যায়।
প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর এক সংবাদ সম্মেলনে প্রবীণ এই রাজনীতিবিদ বলেছিলেন, এলডিপির মধ্যে আস্থা ও ঐক্য পুনঃপ্রতিষ্ঠায় তার পূর্ণ প্রচেষ্টা থাকবে। দলকে এমনভাবে পুনর্গঠন করা হবে যা নম্র, ন্যায্য ও স্বচ্ছ, যেখানে নিয়ম মেনে চলা হয় এবং জনগণ নেতাদের জবাবদিহি করতে পারে।
সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) ইশিবা জানান, আগামী ৯ অক্টোবর সংসদের নিম্নকক্ষ ভেঙে দিয়ে ২৭ অক্টোবর একটি সাধারণ নির্বাচন ডাকার পরিকল্পনা করছেন তিনি। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব জনগণের মতামত পাওয়ার গুরুত্বের ওপর জোর দিয়েছেন এ রাজনীতিক।
৪৫৩ দিন আগে
নেপালে বন্যায় মৃতের সংখ্যা দুইশ ছাড়িয়েছে
নেপালে টানা বৃষ্টিতে সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২০৫ জনে দাঁড়িয়েছে। দেশটির পুলিশ জানায়, সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ জন নিখোঁজ এবং ১৩০ জন আহত হয়েছে।
এ অবস্থায় দেশটিতে মঙ্গলবার থেকে তিন দিনের জাতীয় শোক পালন করা হচ্ছে।
সরকারের মুখপাত্র ও যোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী পৃথ্বী সুব্বা গুরুং বলেন, 'শোকের সময় জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হবে।
শোকসন্তপ্ত প্রতিটি পরিবারকে ২ লাখ নেপালি রুপি বা ১ হাজার ৪৯৭ মার্কিন ডলার ক্ষতিপূরণ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নেপাল সরকার।
আরও পড়ুন: নেপালে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৯৩
সরকারের মুখপাত্র সংবাদমাধ্যমকে জানান, টানা বৃষ্টিতে ১০ দিনের বেশি সময় ধরে পরিবারের সদস্য নিখোঁজ রয়েছে এমন পরিবারকেও একই পরিমাণ ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।
এই দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রীর দুর্যোগ ত্রাণ তহবিলে ১০০ কোটি রুপি বা ৭ দশমিক ৪৮ মিলিয়ন ডলার বরাদ্দের সিদ্ধান্ত নিয়েছে মন্ত্রিসভা।
আরও পড়ুন: নেপালে বন্যা ও ভূমিধসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৪৮
৪৫৪ দিন আগে
নেপালে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৯৩
নেপাল, ৩০ সেপ্টেম্বর (সিনহুয়া/ইউএনবি)- নেপালে ভারী বৃষ্টিপাতে সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধসে মৃতের সংখ্যা ১৯৩ জনে দাঁড়িয়েছে। আহত অবস্থায় ৯৬ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। এখনও নিখোঁজ রয়েছে ৩১ জন।
সোমবার দেশটির পুলিশ জানায়, এই প্রাকৃতিক দুর্যোগে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে রাজধানী কাঠমান্ডু। শহরটিতে এখন পর্যন্ত ৩৪ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
নেপালের ৮০টি জাতীয় মহাসড়কের মধ্যে ৪৭টি বন্ধ হয়ে গেছে বলে জানিয়েছে ভৌত অবকাঠামো ও পরিবহন মন্ত্রণালয়।
এছাড়াও জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র ও সেচ সুবিধা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যার আনুমানিক পরিমাণ ৪.৩৫ বিলিয়ন নেপালি রুপি বা ৩২.৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
জ্বালানি, পানিসম্পদ ও সেচ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, শুক্র ও শনিবার টানা বৃষ্টিপাতের ফলে সৃষ্ট দুর্যোগে জলবিদ্যুৎ ও সঞ্চালন প্রকল্পে আনুমানিক ৩ বিলিয়ন রুপি (২২.৫ মিলিয়ন ডলার) ক্ষতি হয়েছে, অন্যদিকে নদী নিয়ন্ত্রণ ও সেচ প্রকল্পে আনুমানিক ১.৩৫ বিলিয়ন রুপি (১০.১ মিলিয়ন ডলার) ক্ষতি হয়েছে।
কর্মকর্তা আরও জানান, বন্যায় ৬২৫.৯৬ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতার ১১টি চালু জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পাশাপাশি অন্যান্য চালু বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোও বাধ্য হয়ে বন্ধ রাখতে হয়েছে। এতে ১ হাজার ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়, যা দেশের চালু বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর মোট সক্ষমতার প্রায় এক-তৃতীয়াংশ। এছাড়াও নির্মাণাধীন ১৫টি জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
বিদ্যুৎকেন্দ্র ও সঞ্চালন লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় দেশের বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুৎ সরবরাহ বিঘ্নিত হয়েছে।
তবে আবহাওয়ার উন্নতি হওয়ায় উদ্ধার ও পুনর্বাসনের কাজ দ্রুত গতিতে শুরু হয়েছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, বন্যা ও ভূমিধসে বাস্তুচ্যুত হওয়া মানুষদের জন্য অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র তৈরি করা হবে এবং নিহতদের পরিবার ও আহতদের আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে।
এছাড়াও দেশের সব স্কুল-কলেজ তিন দিনের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে সরকার।
৪৫৪ দিন আগে
ফিলিপাইনে বাস-এসইউভি সংঘর্ষে নিহত ৬, আহত ৫৫
ম্যানিলার দক্ষিণে লাগুনা প্রদেশে একটি যাত্রী বাসের সঙ্গে একটি স্পোর্টস ইউটিলিটি ভেহিকেলের (এসইউভি) সংঘর্ষে ছয়জন নিহত হয়েছে। এছাড়া দুর্ঘটনায় ৫৫ জন আহত হয়েছেন।
সোমবার দেশটির কর্তৃপক্ষ এ তথ্য জানিয়েছে।
মাজাইজ পৌরসভার দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস ব্যবস্থাপনা অফিসের রেজন জন লিবাতো বলেছেন, রবিবার স্থানীয় সময় বিকেল ৩টার পর শহরের জাতীয় মহাসড়কের একটি বাঁকে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: সেনেগালে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১১
ঘটনাস্থলেই নিহত হয়েছেন বাসের টিকিট সংগ্রাহক এবং তিনজন যাত্রী এবং হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও দুই যাত্রী মারা যান।
তদন্তের পর জানা গেছে, বাসটি উত্তরে যাচ্ছিল।এসইউভির সঙ্গে সংঘর্ষের পর সড়কের পাশে একটি গাছের সঙ্গে ধাক্কা লাগে বাসটির।
আরও পড়ুন: দুবাইয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় বাংলাদেশির মৃত্যু
৪৫৫ দিন আগে
পাকিস্তানে ৭ শ্রমিককে গুলি করে হত্যা
পাকিস্তানের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় বেলুচিস্তান প্রদেশে এক বন্দুক হামলায় সাত শ্রমিক নিহত হয়েছেন।
প্রদেশের পাঞ্জগুর জেলায় স্থানীয় শনিবার সময় রাত ১০টার দিকে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
প্রদেশের মুখপাত্র শহীদ রিন্দ জানিয়েছেন, ওই শ্রমিকরা কাজের জন্য স্থানীয় এক ঠিকাদারের বাড়িতে অস্থায়ীভাবে বসবাস করছিলেন।
নিহতরা পূর্ব পাঞ্জাব প্রদেশের নির্মাণ শ্রমিক বলে জেলা পুলিশের সূত্র জানিয়েছে। ঘটনার পর হামলাকারীরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।
এখন পর্যন্ত কোনো গোষ্ঠী এ হামলার দায় স্বীকার করেনি।
দেশটির প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ এই হামলার নিন্দা জানিয়েছেন এবং দোষীদের বিচারের আওতায় আনতে বেলুচিস্তানের মুখ্যমন্ত্রীকে সম্ভাব্য সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন।
নওয়াজ শরিফকে উদ্ধৃত করে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের মাটি থেকে সন্ত্রাসবাদ নির্মূল করতে আমরা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানে হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে নিহত ৬, আহত ৮
৪৫৫ দিন আগে
নেপালে বন্যা ও ভূমিধসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৪৮
নেপালে টানা বৃষ্টির কারণে সৃষ্ট ভূমিধস ও বন্যায় মৃতের সংখ্যা ১৪৮ জনে দাঁড়িয়েছে।
রবিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) দেশটির পুলিশ এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানায়।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, এই প্রাকৃতিক দুর্যোগে এখন পর্যন্ত ১০১ জন আহত এবং ৫৫ জন নিখোঁজ রয়েছেন। ৩ হাজার ৬৬১ জন ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করা হয়েছে।
উদ্ধার অভিযানে ২০ হাজারের বেশি পুলিশ মোতায়েন করেছে নেপাল সরকার।
আরও পড়ুন: নেপালে বন্যা-ভূমিধসে ৬৬ জনের মৃত্যু, আবারও অনেক নিখোঁজ
কাঠমান্ডুর জেলা পুলিশ রেঞ্জের মুখপাত্র নওয়ারাজ অধিকারী সিনহুয়াকে জানান, মধ্য নেপালের ধাদিং জেলার জায়াপল খোলায় ভূমিধসে চাপা পড়া তিনটি যাত্রীবাহী বাস থেকে ৩৫টি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, 'অবরুদ্ধ মহাসড়কগুলোতে তল্লাশি, উদ্ধার ও পরিষ্কার করার জন্য বিভিন্ন নিরাপত্তা দল মোতায়েন করা হয়েছে।’
শুক্রবার টানা বর্ষণের কারণে ভূমিধস ও বন্যায় দেশের বেশিরভাগ প্রধান মহাসড়ক চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এছাড়াও রাতে মহাসড়কে রাতে বাস চলাচল নিষিদ্ধ করা হয় এবং গাড়ি চলাচল না করতে আহ্বান জানানো হয়।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রমেশ লেখক জানান, কর্মকর্তারা বন্যার বর্তমান ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করছেন। লোকজনকে উদ্ধার এবং ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তাকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে সরকার।
এছাড়াও সারা দেশে ব্যাপক বৃষ্টিপাতের সতর্কতা জারি করা হয়।
গত ১০ জুন থেকে শুরু হওয়া বর্ষা মৌসুমে নেপালে গড় পরিমাণের চেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে।
আরও পড়ুন: নেপালে বন্যা ও ভূমিধসে নিহত ৫৯, আহত ৩৬
৪৫৫ দিন আগে
ভারতের মধ্যপ্রদেশে বাস-ট্রাক সংঘর্ষে নিহত ১০, আহত ২৪
ভারতের মধ্যপ্রদেশে সড়কে দাঁড়িয়ে থাকা একটি ডাম্পার ট্রাকের সঙ্গে যাত্রীবাহী বাসের সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন নিহত ও ২৪ জন আহত হয়েছে।
রবিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) পুলিশ জানায়, শনিবার গভীর রাতে মধ্যপ্রদেশের রাজধানী ভোপাল থেকে প্রায় ৪৯০ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে মাইহার জেলার নাদান দেহাত থানা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
এক ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, 'গতকাল গভীর রাতে নাদান দেহাত থানা এলাকায় জাতীয় সড়কে যাত্রীবাহী একটি স্লিপার কোচ বাস দাঁড়িয়ে থাকা পাথর বোঝাই একটি ডাম্পার ট্রাকে ধাক্কা মারে। এতে ১০ জন নিহত ও ২৪ জন আহত হয়।’
আরও পড়ুন: স্পেন যাওয়ার পথে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের নৌকাডুবি, নিহত ৯, নিখোঁজ ৪৮
তিনি আরও জানান, ঘটনাস্থলেই ৫ জন মারা যান। ২৯ জনকে আহতাবস্থায় সাতনা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন আরও পাঁচজনের মৃত্যু হয়। আরও দুই যাত্রীর অবস্থা আশঙ্কাজনক।
বাসটি উত্তর প্রদেশ থেকে মহারাষ্ট্রের নাগপুর যাচ্ছিল।
পুলিশ জানিয়েছে, আর্থমুভার ও স্টিল কাটার ব্যবহার করে দুমড়ে-মুচড়ে যাওয়া বাসের ভেতর আটকে পড়া যাত্রীদের উদ্ধার করেন উদ্ধারকারীরা। দুর্ঘটনার কারণ জানতে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে পুলিশ।
ভারত বেহাল সড়ক, ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন ও বেপরোয়া গাড়ি চালানোর কারণে প্রায়ই মারাত্মক সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে থাকে।
সরকারি নথিতে দেখা যায়, প্রতি বছর দেশটিতে প্রায় ৫ লাখ সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে যাতে প্রায় দেড় লাখ মানুষ নিহত হয়।
আরও পড়ুন: নেপালে বন্যা ও ভূমিধসে নিহত ৫৯, আহত ৩৬
৪৫৬ দিন আগে