ইউরোপ
‘ইতিহাসের সন্ধিক্ষণে’ থাকা ইউরোপের নিরাপত্তা নিশ্চিতের তাগিদ ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর
ওভাল অফিসে ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাকবিতণ্ডার পর এবার ইউক্রেনের সমর্থনে ইউরোপকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার। এ সময় ইউরোপের দেশগুলোতে সীমান্ত সুরক্ষা জোরদারসহ ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধে একটি কার্যকরী পরিকল্পনা প্রণয়নের ঘোষণা দেন তিনি।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘প্রতিটি দেশেরই উচিত নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী এগিয়ে আসা। যার কাছে যা আছে, তা নিয়েই অবদান রাখতে হবে। সবাই নিজেদের দায়িত্ব পালনের মধ্য দিয়ে এই বোঝা ভাগ করে নিতে হবে।’
স্থানীয় সময় রবিবার (২ মার্চ) ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে আলোচনা করতে রাজধানী লন্ডনে আয়োজিত সম্মেলনে এসব কথা বলেন স্টারমার। পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটো ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) শীর্ষ নেতাদের পাশাপাশি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিও এই সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন।
সম্মেলনে ইউরোপের দেশগুলোকে নিরাপত্তার দায়িত্ব নিজেদের কাঁধে তুলে নিতে পরামর্শ দেন স্টারমার। স্টারমার বলেন, ‘ইউরোপ বর্তমানে ইতিহাসের সন্ধিক্ষণে রয়েছে। শুধু আলোচনা নয়; এবার সময় এসেছে পদক্ষেপ নেওয়ার।’
আরও পড়ুন: যুক্তরাজ্যে রাজকীয় অভ্যর্থনা ও পূর্ণ সমর্থন পাচ্ছেন জেলেনস্কি
এর আগে গত বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) যুক্তরাজ্যে বার্ষিক প্রতিরক্ষা খরচ জিডিপির ২.৫ শতাংশ বাড়ানোর ঘোষণা দেন কিয়ার স্টারমার। দ্বিতীয় মেয়াদে ট্রাম্প ক্ষমতা গ্রহণের আগ পর্যন্ত ইউক্রেন ইস্যুতে সহাবস্থানে ছিল ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্র। তবে হোয়াইট ইউসে ট্রাম্পের প্রত্যাবর্তনের সঙ্গেই ওয়াশিংটনের পররাষ্ট্রনীতিতে এলো নাটকীয় পরিবর্তন।
গত তিন বছর ধরে একযোগেই ইউক্রেনকে সমর্থন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপ। তবে সেই নীতির পরিবর্তন করে ইউক্রেন ও ইউরোপকে এক প্রকার পাশ কাটিয়ে রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনায় বসলেন ট্রাম্প প্রশাসন।
এখানেই মতানৈক্য তৈরি হয় ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রের। এরপর যুক্তরাষ্ট্রকে যে আর আগের মতো ইউক্রেনের পাশে পাওয়া যাবে না; তা আরও নিশ্চিত করে দিয়েছে শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) ওভাল অফিসের ঘটনা।
ওই ঘটনার পর আয়োজিত এই সম্মেলনকে স্টারমার ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে তৈরি হওয়া দূরত্ব দূর করাসহ শুক্রবারের আলোচনার আগে শান্তি আলোচনা যে অবস্থানে ছিলো সেখানে ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য একটা সুযোগ হিসেবে ব্যবহার করতে চেয়েছেন।
আরও পড়ুন: ইউক্রেনের পাশে থাকার আশ্বাস ইউরোপীয়দের
এছাড়া ইউক্রেন ইস্যুতে এবার কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়ার কথাও বলেন স্টারমার। তিনি বলেন, ফ্রান্স ও ইউরোপের সঙ্গে এ বিষয়ে কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। সম্মেলনের আলোচনায় ৪টি বিষয়ে ইউরোপীয়দের এক হওয়ার কথা জানিয়েছেন তিনি।
তিনি উল্লেখ করেন, ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তা অব্যাহত এবং রাশিয়ার ওপর অর্থনৈতিক চাপ বৃদ্ধি, ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তা নিশ্চিত এবং শান্তি আলোচনায় কিয়েভকে রাখা, ভবিষ্যতে ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণ ঠেকানোর লক্ষ্যে কাজ করবে ইউরোপ এবং সর্বোপরি ইউক্রেনের নিরাপত্তায় জোট গঠন ও দেশটিতে শান্তি নিশ্চিত করার বিষয়ে ইউরোপের দেশগুলো একমত হয়েছেন। এ লক্ষ্যেই তারা কাজ করবে বলে জানান।
এর পাশাপাশি রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার জন্য ইউক্রেনকে ১৬০ কোটি পাউন্ড দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন কিয়ার স্টারমার। এই অর্থে ইউক্রেনের জন্য পাঁচ হাজারের বেশি ক্ষেপণাস্ত্র কেনা হবে। ওই ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ইউক্রেনের আকাশ প্রতিরক্ষার কাজে ব্যবহার করা হবে।
তবে ইউক্রেনের সমর্থনে নেওয়া যেকোনো পরিকল্পনায় বাধ সাধতে পারেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। স্টারমার বলেন, এক্ষেত্রে তাদের যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন প্রয়োজন। স্পষ্ট করে কিছু না বললেও সম্মেলনের আগে সংবাদ সংস্থা বিবিসিতে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে এ ব্যাপারে তীব্র আলোচনা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ট্রাম্প-জেলেনস্কি বৈঠক: শূন্যহাতে ফিরলেও প্রশংসায় ভাসছেন জেলেনস্কি
পরবর্তীতে একটি আনুষ্ঠানিক পরিকল্পনা নিয়ে ট্রাম্পের সঙ্গে আরও আলোচনা হবে বলে জানান তিনি। স্টারমার জানান, তিনি পুতিনকে বিশ্বাস করেন না কিন্তু ট্রাম্পের প্রতি তার আস্থা রয়েছে।
এর আগে ইউক্রেনে জল, আকাশ ও স্থলপথে এক মাসের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব করেন কিয়ার স্টারমার ও ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাঁখো। এ সমযের মধ্যে তারা স্থায়ীভাবে ইউক্রেনে শান্তি ও নিরাপত্তার নিশ্চিতের বিষয়ে আলোচনা করবেন বলে জানান ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট।
৩০১ দিন আগে
ট্রাম্প-জেলেনস্কি বৈঠক: শূন্যহাতে ফিরলেও প্রশংসায় ভাসছেন জেলেনস্কি
ওভাল অফিসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময়ের পর খালি হাতে হোয়াইট হাউস ছাড়লেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। তা সত্ত্বেও নিজ দেশের জনগণের কাছ থেকে অকুণ্ঠ সমর্থন পেয়েছেন তিনি। দেশের স্বার্থে নতজানু না-হওয়ার কারণে প্রশংসায় ভেসেছেন ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট।
স্থানীয় সময় শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধের প্রক্রিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে খনিজ চুক্তি নিয়ে আলোচনা করতে ওভাল অফিসে সাক্ষাৎ করেন ট্রাম্প ও জেলেনস্কি। এ সময় বাকবিতণ্ডায় জড়িয়েছেন দুই প্রেসিডেন্ট।
শুধু ট্রাম্পই নন; যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট জে ডি ভ্যান্সও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তর্কে জড়ান। জেলেনস্কি ওভাল অফিসের মর্যাদাকে ক্ষুণ্ণ করেছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি। এছাড়াও জেলেনস্কি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেননি বলেও ক্ষোভ প্রকাশ করেন ভ্যান্স।
এমন পরিস্থিতিতে ইউক্রেনের খনিজ সম্পদে যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে চুক্তি সইয়ের কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত তা হয়নি। তবে চুক্তি না-হলেও ইউক্রেনের জনসাধারণের মন জয় করেছেন প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি। হোয়াইট হাউস থেকে খালি হাতে ফিরলেও, দেশের স্বার্থে আপস না করায় প্রশংসায় ভেসেছেন তিনি।
আরও পড়ুন: খনিজ চুক্তি সই না করেই হোয়াইট হাউস ছাড়লেন জেলেনস্কি
জেলেনস্কিকে ‘সিংহের’ সাথে তুলনা করে ইউক্রেনীয় নারী নাতালিয়া সেরহিয়েনকো (৬৭) বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি সিংহের মতো লড়াই করেছেন। তাদের মধ্যে উতপ্ত বাক্যবিনিময় হলেও ইউক্রেনের স্বার্থ রক্ষা করেছেন তিনি।’
ইউক্রেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খারকিভের প্রধান ওলেহ সিনিহুবভ জেলেনস্কির প্রশংসা করে বলেছেন, ‘আমাদের নেতা চাপের মুখেও ইউক্রেন ও ইউক্রেনীয়দের স্বার্থ রক্ষায় দৃঢ়তা বজায় রেখেছেন। ... নিরাপত্তার নিশ্চয়তাসহ আমরা শান্তি চাই।’
ওভাল অফিসের বৈঠকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে যা হয়েছে; সেটিকে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে পুরোপরি অসম্মান হিসেবেই দেখছেন কিয়েভের বাসিন্দা ৩৭ বছর বয়সী আর্তেম ভাসিলিভ। তিনি বলেন, ‘আমরা গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করছি, কিন্তু আমাদের যোদ্ধা, সৈনিক ও দেশবাসীর প্রতি পাচ্ছি পুরোপুরি অবজ্ঞা।’
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট রাশিয়ার আগ্রাসনের ফলে ইউক্রেনের জনগণের সীমাহীন দুর্ভোগ ও কষ্ট বুঝতে পারছেন না বলে তার সমালোচনা করেন ভাসিলিভ। ট্রাম্পের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘এটা (ইউক্রেনীয়দের কষ্ট) তিনি বুঝতে অক্ষম, তিনি কেবল একজন ব্যবসায়ী। তার কাছে টাকাই সবচেয়ে মূল্যবান।’
ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলের খারসন শহরের প্রধান আলেকজান্ডার প্রোকুদিন বলেছেন, ‘এই ঘটনা প্রেসিডেন্ট ও আমাদের সবাইকে আরও শক্তিশালী করেছে। আমরা আশা করছি, শিগগিরই এই সংকট কাটিয়ে উঠব।’
৩০৩ দিন আগে
জার্মানিতে সরকার গঠন করতে যাচ্ছে রক্ষণশীলরা
জামার্নির নির্বাচনের বুথফেরত জরিপের ফলাফলে জয়ী হয়েছে ফ্রিডরিখ মেরৎসের রক্ষণশীল দল ক্রিশ্চিয়ান গণতান্ত্রিক ইউনিয়ন (সিডিইউ )। পাশাপাশি উত্থান ঘটেছে কট্টর ডানপন্থিদের। রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) জার্মানিতে অনুষ্ঠিত হয় দেশটির ২১তম পার্লামেন্ট নির্বাচন।
নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনকারী দল হিসেবে জামার্ন চ্যান্সেলর হিসেবে ক্ষমতা গ্রহণ করতে চলেছেন ফ্রিডরিখ মেরৎস। তবে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ভোট পেলেও কট্টর ডানপন্থিদের সঙ্গে জোট বাঁধতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন মেরৎস।
নির্বাচন কমিশন প্রকাশিত ফলাফল অনুসারে, জামার্নির পার্লামেন্ট বুন্দেসটাগে ৬৩০ আসনের মধ্যে মেরৎসের সিডিইউ পেয়েছে ২০৮টি আসন। অন্যদিকে এএফডি নিশ্চিত করেছে ১৫২টি আসন। তবে তাদের সঙ্গে জোট না বাঁধার সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন সিডিইউপ্রধান।
বুন্দেসটাগে ১২০ আসন পাওয়া মধ্য-বামপন্থি সোশ্যাল ডেমোক্র্যাটসদের সঙ্গে জোট সরকার গঠিত হতে পারে বলে ধারণা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
আরও পড়ুন: পরিবর্তনের আভাস দিয়ে জার্মানিতে চলছে ভোটগ্রহণ
স্থানীয় সময় রবিবারে এক সাক্ষাৎকারে মেরৎস বলেন, তার লক্ষ্য ইউরোপকে শক্তিশালী করে তোলার মাধ্যমে ধাপে ধাপে যুক্তরাষ্ট্রের বলয় থেকে বের হয়ে এসে স্বাধীনভাবে ইউরোপকে পরিচালনা করা। আগামী ইস্টারের আগেই তিনি সরকার গঠন করবেন বলেও জানান।
এসময় তিনি এএফডিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ ইলন মাস্কের সমর্থনের অভিযোগ তুলে তাদের সঙ্গে জোট না বাঁধার কথাও জানান। একারণে জোট সরকার গঠনের আলোচনা দীর্ঘায়িত হতে পারে বলে মত বিশেষজ্ঞদের।
তবে সমালোচনা থাকলেও সবার নজর কেড়েছে অল্টারনেটিভ ফর জার্মানির (এএফডি) দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ভোট পাওয়ার বিষয়টি। এর মাধ্যমে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর জার্মানির পার্লামেন্ট নির্বাচনে প্রথমবারের মতো শক্ত অবস্থান গড়েছে কোনো কট্টর ডানপন্থি দল।
স্বাভাবিকভাবেই নির্বাচনের সাফল্যে উচ্ছ্বসিত এএফডির নেতারা। জার্মানির নাৎসী অতিত এতদিন যে প্রাচীর হয়ে ছিল দলটির জন্য তা ভাঙতে পেরেই খুশি অভিবাসন বিরোধী, রুশপন্থি এই কট্টর ডানপন্থি দলটি। দ্য ফিনান্সিয়াল পোস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, দলটির প্রধান এলিস উইদেল আগামী নির্বাচনে জয়ী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
অভিবাসন এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতা গ্রহণের পর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের নাটকীয় পট পরিবর্তনের ইঙ্গিতের মধ্যেই ইউরোপের গুরুত্বপূর্ণ অর্থনীতির দেশ জার্মানিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
জার্মানির অর্থনীতিতে দীর্ঘমেয়াদি স্থবিরতা এবং অভিবাসন নিয়ন্ত্রণের চাপ এই নির্বাচনী প্রচারণাকে প্রভাবিত করেছে। গত কয়েক সপ্তাহে মেরৎসের কঠোর অভিবাসন নীতির দাবি রাজনৈতিক উত্তেজনা তৈরি করেছিল। ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ এবং যুক্তরাষ্ট্রের সাথে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সম্পর্কে অনিশ্চয়তার মধ্যেই এই নির্বাচনে নজর ছিলো পুরো বিশ্বের।
৩০৮ দিন আগে
পরিবর্তনের আভাস দিয়ে জার্মানিতে চলছে ভোটগ্রহণ
অভিবাসন এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতা গ্রহণের পর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের নাটকীয় পট পরিবর্তনের ইঙ্গিতের মধ্যেই ইউরোপের গুরুত্বপূর্ণ অর্থনীতির দেশ জার্মানিতে হচ্ছে পার্লামেন্ট নির্বাচন।
রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে দেশটিতে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। নির্বাচনে জার্মানি নতুন একটি সরকার গঠনের পথে রয়েছে বলে আভাস পাওয়া যাচ্ছে।
সর্বশেষ খবর অনুযায়ী, মধ্য ডানপন্থি দল ক্রিস্টিয়ান ডেমোক্রেটিক ইউনিয়ন (সিডিইউ) ভোটে এগিয়ে রয়েছে, তবে দেশটির কট্টর ডানপন্থি দল অল্টারনেটিভ ফর জার্মানিও (এএফডি) ভালো অবস্থানে রয়েছে। এর মাধ্যমে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর জার্মানির পার্লামেন্ট নির্বাচনে প্রথমবারের মতো শক্ত অবস্থান গড়তে চলেছে কোনো কট্টর ডানপন্থি দল।
আরও পড়ুন: জার্মানির আউসবিল্ডুং: যোগ্যতা, সুযোগ-সুবিধা ও আবেদন পদ্ধতি
দেশটির পার্লামেন্ট বুন্দেসটাগের নিম্নকক্ষে আসনসংখ্যা ৬৩০টি। সাধারণত বুন্দেসটাগে কোনো দল একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায় না। এবারের নির্বাচনেও জোট সরকার গঠিত হবে বলেই ধারণা করছেন বিশ্লেষকরা।
তবে এবারের নির্বাচনে একটি নজিরবিহীন পরিবর্তনের আভাস মিলেছে। এএফডির জনপ্রিয়তার ফলে সরকার গঠনে দলটির সঙ্গে জোটবদ্ধ হতে পারে প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী দলগুলোর কোনো একটি। এতে করে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর প্রথম কোনো কট্টর ডানপন্থি দলের সঙ্গে জোট সরকার গঠিত হতে পারে বলে জানিয়েছেন বিশ্লেষকরা।
জার্মানির এই আগাম নির্বাচনে ক্ষমতাসীন সোশ্যাল ডেমোক্রেটসকে (এসপিডি) পেছনে ফেলে নির্বাচন-পূর্ববর্তী জরিপে এগিয়ে ছিল অভিবাসন-বিরোধী দল এএফডি।
জরিপে দেখা যায়, এসপিডির পক্ষে যেখানে জনসমর্থন ছিল ১৪ থেকে ১৬ শতাংশ, সেখানে এএফডির পক্ষে ছিল ২০ শতাংশ সমর্থন।
জার্মানির চলমান অর্থনৈতিক অস্থিরতা এবং জনগণের অভিবাসন-বিরোধী মনোভাব দেশের জনগণের মধ্যে অসন্তোষ তৈরি করেছে।
গত নভেম্বরে জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎসের এসপিডির নেতৃত্বে ২০২১ সালে গঠিত জোট সরকারের মধ্যে অর্থনৈতিক সংস্কার নিয়ে মতানৈক্য দেখা দেয়। এরপর সরকার ভেঙে দেওয়ার ঘোষণা দেন শলৎস। পরবর্তীতে বুন্দেসটাগে আস্থা ভোটে হেরে যান চ্যান্সেলর। এর পরিপ্রেক্ষিতে নির্ধারিত সময়ের ৭ মাস আগেই দেশটিতে নিবাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
৩০৮ দিন আগে
মুখোমুখি বসবেন ট্রাম্প-পুতিন, চলছে প্রস্তুতি
ফোনালাপ পর্ব শেষে এবার মুখোমুখি বসতে চলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রাশিয়ায় তার সমকক্ষ ভ্লাদিমির পুতিন। বিশ্বের আলোচিত এই দুই রাষ্ট্রনেতার বৈঠকের প্রস্তুতি চলছে। এই বৈঠকের মাধ্যমে ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে গেল তিন বছর ধরে চলা মার্কিন নীতিতে বড় পরিবর্তন আসতে যাচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
স্থানীয় সময় শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) এই তথ্য নিশ্চিত করেছে রাশিয়ার উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই রিয়াবকভ। পুতিন-ট্রাম্পের সম্ভাব্য বৈঠকে শুধু ইউক্রেন যুদ্ধ নয়; বৈশ্বিক নানা বিষয়ে বৃহত্তর পরিসরে আলোচনা হবে বলে জানান তিনি।
সের্গেই রিয়াবকভ জানান, ‘এই বৈঠক দেশ দুটির মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার ক্ষেত্রে প্রথম পদক্ষেপ। তবে বৈঠক আয়োজন একেবারেই প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে।’
আরও পড়ুন: ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে ট্রাম্প-ট্রুডোর ফোনালাপ
এ সময় বৈঠকের প্রস্তুতি বিষয়ে আলোচনা করতে আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে দেশ দুটির রাষ্ট্রদূতদের সাক্ষাৎ হবে বলে নিশ্চিত করেন তিনি। এর আগে বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) ওভাল অফিসে এক সংবাদ সম্মেলনে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে সরাসরি বৈঠক করতে একমত হওয়ার কথা জানান ট্রাম্প। তাদের দীর্ঘ ফোনালাপের বিষয়টিও নিশ্চিত করা হয় তখন। ওভাল অফিসে ট্রাম্প বলেন, ‘এই যুদ্ধ বন্ধে আলোচনা করতে পুতিন ও আমি একমত।’
ওভাল অফিসের বৈঠকের পর নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া এক পোস্টে ট্রাম্প বলেছিলেন, ‘তিনি ও রুশ প্রেসিডেন্ট একমত হয়েছেন, তাদের নিজ নিজ কূটনৈতিক দল অবিলম্বে আলোচনা শুরু করবে এবং আলোচনার জন্য একে অপরকে নিজেদের রাজধানীতে আমন্ত্রণ জানাবে।’
এরপর স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সৌদির দিরিয়াহ প্রাসাদে ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান ও রাশিয়া-যুক্তরাষ্ট্র দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নের লক্ষ্যে সৌদি আরবে প্রথমবারের মতো বৈঠকে বসেন দুই দেশের শীর্ষ কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে ট্রাম্প-জেলেনস্কি দ্বন্দ্বে
তবে সেই বৈঠকে ইউক্রেনকে আমন্ত্রণ না জানানোতে ক্ষুব্ধ হয়েছেন ইউক্রেনের প্রসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। কিয়েভকে ছাড়া করা বৈঠকের কোনো সিদ্ধান্ত মেনে না নেওয়ার কথাও সুস্পষ্ট করে জানান দেন তিনি।
এছাড়াও আলোচনায় ইউরোপকে অর্ন্তভুক্ত না করায় তাদের পাশ কাটিয়ে শান্তি চুক্তির আলোচনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন ইউরোপীয় নেতারা।
৩০৯ দিন আগে
চুরির কার্ড দিয়ে লটারি জিতে বিপাকে ফ্রান্সের বিখ্যাত চোরেরা
ফ্রান্সে চুরি করা কার্ড ব্যবহার করে পাঁচ লাখ ২৩ হাজার মার্কিন ডলারের একটি লটারি জিতেছেন একদল চোর। কিন্তু টাকাটা হাতে নেওয়ার আগেই উধাও হয়ে গেছেন তারা। এখন তারা ফ্রান্সের সবচেয়ে বিখ্যাত চোরের খ্যাতি পেয়েছেন।
যে ব্যক্তির কার্ড চুরি হয়েছে, পুলিশি নথি অনুসারে তার নাম জঁ-ডেভিড ই। এবার বিজয়ীর সঙ্গে লটারির অর্থ ভাগাভাগি করতে চাচ্ছেন তিনি। পাশাপাশি নিজের ওয়ালেটটিও ফেরত দাবি করেছেন ওই ব্যক্তি।-খবর অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের (এপি)।
আশঙ্কা করা হচ্ছে, যে কোনো সময় গ্রেপ্তার হয়ে যেতে পারেন ওই চোরেরা। শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) পর্যন্ত দেশটির রাষ্ট্রীয় লটারি পরিচালক লা ফ্রঁসেজ ডেস জো (এফডিজে) জানিয়েছে, ‘অর্থ নেওয়ার জন্য এখন পর্যন্ত কেউ টিকিট জমা দিতে আসেনি।’
আরও পড়ুন: ক্রিপ্টোকারেন্সির ১৫০ কোটি ডলার চুরি
জঁ-ডেভিডের আইনজীবী পিয়েরে ডেবুইসন বলেন, ‘এটা একেবারেই অবিশ্বাস্য কাহিনী। কিন্তু এটা সত্যি।’
চলতি মাসের শুরুতে জঁ-ডেভিড জানতে পারেন যে দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর তুলু থেকে তার ব্যাকপ্যাক চুরি হয়ে গেছে। যেটির মধ্যে তার ব্যাংক কার্ড ও নথিও ছিল। কার্ডটি বন্ধ করে দিতে ব্যাংকের কাছে অনুরোধ করেন তিনি। কিন্তু এরইমধ্যে জানতে পারেন যে স্থানীয় একটি দোকানে কার্ডটি ব্যবহার হয়েছে।
ওই দোকানি বলেন, ‘এক গৃহহীন লোক তার কাছ থেকে একটি লটারির টিকিট কিনিছেন। তারা এতোই আনন্দিত ছিল যে তাদের সিগারেট ও অন্যান্য জিনিসপাতি নিতেও ভুলে গেছেন। আনন্দে আত্মহারা হয়ে তারা এখান থেকে চলে গেছেন।’
এরপর ওই চোরদের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে একটি অভিযোগ দাখিল করেছেন জঁ-ডেভিড। কিন্তু চোরেরা যদি ধরা দিয়ে তার সামনে চলে আসেন, তাহলে মামলা তুলে নিতে চান তিনি। পাশাপাশি লটারিতে জেতা অর্থও ভাগাভাগি করতে চান।
স্থানীয় একটি সংবাদমাধ্যমে জঁ-ডেভিড বলেন, ‘তারা না-হলে কেউই এই লটারি জিততে পারত না। কিন্তু আমাকে ছাড়াও তারা অর্থ তুলতে পারবে না।’ চোরেরা যাতে তার সাথে যোগাযোগ করে একটি চুক্তিতে আসেন, সে কারণে তার আইনজীবী প্রচারও চালিয়েছেন।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রে ট্রাকের পেছন থেকে ১ লাখ ডিম চুরি
চোরদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘আপনাদের কোনো ঝুঁকি নেই। আমরা অর্থ ভাগ করে নিতে পারি। আপনাদের জীবন বদলে যাওয়ার সুযোগ তৈরি হয়ে যাবে। সময় চলে যাচ্ছে, টিকিটের মেয়াদ পার হয়ে যেতে পারে।’
৩০৯ দিন আগে
পোপ ফ্রান্সিসের শারীরিক অবস্থার অবনতি
রোমান ক্যাথলিকদের শীর্ষ ধর্মগুরু পোপ ফ্রান্সিসের শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছে ভ্যাটিকান। স্থানীয় সময় রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘পোপের অবস্থা গতকাল শনিবারের চেয়ে অবনতি হয়েছে।’
অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের (এপি) খবরে বলা হয়, নিউমোনিয়া ও ফুসফুস সংক্রমণের কারণে নাজুক শারীরিক অবস্থায় রয়েছেন পোপ। তিনি অ্যাজমা সংক্রান্ত শ্বাসপ্রশ্বাসের সমস্যায় ভুগছেন। তবে ৮৮ বছর বয়সী এই ধর্মগুরুর হুঁশ আছে।
তাকে শ্বাপ-প্রশ্বাস চালিয়ে নেওয়ার জন্য উচ্চমাত্রার অক্সিজেন দিয়ে রাখা হয়েছে। শরীরে প্লাটিলেট কমে যাওয়ায় তাকে রক্ত দেওয়া হয়েছে বলে বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।
পোপ ফ্রান্সিসের দুই ফুসফুসে নিউমোনিয়া ধরা পড়েছে। এছাড়িাও তার ফুসফুসে বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণ দেখা দিয়েছে। এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে তিনি শ্বাসনালির প্রদাহে ভুগছিলেন। গত শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) তাকে রোমের জেমেল্লি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আরও পড়ুন: প্রিন্স আগা খান চতুর্থ আর নেই
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘পবিত্র পিতার অবস্থা এখনো গুরুতর। পোপ এখনো বিপদমুক্ত নন।’ গত শুক্রবার তাকে হাসপাতালে ভর্তির পরে এই প্রথম ‘গুরুতর’ শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে।
পোপ ফ্রান্সিসের চিকিৎসক ডা. সার্জিও আলফেরি জানান, পোপ জানেন তার শারীরিক অস্থা ভালো নয়। তিনি চান তার স্বাস্থ্যের অবস্থা সম্পর্কে খোলাখুলি তথ্য দেওয়া হোক। এ কারণে ভ্যাটিকান থেকে প্রতিদিন তার শারীরিক অবস্থার কথা জানানো হচ্ছে।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ২১ বছর বয়সে পোপ ফ্রান্সিসের ফুসফুসের একটি অংশ অপসারণ করতে হয়েছিল। পরে তার ফুসফুসের চারপাশে এক ধরনের প্রদাহ তৈরি হয়। সে কারণে তিনি ফুসফুস সংক্রমণের ঝুঁকিতে ছিলেন।
গত ১২ বছরে এই পোপকে বেশ কয়েকবার হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছে। এর মধ্যে ২০২৩ সালের মার্চ ব্রঙ্কাইটিসে আক্রান্ত হয়ে তিনি ৩ রাত হাসপাতালে ছিলেন।
৩০৯ দিন আগে
শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করলেন ট্রাম্প
যুক্তরাষ্ট্রের এক শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করেছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মার্কিন যুদ্ধবিমানের জয়েন্ট চিফস অব স্টাফের চেয়ারম্যান ও চার তারকাবিশিষ্ট পাইলট সি কিউ ব্রাউনকে বরখাস্ত করে এক নজিরবিহীন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সদরদপ্তর পেন্টাগনে যে অস্থিরতা চলছে, তার সর্বশেষ ঘটনা এটি।
শুক্রবার ( ২১ ফেব্রুয়ারি) এক ঘোষণার মাধ্যমে জেনারেল ব্রাউনকে অপসারণ করে বিমানবাহিনীর তিন তারকাবিশিষ্ট অবসরপ্রাপ্ত জেনারেল ড্যান কেইনকে তার স্থলাভিষিক্ত করা হয়েছে।
অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের (এপি) খবর বলছে, এই সিদ্ধান্ত পেন্টাগনে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কারণ যাকে অপসারণ করা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে জয়েন্ট চিফস অব স্টাফের দায়িত্ব পালন করা দ্বিতীয় কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তি তিনি। বাইডেন প্রশাসনের সময়ে এ পদে নিয়োজিত হয় ব্রাউন।
একজন সম্মানিত ও দায়িত্বশীল পাইলটকে অপসারণের এ সিদ্ধান্তকে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথের চলমান বৈচিত্র্য, সমতা ও অন্তর্ভুক্তিমূলক কর্মসূচিতে (ডিইআই) নিয়োজিত সামরিক কর্মকর্তাদের বরখাস্ত করার প্রকল্পের অংশ বলে মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রে ভয়াবহ বন্যা ও ঝড়ে ৯ জনের মৃত্যু
স্থানীয় সময় শুক্রবার নিজের মালিকানাধীন সামাজিকমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে একটি পোস্টে জেনারেল চার্লস কিউ ব্রাউনকে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীতে ৪০ বছরে সেবা দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন ট্রাম্প। এ সময়কে ব্রাউনকে তিনি একজন ভদ্রলোক ও অসাধারণ নেতা হিসেবে অভিহিত করে তাকে ও তার পরিবারকে শুভকামনা জানান।
ট্রাম্প লেখেন, ‘আমি প্রতিরক্ষামন্ত্রী হেগসেথকে আরও পাঁচজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার মনোনয়ন চূড়ান্ত করতে নির্দেশনা দিয়েছি। যেগুলো খুব দ্রুতই ঘোষণা করা হবে।’
যুক্তরাষ্ট্রে আলোচিত কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েডের পুলিশি হত্যার পর ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার আন্দোলনে প্রকাশ্য সমর্থন দেওয়ায় ব্রাউন সামরিক বাহিনীতে লক্ষ্যবস্তু হয়। সামাজিক ন্যায়বিচার, বর্ণবাদ ও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সামারিক বাহিনীর কর্মকর্তাদের অংশগ্রহণের বিরোধীতাকারী ট্রাম্প প্রশাসন।
পেন্টাগন আগামী সপ্তাহ থেকে ৫ হাজার ৪০০ জন বেসামরিক প্রবেশনারি কর্মী ছাঁটাই করার পাশাপাশি আগামী বছর বাতিল করা যেতে পারে এমন ৫০ বিলিয়ন ডলার মূল্যের কর্মসূচি চিহ্নিত করার পরিকল্পনা করছে ট্রাম্প প্রশাসন।
শুক্রবার এক বিবৃতির মাধ্যমে জেনারেল ব্রাউনের পাশাপাশি নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল লিসা ফ্রাঙ্কচেট্টি ও বিমান বাহিনীর উপপ্রধান জেনারেল জেমস স্লিফকে বরখাস্তের ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ।
নৌবাহিনীর প্রধান লিসা ফ্রাঙ্কচেট্টি যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে প্রথম জয়েন্ট চিফ অব স্টাফ এবং নৌবাহিনীর প্রথম নারী প্রধান ছিলেন।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রে ডিমের আকাশছোঁয়া দাম
জানুয়ারি এ সংক্রান্ত একটি শুনানিতেই ব্রাউনকে অপসারণ করার ব্যাপারে শঙ্কা তৈরি হয়। তাকে বরখাস্ত করা প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে হেগসেথ বলেন, ‘সব সিনিয়র কর্মকর্তাকে যোগ্যতা, যুদ্ধক্ষমতা ও আইনের আদেশ পালনে তাদের অঙ্গীকারের ভিত্তিতে মূল্যায়ন করা হবে।’ ব্রাউনের মনোযোগ ডিইআই-এ সামরিক দায়িত্বের চেয়ে বেশি বলে অভিযোগ করেছিলেন তিনি।
হেগসেথ এর আগেও ব্রাউনকে লক্ষ্যবস্তু করেছিলেন। নভেম্বরে এক অনুষ্ঠারে তিনি স্পষ্টভাবে বলেন, ‘সবার আগে আপনাকে জয়েন্ট চিফসের চেয়ারম্যানকে বরখাস্ত করতে হবে।’
এছাড়া তার এক বইয়ে কৃষ্ণাঙ্গ হওয়ার কারণেই ব্রাউন এই পদ পেয়েছিলেন কিনা সে বিষয়েও প্রশ্ন তুলেছিলেন হেগসেথ।
৩১০ দিন আগে
ইউরোপকে জেগে ওঠার আহ্বান গ্রিসের প্রধানমন্ত্রীর
ইউরোপকে নিজেদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে ও ইউরোপীয় দেশগুলোর স্বার্থরক্ষায় সজাগ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী কিরিয়াকোস মিতসোতাকিস। এ সময় ইউরোপের নিজস্ব সেনাবাহিনী গঠনের ওপরও গুরুত্ব দিন তিনি। ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে যুক্তরাষ্ট্রের পদক্ষেপের প্রতিক্রিয়া হিসেবে এই বক্তব্য দেন মিতসোতাকিস।
বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি ) গ্রিসের থেসলানোকির একটি বাণিজ্যিক সম্মেলনে এসব কথা বলেন মিতসোতাকিস।
সম্প্রতি ইউক্রেন ও ইউরোপীয় দেশগুলোকে বাদ দিয়ে ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধ করতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একের পর এক পদক্ষেপ নিচ্ছেন। শুধু তা-ই নয়; বিতর্কিত মন্তব্যও করে যাচ্ছেন অনবরত। ইউক্রেন থেকে মুখ ফিরিয়ে ঝুঁকছেন রাশিয়ার দিকে।
যুক্তরাষ্ট্রের এহেন কর্মকান্ড খোদ দেশটিরই বহুদিনের পররাষ্ট্রনীতির বড়সড় পরিবর্তনের দিকে ইঙ্গিত করছে। চিন্তিত হয়ে পড়েছেন ইউরোপের নেতারাও।
আরও পড়ুন: ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে ট্রাম্প-জেলেনস্কি দ্বন্দ্বে
মঙ্গলবারে সৌদি আরবে রুশ-মার্কিন বৈঠক নিয়ে যখন বিশ্বজুড়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনা তখন ট্রাম্প ও জেলেনস্কির দ্বন্দ্ব ইউরোপের নেতাদের চিন্তা আরও কয়েকগুন বাড়িয়ে দিয়েছে।
বৈঠকে আমন্ত্রণ না পাওয়ায় ক্ষুব্ধ ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি অভিযোগ করেন, ট্রাম্প ‘রাশিয়ার বিভ্রান্তিকর তথ্যের ফাঁদে’ পড়েছেন। কিয়েভকে ছাড়া করা বৈঠকের কোনো সিদ্ধান্ত মেনে না নেওয়ার কথাও সুস্পষ্ট করে জানান দেন তিনি।
তার বক্তব্যের জবাবে ইউক্রেন যুদ্ধের অবসানে দ্রুতই আলোচনার টেবিলে বসতে জেলেনস্কিকে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ট্রাম্প। এ সময় জেলেনস্কিকে ‘অনির্বাচিত স্বৈরশাসক’ বলেও আখ্যা দেন তিনি।
দুই নেতার এই দ্বন্দ্ব ইউরোপীয়দের মধ্যে নতুন করে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। এ প্রসঙ্গে গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী বলেন, বেশ কিছুদিন ধরে ইউরোপে যে ভূরাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্থবিরতা দেখা দিয়েছে, দ্রুতই তা কাটিয়ে উঠতে উদ্যোগ নিতে হবে তাদের।
এ সময় মিতসোতাকিস বলেন, ইউরোপের নিজস্ব একটি সেনাবাহিনী প্রস্তুত করার দাবি বেশ পুরনো। তিনি মনে করেন, যুক্তরাষ্ট্র যেসব সিদ্ধান্ত নিচ্ছে ও দেশটির পররাষ্ট্রনীতিতে যে পরিবর্তন দেখা দিয়েছে; তা ইউরোপের সেনাবাহিনী গঠনের যে দীর্ঘদিনের পরিকল্পনা তা বাস্তবায়নকে আরও বেশি প্রাসঙ্গিক করে তুলেছে।
এর আগে মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টও ইউরোপের নিজস্ব সেনাবাহিনী গঠনের আহ্বান জানিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের হাত ধরেই কী ইউক্রেন জয়ের পথে রাশিয়া?
মূলত, নিজেদের নিরাপত্তার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ন্যাটোর উপরই নির্ভরশীল ইউরোপের দেশগুলো। তবে দ্বিতীয় মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর ক্রমাগত ইউরোপকে প্রতিরক্ষায় বেশি বিনিয়োগের দাবি জানিয়ে আসছেন ট্রাম্প ।
শুধু তাই নয়, ভবিষ্যতে ইউক্রেনে শান্তি প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে ইউরোপকে অবশ্যই আরও বেশি সামরিক শক্তি প্রদর্শন করতে হবে বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
উদ্ভূত এই পরিস্থিতিতে ইউরোপের দেশগুলোর নতুন করে নিজেদের নিরাপত্তাসহ সার্বিক বিষয়ে চিন্তা করা প্রয়োজন বলে মনে করেন বৈশ্বিক কূটনৈতিকবৃন্দ।
৩১১ দিন আগে
যুক্তরাষ্ট্রের হাত ধরেই কী ইউক্রেন জয়ের পথে রাশিয়া?
হয়ত এই মুহূর্তটির জন্যই অপেক্ষা করছিল রাশিয়া! ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পরপরই রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন জানিয়েছেন, ‘যুদ্ধ বন্ধে আলোচনায় বসতে রাজি তিনি।’ যার সূত্র ধরে দুই প্রেসিডেন্টের দীর্ঘ ফোনালাপ এবং অবশেষে সৌদি আরবের রিয়াদে উচ্চ পর্যায়ের দ্বিপাক্ষিক বৈঠক।
২০২২ সালে রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর প্রায় হাজারখানেক নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও টলানো যায়নি যে পুতিনকে, সেই তিনি কেন হঠাৎ সমাধান চাচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের থেকে?
এই প্রশ্নের সহজ উত্তর মিলবে মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সৌদি আরবের রিয়াদে অনুষ্ঠিত রাশিয়া-যুক্তরাষ্ট্রের আলোচনার চিত্র থেকে।
ইউক্রেন আক্রমণের পর এই প্রথম রাশিয়ার উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকে বসেছে যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ কর্মকর্তারা। যে ইউক্রেনকে ঘিরে এতকিছু তাকেই রাখা হয়েছে আলোচনার টেবিলের বাইরে। আর যেখানে ইউরোপের নিরাপত্তা ইস্যু নিয়ে আলোচনা সেই ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত কোনো দেশকে আমন্ত্রণ জানায়নি ট্রাম্প প্রশাসন।
আরও পড়ুন: রুশ-মার্কিন বৈঠক: যুদ্ধ বন্ধ ও দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কোন্নয়নে গুরুত্ব
যুদ্ধ চলছে ইউরোপে, বোমার আঘাতে ক্ষতবিক্ষত কিয়েভ- কিন্তু আলোচনার টেবিলে মুখ্য বিষয় ছিল রাশিয়াকে সর্বোচ্চ লাভ নিশ্চিত করে যুদ্ধ বন্ধ করা এবং চলমান সব নিষেধাজ্ঞা তুলে দিয়ে রুশ-আমেরিকান বাণিজ্যকে আবারও বিস্তৃত করা।
অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসসহ (এপি) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এবং রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সেরগেই লাভরভের নেতৃত্বে অন্য যেকোনো সময়ের তুলনায় ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে দুই দেশের মধ্যে। ট্রাম্প-পুতিনের দীর্ঘ ফোনালাপের পর যত দ্রুত সম্ভব এবার দুই রাষ্ট্রপ্রধানের মুখোমুখি বৈঠকের ব্যবস্থার ওপরে জোর দেওয়া হয়েছে দুই পক্ষ থেকেই।
চার ঘণ্টার আলোচনা শেষে মার্কো রুবিও জানিয়েছেন, শুধু রাজনৈতিক না, রাশিয়ার সঙ্গে সমাধান করা হবে সব ধরনের অর্থনৈতিক টানাপোড়েন। অন্যদিকে সেরগেই লাভরভ বেশ খোশ মেজাজে বলেছেন, এতদিন পর রাশিয়ার দিকটাও বুঝতে পারছে যুক্তরাষ্ট্র।
দুপক্ষের বার্তা থেকে কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, ‘ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার বিজয়ের প্রথম স্বীকৃতি হয়ত যুক্তরাষ্ট্রের হাত ধরেই আসতে চলেছে।’
বাইডেন আমলে রাশিয়ার ওপর যুদ্ধাপরাধের দায় চাপানো, পুতিনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি; সব ছাপিয়ে ট্রাম্প চাচ্ছে রাশিয়ার সঙ্গে নিরঙ্কুশ সুসম্পর্ক। এতদিন মার্কিনিরা ইউক্রেনকে দেদারসে অস্ত্র দিয়ে আসলেও এবার অন্য নীতি নিবে যুক্তরাষ্ট্র।
নিষেধাজ্ঞার কারণে বড় বড় আমেরিকান কোম্পানি রাশিয়া ছাড়ায় ৩০০ বিলিয়ন ডলার ক্ষতি হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের করপোরেট খাতে। এই ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে মরিয়া ট্রাম্প প্রশাসন।
আরও পড়ুন: যুদ্ধ বন্ধে ‘কার্যকর আলোচনায়’ থাকবে ইউক্রেন ও ইউরোপীয়রা
এদিকে ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির উদ্ভ্রান্ত দশা। রিয়াদের আলোচনায় রুশদের সঙ্গে এক টেবিলে বসতে না পারায় ক্ষোভ ঝেড়েছেন তিনি। তিনি জানান, নিজেরা নিজেরা আলোচনা করে ইউক্রেনের ওপর কোনো সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেওয়া যাবে না।
যুদ্ধ বন্ধে তিন ধাপে কাজ করবে রাশিয়া এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। যার প্রথমটিই হচ্ছে মস্কো এবং ওয়াশিংটনের সম্পর্ক উন্নয়ন। মার্কো রুবিও জানান, মস্কোর ওপর সব ধরনের অযাচিত চাপ প্রত্যাহার করা হবে। বিনিময়ে ওয়াশিংটনের দিকে বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দেবে পুতিন সরকার।
রুবিও বলেন, যুদ্ধ বন্ধে ইউক্রেন-ইউরোপের সঙ্গে আলোচনা হবে। তবে রাশিয়া এগিয়ে না এলে কোনোদিনও এ যুদ্ধ বন্ধ সম্ভব না। তাই রাশিয়ার দিক বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়াকেই যথোপযুক্ত মনে করছে ট্রাম্প সরকার।
পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে, রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক উন্নয়নে যা কিছু করা দরকার; সবকিছুই করা হবে বলে জানান এ পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
ব্যবসায়িক সুসম্পর্কের ব্যাপারে বৈঠক শেষে রুশ সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কিরিল দিমিত্রিভ বলেন, ‘কোনো কাটখোট্টা আলোচনা হয়নি। দুপক্ষই বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। এখন সময় ভেঙে যাওয়া সম্পর্ক এবং বিশ্বাসের পুনঃনির্মাণের।'
মার্কিন সংবাদ মাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে জেলেনস্কির পরিস্থিতি তুলে ধরা হয়েছে বেশ মজার ছলে। প্রতিবেদনে বলা হয়, জেলেনস্কি ভালো করেই বুঝতে পেরেছেন- এত এত সংগ্রামের পর শেষমেশ আমেরিকার বলির পাঁঠা হতে যাচ্ছেন তিনি। বিশেষত এতদিনের বড় ভরসা যুক্তরাষ্ট্রই এবার পিঠ দেখাচ্ছে ইউক্রেনকে।
এর বাইরে ট্রাম্পের গ্রিনল্যান্ড কেনার খায়েসে ইউরোপের বাগড়া দেওয়া এবং ন্যাটো নিয়ে ঝামেলার ঝাল পুরোটাই তুলল যুক্তরাষ্ট্র। সৌদিকে কেন্দ্রে রেখে ইউরোপকে পাশ কাটিয়ে যাওয়ায় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলো এক রকমের হতবাকই হয়েছে।
৩১৩ দিন আগে