মধ্যপ্রাচ্য
সিরিয়ার দামেস্ক ও আলেপ্পোর বিমানবন্দরে ইসরায়েলের বিমান হামলা
সিরিয়ার রাজধানী দামেস্ক ও উত্তরাঞ্চলীয় আলেপ্পো শহরের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইসরায়েলি বিমান হামলা চালানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সানা’র খবরে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সামরিক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে সানা জানিয়েছে,ওই হামলায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।
আরও পড়ুন: ইসরায়েলের ফিলিস্তিন বিরোধী নীতিকে 'টাইম বোমা' আখ্যা দিয়েছে আরব লীগ
ফিলিস্তিনি সশস্ত্র সংগঠন হামাস দক্ষিণ ইসরায়েলে ভয়াবহ হামলা চালানোর পর সিরিয়ায় প্রথমবারের মতো হামলা চালালো ইসরায়েল।
এই অঞ্চলের অস্থিতিশীল পরিস্থিতি নিয়ে কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করতে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সিরিয়া সফরের একদিন আগে এই বিমান হামলা চালালো ইসরায়েল।
আরও পড়ুন: হামাসের আকস্মিক হামলা-ইসরায়েলি প্রতিক্রিয়ায় নিহত ১০০০ ছাড়িয়েছে
লেবাননের হিজবুল্লাহসহ তেহরান সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর কাছে ইরান থেকে অস্ত্রের চালান ঠেকাতে সিরিয়ার সরকার নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলের বিমানবন্দর ও সমুদ্রবন্দরগুলোতে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল।
সিরিয়ার ১২ বছর ধরে চলা সংঘাতে ইরান সমর্থিত হাজার হাজার যোদ্ধা যোগ দিয়েছে এবং প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের বাহিনীর পক্ষে ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়তা করছে।
ইসরায়েল সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দামেস্ক ও আলেপ্পো বিমানবন্দরে হামলাসহ সিরিয়ার সরকার নিয়ন্ত্রিত এলাকার অভ্যন্তরের লক্ষ্যবস্তুতে শত শত হামলা চালিয়েছে। তবে এসব হামলা ও অভিযানের বিষয়ে খুব কমই স্বীকার করে বা আলোচনা করে দেশটি।
আরও পড়ুন: কঠোর লড়াইয়ের পর ইসরায়েলি সৈন্যরা খুঁজে পান ধ্বংসস্তূপ ও শিশু হত্যার চিহ্ন
কঠোর লড়াইয়ের পর ইসরায়েলি সৈন্যরা খুঁজে পান ধ্বংসস্তূপ ও শিশু হত্যার চিহ্ন
ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর একজন কমান্ডার ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়া পুড়ে যাওয়া একটি বাড়ির সামনে থামলেন। এক সময়ের দাঁড়িয়ে থাকা বাড়ির সামনের দেয়াল এখন আর নেই। তিনি বললেন, দেখুন হামাস সশস্ত্র বাহিনীরা কী করেছে! এই ঘনবসতি সম্প্রদায়টি কিছুদিন আগেও প্রাণে চঞ্চল ছিল।
মেজর জেনারেল ইতাই ভেরুভ বলেন, ‘যে ঘরে শিশুরা ছিল, সে ঘরেই কেউ এসে তাদের মেরে ভেলেছে। ১৫ জন ছিল মেয়ে ও কিশোর বয়সী। তারা তাদের একই ঘরে রেখে হ্যান্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে এবং সব শেষ হয়ে যায়।’
ঊনবিংশ ও বিংশ শতাব্দীর গোড়ার দিকে পূর্ব ইউরোপে ইহুদিদের ওপর নৃশংস হামলার কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, ‘এটি জঘন্য ঘটনা, এটি গণহত্যা।’
আরও পড়ুন: ইসরায়েল ও হামাসের সংঘর্ষে ৯ মার্কিন নাগরিক নিহত: এনএসসি
গাজার সঙ্গে ইসরায়েলের সুরক্ষিত সীমান্ত থেকে কয়েক মাইল দূরে অবস্থিত এই গ্রামটি সশস্ত্র বাহিনীদের কাছ থেকে পুনরুদ্ধারের জন্য দীর্ঘ লড়াইয়ের পর বুধবার অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের (এপি) এক সাংবাদিকসহ একদল সাংবাদিকের নেতৃত্বে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী এই গ্রামটি পরিদর্শন করে।
ইসরায়েলি কর্মকর্তারা বলেন, ইসরায়েলি বাহিনীর জয়ের আগে হামলাকারীরা ১০০ জনেরও বেশি বাসিন্দাকে হত্যা করেছে।
ফিলিস্তিনি ছিটমহল থেকে শুরু হওয়া ব্যাপক আক্রমণের অংশ হিসেবে শনিবার ভোরে ২০টিরও বেশি শহর ও গ্রামে হামলা চালানো হয়, যার মধ্যে ১ হাজারেরও বেশি মানুষের বসতি বে’ইরি অন্যতম।
প্রতিষ্ঠারও দুই বছর পূর্বে ইহুদি বসতি স্থাপনকারীদের দ্বারা শুরু হওয়া বে'ইরি অঞ্চলে অন্যান্য স্থাপনার মধ্যে একটি বড় মুদ্রণ প্ল্যান্ট ছিল, যা ইসরায়েলি ড্রাইভিং লাইসেন্স দেয়। যা এখন হামাসের সঙ্গে যুদ্ধের ভয়াবহ প্রতীকে পরিণত হয়েছে। কর্তৃপক্ষ বলছে, এখন পর্যন্ত ইসরায়েলে প্রায় ১ হাজার ২০০ এবং গাজায় প্রায় ১ হাজার ১০০ জন নিহত হয়েছে।
আরও পড়ুন: ইসরায়েলে ফ্লাইট স্থগিত করল ইজিপ্টএয়ার
সামরিক বাহিনী থেকে অবসর নেওয়া ভেরুভকে আবারও আক্রমণের কবলে পড়া শহরগুলো উদ্ধার করতে আবারও শনিবার লড়াইয়ে নেতৃত্ব দিতে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। তিনি বলেন, হামাস যোদ্ধারা ধ্বংসস্তূপের মধ্যে অবস্থান নিয়েছিল, ছোট ছোট দলে লুকিয়ে ছিল এবং ইসরায়েলি সৈন্যদের চমকে দিয়েছিল। কারণ বাড়ি বাড়ি গিয়েছিল।
তিনি বলেন, ‘যখনই আমরা ভেবেছি যে আমরা অঞ্চলটি পরিষ্কার করেছি এবং সবকিছু নীরব ছিল, হঠাৎ করে আরও ১২ বা ২০ জন বেরিয়ে এসেছে।’
দোতলা বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, সশস্ত্র বাহিনী গ্রেনেড দিয়ে কিশোর-কিশোরীদের হত্যা করেছে। সৈন্যরা তাদের হাত বাঁধা অবস্থায় অন্যান্য বাসিন্দাদের লাশ খুঁজে পেয়েছে। সংক্ষিপ্ত পরিদর্শনের সময়, একজন প্রতিবেদক কিছু বাড়ির পাশে ফাঁকা গর্ত এবং গাড়িতে আগুন দিতে দেখেছিলেন। ধ্বংসাবশেষের মাঝখানে একটি বাচ্চাদের ব্যাকপ্যাকসহ পরিবারের ফ্রেমযুক্ত ছবিগুলো সেখানে পড়ে ছিল।
বুধবার সূর্যাস্তের একটু আগে যখন সাংবাদিকদের নিয়ে আসা হয়, ততক্ষণে উদ্ধারকর্মীরা নিহত বেশিরভাগ বাসিন্দার লাশ সরিয়ে ফেলেন। কিন্তু বেশ কয়েকজন সশস্ত্র বাহিনীর লাশ ছিল এবং বাতাসে প্রচণ্ড মৃত্যুর গন্ধ ছিল।
ভেরুভ বলেন, ‘আমরা গাজায় আঘাত হানব। আমরা হামাসকে আঘাত করব। এবং আমরা ধ্বংস করব।’
আরও পড়ুন: ইসরায়েলের সমর্থনে পূর্ব ভূমধ্যসাগরে রণতরী পাঠাবে যুক্তরাষ্ট্র
হামাসের আকস্মিক হামলা-ইসরায়েলি প্রতিক্রিয়ায় নিহত ১০০০ ছাড়িয়েছে
ইসরায়েলি সরকার রবিবার হামাসের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। হামাসের আকস্মিক আক্রমণের প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য ‘উল্লেখযোগ্য সামরিক পদক্ষেপের’ জন্য সবুজ সংকেত দিয়েছে। কারণ, সামরিক বাহিনী দক্ষিণাঞ্চলের শহরগুলোতে এখনও যোদ্ধাদের দমন করার চেষ্টা করছে এবং গাজা উপত্যকায় বোমাবর্ষণ জোরদার করেছে ইসরায়েল।
এতে উভয় পক্ষের এক হাজার ১০০ জন নিহত এবং হাজার হাজার মানুষ আহত হয়েছে।
আরও পড়ুন: গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৩২
হামাস গাজা থেকে নজিরবিহীন আক্রমণ শুরু করার ২৪ ঘন্টারও বেশি সময় পরে ইসরায়েলি বাহিনী সোমবার সকালেও বেশ কয়েকটি স্থানে লুকিয়ে থাকা হামাস যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে লড়াই করছে। ইসরায়েলের কমপক্ষে ৭০০ মানুষ নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে। কয়েক দশকের মধ্যে এমন পরিস্থিতিতে পড়েনি দেশটি। অন্যদিকে গাজায় ৪০০ জনেরও বেশি নিহত হয়েছে।
আরও পড়ুন: ইসরায়েলের ফিলিস্তিন বিরোধী নীতিকে 'টাইম বোমা' আখ্যা দিয়েছে আরব লীগ
ইসরায়েলের ফিলিস্তিন বিরোধী নীতিকে 'টাইম বোমা' আখ্যা দিয়েছে আরব লীগ
ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের সহিংস নীতিকে 'টাইম বোমা' আখ্যায়িত করে আরব লীগের মহাসচিব আহমেদ আবুল গীত ফিলিস্তিনি গাজা উপত্যকায় তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছেন।
আবুল গীতকে উদ্ধৃত করে আরব লীগের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘ইসরায়েলের সহিংস ও চরমপন্থী নীতির অব্যাহত বাস্তবায়ন একটি টাইম বোমা, যা অদূর ভবিষ্যতে স্থিতিশীলতার জন্য এই অঞ্চলকে গুরুতর সুযোগ থেকে বঞ্চিত করে।’
গাজায় ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, দিনের শুরুতে ছিটমহলটিতে ইসরায়েলি বিমান হামলায় ২৩২ জন নিহত এবং ১ হাজার ৬৯৭ জন আহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৩২
এর আগে গাজা নিয়ন্ত্রণকারী ইসলামিক রেজিস্ট্যান্স মুভমেন্টের (হামাস) রকেট হামলার পর ইসরায়েলি এই হামলা চালানো হয়।
শনিবার ইসরায়েলি গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, দুই পক্ষের মধ্যে নতুন দফা সংঘর্ষে অন্তত ১৫০ জন ইসরায়েলি নিহত হয়েছে।
আরও পড়ুন: হামাসের আকস্মিক হামলায় ২২ ইসরায়েলি সেনা নিহত
হামাস কিছু ইসরায়েলি কর্মকর্তা ও সৈন্যকে জিম্মি করে রেখেছে, যা ইসরায়েলি পক্ষ নিশ্চিত করেছে।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু শনিবার ঘোষণা করেছেন, ইসরায়েল ‘যুদ্ধের অবস্থায়’ রয়েছে এবং ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস ইসরায়েলি সৈন্য ও বসতি স্থাপনকারীদের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনিদের আত্মরক্ষার অধিকারের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
আরও পড়ুন: সিরিয়ায় সামরিক বাহিনীর অনুষ্ঠানে ড্রোন হামলায় নিহত ৮০, আহত ২৪০
গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৩২
গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৩২, আহত হয়েছেন আরও ১ হাজার ৬৯৭ জন।
শনিবার গাজায় ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক হালনাগাদ তথ্যে জানানো হয়।
এর আগে ইসলামিক রেজিস্ট্যান্স মুভমেন্টের (হামাস) রকেট হামলার জবাবে এই বিমান হামলা চালানো হয়।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী নিশ্চিত করেছে যে ফিলিস্তিনি জঙ্গিরা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে প্রায় ৩ হাজার রকেট নিক্ষেপ করেছে এবং কয়েক ডজন সশস্ত্র ব্যক্তি দক্ষিণ ইসরায়েলে অনুপ্রবেশ করেছে।
আরও পড়ুন: গাজায় বিমান হামলায় আরেক সশস্ত্র কমান্ডার নিহত হয়েছে: ইসরায়েল
গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী জঙ্গি গোষ্ঠী হামাস দাবি করেছে যে তারা বেশ কয়েকজন ইসরায়েলি কর্মকর্তা ও সৈন্যকে আটক করেছে এবং তাদের ‘নিরাপদ স্থানে’ রাখা হয়েছে।
জবাবে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানায়, তারা উপকূলীয় ছিটমহলের বিভিন্ন অঞ্চলে কয়েক ডজন যুদ্ধবিমান দিয়ে হামাসের স্থাপনা ও সদর দপ্তর লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে। ইসরায়েলের জ্বালানিমন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ বলেছেন, হামাসের হামলার পরিপ্রেক্ষিতে তার দেশ ফিলিস্তিনি ছিটমহলের বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেবে।
আরও পড়ুন: গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় ৯ জন নিহত
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এক জাতীয় ভাষণে ঘোষণা করেছেন যে ইসরায়েল ‘যুদ্ধের অবস্থায় রয়েছে’ এবং ‘মজুদের পূর্ণ একত্রীকরণের’ নির্দেশ দিয়েছেন।
ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস ইসরায়েলি বাহিনী ও বসতি স্থাপনকারীদের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনি জনগণের আত্মরক্ষার অধিকারের ওপর গুরুত্বারোপ করে গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তাদের সঙ্গে জরুরি বৈঠক করেছেন।
আরও পড়ুন: গাজায় ইসরাইলি হামলা অব্যাহত, ওআইসির জরুরি বৈঠকে বাংলাদেশের তীব্র নিন্দা
সিরিয়ায় সামরিক বাহিনীর অনুষ্ঠানে ড্রোন হামলায় নিহত ৮০, আহত ২৪০
সিরিয়ার হোমস শহরে বৃহস্পতিবার সামরিক গ্র্যাজুয়েশন অনুষ্ঠানে ড্রোন হামলায় ৮০ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ২৪০ জন।
শুক্রবার (৬ অক্টোবর) দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী হাসান আল-গাবাস বলেছেন, এক দশকেরও বেশি সময় ধরে চলা গৃহযুদ্ধে সেনাবাহিনীর ওপর সাম্প্রতিকতম সবচেয়ে প্রাণঘাতী হামলা এটি।
তিনি বলেন, এই হামলায় ছয় শিশুসহ বেসামরিক নাগরিক ও সামরিক কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন। আহতদের অনেকের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এর আগে সিরিয়ার সামরিক বাহিনী এক বিবৃতিতে কোনো নির্দিষ্ট গোষ্ঠীর নাম উল্লেখ না করে জানায়, তরুণ কর্মকর্তা ও তাদের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে ড্রোন হামলা চালানো হয়।
আরও পড়ুন: সিরিয়ায় আইএসের হামলায় নিহত বেড়ে ৫৩
সামরিক বাহিনীর উপর এই হামলার জন্য 'পরিচিত আন্তর্জাতিক বাহিনী সমর্থিত' বিদ্রোহীদের অভিযুক্ত করে এতে আরও বলা হয়, 'তারা যেখানেই থাকুক না কেন, এই সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোকে চিহ্নিত করে সমুচিত জবাব দেওয়া হবে।’
সিরিয়ার ১৩ বছর ধরে চলা সংঘাতের মধ্যে এই হামলার জন্য তাৎক্ষণিকভাবে দায় স্বীকার করেনি কোনো গোষ্ঠী।
জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক বলেছেন, হোমসে ড্রোন হামলা এবং সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে পাল্টা গোলাবর্ষণের খবরে 'গভীর উদ্বেগ' প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। একই সঙ্গে দেশটিতে সব ধরনের সহিংসতার নিন্দা জানিয়ে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
দেশটির সামরিক বাহিনী হতাহতের কোনো সংখ্যা প্রকাশ না করলেও সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন জানিয়েছে, সরকার শুক্রবার থেকে তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছে।
এর আগে ব্রিটেনভিত্তিক সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস এবং সরকারপন্থী শাম এফএম রেডিও এই হামলার খবর প্রচার করেছে।
২০১১ সালের মার্চ মাসে প্রেসিডেন্ট বাশার আসাদ সরকারের বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভের মধ্য দিয়ে সিরিয়ার সংকট শুরু হয়। কিন্তু বিক্ষোভকারীদের ওপর সরকারের নৃশংস দমনপীড়নের পর তা দ্রুত গৃহযুদ্ধে রূপ নেয়।
২০১৫ সালে বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে আসাদ সরকার সফলতা পেতে থাকে। এসময় সিরিয়াকে গুরুত্বপূর্ণ সামরিক সহায়তা প্রদান করে সমর্থন দিতে থাকে রাশিয়ার পাশাপাশি ইরান ও লেবাননের সশস্ত্র সংগঠন হিজবুল্লাহ।
এখন পর্যন্ত এই যুদ্ধে পাঁচ লাখ মানুষ নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে লাখ লাখ মানুষ এবং দেশের অনেক অংশ ধ্বংস হয়ে গেছে। সিরিয়ায় চলমান যুদ্ধের ফলে ২ কোটি ৩০ লাখ জনসংখ্যার অর্ধেক বাস্তুচ্যুত হয়েছে। এর মধ্যে ৫০ লাখেরও বেশি সিরিয়ার বাইরে শরণার্থী হিসেবে রয়েছে।
যদিও বেশিরভাগ আরব সরকার দামেস্ক সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক পুনস্থাপন করেছে,কিন্তু সিরিয়া এখনও বিভক্ত রয়েছে। হায়াত তাহরির আল-শাম গ্রুপের আল-কায়েদা-সম্পর্কিত জঙ্গি এবং তুর্কি সমর্থিত সুন্নি বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে উত্তর-পশ্চিম একটি অঞ্চল রয়েছে। আর মার্কিন সমর্থিত কুর্দি নেতৃত্বাধীন সিরিয়ান ডেমোক্রেটিক ফোর্সের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চল।
হোমস শহরটি সরকার নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলের কেন্দ্রে অবস্থিত,যেখানে সরকার ও বিদ্রোহী বাহিনী নিয়মিত সরাসরি সংঘর্ষে লিপ্ত হয়।
আরও পড়ুন: সিরিয়ায় আইএসের ল্যান্ড মাইন বিস্ফোরণে ৬ বেসামরিক নাগরিক নিহত
ড্রোন হামলার পর সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় ইদলিব প্রদেশের বিভিন্ন গ্রামে গোলাবর্ষণ করে সিরিয়ার সরকারি বাহিনী। সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের সিভিল ডিফেন্স অর্গানাইজেশন হোয়াইট হেলমেটস জানিয়েছে, ইদলিব শহরের পূর্বে আল-নায়রাব ও সারমিন শহরে অন্তত ১০ জন বেসামরিক নাগরিক আহত হয়েছে। সরকারি বাহিনী তাদের অনিয়ন্ত্রিত ওই অঞ্চলের অন্যান্য এলাকাতেও গোলাবর্ষণ অব্যাহত রেখেছে।
হোয়াইট হেলমেটস জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার হোমসের ওপর ড্রোন হামলার আগে সিরিয়ার সেনাবাহিনী ওই অঞ্চলের আরেকটি গ্রামে গোলাবর্ষণ করে। এতে অন্তত পাঁচজন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়। পশ্চিম আলেপ্পো প্রদেশের কাফর নুরান গ্রামের উপকণ্ঠে একটি পারিবারিক বাড়িতে গুলি চালিয়েছে সরকারি বাহিনী।
অবজারভেটরি জানিয়েছে, ওই হামলায় এক নারী ও তার চার সন্তান নিহত হয়েছেন। এতে ওই পরিবারের আরও নয়জন আহত হয়েছেন।
উত্তর-পশ্চিম সিরিয়ায় বসবাসরত প্রায় ৪১ লাখ মানুষের বেশিরভাগই দারিদ্র্যপীড়িত। তারা বেঁচে থাকার জন্য মানবিক সহায়তার উপর নির্ভর করে। তাদের অনেকেই সিরীয়, যারা যুদ্ধের কারণে দেশের অন্যান্য অংশ থেকে অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।
সিরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলের স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার হাসাকেহ ও কামিশলি প্রদেশে তুর্কি ড্রোন হামলায় তেল উৎপাদন কেন্দ্র, বৈদ্যুতিক সাবস্টেশন ও একটি বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। স্থানীয় কুর্দি কর্তৃপক্ষের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তাদের নিরাপত্তা বাহিনীর ছয় সদস্য ও পাঁচ বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন।
এদিকে তিন মার্কিন কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা এপিকে জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের একটি এফ-১৬ যুদ্ধবিমান বৃহস্পতিবার তুরস্কের একটি ড্রোনকে গুলি করে ভূপাতিত করেছে। ইসলামিক স্টেট (আইএস) জঙ্গিদের মোকাবিলায় সিরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় ৯০০ সৈন্য রয়েছে।
তুরস্ক তাৎক্ষণিকভাবে এই হামলার বিষয়ে কোনো মন্তব্য না করলেও আঙ্কারা বলেছে, সিরিয়ার প্রধান কুর্দি মিলিশিয়া তুরস্কের নিষিদ্ধ কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টির সঙ্গে জোটবদ্ধ, যারা ১৯৮৪ সাল থেকে তুরস্কের বিরুদ্ধে বিদ্রোহের নেতৃত্ব দিচ্ছে এবং কয়েক হাজার মানুষকে হত্যা করেছে। আঙ্কারা পিকেকেকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে ঘোষণা করেছে।
সিরিয়ায় জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত সিরিয়ার কুর্দি বাহিনীর প্রধান মিত্র হলো যুক্তরাষ্ট্র। ২০১৯ সালের মার্চ মাসে সিরিয়ায় জঙ্গি গোষ্ঠীটিকে পরাজিত করেছিল তারা।
আরও পড়ুন: ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠীর কমান্ডার সিরিয়ায় নিহত
সিরিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশে ইসরায়েলি বিমান হামলায় ২ সেনা আহত
সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম মঙ্গলবার বলেছে, ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী কৌশলগত পূর্বাঞ্চলীয় একটি প্রদেশে বিমান হামলায় দুই সৈন্য আহত হয়েছেন এবং এতে বস্তুগত ক্ষতিও হয়েছে।
হামলার বিষয়ে ইসরায়েলের পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সামরিক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সানা বলেছে, সোমবার রাতে দেইর এল-জৌরের সামরিক অবস্থান লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালানো হয়।
ইরাকের সীমান্তবর্তী পূর্ব দেইর এল-জৌর প্রদেশে তেল ক্ষেত্র রয়েছে এবং সিরিয়ার সংঘাতের সময় এটি একটি কৌশলগত প্রদেশ, সময়ের পরিক্রমায় যা এখন ১৩তম বছরে। ইরান সমর্থিত মিলিশিয়া গোষ্ঠী এবং সিরীয় বাহিনী এই অঞ্চলটি নিয়ন্ত্রণ করে এবং পূর্ববর্তী হামলায় প্রায়শই ইসরায়েলি যুদ্ধবিমানের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে।
ব্রিটেনভিত্তিক বিরোধী দলের যুদ্ধ পর্যবেক্ষক সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড অ্যাক্টিভিস্ট দল দেইর ইজোর ২৪ জানিয়েছে, ইরান সমর্থিত মিলিশিয়া গোষ্ঠীগুলোর শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত ইরাকি সীমান্তের বুকামাল অঞ্চলের অবস্থান লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালানো হয়েছে। উভয়ই বলেছে, তারা বিমান হামলার উৎস শনাক্ত করতে পারেননি।
ইসরায়েল সাম্প্রতিক বছরগুলোতে যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়ার সরকার নিয়ন্ত্রিত অংশের অভ্যন্তরে শত শত হামলা চালিয়েছে, যার মধ্যে রাজধানী দামেস্কের বিমানবন্দরে হামলাও রয়েছে। এসব হামলা প্রায়ই সিরীয় বাহিনী বা ইরান সমর্থিত গোষ্ঠীগুলোকে লক্ষ্য করে চালানো হয়।
লিবিয়ায় ভয়াবহ বন্যায় ৬৪ ফিলিস্তিনি নিহত
লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলে ভয়াবহ বন্যায় অন্তত ৬৪ ফিলিস্তিনি নিহত এবং আরও ১০ জন নিখোঁজ রয়েছে। রবিবার ফিলিস্তিনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একটি বিবৃতিতে এই তথ্য জানিয়েছে।
বিবৃতিতে মন্ত্রণালয়ের রাজনৈতিক উপদেষ্টা আহমাদ আল-দীক বলেন, আমরা লিবিয়ার ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় ফিলিস্তিনি নাগরিকদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি এবং দুর্ভোগের পরিমাণ নিরূপনে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি।
আরও পড়ুন: লিবিয়ার বন্যার্তদের জন্য বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ত্রাণ পাঠানো হচ্ছে আজ
তিনি বিবৃতিতে আরও বলেন, আমরা তাদের (নিহতদের) পরিবার ও স্বজনদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি এবং আশা করছি নিখোঁজ ব্যক্তিদের জীবিত খুঁজে পাওয়া যাবে।
গত ১০ সেপ্টেম্বর লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলে বিধ্বংসী ভূমধ্যসাগরীয় ঝড় ড্যানিয়েল আঘাত হানে। এর ফলে লিবিয়ায় কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যা দেখা দেয়। এতে হাজার হাজার মানুষ প্রাণ হারায় এবং এই অঞ্চলের অবকাঠামোর ব্যাপক ক্ষতি হয়।
আরও পড়ুন: লিবিয়ার উপকূলীয় শহর দেরনায় বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১১,৩০০: রেড ক্রিসেন্ট
লিবিয়ায় বন্যা: নিহত ১১ হাজার ছাড়িয়েছে, আরও ১০ হাজার নিখোঁজের অনুসন্ধান চলছে
ইরাকের কুর্দি অঞ্চলে সামরিক বিমানবন্দরে হামলায় নিহত ৩
উত্তর ইরাকের আধা-স্বায়ত্তশাসিত কুর্দি অঞ্চলে একটি সামরিক বিমানবন্দরে বিমান হামলায় তিনজন নিহত হয়েছে।
সোমবার এই হামলা ও হতাহতের ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় কর্মকর্তারা।
এক বিবৃতিতে এই অঞ্চলের কাউন্টার টেরোরিজম সার্ভিস বলেছে, সুলেইমানিয়াহ শহরের ২৮ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বের আরবাত বিমানবন্দরে হামলায় তিনজন কর্মী নিহত হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও তিন কুর্দি পেশমারগা বাহিনীর তিন সদস্য।
সম্প্রতি বিমানবন্দরটিতে প্রশিক্ষণের সুবিধার্থে প্যাট্রিয়টিক ইউনিয়ন অফ কুর্দিস্তানের সঙ্গে যুক্ত সন্ত্রাসবিরোধী ইউনিটগুলোর পুনর্বাসন করা হয়েছিল। যা এই অঞ্চলের দুটি প্রায়শই প্রতিদ্বন্দ্বী প্রধান দলগুলোর একটি। যারা সুলেইমানিয়াহ’র নিয়ন্ত্রণে করছে।
কাউন্টার টেরোরিজম সার্ভিস কোনো পক্ষকে হামলার জন্য দায়ী করেনি। তবে সুলায়মানিয়াহ গভর্নরেট একটি বিবৃতিতে ‘এই অঞ্চলের দেশগুলোকে কুর্দিস্তান অঞ্চল এবং ইরাকের সার্বভৌমত্বকে সম্মান করার জন্য’ আহ্বান জানিয়েছে এবং এতে বোঝানো হয়েছে যে এই হামলাটি তুরস্ক চালিয়েছে।
আরও পড়ুন: ইরাকে কুর্দি যোদ্ধাদের হামলায় ৬ তুর্কি সেনা নিহত : আঙ্কারা
এছাড়াও সোমবার, কুর্দিস্তান ন্যাশনাল কংগ্রেস, কুর্দি গোষ্ঠী এবং দলগুলোর একটি সহায়তাপুষ্ট সংগঠন একটি বিবৃতিতে বিশদ বিবরণ না দিয়ে বলেছে , তাদের একজন সদস্যকে ইরবিলে গ্রুপের অফিসের ভিতরে ‘হত্যা’ করা হয়েছে।
তুরস্ক প্রায়শই সিরিয়া এবং ইরাকের কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টি, বা পিকেকে’র লক্ষ্যবস্তুগুলোতে হামলা চালায়। তারা বিশ্বাস করে যে একটি কুর্দি বিচ্ছিন্নতাবাদী দল যেটি ১৯৮০ সাল থেকে তুরস্কের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে চালিয়ে আসছে, তাদের সঙ্গে এরা যুক্ত।
কুর্দি জঙ্গি কার্যকলাপের কথিত বৃদ্ধির কারণে ফ্লাইটের নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়ায় এপ্রিল মাসে সুলেইমানিয়াহ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এবং সেখান থেকে ফ্লাইটের জন্য আকাশসীমা বন্ধ করে দেয় তুরস্ক।
আরও পড়ুন: ইরাকে তীর্থযাত্রী বহনকারী বাস উল্টে নিহত ১৮
ইরাকে তীর্থযাত্রী বহনকারী বাস উল্টে নিহত ১৮
ইরাকের রাজধানী বাগদাদের উত্তরে তীর্থযাত্রীদের কারবালা শহরে বহনকারী একটি বাস উল্টে ১৮ জন নিহত হয়েছেন। বিষয়টি দেশটির মেডিকেল কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
বিশ্বের বৃহত্তম বার্ষিক জনসমাগম হিসেবে বিবেচিত আরবাইনের শিয়া তীর্থযাত্রার জন্য প্রতি বছর লাখ লাখ বিশ্বাসী এই শহরে জড়ো হন। ইরাকের বিভিন্ন অংশ থেকে, পাশাপাশি ইরান ও উপসাগরীয় দেশগুলো থেকেঅ তীর্থযাত্রীরা আসেন, অনেকে পায়ে হেঁটে কারবালার পথে যাত্রা করেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ২ ইরাকি চিকিৎসা কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বাগদাদ থেকে প্রায় ৫৫ মাইল (৯০ কিলোমিটার) উত্তরে বালাদ শহরের কাছে বাসটি উল্টে যায়।
কর্মকর্তারা বলেন, নিহতদের মধ্যে ১৫ জন পুরুষ ও ৩ জন নারী। এদের মধ্যে ১০ জন ইরানি, ২ জন ইরাকি (বাসচালক ও তার ছেলে) এবং ৬ জন অজ্ঞাত পরিচয়ের নাগরিক।
আরও পড়ুন: ইরাকে বিস্ফোরণে ৯ পুলিশ নিহত: কর্তৃপক্ষ
ইরাকে কুর্দি যোদ্ধাদের হামলায় ৬ তুর্কি সেনা নিহত : আঙ্কারা